রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ : প্রণয় ভার্মা

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, জ্বালানি সহযোগিতা ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’ এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করার সময় এ কথা বলেন তিনি।

প্ল্যানটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভারত সরকারের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে। এর বেশিরভাগ অর্থ দিচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।

প্ল্যান্টটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।

এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা উদ্বোধন করেন এবং ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

রূপসা রেল সেতু পরিদর্শনে প্রণয় ভার্মা
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় হাইকমিশনার রূপসা রেল সেতু পরিদর্শন করেন, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র উপ-অঞ্চলের জন্য বাণিজ্য ও যোগাযোগ জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত ভারত সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশীদারিত্বের আওতায় গড়ে ওঠা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।

রূপসা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এবং সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬৯ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শুক্রবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, সেতুটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এবং এর নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব, কারণ পাইলিং কাজের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।

নেভিগেশন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেতুটিতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড উচ্চ পানির স্তর থেকে ১৮ মিটারেরও বেশি।

ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলওসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, সেতুটি ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত।

রূপসা রেলসেতু ও খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন পণ্য পরিবহনকে ব্যাপকভাবে সহজতর করবে এবং মোংলা বন্দরের সাথে যোগাযোগ ও প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের কৃষিপণ্যসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করবে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন এবং বিশিষ্ট খেলাধুলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *