তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা করছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। দেশ দুটিতে ধসেপড়া ভবনের নিচে আরও বহু মরদেহ রয়েছে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, আরও (ভবন) ধসের শঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা (নিহতের) প্রাথমিক সংখ্যা আটগুণ বাড়ার আশঙ্কা করছি।

প্রাণহানির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় একই জিনিস দেখতে পাই, তা হলো- প্রাথমিক খবরে পাওয়া হতাহতের সংখ্যা পরবর্তী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ আশঙ্কা মিথ্যা নয়। কারণ তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের একদিন যেতে না যেতেই প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজারে পৌঁছেছে। এখনও বহু এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। তাছাড়া বিরূপ আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ারও সংবাদ পাওয়া গেছে। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।

তুরস্ক-সিরিয়ায় সীমান্ত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত এক শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার গভীরে।

এর আগে, ১৯৯৯ সালে ইস্তাম্বুলের কাছে জনবহুল পূর্ব মারমারা সাগর অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প। ওই ঘটনা ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *