মিরসরাই প্রতিনিধি:::মিরসরাই থানা পুলিশের অভিযানে ১ অবৈধ অস্ত্র ও চোরাই মালামাল উদ্ধার। এসময় আন্তঃজেলা অপরাধ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন।
আটককৃত আন্তঃজেলা অপরাধ চক্রের সদস্যরা হলো সন্দীপ উপজেলার ২নং গাছুয়া ইউনিয়নের গাছুয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হুমায়ূন কবির (৪০), নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার অম্বল নগর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে চট্রগ্রাম বাইজিদ থানার বাইজিদ মাজার গেইট সংলগ্ন অপ্পো মোবাইল শোরুমের মালিক দেলোয়ার হোসেন(৩৮) ও চট্টগ্রামের বাইজিদ থানা এলাকার অজুদ ভূঁইয়ার ছেলে অপ্পো দোকান কর্মচারী আক্তারুজ্জামান রাজু (৩২)।
মিরসরাই থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর মিরসরাই ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩টি ল্যাপটপ, ২২ নভেম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২টি ল্যাপটপ এবং ২ ফেব্রুয়ারি মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ টি ল্যাপটপ ও সুফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১টি ল্যাপটপ চুরি হয়। এছাড়া মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় গত ৩ মাসে বেশ কয়েকটি চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ থানা এলাকায় টহল জোরদার করে ও ছদ্মবেশে রাতদিন ছায়া তদন্ত শুরু করে।
থানা পুলিশের এসআই খাইরুল ও এএসআই রাম হরিনাথ মহাসড়কে টহল দেয়ার সময় সন্দেহজনক দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে দাওয়া করে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মোটরসাইকেল টি চুরি করে পালাচ্ছিল বলে জানায়। আটককৃত হুমায়ুন কবিরকে তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে থানা হাজতে নিয়ে তাকে আরো বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাম্প্রতিক সময়ে চুরি হওয়া ঘটনাগুলোর সাথে সেও তার সঙ্গীদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তারই দেয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের বাইজিদ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাইজিদ মাজার সংলগ্ন অপ্পো মোবাইল শোরুমের মালিক দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে ১০টি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় তার দোকান কর্মচারী আক্তারুজ্জামান রাজুকেও গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কবির হোসেন জানান, আন্তঃজেলা অপরাধ চক্রের সদস্য হুমায়ূন কবিরকে অস্ত্র ও চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটকের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। উদ্ধার অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে চুরি ও ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই। চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান চলমান থাকবে।
মিরসরাই সার্কেল এএসপি ইফতেখার হাসান জানান, এটা মিরসরাই থানার একটা সফল অভিযান। এই অভিযানের মধ্যদিয়ে মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
Leave a Reply