Author: robin80

  • আজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু

    আজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু

    চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার থেকে। চলবে আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। আর শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করতে পারবে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত।

    প্রথমবারের মতো এবছর সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফরম পূরণ শুরু করেছে শিক্ষাবোর্ডেগুলো। পুরো কার্যক্রমটি চলবে অনলাইনে। গত ৩১ জুলাই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণ কার্যক্রম চলবে। আর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক এসএমএম পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফি পরিশোধ করতে পারবেন। বিজ্ঞান বিভাগে ১১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১০৭০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। বেশি অর্থ আদায়ের প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও বলা হয়, করোনার কারণে এবার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফি নেওয়া যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান এসব আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফরম পূরণের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে। কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। কোনো অবস্থায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সশরীরে প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না।

    এন-কে

  • নতুন সিদ্ধান্ত যান চলাচলে, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র

    নতুন সিদ্ধান্ত যান চলাচলে, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র

    লকডাউন শিথিলের পর এবার পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে মোট আসনের অর্ধেকের বেশি কোনো ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে খোলা থাকবে পর্যটন কেন্দ্রসহ সব বিনোদন কেন্দ্র। এছাড়া সড়কে অর্ধেক যানবাহন চলার নিয়মও তুলে নেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    এর আগে ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, ব্যাংক থেকে শুরু করে গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, ১০ তারিখ পর্যন্ত যে লকডাউন রয়েছে তা পরদিন ১১ আগস্ট থেকে শিথিল করা হবে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওই দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি, বেসরকারি সব ধরনের অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকবে।

    শপিংমল, বাজার ও অন্যান্য দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব গণপরিবহন চলবে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে। তবে সড়কপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে মোট পরিবহনের অর্ধেক চালু করা হবে।

    অর্ধেক আসন খালি রেখে রাত ১০টা পর্যন্ত হোটেল রেস্তোরাঁগুলো খাবার পরিবেশন করতে পারবে। সব প্রকার শিল্প কারখানা চালু থাকবে।

    কিন্তু সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। তবে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলা নেই।

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে দুই দফায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন দেওয়া হয়। ঈদ উদযাপনের জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়। এর আটদিন বিরতির পর আবারও ১৪ দিনের লকডাউন দেওয়া হয় এবং তা আরও পাঁচ দিন, ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    এন-কে

  • শিশুদের করোনা ঝুঁকি কতটা

    শিশুদের করোনা ঝুঁকি কতটা

    তরঙ্গ বা ঢেউ মহামারির একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রতিটি ঢেউ বিপুলসংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করে। ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামে অভিহিত মহামারিটি ‘এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ ভাইরাসের কারণে একটি অস্বাভাবিক ও মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি ছিল। এমনকি সেই ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ মহামারিতেও তরঙ্গ ছিল।

    ১৯১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওই মহামারির সময় চারটি তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল এবং তা ৫০ কোটি মানুষকে সংক্রমিত করেছিল, অর্থাৎ তৎকালীন বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সংক্রমিত হয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ২০ কোটির বেশি বলে অনুমান করা হয়। যদিও এ ধারণাটি রক্ষণশীল এবং অনেকের ধারণা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এটি ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারিগুলোর একটি। তাই বর্তমানে করোনা মহামারিতেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভাইরাসের এ তরঙ্গ বা ঢেউয়ের কারণগুলোর একটি হলো ভাইরাসজনিত এবং দ্বিতীয়টি হলো মনুষ্য-সম্পর্কিত। ভাইরাসটির নিজস্ব রূপান্তর (মিউটেশন) আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর দ্বিতীয়টি আমরা আমাদের আচরণ ও শিষ্টাচার অনুসরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

    দেশে কোভিড-১৯-এর প্রথম ঢেউয়ের পর আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে ছিলাম। দ্বিতীয় ঢেউ কমতে না কমতেই তৃতীয় তরঙ্গ হানা দিয়েছে। এ কারণে এখন কয়েকটি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে- ১. তীব্রতা ও ভয়াবহতা আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে এবং ২. শিশুরা ব্যাপকহারে সংক্রমিত হতে পারে। ইতোমধ্যেই এর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    কোভিড-১৯-এর প্রথম তরঙ্গে প্রাথমিকভাবে প্রবীণ ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে আক্রান্তের হার ও তীব্রতা বেশি ছিল। কিন্তু শিশুদের মাঝে আক্রান্তের হার ছিল খুবই কম। দ্বিতীয় তরঙ্গে বেশিসংখ্যক অল্প বয়সি ব্যক্তি (৩৫-৪৫ বছর) ও শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা ছাড়াও গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

    তথ্যানুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সি শিশুরা প্রায় ৮.৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ সাধারণত হালকা রোগে ভুগেছে, তবে কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থও হয়েছে। যদিও শিশুদের মৃত্যুর হার অন্যান্য বয়সের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ছিল। অর্থাৎ শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সংক্রমিত হলেও গুরুতর রোগাক্রান্ত হচ্ছে না। সংক্রমিত শিশুদের খুব অল্পসংখ্যকের মাঝারি-গুরুতর রোগ হতে পারে। শিশুদের প্রায় ৯০ শতাংশ সংক্রমণ হালকা ছিল।

    তবে মনে রাখতে হবে, সংক্রমণের সামগ্রিক সংখ্যা যদি ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, তবে মাঝারি-গুরুতর রোগের সংখ্যাও শিশুদের মধ্যে বৃদ্ধি পেতে পারে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ইন্দোনেশিয়ায় অধিকসংখ্যক শিশু করোনাভাইরাসে মারা গেছে, যাদের অনেকেই পাঁচ বছরের কম বয়সি, মৃত্যুর হার অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি।

    কেবল ইন্দোনেশিয়াতেই নয়- থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও বিপজ্জনক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং এসব দেশে টিকা দেওয়ার হার কম হওয়ায় করোনার রেকর্ড প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। একই সঙ্গে আমরা কোভিড প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছি না, তাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তরঙ্গে অবশিষ্ট অপ্রতিরোধক (Unvaccinated) জনগণ সংক্রমিত হতে পারে-যাদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক শিশুও আছে।

    এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটি হলো-কীভাবে তৃতীয় তরঙ্গকে আটকানো যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করোনাভাইরাসের অতিরিক্ত তরঙ্গগুলো রোধ করার মূল চাবিকাঠি হলো ভাইরাসটির জন্য পরীক্ষা বাড়ানো এবং প্রয়োজনবোধে সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন ও অনুসরণ অব্যাহত রাখা। কারা এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে তা নির্ধারণের জন্য বিস্তৃত টেস্টিং ও যোগাযোগের সন্ধান প্রয়োজন এবং সেই ব্যক্তিদের অবশ্যই ১৪ দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে।

    Center for Research, Innovation, Development and Action-এর পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, বিপজ্জনক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে বাংলাদেশে ভয়াবহ তরঙ্গের আশঙ্কা বিদ্যমান। এ উচ্চ সংক্রামক করোনাভাইরাস এখনই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে করোনার তীব্রতা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

    মে মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে সংক্রমণ কিছুটা কম থাকার পর ২৫ মে, ২০২১ থেকে সংক্রমণের উচ্চহার দেখা গেছে (শনাক্তের হার ১০ শতাংশের বেশি)। বাংলাদেশে ৮ মে প্রথম ডেল্টা (ভারত) ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ সংক্রমণশীল, আলফা (যুক্তরাজ্যের) ভ্যারিয়েন্টের থেকে ৪০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এবং তা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের গুরুতর রোগের আশঙ্কা আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের আরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তরঙ্গ ১ ও ২-এ সংগৃহীত তথ্যানুসারে, শিশুদের গুরুতর কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে আইসিইউয়ে ভর্তির প্রয়োজন কম। তবে মিউট্যান্ট স্ট্রেনগুলো কীভাবে আচরণ করবে সে সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

    ডেল্টা ওয়েভ COVID-19 সংক্রমণে বেশির ভাগ শিশুর গুরুতর রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই আমাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইতোমধ্যেই COVID-19-এর গুরুতর অসুস্থতা শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া ও এমআইএস-সি (MIS-C) উল্লেখযোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ লক্ষণ সংক্রান্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণের ২-৬ সপ্তাহ পর ‘মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম (MIS-C), প্রতি লাখে ১২ জনের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার কারণে দেখা যেতে পারে।

    কিছু ক্ষেত্রে এটা গুরুতর হতে পারে। এবং তীব্র অসুস্থতার জন্য ২-৬ সপ্তাহ পর কোভিড-১৯-এর কারণে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সময়মতো চিকিৎসা করা হলে বেশির ভাগের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসায় ভালো ফল মিলতে পারে। এমআইএস-সি আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশু অন্যের মধ্যে সংক্রমণটি সঞ্চার করতে পারে না।

    শিশুদের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি ও সাবধানতা
    গত ১৫ মাস থেকে COVID-19 অসুস্থতার চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকরা অনেক কিছু শিখেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। শিশুদের কোভিড চিকিৎসা বিষয়েও শিশু বিশেষজ্ঞরা অধিক সংবেদনশীল ও প্রশিক্ষিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ‘মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম (MIS-C) আক্রান্তদের কেমন পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও যত্ন প্রয়োজন, সে সম্পর্কে ধারণা হয়েছে।

    অধিকসংখ্যক শিশু রোগীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে অসুস্থতা ও সতর্কতার লক্ষণ সম্পর্কে পিতা-মাতাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সচেতনতা জোরদার করতে হবে। উচ্চ-নির্ভরশীলতা ইউনিট (HDU) এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলোসহ শিশুদের জন্য আরও কোভিড ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিধি শিশুর জন্য একই। পিতা-মাতার মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোওয়ার স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, গণসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য এবং শিশুদেরও এ ব্যাপারে শিক্ষা দিতে হবে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ২ থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের মাস্ক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের কোভিড উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করতেই হবে। মা-বাবার উচিত বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলো লক্ষ করা এবং শিশু নির্যাতন ও সহিংসতা রোধে সজাগ থাকা। এছাড়াও স্ক্রিনের সময় অর্থাৎ মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপের ব্যবহার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা অবশ্য করণীয়।

    স্কুল আবার চালু করার আগে শিশুদের সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইনও তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি পুরোদমে থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। স্কুল খোলার আগে স্কুলসংশ্লিষ্ট সব প্রাপ্তবয়স্ককে (শিক্ষক, পিওন, ড্রাইভার, দারোয়ান পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং সব অভিভাবক) দ্রুততার সঙ্গে টিকা গ্রহণ করতে হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বাচ্চাদের স্কুল খোলার জন্য সর্বাগ্রে নিরাপদ পরিবেশ প্রস্তুত করা প্রয়োজন।

    শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা
    এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের কোভিড-১৯ রোগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা হাজারগুণ বেশি। তাই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বয়স্কদের গ্রুপকে প্রথমে টিকা দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে ১৮ বছরের উপরে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। কিছু দেশ ইতোমধ্যে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

    ইতোমধ্যে ফাইজারের টিকা ৫ বছরের উপরের শিশুদের জন্য পরীক্ষায় নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একইভাবে মডার্না ভ্যাকসিন ১২ থেকে ১৭ বছরের কিশোর-কিশোরীদের দেওয়ার জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

    পরবর্তী যা ঘটতে পরে : ১. আরেকটা নতুন তরঙ্গের আঘাত; ২. ধীরে ধীরে জনসংখ্যার বেশির ভাগ অংশ অসম্পূর্ণ বা লক্ষণবিহীন সংক্রমণ দ্বারা প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা (Herd Immunity) অর্জন। ৩. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগটি অপসৃত হতে পারে বা কম সংক্রমণ হারের সঙ্গে সমাজে বা সম্প্রদায়ে স্থানিক (Endemic) আকার ধারণ করতে পারে। তবে সবার আগে ব্যাপক হারে শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কাটাই বেশি। উপযুক্ত আচরণ অনুসরণের মাধ্যমে এ সংক্রমণ থামানো সম্ভব।

    অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন : শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ; সভাপতি, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি

    এন-কে

  • বয়স নিয়ে ভাবতে হয়েছে মিথিলাকে

    বয়স নিয়ে ভাবতে হয়েছে মিথিলাকে

    ঢালিউডে মিথিলার প্রথম ছবি ‘অমানুষ’ মুক্তির অপেক্ষায়। এরমধ্যে টলিউডেও অভিষেক ছবি ‘মায়া’য় কাজ করেছেন মিথিলা। সম্প্রতি ছবিতে তারকাদের লুক প্রকাশ করা হয়েছে।

    ‌‌‘মায়া’য় নিজের চরিত্র নিয়ে মিথিলা জানিয়েছেন, ‘মায়া’র চরিত্রটায় দুটো আলাদা ভাষায় কথা বলতে হয়েছে আমাকে এবং তিনটি বয়সকে দেখানো হয়েছে। প্রতিটা বয়সে মায়ার তাকানো, চলন এবং লুক একদম আলাদা। এই সবটা নিয়ে আমায় অনেক অনুশীলন করতে হয়েছে। এই জন্যে এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।
    আমার অভিনয়, বাচনভঙ্গী, ভাষা, লুক সবই পরিবর্তন করতে হয়েছে। বিশেষ করে পরিণত বয়স- যেখানে আমাকে পঞ্চাশের ঘরে দেখা যাবে, সেই বয়সটা নিয়ে বেশি ভাবতে হয়েছে। কেননা মায়া একটি বিশাল সংগ্রামের জীবন পার করেছে। সেই দৃঢ়তা চরিত্রে ফুটিয়ে তোলাটা ভীষণ জরুরি ছিলো।’

    মিথিলা আরও জানান, ‘আমি এতবার স্ক্রিপ্টটা পড়েছি যে, অন্যদের ডায়লগও আমার পুরো মুখস্থ হয়ে গেছে। মায়ার যখন পঞ্চাশের কোঠায় বয়স দেখানো হয়, তখন ও একেবারে পরিবর্তন হয়ে যায় এবং সেই সময় ওঁর দৃঢ়তা, লুক সব আলাদা। কোনও কথা সোজা ভাবে বলে না মায়া, সব কথাতেই একটা শেড বা অর্থ রয়েছে। এই সবকিছু নিয়ে অনেকটা ভাবতে হয়েছে এবং প্রতিটা ভাবনা আমি রাজর্ষি দায়ের (ছবির পরিচালক রাজর্ষি দে) সঙ্গে শেয়ার করেছি। আমায় খুবই ভাল করে গাইড ও সহযোগিতা করেছেন তিনি।’
    এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সৌরভ দাস, তনুশ্রী চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী প্রমুখ।

    এন-কে

  • রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৯ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৯ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং তিন জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে অপর একজনের। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    হাসপাতাল পরিচালক জানান, মৃত নয় জনের মধ্যে নাটোরের দুজন, পাবনার দুজন এবং রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের একজন করে মারা গেছেন।

    এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ৩৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে করোনা বিশেষায়িত ৫১৩ শয্যার বিপরীতে ৩৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে

  • আরাফাত রহমান কোকোর জন্মবার্ষিকী আজ

    আরাফাত রহমান কোকোর জন্মবার্ষিকী আজ

    প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫২তম জন্মদিন আজ (১২ আগস্ট) বৃহস্পতিবার।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।

    এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আরাফাত রহমান কোকো। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিশিষ্ট এই ক্রীড়া সংগঠক ইন্তেকাল করেন। ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়।

    সে সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। সেখানেই ছেলের মরদেহ দেখে শেষ বিদায় জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। মরহুমের জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৯, শনাক্ত ৫৮৯

    চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৯, শনাক্ত ৫৮৯

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৯ জন। আর একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত ৫৮৯ জন।

    আজ ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামের দশটি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরেরই ৩৩৬ জন। বাকি ২৫৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৪ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৮ জন, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্সস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৩ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    এছাড়া শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল) ল্যাবে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন, ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জন, এন্টিজেন টেস্টে ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

    এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের শরীরে করোনারভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ২৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের ১ জন নগরের বাসিন্দা, বাকি ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    যার মধ্যে মহানগরের ৬৪০ জন আর বাকি ৪৬৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    এন-কে

  • নগরীতে চোরাইকৃত ছয় সিএনজি সহ ছয় চোরাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ

    নগরীতে চোরাইকৃত ছয় সিএনজি সহ ছয় চোরাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ

    মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের অভিযানে চোরাইকৃত ছয় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সহ চোরচক্রের ছয় চোরাকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    বুধবার (১১ আগষ্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর মনছুরাবাদস্থ গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সালাম কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ রায়হান (৩০), মোঃ হানিফ (৩০), মোঃ আবু তাহের (৩৫), মোঃ মনির হোসেন (৪৮), মোঃ রুবেল মিয়া (২৭) ও মোঃ নিজাম উদ্দিন প্রঃ মিজান(৩৯)। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা চোরাইকৃত ছয়টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

    সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ সালাম কবির এর সার্বিক দিক নির্দেশনা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোঃ আরাফাতুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোঃ আরিফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে, বিশেষ টিম-০১ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপি’র চান্দগাঁও থানাসহ মহানগর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চোরচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের হেফাজত হতে চোরাইকৃত ছয়টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। চোরাইকৃত গাড়ির মূল্য অনুমান ৩৩ লক্ষ টাকা। এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশা চুরি করার পর ভুয়া নাম্বার প্লেইট কাগজপত্র তৈরি করে নগরে চলাচল বেচা বিক্রি করে। এসবের সাথে আর যারা জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানা যায়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন জায়গা হতে সিএনজি অটোরিক্সা চুরি করে গাড়ির ইঞ্জিন চেসিস নাম্বার ও রং পরিবর্তনসহ জাল কাগজপত্র তৈরী করতঃ সাধারন মানুষের নিকট বিক্রয় করে আসছে। ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সিএমপি’র চান্দগাঁও থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সালাম কবির।

    এন-কে

  • টিকা নিয়ে এখনো জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচারে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

    টিকা নিয়ে এখনো জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচারে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম থেকেই করোনার টিকা নিয়ে অসার সমালোচনাকারী বিএনপি এখনো যে অপপ্রচারে লিপ্ত, তা জনস্বার্থবিরোধী এবং দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তথ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘আলোকচিত্র, ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী এবং তথ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে বঙ্গবন্ধু ই-কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সচিব মো: মকবুল হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

    বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর টিকা নিয়ে সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেব অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। সেকারণে কিছুদিন তার বক্তব্য আমরা পাইনি। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন আবার বক্তব্য প্রদান করছেন এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি। তবে তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হন নাই, তার আরো বিশ্রাম দরকার, আরো চিকিৎসা দরকার। সেকারণে তিনি গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি আসলে সুস্থতার লক্ষণ নয়।’

    ড. হাছান বলেন, ‘রিজভী সাহেব তার বক্তব্যে অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নেন নাই, মডার্নার টিকা নিয়েছেন। অর্থাৎ সরাসরি খাননি, হাত ঘুরিয়ে খেয়েছেন। কারণ যে টিকাই তিনি গ্রহণ করেন না কেন সেই টিকাও সরকার সংগ্রহ করেছে। সরকারের টিকা কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা প্রথম থেকেই এবং এই অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকাও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বহুজন গ্রহণ করেছেন।’

    সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা যেটা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করছে, সেটা অন্যান্য অনেক টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর, এমনকি ডেল্টা ধরণের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও ৯২% কার্যকর। কোনো কোনো গবেষণায় বলা হচ্ছে এটি দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকবে। ডেল্টা ধরণের উৎপত্তি হয়েছে ভারতে, আর সেই ভারতে এই টিকা প্রায় ১০ কোটির বেশি মানুষকে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে শনাক্তের হার ১ শতাংশে নেমে এসেছে। সুতরাং এই টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার। রিজভী সাহেব গতকালও আবার জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার চালিয়েছেন যেটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই আমি তাকে বলবো আরেকটু বিশ্রাম নেয়ার জন্য।’

    এর আগে বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতি জাতিসত্ত্বা উন্মেষের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম এই বাঙালিদের জন্য একটি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলা ভাষাভাষী এই অঞ্চলে অনেক স্বাধীন রাজা ছিল কিন্তু বাঙালিদের জন্য কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি স্বাধীন রাষ্ট্র রচিত হয়েছে। মানুষ সবসময় নিজের প্রাণ রক্ষা করতে চায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু একটি ঘুমন্ত জাতিকে এমনভাবে উদ্বেলিত করেছিলেন যে মানুষ নিজের প্রাণকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে।’

    এটি দু:খজনক যে, আজকের এই দিনে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যখন আমরা উৎযাপন করছি তখনও স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশটাই চায়নি, তারা এখনও বাংলাদেশে আস্ফালন করে, রাজনীতি করে এবং বিএনপির মতো একটি বড় দল তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করে।’

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশে তারা অর্থাৎ যারা স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় শুধু বিরুদ্ধাচারণ করে, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে, তারা এখনও রাজনীতি করে, তাদের রাজনীতি করার সুযোগটাও করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। আপনাদের যারা জ্যেষ্ঠ তাদের মনে আছে যে, জামায়াতে ইসলামসহ এই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি দলগুলো বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর এই ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনৈতিক করার অনুমতি দিয়েছিলেন। আর গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। তার নাগরিকত্বটা ফিরিয়ে দিয়েছিল বিএনপি সরকার। এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করেছিল জিয়াউর রহমান।’

    ‘ইতিহাসকে ঠিক তথ্যনির্ভর করার জন্যে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলব ছিল তাদের তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন, এটি আজকে সময়ের দাবি, অন্যথায় ইতিহাসের দায়টা আমরা এড়াতে পারবো না’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: মুরাদ হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, কুশীলব এবং এ হত্যার সুবিধাভোগী পরবর্তীতে যিনি সেনাপ্রধান হয়েছেন সামরিক শাসক ও রাষ্ট্রপতি হয়েছেন সেই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা এবং এর জন্য একটি কমিশন গঠন প্রয়োজন।’

    সচিব মো: মকবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনাদর্শ শিক্ষার প্রয়োজন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার দেখানো পথ ধরে চলতে পারলেই আসবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি।

    এন-কে

  • বগুড়ায় বিএনপির ইউনিয়ন হেল্‌থ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় বিএনপির ইউনিয়ন হেল্‌থ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কলাকোপা হাই স্কুল মাঠে বিএনপির করোনা হেল্প সেন্টারের মাধ্যমে বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন করোনা হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ বুধবার দুপুরে বিএনপিনেতা সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়ের পরিচালনায় এই হেল্‌থ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

    বিএনপিনেতা সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয় জানান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় করোনা হেল্প সেন্টার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই করোনা হেল্প সেন্টার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়ন হেল্‌থ ক্যাম্পের মাধ্যমে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। তারা নিয়মিত রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। করোনা আক্রান্ত রোগীরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে টেলি-মেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

    এ সময় করোনা হেল্‌থ ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা ড্যাবের সভাপতি ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর ডা. শাহ মো. শাহজাহান আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

    করোনা হেলথ ক্যাম্পে এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীদের অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা টেলি-মেডিসিনের মাধ্যমে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।

    এন-কে

  • কিয়ারার এই পোশাকের দামে আইফোন কেনা যাবে!

    কিয়ারার এই পোশাকের দামে আইফোন কেনা যাবে!

    বলিউড ডিভা কিয়ারা আদভানির ফ্যাশন সেন্স সম্পর্কে জানেন বি-টাউনের অনুরাগীরা। সামাজিক পাতায় ঢুঁ মারলেই চোখে পড়বে তাঁর নজরকাড়া সব ছবি। আর সে সব ছবিতে পোশাকের বৈচিত্র্য।

    সম্প্রতি কিয়ারা ব্যস্ত তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘শেরশাহ’র প্রচারণা নিয়ে। এ সিনেমায় সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে, যাঁকে নিয়ে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন সিনেপাড়ায়। প্যান্টস্যুটস, শাড়ি, লেহেঙ্গা; এমনকি ক্যাজুয়াল আউটফিটেও ফ্যাশন-পুলিশদের হতাশ করেন না কিয়ারা। বার বার উঠে আসেন পেজ থ্রির পাতায়। এবারও ব্যতিক্রম হলো না।

    ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড লাইফের খবর, সম্প্রতি কিয়ারা আদভানিকে সাদা-কালো লেহেঙ্গায় দেখা যায়। জে জে বলয়ার শেভরন প্রিন্ট লেহেঙ্গা আর ব্রালেট স্টাইলের ব্লাউজে দারুণ লাগছে কিয়ারাকে। লেহেঙ্গায় যুক্ত রয়েছে বেল্ট, যা আরও সৌন্দর্যবর্ধন করেছে।

    কিন্তু এই স্কার্ট-ব্লাউজের দাম কত জানেন? হ্যাঁ, গুনে গুনে ৭৯ হাজার ৫০০ রুপি। পোর্টালটির দাবি, এই অর্থ দিয়ে ভারতে একটি আইফোন কেনা যায়।

    ‘শেরশাহ’ প্রসঙ্গে আসা যাক, এটি পরিচালনা করেছেন বিষ্ণু বর্ধন। আগামীকাল ১২ আগস্ট মুক্তি পাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে।

    এন-কে

  • বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বজ্রপাতে প্রকাশ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি খালের মাথা এলাকায় মৎস্য ঘেরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হয় সে। নিহত প্রকাশ বিশ্বাস মুণজিলা গ্রামের বিনয় বিশ্বাসের ছেলে।

    কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে স্ত্রীকে নিয়ে মৎস্য ঘেরে কাজ করতে যায় প্রকাশ বিশ্বাস। দুপুরে বৃষ্টির সময় স্ত্রী ঘেরের বাসায় আশ্রয় নিলেও প্রকাশ কাজ করছিল। হঠাৎ বজ্রপাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন প্রকাশ বিশ্বাস। পরে প্রকাশকে উদ্ধার করে  মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়াহিদ হোসেন বলেন, বজ্রপাতে মোল্লাহাটে এবছর কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি এবং মেঘ ডাকলে মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

    এন-কে