Category: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি অনুমোদন

    তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি অনুমোদন

    বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার” ২০২২-২৩ বর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আজহার মাহমুদ সভাপতি এবং চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহানকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি নেজাম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসরাফিল আলম রাফিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।জানা গেছে, তারা দু’জনই ২০২১-২২ কার্যবর্ষে যথাক্রমে সভাপতি ও অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় ভাবে পুনরায় সভাপতি পদে বিবেচনা করায় আজহার মাহমুদ বলেন, সবাই আরও একবার আস্থা রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্ব দেওয়ায় সকলের নিকট আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তরুণ কলাম লেখক ফোরামকে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এবারের যাত্রা হবে আমাদের।
    সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান বলেন, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম পরিবারের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা যারা আমাকে লেখালেখি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম শিখিয়ে বুদ্ধিভিত্তিক এই সংগঠনের নতুন দায়িত্বে অর্পিত করেছেন। তরুণ লেখক ফোরামের সদস্যরা পাশে ছিলেন বলেই নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। সাংগঠনের আস্থার জায়গাটি সমুন্নত রেখে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবো উল্লেখ্য, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তরুণদের লেখার সংগঠন ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম’। বর্তমানে দেশের ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ প্রদান, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে সংগঠনটি।

  • সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী’র সভা অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী’র সভা অনুষ্ঠিত

    বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নয়, বঙ্গবন্ধু মানে একটি দেশের মানচিত্র, একটি দেশের পরিচয়। তিনি বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা। আমরা গর্বিত জাতি কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো ব্যক্তি বাঙ্গালী জাতির পিতা। তার জীবনী সম্পর্কে শিশু, কিশোর ও যুবকরা যত বেশি জানবে তত জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। আমাদের সবার উচিৎ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বেশি বেশি জানা।জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের উদ্যেগে আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বক্তারা।

    সোমবার (১৫ আগষ্ট) বিকাল তিনটায় ক্লাবের অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীর পরিচালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।

    এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এম হেদায়েত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম.সেকান্দর হোসাইন, প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন অনিক, দপ্তর সম্পাদক আবুল খায়ের, সদস্য নির্দেশ বড়ুয়া, জাহেদুল আনোয়ার চৌধুরী, সবুজ শর্মা সাকিল, এস এম ইকবাল, সাইফুল ইসলাম রুবেলসহ ক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

    নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

    বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নজর কেড়েছে। দীর্ঘ সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাধিক সহায়তা করা। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ।

    রাজনৈতিক দলসমূহ ও সাধারণ জনগণের সহযোগীতা না থাকলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন সক্ষম হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করতে যৌথ সহযোগীতামূলক কার্যক্রমের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে নেপালের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তাই আমন্ত্রণ পেলে নেপালের নির্বাচন কমিশন ও নেপালের অন্যান্য সংস্থাসমূহের সর্বাধিক পর্যবেক্ষক প্রেরণ করবে বলে উপরোক্ত মন্তব্য করেন নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার দীনেশ কুমার থাপালিয়া।`অদ্য ১৫ জুলাই, ২০২২ সকালে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন-এর মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী নেপাল সফরকালে নেপালের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নেপালের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সদস্যগণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নেপালের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজির মিয়া, মুসলিম কমিশনের সদস্য এডভোকেট মাহামাদীন আলী, নেপালের সাবেক সংসদ সদস্য জুনায়েদ আনছারি, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার, কেন্দ্রীয় পরিচালক বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী।

     

  • বাঁশখালীর‘র ৯ মামলার আসামী নবী মেম্বার গ্রেফতার

    বাঁশখালীর‘র ৯ মামলার আসামী নবী মেম্বার গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকায় হত্যা, অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ৯টি মামলাসহ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী আলী নবী প্রকাশ নবী মেম্বার র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি চৌকষ দল গত ১৩ জুলাই (বুধবার) অভিযান চালিয়ে আটক করে।

    আটককৃত আসামী আলী নবী (৪৫), পিতা-মৃত আমির আলী, সাং-গন্ডামারা, থানা-বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রামকে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত মামলাসমূহের এজাহারভুক্ত এবং হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।

    উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনায় আটককৃত আসামী আলী নবী এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হত্যা, অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ৯টি মামলা পাওয়া যায়।

    আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তন্তর করা হয়।

  • ইসির সাথে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মতবিনিময় সভা

    ইসির সাথে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মতবিনিময় সভা

    নির্বাচন কমিশনের সাথে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) নির্বাচন কমিশনের সাথে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ পুর্বক কমিশনের প্রতি ৮ টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।

    প্রস্তাবনা পেশ করেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।

  • বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী মালদ্বীপ ইসি

    বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী মালদ্বীপ ইসি

    মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ তৌফিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন-এর মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।

    আজ শনিবার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক দলসমূহের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

    এসময় মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি।

    ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সার্কভুক্ত দেশসমূহের নির্বাচন কমিশনার এবং মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আমন্ত্রণ পেলে পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রতিনিধি প্রেরণ করবে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন।

    চেয়ারম্যান আরো বলেন, একটি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিকল্প নেই। আর নির্বাচন আয়োজনের মূখ্য ভূমিকা পালন করবে নির্বাচন কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সরকারের সহযোগীতা থাকবে, হস্তক্ষেপ নয়। রাজনৈতিক দলসমূহের উচিত নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব পালনে সহযোগীতা করা।

    সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মালদ্বীপের বিশেষ প্রতিনিধি ও মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ইসমাইল হাবিব এবং মালদ্বীপের কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমজাদ মোস্তফা।

    সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নিউজ বিএন-এর সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার, কেন্দ্রীয় পরিচালক বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী ও এম এ মালেক।

    ২৪ ঘন্টা/

  • সন্ধ্যা নামে আতংক নিয়ে

    সন্ধ্যা নামে আতংক নিয়ে

    চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার একটি বাড়িতে প্রতিটি সন্ধ্যা নামে আতংক নিয়ে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে একটি পরিবারকে রাতের আঁধারে বসতঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলার হুমকিতে ওই পরিবার ও আশপাশের বাসিন্দাদের এমন আতংক বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন মিরসরাই পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মো. আক্কাস আলী বাড়ির মো. আক্কাসের স্ত্রী মোছাম্মদ রাশেদা আক্তারসহ এলাকাবাসী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাখের ইসলাম রাজুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে কিছু চিহ্নিত দুস্কৃতকারী আমাদের পুরো পরিবারকে নিশ্চিন্ন করতে একের পর এক হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করছে। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। এখন নতুন করে এলাকা ছেড়ে না গেলে পুরো পরিবারকে রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে জীবন্ত দ্বগ্ধ করার হুমকি দিচ্ছে। সন্ধ্যা নামার পর বেশ কিছু অপরিচিত লোক আমাদের বাড়ির পাশে ঘুর ঘুর করে। যার ফলে আমার পুরো পরিবার এবং আশপাশের বাসিন্দারা প্রতিটি রাত আতংকে কাটানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এ সময় কাউন্সিলর রাজু ২০২১ সালে ২৫ জুন আজিম হোসেন শাহাদাত নামে এক যুবককেও খুন করে জেল খেটেছে বলে জানান তিনি। মিরসরাই পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মিরসরাই মৌজায় আমার স্বামী মো. আলী আক্কাসের পরিবার।

    বিশেষ করে কাউন্সিলর রাজুর মদদে ৪ নং ওয়ার্ডের মনগাজি ভূইয়া বাড়ির মো. সেকান্দরের পুত্র মো. রাজু, আব্দুর সালামের পুত্র মো. হাসান, মৃত ফকির আহাংয়ের পুত্র মো. খোরশেদ আলম প্র: দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন প্র: সবুজ, মো. জামশেদ আলম, মো. আব্দুল আজিজ প্র: আনোয়ার আহাংয়ের পুত্র মো. নিজাম উদ্দিন প্র: রেন্টু, মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুর রহামান প্র: সৌরভ, মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. ওমর ফারুকরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যার ফলে আমি চট্টগ্রাম আদালতে মামলা, সাধারণ ডায়েরীর পাশাপাশি মিরসরাই থানাতেও ডায়েরী করে পুনরায় বার বার হামলার শিকার হচ্ছি আমরা।
    তিনি আরো বলেন, আমার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ এপ্রিল সিআইডির কর্মকর্তা তদন্ত কাজ শেষ করে চলে গেলে উল্লেখিতরা বাড়িতে ডুকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার হুমকির পাশাপাশি জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একই সাথে রাতে ঘুমন্তবস্থায় বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে সবাইকে জীবন্ত পুড়ে ফেলবে বলে শাসিয়ে দেয়। এছাড়া আমাদের আশাপাশের পরিবারেরও একই পরিণত হবে বলে জানায়।তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এদের হুমকিতে আমরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুভয়ে রয়েছি। অপরিচিত লোকেরা রাতের আঁধারে বাড়ির আশপাশে ঘুর ঘুর করায় আমাদের প্রতিটি সন্ধ্যা নামে আতংক নিয়ে। পুরো পরিবারকে আগুনে পুড়ে মেরে ফেলার হুমকিতে প্রতিটি রাত আমরা নির্ঘুম কাটছি। তিনি তদন্ত পূর্বক এসব দুবৃর্ত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান। সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগী মোছাম্মদ রাশেদা আক্তারের মা নির্যাতনের শিকার আমেনা বেগম, বোন কানিজ ফাতামা ও খালেদা আক্তার, প্রতিবেশী নাইটগার্ড মো. মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী রোকসানা আক্তার।

  • চট্টগ্রাম মহানগরকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই:সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

    চট্টগ্রাম মহানগরকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই:সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

    জলাবদ্ধতা, যানজট, মশার অত্যাচার, সংস্কারবিহীন ভাঙ্গা রাস্তা, পরিবেশ ও শব্দ দূষণ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে গুড়িয়ে দিচ্ছে-চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আমাদের সকল প্রয়াস ও উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের আগামীদিনের বংশধরদের জন্য একটি আধুনিক স্বাস্থ্যময়য়, সুন্দর, সুশৃংখল চট্টগ্রাম গড়ে তোলা । চট্টগ্রামের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব কি তা বলার অপেক্ষা রকে না | কিন্তু জলাবদ্ধতা, যানজট, মশার অত্যাচার, সংস্কারবিহীন ভাঙ্গা অলিগলি, রাস্তাগুলো পরিবেশ ও শব্দ দূষণ ইত্যাদি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে গুড়িয়ে দিচ্ছে আর মানুষকে করছে হতাশাগ্রস্থ। জনপ্রতিনিধিদের এই ব্যাপারগুলি নিয়ে কতটুকু মাথাব্যথা আছে তা জনগণ বুঝতে পারছেন না না। চট্টগ্রাম মহানগরকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই, আর নেই জনগণকে পরিবেশ ও স্বাস্থ সচেতন করার কোনো কর্মকান্ড | এটা বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ | আমরা এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন আযোজন করেছি।

    নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আয়েজিত সংবাদ সমোলনে সংগঠনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে নিয়ে আমি এবং আমার সহযোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, যেমন ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে হরতাল, গণ-অনশন, সেমিনার, মানববন্ধন ইত্যাদি করে এই সমস্যার সমাধানের স্থায়ী দাবিতে চট্টগ্রামবাসীর সমর্থন নিয়ে আমরা সক্রিয় থেকেছি। ১৯৮৯ সাল থেকে পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প এবং প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীর খালগুলি উপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করা, জমি হুকুম দখল করে প্রশস্তকরণ, শেখ মুজিব রোড বক্স কালভার্ট নির্মাণ ইত্যাদি হয়েছিল ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে এগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার করা হয়নি। অপরদিকে নির্বিচারে পাহাড় কাটা মাটি এসে খালগুলিকে ভরাট করেছে। এসবকিছুর কারণে সমস্যা পরবর্তীতে ফিরে আসে আরও প্রকট হয়ে। ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম গঠন করে আমরা আবারো জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে সোচ্চার হই এবং ফলশ্রুতিতে ১৯১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঐ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ ছিল দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা। আমরা ইতিমধ্যে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, মেয়র সিডিএ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রতিনিধি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত ৩৪ নং সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক, ওয়াসা , পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জলাবদ্ধতা বিষয়ে বিশেষ কনভেনশন আয়োজন করেছিলাম ২০১৯ সালে, যেখানে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সার্বিক সমন্বয় , গণ সচেতনতা সৃষ্টি এবং সময়মতো কাজ শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিগত কয়েকদিন যাবৎ মেগা প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন স্থানে কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের পিছনে যে খালটি তা চাক্তাই খালের অংশ, কিন্তু সেটিতে কেন এখনো হাত দেওয়া হয়নি তা বোধগম্য নয় ! সেখানে অনেকাংশে পলিথিন ব্যাগ এবং আবর্জনায ভরাট হয়ে আছে এবং এর উপর সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-২ এর অফিস এখনো বহাল আছে। এতে খালের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক এবং বেআইনি।এটি ভাঙা না হলে আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনার জন্য উদ্যোগ নেবো |ব্যারিস্টার মনোয়ার আরো বলেন, অপরদিকে শেখ মুজিব রোড কালভার্ট সংস্কারের কোন সংস্কারের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ এটি শত শত কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি সিডিএ এভিনিউ (বিশ্বরোড) এর সম্প্রসারণ কাজ চলছে, কিন্তু এর বাহির অতিরিক্ত ধারণকৃত পানি গুলো দ্রুত গতিতে নিস্কশিত হওয়ার ক্ষেত্রে এই বর্ষাতে প্রবলভাবে বাঁধা পাবে যদিনা বর্ষার আগেই এ সবকিছুর সুরাহা না হয়। অন্যান্য স্থানে আমরা লক্ষ্য করেছি একই পরিস্থিতি। স্লুইস গেটগুলোর নির্মাণ কাজ কতটুকু হয়েছে তাও এখনো জনগণ জানেন না। মুরাদপুর শহীদ জানে আলম সড়কসহ নগরীর বেশিরভাগ গলিতে ড্রেনগুলো মেগা প্রকল্পের আওতায় এনে সংস্কার ও সম্প্রসারণ না করায় এখান থেকে ময়লা পানি জমে দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে মশার উপদ্রব আরও বেড়েছে। আমরা এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আসন্ন বর্ষার আগেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভরাট খাল ও ড্রেন গুলো সংস্কারের জন্য। এই সাথে মেগা প্রকল্প কাজের এ যাবৎ অগ্রগতির ব্যাপারে জন্যগণকে একটি সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার জন্য সিডিএ’র প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন বর্তমান মশার উপদ্রব, ভরাট খাল, নালা, সংস্কার বিহীন অলিগলি, যানজট, শব্দ ও পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি দেখে মনে হয় না এখানে কোনো একটি সিটি কর্পোরেশন বা কতৃপক্ষ রয়েছে। মশার উপদ্রব থেকে জনগণকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে সিটি কর্পোরেশন। মানুষ অত্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে | ঠিক এই সময়ে সিটি কর্পোরেশন বলেছে সংস্কারকৃত নবনির্মিত ড্রেনের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন নেবে না যদি অর্থ আগে না আসে । আমরা মনে করি এসব সিটি কর্পোরেশের এর দায়িত্ব এবং এর জন্য বরাদ্দ নিয়ে বিতর্ক শুনতে নগরবাসী আগ্রহী নয় | নগরীর মেয়র সাহেবের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর এক নাম্বর প্রতিশ্রুতি জলাবদ্ধতার দ্রুত সমাধান এবং তিনি এ থেকে সরে আসবেন না আশা রাখি | আমার সাথে মেয়র সাহেবের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো এবং তিনি আমার এবং আজকে উপস্থিত সহযোদ্ধা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শাহরিয়ার খালেদের উদ্যোগে গড়ে ওঠা চট্টগ্রামের দুঃখ খ্যাত চাক্তাই খাল আন্দোলনের কমিটিতে তিনি অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি আহ্বান মেয়র সাহেবকে যেন জনগণকে হতাশ না করে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং সিটি কর্পোরেশনকে জনগণের প্রকৃত কল্যাণে কাজে লাগান।দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জনগণের ভালোবাসা বঞ্চিত হবেন | আমরা আসন্ন বর্ষার আগেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভরাট খাল ও ড্রেন গুলো সংস্কারের জন্য দাবি যাচ্ছি । এই সাথে মেগা প্রকল্প কাজের এ যাবৎ অগ্রগতির ব্যাপারে জন্যগণকে একটি সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার জন্য সিডিএ’র প্রতি দাবি জানাচ্ছি।আজ আমরা সার্বিক বিবেচনা করে ঘোষণা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে নগরীকে মশামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আমরা গণ-অনশনসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। এই সাথে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন এর কাছে দাবি করছি এ যাবৎ খোলা ড্রেনে পড়ে যারা মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এবং এসব পুনরাবৃত্তি বন্ধে কি করা উচিত তা সংশ্লিটরা জানেন| আর একটিও এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে নগরবাসী আর নিশ্চুপ থাকবে না।চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো: কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লাইলা বানু গোলাপুর রহমান, মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, আকরাম হোসেন, এড টি আর খান, এ জি এম জাহাঙ্গীর আলম, আধ্যাপক ফরিদ, কানিজ ফাতেমা, এড ইমতিয়াজ, তসলিম খাঁ প্রমুখ।

  • এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

    এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

    চট্টগ্রামের অন্যতম বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলী হোছাইন এর সভাপতিত্বে স্কুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ নিউ চান্দগাঁও আ/এ কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শরীফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উপদেষ্টা সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা, প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ লায়ন এইচ এম ওসমান সরওয়ার ও কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আজম।

    শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন,সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতার (অনলাইনে) ভিন্নধর্মী এক আয়োজন করেন বন্দরনগরীর অন্যতম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। অনুষ্ঠানে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা। বিজয়ীরা হলো ‘ক’ গ্রুপ-নির্ধারিত ছবি রং করা ১ম আলিফ আন নাফি ২য় আনা বিয়া আফলাহ্ ইউসরা ৩য় ওয়াছিমা আমির। ‘খ’ গ্রুপ-নির্ধারিত ছবি রং করা ১ম জান্নাতুল ফেরদাউস ২য় সুহায়লাহ সাইবাহ ৩য় মেহেরাজ সরওয়ার রিহান। ‘গ’ গ্রুপ-সুন্দর হাতের লেখা ১ম আফরিনা কামাল ২য় মুশফিকুল হোসাইন ৩য় ওয়ারিশা সালসাবিল ঈশানা। ‘ঘ’ গ্রুপ-সুন্দর হাতের লেখা ১ম দ্বীপরাজ কুর্মী ২য় সাফওয়ান মাইয়াজ ৩য় ইসরাত জাহান তাবাচ্চুম ও তাসকিনুর রহমান। ‘ঙ’ গ্রুপ-সুন্দর হাতের লেখা ১ম সাবরিনা কামাল ২য় সাফিন জসিম সামি ৩য় জাওয়াদ বিন ফারুখ। ‘চ’ গ্রুপ-রচনা প্রতিযোগিতা ১ম নাজমুল সাকিব ২য় নাজিয়া আলম ৩য় মাহসিনা তাজরিয়ান নোরা। ‘ছ’ গ্রুপ-রচনা প্রতিযোগিতা ১ম রিদওয়ানুল হক ২য় মোঃ মেহেদী হাসান রাফি ৩য় ফজিলাতুন্নিছা তারান্নুম। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,”ভাষার জন্য একমাত্র বাঙালি জাতিই রক্ত ও জীবন দিয়েছেন,পৃথিবীতে আর কোনো জাতির এমন ত্যাগের নজির নেই তাই বিশ্ববাসী ২১ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন।”অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মোঃ ইউনুছ, তাসনোভা তাহরিন, রাজিবুল ইসলাম, মোঃ শাহীন,শাহাদাত হোছাইন, মোহাম্মদ শহীদ, জান্নাতুল ফেরদৌস, জয়নাব বেগম ও মরিয়ম বেগম প্রমূখ। ভাষা শহীদদের স্মরণে গান পরিবেশন করেন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গীত শিক্ষিকা পুষ্পিতা দত্ত ও সুরাইয়া নওরিন।

  • ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ইউএসএন সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

    ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ইউএসএন সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

    জাতীয় মানবাধিকার পরিবেশবাদী, সমাজ উন্নয়ন মূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন United Social Network- USN সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষে প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো.মুজিব উল্ল্যাহ চৌধুরী তুষার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক – (ইউএসএন) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী ২২) আশরাফুল আহমদকে সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী,সামিয়া আক্তার লিনাকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে ১১(এগার) সদস্য বিশিষ্ট সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন :ইমরান আলি সিলেট জেলা, এম.এ আলী সিলেট মহানগর ,শাহাদাৎ মাহমুদ শ্রাবণ সুনামগঞ্জ জেলা,আব্দুল কুদ্দুস মৌলভী বাজার জেলা,ফয়সাল আহমদ হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী করা হয়েছে। সম্মানিত সদস্য করা হয়, এস.কে নাঈমুল ইসলাম,মো. আআব্দুল্লাহ (রনি),লুবনা আক্তার লিসাকে।এছাড়া ইমরানুল ইমাকে ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ইউএসএন এর শুভেচ্ছা দ্রুত করা হয়।

    নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত বিপর্যয় ও দেশের কল্যাণে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বাড়ানোর মধ্যদিয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য অংগীকারবদ্ধ হওয়া। সমাজের অবহেলিত মানুষগগুলোকে সঠিক রাস্তা দেখানোই United Social Network USN’র প্রথম কাজ। একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও সমাজের অসংগতি নিয়ে কাজ করা। মানবাধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য স্যানিটেশন,পরিবেশ ও জলবায়ু, ভূমি, হাঙ্গার,অভিবাসন নিয়ে কাজ করা, সচেতন করা। মানুষের পাশে থেকে মানুষের দু:খ দুর্দশা সুবিধা অসুবিধা সরকারের নজরে এনে কাজ করতে এগিয়ে যাওয়া জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণেই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমাদৃত-সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী

    অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণেই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমাদৃত-সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনুপম আদর্শ আওলাদে রাসূল (দ.), ইমামে আহলে সুন্নাত, শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউছুল ওয়ারা, হযরত শাহসূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) শীর্ষক সেমিনার, স্মরণ সভা ও গুণীজন সম্মাননা আজ ২৯ জানুয়ারি, শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র সংসদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র চেয়ারম্যান শাহসূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানব মুক্তির নির্ভুল দিকনির্দেশনার মাধ্যমে ইসলামের আলোক শিখায় মানুষকে আলোকিত ও পরিশুদ্ধ জীবনের দিশা দেওয়াই হচ্ছে প্রিয়নবী (দ.)’র জীবন দর্শন। তিনি বলেন, ব্যক্তি পরিবার, সমাজ জীবনে ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ইসলামী নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে বলেই জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ ও অশান্তি নেমে এসেছে। নবী ওলীদের প্রদর্শিত শান্তির মুক্তির পথে চলে দুনিয়া আখেরাতে সাফল্য ও স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। আত্মশুদ্ধি ও নির্মল আত্মা গঠন ছাড়া কখনো মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। হুজুর কেবলা আউলিয়ায়ে কেরামসহ মাইজভাণ্ডারী সূফী তাত্তিক ব্যক্তিদের জীবন দর্শন অনুসরণের মাধ্যমে অশান্তি, অবক্ষয় ও নৈরাজ্যপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ খোঁজার আহ্বান জানান। 

    প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্হাজ্ব এম রেজাউল করিম।
    উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডীন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী। তিনি বলেন, সততা সহিষ্ণুতা সহানুভূতি ধৈর্য্য, ক্ষমা ও ত্যাগ ধর্মের মূল সোপান। এই গুণেই হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী মানুষকে মানবতা, মানবপ্রেম ও সম্প্রীতির আদর্শে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি তাঁর কর্মাচরণে মানুষকে মানুষের মর্যাদায় উন্নীত করে বিবেকবোধ জাগিয়ে পরিশুদ্ধ করে তোলতেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণেই তিনি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের নিকট সমাদৃত হন। এটাই সূফি সাধক তথা আউলিয়ায়ে কেরামের শিক্ষা। বক্তারা হুজুর কেবলার জীবনাদর্শ তথা আউলিয়ায়ে কেরামের অনুসরণের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হযরতুল আল্লামা আবুল কাশেম নূরী (মা.জি.আ.), আন্জুমান সাবেক সভাপতি আল্হাজ্ব মুহাম্মদ ইকবাল রিসালপুরী, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো: আলমগীর খান, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব কাজী মহসীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চবির আরবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম রফিকুল আলম। হাফেজ নাজের হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক-কলামিস্ট রাজনীতিবিদ প্রফেসর ড. মো: মাসুম চৌধুরী, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ ওমর ফারুক, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মো: ইসমাইল, হাফেজ মাওলানা কবির হোসেন, হাফেজ মাওলানা মুফতী মাকসুদুর রহমান, শায়খ আজমাঈন আসরার জামালপুরী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিকিড়ন বড়–য়া রাসেল, আন্জুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বোরহান উদ্দিন, উত্তর জেলা সভাপতি খলিফা আবদুল হামিদ, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: শহীদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক শাহ্ মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, আলী মরতুজা সিরাজী, মইনীয়া যুব ফোরামের মহানগর সভাপতি মো: নোমান উদ্দিন রাজিব, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রাজিব, উত্তর জেলা সভাপতি আকবর হোসেন রুবেল, সাধরণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আপন, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মো: মামুন রেজা, সাধারণ সম্পাদক মো: শহীদুল্লাহ, হাফেজ মিজানুর রহমান, হারভাঙ্গিরি দরবার শরীফের আওলাদে পাক, চরনদ্বীপ দরবার শরীফের আওলাদে পাকসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ প্রমুখ। সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ছাত্র সংসদের সভাপতি হাফেজ মো: নূরুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম। সেমিনারে ২৪ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

  • রাউজানে মদিনা ইসলামী মিশনের কাউন্সিল ও সিদ্দিকে আকবরের ওরশ অনুষ্ঠিত

    রাউজানে মদিনা ইসলামী মিশনের কাউন্সিল ও সিদ্দিকে আকবরের ওরশ অনুষ্ঠিত

    রাউজান মোহাম্মদপুর বিশ্ব নূর মঞ্জিলে খলিফাতুর রাসূল (দ.) হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা.), ইমামুল আউলিয়া গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি (ক.)’র স্মরণে ওরশেকুল ও মদিনা ইসলামী মিশন রাউজান উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরে তরিকত মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আশরাফীর সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহিউদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন বায়েজিদ স্টিলের ডেপুটি ম্যানেজার মঈনুল আনোয়ার কামাল। প্রধান বক্তা ছিলেন ইমাম শেরে বাংলা হজ্জ কাফেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেখক ও গবেষক মাওলানা এম সাইফুল ইসলাম নেজামী আলকাদেরী।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) শাখার সভাপতি ব্যাংকার মুহাম্মদ সিরাজ-উদ দৌলা চৌধুরী, মাস্টার মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, ওরশেকুল মুয়াল্লিম মুহাম্মদ ফোরকান চৌধুরী, সাংবাদিক এস এম তৈয়বুল ইসলাম, শায়ের মুহাম্মদ বোরহান।বক্তারা বলেন, ইসলামের মহান ত্রাণকর্তা হযরত সিদ্দিকে আকবরের অকৃপণ এহসান মুসলিম জাহানকে কেয়ামততক ঋণী করে রাখবেন। সমাজে নবীপ্রেমিক সিদ্দিকে আকবরের চর্চা বাড়লে; অজ্ঞতার ঘোর অমানিশা কেটে যাবে। বক্তারা আরও বলেন, গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি বাংলার আকাশে আলোকিত সূর্য। মহান আল্লাহ বাংলাবাসীর উপর দয়া পরবশ হয়ে হযরত কেবলাকে আমার বুকে দিয়েছেন।মাহফিল শেষে মুহাম্মদ আবুল কাশেমকে সভাপতি, মুহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ মুহাম্মদ সায়েমকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে মদিনা ইসলামী মিশন রাউজান উপজেলা শাখার ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।