Category: বান্দরবান

  • রুমায় ৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছে কেএনএফ

    রুমায় ৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছে কেএনএফ

    বান্দরবানের রুমা থেকে চার নির্মাণ শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠে‌ছে কু‌কি‌চিন ন‌্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ জুন) ভোরে রুমার বগালেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকালে বিষয়‌টি জানাজানি হয়।

    অপহৃতরা শ্রমিকরা হলেন- ইদ্রিস, আওয়াল, জসিম ও রিপন বড়ুয়া।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোরে রুমা উপজেলার বগালেক এলাকা থেকে অস্ত্র দেখিয়ে চার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। পরে বিকালে জসিম ও রিপন বড়ুয়াকে ছেড়ে দিলেও ইদ্রিস ও আওয়ালকে তারা আটক করে রাখে।

    এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুই নির্মাণ শ্রমিককে অপহরণের খবর শুনেছি, তবে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি।’

    রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে রাস্তার নির্মাণ কাজের চার শ্রমিককে কেএনএফ অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিকালে দুই জনকে ছেড়ে দিলেও বাকী দুজন এখনও তাদের কাছে রয়েছে।’

    এর আগে গত ১৭ মার্চ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার সার্জেন্ট আনোয়ারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফ এর সদস্যরা। ১৫ দিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

     

  • বান্দরবানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৮

    বান্দরবানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৮

    বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপ‌জেলার রুমা-রোয়াংছড়ির সড়কের খামতাম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খামতাং পাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    রোয়াংছ‌ড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    কেএনএ ও ইউপিডিএফের মধ্যে এ গোলাগুলি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। তবে এ তথ্য নিশ্চিত হওযা যায়নি।

    অপরদিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের ফেসবুক পেজে নিহত সাতজনের নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম, লাল ঠা জার বম। সবাই খামতাং পাড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, রোয়াংছড়ির খামতাম পাড়া এলাকা থে‌কে আট জনের গু‌লি‌বিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের বান্দরবান সদর হাসপাতাল ম‌র্গে আনা হ‌চ্ছে। ত‌বে কে বা কারা তা‌দের মে‌রে‌ছে তা জানা যায়‌নি। মরদেহগুলো কোন গ্রু‌পের তাও বলা যা‌চ্ছে না।

     

  • দেশে প্রথমবার কলাগাছের আঁশে তৈরি হলো শাড়ি

    দেশে প্রথমবার কলাগাছের আঁশে তৈরি হলো শাড়ি

    বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণায় দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি হলো কলাগাছের সুতা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন শাড়ি।

    বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে বান্দরবানে ছুটে আসেন প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী।

    তার তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ একমাসের প্রচেষ্টায় কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি হয়েছে। ১৩ হাতের এ শাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘কলাবতী’।

    এ বিষয়ে প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি হয়। তবে দেশে প্রথমবার কলাগাছের সুতা থেকে একটি শাড়ি তৈরি করলাম।

    বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ও তার সার্বিক সহযোগিতায় এটা সফল হয়েছে।

    রাধাবতী দেবী আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে একাধারে ১৫ দিন সময়ে এবং এক কেজি কলাগাছের আঁশের সুতা দিয়ে এই আকর্ষণীয় শাড়ি তৈরি হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে আরও কম সময়ে ও কম খরচে আরও মসৃণ ও উন্নতমানের শাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে।

    মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসকের অনুপ্রেরণায় আমরা বান্দরবানবাসী গর্বিত। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ কলাগাছের সুতা থেকে শাড়ি হলো। আগামীতে আরও নিত্যনতুন সামগ্রী উৎপাদন হবে। যাতে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরও তরান্বিত হয়।

    বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও এই শাড়ি তৈরির সার্বিক সহযোগী সাই সাই উ নিনি বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির দুরদর্শী চিন্তার ফসল এই কলাগাছের সুতা থেকে তৈরি ১৩ হাত দৃষ্টিনন্দন শাড়ি। এ পরিবেশবান্ধব শাড়ি সবার কাছে দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

    জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, নানা প্রতিকুলতার পথ পাড়ি দিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কলাগাছের সুতা থেকে একটি দৃষ্টিনন্দন শাড়ি তৈরি করতে পেরেছি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর ও তেমন আকর্ষণীয়।

    বান্দরবানের নারীরা কলাগাছ থেকে আঁশ তৈরি করে আরও বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ও সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করছে বলে তথ্য দেন জেলা প্রশাসক।

    তিনি বলেন, বান্দরবানে নারীদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে স্থানীয় প্রায় ৪শ নারীদের কয়েক দফায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরি করে তাদের ভাতা প্রদান করা হয়, যাতে তারা আগ্রহী হয় এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়।

    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এখন লামা, রুমা, আলীকদম ও থানচি উপজেলাতে এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বান্দরবানের নারীরা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বুক ফোল্ডার, টেবিল মেট, পাপোস, শোপিস,কানের দুল,কলম দানিসহ বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব হস্তশিল্প তৈরি করছে। এগুলো ভালো দামে বিক্রিও হচ্ছে।

  • বান্দরবানের ৩ উপজেলা ভ্রমণে আবারও নিষেধাজ্ঞা

    বান্দরবানের ৩ উপজেলা ভ্রমণে আবারও নিষেধাজ্ঞা

    বান্দরবানের তিন উপজেলা ভ্রমণে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

    তবে বান্দরবানের ৭ উপজেলার মধ্যে ওই তিন উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলায় আগের মতো পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

    এর আগে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে থানচি ও আলীকদমেও দেওয়া হয়েছিল এ নিষেধাজ্ঞা। ক্রমান্বয়ে আলীকদম, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও রুমাতে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।

  • বান্দরবানে কেএনএর গুলিতে সেনা সদস্য নিহত, আহত ২

    বান্দরবানে কেএনএর গুলিতে সেনা সদস্য নিহত, আহত ২

    বান্দরবানে সেনা সদস্যদের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

    সোমবার (১৩ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। গতকাল রোববার (১২ মার্চ) আনুমানিক দুপুর ১টায় কেএনএর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল সেনা সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

    নিহত কর্মকর্তা হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া আহত দুই সেনা সদস্য বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় শিশু দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশে গমনকৃত দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন সেনা সদস্যরা। তাদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে কেএনএ সন্ত্রাসীরা।

    বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী কেএনএ নামক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি ইতোপূর্বে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’র মতো একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

    পাহাড়ি এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য বান্দরবানের থানচি সড়ক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে প্রতিহত করার জন্য কেএনএ সন্ত্রাসী দলটি সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেসামরিক ঠিকাদার, মালামাল সরবরাহকারী ও শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রথমে চাঁদা দাবি করে, পরবর্তী সময়ে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়।

    কিন্তু সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কাজ চলমান থাকায় কেএনএ সন্ত্রাসী দল গত ১১ মার্চ ১২ জন শ্রমিককে অপহরণ করে। তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন এবং চারজন শ্রমিককে এখনও কেএনএ জিম্মি করে রেখেছে। অবশিষ্ট সাতজন শ্রমিককে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও তাদের সেনাবাহিনীর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল (রোববার) কেএনএ সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে।

    উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের তিন উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধের জন্য পরিবহন মালিক সমিতিকে হুমকি দিয়ে নোটিশ জারি করে কেএনএ। পরে যেকোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে গতকাল (রোববার) ওই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন।

    এছাড়া কেএনএর নির্যাতনে স্থানীয় বিভিন্ন পাহাড়ি সম্প্রদায়ের অনেক জনগোষ্ঠী ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। কেএনএ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি, মাদকের চোরাচালান, অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণে বর্তমান সরকারের বিবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, বেসরকারি বিনিয়োগ ও পর্যটন শিল্প বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কেএনএর এমন অপতৎপরতা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্বদরবারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে বিঘ্নিত করছে।

    আইএসপিআর জানায়, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন বিগত ৩০ বছর ধরে অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রংপুর সদরের ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে। দেশ মাতৃকার সেবায় তার মৃত্যুতে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

  • বান্দরবানে ‘জামাতুল আনসারে’র ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

    বান্দরবানে ‘জামাতুল আনসারে’র ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

    বান্দরবান থেকে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‍্যাবের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

    তিনি বলেন, টঙ্কাবতী এলাকায় গতকাল রোববার রাতে অভিযান চালানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠনটির পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন চম্পাইসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

    বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটির খোঁজ পাওয়ার পর গত বছরের অক্টোবর থেকে পাহাড়ে র‍্যাবের অভিযান চলছে।

    ওই সময় থেকে ধারাবাহিক অভিযানে বিভিন্ন সময়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অনেককে গ্রেপ্তার করেছে এলিট বাহিনী। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সম্পৃক্ততা রয়েছে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে।

    অব্যাহত অভিযানের মধ্যে গত ২৩ জানুয়ারি র‍্যাব জানায়, জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার করে। পাহাড়ে-সমতলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাড়া খেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল জঙ্গিরা।

  • এবার বান্দরবা‌নের ২ উপজেলায় অনি‌র্দিষ্টকা‌লের ভ্রমণ নি‌ষেধাজ্ঞা

    এবার বান্দরবা‌নের ২ উপজেলায় অনি‌র্দিষ্টকা‌লের ভ্রমণ নি‌ষেধাজ্ঞা

    এবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা‌য় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে অনি‌র্দিষ্টকা‌লের নিষেধাজ্ঞা দি‌য়ে‌ছে স্থানীয় প্রশাসন। এ নি‌য়ে ১১ বা‌রের মতো বাড়‌ল নি‌ষেধাজ্ঞা।

    রোববার (১১ ডি‌সেম্বর) সন্ধ‌্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফর রহমানের (জেলা প্রশাসক, রু‌টিন দা‌য়িত্ব) সই করা জনস্বার্থে প্রকা‌শিত গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়‌টি জানানো হয়।

    গণ‌বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, জেলার রোয়াংছ‌ড়ি ও রুমায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বান্দরবান সেনানিবাসের রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তারমূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ জন্য পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই দুই উপ‌জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নি‌ষেধাজ্ঞা সোমবার (১২ ডি‌সেম্বর) থে‌কে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাক‌বে।

    বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোয়াংছড়ি ও রুমা উপ‌জেলায় পর্যটক‌দের ভ্রম‌ণে পরবর্তী নি‌র্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। বাকি উপ‌জেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ কর‌তে পার‌বেন।’

    উল্লেখ‌্য, গেল ১৭ অক্টোবর রা‌ত থে‌কে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত রুমা ও রোয়াংছ‌ড়ি‌ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২৩ অক্টোবর থে‌কে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ওই দুই উপজেলাসহ থান‌চি ও আলীকদ‌মে পর্যটক‌দের ভ্রম‌ণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ৩১ থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। পরে এ চার উপ‌জেলায় ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবারও নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর ৯ ন‌ভেম্বর থে‌কে ১২ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত আলীকদ‌মের নি‌ষেধাজ্ঞা প্রত‌্যাহার ক‌রে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থান‌চি-‌ এ তিন উপ‌জেলায় নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১৩ ন‌ভেম্বর থে‌কে ১৬ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত এ তিন উপ‌জেলা আবা‌রও নি‌ষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে।

    প‌রে থান‌চি‌তে নি‌ষেধাজ্ঞা প্রত‌্যাহার ক‌রে ১৭ ন‌ভেম্বর থে‌কে ২০ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত রোয়াংছ‌ড়ি ও রুমা‌তে নি‌ষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়। ওই দুই উপজেলায় ২১ ন‌ভেম্বর থে‌কে ২৭ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আবা‌রও ২৮ ন‌ভেম্বর থে‌কে ৪ ডি‌সেম্বর পর্যন্ত সাত ‌দি‌নের নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে‌। প‌রে নি‌ষেধাজ্ঞা শেষ হবার ১‌দিন আগেই ফের ৪ ‌ডি‌সেম্বর থে‌কে ১১ ‌ডি‌সেম্বর পর্যন্ত আট‌ দিন নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। এই নি‌ষেধাজ্ঞা শেষ হ‌লে ১২‌ডি‌সেম্বর থে‌কে অনির্দিষ্টকালের নি‌ষেধাজ্ঞা দেওয়া হ‌লো।

  • বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি

    বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি

    নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, আলিকদম এবং থানচি এই চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

    শুক্রবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    জানাগেছে, বান্দরবান জেলার রুমা- রোয়াংছড়ি, থানচি এবং আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

    এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। পরে রুমা ও থানচি দুটি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। পরে ওই চার উপজেলায় ৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবারো সময় সীমা বাড়ানো হয়।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • বান্দরবানে ট্রফি ভাঙার ঘটনায় ইউএনওকে ঢাকায় বদলি

    বান্দরবানে ট্রফি ভাঙার ঘটনায় ইউএনওকে ঢাকায় বদলি

    বান্দরবানের আলীকদমে ফুটবল খেলার ট্রফি ভাঙার ঘটনায় আলোচিত সেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলামকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শেখ শামছুল আরেফীনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বদলির আদেশ জারি করা হয়।

    প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলামকে ঢাকা বিভাগে উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হি‌সে‌বে ন‌্যস্ত কর্মকর্তা পদায়নকৃত অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নিমিত্তে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা-১৪৪ এর ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে জা‌রিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে মর্মে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আলীকদম উপজেলার দুই নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল খেলায় সমাপনী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে পুরস্কারের ট্রফি দুটি ভেঙে ফেলেন প্রধান অতিথি মেহেরুবা ইসলাম। ট্রফি ভাঙার ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার বিকেলে আলীকদম উপজেলায় এবং সোমবার বিকেলে বান্দরবান শহরে (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্থানীয়রা।

    এন-কে

  • গুলি ও মর্টার সেলের বিকট শব্দে আতংকিত সীমান্তবাসী 

    গুলি ও মর্টার সেলের বিকট শব্দে আতংকিত সীমান্তবাসী 

    আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে থেমে থেমে তুমুল গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষ চলছে। মাঝে মধ্যে আর্টিলারি ও মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দ কানে আসছে। গুলির শব্দে আতঙ্ক আশ্রয় শিবির। বাংলাদেশের তুমব্রæ থেকে ওপারের মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তবাসী। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল গোলা বিস্ফোরণের আঘাতে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত অঞ্চলে।

    অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের কুতুপালং স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার লাগাতার গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের কোনো শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তবাসীরা।

    তবে সীমান্ত সুরক্ষায় সতর্কাবস্থায় প্রহরায় নিয়োজিত রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরিত হয়ে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। তার আগে সীমান্তের জিরো লাইনে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অন্ন্যাথাইং নামে এক বাংলাদেশির পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রæ সীমান্তের কোনাপাড়া নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী কোনাকখাল এলাকায় ফের তিনটি মর্টারশেলের গোলা এসে পড়েছিল শুক্রবার রাত ৮টায়। সীমান্তের এপারে এসে পড়েছিল ভারি অস্ত্রের গুলিও।

    এ সময় মর্টারশেল গোলা বিস্ফোরিত হয়ে রোহিঙ্গা শিশুসহ চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর মো. ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত পাঁচজনের অবস্থাও গুরুতর। তারা কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহতরা সবাই কোনাপাড়া নোম্যান্স ল্যান্ডের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত রোহিঙ্গা।

    এদিকে বাংলাদেশ-মায়ানমার তুমব্রæ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৩) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

    উইনু থোয়াইং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রæ হেডম্যান পাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অংক্য থোয়াইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। শূন্যরেখার ৩৫ নম্বর পিলারের কাঁটাতারের কাছে শুক্রবার বিকালে গরু আনতে গিয়ে তিনি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হন। তার বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

    চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত একজনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের সীমানার পিলার ৩২, ৩৪, ৩৫-এর ওপারে বৃহস্পতিবার থেকে মিয়ানমারে আবারো গোলাগুলি শুরু হয়। শুক্রবার সারাদিন থেমে থেমে চলে গুলি ও মর্টার সেল নিক্ষেপের ঘটনা।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তুমব্রæর স্থানীয় বাসিন্দা সরওয়ার ও শুন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে আমাদের তুমব্রæ এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙে মিয়ানমারের ভিতরে বিস্ফোরণ ও গুলির আওয়াজে।

    তারা আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে চলা গোলাগুলি দুপুরের আগে থেমে যেত, কিন্তু আজকে দুপরেও বন্ধ হয়নি। ভোর সাড়ে ৫টায় হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    আশ্রয় শিবিরের কাছাকাছি গোলাগুলি হওয়ায় আতঙ্ক বেশি। তবে আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের ওড়াউড়ি দেখা যায়নি।

    ঘুমধুম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টু বলেন, তিন দিন ধরে সীমান্তে গুলাগুলি বন্ধ ছিল। আজ আবারও ভোর সাড়ে ৫টা থেকে মিয়ানমারে গোলাগুলি হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দ এপারে আসছে। আতঙ্কে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না এলাকার মানুষ।

    সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা একাধিক সূত্র ও রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, গত ৩১ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী টানা প্রায় সাত দিন স্থল ও আকাশপথে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিল। আরাকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ছোঁড়া হয়েছে শত শত আর্টিলারি, মর্টার শেল ও বোমা।

    এ সময় বাংলাদেশের ভূখন্ডেও মর্টার শেল এসে পড়ার ঘটনা ঘটে। এরপর দুই দিন বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টায় আবার দুপক্ষের মুহুর্মুহু গোলাগুলি শুরু হয়।

    জে-আর