Category: সোশ্যাল মিডিয়া

  • বিশ্বজুড়ে কাজ করছে না ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার

    বিশ্বজুড়ে কাজ করছে না ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার

    বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ। কাজ করতে গিয়ে আচমকা চলে যায় সংযোগ। মেসেজ পাঠানো বা মেসেজ গ্রহণও বন্ধ হয়ে যায়। কেউ কেউ মেসেজ পাঠাতে পারলেও, সেটি যেতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। আর এ ঘটনা গোটা বিশ্বের ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের ফেলেছে চরম বিড়ম্বনায়।

    সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে একের পর এক ব্যবহারকারী ফেসবুকের এই ম্যাসেজিং অ্যাপটি কাজ না করা নিয়ে টুইট করেন। শুধু ম্যাসেঞ্জার নয়, কোনো কোনো ব্যবহারকারী আবার ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ কাজ না করার অভিযোগও করেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার পর থেকেই এই ঝামেলার সম্মুখীন হন ব্যবহারকারীরা। এর ফরে কাউকে কোনো মেসেজই পাঠাতে পারছিলেন না ব্যবহারকারীরা। মেসেজ গেলেও তা খুব ধীরে। অথচ মোবাইল হোক বা ডেস্কটপ– সব জায়গায়ই ইন্টারনেট কানেকশন থাকার পরও বন্ধ হয়ে যায় ম্যাসেঞ্জার অ্যাপটি।

    কাজের সময় এহেন বিড়ম্বনায় ব্যাপক ঝামেলায় পড়ে ব্রিটেন, আমেরিকা, ভারত, ইউরোপসহ অনেক দেশের ব্যবহারকারীরা টুইটারে অভিযোগ করতে থাকেন। ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দুপুর আড়াইটের পরই এই সমস্যা দেখা দেয়। যদিও ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

  • প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা ও সেলাই করার ছবি ভাইরাল

    প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা ও সেলাই করার ছবি ভাইরাল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধারণ আটপৌরে বাঙালি নারীর বেশে সেলাই মেশিন চালাতে দেখা যাচ্ছে, আরেকটি ছবিতে লেকের পাড়ে একটি মাছ আটকে থাকা বড়শি হাতে।

    শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সেই লেকের পাড়ে প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা এবং তার সেলাই মেশিন চালানোর ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রাত্যহিক জীবনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে সংসদে প্রশ্নোত্তরে সকালে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি কাজের ফাঁকে গণভবনের লেকে বড়শি ফেলে মাছ ধরার কথা বলেছিলেন তিনি।

    আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিজেদের ফেইসবুকে ছবিগুলো শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ জীবনযাপনের কথা তুলে ধরেন।

    আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও ছবি দুটো শেয়ার করা হয়েছে। ওই পোস্ট শেয়ার করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু মানুষ।

    প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে ছবি দুটো শেয়ার করে লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে আশ্রয় দিয়েছেন, এর মাঝেও তিনি রান্না করা, মাছ ধরা ও সেলাই করার সময় পান।”

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরার ছবি তার ফেইসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, “ক্যাপশন দেবার মতো বিদ্যা আমার নেই।”

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রীর দুটি ছবিই ফেইসবুকে দিয়ে লিখেছেন, “সাধারণ বাঙালি নারী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নানা ব্যস্ততার মাঝে তিনি অবসর পেলেই সেলাই করেন কাপড় আর মাছ ধরতে যান গণভবনের পুকুরে।

    সব হারিয়ে দেশের জন্য সারা দিন কাজ করে যাওয়া এই অনন্য সাধারণ মানুষটির জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।”

    প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রধানমন্ত্রীকে সাধারণের মাঝে অসাধারণ অভিহিত করে লিখেছেন, “…আমাদের মা চাচী খালাদের প্রতিকৃতি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

  • ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন

    ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন

    ফেসবুক ব্যবহার করার সময় আমরা প্রত্যেকেই এমন অনেক পোস্টের সম্মুখীনই হয়েছি, যেগুলো রিপোর্ট করা নিয়ে আমরা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। অনেক সময় আমরা এমন পোস্ট শেয়ার করি বা এমন পোস্টে কমেন্ট করি যার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। আবার কখনো কোন পোস্ট শেয়ার করা ঠিক হবে কি না তা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হই।

    তবে ১০ ধরনের কন্টেন্ট যদি কোন ফেসবুক গ্রুপ, পেজ, কমেন্ট, প্রোফাইল এমনকি মেসেঞ্জারের বার্তাতেও পান তাহলে নির্দ্বিধায় সেগুলো রিপোর্ট করতে পারবেন।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো :

    ১. নির্দিষ্ট কোন মতবাদ বা ব্যক্তি সত্ত্বাকে অসম্মান করা হলে: যদি কোন পোস্টে নির্দিষ্ট মতবাদ, লিঙ্গ, জাতি বা ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত করে তবে সেই পোস্টটি এবং যে এই পোস্ট শেয়ার করেছে তাকেও রিপোর্ট করতে পারেন। জাতি, মতবাদ ও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার এবং এগুলোর ভিত্তিতে কাউকে বিবেচনা করার অধিকার কারো নেই।

    ২. অশালীন ও আপত্তিকর ছবি থাকলে:
    যে সব কন্টেন্ট যৌন নির্যাতন বা জাতিগত সহিংসতা প্রচার করে অবিলম্বে সে সব পোস্ট রিপোর্ট করতে হবে। কারণ অন্য পোস্টের চেয়ে এই পোস্টগুলো বেশি শেয়ার হয় এবং ব্যবহারকারীরা এই পোস্টগুলো বিশ্বাসও করে বেশি, তাই এই ধরনের পোস্টগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

    ৩. হিংস্রতা ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেলে:
    যদি কোন পোস্টে হিংস্রতা বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়, যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করে, তবে সেই পোস্টগুলো রিপোর্ট করুন। কারণ, এই পোস্ট বা জিআইএফগুলো যখন কোন ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে করা হয়, সেখান থেকে পারস্পরিক বা জাতিগত সংঘর্ষ হতে পারে।

    ৪. ব্যক্তিগত তথ্যে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে:
    নিজের অ্যাকাউন্ট এবং যে তথ্যগুলো অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয় যেমন: ছবি, স্ট্যাটাস, চেক-ইনস, যোগাযোগের বিবরণ, কর্মস্থলের ঠিকানা ইত্যাদি, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। এসব তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি টুলস ব্যবহার করুন। নইলে প্রতারক চক্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে যা আপনার নিজের এবং ফেসবুক কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর।

    ৫. কোন পোস্ট আপনার অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা হলে: যদি আপনার নিজের কোন পোস্ট বা ছবি আপনার অনুমতি না নিয়েই কেউ শেয়ার করেন, যা আপনার গোপনীয়তা নষ্ট করে, তবে সেই ব্যক্তিকে ও পোস্ট রিপোর্ট করুন।

    ৬. ভুয়া খবর হলে: ফেসবুকে এখন নানা ধরনের ভুয়া খবর ছড়িয়ে আছে। ব্যবহারকারীরা এই খবরগুলোর সত্যতা না জেনেই শেয়ার করে থাকেন। স্প্যাম আছে এমন পোস্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকুন বা যিনি পোস্টটি শেয়ার করেছেন অ্যাকাউন্টটি ফেইক কিনা তা লক্ষ্য করুন।

    ৭. পোস্টে সহিংসতামূলক ছবি বা ভিডিও থাকলে: যদি কোন ভিডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স কন্টেন্টে সহিংসতা বা অন্যের দুর্ভোগ ও অপমান সমর্থন করে তাহলে অবিলম্বে সেই পোস্টটি রিপোর্ট করুন। এতে পারস্পরিক সহিংসতা রোধ করা যাবে।

    ৮. অপরাধমূলক কাজ প্রচার করলে: যদি কোন পোস্টে সহিংসতামূলক অপরাধ, চুরি, জালিয়াতি বা কোন অপরাধের বর্ণনা থাকে তবে সেই পোস্টটি সাথে সাথে রিপোর্ট করতে হবে।

    ৯. অন্যের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করলে: যদি কোন পোস্ট অপরাধমূলক কাজ করতে উস্কানি দেয় যা মানুষ, ব্যবসায় বা প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে, সেই পোস্ট রিপোর্ট করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

    ১০. কোন পোস্ট নিজের ক্ষতি বা আত্মহত্যা সমর্থন করলে: যদি কোন পোস্ট হুমকিস্বরূপ হয় বা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে দ্রুত স্থানীয় ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগাযোগ করুন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পোস্টটি রিপোর্ট করুন। ফেসবুকই প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেবে যা তাদের সাহায্য করতে পারে।

    আপত্তিকর কন্টেন্ট বা স্প্যাম রিপোর্ট করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পোস্টের উপরের ডানদিকে “তিনটি ডট”-এ ক্লিক করে ‘ফাইন্ড সাপোর্ট’ বা ‘রিপোর্ট পোস্ট’ সিলেক্ট করা এবং পোস্টটি কীভাবে ফেসবুক কমিউনিটি গাইডলাইনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে তার বর্ণনার সাথে মিলে এমন অপশনে ক্লিক করা।

    লেখক:মোহাম্মদ আলী
    সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মী
    চট্টগ্রাম

  • ফেসবুকে আল্লামা শফীকে নিয়ে কটূক্তি, মুফতি জিহাদী গ্রেফতার

    ফেসবুকে আল্লামা শফীকে নিয়ে কটূক্তি, মুফতি জিহাদী গ্রেফতার

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের সদ্য প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    দেওভোগ মাদ্রাসার খতিব হারুনুর রশিদের করা মামলায় রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ।

    এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আল্লামা শফীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অপরাধে আলাউদ্দিন জিহাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তাকে মাহমুদপুরের তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশি কর্মকর্তা নিয়োগ দিল ফেসবুক

    বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশি কর্মকর্তা নিয়োগ দিল ফেসবুক

    ফেসবুকে বাংলাদেশি কনটেন্ট বিষয়ে যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানসহ বাংলাদেশের অংশ দেখাশোনার জন্য একজন বাংলাদেশি বাংলাভাষীকে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রিয় এ সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ।

    সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ফেসবুকের সিঙ্গাপুরের আঞ্চলিক সদর দফতরের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

    ফেসবুকের নবনিযুক্ত বাংলাদেশবিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশিদ দিয়া এখন থেকে যে কোনো বিষয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, কর ও ভ্যাটবিষয়ক আইন মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

    ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের হেড অব সেফটি বিক্রম সেনগ, ফেসবুক পাবলিক পলিসিবিষয়ক পরিচালক অশ্বিনী রানা এবং ফেসবুক মোবাইল পার্টনার বিভাগের ইরাম ইকবাল।

    ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মনে চলা ছাড়াও দেশ ও দেশের বাহির থেকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান বিঘ্নিতকর মিথ্যা ও গুজব বা অপপ্রচারমূলক উপাত্ত প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সব প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ফেসবুকের দায়িত্ব।

    রিসেলার নিয়োগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে কর প্রদানে প্রতিনিধি নিয়োগ এবং বাংলা ভাষার সঠিক অনুবাদ ও প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।

  • নোবিপ্রবি উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক

    নোবিপ্রবি উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার উল আলমের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে বলে জানা যায়।

    ইতোমধ্যে উপাচার্যের একাউন্ট থেকে বেশ কিছু লোকজনের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

    মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন রাজু উপাচার্যের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    উপাচার্যের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার বিষয়ে নোবিপ্রবি প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য Md Didar Ul Alam স্যারের ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়েছে। কারো কাছে বিকাশের অনুরোধ আসলে তা ইগনোর করার জন্য অনুরোধ করা হল।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন রাজু জানান,নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম স্যারের “Md Didar Ul Alam” নামের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। হ্যাক হওয়া আইডি থেকে কাউকে অপ্রত্যাশিত ম্যাসেজ কিংবা কন্টেন্ট পাঠিয়ে থাকলে তা আমলে না নেয়ার অনুরোধ করেছেন মাননীয় উপাচার্য। সংশ্লিষ্ট আইডি উদ্ধার এবং হ্যাকের ঘটনা উদ্ঘাটনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • সাকিবের মেয়ের ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

    সাকিবের মেয়ের ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মেয়ের ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শুক্রবার (২১ আগস্ট) ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য দেওয়া হয়।

    পোস্টটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এর গর্ব সাকিব আল হাসান এর পরিবারের শিশু সদস্যকে নিয়ে কিছু বিকৃত মানসিকতার লোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

    পোস্টটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচার বজায় রাখার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

    সম্প্রতি সাকিব আল হাসান ফেসবুকে তার মেয়ে আলায়নার একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিটিতে বেশকিছু কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হলে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ফেসবুকে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বেঙ্গালুরুতে সহিংসতায় নিহত ৩, ১৪৪ ধারা জারি

    ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বেঙ্গালুরুতে সহিংসতায় নিহত ৩, ১৪৪ ধারা জারি

    সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরু। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৩ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ পুলিশ সদস্য। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার ১১০।

    সংঘর্ষের সূত্রপাত কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাগ্নের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে।

    গতকাল ফেসবুকে একটি ‘বিতর্কিত’ পোস্ট করেন ওই নেতার ভাগ্নে। তারপরই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হয়। রাতে মূর্তির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে চলে ইট পাথর নিক্ষেপ। ২-৩টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উৎসুক জনতা। এরপর, ডিজে হাল্লি থানায় গিয়ে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।

    ঘটনা সামাল দিতে ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গেলে অতিরিক্ত কমিশনারসহ ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই বলেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে। হিংসা ও ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না।

     

  • সচিব মিলনকে ওএসডি করায় সমালোচনার ঝড়

    সচিব মিলনকে ওএসডি করায় সমালোচনার ঝড়

    রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলনকে ওএসডি করায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। তাঁকে ওএসডি করার খবর প্রকাশের পরপরই সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তুমুল প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে মাহবুব কবির মিলনকে রেল মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি করা হয়। মাহবুব কবির মিলন নিজেও তার ভেরিফায়েড পেজে বিষয়টি জানান।

    গত ২৫ মার্চ তাকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে (অতিরিক্তি সচিব) বদলি করা হয়।

    এর আগে, মাহবুব কবির মিলন ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সবশেষ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে সরিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।

    বৃহস্পতিবার তাকে ওএসডি করার পর সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তারা মিলনকে ওএসডির তীব্র সমালোচনা করছে।

    আব্দুল মোমিন রনি ফেসবুকে লিখেছেন, মাহবুব কবির মিলনের ওএসডি প্রত্যাহার করা হোক। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যে বাংলাদেশের কথা আমরা বলি এই মিলন ভাইরা যদি আজ হেরে যায় তা আর কখনোই হবে না।

    শাহাদাত উদ্রাজি লিখেছেন, ঘটনা শেয়ার না করে পারা যাচ্ছে না, ‘আমি যে বার বার বলি, সুশাসন। হ্যাঁ, এই হচ্ছে সেই সুশাসন! আমরা যারা অনলাইনে সারা দিন পড়ে থাকি, আমরা মানুষ চিনি, কে কোথায় কি করছে তাও আমাদের জানা। আমাদের দেশে বৃহত্তর পরিসরে ভাল কাজ করতে গেলে যে কি পরিমান বাধা মোকাবেলা করতে হয়, এই হচ্ছে তার প্রমান! নিন, আপনাদের সুশাসন। মিলব সাহেবকে আমরা সবাই সৎ হিসাবেই চিনি, তিনি যেখানেই কাজ করেছেন, সততার পরিচয় দিয়েছেন। দিন কয়েক আগে চেষ্টা করে বিকাশের মাল্টি ডিভাইস লগিং (এটা প্রতারনার একটা দারুন দিক ছিলো) বন্ধ করেছেন, রেলের এক মোবাইলে অনেক টিকেট কাঁটা বন্ধ করেছেন, নিজে যাত্রী চেক করে টিকেটব্লেকার ধরার চেষ্টা করেছেন এবং এর আগে খাদ্য ভেজাল রোধ সহ অনেক জায়গাতে ভাল কাজ করেছেন। পরে হয়ত কনফিডেন্ট লেভেল বাড়াতে তিনি প্রধানমন্ত্রী সহ নানান জায়গায় ১০ জনের একটা দল করে দূর্নীতিতে থামাতে চাইছিলেন! অথচ আজ তিনি ‘ওএসডি’ হবার চিঠি পেলেন, মানে ঘরে বসে বেতন নাও তবুও আর নুতন কোন চিন্তা করো না! জ্বি, এই হচ্ছে আমাদের সুশাসন!’

    তুহিন নাইম লিখেছেন, এ কেমন জনস্বার্থ? খুবই দুঃখজনক।

    নূরুল মোস্তফা বিন বশির লিখেছেন, ‘দুঃখজনক সিদ্ধান্ত। অনুপ্রেরণা না দিয়ে শাস্তি। যা ভেবেছিলাম তাই হল। উনাকে চিনি না জানিও না। কিছুদিন আগে একটা স্টেটমেন্ট শুনে ভালো লেগেছিল। কতটা সৎ হলে এবং বুকে সাহস থাকলে একজন অতিরিক্ত সচিব বলতে পারেন ১০ জন সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা পেলে তিনি দুর্নীতি নির্মুল করতে পারবেন। তার পুরুষ্কার তিনি পেয়ে গেলেন। ওএসডি হিসেবে পদায়ন। উনাকে একটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলে তো বোঝা যেত……উনার দক্ষতা টুকু।

    জনস্বার্থে…..?? দেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি এতে আমার স্বার্থ কোনভাবেই রক্ষা হয়নি।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ঠিকই বলেছিলেন। আপনি ছাড়া সবাইকে কেনা যাবে।’

    এবি সিদ্দিক লিখেছেন, ‘রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা কেবল বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। তাতেই তাকে বদলি করা হলো। এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। আজ দূর্ণীতিবাজদের আকড়া তৈরী হয়েছে। ভালো কিছু করতে চাইলেই। কুচক্রী মহল আপনাকে আগাতে দিবে না। যা দেশের জন্য স্পষ্ট অশনিসংকেত।’

    প্রিন্স লিখেছেন, ‘১০ জন অফিসারকে নিয়ে দেশটাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাওয়াটা হচ্ছে অন্যায়। এদেশের ভাল কিছু আর হবে না। ভালো কিছু যা হওয়ার তা সেই ‘৫২, ‘৭১ এই হয়েছে। কোনও রকম খেয়ে পরে ৬০/৭০ বছর বেঁচে থাকলেই এই দেশের কাছে থেকে আশা শেষ। এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা বোকামী। ইতালি প্রবাসী সেই ভাইয়ের কথা আজ মনে পড়ছে খুব।’

    ইব্রাহিম মোহাম্মদ লিখেছেন, মাহবুব কবির মিলন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন ব্যতিক্রমী, সত্য ও কর্মনিষ্ঠ কর্মকর্তা। যে দফতরে কাজ করেন, পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন। কিছু পরিবর্তন করেও ফেলেন। সম্প্রতি রেল মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়ে, ওখানেও পরিবর্তনের সূচনা করছিলেন, দেখে আমরাও আশ্বস্ত হচ্ছিলাম, এবার কিছু কাজ হবে। আমরা দেশব্যাপী রেলভ্রমণ করতে পারবো বিঘ্নহীন। ‘আশার গুড়ে বালি’ বলে বাংলায় একটি কথা আছে, খেয়াল পড়লো। তিনি ফেসবুকে জানালেন, তাঁকে ‘বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ করা হয়েছে। তিনি বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

    মাহমুদ হাসান আরিফ বলছেন, ‘দুষ্টরে লালন করতে হবে আর ভালোরে করতে হবে দমন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন ১০ জন সৎ অফিসার চেয়ে ফেসবুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যদি পান তবে ৩ মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রণালয় দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবেন। এর পুরস্কার হিসেবে তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে।’

    উল্লেখ্য, মাহবুব কবির মিলন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে দায়িত্ব পালনকালে বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির ভেজাল ও ক্ষতিকর কোম্পানির পণ্য আটকে দেন। তার প্রচেষ্টায় বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার এমবিএম আটক রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কৃষিপণ্যের জন্য আমদানিকারক ৪১টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিকর পণ্য শনাক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায় থেকে তার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

    উল্লেখ্য, রেলওয়ের যাত্রীসাধারণের কাছে মাহবুব কবির মিলন বেশ জনপ্রিয় একটি নাম। রেলকে জনবান্ধব করতে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে আছে, টিকিট কাটতে এনআইডি বাধ্যতামূলক করা, অনলাইনে টিকিটের টাকা রিফান্ড করা, রেলসেবা অ্যাপের মাধ্যমে ফটো/ভিডিও যুক্ত করে তাৎক্ষণিত অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা ইত্যাদি।

    এছাড়া মাহবুব কবির মিলনের প্রচেষ্টার কারণে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা বিকাশ তাদের নিরাপত্তায় ব্যাপক পরবর্তন এনেছে। এর ফলে প্রতারকেরা আর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরির সুযোগ পাবে না।

    এর আগে তিনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে জনবল নিয়োগ দিয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। নিজের অধীনে জনবল নিয়োগ হলেও তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকেও জানতে দেননি।

    এছাড়া তিনি চলতি বছর কোনোরকম দুর্নীতি ছাড়া রেলে বিপুল পরিমাণ নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আগামী বছরও নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। এসব পরিবর্তনসহ অনেক অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি সোশ্যাল সাইট এবং বাস্তবে সবসময় সরব থাকতেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ফেসবুকে প্রতারণা: ১১ নাইজেরিয়ানসহ গ্রেফতার ১২

    ফেসবুকে প্রতারণা: ১১ নাইজেরিয়ানসহ গ্রেফতার ১২

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে এক বাংলাদেশি নারীসহ ১২ নাইজেরিয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি)।

    সিআইডি বলছে, ফেসবুকে বন্ধুত্বের পর দামি উপহার দেওয়ার নামে প্রতারণা করে গত কয়েক মাসে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এই চক্র।

    বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার।

    শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, প্রতারণার শিকার হওয়া একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি।

    তারা অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি করে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তারা একটি ম্যাসেঞ্জার থেকে একটি উপহার পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। পরে ম্যাসেঞ্জারে এইসব মূল্যবান সামগ্রীর এয়ার লাইন বুকিংয়ে ডকুমেন্ট পাঠায়। এরপর এসব উপহারের বক্সে কয়েক মিলিয়ন ডলারের মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বলেও ভুক্তভোগীকে জানায়।

    তারা ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদাম থেকে রিসিভ করতে বলে। এ সময়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী রাহাত আরা খামন ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন নিজেকে কাস্টমস কমিশনার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে বলে। তারা এই টাকা কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। তাদের পাঠানো উপহার সংগ্রহ না করলে তাদের আইনি জটিলতার ভয় দেখায় এই প্রতারক চক্রটি।

    সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভুক্তভোগী তাদের দেওয়া বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিন লাখ ৭৩ হাজার টাকা জমা দেন। একইভাবে গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সারাদেশ থেকে দুই মাসের মধ্যে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

    অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ল্যাপটপ, ১৪টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন এবং অসংখ্য সিম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার বাংলাদেশির নাম রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় আক্রান্ত নারী চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিবেশীর এ কেমন আচরণ!

    করোনায় আক্রান্ত নারী চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিবেশীর এ কেমন আচরণ!

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এক কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফেজবুকে গত ৩ জুলাই আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন

    এরপরই প্রশাসনসহ সচেতন মহল তাকে সাহায্যে এগিয়ে যায়।

    উপজলার রামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. কাউছার জাহান মনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।

    এ অবস্থায় তার বাড়িতে খাবার পানি দেয়ার কাজে নিয়োজিত গৃহপরিচারিকাও এখন আর তার ঘরে (ডা. মনি) পানি দিতে যান না। তীব্র পানীয় জলের সংকটে পড়েন ওই চিকিৎসক পরিবার।

    কারণ প্রতিবেশীরা চিকিৎসক মনির বাড়িতে খাবার পানি সরবরাহকারী নারীকে পানি সরবরাহ করতে নিষেধ করেছেন। প্রতিবেশীদের ধারণা, তারাও এতে করোনায় আক্রান্ত হবেন।

    অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে ফেইজবুকে আবেগঘণ স্ট্যাটাস দেন ডা. মনি। পাঠকদের উদ্দেশ্যে ওই স্ট্যাটাসটি তুলো ধরা হলো :

    এক কলসি পানির দাম কত…..!!! এই মুহুর্তে মেলা দামি জিনিস এই এক কলসি বিশুদ্ধ খাবার পানি। পানি শেষ গেলে টেনশানে মাথা খারাপ হয়ে যায়।

    পানি এনে দেবে কে? আমার কাজের সাহায্যকারিনী প্রতিদিন পাশের বাড়ি থেকে পানি এনে দিতো। এখন তাকে ফোন দিতে দিতে ক্লান্ত, আমার ফোন আর ধরে না।

    বহুবার ফোন দেয়ার পর সে ফোন ধরে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে, আপা সন্ধ্যায় লুকায়া পানি এনে বাসার নিচে রেখে যাবো। আমাদের পানি এনে দেয় বলে তাকে নাকি বাড়ির লোক আর পাড়া প্রতিবেশী হেনস্তা করছে।

    মারধরেরও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে…. ওফ… কী ভয়ানক অবস্থা। প্রিয় ভাইবোন, পাড়া-প্রতিবেশী, আমি কভিড-১৯ কে ভালোবেসে নিমন্ত্রণ জানিয়ে শরীরে নিয়ে আসিনি।

    আপনাদেরই কেউ অসুস্থ অবস্থায় সেবা নিতে এসে আমাকে মারণব্যাধী দিয়ে গেছেন। অফিসটাইম শেষ হওয়ার পরও, পিপিই খুলে ফেলার পরও আবদার করে আপনারা পাড়া-প্রতিবেশীরাই আসেন সেবা নিতে।

    হাজারবার বলার পরও মাস্ক না পরে কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আল্লাহর দোহাই দিয়ে আপনারাই রোগে শোকে আসেন। কেউ বলতে পারবেন, কোনদিন কাউকে ফিরিয়ে দিয়েছি?

    শোনেন, এই দুনিয়ায় সবকিছু ফেরত আসে। আল্লাহর দয়ায় যদি সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসি আমি কিন্তু আবারও আপনাদের সেবা দেবো, সেটা সময়ে অসময়ে যখনই হোকনা কেন। পরিশেষে এভাবে বলার জন্য কেউ যদি কষ্ট পান, মাফ করে দিয়েন। কোনও অভিযোগও নেই, শুধু এইটুকু বলি কষ্ট পেয়েছি ভীষণ।

    স্ট্যাটাসটি নজরে পড়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছের ব্যাক্তি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল করিম জুয়েলের।

    তিনি আমেরিকায় অবস্থান করলেও তার ছোট ভাইকে দিয়ে ডা. কাউছার জাহান মনির বাড়িতে শনিবার পানীয় ও ফলমুল পাঠিয়েছেন।

    একই সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান, ওসি তদন্ত রবিউল হক ছুটে যান ডা. কাউছার জাহান মনির বাড়িতে।

    তারা তার স্বাস্থ্যসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী খাজা নজরুলও স্ট্যাটাসটি দেখে ডা. কাউছার জাহান মনির জন্য বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন এবং খোজঁ-খবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নমুনা না দিয়েও সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ!

    নমুনা না দিয়েও সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ!

    চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বদেশের স্টাফ রিপোর্টার এম এ হোসাইন ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে নমুনা না দিয়েই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন।

    সোমবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত ০১৭২৯০২৪৬১২ নাম্বার থেকে নিজের মোবাইল নাম্বারে করোনা পজিটিভ উল্লেখ করা অফিসিয়াল এসএমএসটি পান সাংবাদিক এম এ হোসাইন।

    সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ জুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে নমুনা দেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা এম এ হোসাইন। একইদিন নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

    অথচ ১৭ জুন ঢাকা নয়, চট্টগ্রামেও নমুনা দেননি এম এ হোসাইন। এরপরও তাকে পজিটিভ উল্লেখ করে অফিসিয়াল এসএমএস পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    যদিও গত ৬ জুন নমুনা দিয়ে ১৪ দিন পর ১৯ জুন পজিটিভ ফলাফল পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের তরুণ এ সাংবাদিক।

    সোমবার (২২ জুন) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে নমুনা জমা না দিয়েও এমন উদ্ভট রিপোর্ট পাওয়ার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান তিনি।

    তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো:

    আশ্চর্য!!!!!
    নমুনা ছাড়াই পজিটিভ রিপোর্ট। স্বাস্থ্য দপ্তরের গাঁজাখুরি কাজ কারবার!

    আজকে এসএমএস করে জানালো ১৭ তারিখে নাকি আমি নমুনা দিলাম। তাও আবার ঢাকায়। তারা সেটা ১৭ তারিখেই পরীক্ষা করেছে। সে পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ! অথচ ১৭ তারিখ আমি কোন নমুনা দিইনি।
    নমুনা ছাড়াই পরীক্ষা করে রির্পোট! এর আগে ১৪ দিন পরে রির্পোট পেলাম। আর এবার পরীক্ষা ছাড়া রির্পোট পেলাম। সামনে কি আসে কি জানি।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এমএ হোসাইন নামে একজনের ১৭ জুন নমুনা না দিয়েও করোনা পজিটিভ এসেছে। বিষয়টি তিনি আমাকে জানিয়েছেন। রিপোর্টটি সঠিক নয়। কারণ অনেক সময় ভুল রিপোর্ট আসে। তার বেলায়ও এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর