Category: রাজধানী

  • নুসরাত হত্যা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড, সন্তুষ্ট নুসরাতের মা

    নুসরাত হত্যা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড, সন্তুষ্ট নুসরাতের মা

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় আইসিটি মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় এটি।

    বিচারক ওসি মোয়াজ্জেমকে মামলার ২৬ নম্বর ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ২৯ নম্বর ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে ২০ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

    নুসরাত হত্যা মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায়ে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করায় খুশি নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আখতার।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

    এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রায় ঘোষণায় আমি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিচার বিভাগ, মিডিয়া এবং ব্যারিস্টার সুমনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়।

    তদন্ত শেষে গত ২৭ মে পিবিআইর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই দিন ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় চলতি বছর ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন ট্রাইব্যুনাল তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

  • জঙ্গিদের মাথায় আইএসের টুপি,জনমনে নানা প্রশ্ন

    জঙ্গিদের মাথায় আইএসের টুপি,জনমনে নানা প্রশ্ন

    রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান রায়ের পরে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি পরে আদালত থেকে বের হয়।

    এরপর প্রিজন ভ্যানে তোলার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি জাহাঙ্গীর আলমকেও একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়।

    পুলিশি হেফাজতে থাকার পরও তারা কীভাবে এ টুপি পেল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সমালোচনা। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

    রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন।

    একাধিক গণমাধ্যমের ক্যামেরায় সেই বিষয়টি উঠে আসার পর নিরাপত্তার পাশাপাশি নানান প্রশ্ন সামনে এসেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন জঙ্গিরা আইএসের প্রতীকের টুপি পেলো কোথা থেকে?

    আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশকে মাথায় আইএস’র কালো পতাকা বেঁধে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করতে দেখা যায়। তিনি লিফটে ওঠার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনেই আইএসের প্রতীক চিহ্নিত কালো টুপি পরেন। এজলাসেও তার মাথায় ছিল এ টুপি।

    রিগ্যানের আইএসের টুপি পরে আদালতে আসার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।’

    বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরাণীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম জানান, হলি আর্টিজানের মামলায় আটজন আসামিকে আমরা আদালতে পাঠানোর জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছি। এদের মধ্যে সাতজনের কাছে কিছুই ছিল না। একজনের কাছে নামাজের সাদা টুপি ছিল। আইএস’র টুপির বিষয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটি আমাদেরও প্রশ্ন। টুপিটি আসলো কোথা থেকে?

    ‘‘আদালতের রায়ের পরও তাদেরকে আমরা রিসিভ করেছি। চেক করে তাদেরকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে, কিন্তু এমন কিছু তখনও এমন টুপি পাওয়া যায়নি।’’

    মহানগর দায়রা জজের নিচতলার হাজতের দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আসামিদের চেক করা হয়, তাদের কাছে ছুরি-চাকু বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু আছে কি না। তাদের কাছে টুপি থাকলে, কিংবা টুপির মধ্যে কি লিখা আছে এটা বুঝা সম্ভব নয়।’

    বুধবার দুপুরে রায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণী পড়া শেষ করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনকে ফাঁসি এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

    ‌মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসা‌মিরা হ‌লেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

     

  • কাল হলি আর্টিজান মামলার রায়,সতর্ক অবস্থানে র‌্যাব

    কাল হলি আর্টিজান মামলার রায়,সতর্ক অবস্থানে র‌্যাব

    হলি আর্টিজান মামলার রায়কে কেন্দ্র করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ।

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) র‍্যাব সদর দফতরের হলি আর্টিজান মামলার রায়কে সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

    বেনজীর আহমেদ বলেন, রায়ের কথা মাথায় রেখে আমরা আজকে থেকেই সর্তকতা অবস্থানে রয়েছি। আগামীকাল রায়ের দিন আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমরা যতদিন প্রয়োজন মনে করব, ততদিন এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জঙ্গিরা যেন কোনও ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ না করতে পারে সে জন্য আমরা সব সময় সতর্ক থাকি। আমরা অনেক কাজ করি কিন্তু কখনো জঙ্গিবাদ থেকে আমাদের দৃষ্টি সরাই না।

    তিনি আরও বলেন, আগামীকালের রায় আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। হলি আর্টিজানের ঘটনায় দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এ দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে মানুষ কখনো কল্পনা করেনি। আগামীকালের রায়ে আমরা আশা করব যারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। নিহতদের স্বজনরাও ন্যায়বিচার পাবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

    র‌্যাবের ডিজি বলেন, হলি আর্টিজানের পর বাংলাদেশে যতবার জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে আমরা তা নস্যাৎ করে দিয়েছি। তাদের বারবার প্রতিহত করেছি। হলি আর্টিজানের পর আমরা সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০৯ জন জঙ্গিকে আমরা আটক করেছি। এখন পর্যন্ত ২৫ জন জঙ্গি আমাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। শুধুমাত্র অভিযান নয় আমরা প্রতিনিয়ত জঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত আটজন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা কিন্তু পৃথিবীতে পথ দেখিয়েছি যে জঙ্গিরাও আত্মসমর্পণ করতে পারে।

    র‍্যাব ডিজি বলেন, পবিত্র কোরআন এবং কোরআনের আয়াতকে অপব্যাখ্যা করে জঙ্গিরা মানুষকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে চেষ্টা করছিল। এটা রোধ করার জন্য কিন্তু পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

    বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ খুনাখুনি রক্তপাত পছন্দ করে না। জঙ্গিবাদ কখনই আমাদের দেশের পরিপূর্ণভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এগুলোকে পছন্দ করে না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যেতে হবে।

  • রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

    রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

    কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই আজ হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের সামনে অবস্থান নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

    মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উচ্চ আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা।

    এসময় তাদের হাতে কোনো প্রকার ব্যানার কিংবা ফেস্টুন ছিল না। কেবল দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে শোনা যায়।

    এর পরই আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হাইকোর্ট এলাকায় অঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরাতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    পুলিশ যখন বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানোর জন্য মৎস্য ভবন এলাকা থেকে হাইকোর্ট এলাকায় আসে তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে নিক্ষেপ করে অবস্থানকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
    পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট এলাকা ত্যাগ করার সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।

    বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিপেটা করে। এ ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট পাল্টা ছুড়ে মেরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে পুলিশও।

    ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শেখ মো. শামীম বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আমাদের ওপর আগে ইটপাটকেল ছুড়ে। তখন আনুমানিক চার-পাঁচটি টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়।’

    এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে বিপুল নেতাকর্মী জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি হাইকোর্টের দিকে অগ্রসর হয়ে হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় হাইকোর্ট থেকেও বিএনপিপন্থী আইনজীবীসহ অনেকেই মিছিলে যোগ দেয়।

    মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটসহ আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

    ওই সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আমরা কোনো অসাংবিধানিক কাজ করছি না। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে আজ রাজপথে নেমেছে। রাজপথই আমাদের ঠিকানা। যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ অবস্থান করব। পুলিশ যেন আমাদের উসকানি না দেয়।’

    নোমান বলেন, ‘আজকে রাস্তায় নামাটা অসাংবিধানিক নয় এবং আইনবিরোধীও নয়। জনগণ রাষ্ট্রক্ষমতার মালিক হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজ, চাল, তেল জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধীদলের আন্দোলন করার অধিকার আছে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করার অধিকার আমাদের আছে।’

    সরকারের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনুন। এবং দেশ চালাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দিন।’

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে নোমান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করছি। এটা সংবিধানবহির্ভূত নয়। তাই আপনাদের আহ্বান জানাব, আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা না দিয়ে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দিন। আপনাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের উসকানি প্রত্যাশিত নয়।’

  • বৃদ্ধ পিতাকে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেছে সন্তানেরা

    বৃদ্ধ পিতাকে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেছে সন্তানেরা

    দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে বাড়ির বাইরে এনে অসুস্থ বৃদ্ধ পিতাকে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় ফেলে যান সন্তানেরা। কয়েকদিন রাস্তায় পড়ে থাকার পর হতভাগা এই বাবার ঠিকানা হয়েছে বৃ্দ্ধাশ্রমে।

    একজন নারী চিকিৎসক গত বুধবার কল্যাণপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তাকে ধানমন্ডির ১৫ নম্বরের কেএফসি রেস্তোরাঁর পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থ।

    বৃদ্ধাশ্রমের প্রধান নির্বাহী মিলটন সমাদ্দার গণমাধ্যমকে জানান, উনি একদমই কানে শুনতে পারেন না। শরীরের বাম পাশ প্যারালাইজড। রাস্তায় কয়েকদিন ফেলে রাখায় শরীর একদম ভেঙে পড়েছে। আমাদের নিজস্ব চিকিৎসক তাকে দেখেছেন। এখন চিকিৎসা পেয়ে উনি অনেক ভালো আছেন।

    পরিবারের সদস্যদের খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে মিলটন বলেন, আমরা এখনো তার পরিবারের কাউকে পায়নি। উনি একদমই কানে শোনেন না। উচ্চস্বরে কথা বলতে হয়। তিনি ঠিকানা বলেছেন ডেমরা। সেখানে নিজের দুটি বাড়ি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক মেয়ের নাম বললেও তা স্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে এ টুকু বোঝা গেছে তাকে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেছে সন্তানেরা।

    ধারণা করা হচ্ছে এক সাইড প্যারালাইজড এই কারণে বিছানায় পায়খানা-প্রসাব করেন। হয়ত একটা মাত্র মেয়ে সামলাতে পারছে না। চিন্তা করেছে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।

    এ বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর কল্যাণপুরের এই বৃদ্ধাশ্রমেই মারা যান মতিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। মতিনকে দুই বছর আগে দূর-সম্পর্কের মামা পরিচয়ে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যান নিজের সন্তান। মৃত্যুর আগে কয়েকবার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। বারবার মতিনের সঙ্গে সন্তানদের দেখা করতে বলা হলেও তারা কেউ আসেননি। এমনকি মৃত্যুর পরও বাবার মরদেহ দেখতে আসেনি ছেলে ও স্বজনরা। পরে তাকে মিরপুর করবস্থানে দাফন করেন বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীরা।

  • পাঁচ হাজার হাইড্রোলিক হর্ণ ধ্বংস

    পাঁচ হাজার হাইড্রোলিক হর্ণ ধ্বংস

    উচ্চমাত্রায় শব্দ সৃষ্টিকারী অবৈধ প্রায় পাঁচ হাজার হাইড্রোলিক হর্ণ ধ্বংস করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এই হাইড্রোলিক হর্ণগুলো বিভিন্ন সময়ে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ প্রসিকিউশন দিয়ে জব্দ করেছে।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ ২০১৯ উদ্বোধনকালে এই হাইড্রোলিক হর্ণগুলো ধ্বংস করা হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ও ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

    ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ণের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে ডিএমপি’র চারটি ট্রাফিক বিভাগ। গাড়িতে অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারের কারণে প্রসিকিউশন দেয়ার পাশাপাশি এই হর্ণগুলো গাড়ি থেকে খুলে জব্দ করা হয়।

    এ সময় রোলার দিয়ে জব্দকৃত প্রায় পাঁচ হাজার হাইড্রোলিক হর্ণ ধ্বংস করেছে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।

    উল্লেখ্য, সড়কে চলাচলরত গাড়ির চালক, হেলপার, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের দায়িত্ব, করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সচেতন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উদ্যোগে শুরু হয়েছে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ ২০১৯। ১৫ দিনব্যাপী এই সচেতনতা অনুষ্ঠান চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

  • রাজধানী সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

    রাজধানী সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

    টিকাটুলিতে রাজধানী সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।

    বুধবার বিকাল সোয়া৫টার দিকে এআগুনের সূত্রপাত হয়।

    ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুমের অপারেটর শাহাদাত হোসেন বলেন, বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে ওই মার্কেটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে আমাদের ২৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে।

    তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা- তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি অপারেটর শাহাদাত।

  • অফিসে বসে বাবা দেখলেন, সন্তানকে নির্মমভাবে মারছে কাজের বুয়া (ভিডিও)

    অফিসে বসে বাবা দেখলেন, সন্তানকে নির্মমভাবে মারছে কাজের বুয়া (ভিডিও)

    বাব-মা দুজনই কর্মজীবী। ছোট্ট শিশুসন্তানটির যত্ন নেওয়ার জন্য মধ্যবয়সী এক কাজের বুয়া রেখেছিলেন বাসায়। একদিন সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখতেই চমকে ওঠলেন বাবা। তার অতি আদরের দুই বছর বয়সী শিশুসন্তানটিকে নির্মমভাবে মারধর করছে ওই কাজের বুয়া।

    এটা কোনো বানোয়াট গল্প নয়। রাজধানীর শাহজাহানপুরের কর্মজীবী দম্পতির বাসায় দুই বছরের শিশুকে ৪৫ বছর বয়সী গৃহকর্মী নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। পৈশাচিক নির্যাতনের এ ঘটনার ভিডিও দেখে শিউরে উঠতে হয়।

    শিশুটির বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন সরকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।আর মা মা লুৎফুন্নাহার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এই দম্পতির একমাত্র শিশু আবদুল্লাহ আবতাই আয়াতের বয়স মাত্র দুই বছর। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করায় আয়াত থাকত বাসার কাজের বুয়া শাহিদার কাছে।

    সন্তানের আচরণ, বিশেষ করে বুয়াকে দেখে ভয়ে চমকে ওঠার বিষয়টি চোখে পড়ে বাবার। মনের মধ্যে তৈরি হয় একধরনের আশংকা। যে কারণে তিনি দ্রুত নিজের বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন। আইপি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ তিনি নিজের স্মার্টফোনেই লাইভ দেখতে পারতেন। যে কারণে নিজের সন্তান চোখে চোখেই থাকত।

    গত ১৪ নভেম্বর অফিসে বসে ভয়ংকর এক দৃশ্য চোখে পড়ল আল আমিন সরকারের। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার শিশুসন্তানকে বাসার কাজের বুয়া নির্মমভাবে নির্যাতন করছে।
    অফিস বসে বাবা দেখতে পান, বাথরুম থেকে ঘরের ভেতর ছুড়ে ফেলে দিয়ে ওইটুকু শিশুকে একের পর এক লাথি মারতে থাকে কাজের বুয়া শাহিদা! এরপর ক্রন্দনরত শিশুকে সেভাবে ফেলে দিয়েই আবারও নিজের কাজে মন দেয় সে।

    প্রযুক্তির কল্যাণে অফিসে বসে অতি আদরের সন্তানের ওপর এই ভয়াবহ নির্যাতনের দৃশ্য দেখে নিজেকে আর স্থীর রাখতে পারেননি ওই বাবা। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছুটেন বাসার দিকে। পাষণ্ড কাজের বুয়ার হাত থেকে উদ্ধার করেন সন্তানকে।

    এ প্রসঙ্গে শিশুটির বাবা আল আমিন সরকার বলেন, আমি একঅসহায় বাবা, যাকে দেখতে হয়েছে দুই বছরের সন্তানকে নির্মমভাবে মারধর করার দৃশ্য।এই নির্যাতন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আমার বাচ্চাটাকে রক্ষা করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছি আমি।

    এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর রাতে শাহজাহানপুর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০১৩ (সংশোধিত ২০১৮) এর ৭০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন আল আমিন সরকার। অভিযুক্ত গৃহকর্মীকে গ্রেফতাার করেছে পুলিশ।

    https://youtu.be/H_GPICqT434

  • কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুললেন হাজী সেলিম

    কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুললেন হাজী সেলিম

    পুরান ঢাকার লালবাগে খেলার মাঠ উদ্বোধনের নামফলকে নিজের নাম না থাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে মারধর করেছেন সংসদ সদস্য হাজি সেলিম।

    সেই নামফলক

    শনিবার শহীদ হাজি আব্দুল আলিম খেলার মাঠ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। এই অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের উপস্থিত ছিলেন।

    হাজী সেলিম

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জানান, শহীদ হাজি আব্দুল আলিম খেলার মাঠ উদ্বোধনের ফলকে স্থানীয় সংসদ হিসেবে হাজি সেলিম তার নাম দাবি করেন। কিন্তু নাম না থাকায় হাজি সেলিমের সমর্থক ও কাউন্সিলর মানিকের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাজি সেলিম মানিকের গায়ে হাত তোলেন।

    সেলিমের হাতে মার খেয়ে কাউন্সিলর মানিককে অনুষ্ঠানস্থলে কাঁদতে দেখা যায়।

  • স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উত্তরে ইসহাক-আনিস, দক্ষিণে রিপন-সাঈদ

    স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উত্তরে ইসহাক-আনিস, দক্ষিণে রিপন-সাঈদ

    ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে ইসহাক মিয়া সাধারণ সম্পাদক পদে আনিসুর রহমান নাঈম ও দক্ষিণে সভাপতি পদে কামরুল হাসান রিপন সাধারণ সম্পাদক পদে তারেক সাঈদ নির্বাচিত হয়েছেন।

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    এর আগে গত ১১ ও ১২ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ও খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭১ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন কাউন্সিলররা। এর মধ্যে উত্তরে ১১ জন সভাপতি ও ১৮ জন সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণে ১৪ জন সভাপতি ও ২৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিল।

    এদের মধ্যে থেকে এই চারজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন শেষে ঢাকা মহানগরের দুই কমিটির ঘোষণাও দেওয়া হলো।

  • পায়ের ওপর দিয়ে বাস, মৃত্যুর কাছে হার মানলেন রুমা

    পায়ের ওপর দিয়ে বাস, মৃত্যুর কাছে হার মানলেন রুমা

    রাজধানীর শান্তিনগরে বাসের চাপায় পা থেঁতলে যাওয়া কানিজ ফাতেমা রুমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শান্তিনগর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    রুমার সহকর্মী আবদুল আউয়াল জানান, সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আল মক্কা পরিবহনের একটি বাসে করে শান্তিনগর মোড়ে আসেন কানিজ ফাতেমা। নামার সময় চালক আচমকা বাসটি টান দেন। এতে রুমা সড়কে পড়ে যান। এ সময় ওই বাসের চাকা তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    শান্তিনগরের কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংকের ল্যাবে চাকরি করেন রুমা। তার বাবার নাম আবুল ইসলাম। স্বামীর নাম শফিকুল ইসলাম। শফিকুল শিক্ষকতা করেন। স্বামীর সঙ্গে তিনি দক্ষিণ ধনিয়ার শাহী মসজিদের পাশের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আজ সকালে বাবার বাসা মিরপুরের পল্লবী থেকে তিনি অফিসের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পা হারান কৃষ্ণা রায় (৫২) নামে এক নারী। তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক।

  • রাজধানীতে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি চক্রের আস্তানায় র‌্যাবের অভিযান

    রাজধানীতে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি চক্রের আস্তানায় র‌্যাবের অভিযান

    রাজধানীর বাসাবোতে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশি জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়ার খবর পেয়ে একটি ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে র‌্যাব-২ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    সেখান থেকে একজনকে আটকের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, অর্থ ও অর্থপাচারের কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

    র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    র‌্যাব সূত্র জানায়, আজিজিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আতিকুর রহমানের কাছে থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে ৪ লাখ ২৭ হাজার ডলার, সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে ৬০ হাজার ডলার এবং ইসলামী ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানতের তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

    এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় একটি বাড়ি এবং একটি ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকা রয়েছে বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক আতিকুর রহমান।