Category: রাজধানী

  • পার্বত্যমন্ত্রীর এপিএসকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত

    পার্বত্যমন্ত্রীর এপিএসকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত

    রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের এপিএস সাদেক হোসেন চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। বেইলি রোডের মন্ত্রীর বাসা থেকে ফার্মগেটে নিজ বাসায় ফিরছিলেন এপিএস সাদেক।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান খান এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, এপিএসকে বহনকারী গাড়িটি কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারা অতিক্রম করার সময় এক ছিনতাইকারী এপিএসের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ধরে টান দেয়।

    এ সময় এপিএস বাধা দিলে ছিনতাইকারী তার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

  • গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে র‌্যাব সদস্য গ্রেপ্তার

    গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে র‌্যাব সদস্য গ্রেপ্তার

    রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে এক র‌্যাব সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

    শনিবার প্রথম প্রহরে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া।

    মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়ির গতিরোধ করে র‍্যাব পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে জনতা এবং ওই পথে যাওয়া একজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় তারা। হাতেনাতে আটক করা হয় চক্রের এক সদস্যকে। উদ্ধার করা হয় একটি অস্ত্র।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের গাড়িচালককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি উপস্থিত পুলিশ সদস্যকেও উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চক্রটি।

    শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া দুইটায় ঘটে এ ঘটনা।

    রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের ওপর থেমে ছিল কয়েকটি গাড়ি। ওই পথ দিয়ে যাওয়া যমুনা টেলিভিশনের গাড়ি দেখেই থামার আহ্বান জানায় জটলা করে থাকা কিছু সংখ্যক মানুষ। সেখানেই দেখা মেলে হ্যান্ডকাফ পরিহিত দুই ব্যক্তির। একজনের নাম শহীদুল ইসলাম, অপরজনের রিয়াজ। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগনে।

    তাদের অভিযোগ, বিমানবন্দর এলাকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাচ্ছিলেন তারা। ফ্লাইওভারে উঠতেই তাদের গাড়ির গতিরোধ করে পেছন থেকে আসা আরেকটি গাড়ি। আরোহী চার ব্যক্তি র‍্যাব পরিচয়ে অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাদের। এক পর্যায়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে করে মারধর। সন্দেহ হওয়ায় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগীরা।

    ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শহীদুল ইসলাম বলেন, ওরা আমাদের গাড়ি থামিয়ে জানালা দিয়ে পিস্তল ধরে। গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বলে আমরা সোনা চোরাচালানকারী। আমরা বলি আমাদের চেক করে দেখেন। তখন আমাদের মারধর শুরু করে এবং বলে, গুলি করে মেরে ফেলব। তারপর হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়। এ সময় আমরা চিৎকার শুরু করি।

    তাদের চিৎকার শুনে গাড়ি থামান এক ব্যক্তি। তিনি জানান, আমি দেখলাম র‍্যাব লেখা কোট পরে ৩-৪ জন এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে টানাহেঁচড়া করছে। তাদের কোমরে অস্ত্র। আমি এগিয়ে গেলে তারা সরে যেতে বলে। তখন আমি ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।

    এ সময় গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিউটি শেষে সে পথেই মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন সাকিব নামে এক পুলিশ সদস্য। ভুক্তভোগীদের আকুতি শুনে তিনিও এগিয়ে আসেন সহায়তায়।

    যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ সদস্য সাকিব বলেন- আমি এগিয়ে গেলে র‍্যাবের কোট পরিহিত ব্যক্তিরা আইডি কার্ড দেখায়। আইডি কার্ডের মেয়াদ ছিল না। তখন আমার সন্দেহ হয়। পরে আমাকেও তারা গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চায়। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। সে সময় আমরা তাদের সঙ্গে থাকা একজনকে ধরে ফেলি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ভুক্তোভোগীদের ভাড়া করা গাড়ির চালককে নিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় চক্রের এক সদস্যকে জনতা ধরে ফেলে।

    আটক ব্যক্তি জানান, তার নাম জয়। বাড়ি দিনাজপুর। তিনি টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। তার দাবি, মমিন নামে এক র‍্যাব সদস্যের সঙ্গে মাদক সংক্রান্ত কিছু কাজে করতে গিয়ে তার পরিচয় হয়। পরে মমিন তাকে দিয়ে আরও কিছু কাজ করায়। ঘটনার দিন একটি অপারেশনের কথা বলে মহাখালী ফ্লাইওভারে নিয়ে আসেন।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জয় নামের ব্যক্তিটিও তাদের মারধর করেছে।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বনানী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। তাদের চাবিতে হ্যান্ডকাফ থেকে মুক্তি মেলে ভুক্তভোগীদের। সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।

    থানায় যায় যমুনা নিউজের আরেকটি টিম। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি পুলিশ।

    তবে আজ (শনিবার) বনানী থানার ওসি জয়সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতারের কথা জানান। এদের একজন র‌্যাব সদস্য বলে তিনি স্বীকার করলেও বিস্তারিত আর কিছু বলতে চাননি।

    জেএন/এমআর

  • জঙ্গি ছিনতাইয়ে জড়িত সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ফারুক গ্রেপ্তার

    জঙ্গি ছিনতাইয়ে জড়িত সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ফারুক গ্রেপ্তার

    ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওমর ফারুক নামে এক আইনজীবীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সোমবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার রাতে ওমর ফারুকের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

    তদন্তে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওমর ফারুক পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গির ভগ্নিপতি। তিনি প্রয়াত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের এপিএস ছিলেন।

    সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ওমর ফারুককে ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ওমর ফারুকের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। দুই দফায় চারদিন রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে আছেন।’

    এদিকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান।

    এর আগে ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত ফটকের সামনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে একমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও তাদেরকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    সম্প্রতি ওমর ফারুক নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকাটাইমস। তখন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওমর ফারুকের বেশভূষাও বদলে গেছে। ক্লিন-শেভ চেহারা বদলে গেছে শ্মশ্রুতে। তাতে লেগেছে মেহেদির রঙও। নিয়োজিত ছিলেন আইন পেশাতে। ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অ্যানরোলমেন্ট হয় তার। সদস্য পদ পান পরের বছরের ২৪ মে।

    কী ঘটেছিল ওই রাতে?

    ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতের ঘটনা। হঠাৎ করেই একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে বিজিবি সদর দপ্তরের ফটক দিয়ে। ওই গাড়িতে ছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক। গাড়ির চালক ছিলেন আজম খাঁন। ওই গাড়ি থেকে তখন উদ্ধার করা হয় একটি টাকার বস্তা। যেখানে ৭০ লাখ টাকা ছিল। অভিযোগ ওঠে, রেলওয়ের নিয়োগ বাণিজ্য থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় ওই ঘটনায়। তুমুল সমালোচনার মুখে মন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন প্রয়াত রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এর আগে এপিএস পদ থেকে ওমর ফারুককে বরখাস্তও করেন তিনি।

    গাড়িতে বস্তায় পাওয়া টাকার উৎসের খোঁজে নামে দুদক। অনুসন্ধানে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়ায় ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে দুদক আইনের ২৭(১) ও ২৬(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

    কারাদণ্ড হয়েছিল পাঁচ বছর: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আতাউর রহমান এক রায়ে ওমর ফারুক তালুকদারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে, এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেন আদালত। তার নামে থাকা ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

    রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন ওমর ফারুক। ওই সময় তিনি জামিনে ছিলেন। কিন্তু রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পুলিশ তাকে কারাগারে নিয়ে যায়। পরে তিনি জামিনে ছাড়াও পান।

    ঢাকার মোহাম্মদপুরের যে ফ্ল্যাটটি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত সেই ফ্ল্যাটেই চেম্বার করছিলেন ওমর ফারুক।

    যেভাবে উঠে আসেন ওমর ফারুক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় করেন ২০১১ সালে। দেশব্যাপী রেলপথ বিস্তৃত ও উন্নয়নের জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দেওয়া হয়েছিল রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সুরঞ্জিত রেলমন্ত্রী হওয়ার পর ওমর ফারুককে তার এপিএস করে নেন। ওমর ফারুকের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের হাওরপাড়ের মির্জাপুর গ্রামে।

    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের সাধারণ পরিবেশেই বড় হয়ে উঠেছেন ওমর ফারুক। পরিবারও ছিল স্বনামধন্য। তবে একপর্যায়ে পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা দেখা দেওয়ায় ফারুক ঢাকায় এসে শুরুতে কারওয়ান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে এক হাজার ২০০ টাকা বেতনে চাকরি নেন। সে সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ছিলেন অনুকূল তালুকদার ডালটন।

    অনুকূলের সঙ্গে পরিচয়ের পর একসময় দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অনুকূল ২০০৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন যান। তখন তার জায়গা দখল নেন ওমর ফারুক। ধীরে ধীরে সুরঞ্জিতের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা নির্বাচনী এলাকা থেকে বিজয়ী হন। পরে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর ওমর ফারুক তার এপিএস হিসেবে নিয়োগ পান।

  • মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, চালক আফিজা

    মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, চালক আফিজা

    রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন নিয়ে আসার পরিকল্পনায় তরুণ প্রজন্মের আশা জাগানিয়া প্রকল্প মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া মেট্রোরেলের প্রথম চালক হবেন মরিয়ম আফিজা।

    আগামীকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মেট্রোরেলের এ যাত্রায় সংযুক্ত রয়েছেন ছয় নারী চালক। তাদের মধ্যে মরিয়ম আফিজা উদ্বোধনী দিনই চালকের আসনে বসার প্রস্তুতি শেষ করেছেন।

    এসব তথ্য জানিয়েছেন জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক।

    তিনি জানান, মেট্রোরেল উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষে ট্রেন চালানোর জন্য পর্যাপ্ত চালক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয় জন নারী চালক রয়েছেন। তাদের প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে।

    মরিয়ম আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

    গত বছরের ২ নভেম্বর চালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। টানা এক বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে চালক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

    মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

    মেট্রোরেলের নারী চালক হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মরিয়ম আফিজা বলেন, ‘২০২১ সালের ২ নভেম্বরে আমি নিয়োগ পাই। এর আগে চালক হিসেবে কোথাও কাজ করিনি। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে আমি কয়েকটি ট্রেনিং করেছি। এখনো ট্রেনিংয়ের মধ্যেই আছি।’

    ট্রেন চালানোর জন্য কতটুকু প্রস্তুত জানতে চাইলে মরিয়ম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি চালক হিসেবে ট্রেনিংয়ের সব ধাপ পেরিয়েছি।’

  • হিযবুত তাহরীর শীর্ষ নেতা উদয় গ্রেপ্তার

    হিযবুত তাহরীর শীর্ষ নেতা উদয় গ্রেপ্তার

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও জঙ্গিবিরোধী মামলার দীর্ঘ আট বছর ধরে পলাতক আসামি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর শীর্ষ নেতা নাফিজ সালাম উদয়কে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তার উদয় হিযবুত তাহরীর শীর্ষ নেতা ও দাওয়াতি, অর্থ শাখার সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব। আজ সোমবার সকালে এ তথ্য জানান র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক।

    ফজলুল জানান, গ্রেপ্তার নাফিস সালাম উদয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি নেতা। গ্রেপ্তার এড়াতে পরিচয় গোপর রাখার জন্য দাঁড়ি কেটে লেবাস পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচরে ভাঙ্গারির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তিনি বিভিন্ন ছদ্মবেশে গত ৮ বছর আত্মগোপনে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। উদয়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় মোট ৩টি জঙ্গি মামলা রয়েছে এবং মোহাম্মদপুর থানায় একটি পুলিশের ওপর হামলার মামলা রয়েছে।

    র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এইচএসসি পাস করে ২০০১ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যায় উদয়। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ওপর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসে। দেশে আসার পর সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মাস্টার্স শেষ করে।

    ‘তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিবাদী বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিলেন। তিনি হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ শাখার আমিরের সঙ্গে ও হিযবুত তাহরীর গ্রুপ লিডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করতেন।’

    গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

  • প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে:  ডিএমপি কমিশনার

    প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে: ডিএমপি কমিশনার

    অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার পুলিশপ্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক।

    আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগের দিন শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, ইতিপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।

    তিনি জানান, সম্মেলনস্থলে প্রবেশের প্রতিটি গেটে থাকছে আর্চওয়ে, বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে মঞ্চের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান খন্দকার গোলাম ফারুক।

    তিনি বলেন, এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে।

    এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে।

  • মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অভূতপূর্ব উন্নয়নে অবদান রাখায় মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    শুধু ফসলের মাঠে নয়, ছাদ কৃষিতেও ব্যাপক আগ্রহ ও সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর এ সফলতা এসেছে কৃষিমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। একজন সফল কৃষিবিদ এবং কৃষি গবেষক হওয়ায় কৃষিমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পেরেছেন বলেই কৃষিখাতে বাংলাদেশের এ উন্নতি। এমনকি করোনা মহামারীকালীন সময়ে বিশ্বে যখন অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে, খাদ্য সংকটের কবলে যখন সারাবিশ্ব, সেই কঠিন মূহুর্তে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লকডাউন দেওয়া হলেও কৃষি উৎপাদন একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করোনাকালেও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন কৃষিমন্ত্রী।

    কৃষিতে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন, শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এ কারণেই করোনা মোকাবেলা শেষে অদ্যাবধি খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।

    সুজন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আহবান, দুর্দিনকে রুখে দাড়ান, মুষ্টিচালের সঞ্চয়ে, অভাবে যাবে নির্বাসনে শীর্ষক প্রস্তাবনাটি কৃষিমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন সুজন।

    শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে তাঁর হেয়ার রোডস্থ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজন।

    প্রস্তবনাটি নিম্নরূপ-প্রথমত: বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ১৬ কোটি ধরা হয় এবং প্রতি পরিবারে সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্য হলে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ পরিবার হবে। প্রতি পরিবার যদি একবেলা আহার থেকে ১ মুষ্টি চাল সঞ্চয় করে তাহলে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মুষ্টি চাল হবে এবং দুইবেলায় তা হবে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টি চাল। যদি ২৫ মুষ্টিতে ১ কেজি চাল ধরা হয় তাহলে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টিতে হবে ২৫ লাখ ৬০ হাজার কেজি চাল প্রতিদিন। আর টন হিসেবে তা হবে দৈনিক ২,৫৬০ মেট্রিক টন চাল। মাসে যার পরিমাণ হবে ৭৬,৮০০ মেট্রিক টন চাল। এভাবে যদি সঞ্চয় অব্যাহত থাকে তাহলে বছরে হবে ৯,২১,৬০০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ মুষ্টি চাল সঞ্চয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।

    দ্বিতীয়ত: আমরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিমাত্রায় খাবারের অপচয় করে থাকি। এ অপচয় রোধে সরকার যদি একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে এবং সাথে আইনের কঠোর প্রয়োগ করে তাহলে সারা দেশে শুধু খাবারের অপচয় রোধ করে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য সঞ্চয় করা সম্ভব হতে পারে।

    তৃতীয়ত: বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, দেশে পতিত জমির মোট পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক বা ৪৩ লাখ ৯৩৩১ হেক্টর। পতিত জমি সাধারনত দুই ধরনের, অস্থায়ী পতিত এবং স্থায়ী পতিত জমি। দেশে স্থায়ী পতিত জমির সংখ্যাই বেশি। আবার দেখা যাচ্ছে যে চাষাবাদ যোগ্য জমিতে বেশি লাভের আশায় চাষাবাদ বহির্ভূত চাষ হচ্ছে। এসব চাষও আগামী ২ বছরের জন্য বন্ধ রেখে শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য এসব অস্থায়ী এবং স্থায়ী পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসলে সেসব জমি থেকে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত উৎপাদন করা অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে যদি আমরা ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত সঞ্চয় করতে পারি তাহলে কোন অবস্থাতেই দুর্ভিক্ষ কিংবা খাদ্য সংকট দেশের মানুষকে গ্রাস করতে পারবে না।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গুরুত্বের সাথে সুজনের প্রস্তাবনাসমূহ শ্রবণ করেন এবং প্রস্তাবনাটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত বলে উল্লেখ করেন। তিনি সুজনের উপস্থাপিত মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ সম্ভব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ কৃষিমন্ত্রীর।

  • বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

    বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

    বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে রাজধানী ঢাকা।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২৮৩। সেই হিসেবে ঢাকাকে দ্বিতীয় অবস্থানে রাখা হয়েছে।

    এ ছাড়া একিউআই স্কোর ২৯৪ নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। ২২৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের করাচি।

    তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

    ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • ফারদিনের আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

    ফারদিনের আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়নি। তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন এবং নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ‘তার (ফারদিন) স্পেন যাওয়ার কথা ছিলো, টাকা ম্যানেজ হয়নি। তার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিলো। সবকিছু মিলেই মনে হয়েছে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো।

    ডিবি প্রধান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমরা এর তদন্ত করছি। ঘটনার দিন তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেছেন। তিনি ওই রাতে এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার মানসিক সমস্যা ছিলো বলেই তিনি এরকম এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন।’

    ‘ফারদিন ৪টা টিউশন করাতেন’ উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে তিনি নিজের ও ছোট ২ ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। তারপরও তার বাড়িতে শাসন ছিলো, তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার নির্দেশ ছিলো। হলে থাকা যাবে না। তিনি এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিলেন, যেটা তিনি মানতে পারেননি।’

    ফারদিনের গ্রামীণফোনের নম্বর ট্র্যাক করে তার অবস্থান ডেমরা সেতুর উপর অনুমান করা হয়েছে এবং এই লোকেশনটিতে তিনি লেগুনা থেকে নেমেছিলেন বলে লেগুনা চালক জানিয়েছিলেন। এই দুই লোকেশনের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ডিবি প্রধান। আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন আত্মহত্যা করেছে: ডিবি

    ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘ফারদিন সাঁতার জানতো না। সবকিছু মিলে আমরা মনে করছি এটি আত্মহত্যা।’

    হারুন বলেন, ‘ফারদিন নারায়ণগঞ্জের চানপাড়ায় কোনো অবস্থাতেই যায়নি। কাঁচপুরের সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি। ব্রিজ থেকে পড়ে যে শব্দ হয় সে ব্যাপারে আমরা প্রমাণও পেয়েছি।’

    ডিবি প্রধান বলেন, ‘ঘটনা রাতে তার বান্ধবী বুশরাকে রামপুরা ব্রিজে নামিয়ে দেয়ার পর রাত নয়টার দিকে কেরানীগঞ্জের একটি ব্রিজের কাছে গিয়েছিলো ফারদিন। এরপর সেখান থেকে জনসন রোডে যায়। এরপর গুলিস্তান হয়ে যাত্রাবাড়ীতে। এরপরে সেখান থেকে রাত দুইটার দিকে যাত্রাবাড়ী। দুইটা সাত মিনিটে লেগুনাতে উঠে। পরে দুইটা ৩৪ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজে যায়।’

    ডিবির প্রধান আরও বলেন, ‘ফারদিন যেসব জায়গায় ঘোরাঘুরি করছে এগুলো পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, সে একাই ছিলো। তার সাথে কেউ ছিলো না। এছাড়া সে যার যার সাথে কথা বলেছে তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি।’

    ফারদিনের বান্ধবী ইফাত জাহান মুমুর সঙ্গে মেসেঞ্জার ও টেলিগ্রামে কথোপকথন পুলিশের হাতে আছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান জানান, ‘সেসব কথোপকথনে ফারদিন তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন অনেকবার। মুমুর ভাষ্যমতে ফারদিন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মুমু মনে করেছিলেন।’

    ফারদিনের সুরতহাল প্রতিবেদনে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছেন, তাদের সঙ্গে আমরা অনেকবার যোগাযোগ করি। ভিসেরা রিপোর্ট এখনো আসেনি। পূর্ণাঙ্গ মতামত তারা দেবেন। প্রাথমিকভাবে যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেখানে মাথায় আঘাতের কথা বলা আছে। কিন্তু খুবই সামান্য আঘাত, যে আঘাতে সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে বলে ডাক্তার জানান। যদিও মিডিয়ার সামনে বলে ফেলেছেন মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন থাকলে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে উঠে আসতো।’

    এরকম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরির পর আত্মহত্যা করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ফারদিনও এরকম একা একা ঘুরে বেড়িয়েছেন উদ্দেশ্যহীনভাবে। বুশরাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে নামানোর পর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং কারও সঙ্গে দেখা করেননি। ফারদিনের গত ১ বছরের ফোনের কল ডিটেইল রেকর্ড বা সিডিআর পর্যালোচনা করে আগে কখনো এমন দেখা যায়নি।’

  • স্বেচ্ছায় ব্রিজ থেকে লাফ দেন ফারদিন : র‍্যাব

    স্বেচ্ছায় ব্রিজ থেকে লাফ দেন ফারদিন : র‍্যাব

    বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ স্বেচ্ছায় ডেমরা সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টসহ অন্যান্য সব আলামত বিবেচনায় নিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র‌্যাব।

    বুধবার রাতে রাজধানীন কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

    তিনি বলেন, ‘ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। মৃত্যু সংক্রান্ত অন্য কোনো সূত্র বা আলামত পাওয়া গেলে তা বিবেচনায় নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তবে আমরা সব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ফারদিন স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তিনি একাই সেখানে গিয়েছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

    র‌্যাব বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ঘটনার দিন রাত ২টা এক মিনিটে (সিসিটিভি ফুটেজ টাইম দুইটা তিন মিনিটে) যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা থেকে ফারদিন লেগুনায় ওঠেন। রাত দুইটা ২০ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের অপর পাশে তারাবো বিশ্বরোডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা থেকে নেমে যান।

    তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, রাত দুইটা ২৬ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের তারাবো প্রান্তে ফারদিনের অবস্থান ছিল। রাত দুইটা ৩৪ মিনিটে ব্রিজের প্রায় মাঝখানে আসেন। ব্রিজের তারাবো প্রান্ত থেকে সুলতানা কামাল ব্রিজের মাঝখান পর্যন্ত দূরত্ব আনুমানিক ৪০০-৫০০ মিটার। রাত দুইটা ৩৪ মিনিট ৯ সেকেন্ডে ব্রিজের রেলিং ক্রস করেন ফারদিন। রাত দুইটা ৩৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ফারদিন ব্রিজের ওপর থেকে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেওয়ার পর রাত দুইটা ৩৪ মিনিট ২১ সেকেন্ডে শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে পড়েন ফারদিন। আর রাত দুইটা ৩৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডে ফারদিনের মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত দুইটা ৫১ মিনিটে ফারদিনের হাতের ঘড়িতে পানি ঢুকে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

    কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টসহ অন্যান্য আলামত বিবেচনায় নিয়ে আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন স্বেচ্ছায় সুলতানা কামাল ব্রিজ হতে নদীতে ঝাঁপ দেন।

    এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, তার মাথায় যে আঘাতের কথা বলা হচ্ছে সেটা কতটুকু নিশ্চিত সেব্যাপারে কিছু বলব না। তবে ঝাঁপ দেয়ার সময় সে পিলারের কাছেই পড়েছে।

    মাদক কারবারিরা তাকে হত্যা করতে পারে এমন তথ্য র‌্যাব ও ডিবি শুরুর দিকে জানিয়েছিল। তখন কোন তথ্যের ভিত্তিতে একথা বলা হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা পেয়েছিলাম চনপাড়ার আশপাশের স্থানে ফারদিনের অবস্থান ছিল। সেসময় বিভিন্ন সাংবাদিকরাও সেখানে গেছেন কাজ করেছেন। কেউ হয়তো তাকে চনপাড়ায় নিয়ে হত্যা করতে পারে। বিভিন্ন সময় মাদককারবারিরা অনেককে ধরে নিয়ে চনপাড়ায় ফিডিং দিয়েছে, মালামাল লুট করেছে। চনপাড়ার আশপাশে ফারদিনের লোকেশন ছিল বলে সেখানে আমরা কাজ করেছি। তবে আমরা কখনোই বলিনি ফারদিন মাদকাসক্ত ছিলেন।

    ফারদিনের মৃত্যু রহস্য নিয়ে আমরা অনেক কাজ করেছি। যার যার সঙ্গে কথা বলা দরকার, ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আমাদের ফাইন্ডিংস আমরা তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছি।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, ডাক্তারের বক্তব্য নিয়ে কোনো কথা বলব না। ফারদিনের যে ড্রেসআপ ছিল, ঘরি ছিল, মোবাইল ছিল সবই ঠিক ছিল। ডেড বডির সঙ্গে এসব থাকায় অনেক কিছু বোঝায় যে, অন্তত ছিনতাইকারী তাকে খুন করেনি। মাথা, বুকে আঘাতের চিহ্ন অনেক কারণে হতে পারে। আমরা কনক্লুশন নিয়ে গত ২/৩ দিন ধরে কাজ করছি। আমরা মনে করি ডিবি তদন্ত করছে। তারা কনক্লুশন জানাবেন।

    সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেছে তা দূর থেকে। লাফ দেয়া ব্যক্তির সঙ্গে ফারদিনের চেহারার মিল আপনারা পেয়েছেন কিনা, কীভাবে বলছেন কেউ ব্রিজ থেকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলেনি— এমন প্রশ্নের উত্তরে কমান্ডার মঈন বলেন, দূরের সিসিটিভি ফুটেজ। চেহারা বোঝার উপায় নাই। সময়, পারিপার্শ্বিক তথ্য উপাত্ত, মোবাইল বন্ধ হওয়া ঘরি বন্ধ হওয়া, যেখান থেকে নামছে সেখান থেকে লাস্ট লোকেশন পর্যন্ত দূরত্ব, তদন্তকারী সংস্থাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছি, স্বেচ্ছায় ফারদিন ব্রিজ থেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

    গত ৪ নভেম্বর রামপুরা থেকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যান বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিন দিন পর (৭ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর আগে ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন সবার বড়।

    তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায়। তবে গত দুই বছর যাবত তারা সপরিবারে রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা একটি ইংরেজি পত্রিকায় দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। ছেলের মরদেহ উদ্ধারে পর রামপুরা থানায় মামলা করেন তিনি। এতে ফারদিনের বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুশরার নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে বুশরা কারাগারে রয়েছেন।

  • অনলাইন জুয়ায় হাজার কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৯

    অনলাইন জুয়ায় হাজার কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৯

    অনলাইনে জুয়া খেলে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ৯ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

    বুধবার গাজীপুর সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতাররা হলেন—মো. নাসির মৃধা (৩০), মো. মারুফ হাসান (২৪), মো. জাহিদুল ইসলাম রসুল (২২), মো. আশিকুর রহমান আশিক (২৭), মো. কাউসার হোসেন (২৩), মো. রুবেল হোসেন (২৫), মো. আশিকুল হক (২৫), মো. আকরাম হোসেন রিপন (২৬) ও মো. মুরাদ হাসান (২৫)।

  • আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ

    আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ

    বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সংঘর্ষের সময় আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এবং হাতে শটগান থাকা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    নয়াপল্টনে তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে যে ব্যক্তিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে, তাকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

    তিনি আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য কিনা জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।