Category: রাজধানী

  • রাঙ্গাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে: শহীদ নূরের মা

    রাঙ্গাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে: শহীদ নূরের মা

    এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী গণআন্দোলনে গুলিতে নিহত বীর যোদ্ধা নূর হোসেনকে নিয়ে গতকাল বিরুপ মন্তব্য করায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন নূরের মা মরিয়ম বেগম।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদী অবস্থানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    উপস্থিত সাংবাদিকদের নূর হোসেনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, ৩০ বছর পর এই লোক এতো বড় কথা বলেছে। তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এর বিচারের ভার আমি দেশের মানুষের ওপর সরকারের ওপর ছেড়ে দিলাম।

    গতকাল রোববার জাতীয় পার্টি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র’ দিবসের এক আলোচনায় রাঙ্গা বলেন, নূর হোসেন কে? একটা অ্যাডিকটেড ছেলে। একটা ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর। নূর হোসেনকে নিয়ে গণতান্ত্রিক দুই দল, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নাচানাচি করে।

    বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখবেন নূর হোসেন দিবস। সেই নূর হোসেন চত্বর এরশাদ করে দিয়েছেন। গণতন্ত্রের শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে সাবেক স্বৈর শাসকের দলের মহাসচিবের এমন মন্তব্যে তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাস্তায় নেমেছিলেন নূর হোসেন। ওইদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেন। মিছিলটি জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নূর হোসেন।

  • ৩০ কেজি ওজনের মাছ দেখতে ভিড়

    ৩০ কেজি ওজনের মাছ দেখতে ভিড়

    রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় বড় আকৃতির একটি বাঘা আইড় মাছ দেখতে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক পথচারিরা।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে দুই মাছ ব্যবসায়ী মাছটি বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসেন।

    মাছটি নিয়ে আসা আল আমিন জানান, এটি বাঘা আইড় মাছ। আজ ভোরে যমুনা নদীর সিরিজগঞ্জ এলাকা থেকে এটি ধরেছেন জেলেরা। সেখান থেকে তারা দুজন বিক্রি করার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছেন।

    তিনি জানান, মাছটির ওজন ৩০ কেজি। তারা এটির দাম হাকিয়েছেন কেজি প্রতি ১২০০ টাকা। অর্থাৎ গোটা মাছের দাম তারা চাচ্ছেন ৩৬ হাজার টাকা।

    মাছটি দেখার জন্য দাঁড়িয়ে যান পথচারি বিপুল। তিনি বলেন, ভিড় দেখে চিন্তা একটু উৎসুক হয়েই দাঁড়ালাম। এত বড় সাইজের মাছ আমি আগে কখনো সরাসরি দেখিনি। কেজি ১২শ’ টাকা করে দাম চাচ্ছে তারা। কেনার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু এই মুহূর্তে পকেটে টাকা নেই।

    আরেক পথচারি মশিউল ইসলাম খান বলেন, দাম অনেক বেশি। ইচ্ছা ছিলো কিন্তু পুরো মাছ তো একার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। আর কয়েকজন ক্রেতা পেলে কিনে ফেলতাম।

  • ইডেনে ছাত্রলীগ নেত্রীকে কোপালেন আরেক নেত্রী

    ইডেনে ছাত্রলীগ নেত্রীকে কোপালেন আরেক নেত্রী

    রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছেন আরেক ছাত্রলীগ নেত্রী। এতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

    আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোরে কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, হলে বহিরাগত থাকা নিয়ে শনিবার ভোরে এ সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    সূত্র জানায়, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রূপা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগত শিক্ষার্থীকে (প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের) টাকার বিনিময়ে রাখতেন। তাকে রাখাকে কেন্দ্র করে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রূপা তার অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় রূপা সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন।

    মাহবুবা নাসরিন রূপা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। সাবিকুন্নাহার তামান্না ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, তার বাড়ি বরগুনা জেলায়। ঘটনার পরপরই ইডেন কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    সংঘর্ষের বিষয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপা বলেন, আমরা এমন কোনো সমর্থক তৈরি করিনি, যারা শিক্ষার্থীদের মারধর করবে। ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আঞ্জুমান আরা অনুর সর্মথকরা বঙ্গমাতা হলে গিয়ে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।

    তিনি আরও বলেন, প্রথম আমি খবর পেয়েছিলাম তারা নাবিলা নামে একটি মেয়েকে মারধর করেছে। পরে আমি সেখানে গেলে তারা আমার ওপরও হামলা চালায়।

    লালবাগ থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি হলে মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

  • চিরনিদ্রায় শায়িত সাদেক হোসেন খোকা

    চিরনিদ্রায় শায়িত সাদেক হোসেন খোকা

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, অবিভক্ত সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র,সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। সাদেক হোসেন খোকা দুইবার প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী ছিলেন।

    এর আগে ধূপখোলা মাঠে খোকার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজার পর জুরাইনে নেওয়া হয় তার লাশ।

    জুরাইন কবরস্থানের গেটের সামনে সাদেক হোসেন খোকাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ খোকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে বাবা-মায়ের কবরস্থানের পাশে তাকে শায়িত করা হয়।

    এর আগে গোপীবাগে খোকার বাসভবনে মরদেহ রাখা হয়। সেখানে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বাংলাদেশ সময় গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু সময় আগে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে খোকার লাশ নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন তার স্বজনরা। সাদেক হোসেন খোকার লাশ বহনকারী ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

    এয়ারপোর্ট থেকে নেতাকর্মীবেষ্টিত সাবেক মেয়রের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চারপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ হেঁটে, কেউ গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এগোতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন ‘খোকা ভাইয়ের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘খোকা ভাইয়ের সংগ্রাম, চলবে অবিরাম’, ‘মুক্তিযোদ্ধা খোকা ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’।

    জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেলা ১১টায় সাদেক হোসেন খোকার জানাজা সম্পন্ন হয়। সাদেক হোসেন খোকার দুই ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন ছাড়াও সংসদ ভবনের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেমন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আবদুল মঈন খান প্রমুখ।

    পরে সাদেক হোসেন খোকার লাশ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানেও ছিল মানুষের ঢল। সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    জাতীয় সংসদে জানাজার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখার পর খোকার লাশ নেয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে। দুপুর ১২টা থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে জমায়েত হতে থাকেন। এক সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মানুষে।

    জানাজায় অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। জানাজা পড়ান জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা নেসারুল হক।

    ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেফতার করা হয়। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলে তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান খোকা।

    সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করে দুদক।

    ২০১৫ সালে দুর্নীতির মামলায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের স্মৃতিচারণমূলক কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি।

  • জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

    জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

    আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ১৫ নভেম্বরের পর।

    রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের একথা জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

    দুই সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ইভিএম এর মাধ্যমে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ইসি সচিব।

    ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন একযোগে সম্পন্ন হয়েছিল। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরের পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হবে মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে। আর চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।

    উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হন সাঈদ খোকন। আর ঢাকা উত্তরে মেয়র নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ভোটে নির্বাচিত হয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র হন আরেক ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম। আর চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

  • রেসিডেনসিয়ালের ছাত্র আবরারের মৃত্যুতে সহপাঠীদের বিক্ষোভ

    রেসিডেনসিয়ালের ছাত্র আবরারের মৃত্যুতে সহপাঠীদের বিক্ষোভ

    দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর (কিআ) আনন্দ আয়োজনে বিদ্যুৎস্পর্শে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুতে বিক্ষোভ করেছে তার সহপাঠীরা।

    ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে শনিবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিক্ষোভ করে তারা।

    পরে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পেশ করেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের কাছে।

    গতকাল শুক্রবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসেছিল আবরার।

    সেখানে বিকালে অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে।

    পরে ওই মাঠে স্থাপিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দুজন বিশেষজ্ঞ (এফসিপিএস) চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

    এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

    রাতেই রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে জানাজা শেষে আবরারের লাশ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর অনেকক্ষণ পরও ঘটনা চেপে রেখে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

    এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ। অধ্যক্ষ জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

    নাইমুল আবরার দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তার বাবা মজিবুর রহমান প্রবাসী। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। আবরারের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী জেলায়।

    কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, নাইমুল আবরারকে চিরকাল স্মরণ করা হবে। এ জাতীয় দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্র আবরারের মৃত্যু

    কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্র আবরারের মৃত্যু

    দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর (কিআ) একটি অনুষ্ঠান চলাকালে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাত (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

    কলেজের দিবা শাখার ছাত্র আবরার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি।

    এদিকে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরও বিষয়টি আয়োজক কর্তৃপক্ষ গোপন রাখায় এবং ঘটনার পর তাকে পাশের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়ালে নেওয়ায় রেসিডেনসিয়ালের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

    আবরারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরেও অনুষ্ঠানটি চলতে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

    মোহাম্মদপুর থানার ওসি জিজি বিশ্বাস বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের পেছনে আবরার বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হন। আয়োজকরা তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    জানা যায়, অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছিলেন। কয়েকজন ছাত্র সেখানে গল্প করছিল। এর মধ্যে আবরার জেনারেটরের উপর পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়।

    আবরার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই জানাজা শেষে তার মরদেহ নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আবরারের মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি লিখেছেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ক্লাস নাইনের ছাত্র নাইমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। ওখানেই জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পে তাকে নেয়া হয়। দুজন এফসিপিএস ডাক্তার দেখেন। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

    আনিসুল হক আরও লিখেছেন, ‘আমার জীবনে এর চেয়ে মর্মান্তিক খবর আমি আর পাই নাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি। প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। নাইমুল আবরারের বাবা-মা এবং আত্মীয়রা আছেন। আমি ও কিশোর আলো আজীবন আবারের পরিবারের সঙ্গে থাকব। যদিও এই অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবে না। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছি। নাইমুল আবরারের জন্য দোয়া করছি।’

  • ধানমন্ডিতে গৃহকর্ত্রী-গৃহকর্মীকে গলাকেটে হত্যা

    ধানমন্ডিতে গৃহকর্ত্রী-গৃহকর্মীকে গলাকেটে হত্যা

    রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাড়ির গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্মীকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    শুক্রবার সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন বাড়ির গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম (৬৫ ও গৃহপরিচারিকা দিতি (২০)।

    আফরোজার স্বামী মনির উদ্দিন তারিম বড় ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় তার বডিগার্ড বাচ্চুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    এদিকে বিকালে ২১ বছর বয়সী নতুন এক কাজের মেয়েকে বাসায় নিয়োগ দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মেয়েরও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জানান, খবর পেয়ে ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

    বিকেল চারটার পর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ধারণা করে তিনি আরো বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব না।

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত ধানমন্ডি থাকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক জানান, রুম ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুই রুমে দুইজনকে গলাকাটা অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশের ক্রাইম সিন ও সিআইডি ঘটনাস্থলে এসেছে। এ ঘটনায় বাচ্চু নামে ওই বাড়ির এক নিরাপত্তাকর্মী ও বেলায়েত নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, শুক্রবার বাড়িটির ওই ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী নতুন একজন গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নতুন রাখা ওই গৃহকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

    নিরাপত্তাকর্মী নুরুজ্জামান জানান, বাসার মালিকের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বাচ্চু নামে একজন ওই বাসায় থাকতেন। আজ বিকেল ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে ওই বাসায় একজন কাজের মহিলাকে নিয়ে আসেন বাচ্চু। বিকেল ৪টার পর বাচ্চু কয়েকবার বাসা থেকে নিচে নামেন আবার উপরে উঠেন। ৬টার দিকে বাচ্চু বাসা থেকে বেরিয়ে যান।

    ‘এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চুর সঙ্গে আসা ওই কাজের মহিলা বাসার নিচে নেমে বলেন, এ বাসায় বেতন কম দেবে। এখানে কাজ করবেন না চলে যাবেন। এরপর নুরুজ্জামান ওই নারী ও বাচ্চুকে বলে যেতে বলেন। তখন ওই মহিলা বলেন, বাচ্চু নাই, আমি চলে গেলাম। এরপর সে বাসা থেকে চলে যায়। বাচ্চুও আর ফিরে আসেনি।

    রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আজিমুল হক বলেন, বাসার ভেতরে আলমারি ভাঙা ছিলো। আমরা সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করছি।

  • দশ দিনের রিমান্ডে কাউন্সিলর মঞ্জু

    দশ দিনের রিমান্ডে কাউন্সিলর মঞ্জু

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া তার গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনকে মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুর অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। মাদক মামলায় মঞ্জুর পাশাপাশি তার গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই হারুন অর রশিদ রিমান্ড আবেদন করেন।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর টিকাটুলিতে নিজ কার্যালয় থেকে কাউন্সিলর মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব । তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে কাউন্সিলর মঞ্জুর গাড়িচালক সাজ্জাদকেও গ্রেফতার করা হয়।

    মঞ্জুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক-ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ আছে। বৃহস্পতিবার রাতে ময়নুল হক মঞ্জুর বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করেন র‌্যাব-৩ এর ডিএডি ইব্রাহিম হোসেন।

  • শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না: শাজাহান

    শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না: শাজাহান

    শুধু শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি,সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

    নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের একদিন আগে এর বেশ কিছু ধারার সমালোচনা করে শাজাহান খান বলেন, ‘এখনও বিধি প্রণয়ন করা হয়নি। বিধি প্রণয়ন ব্যতীত আইন প্রয়োগে জটিলতার অবসান হবে কীভাবে?’

    বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

    শাজাহান খান বলেন, ‘চালক বা শ্রমিককে সাজা বা ফাঁসি দিলে দুর্ঘটনা বন্ধ হবে এমন অলীক কল্পনা যারা করেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’

    সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সব দেশে আইন আছে। কেউ কাউকে হত্যা করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ কঠিন আইন থাকার পরও কি হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেছে? তাদের মনে রাখতে হবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হত্যাকাণ্ড নয়। দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। এই দুর্ঘটনার জন্য চালক এককভাবে দায়ী নয়।’

    দুর্ঘটনার ওপর আদালতের কয়েকটি রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘সম্প্রতি দুর্ঘটনার কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় দিয়েছেন। ঢালাওভাবে এ ধরনের রায় কোনো দেশে নেই। এতে মালিক-শ্রমিক গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। এসব রায় সড়কে কতটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুধু শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। বরং সড়ক আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের প্রস্তাবিত ১১১টি সুপারিশের বাস্তবায়ন জরুরি।’

    সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন শাজাহান খান। তার দাবিগুলো হলো- সড়ক দুর্ঘটনার মামলাকে জামিনযোগ্য করতে হবে। তদন্ত ব্যতীত দুর্ঘটনার মামলা ৩০২ ধারায় দায়ের করা যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনার মামলা নিরপেক্ষতার স্বার্থে পুলিশ ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তদন্ত করতে হবে। প্রস্তাবিত ১১১টি সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। আইনটির কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য শ্রমিক ফেডারেশনের প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। লোডিং পয়েন্টে ওভারলোড চেক করার ব্যবস্থা করতে হবে।

    শাজাহান খান বলেন, ‘আইনটি ভেটিংয়ের সময় মালিক ও শ্রমিকরা এর কয়েকটি বিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কিছু গ্রহণ করা হয়, আবার কিছু গ্রহণ করা হয়নি। আইনটি পাস হওয়ার পর আমরা দেখতে পাই আইনের মধ্যে কিছু অসামঞ্জস্য রয়ে গেছে। আমরা বিষয়গুলো সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টিতে আনি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দেন। কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে আমাদের কয়েকটি প্রস্তাবের যৌক্তিকতার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’

    আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘একথা সত্য, এই আইনে মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেকগুলো ধারা রয়েছে। তবে কিছু ধারা সম্পর্কে আমাদের আপত্তির জায়গাটা বিবেচনা করা হোক, এটাই আমাদের দাবি। বর্তমান সরকার আইনটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। প্রশ্ন হলো এখনও বিধি প্রণয়ন করা হয়নি। বিধি প্রণয়ন ব্যতীত আইন প্রয়োগে জটিলতার অবসান হবে কীভাবে?’

    শাজাহান খান বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু যাত্রী বা পথচারী নিহত হয় না। চালক বা শ্রমিকও নিহত হন। চালক বা শ্রমিকের কারণে যদি দুর্ঘটনা ঘটে তার দায়ভার চালক ও শ্রমিকের। আইন অনুযায়ী তাদের সাজা হবে। অন্য কারণে দুর্ঘটনার দায়ভার তারা নেবে কেন?’

    উদাহরণ দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘রেলপথের ওপর মোবাইল ফোন কানে দিয়ে কথা বলতে গিয়ে আনমনা কেউ ট্রেনের চাকায় কাটা পড়লে, তার জন্য কি ট্রেনের ড্রাইভারকে দায়ী করা হয়?’

    এসময় আইন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অবলোকন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান শাজাহান খান।

  • কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার

    কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে অবৈধ দখলদারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

    বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ওয়ারী থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলার সূত্র ধরে কাউন্সিলর মঞ্জুর নিজ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুর বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের সময় তার কার্যালয় থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়।

  • সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক শিশুর মৃত্যু

    সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক শিশুর মৃত্যু

    রাজধানীর মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় গতকালের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় চোখ হারানো শিশু নিহাদের (৮) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার শরু মিয়ার ছেলে নিহাদ। রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার ১২ নম্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে।

    বুধবার বিকেল পৌনে ৪টায় রূপনগর আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, রূপনগরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ শিশু, ২ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছে।