Category: রাজধানী

  • সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সারা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। ভোলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    শুক্রবার উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মাঠে অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    দুই দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১৩টি বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬টি দল।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। এখানে কোনো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নেই। সব রাষ্ট্রদূতরা অনুভব করেন বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ।

  • হাইকোর্টেও নুসরাত হত্যার আসামিদের সাজা বহাল থাকার আশা আইনমন্ত্রীর

    হাইকোর্টেও নুসরাত হত্যার আসামিদের সাজা বহাল থাকার আশা আইনমন্ত্রীর

    ‘নুসরাত হত্যার রায় উচ্চ আদালতে এলে এবং আসামিদের ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়ে দ্রুত শুনানির উদ্যেগ নেওয়া হবে। ফলে হাইকোর্টেও মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা বহাল থাকবে বলে আশা করছি’

    ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য) হাইকোর্টে এলে তা দ্রুত শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

    শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

    আনিসুল হক বলেন, “নুসরাত হত্যা গুরুত্বপূর্ণ মামলা, গুরুত্ব সহকারে শেষ করেছেন প্রসিকিউশন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করার দৃষ্টান্ত হলো এই রায়। নুসরাত হত্যার রায় উচ্চ আদালতে এলে এবং আসামিদের ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়ে দ্রুত শুনানির উদ্যেগ নেওয়া হবে। ফলে হাইকোর্টেও মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা বহাল থাকবে বলে আশা করছি।”

    সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী বলেন, “এ মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে, তা জানা নেই। তবে এ মামলার তদন্তে হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই।”

    “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা প্রদানকারী জজদের পুরস্কার হিসাবে হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে”— বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আনিসুল হক বলেন, “খালেদা জিয়া দুর্নীতি করে সাজা খাটছেন। বিচারকের কোনও দোষ নেই।” হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ যথাথই হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ।

    এ মামলার রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড সাজা ঘোষণা করা হয়। আসামিরা হলো— সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত জাহান রাফি মারা যান।

  • নির্মল-সাচ্চু স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব

    নির্মল-সাচ্চু স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের আসন্ন সম্মেলনের জন্য নির্মল রঞ্জন গুহ এবং মেজবাহ উদ্দিন সাচ্চুকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে।

    নির্মল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সাচ্চু কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের বর্ধিত সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

    ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীর অব্যাহতির পর গত বুধবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওছারকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

    ক্যাসিনো কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ যে কয়জনের নামে রয়েছে, তার একজন ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের সভাপতি মোল্লা কাওছার। ইতিমধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথকেও সাংগঠনিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

    প্রসঙ্গত ক্যাসিনোকাণ্ডে খড়গ নেমে আসার পর যুবলীগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আরও তিনটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ একসঙ্গে ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

    আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে। এর আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন।

  • ওয়্যার হাউজে অবৈধ মদ ও ফেনসিডিল

    ওয়্যার হাউজে অবৈধ মদ ও ফেনসিডিল

    ক্যাসিনোতে মাদক সরবরাহের অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের একটি মদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে সর্ব সাধারণের কাছে বিক্রি নিষিদ্ধ এমন হুইস্কি, বিদেশি মদ ও ফেনসিডিলের অতিরিক্ত মজুদ পেয়েছে র‌্যাব।

    র‌্যাব জানায়, এসব মদ কূটনীতিকদের কাছে বিক্রির অনুমতি থাকলেও তারা ব্ল্যাক মার্কেটে বিক্রি করত।

    বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৮ নম্বর সড়কের ইস্টার্ন ডিপ্লোম্যাটিক নামের ওয়্যার হাউজে এ অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

    রাত ১২টার দিকে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওয়্যার হাউজটির সরকারি অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য মজুদ রেখেছিল এবং ব্ল্যাক মার্কেটে বিক্রি করত। এছাড়া এখান থেকে বিভিন্ন ক্লাব ও ক্যাসিনোতে মাদক সরবরাহ করা হতো। অভিযানে প্রায় শতাধিক বোতল ফেনসিডিলের বোতল পাওয়া গেছে।

    সারওয়ার আলম আরো বলেন, ‘ওয়্যার হাউজটি থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে ডিপলোমেটরা কাগজপত্র দেখিয়ে পরিমাণ মতো অ্যালকোহল কিনতে পারেন। দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর এটি বন্ধ থাকবে। একজন কাস্টমস কর্মকর্তা সিলগালা করে রাখবেন। পরেরদিন আবার খুলবেন। এখানে কি পরিমাণ স্টকস থাকবে তাও রেজিস্ট্রারে লেখা থাকবে। তবে গুলশানের এই ওয়্যার হাউজে যে কক্ষে অনুমোদিত অ্যালকোহল থাকার কথা সে কক্ষে ছিল না। কক্ষের বাইরেও অনেক মদ, বিয়ার পাওয়া গেছে। এমনকি ফেনসিডিলও পাওয়া গেছে। যা অপরাধ। তাই মাদক আইনে মামলা হবে।

  • ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ শিলা

    ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ শিলা

    প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯’ নির্বাচিত হয়েছেন শিরিন আক্তার শিলা। আর প্রথম রানারআপ হয়েছেন আলিশা ইসলাম এবং দ্বিতীয় রানারআপ (তৃতীয়) হয়েছেন জেসিয়া ইসলাম।

    বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বসুন্ধরা কনভেশনের নবরাত্রী হলে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের নাম।

    প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চে ‘মিস ইউনিভার্স’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেলেন ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিরিন আক্তার শিলা।

    শিরীন আক্তার শিলা

    চ্যাম্পিয়ন শিলার মাথায় ৭৫০টি ডায়মন্ড খচিত প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের শৈল্পিক মুকুট (ক্রাউন) পরিয়ে দেন সাবেক মিস ইউনিভার্স (১৯৯৪) ও বলিউড তারকা সুস্মিতা সেন। যিনি এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ও অতিথি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মূলত এ আয়োজনের জন্যই বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় আসেন।

    সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই আসরে সুস্মিতা যোগ দেন রাত সোয়া ৯ টার দিকে। মঞ্চে এসে বলিউডের ব্লকবাস্টার ‘ম্যায় হু না’ ছবির এই নায়িকা বলেন: মিস ইউনিভার্সের প্ল্যাটফর্ম-এর মাধ্যমে আমাকে সারা বিশ্ব চিনেছে। এ ধরণের আন্তর্জাতিকমানের আয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য ভাষা ব্যাপার না, আত্মবিশ্বাসটাই আসল।

    প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে শিরিন আক্তার শিলা বলেন, আজ থেকে আমিই বাংলাদেশ। আমার বাবা একজন সৈনিক(বিজিবি)। বাবার মতো আমিও দেশের জন্য কাজ করবো।

    শিলার বাড়ি ঠাকুরগাঁও এর পীরগঞ্জে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন।

    ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর চেয়ারম্যান রিজওয়ান বিন ফারুক জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর বসবে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ৬৮ তম আসর। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’- প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিলা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

    গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার তরুণী আবেদন করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন ধাপে যাচাই বাছাই করে গ্র্যান্ড ফিনালেতে রাখা হয় সেরা ১০ প্রতিযোগী।

    সেরা তিন:আলিশা,শিলা,জেসিয়া

    তারা হলেন: তামান্না ইসরাত সোহানী, মারিয়া মুমু, সানোবার তাইফা, আফলা আম্রান, শিরিন আক্তার শিলা, জেসিয়া ইসলাম, স্মৃতি আক্তার, ইরানা ইশরাত, আলিশা ইসলাম, তসিবা আনিতা ইসলাম। তারা প্রত্যেকেই ১৮ থেকে ২৮ বয়সী অবিবাহিত নারী।

    এই ১০ জনের মধ্য থেকে নির্বাচিত করা হয় সেরা ৫ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন মারিয়া মুমু, জেসিয়া ইসলাম, শিরিন আক্তার শিলা, আলিশা ইসলাম, আলফা আম্রান।

    ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এ মূল বিচারক হিসেবে ছিলেন সংগীত তারকা ও অভিনেতা তাহসান খান, রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, হেরিটেজ ক্র্যাফটসের তুতলি রহমান তুতলি রহমান, রুবাবা দৌলা ও ফারজানা চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান, প্রমুখ।

     

  • গাছ কেটে ভাইরাল হওয়া লাকি আটক

    গাছ কেটে ভাইরাল হওয়া লাকি আটক

    সাভারের সিআরপি এলাকায় ছাদবাগানের গাছ কেটে ভাইরাল হওয়া খালেদা আক্তার লাকীকে আটক করেছে পুলিশ।

    বুধবার সকালে সাভারের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সাঈদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খালেদা আক্তার লাকীকে আটক করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সুমাইয়া হাবিব নামে সাভারের বাসিন্দা সিআরপি এলাকার বাসিন্দা মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে খালেদা আক্তার লাকীকে দা হাতে ছাদবাগানের গাছ কেটে ফেলতে দেখা যায়। ভিডিওটি ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছু গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়।

    ফেসবুকে ভিডিও শেয়ারের পাশাপাশি একটি দীর্ঘ পোস্টও দেন সুমাইয়া হাবিব। পোস্টে গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি উল্লেখ করে সুমাইয়া লেখেন, ‘এই মহিলার গাছ পছন্দ না। তার বক্তব্য, আমাদের গাছ ছাদের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। তাই এই মহিলা আমাদের সব গাছ কেটে ফেলছে। কী অপরাধ ছিল গাছের? কী অপরাধ ছিল? কেউ বলতে পারবেন?’

    অবশ্য মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে খালেদা আক্তার লাকীকে নির্দোষ দাবি করেন তার ছেলে।

  • আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে বিমান ভ্রমণ : প্রধানমন্ত্রী

    আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে বিমান ভ্রমণ : প্রধানমন্ত্রী

    বিমান ভ্রমণ আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক ও পেশাদার বিমানবাহিনী গঠনে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউইর্য়ক, টরেন্টো ও সিডনিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বিমান বাংলাদেশ।

    বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন করতে দেশের বিমানবন্দরগুলোকে আধুনিকায়নের কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার কাজ চলছে, যেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও যেন তা ব্যবহার করতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আকাশপথে বিশ্বের দূরবর্তী গন্তব্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য আরও দুটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, বিমান বাহিনীকে সবদিক থেকে সচ্ছল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজও চলছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচলে ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিমান বাংলাদেশেরও উন্নয়ন করা হচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সামরিক কৌশলগত দিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বিমান বাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে ১৯৭৩ সালে সে সময়ের সব থেকে আধুনিক মিগ ২১ সুপারসনিক ফাইটার বিমানসহ পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, এয়ার ডিফেন্স, রাডার ইত্যাদি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছিল।

    প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও জানান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পুনরায় সরকার গঠন করে, তখন আবার আমরা বিমান বাহিনীকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি। এবং সেসময় আমরা চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান মিগ ২৯, ইয়ার ১৩০, আধুনিক পরিবহন সি ১৩০ সহ আরও বেশ কিছু বিমান বাহিনীতে সংযোজন করি।

    শেখ হাসিনা জানান, ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করি। তখন আমরা বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি রক্ষাণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জনের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিই। আমরা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু এরোনোটিক্যল সেন্টার স্থাপন করেছি। নিকট ভবিষ্যতে এই সেন্টারে যুদ্ধ বিমানসহ বর্তমানে ব্যবহৃত বেসামরিক বিমানও মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা রাখি।

    এসময় তিনি আরও বলেন, বিগত পৌনে ১১ বছরে বিমান বহরে আমরা বোয়িং কোম্পানির চারটি অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বিমান সংযুক্ত করেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আকাশ পথে স্থাপন করতে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি, নিউইয়র্ক, টরেন্টো, সিডনির মতো দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব। এ লক্ষ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটিকে ক্যাটাগরি ১ এ উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে।

    এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যৌথ ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেইফটি সেমিনার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ঢাকায় শুরু হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সেমিনার উদ্বোধন করেন।

    এ সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য নিরাপদ উড্ডয়ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, তদন্ত, উড্ডয়ন ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং সর্বোপরি নিরাপদ উড্ডয়নের ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা।

    উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, স্বাগতিক বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, মিসর, ওমান, মরক্কো, নাইজেরিয়া এবং জিম্বাবুয়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

    সেমিনারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্ট গার্ড, এমআইএসটি, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশন, পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লি., ফ্লাইং ক্লাবসহ নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, মেঘনা এভিয়েশন গ্রুপ, আর অ্যান্ড আর অ্যাভিয়েশন, স্কয়ার প্রমুখ সংস্থা বাংলাদেশে বিদ্যমান সরকারি বেসরকারি সব এয়ারলাইন্স অংশগ্রহণ করে।

  • নদীর তীরবর্তী প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রয়ে সতর্ক থাকুন

    নদীর তীরবর্তী প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রয়ে সতর্ক থাকুন

    রাজধানীর চারদিকে নদীর তীরবর্তী হাউজিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

    মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকার চারপাশের নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে অভিযান পরিচালনা করছে।

    এ অপসারণ কাজ পরিচালনার সময় লক্ষ্য করা গেছে, বহু বেসরকারি হাউজিং সোসাইটি নদীর জায়গা দখল করে লিজ গ্রহীতাদের প্রতারিত করে প্লট কিংবা ফ্ল্যাট বরাদ্দ করেছেন। এ সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার ফলে প্লট গ্রহীতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বিআইডব্লিউটিএ ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদীর ১৭ হাজার ৯০১টি ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে প্রায় ৬৬৯ দশমিক ১৮ একর নদীর ভূমি উদ্ধার করেছে।

  • রাজধানীতে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ২৮৮টি ট্রফিসহ চামড়া উদ্ধার

    রাজধানীতে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ২৮৮টি ট্রফিসহ চামড়া উদ্ধার

    রাজধানীর পরীবাগ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ২৮৮টি ট্রফিসহ চামড়া উদ্ধার করেছে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

    সোমবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পরীবাগে ডিআইটি সুপার মার্কেটে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানান বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক এবং আব্দুল্লাহ আস সাদিক।

    অভিযানে চিতাবাঘের চামড়া একটি, লজ্জাবতী বানরের চামড়া দুটি, গুইসাপের চামড়া ২২৭টি, হরিণের শিং একটি, সাপের চামড়ার মানিব্যাগ দুটি, সাপের চামড়ার হ্যান্ডব্যাগ ২১টি, হরিণের চামড়ার ব্যাগ ৩২টি, মেছোবাঘের চামড়া একটি, বনবিড়ালের চামড়া একটি, প্রবাল তিনটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মোট ২৮৮টি ট্রফি ও চামড়া উদ্ধার করা হয়।

    ট্রফি হলো কোনো মৃত বা আবদ্ধ বন্যপ্রাণীর সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ, যা প্রক্রিয়াজাত করে স্বাভাবিকভাবে রাখা হয়।

    অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবসা করার দায়ে হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মমিনুল ইসলাম নামের অপর ব্যক্তিকেও এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • দিনমজুর থেকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’

    দিনমজুর থেকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’

    ছিলেন দিনমজুর। বহু কষ্টে জমানো টাকায় খুলে বসেছিলেন একটা টং দোকানও। তারপর খুব দ্রুত বদলে গেল সবকিছু।

    দিনমজুর সেই লোকটিই রাতারাতি হয়ে গেল বিলাসবহুল বাড়ি আর গাড়ির মালিক।

    ছয় বছর আগে একমাত্র বাহন অল্প দামি একটি মোটরসাইকেল থাকলেও ছয় বছর শেষে হয়েছে কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল গাড়ি। কিছুদিন পরপরই তিনি পরিবর্তন করেন গাড়ির ব্র্যান্ড। যেখানেই যান, তার গাড়িবহরের সামনে-পেছনে থাকে শতাধিক সহযোগীর একটি দল। নিজের সংগ্রহে রয়েছে মার্সিডিস, বিএমডব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডব্লিউ স্পোর্টসসহ নামিদামি সব ব্র্যান্ডের গাড়ি।

    এই হলো কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীবের গল্প। রাজীবের গল্পটা শুনে মনে হতেই পারে যে, সে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়েই ধনী হয়ে গেছে। কিন্তু গল্প আর বাস্তব এক নয়। তবে গল্পের সাথে বাস্তবের কিছু মিল থেকেই যায়।

    রাজীবের আলাদীনের প্রদীপ না থাকলেও ছিল প্রদীপের দৈত্যের মতো বিশাল রাজনৈতিক গডফাদার। মূলত এই গডফাদারদের জোরেই টং দোকানদার থেকে মোহাম্মদপুরের `সুলতান’ হতে পেরেছিল রাজীব।

    দামি ব্র্যন্ডের গাড়িতে চড়তেন রাজীব

    জানা গেছে, মোহাম্মদপুরে যুবলীগ দিয়েই শুরু রাজীবের রাজনৈতিক জীবন। মাত্র এক বছরের রাজনীতি করেই বাগিয়ে নেয় মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ। এ পদ পেয়েই থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করে। সে সময় যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। শোনা যায়, রাজীব মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে উল্টো ঢাকা মহানগরী উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বনে যায়। এই পদ কিনতে সে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছিল বলে জানা যায়।

    ২০১৪ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পর মাত্র কয়েক বছরেই রাজীব কয়েক শ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। শোনা যায়, কাউন্সিলর নির্বাচন করার আগে রাজনীতির পাশাপাশি এক চাচাকে কাজকর্মে সহযোগিতা করতো সে। ওই চাচা ঠিকাদারি করতেন। নির্বাচনের সময় তার ওই চাচা একটি জমি বিক্রি করে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে রাজীবকে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে সহযোগিতা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ওই চাচার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে রাজীব।

    মাত্র ছয় বছর আগেও মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়ির নিচতলার গ্যারেজের পাশেই ছোট্ট এক বাড়িতে ৬ হাজার টাকায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকত রাজীব।

    মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর প্লটে রয়েছে রাজীবের ডুপ্লেক্স বাড়ি। জানা গেছে, ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়িটি করতে খরচ হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এর বাইরে রহিম ব্যাপারী ঘাট মসজিদের সামনে আবদুুল হক নামে এক ব্যক্তির ৩৫ কাঠার একটি প্লট যুবলীগের কার্যালয়ের নামে দখল, ওই জমির পাশেই জাকির হোসেনের ৭-৮ কাঠার ১টি প্লট দখল করেছিলেন। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়ূর ভিলার মালিক রফিক মিয়ার কয়েক কোটি টাকা দামের জমি দখল করেন রাজীব। পাবলিক টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে জমিটি দখল করলেও সেখানে ৫টি দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছেন। ঢাকা রিয়েল এস্টেটের ৩ নম্বর সড়কের ৫৬ নম্বর প্লট, চাঁদ উদ্যানের ৩ নম্বর সড়কের রহিমা আক্তার রাহি, বাবুল ও জসিমের ৩টি প্লটসহ অন্তত ১০টি প্লট দখল করেছেন তিনি। বিদেশেও আছে অঢেল সম্পত্তি।

    জানা গেছে, রাজীবের আয়ের মূল উৎস হলো সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া, জমি দখল, তদ্বির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং ক্যাসিনো ব্যবসা।

    রাজীবের সব অপকর্মের সঙ্গী যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন, সিএনজি কামাল, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক, রাজীবের স্ত্রীর বড় ভাই ইমতিহান হোসেন ইমতিসহ অর্ধশত ক্যাডার। অভিযোগ রয়েছে, রাজীবের নির্দেশেই যুবলীগ কর্মী তছিরকে হত্যা করে রাজীবের ঘনিষ্ঠরা।

    ২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে রাজীব ছিল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিভিন্ন কারসাজি করে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারায় সে।

    অভিযোগ রয়েছে, এর পর থেকেই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নানাভাবে অপমান অপদস্থ করে আসছিল সে।

    মোহাম্মদপুরের পুরো নিয়ন্ত্রণই চলে গিয়েছিল তার হাতে। মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, বসিলার পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং অটোরিকশা, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাস থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তোলে তার লোকজন। পাঁচ বছর ধরে এলাকার কোরবানির পশুর হাটের ইজারাও নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল রাজীব।

    সেপ্টেম্বরে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর সে অন্তত ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তার গ্রেপ্তার আটকাতে চেয়েছিল বলে দাবি করেছে একটি সূত্র।

    কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত চেষ্টাই বিফলে গেল।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদপুর-বসিলা-ঢাকা উদ্যানসহ আশপাশ এলাকার অঘোষিত সম্রাট রাজীবের সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। দিনমজুর থেকে চাঁদাবাজি ও দখলের টাকায় ধনকুবের হয়ে ওঠা রাজীব গতকাল ভাটারা থেকে আটক হয়েছেন র‌্যাবের হাতে। ওই বাড়িতে রাজীব ১৩ অক্টোবর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। বাড়িটি তার আমেরিকাপ্রবাসী বন্ধুর।

  • ক্যাসিনো থেকে মাসে চার লাখ টাকা নিতেন মেনন

    ক্যাসিনো থেকে মাসে চার লাখ টাকা নিতেন মেনন

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাছ থেকে প্রতি মাসে ক্যাসিনো ব্যবসার টাকা থেকে চাঁদা নিতেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্রাট।

    শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে র‍্যাব সদর দফতরের লে. কর্ণেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ওই সূত্র আরও জানায়, সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া পরিচালিত ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তাকে প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা করে দিতেন সম্রাট আর খালেদ। সবশেষ এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে না দেওয়ায় গালাগালিও করেছেন তিনি।

    সম্রাটের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট র‍্যাবের এই তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সম্রাটের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১০ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে র‌্যাবকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সম্রাট।

    প্রসঙ্গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। পরে ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করে র‌্যাব।

    সবশেষ মঙ্গলবার সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।

    ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ফকিরাপুরের ইয়ংমেনস ক্লাবে। ক্লাবটির চেয়ারম্যান স্থানীয় সাংসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

    অবশ্য ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন রাশেদ খান মেনন এমপি।

    তিনি বারবারই গণমাধ্যমে বলছেন, ক্লাব পরিচালনা ও ক্যাসিনোর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার দাবি, চেয়ারম্যান পদটি আলংকারিক, দায়িত্বের না।

  • ডিএনসিসি কাউন্সিলর রাজীব আটক

    ডিএনসিসি কাউন্সিলর রাজীব আটক

    ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র‍্যাব।

    শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে বসুন্ধরায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

    র‍্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রইসুল ইসলাম মনি রাজীবের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি, এলাকায় মাস্তানি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নিজস্ব লোক দিয়ে ট্রাক-লেগুনা স্ট্যান্ড ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা নেওয়ার সঙ্গে কাউন্সিলর রাজীব জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

    তাছাড়া সদ্য বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের মাধ্যমে এক কোটি টাকা দিয়ে পদটি নিয়েছেন তিনি।

    সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে প্রকাশ্যে তাকে খুব একটা বেশি দেখা যায়নি। গ্রেফতারের ভয়ে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীর জানিয়েছেন।