Category: রাজধানী

  • ‘ঢাকা পিস টক’ কর্মসূচির যাত্রা শুরু

    ‘ঢাকা পিস টক’ কর্মসূচির যাত্রা শুরু

    উগ্রবাদে দীক্ষিত হওয়ার লক্ষণগুলো ও কেউ দীক্ষিত হলে তার সমাধানের ব্যবস্থা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে, সরকারের বাইরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে সংলাপ করা জরুরি।

    সেলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে আজ থেকে শুরু হলো ‘ঢাকা পিস টক’ কর্মসূচি। ১২ টি রাউন্ড টেবিল ১২টি বিষয়বস্তু নিয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে বলে জানান ‘ঢাকা পিস টক’ কর্মসূচির আয়োজক সেন্ট্রার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড রিসার্স ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ)।

    আজ (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে উগ্রবাদ নির্মূলে সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিসার্ফ) উদ্যোগে ‘ঢাকা পিস টক’ নামে একটি কর্মসূচী উদ্বোধন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    এ কর্মসূচীতে সার্বিক সহযোগিতা করবে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এবং অর্থায়ন করছে ইউএসএআইডি।

    এই কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসার্ফ এর প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজীমসহ ইউএসএইড এর প্রতিনিধি ও সংবাদ মাধ্যমের বিশিষ্ট্য জনেরা।

    ‘ঢাকা পিস টক’ প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হলেও বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে পড়েছে। সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী কার্যক্রম একটি লংটার্ম প্রসেস। উগ্রবাদ দমনে শুধু পুলিশই নয়, পরিবার, সিভিল সোসাইটিসহ সকলের সম্মিলিত প্রয়াস থাকতে হবে। সিটিটিসি উগ্রবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করছে, মামলার তদন্ত করছে। পাশাপাশি উগ্রবাদে প্রিভেন্টিভ উদ্যোগ হিসেবে ঢাকা পিস টক কাজ করবে বলে জানান তিনি।

    ২৫-৩০ বছর বয়সী যুবকরাই উগ্রবাদে জড়িত হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উগ্রবাদ একটি মতবাদ, এটিকে রুখতে পাল্টা মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করবে।

    ঢাকা পিস টকের মতো কার্যক্রম ঢাকার বাইরে শুরু করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা পিস টক নামে একটি প্রোগ্রাম ঢাকায় চালু হচ্ছে। ঢাকায় সাকসেসফুল হলে দেশের অন্য কোথাও চালুর চিন্তা করা হবে। এ ধরনের কার্যক্রম আরো বেশি আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, হলি আর্টিজান পরবর্তি সময়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসবাদ কমে যাওয়ায় এ কার্যক্রম কমে গেছে। কিন্তু জঙ্গিবাদের ঝুঁকি কমে যায়নি, এটা রিয়াল থ্রেট। এখনো বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আরো সুসংহতভাবে কাজ করবে ঢাকা পিস টক। আমরা ১২টি রাউন্ড টেবিল মিটিংয়ে ২৫জন করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ করব। আমাদের বিশ্বাস তাঁরা এখান থেকে উগ্রবাদ বা সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলার শিক্ষা নিয়ে সমাজে সোশ্যাল এ্যাম্বাসিডর হিসেবে কাজ করবে।

    সম্প্রতি গ্রেফতার জঙ্গিদের বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, এদের মধ্যে কেউ আগে থেকে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে, কেউ নতুন করে জড়িয়েছে। বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠির ইন্টারনেটে লুকরেটিভ এবং এট্রাকটিভ প্যাকেজ থেকে তরুণরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম কম, দায়িত্ববোধ নেই, মতাদর্শে দূর্বল, যারা বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেনা এবং মানষিকভাবে দূর্বল তরুণরাই নতুন করে রেডিকালাইজড হচ্ছে।

    সিসার্ফ এর প্রধান শবনম আজীম এই কর্মসূচীর মূল্য উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলেন, সেন্ট্রার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড রিসার্স ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ) একটি অলাভজনক থিংকট্যাংক, যেটি সামাজিক অ্যাডভোকেসি, গবেষণা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে থাকে। এটি বাংলাদেশে অনেক দিন থেকে কাজ করছে। একদল গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দক্ষ সাংবাদিকের সমম্বয়ে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানটি কৌশলগত চিন্তক ও অ্যাকাডেমিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমান বিশ্বে সহিংস উগ্রবাদ বা মতাদর্শিক সহিংসতা, এমন এক নতুন সংকট, যার আঁচ আমাদেরও লাগছে, যা সাধারণ কোনো আইন-শৃংখলা সংকট নয়, আমরা সবাই তা জানি, বুঝি, মানি। কিন্তু কেউ তলিয়ে দেখি না, সমস্যাটার প্রকৃতি কী। বৈশ্বিকভাবে মতাদর্শিক সহিংসতার নানান মাত্রা ও রূপ আছে। এটা মোকাবেলা করা সহজ নয়, কারণ একটা বিশেষ সমাজের কাঠামো, মূল্যবোধ – এরকম নানান বিষয় এর সঙ্গে জড়িত।

    এসব চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় না নিয়ে মতাদর্শিক সহিংসতা প্রতিরোধের কোনো কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে আনে না। শুধু যে ধর্মীয় উন্মাদনার কারণেই সহিংস উগ্রবাদের ঘটনা ঘটছে তা কিন্তু নয়। নানা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বঞ্চনাও এর জন্য দায়ী। কী কারণে আমাদের তরুণরা সহিংস উগ্রবাদী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে আরও বেশি করে অনুসন্ধান করতে হবে।

    পরিসংখ্যান বলে তরুণরাই সহিংস উগ্রবাদে বেশি ঝোঁকে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো জাতি। কোনো শিক্ষার্থী যাতে উগ্রবাদে জড়াতে না পারে, সেজন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দরকার পরিবারভিত্তিক মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তারপর সামাজিক পরিবেশে ও সবশেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই উগ্রবাদ বিরোধী মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

    গবেষণার ফল বলে উগ্রবাদ সৃষ্টির কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। কেননা একেক পরিস্থিতিতে একেকভাবে উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কোনও ছকেই এই উগ্রবাদকে সরলীকরণ করা যাবে না। সহিংস উগ্রবাদ বা এর ঘনীভূত রূপ সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো একটি দীর্ঘমেয়াদী জটিল কাজ কোন সুনির্দিষ্ট বাহিনী, সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব না।

    যদি মতাদর্শিক সহিংসতা মোকাবেলা করতে হয়, তাহলে এর প্রকৃতি বুঝতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে এর চালকগুলোকে। ওপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে কিছু হবে না। যদি কোনো পরিকল্পনা তৈরি করা হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে ভূক্তভোগীদেরও তাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঢাকা পিস টক সেরকমই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন অ্যাপ্রোচ তৈরির উদ্যোগ। এটি ইউএসএইড-এর অবিরোধ: রোড টু টলারেন্স প্রোগ্রামের সহায়তায় বাস্তবায়ন করবে সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বা সিসার্ফ। আর এই যাত্রাপথের সার্বিক সহায়ক হবে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

    যে কারণগুলো মানুষকে উগ্রবাদের পথে নিয়ে যায়, সিসার্ফ ‘ঢাকা পিস টকের মাধ্যমে সেগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি শুধু সমস্যা নির্ণয় নয়, এসবের সমাধানের পথও দেখাবে। প্রথমে সমাজের ৩৬ জন বিশিষ্ট নাগরিকের একটি প্যানেল তৈরি করা হবে। এরপর ১২টি ইস্যুতে অনুষ্ঠেয় ডায়ালগে অংশগ্রহণ করবে অভিভাবক, শিক্ষক, বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সরকারি প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক এনজিও, থিংক ট্যাংক, নারী নেত্রী, সিভিল সোসাইটি সংগঠন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, আদিবাসী গ্রুপ, তরুণসমাজ, লেখক, ব্লগারসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরা।

    যেসব বিষয় নিয়ে সেমিনারে আলোচনা হবে সেগুলো হলো: মতাদর্শিক সহিংসতা প্রতিরোধে পরিবার ও উন্নত অভিভাবকত্ব, শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যসূচি পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ, তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে রেডিক্যালাইজেশন প্রতিরোধে জাতীয় নীতি প্রণয়ন, উগ্রবাদ প্রতিরোধে নারীর ভূমিকা, উগ্রবাদী জড়িতদের সামাজিক পুনর্বাসন, শান্তির পথে আন্তঃধর্ম সমন্বয়, উগ্রবাদের খবর পরিবেশনে গণমাধ্যমের ভূমিকা, উগ্রবাদ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ঝুঁকি প্রবণতা, আগামীতে করণীয় ইত্যাদি।

    মোটকথা উগ্রবাদ বিষয়ে একটি সামগ্রিক বিশদ রূপরেখা নিয়ে এগোতে চায় সিসার্ফ। সমাজের সকল পক্ষের অন্তর্ভুক্ত একটি একমাত্র কৌশল। ঢাকা পিস টক এই লক্ষ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক ধাপ।

  • কাউন্সিলর সাঈদ বরখাস্ত

    কাউন্সিলর সাঈদ বরখাস্ত

    ক্যাসিনো বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ বরখাস্ত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মতিঝিল এলাকার এই কাউন্সিলরকে অপসারণ করে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

    ক্যাসিনো কাণ্ডে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জি কে শামীম, কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ওরফে ফিরোজ, মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, গেণ্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু, রুপম ভূঁইয়া এবং অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান।

    এ পর্যন্ত ১০ জনের বেশি ক্যাসিনো হোতা আটক হলেও অধরা রয়ে গেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার ও কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। তারা দুজন ক্যাসিনো সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসার দেখভাল করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে সাঈদ অভিযান শুরুর পর থেকে সিঙ্গাপুরে পলাতক। আবু কাওসার কিছু দিন দেশের বাইরে থেকে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। সাঈদ ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত।

  • গ্রেফতার দুইজন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য: মনিরুল ইসলাম

    গ্রেফতার দুইজন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য: মনিরুল ইসলাম

    রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় ‘নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশে’র (জেএমবি) সন্দেহভাজন দুই সদস্যকে আটক করেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

    গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

    এর আগে আরেকটি অভিযানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল।

    তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করেছিল, সেখানে পাওয়া বোমা ও বিস্ফোরকের সঙ্গে রাজধানীতে পুলিশের ওপর হামলার বিস্ফোরণের উপকরণের মিল রয়েছে।

    গ্রেফতারা হলেন, মোঃ মেহেদী হাসান তামিম ও মোঃ আবদুল্লাহ আজমির। গ্রেফতারের পর তাদের হেফাজত থেকে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

    এ সংক্রান্ত সোমবার সকাল ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ কালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দুইজন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। তারা উভয়েই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেয়। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ হতে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। এ লক্ষ্যে গ্রেফতাররা ফতুল্লা থানাধীন রফিকের বাসায় বোমা তৈরির একটি কারখানা করে। তারা পরস্পর যোগসাজসে তৈরিকৃত বোমায় গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাবে বোমা হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। এছাড়া মালিবাগ, পল্টন ও খামার বাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে বন্ধু রফিককে সহায়তা করেন।

    তিনি আরো বলেন- গ্রেফতাররা জানায় যে, তাদের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর বোমা হামলা করা হয়েছে।

    অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তক্কার মোড়ে পরিচালিত জঙ্গি বিরোধী অভিযানস্থলে তারা নিয়মিত শলাপরামর্শ করাসহ বিভিন্ন ধরনের বোমার উৎকর্ষ সাধনে তৎপর ছিল। তাদের অন্যান্য সহযোগিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতার দুইজনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    গত ৩১ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবরেটরি ক্রসিংয়ে বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের দুজন সদস্য আহত হন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিবৃতি দেয় বলে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ দাবি করেছিল।

    এর আগে ২৯ এপ্রিল ও ২৬ মে যথাক্রমে মালিবাগ ও গুলিস্তানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন ট্রাফিক পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।

    এরপরই এ ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্দেহে ঢাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। পরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকার দুটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রকৌশলীসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছিল।

    তাঁরা হলেন ঢাকার আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল এবং প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন রুমি (২৭) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক জামালউদ্দিন রফিক (২৫) এবং রুমির স্ত্রী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মী জান্নাতুল ফুয়ারা অনু (২০)।

  • শিবির সন্দেহেই আবরারকে হত্যা করা হয়েছে

    শিবির সন্দেহেই আবরারকে হত্যা করা হয়েছে

    বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

    সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৯ জন আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জবানবন্দিতে বলা হয়, মূলত শিবির সন্দেহেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাকে মেরে ফেলার জন্য পেটানো হয়েছে নাকি হুমকি-ধমকি দেওয়ার জন্য পেটানো হয়েছে সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’

    সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই আবরার হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শেষ হবে। নভেম্বর মাসেই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।’

    আবরার হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশের টহলদল ছিল কি-না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত তিনটা পর্যন্ত বুয়েট এলাকায় পুলিশের একটি টিম টহল দেয়। কিন্তু তারা এ সময় কোনো শব্দ পায়নি।’

  • সম্রাটকে মুক্তি দিতে মায়ের আকুল আবেদন

    সম্রাটকে মুক্তি দিতে মায়ের আকুল আবেদন

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর মা সায়েরা খাতুন।

    রবিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি এ অনুরোধ জানান। সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে সায়েরা খাতুন প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনি মানবতার মা। সম্রাট যেমন আমার সন্তান তেমনি আপনারও সন্তানতুল্য। সম্রাট ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। তার শারীরিক অবস্থা খুব-ই খারাপ। মা হিসেবে আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন সম্রাটকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তার প্রাণভিক্ষা দিন।’

    পরে সম্রাটের মা অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী শিরিন।

    মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ফারহানা চৌধুরী শিরিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননী, মানবতার মা, সম্রাট আপনার কর্মী, আপনার সন্তানতুল্য, সম্রাট আপনার সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি সম্রাটের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে ওকে মুক্ত করে দিন। ওকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন।’

    সম্রাটের অফিসে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়ার ঘটনাকে এসময় পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করা হয়।

    বলা হয়, সম্রাটের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্যপান তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সে জেনেশুনে কখনো মদ পান করবে না।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, সম্রাট গ্রেফতারের ১০ দিন আগ থেকে অফিসেই ছিল না, অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিলেন তিনি। তার অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশংকা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। আমার সন্তান সম্রাট কোনও ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।

    আরও বলা হয়, বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে যে মামলায় তাকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলার আদেশ আমরা এখনও হাতে পাইনি। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশি বন্যপ্রাণী নয় এবং বাংলাদেশে এই প্রাণীটির বিচরণ দেখা যায় না। যেহেতু ক্যাঙ্গারুটি বাংলাদেশে শিকার করা হয়নি তাই এটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মধ্যে পড়ে না। উক্ত ক্যাঙ্গারুর চামড়াটি এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে উপহার হিসেবে প্রদান করে বিধায় এটি আইন বিরোধী কাজও নয়, এজন্য সাজা দেয়ারও বিধান নেই।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর রবিবার আমার সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে স্থান থেকে কোনও প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন সময়ে কোনও গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সকল ব্যাগ লক্ষ্য করা যায়নি।

    পরিশেষে বলতে চাই, সম্রাট জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মী। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্রাটের ছোট ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী।

  • সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার গোপিবাগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

    সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার গোপিবাগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

    ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে গোপীবাগ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফুয়াদ ফয়সল জন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

    শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী লুক মিডিয়া নেটওয়ার্কের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ হারুনের স্ত্রী ফারজানা জাহান জুঁই।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ফুয়াদ ফয়সল জন ও তার সহযোগীরা তার কাছে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।

    টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে নানা ভাবে হুমকি প্রদানসহ জোর পূর্বক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে এবং তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ফুয়াদ গং। পরে তাদের অত্যাচারে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় পরিবারটি।

    নিরাপত্তা চেয়ে একাধিকবার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও কোন সহায়তা না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

  • প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সব দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সব দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?

    সব দাবি মেনে নেয়া নেয়ার পরও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোইতো মেনে নিয়েছেন ভিসি। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে?

    আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন দল কর্মীরা অন্যায় করছে আমরা তা দেখিনি। আমরা খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি। বুয়েটে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যাকাণ্ডের পর কারো আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করি নাই, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।

    এদেরকে গ্রেফতার করা এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়লো বিপদে। এ ভিডিও ফুটেজ যখন সংগ্রহ করছে তখন তারা বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।’

    তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসলো কী করবো? আমি বললাম তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারবো, ধরতে পারবো। কে গেছে না গেছে দেখতে পারবো, ধরতে পারবো।

    বুয়েটের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়েছে। তারপরও না কী তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন কার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে।’

    ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় তিন চার ঘণ্টা সময় নষ্ট না করলে অপরাধীরা আরও আগে ধরা পরত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কী না, এটার জবাব ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এই ধরণের অন্যায় করলে কখনো এটা মেনে নেওয়া যায় না।

  • নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী

    নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী জাগরণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কারণ তিনি বুঝেছিলেন নারী কর্মক্ষম না হলে সমাজ ও পরিবারে তার মর্যাদা বাড়ে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সেসব নারীদের উদ্ধার করে তাদের পূর্ণবাসন করেছেন বঙ্গবন্ধু। সে সময় অনেক নির্যাতিত নারীকে তাদের পিতারা মেনে নিতে চায়নি। বঙ্গবন্ধু সে সময় সেসব নারীদের জন্য নিজে পাত্র দেখে বিয়ে দিয়েছিলেন। পিতার পরিচয় না থাকলে তিনি পিতার জায়গায় তার নাম লিখে এবং তার ধানমণ্ডির ৩২ এর বাসার ঠিকানা দিয়েছিলেন।

    আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১৫ বছর পর মহিলা শ্রমিক লীগের এ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে বিচার বিভাগে নারীরা অংশ নিতে পারবে না এমন আইন তিনি বাতিল করে নারীদের সে সুযোগ দিয়েছিলেন। এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু ৭২’র সমাজে কিন্তু এ অবস্থা ছিল না। সে সময় নারীদের নিয়ে সমাজের চিন্তা ভাবনা পশ্চাৎপদ ছিল বলে নারীদের এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল।

    কোন নারীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তাকে সমাজই পরিত্যক্ত করে দিত। বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদের দিয়েছেন তাতে সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা শিক্ষিত জাতি পারে একটা দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে। দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়তে হলে নারীকেও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে। আমরা এ সুযোগ করে দিয়েছি।’

    নারীকে তার মর্যাদা নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। আমরা মেয়েদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য কাজ করেছি। ৯৬’এ ক্ষমতায় এসে প্রাথমিক শিক্ষায় নারী শিক্ষকদের জন্য ৬০ ভাগ কোটা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট ফান্ড থেকে যারা বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে বিদেশে যান তাদের মধ্যে ৭৫ ভাগই নারী। আমি নারীদের সব সময়ে অগ্রাধিকার দিয়েছি।

    আশ্রয়ণ প্রকল্প করে ভূমিহীন, নিঃস্ব পরিবারের জন্য ঘর দেওয়া হয়েছে। এর দলিল স্বামী ও স্ত্রী দু জনের নামেই করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা হলে নারী অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। আমরা গ্রামের নারীদের সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এ ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা ধারণা করেছিল যে, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে নৌকা বেশি ভোট পাবে। কিন্তু ক্লিনিক বন্ধ করেও আওয়ামী লীগের ভোট তারা বন্ধ করতে পারে নাই।’

    শিক্ষায় মেয়েরা পিছিয়ে ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ব্যাপক হারে বৃত্তি দিয়েছি। পরীক্ষার রেজাল্টেও তারা ভালো করছে। বেদে থেকে শুরু করে চা শ্রমিক পর্যন্ত সকলকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃদ্ধ, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা চালু করেছি। প্রায় ৮৪ লক্ষ মানুষ এ ভাতা পাচ্ছে। প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীকে বেশি করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’

    নারীরা যেন আর কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন নারীরা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, সেনা, বিমান, নৌ বাহিনী থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত হচ্ছে। তার তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর স্ব স্ব ক্ষেত্রে রেখে যাচ্ছেন। নারী ক্ষমতায়নে আমরা সমতা এনেছি।’

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দল করে আমি তা দেখিনি। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনতে হবে। ভিসি সকল দাবি মেনে নিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এটা তো হওয়ার কথা না। আমি আন্দোলন দেখে নির্দেশ দেইনি। আমার কথা হলো এমন ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।’

  • শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আসামি কাউন্সিলর মিজান গ্রেফতার

    শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আসামি কাউন্সিলর মিজান গ্রেফতার

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৩২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    আজ শুক্রবার ভোররাতে সুনামগঞ্জ সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হাবিবুর রহমান মিজান এখন আওয়ামী লীগ নেতা। তার নামে মোহাম্মদপুর থানায় ১৯৯৬ সালে ইউনূস হত্যা, ২০১৬ সালে সাভার থানায় জোড়া হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পে মাদক নিয়ন্ত্রণকারী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি পরিচিত।

    অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া মিজান বহুবার গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। তার সেকেন্ড ম্যান মাতব্বর তুহিন নেশাখোর। বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন আদাবরে।

    ১৯৮৯ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসায় হামলার সময় মিজান ছিলেন ফ্রিডম পার্টির বড়ো নেতা।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাকারীদের অন্যতম ছিলেন মিজানুর রহমান মিজান। পাগলা মিজান নামেই সবাই তাকে চেনে। হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি নাম বদলিয়ে রাখেন হাবিবুর রহমান মিজান। পরে এক সময় ফ্রিডম পার্টি থেকে গিয়ে ভেড়েন আওয়ামী লীগে। তিনি এখন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের আলোচিত-সমালোচিত নেতা। গত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

    ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্য রাতে ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালায় একটি চক্র। তারা সেখানে গুলি করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় শেখ হাসিনা বাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলেন। বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীরাও পাল্টা গুলি চালান। একপর্যায়ে হামলাকারীরা চলে যায়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা হয়।

    ১৯৯৭ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ ফারুক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রশিদ ও মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) বজলুল হুদা এবং নাজমুল মাকসুদ মুরাদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

    অভিযোগপত্রে মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানকে হামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মিজানের ছোটো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাও ছিলেন হামলাকারী দলের সদস্য।

    মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোস্তফা ১৯৯৫ সালে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে মারা যান। সম্প্রতি কাউন্সিল হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের। তবে এখনো নতুন কমিটির তালিকা আসেনি। কমিটিতে মিজানের স্থানও হতে পারে।

    জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ফ্রিডম পার্টির পক্ষ থেকে মিজান, শামীম জালালী ওরফে দারোগার ছেলে শামীম, বাবুল ওরফে পিচ্চি বাবুলসহ কয়েক জন লিবিয়া যান গেরিলা ট্রেনিং নিতে। হামলার ঘটনার সময় মিজান ছিলেন ফ্রিডম পার্টির ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর জোনের কো-অর্ডিনেটর।

    মিজান যেভাবে ‘পাগলা’ মিজান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মিজান মোহাম্মদপুরে এসেই শুরু করেন চাঁদাবাজি, ছিনতাই। ছিনতাইকারী হিসেবেই ১৯৭৪/৭৫ সালে তার বিশেষ পরিচিতি আসে। ১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে খামারবাড়ি খেজুর বাগান এলাকায় ছিনতাই করতে গেলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে লালমাটিয়ায় মসজিদের পাশে পুকুরে নেমে পড়েন। পুলিশ তাকে বারবার নির্দেশ দিলেও তিনি পুকুর থেকে উঠে আসেননি। ৪/৫ ঘণ্টা পর তিনি কোনো ধরনের কাপড় ছাড়াই উঠে আসেন। তার এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজের জন্য পুলিশ তাকে ‘পাগলা’ আখ্যা দেয় এবং তাকে ছেড়েও দেয়। তখন থেকেই এলাকায় তার নাম ছড়িয়ে পড়ে পাগলা মিজান নামে।

  • আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য আটক

    আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য আটক

    রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

    শুক্রবার সকালে তাদের আটকের বিষয়টি জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।

    ডিএমপির উপ-কমিশশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের চার সদস্য আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

  • মিরপুরে ফ্ল্যট থেকে স্ত্রী-পুত্রসহ ব্যাবসায়ীর লাশ উদ্ধার

    মিরপুরে ফ্ল্যট থেকে স্ত্রী-পুত্রসহ ব্যাবসায়ীর লাশ উদ্ধার

    রাজধানীর মিরপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে স্ত্রী-পুত্রসহ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান।

    জানা যায়, বা‌য়েজীদ নামে এক গা‌র্মেন্টস ব্যবসায়ী খাবারে বিষ মিশিয়ে স্ত্রী অঞ্জনা ও ছে‌লে ফারহান‌কে মারার পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    পুলিশ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রা‌তে বা সকা‌লে যে কোন এক সময় এ ঘটনা ঘ‌টেছে। প্রথমে পা‌শের ফ্ল্যা‌টের বা‌সিন্দারা তা‌দের কোন সাড়া না পে‌য়ে দরজা ভে‌ঙে বা‌য়েজী‌দের ঝুলন্ত মরদেহ দেখ‌তে পায়। পরে পু‌লিশ‌কে খবর দেয়। পুলিশ এসে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে।

    খবর পেয়ে সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলা ৩ টার দিকে।

    ওসি জানান, সম্প্রতি ঋণখেলাপের কারণে বায়েজীদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাংক মামলা করে। জানা যায়, তিনি বিভিন্ন ধরনে ব্যবসা করতেন। ব্যবসাতেই লাভ না হওয়ায়, ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি।

    এসব নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন বায়েজীদ। সেখান থেকেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন এই পুলিশ কর্মকতা।

  • নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে আগুন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

    নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে আগুন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

    রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং মিডওয়ে হোটেলের মাঝখানের গলিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার লীনা খানম। তিনি  জানিয়েছেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নি নির্বাপনের কাজে অংশ নেয়। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক লাইন থেকে এই আগুন লাগে বলে জানান লীনা।

    আগুনের ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।

    তবে আগুন নিয়্ন্ত্রণে আনতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং মিডওয়ে হোটেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে।