Category: রাজধানী

  • সম্রাটের অফিস থেকে অস্ত্র, মদ, ইয়াবা, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার

    সম্রাটের অফিস থেকে অস্ত্র, মদ, ইয়াবা, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার

    যুবলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের অফিসে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। অভিযানে অস্ত্র, বিদেশি মদ, ইয়াবাসহ হরিণ ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

    আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে অবস্থিত অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে প্রবেশ করে র‌্যাব। এর কয়েক মিনিট পরে হেলমেট পরিয়ে সম্রাটকেও নেওয়া হয় তার কার্যালয়ে।

    প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই অভিযানে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

  • সম্রাটকে নিয়ে অফিস তল্লাশিতে র‌্যাব

    সম্রাটকে নিয়ে অফিস তল্লাশিতে র‌্যাব

    ক্যাসিনো-কাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কাকরাইলে তার অফিসে নেওয়া হয়েছে।

    রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে একটি দল গাড়িতে করে সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের চতুর্থ তলায় সম্রাটের কার্যালয়টি ঘিরে ফেলে। পরে হাতুড়ি দিয়ে কার্যালয়ের তালা ভেঙে সম্রাটকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় সম্রাটের মাথায় হেলমেট পড়া ছিল।

    অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। কার্যালয়টিতে তল্লাশি চালানো হবে বলে র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে।

    সূত্রটি জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে সম্রাটকে কাকরাইলে তার কার্যালয়ে আনা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

    সম্রাটকে কাকরাইলে আনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় শত শত মানুষ ভিড় করেছে। তাদের সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

    এর আগে রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। সম্রাটের সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব

  • ক্যাসিনো সেলিমের বাসা থেকে যা জব্দ করলো র‌্যাব

    ক্যাসিনো সেলিমের বাসা থেকে যা জব্দ করলো র‌্যাব

    দেশে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের বাসা থেকে নগদ ২৯ লাখ টাকা এবং ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তার বাসা থেকে ৮ কোটি টাকার চেক ও ১২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সেলিম প্রধানের গুলশান-২ ও বনানীর বাসায় অভিযান শেষে র‌্যাব-১-এর সিও সারওয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

    সোমবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব-১-এর একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে তার গুলশান-২ এর বাসায় অভিযানে চালায় র‌্যাব।

    পরে মঙ্গলবার দুপুরে সেলিম প্রধানের বনানীর আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ওই বাসা থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ২১ লাখ টাকা।

    সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রাথমিকভাবে সেলিম প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার গুলশান ও বনানীর বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে তার বাসায় বিদেশি ৪৮টি মদের বোতল, ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা সমমূল্যের ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও ১২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল সার্ভার, ৮টি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া।

    র‌্যাব সিও আরও বলেন, সেলিম প্রধান তার ভাইয়ের হাত ধরে ১৯৮৮ সালে জাপান চলে যান। সেখানে গিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে জাপানিদের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর সেখান থেকে তিনি থাইল্যান্ডে যান। সেখানে শিপইয়ার্ডের একটি ব্যবসা শুরু করেন।

    পরবর্তীতে জাপানিদের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। যার নাম মিস্টার দু। এই মিস্টার দু সেলিমকে বাংলাদেশে একটি কনস্ট্রাকশন সাইট খোলার প্রস্তাব দেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে একটি অনলাইন ক্যাসিনো খোলার উপদেশ দেন। সেই সূত্র ধরে টি-২১ এবং পি২৪ নামে অনলাইন গেমিং সাইট চালু করেন সেলিম।

    তিনি আরও বলেন, আমরা জব্দকৃত কাগজপত্রসহ সার্ভার পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছি এই অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে তাদের প্রতি মাসে প্রায় ৯ কোটি টাকা আয় হতো। এসব টাকার অর্ধেক কোরিয়া এবং বাংলাদেশের যারা জড়িত তারা পেতেন।

    হরিণের চামড়া, নগদ টাকা ও মাদকদ্রব্য পাওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মানিলন্ডারিং এবং মাদকদ্রব্য আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হবে। এসব মামলায় সেলিম প্রধান এবং তার দুই সহযোগী আক্তারুজ্জামান ও রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান র‌্যাব সিও সারওয়ার বিন কাশেম।

  • রাজধানীর ৮ থানায় ওসি পদে বদলি

    রাজধানীর ৮ থানায় ওসি পদে বদলি

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দফতরের এক আদেশে এ বদলি করা হয়।

    আদেশে ভাটারা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে পল্টন মডেল থানায়, কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে মতিঝিল থানায়, খিলক্ষেত থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমানকে মিরপুর মডেল থানায়, শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমানকে কোতয়ালী থানায় এবং উত্তরা-পূর্ব থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিতোষ চন্দ্রকে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদে বদলি করা হয়েছে।

    এছাড়া বিমানবন্দর থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুজ্জামানকে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ, সবুজবাগ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুল আলমকে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, বনানী থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনকে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

    একই আদেশে মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওমর ফারুককে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ, মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দাদন ফকিরকে গোয়েন্দা দক্ষিণ এবং কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহিদুর রহমানকে গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

    আরো:: পুলিশ পরিদর্শক সাইফের বিরুদ্ধে হুইপের মামলা, সাময়িক বহিস্কার

  • ক্যাসিনো সেলিম মাসে কোটি টাকা পাঠাতেন তারেকের কাছে!

    ক্যাসিনো সেলিম মাসে কোটি টাকা পাঠাতেন তারেকের কাছে!

    অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান গ্রেফতার হওয়ার পর বেরিয়ে এসেছে আরো চমকপ্রদ সব তথ্য।অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় রিমান্ডে থাকা বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ডান হাত ছিলেন সেলিম প্রধান। এছাড়া বাবা হান্নান প্রধানসহ তার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সেলিমের রয়েছে দারুন সখ্যতা। যা এখনো আর্থিক লেনদেন ও নানা অনৈতিক কর্মকাল্ডে দুজনের সম্পর্ক টিকে রয়েছে।

    গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মনিপুরীপাড়ার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া আটক হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে লোকমানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে গোপনে দেশ ত্যাগের উদ্দ্যেশে যাত্রীবাহী বিমানটি ছাড়ার আগ মূর্হুতে তাকে আটক করা হয়।

    জানা যায়, বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার হাত ধরেই মোহামেডান ক্লাবের সহসভাপতির দায়িত্ব পান সেলিম। তবে দায়িত্ব পালনকালেও লোকমানের ক্যাশিয়ার হিসেবেই নিয়োজিত ছিলেন সেলিম। তাছাড়া লোকমানের হাত ধরেই রমরমা ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করেন সেলিম প্রধান। শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসা।

    নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা সেলিম বর্তমানে থাকতেন ঢাকার মোহাম্মাদপুরে নূরজাহান রোডের একটি বাসায়। সেখান থেকেই পরিচয় লোকমানের সাথে। শুরু হয় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা।

    র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরাশেন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, অনলাইনে কয়েন বিক্রি করে ক্যাসিনো খেলায় জুয়ারিদের উদ্বুদ্ধ করতেন সেলিম। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুলেছিলেন গোপন ক্যাসিনো। এসব অর্জিত টাকা পাচার করতেন বিদেশে।

    র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, লোকমান ছাড়াও সেলিম প্রধানের সাথে অন্যতম ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে। যার হাত ধরেই ক্যাসিনো থেকে আয় করা কোটি কোটি টাকা তিনি বিদেশে পাচার করতেন। আর এ টাকার বড় একটা অংশ যেত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। এমনকি প্রতি মাসে তারেক রহমানকে এক কোটি টাকা পাঠাতেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। থাইল্যান্ডে সেলিমের নিজস্ব বাড়ি ও হোটেল রয়েছে বলেও সূত্র পেয়েছে র‌্যাব।

    জানা যায়, ক্যাসিনো ব্যবসার পাশাপাশি অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন সেলিম প্রধান। তারেকের নৈশ পার্টিতে সুন্দরী নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চত করতেন এ সেলিম। এছাড়া বিউটি পার্লারে যেসব ভিআইপিদের আনাগোনা ছিল, তাদের মনোরঞ্জনের জন্য সেলিম ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে তরুণীদের নিয়ে আসতো বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

    জানা গেছে, অনালাইনে কয়েন বিক্রি করে ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতেন সেলিম। এ ব্যবসার জন্য প্রধানগ্রুপ নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে উল্লেখ আছে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর লাইভ ক্যাসিনো মার্কেট পি২৪ লিমিটেড নামের গেমিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর রোডের ১১/এ বাংলাদেশ অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করা হয় ওয়েবসাইটে। কর্পোরেট অফিসের ঠিকানায় উল্লেখ করা হয় ডি-১ মমতাজ ভিশন, গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর রোড ১১/এ। এছাড়া বিদেশি ঠিকানায় ১৬৫/৯৬ মো ১০, সুরাসাক, শ্রী রাখা, চনবুন থাইল্যান্ড, ২০১১০ ব্যবহার করা হয়েছে।

    সেলিম আটক হওয়ার পর তার দেয়া তথ্যমতে যে ভবনে পি২৪ এর অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনা করতেন, গতকাল সোমবার রাতে র‌্যাব গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১/এ নম্বর অনুযায়ী ওই ভবনে অভিযান চালায়।

    সেলিমের গুরু বিসিবির পরিচালক লোকমান ভূঁইয়াকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পূর্বের রিমান্ড শেষ হলে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে আবারও ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। (সুত্র : একুশে টিভি)

  • চাকরির নামে তরুণীকে ধর্ষণ,পল্টন থানার ওসি বরখাস্ত

    চাকরির নামে তরুণীকে ধর্ষণ,পল্টন থানার ওসি বরখাস্ত

    চাকরির নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হক নয়নকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা রুজুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশ দেয়া হয়।

    পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই নারী। এরপরেই বরখাস্তের নির্দেশ আসে।

    জানা যায়, চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক ছাত্রীকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন নয়ন। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে মাসের পর মাস শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তিনি।

    ওই তরুণীর অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওসি গর্ভপাতের শর্তে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি গর্ভপাত করান। তবে এরপর মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি আর বিয়ে করেননি। একপর্যায়ে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দেন ওসি মাহমুদুল। শেষ পর্যন্ত ওই তরুণী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করেছেন ওসির বিরুদ্ধে। তদন্তে সে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে, জমা পড়েছে তদন্ত প্রতিবেদনও।

  • ধর্ষণের অভিযোগে দুই রিহ্যাব পরিচালক গ্রেফতার

    ধর্ষণের অভিযোগে দুই রিহ্যাব পরিচালক গ্রেফতার

    চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- রিহ্যাব’এর দুই পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

    রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর ধানমণ্ডির থানা পুলিশ শাকিল কামাল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদারকে গ্রেফতার করে। ধানমণ্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ধানমণ্ডি থানা জানায়, রোববার চাকরির জন্য ধানমণ্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে ওই নারীকে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী।

    এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিহ্যাবের দুই পরিচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার ওসি।

    এর আগে, রাতে থানা হেফাজতে তাদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • পুলিশ পিতার পিস্তলে ছেলের আত্মহত্যা

    পুলিশ পিতার পিস্তলে ছেলের আত্মহত্যা

    রাজধানীর রমনা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমানের লাইসেন্স করা পিস্তলে তার ছেলে সাদিক বিন সাজ্জাদ (১৭) আত্নহত্যা করেছেন। সাদিক রাজধানীর সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো।

    সোমবার সকালে আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    ডিএমপির লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আসলাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সাদিকের বাবা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান। আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গেই থাকতো সে। ভোরের দিকে বাসায় থাকা তার বাবার লাইসেন্স করা পিস্তলের গুলিতে সে আত্মহত্যা করে।

    ঘটনাস্থলে থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাবো। তবে আত্মহত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

  • সম্রাট গ্রেফতার কিনা দ্রুত জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সম্রাট গ্রেফতার কিনা দ্রুত জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    জাতীয় : যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে গত দুদিন ধরে আটক করা নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

    গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সম্রাট গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা তা দ্রুতই জানা যাবে।’

    শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে। এ অভিযানে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

    একটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।

    ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছেও তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরে কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে টানা ছয় দিন অবস্থান করেন। আর পাহারায় বসান শতাধিক যুবককে। সেখান থেকে গত রোববার তিনি বনানীর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।

    এরআগে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাজারখানেক নেতাকর্মী নিয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান করেন দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..