Category: করোনা ভাইরাস

  • করোনার তৃতীয়-চতুর্থ ডোজের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন শুরু

    করোনার তৃতীয়-চতুর্থ ডোজের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন শুরু

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে একযোগে ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ টিকাদানের বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হলো আজ বুধবার (৫ জুলাই) থেকে। সাত দিনব্যাপী আয়োজিত এই ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।

    এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

    এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অধিক সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সব নাগরিককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৩য় এবং ৪র্থ ডোজ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে যারা কমপক্ষে ৪ (চার) মাস আগে ২য় বা ৩য় ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ৩য় বা ৪র্থ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই ক্যাম্পেইনে বিশেষ করে সম্মুখসারীর যোদ্ধা, ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, স্বল্পরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী ও গর্ভবতী নারীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এ ছাড়াও চলমান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম হিসেবে যেসব ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী নাগরিক এখনও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম ও ২য় ডোজ গ্রহণ করেননি তারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।

    এতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি ৫-১১ বছর বয়সী যেসব শিশু এখনও ১ম বা ২য় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেনি তাদের নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রাপ্যতা অনুসারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য ১৬২৬৩ হেল্পলাইন এ যোগাযোগ করুন। ভ্যাকসিন নিন, সুরক্ষিত থাকুন। অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন।

  • চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

    চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

    চীনে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। ‘এক্সবিবি’ নামক করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি জুনের শেষ দিকে এতটাই ব্যাপক সংক্রমণ ঘটাতে পারে যে সপ্তাহে সাড়ে ছয় কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর চীন ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার ফলে দেশটিতে করোনার নতুন ঢেউ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    স্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন এক্সবিবির সংক্রমণে এই মাসের শেষ নাগাদ দেশটিতে সপ্তাহে ৪ কোটি সংক্রমণ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর জুনের শেষে সংক্রমণ সপ্তাহে সাড়ে ছয় কোটিতে পৌঁছাতে পারে।

    ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে দেশটিতে একদিনে তিন কোটি সত্তর লাখ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড।

    এক্সবিবি হলো ওমিক্রনের বিএ.২.৭৫ এবং বিজে.১ এর সাব-ভ্যারিয়েন্টের একটি হাইব্রিড সংস্করণ। এতে ইমিউনকে দুর্বল করে ব্যাপক সংক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে।

    স্পাইক প্রোটিনে এক্সবিবি’র সাতটি মিউটেশন রয়েছে। ইমিউন সিস্টেম এক্সবিবিকে চিনতে সময় নেয়। এটি ইমিউন কোষকে কৌশলে ধোকা দিয়ে শরীরের কোষে আরও সহজে প্রবেশ করতে পারে।

    গেল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়। এর কয়েক সপ্তাহ না যেতেই চীনে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

    এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে করোনার ধরন বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলেও মহামারি শেষ হয়নি।

    চীনের গ্লোবাল টাইমস জানায়, চায়না সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (চায়না সিডিসি) অনুসারে, এক্সবিবি মিউট্যান্টের সংক্রমণের হার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ০.২ শতাংশ থেকে এপ্রিলের শেষের দিকে ৭৪.৪ শতাংশে পৌঁছে। তারপরে মে মাসের শুরুতে তা ৮৩.৬ শতাংশে বেড়েছে।

    গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সবিবির সংক্রমণক্ষমতা এবং ভ্যাকসিন প্রতিরোধের ক্ষমতা আগের ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে শক্তিশালী। তবে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মতে, এর প্যাথোজেনিসিটিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।

    চায়না সিডিসির সাপ্তাহিক প্রকাশিত ডেটায় দেখা যায় যে, ৩৬৮টি কোভিড-১৯ সংক্রমণের মধ্যে ১০৪ জন দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও এদের বড় একটি অংশ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

    এর আগে সংক্রমণের ব্যাপক বৃদ্ধির সময় চীনে পণ্য মজুতের দিকে ঝুঁকেছিল মানুষ। এতে এক প্রকার সংকট তৈরি হয়। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও গুরুতর চাপের মধ্যে পড়েছিল। হাসপাতালগুলি রোগী দিয়ে ভরে যায় এবং ওষুধের ঘাটতিতে বিপাকে পড়ে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা।

    এবার করোনার নতুন সংস্করণকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে চীন। চীনের শীর্ষস্থানীয় শ্বাসযন্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান আশা করছেন, চীন শিগগিরই দেশে কোভিড-১৯-এর সর্বাধিক প্রভাবশালী স্ট্রেনকে লক্ষ্য করার জন্য দুটি নতুন ভ্যাকসিন পাবে।

    গত সোমবার চীনের গুয়াংঝু প্রদেশে গ্রেটার বে এরিয়া সায়েন্স ফোরামকে তিনি বলেছিলেন, ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্টগুলিকে লক্ষ্য করে ভ্যাকসিনগুলি প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই এগুলো বাজারে আসবে।

    আরও চারটি নতুন ভ্যাকসিনও শিগগিরই অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে সেগুলি কবে নাগার আসতে পারে বা অনুমোদন পাবে সে সম্পর্কে তিনি বিশদ কিছু জানাননি।

    পিকিং ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট হাসপাতালের শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষজ্ঞ ওয়াং গুয়াংফা গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, দ্বিতীয় ঢেউটি প্রথমটির মতো খারাপ হবে না, বা হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত চাপে ফেলবে না। কারণ পুনরায় সংক্রমণ সাধারণত হালকা হয়। অর্থাৎ রোগীর অবস্থা গুরুতর করে না।

    তবে ওয়াং সংক্রমণ প্রতিরোধে জটিল রোগে আক্রান্ত ও দুর্বল মানুষদের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। এই ধরনের মানুষের জন্য সংক্রমণটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

    চীন ক্সবিবি মোকাবিলায় দুটি ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই আরও তিন-চারটি অনুমোদন দেওয়া হবে। আরও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিতে আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে চলেছি।

  • ফাইজারের টিকা বন্ধ হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি

    ফাইজারের টিকা বন্ধ হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি

    প্রাপ্ত বয়স্কদের ফাইজারের করোনা টিকা প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ করছে সরকার। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ টিকা আর দেওয়া হবে না। তবে শিশুদের জন্য রাখা ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা শাখার পরিচালক ডা. সাইদুজ্জামান।

    জানা যায়, সরকারের কাছে মজুদ থাকা টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে নতুন টিকা আসা মাত্রই আবারও টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।

    এ বিষয়ে ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, করোনার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে, আমাদের হাতে মজুদ থাকা ফাইজারের টিকাগুলোর মেয়াদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। এই কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারির পর নতুন করে কাউকে টিকা দেওয়া হবে না।

    সাইদুজ্জামান বলেন, শিশুদের জন্য যেসব ফাইজারের টিকা আছে, সেগুলোর মেয়াদ আরও অনেকদিন আছে। যে কারণে শিশুদের টিকা কার্যক্রমে কোন সমস্যা হবে না।

  • চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত : সমীক্ষা

    চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত : সমীক্ষা

    চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের ৯০ কোটি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক সমীক্ষায় এমনটাই দেখা গেছে। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষের শরীরে এ ভাইরাস রয়েছে।

    এ ছাড়া দেশটির প্রদেশভিত্তিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে গানসু। আর ৮৪ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইউনান ও ৮০ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কিংহাই প্রদেশ। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এ খবর দিয়েছে।

    এদিকে চীনা শীর্ষ এক মহামারি বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, আসছে চীনা লুনার নিউ ইয়ারে দেশটির গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। চীনের সেন্টার ফর ডিজেস কন্ট্রোলের সাবেক প্রধান ও মহামারি বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং সতর্ক করে বলেন, চীনের এই করোনা ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আসছে ২৩ জানুয়ারি চীনে লুনার নিউ ইয়ার উদযাপন করা হবে। আর নিউ ইয়ার উপলক্ষে লাখ লাখ চীনারা শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মহামারি শুরুর পর এই প্রথমবার বাড়িতে যাচ্ছেন। কারণ মহামারির কারণে গত বছরগুলোতে তারা বাড়ি যেতে পারেননি।

    সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলনের মুখে চীন শূন্য-কোভিড নীতি থেকে সরে আসে এবং করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পরিসংখ্যান প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আর গত ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশিদের দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর দেশটিতে ব্যাপকভাবে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বড় বড় শহরগুলোর হাসপাতালে কোভিড রোগীতে প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়।

    চলতি মাসের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং বলেছিলেন, এখন গ্রামীণ এলাকায় মনোযোগ দেওয়ার সময়। গ্রামাঞ্চলে ইতোমধ্যেই অনেক বয়স্ক, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছেন।

  • চীনফেরত একজনের দেহে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

    চীনফেরত একজনের দেহে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

    চীনফেরত চারজনের মধ্যে একজনের দেহে করোনার ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে।

    আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ আছেন। সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

    আজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক তাহমিনা শিরীন।

     

  • করোনা সন্দেহে চার চীনা নাগরিক আইসোলেশনে

    করোনা সন্দেহে চার চীনা নাগরিক আইসোলেশনে

    চীন থেকে বাংলাদেশে আসা চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে, এমন সন্দেহে তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।

    আজ সোমবার রাতে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চীন থেকে আসা চারজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। চারজনের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তারা সবাই চীনা নাগরিক।

    জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চীন থেকে একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন চারজন। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের সময় চার চীনা যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয়। ধারণা করা হয়, তাঁরা করোনা আক্রান্ত। তাই তাদের মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।

  • করোনার নতুন উপধরন: দেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

    করোনার নতুন উপধরন: দেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

    চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন দেখা দিয়েছে, এ ধরন প্রতিরোধে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    রোববার সকালে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবীর।

    তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব বন্দরে স্ক্রিনিংয়ে জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি সেসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সন্দেহ হলে করোনা টেস্ট করানো হবে।

    ডা. আহেমদুল কবীর বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও সাত থেকে আট জনের মধ্যে থাকলেও ইতোমধ্যে আইইডিসিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জিমোন সিকুয়েন্স চলমান রাখতে। কেননা করোনার নতুন ধরনটি দেশে আসলে দ্রুত শনাক্ত সম্ভব হবে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক সকলকে মাস্ক পরাসহ প্রাপ্তবয়স্কদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডিএনসিসি হাসপাতালকে আরও বেশি সুসজ্জিত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে বেশি রোগী সেখানে ভর্তি ও সেবা নিশ্চিত করা যায়। করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে গেলেও যাতে চিকিৎসা সংকট না দেখা দেয় সে কারণে দেশের সবগুলো হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়া নতুন এ উপধরনের উপসর্গ এবং এর চিকিৎসায় করণীয় নির্ধারণের জন্য দু-একদিনের মধ্যে কারিগরি কমিটির মিটিং হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

    চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর তা মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে নতুন উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে।

    করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এ বিপর্যস্ত চীন। এরই মধ্যে ভারতসহ ৯১টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে।

    সম্প্রতি চীনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরপরই প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি দেশবাসীকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভাইরাসটির জিন বিশ্লেষণ করারও কথা বলেছেন।

  •  চীনে করোনা ঠেকাতে কিনছে লেবু 

     চীনে করোনা ঠেকাতে কিনছে লেবু 

    চীনের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়েছে। বিক্ষোভের জেরে এরই মধ্যে কোভিড জিরো পলিসি কিছুটা শিথিল করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এবার করোনা প্রতিরোধে শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে লেবু কিনতে বাজারে ছুটছেন চীনা নাগরিকরা।

    ওয়েন নামে চীনের এক কৃষক জানান, লেবুর বাজারে আগুন লেগেছে। তিনি সিচুয়ান প্রদেশের অ্যানুই কাউন্টির বাসিন্দা। এবার ১৩০ একর (৫৩ হেক্টর) জমিতে লেবু চাষ করেছেন। এই প্রদেশটিতে চীনের ৭০ শতাংশ ফল উৎপাদন হয়। গত সপ্তাহে তার একদিনে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টন লেবু, যা আগে ছিল মাত্র ৫ বা ৬ টন। শুধু তাই না চড়া দামে বিক্রি করছেন লেবু।

    বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো শহরগুলোতে ওয়েনের লেবুর চাহিদা বাড়ছে, যেখানে লোকেরা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের ইমিউনিটি বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কিনতে ছোটাছুটি করছেন। সর্দি ও ফ্লুর ওষুধ কম থাকায়, একজন অপ্রস্তুত সাধারণ মানুষ গত তিন বছর ধরে কোভিড জিরো নীতিগুলো থেকে সরকারের আকস্মিকভাবে সরে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হচ্ছে।

    তবে ভিটামিন সি খেলেই যে করোনা সেরে যাবে তার কোনো যৌক্তিক প্রমাণ এখনও নেই।

    ওই কাউন্টির আরও এক কৃষক লিউ ইয়ানজিং জানান, গত চার থেকে পাঁচ দিনে লেবুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে দেশটিতে। লিউ জানান, দিনে ১৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করছেন তিনি এবং অর্ডার নিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সারাদেশ। তিনি জানান, সর্বশেষ দাম বাড়ার আগে, লেবু প্রতি আধা কেজি ২ বা ৩ ইউয়ানে বিক্রি হতো। এখন দাম ৬ ইউয়ান।

    স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডিংডং মাইকাই, একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যারা তাজা ফল বিক্রি করে, তারা বলছে কমলা ও নাশপাতিসহ অন্যান্য ফলের বিক্রিও বাড়ছে। চীনা নাগরিকের অনেকেই ধারণা করেন, ঠান্ডা ও মিষ্টি ফল আপনি অসুস্থ হলে ক্ষুধা ও রুচি বাড়ায়। আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেডের মালিকানাধীন একটি গ্রোসারিতে পণ্যের বিক্রি প্রায় ৯শ শতাংশ বেড়েছে।

    গত মাসেও, চীনের ফল ও সবজি চাষিরা পরিবহন সংকটের কারণে উৎপাদিত ফল নিয়ে বিপাকে পড়েন। দেশে কঠোরভাবে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের প্রভাবের কারণে প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল জমাও থেকে যায়।

    ওয়েনের মতে, অ্যানুইর গ্রামগুলোতে লেবুর দাম প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল কারণ বিক্রি করার জন্য কোনও দেশীয় বা রপ্তানি বাজার ছাড়াই মজুদ করা হয়, যার ফলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখন সব বদলে গেছে।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু

    চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু

    চট্টগ্রামে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১৫ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নগরের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে এ কার্যক্রম চলবে।

    মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছ, করোনার তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির পর ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ প্রদান দেওয়া হবে। চতুর্থ ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। যেখানে ফাইজার থাকবে না, সেখানে সিনোব্যাকের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। উপজেলা ছাড়াও নগরের জেনারেল হাসপাতাল, চমেক হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালসহ নগরের স্থায়ী টিকা দান কেন্দ্রগুলোতে এ কার্যক্রম চালানো হবে।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, হাসপাতালে সাধারণত প্রতিদিন করোনা টিকা কার্যক্রম চলছে। যেহেতু চতুর্থ ডোজ চালু হচ্ছে, তাই আমরা একটি কক্ষ নির্ধারণ করে রেখেছি। যে কেউ আসলে আমরা টিকা দিয়ে দেবো। তবে অবশ্যই তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হতে হবে।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়।

  • সারাদেশে করোনার ৪র্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু

    সারাদেশে করোনার ৪র্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।

    আহমেদুল কবীর বলেন, ৪ কোটি মানুষ ৪র্থ ডোজ নেওয়ার উপযোগী। তবে আপাতত আমরা ৫টি ক্যাটাগরিতে এই টিকা দেব। এক্ষেত্রে আমাদের মানুষ আছে ৮০ লাখ।

  • ২০ ডিসেম্বর করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে

    ২০ ডিসেম্বর করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে

    আগামী ২০ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কনফারেন্স রুমে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

    তিনি জানান, আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারী, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং ফ্রন্ট লাইনারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রতি কেন্দ্রে ন্যূনতম একশ’ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এর পর দুই সপ্তাহ তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এসএমএসের মাধ্যমে আগের দিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    এ কার্যক্রম চলবে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

    চতুর্থ ডোজ যেসব কেন্দ্রে দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

  • দেশে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ

    দেশে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, কারিগরি কমিটি প্রথম ধাপে সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে।

    শামসুল হক বলেন, আমরা সারা দেশে ৭ দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এ উপলক্ষ্যে টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ ডোজ। ক্যাম্পেইনে মোট ১৭ হাজার ১১৬টি টিম কাজ করবে।

    তিনি আরও বলেন, দেশে এই পর্যন্ত শিশুসহ মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৩ শতাংশ।

    এর আগে ২২ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে ৯০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে (১ থেকে ৭ ডিসেম্বর) নতুন করে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
    ওই দিন মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর আগে যতগুলো ক্যাম্পেইন করেছি, সবগুলো সফল হয়েছে। আশা করি, এটিও সফল হবে। আমরা এ পর্যন্ত ১৩ কোটি ৯ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা আমরা দিয়েছি, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ। এছাড়াও ১২ কোটি ৪২ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮৬ লাখ, লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ।