Category: ঢাকা

  • কিংবদন্তী ফুটসাল কার্নিভ্যাল ও উইন্টার ফেস্টিভ্যাল উদযাপিত

    কিংবদন্তী ফুটসাল কার্নিভ্যাল ও উইন্টার ফেস্টিভ্যাল উদযাপিত

    কিংবদন্তী ফুটসাল কার্নিভ্যাল-এর দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জয় করেছে “নাইন্টি’স মাস্টারমাইন্ড”। দিনের শেষ ভাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উইন্টার ফেস্টিভ্যাল উদযাপন করা হয়।

    শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর গ্রীন ভিল আউটডোর’স মাঠে দিনব্যাপি এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়

    ফুটসাল কার্নিভ্যালে দশটি দল নিয়ে রাউন্ড রবিন লীগ ফরম্যাটে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়। ফাইনালে “নাইন্টি’স মাস্টারমাইন্ড” দল “টিম মাইটি সিক্সারস”-কে ট্রাইবেকারে ১-০ গোলে পরাজিত করেন।

    আয়োজনের সেরা খেলায়াড়ের পুরস্কার পান “টিম মাইটি সিক্সারস”-এর ইফতেখার রাসেল এবং সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পায় “নাইন্টি’স মাস্টারমাইন্ড”-এর সানোয়ার হোসেন বাবু।

    আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজ মানি হিসেবে ৪০ হাজার টাকা ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং রানার্সআপ দল ২৫ হাজার টাকা ও রানার্সআপ ট্রফি গ্রহণ করেন।

    এই আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ কায়সার হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

    ফুটসাল কার্নিভ্যালের টাইটেল স্পন্সর ছিলেন “রংপুর স্টিল” এবং কো-স্পন্সর ছিল “রোভার ট্রাভেলস”।

    ফুটসাল কার্নিভ্যালে শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন মনোমগ্ধু কর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উপস্থিত সকলে নব্বই-এর দশকে ফিরে যায়।

    বিভিন্ন স্টলে শীতের পিঠা ও বাহারি খাবার পরিবেশন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে এসএসসি ২০০০ ব্যাচের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্বজন’রা উপস্থিত ছিল।

    আমরাই কিংবদন্তী (এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২) একটি অনলাইন ভিত্তিক ফেসবকু গ্রুপ, যেখানে সারা বাংলাদেশের
    এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের একত্র করে একক প্ল্যাটফর্মে এনে মানব কল্যাণে কাজ করার প্রয়াসে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুদের একত্রিত করে সামাজিক ও মানবিক কাজে সম্পৃক্ত করা। দেশজুড়ে বন্ধুদের অংশগ্রহনে আয়োজিত এই ফুটবল খেলার মাধ্যমে নিজেদের ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে মানব কল্যাণে কাজ করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

    উল্লেখ্য যে “মানবতার কল্যাণে কিংবদন্তী সবখানে” এই নীতিকথা থেকেই ১৫ই নভেম্বর ২০১৭ থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ৫০ হাজার সদস্যের অনলাইন পরিবারটি আগামীর পথে এগিয়ে চলছে। এই অনলাইন গ্রুপের মানবিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতেই “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ মূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর হতে নিবন্ধিত হয়।

    এই গ্রুপটি এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিল; তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশ
    জুড়ে পরিছন্নতা ও জনসচেতনতা, প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিবিধ কার্যক্রম।

    একটি অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ হয়েও বন্ধুরা শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের, সমাজের বিভিন্ন কাজে এগিয়ে এসেছে বন্ধুদের গ্রুপটি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সমাজের কিছু সচেতন সু-নাগরিক, যারা এই গ্রুপটিকে প্রতিনিয়ত ভালো কাজে উৎসাহ দিচ্ছে।

    ধারাবাহিক ভাবে গ্রুপের পিছিয়ে পড়া সদস্যসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবা সহ সকল মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করছে এই গ্রুপের সদস্যরা।

  • রাজধানীতে পুলিশের টহল গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণে আহত ৩

    রাজধানীতে পুলিশের টহল গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণে আহত ৩

    রাজধানীতে পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী মো. হাসানকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    তিনি জানান, বিস্ফোরণে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহবুব আলীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

  • আগুন সন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

    আগুন সন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

    ঢাকা দখলের নামে বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা দখলের নামে আগুন সন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে বিএনপি। এসব করে লাভ হবে না, তাদের খায়েশ পূরণ হবে না। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সিডিউল হবে নভেম্বরের মধ্যভাগে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানুয়ারিতে।’

    বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে, মিস করলে পিছিয়ে পড়বেন। কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

    সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালত বাদ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ করেনি। যে জিনিস নাই সেটা দাবি করে বিএনপি। এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। এই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কারো জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। কেউ আসুক আর না আসুক তার জন্য অপেক্ষা করা হবে না।’

     

  • কাকরাইলে এসএ পরিবহন কার্যালয়ে আগুন

    কাকরাইলে এসএ পরিবহন কার্যালয়ে আগুন

    রাজধানীর কাকরাইলে এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট।

    সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

    তিনি জানান, আজ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইল এসএ পরিবহন কার্যালয়ের ৪র্থ তলায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পায়। এর পাঁচ মিনিটের মাথায় সেখানে আমাদের চারটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আরও পাঁচটি ইউনিট পথে রয়েছে, ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

    প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন এ ফায়ার কর্মকর্তা।

  • আশুলিয়ায় ফ্ল্যাট থেকে মা-ছেলেসহ ৩ জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

    আশুলিয়ায় ফ্ল্যাট থেকে মা-ছেলেসহ ৩ জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

    ঢাকার আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় একটি বহুতল ভবনের আবাসিক ফ্ল্যাট থেকে মা-ছেলেসহ তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ তিনটি পাওয়া যায়। সবগুলোর গলা কাটা।

    তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছিল।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, ফ্ল্যাট থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।

  • মশা মারতে ঢাকা উত্তর ব্যয় করবে ১১৪ কোটি টাকা

    মশা মারতে ঢাকা উত্তর ব্যয় করবে ১১৪ কোটি টাকা

    রাজধানীতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং যন্ত্রপাতি কিনতে ১১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ (ডিএনসিসি)।

    সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

    মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এবার ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গত অর্থবছরে এই কার্যক্রমে ব্যয় ছিল ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

    নতুন অর্থবছরে এই খাতে বাড়ানো হয়েছে ৬১ শতাংশ।
    মশার ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ফগারহুইল স্প্রে মেশিন পরিবহন ৫ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি ১ কোটি টাকা, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৩০ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিচালনার জন্য রাখা হয়েছ ২ কোটি টাকা।

    এ ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে এ খাতে খরচ বৃদ্ধির হার শতভাগ।

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ এবং মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মশার সঙ্গে যুদ্ধে এই অর্থবছরে ১১৪ কোটি টাকা খরচ করবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

    এদিকে বাজেট ঘোষণায় জানানো হয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আয় হিসেবে রাজস্ব খাত থেকে ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, অন্যান্য খাতে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সরকারি অনুদান (উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ। এছাড়া অর্বতক খাতে সাহায্য মঞ্জুরি ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পাশাপাশি সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মোট বাজেট ৫ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাজেটে ব্যয় হিসেবে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ১৪ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন ব্যয় (নিজস্ব উৎস) ১ হাজার ৫১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প) ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

  • এফডিসি সিগন্যালে ট্রেন থামিয়ে শ্রমিকদের রেললাইন অবরোধ

    এফডিসি সিগন্যালে ট্রেন থামিয়ে শ্রমিকদের রেললাইন অবরোধ

    চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ও আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদে রাজধানীর এফডিসি সিগন্যালে রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

    রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় এফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপর ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে অবস্থান শুরু করেন তারা। এসময় তিতাস কমিউটার ট্রেন আটকে দেন শ্রমিকরা।

    জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৮ম শ্রেণি পাশ বহাল রাখার দাবিতে ট্রেন আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা রেলওয়ে শ্রমিকরা বলেন, গত ১ জুলাই থেকে আমাদের চাকরি থাকছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া জুলাই ও আগস্ট এ দুই মাস আমাদের বিনা বেতনে চাকরি করতে হবে। বিনা বেতনে চাকরি করলে যেন থাকি আর না করলে যেন চলে যাই— এ নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ের ডিআরএমরা (বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার)।

    রেলওয়ে শ্রমিক মো. এমরান আক্ষেপ করে বলেন, রেলওয়েতে আমার চাকরির বয়স সাত বছর। আমরা এখানে অভিজ্ঞ। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আমাদের এখানে একেকজনের কাজের বয়স ৫ থেকে ১০-১২ বছর পর্যন্ত। এতদিন আমরা রেলওয়েতে সার্ভিস দিলাম, কিন্তু রেলওয়ে আমাদের মূল্যায়নই করল না।

    গেটম্যান হীরা বলেন, আমরা বারবার রেল ভবনে এ বিষয়ে স্মারক লিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমাদেরকে বাদ দিয়ে তারা ঠিকাদারের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করেছে। আমরা চাই আমাদের চাকরিটা ফেরত দেওয়া হোক। কারণ এ মুহূর্তে আমাদের আর অন্য কোনো চাকরি করার বয়স নেই। এতদিন রেলওয়ের সঙ্গে থেকে শেষ বয়সে এসে না খেয়ে মরব, সেটা তো হতে পারে না।

    আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য মতে, রেলওয়ের জনবল সংকট নতুন কিছু নয়। জনবল সংকট দূরীকরণে শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি শূন্য পদের বিপরীতে এতদিন অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মরত শ্রমিকদের পদগুলো হচ্ছে— মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং (গেটকিপার, ওয়েম্যান, লোকো খালাসী, ক্যারেজ খালাসী) সিগন্যালিং ইলেকট্রিক্যাল ও ট্রান্সপোর্টেশন (গেটকিপার, পোর্টার, পয়েন্টসম্যান) ইত্যাদি।

    শ্রমিকরা বলেন, রেলের ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পদে অস্থায়ীভাবে মোট ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। আমাদের মধ্যে অনেকের চাকরির বয়স ৩-১০ বছর। বর্তমানে অনেকের বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অন্য কোথাও চাকরি করার বয়স নেই।

    তারা বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কখনোই আউটসোর্সিং পদ্ধতি ছিল না। বর্তমানে আমাদের অস্থায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করার জন্য এটা চালু করা হয়েছে। যা আমাদের জীবন ধ্বংস করার পদ্ধতি বলে বিবেচিত। আমরা এই আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল ও চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, আমরা সকাল ১০টায় খবর পেয়েছি যে, এফডিসি সিগন্যালে রেললাইন অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা।

  • ৭ দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের

    ৭ দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের

    সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আন্দোলন স্থগিতের ১৬ দিন পর আবারও মাঠে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

    আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

    আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে ও সাত দফা দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

    শিক্ষার্থীদের অবরোধের বিষয়ে নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি যেন সড়ক ছেড়ে দেয়। তাদের এসব দাবির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

    এর আগে, গত ৪ জুন আন্দোলনকারীরা সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মিছিল নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের ফটক অবরুদ্ধ করে ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্যের সাথে সাত দফা দাবি নিয়ে দেখা করেন।

    শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো—

    >> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

    >> যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন- প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত  মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

    >> সব বিষয়ে পাস করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

    >> বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।  সর্বোচ্চ তিন মাসের (৯০ দিন) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

    >> সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে / কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমুহ উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।

    >> একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

    ৭. শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের দাবিসহ মোট ৭ দফা দাবিতে গত মাসের ২৫ তারিখ মানববন্ধন করে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে আমরা আবারও তার সাথে দেখা করে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানাই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখনও একাডেমিক বৈঠকেও এসব দাবির বিষয়ে কোনপ্রকার আলোচনা করা হয়নি। তাই আজ আবারও নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি।

  • নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা সব সময় দেখে আসছি ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন আসলেই এক হয়ে যায় আরেকটা নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনা শুধু আমাদের নেতা নয়, তিনি বিশ্বনন্দিত নেতা। তিনি কারও রক্তচক্ষু কিংবা ধমকে মাথা নত করেন না বা ঘাবড়ে যান না। তিনি সব সময় মাথা উঁচু করে চলতে শিখেছেন এবং আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে শেখার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।

    শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ঢাকার ধামরাইয়ের বন্যা-কুশুরা পুলিশ ক্যাম্প উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় একদম শেষ মুহূর্তে আমাদের বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রচেষ্টা হয়েছিল। সেদিন যে বন্ধুরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তারা হলো আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আমাদের শুরুতে যারা রক্ত চক্ষু দেখিয়েছিলেন, তারা আজ নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছেন।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তারা আজকে একত্রিত হয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছেন আবারও নাকি ক্ষমতায় আসবেন। কী করে আসবেন? মানুষের ভোট পেতে হবে তো। যেখানে জনগণ এক কথায় বলছেন শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাহলে কীভাবে আসবেন, ভোটেই তো আসবেন না আপনারা। তারা ভোট বিশ্বাস করেন না, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের যদি কেউ গদিটা পাইয়ে দেয় সেই ধরনের ষড়যন্ত্র তারা করে চলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করেন। তাই কোনো অপশক্তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রাখে না।

    তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষও উন্মুখ হয়ে বসে আছে, নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন শিগগিরই নির্বাচনের ডাক দেবে। সেই সময় আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমাদের আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

    জামায়াত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াত সব সময় তাদের অনুষ্ঠানাদি করত। জামায়াতকে এবার বলে দেওয়া হয়েছে ওই জায়গায় অনুষ্ঠান করলে একটা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য তারা যেন অন্য কোনো ভেন্যু বেছে নেয়। তারা ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় গিয়েছেন।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, কিছু কিছু লোক বলছেন আমরা বিদ্যুৎ পাই না। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছি। আমাদের এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের যেটা চাহিদা সেটা আমরা দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে আমরা বিদ্যুতায়ন করেছি। এখন বিদ্যুতের ঘাটতি কেন প্রশ্ন আসতে পারে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এটার মধ্যে আমাদের হাত নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের বিদ্যুৎ তৈরির উপাদানগুলোর পরিবহন ব্যয় তিন-চারগুণ বেড়েছে। এলএমজির দাম তিন-চারগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জুনের শেষে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু অন্ধকার দিনের কথা ভুলি নাই। আমাদের যদি দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো তাহলে ছয় ঘণ্টা থাকত না। কোনো গ্রামে বিদ্যুৎ যায় নাই। এখন কিন্তু দুর্গম চরসহ সব জায়গায় বিদ্যুৎ আমরা দিয়েছি। সেখানে বসে ইন্টারনেটে ছেলেমেয়েরা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। এটাই তো আমাদের বাংলাদেশের। সেই জায়গাতেই খেয়াল করে আমি আপনাদেরকে বলবো এটা একটা সাময়িক সমস্যা। অবশ্যই যে বিদ্যুৎ আমরা ঘরে ঘরে দিয়েছি সেটা অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন, আমাদের দ্রব্যমূল্যের দাম অবশ্যই কিছু বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিতে দিতে আমাদের অর্থনীতিতে একটু চাপ পড়েছে। তারপরও আমাদের কোনোটারই কমতি নেই। আমরা আজকে সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব কিছুই করে দেখিয়েছেন। আমরা আগামীতেও দেখিয়ে দেব যে আমরা পারি। বাঙালি জাতি মাথা নত করার জাতি নয়, বাঙালি সব সময় মাথা উঁচু করে চলবে এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।

    ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটির উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

    মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটির উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

    মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, ঢাকায় কর্মরত চট্টগ্রামস্থ বিভিন্ন শাখা কমিটির সদস্যবৃন্দ এর উদ্যোগে মোঃ খোরশেদ আলম সোহেলের সভাপতিত্বে ও মোঃ নাজমুল হকের সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর উত্তর, মিরপুর ০১, বাইত উল আসফিয়া মাইজভাণ্ডারী খানকাহ শরীফে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অত্র খানকাহ শরীফের আহ্বায়ক কাজী মোঃমজিবুল ইসলাম এতে আরও উপস্তিত ছিলেন মোঃ জাহেদুল ইসলাম, মফিজুর রহমান নাজিব উল্ল্যা রিগান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন গরিবী, শহিদুল ইসলাম সিরাজ, সিরাজুল ইসলাম, মোঃ নাজমুল, মোজাম্মেল হক নয়ন, আমজাদ হোসেন, মিনহাজুর রহমান ও মেহেরাজুর রহমান সহ প্রমুখ।

    সভা শেষে ৩০ জন শিশু বৃদ্ধকে ঈদ উপহার তুলে দিয়া হয়।

  • বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র বর্ষপূর্তি’র সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র বর্ষপূর্তি’র সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ ও দেশ নিয়ে দলটির ভাবনা দেশবাসীকে জানান দেওয়ার জন্য দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী, উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব চক্রবর্তী, মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লা ও দলের সদস্য সচিব এডভোকেট আল মাহমুদ হাসান।

    সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, পবিত্র সংবিধানে বর্ণিত পবিত্র কর্তব্য পালনার্থে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি নামক নতুন ধারার নতুন এই রাজনৈতিক দলটি গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আত্মপ্রকাশ হয়েছিলো। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সংবিধানে বর্ণিত যাবতীয় বিষয় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলোকে অন্তরায় হিসেবে দেখছে তা হলো—দেশে বিরাজমান বিভিন্ন সেকুলার ও ধর্মভিত্তিক দলের মধ্যে আন্তঃদলীয় হিংসা, বিদ্বেষ, দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অসহিষ্ণুতা, ক্ষমাশীলতার অভাব, সন্দেহ, প্রতিশোধপরায়ণতা ও ব্যাপক অনৈক্য। উপরোক্ত সমস্যাগুলো ১৯৯১ সাল থেকে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর রুপ নিয়ে যেভাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে অবস্থা থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনার জন্য দল—মত—ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে এক প্ল্যাটফর্মে এসে চেষ্টা না চালালে দেশে ব্যাপক সংঘাত, রক্তারক্তি, গৃহযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে। লাখ লাখ মানুষ খুন হবে। দেশ একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাবে। জনগণকে শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা করতে এই নতুন ধারার দলটি আপমর জনসাধারণের হয়ে কাজ করবে।

    ২৪ঘণ্টা.জেআর

  • প্রথম দিনে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে ৩ হাজার ৮৫৭ যাত্রী

    প্রথম দিনে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে ৩ হাজার ৮৫৭ যাত্রী

    সাধারণ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিনে ৩ হাজার ৮৫৭ জন যাত্রী এতে ভ্রমণ করেছেন। সকাল ৮টা থেকে চালু হয়ে দুপুর ১২টায় বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত এই যাত্রীরা মেট্রোরেলসেবা পরিসেবা গ্রহণ করে।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণোমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চলার কথা থাকলেও ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। এই যাত্রীদের কেউ ছিলেন অফিসগামী, কেউবা এসেছিলেন পরিবারসহ। আবার অনেকেরই লক্ষ্য ছিল শুধু মেট্রোরেলে ঘোরা।

    তবে সকাল থেকেই যাত্রীদের অভিযোগ ছিল স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকাতে ধীরগতিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছিল শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যাত্রীদের পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্থ করাতে কিছুটা ধীরে কাজ করা হয়েছে।

    এদিকে খুচরা বা ভাংতি টাকা না থাকায় টিকিট বিক্রীর ভেন্ডীং মেশিনেও দেখা দেয় জটিলতা।

    তবে এসবের মাঝেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টার পর আর চলেনি মেট্রোরেল। ফলে মেট্রো রেলে চলার ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেই শেষ পর্যন্ত স্টেশন ছাড়তে হয় হাজারো মানুষকে।