Category: ঢাকা

  • মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অভূতপূর্ব উন্নয়নে অবদান রাখায় মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    শুধু ফসলের মাঠে নয়, ছাদ কৃষিতেও ব্যাপক আগ্রহ ও সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর এ সফলতা এসেছে কৃষিমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। একজন সফল কৃষিবিদ এবং কৃষি গবেষক হওয়ায় কৃষিমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পেরেছেন বলেই কৃষিখাতে বাংলাদেশের এ উন্নতি। এমনকি করোনা মহামারীকালীন সময়ে বিশ্বে যখন অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে, খাদ্য সংকটের কবলে যখন সারাবিশ্ব, সেই কঠিন মূহুর্তে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লকডাউন দেওয়া হলেও কৃষি উৎপাদন একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করোনাকালেও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন কৃষিমন্ত্রী।

    কৃষিতে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন, শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এ কারণেই করোনা মোকাবেলা শেষে অদ্যাবধি খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।

    সুজন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আহবান, দুর্দিনকে রুখে দাড়ান, মুষ্টিচালের সঞ্চয়ে, অভাবে যাবে নির্বাসনে শীর্ষক প্রস্তাবনাটি কৃষিমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন সুজন।

    শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে তাঁর হেয়ার রোডস্থ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজন।

    প্রস্তবনাটি নিম্নরূপ-প্রথমত: বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ১৬ কোটি ধরা হয় এবং প্রতি পরিবারে সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্য হলে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ পরিবার হবে। প্রতি পরিবার যদি একবেলা আহার থেকে ১ মুষ্টি চাল সঞ্চয় করে তাহলে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মুষ্টি চাল হবে এবং দুইবেলায় তা হবে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টি চাল। যদি ২৫ মুষ্টিতে ১ কেজি চাল ধরা হয় তাহলে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টিতে হবে ২৫ লাখ ৬০ হাজার কেজি চাল প্রতিদিন। আর টন হিসেবে তা হবে দৈনিক ২,৫৬০ মেট্রিক টন চাল। মাসে যার পরিমাণ হবে ৭৬,৮০০ মেট্রিক টন চাল। এভাবে যদি সঞ্চয় অব্যাহত থাকে তাহলে বছরে হবে ৯,২১,৬০০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ মুষ্টি চাল সঞ্চয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।

    দ্বিতীয়ত: আমরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিমাত্রায় খাবারের অপচয় করে থাকি। এ অপচয় রোধে সরকার যদি একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে এবং সাথে আইনের কঠোর প্রয়োগ করে তাহলে সারা দেশে শুধু খাবারের অপচয় রোধ করে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য সঞ্চয় করা সম্ভব হতে পারে।

    তৃতীয়ত: বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, দেশে পতিত জমির মোট পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক বা ৪৩ লাখ ৯৩৩১ হেক্টর। পতিত জমি সাধারনত দুই ধরনের, অস্থায়ী পতিত এবং স্থায়ী পতিত জমি। দেশে স্থায়ী পতিত জমির সংখ্যাই বেশি। আবার দেখা যাচ্ছে যে চাষাবাদ যোগ্য জমিতে বেশি লাভের আশায় চাষাবাদ বহির্ভূত চাষ হচ্ছে। এসব চাষও আগামী ২ বছরের জন্য বন্ধ রেখে শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য এসব অস্থায়ী এবং স্থায়ী পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসলে সেসব জমি থেকে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত উৎপাদন করা অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে যদি আমরা ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত সঞ্চয় করতে পারি তাহলে কোন অবস্থাতেই দুর্ভিক্ষ কিংবা খাদ্য সংকট দেশের মানুষকে গ্রাস করতে পারবে না।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গুরুত্বের সাথে সুজনের প্রস্তাবনাসমূহ শ্রবণ করেন এবং প্রস্তাবনাটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত বলে উল্লেখ করেন। তিনি সুজনের উপস্থাপিত মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ সম্ভব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ কৃষিমন্ত্রীর।

  • বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

    বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

    বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে রাজধানী ঢাকা।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২৮৩। সেই হিসেবে ঢাকাকে দ্বিতীয় অবস্থানে রাখা হয়েছে।

    এ ছাড়া একিউআই স্কোর ২৯৪ নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। ২২৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের করাচি।

    তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

    ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ

    আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ

    বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সংঘর্ষের সময় আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এবং হাতে শটগান থাকা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    নয়াপল্টনে তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে যে ব্যক্তিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে, তাকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

    তিনি আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য কিনা জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

  • শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলে গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়

    শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলে গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়

    বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, জোর জবরদস্তি, স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মানুষের নাগরিক অধিকার ও বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট হয়। আর তখনই সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও মানবিক মূল্যবোধের অভাবে দেশ ও সমাজে অসহিষ্ণু বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শনিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জেলা, উপজেলা ও থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্ম ও মতের মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক, সম্প্রীতি না থাকলে কখনই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না, দেশে সমৃদ্ধি আসবে না। ইসলাম সকল ধর্মের মানুষের জন্য কল্যাণকর। তা নিশ্চিত করবে বাংলদেশ সুপ্রিম পার্টি।

    আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সুপ্রিম পাার্টি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে সুদৃঢ় করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ পরিচালনায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি।

    সারা দেশে বিএসপি’র ৩০টি জেলায় ২০০টি উপজেলা ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠন হয়েছে। বাকি জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলমান আছে।

    সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, আমরা কখনই চাইনা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি হোক। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে নিরাপদ এবং সকল দলের অংশ গ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ভূমিকা রাখবে নির্বাচন কমিশন।

    সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সুসংগঠিত একাধিক রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম থাকা আবশ্যক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম অনুষঙ্গ ভিন্নপথ ও মতের একাধিক রাজনৈতিক দল বা সংগঠন।

    এরই আলোকে আমরা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যে চেতনায় আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেটিই হবে আমাদের পথ চলার প্রেরণা। বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সুদৃঢ় এবং সঠিক পথে পরিচালনার জন্য আমাদের এ আয়োজন।

    রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, উন্ননের ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে চলছে। তবে উন্নয়ণের সুফল পেতে প্রয়োজন সুশাসন, সম্প্রীতি-সহাবস্থান।একমাত্র সুফিবাদী দর্শনই শান্তি ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

    আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় শান্তি ও মৈত্রির মানবিক সুফিবাদী দর্শন সম্প্রসারণ করতে পারলে বাংলাদেশসহ বিশ্বময় শান্তি, সুশাসন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।

    বন্ধ হবে দুর্নীতিসহ অনৈতিক কাজ ঘুষ লেনদেন, কালোবাজারি, মজুদধারী, অর্থপাচার চোরা-চালানি, সিন্ডিকেট ও দুর্বলের ওপর অত্যাচার নিপীড়িন। অহিষ্ণুতা, একগোঁয়ামী ও স্বেচ্ছাচারিতা কখনো রাষ্ট্র ও সমাজের কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।

    আন্দোলনের নামে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্পদহানি, জনগণের নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তেমনি বিরোধী দলের টুঁটি চেপে ধরে প্রতিবাদের ভাষা হরণ করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে বাক স্বাধীনতা হরণ কাম্য নয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন।

    বিএসপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে ত্বরীক্বত মুফতী বাকী বিল্লাহ আল-আযহারীর সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবুল কালাম আজাদ।

    অতিথি ও আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল আলম, হযরত মাওলানা মুফতী মাসুদ হোসাইন আল্-কাদেরী, মাওলানা আহমদ রেজা ফারুকী, বিএসপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আল্হাজ্ব কাজী মহসীন চৌধুরী,

    পীরে ত্বরীক্বত মুফতী কাজী গোলাম মহিউদ্দিন লতিফী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুন, এইচএম মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া, মো: আব্দুল মতিন, কুমিল্লা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পায়েল,

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ইস্রাফিল আলম রনি, ফেনী জেলা প্রতিনিধি এমআর রহমান দুলাল ভূঁইয়াসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও থানার নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

    জে-আর

  • বাস ভাড়ায় নৈরাজ্য চলছে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে

    বাস ভাড়ায় নৈরাজ্য চলছে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে

    জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত ভাড়ায় নৈরাজ্য চলছে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে প্রতিদিন ১’শ ৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতিবাদ করলে হেনস্তা, অপমান ও হত্যার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।

    আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত যাত্রী অধিকার দিবস-২০২২ উপলক্ষে ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

    বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন, মানবাধিকার সংগঠক হানিফ ইসা, আতিকুর রহমান প্রমুখ।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১ বছরে দুইবার জ্বালানির তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয় গণপরিবহন ভাড়া। এতে অস্থির হয়ে উঠে গণপরিবহন খাত। বর্তমানে নগরীর কোন পরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে।

    তিনি বলেন, এ সময়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় তর্কের জেরে গণপরিবহগুলোতে অন্তত ২৫টি যাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। এতে বাস থেকে ফেলে ১৪ যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ১০ জন যাত্রী। এতে গণপরিবহন ব্যবহারে যাত্রী সাধারণের মাঝে ভীতি সঞ্চার হয়।

    এ রকম ঘটনা বাড়তে থাকায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ করে বলে জানান তিনি।

    সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করেও এ ভাড়া নৈরাজ্য থামাতে বার-বার ব্যর্থ হচ্ছে। কোনো-কোনো পরিবহনে তো দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

    মোজাম্মেল হক বলেন, পর্যবেক্ষণকালে বিভিন্ন যানবাহনের চালক, সহকারী ও ভাড়া আদায়কারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- মালিকের দৈনিক জমা, জ্বালানির উচ্চ মূল্য, সড়কের চাঁদাবাজি, গাড়ির মেরামত খরচ ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তারা এমন ভাড়া নৈরাজ্য চালাতে বাধ্য হচ্ছে।

    পর্যবেক্ষণে আরও উঠে এসেছে, রাজধানীতে যাত্রী সাধারণের যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতিদিন গড়ে ১’শ ৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি অতিরিক্ত ভাড়ার নামে আদায় করছে বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহনগুলো।

    মোজাম্মেল হক বলেন, রাজধানীর ৫ হাজার বাস-মিনিবাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হয়। লক্কড়-ঝক্কড় এসব সিটি সার্ভিসের শতভাগ বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

    এসব বাস-মিনিবাসে যাতায়াতে যাত্রী প্রতি মাথাপিছু গড়ে ১৭ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। এতে ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রী দৈনিক গড়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে।

    রাজধানীতে ১৫ হাজার বৈধ অটোরিকশার পাশাপাশি আরও ১৫ হাজার ঢাকা ও আশেপাশের জেলায় নিবন্ধিত অটোরিকশা অবৈধভাবে চলাচল করে। ৩০ হাজার অটোরিকশা দৈনিক গড়ে ১২ ট্রিপ হিসেবে ৩ লাখ ৬০ হাজার ট্রিপ যাত্রী বহন করে।

    এসব অটোরিকশায় প্রতিট্রিপে গড়ে ১’শ ৪৫ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় হয়। এতে দৈনিক ৩ লাখ ৬০ হাজার ট্রিপ যাত্রীকে অটোরিকশা খাতে কেবল বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।

    তিনি বলেন, হিউম্যান হলারের ভাড়া নির্ধারণের আইন থাকলেও সরকার ভাড়া নির্ধারণ না করায় এখানে বরাবরই দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়তি ভাড়ায় যাতায়াত করতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের যাত্রী সাধারণকে।

    ১২ হাজার বৈধ হিউম্যান হলারের পাশাপাশি মেয়াদোর্ত্তীণ, লক্কড়-ঝক্কড়, স্থানীয় গ্যারেজে তৈরি আরও প্রায় ১৮ হাজার হিউম্যান হলারসহ ৪০ হাজার হিউম্যান হলার রাজধানীতে দৈনিক গড়ে ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রী বহন করে।

    প্রতিট্রিপে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া দিতে বাধ্য হয়। এতে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা কেবল হিউম্যান হলারের যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

    এছাড়া ৫ লাখ রাইডশেয়ারিং মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্যাক্সিক্যাবে দৈনিক গড়ে ২ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ট্রিপ যাত্রী বহন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব যানবাহনে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৭৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

    এসব যানবাহনে প্রতিদিন গড়ে ১৬২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে, পণ্যমূল্য বেড়েছে, সামাজিক অপরাধ বাড়ছে।

    জে-আর

  • বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব : সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব : সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহওয়া অফিস।

    ১০ আগস্ট (বুধবার) আবহাওয়া অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস জানায়, ওড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বর্তমানে ভারতের ছত্রীশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

    এটি আরো উত্তর পশ্চিমদিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

    সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ জানান, সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহ ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও

    চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

    জে-আর

  • টিপু হত্যাঃ পলাতক মুসা ওমানে গ্রেফতার

    টিপু হত্যাঃ পলাতক মুসা ওমানে গ্রেফতার

    মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন সুমন শিকদার মুসা ওমানে গ্রেফতার হয়েছেন।

    মুসা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ও ঘটনার কিছুদিন পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যান।

    এরপর তাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা চায় বাংলাদেশ পুলিশ। এর মধ্যেই ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওমান থেকে তাকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়।

    এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি ডেস্কের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম জানান, মুসা ওমানে গ্রেফতার হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

    গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়।

    সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

    ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। যিনি সরাসরি টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।

    ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    র‌্যাব জানায়, চাঁদাবাজি ও দরপত্র নিয়ে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যার বদলা ও বোঁচা বাবু হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

  • গণপরিবহনে ৬৩.৪ ভাগ তরুণী হয়রানির শিকার হয়

    গণপরিবহনে ৬৩.৪ ভাগ তরুণী হয়রানির শিকার হয়

    ঢাকায় গণপরিবহনে ৬৩.৪ ভাগ তরুণী হয়রানির শিকার হন। শুক্রবার আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে বলা হয় যে তাদের পরিচালিত জরিপে ৪৬.৫ শতাংশ বলেছেন যে তাদেরকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ১৫.৩ শতাংশ বুলিং, ১৫.২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪.৯ শতাংশ লিঙ্গ বৈষম্য এবং ৮.২ শতাংশ বডি শেমিং-এর মতো হয়রানির শিকার হয়েছেন।

    ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. ইসমাইল হোসাইন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আঁচল ফাউন্ডেশন এবার শুধু ঢাকাস্থ কিশোরী ও তরুণীদের নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। এতে কিশোরী এবং তরুণীরা ঢাকা শহরের গণপরিবহনে কোন ধরনের হয়রানির শিকার হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর কী প্রভাব তা খুঁজে বের করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।

    গবেষণায় ঢাকায় বহুল ব্যবহৃত গণপরিবহনগুলোর মধ্যে বাস, ট্রেন, লেগুনা, রাইড শেয়ারিং ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের এই ডাটা সংগ্রহের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতির সমন্বয় করা হয়েছে। ঢাকা শহরের আজিমপুর, মিরপুর, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারাসহ বিভিন্ন এলাকার তেরো থেকে পঁয়ত্রিশ বছরের নারীরা অংশগ্রহণ করেছেন।

    এতে বলা হয়, সমীক্ষায় অংশ নেয়া ৩৩.২ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন যে তারা দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা গণপরিবহনে ব্যয় করেন। ৩২.৫ শতাংশ অন্তত ১ থেকে ২ ঘণ্টা সময় গণপরিবহনে অতিবাহিত করেন। ২৪.৭ শতাংশ ১ ঘণ্টার কম এবং ৫.৮ শতাংশ ৪ ঘণ্টার বেশি সময় গণপরিবহনে ব্যয় করেন।

    সমীক্ষায় দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র বা বিবিধ কাজে যাতায়াতের প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯.৪৪ শতাংশ গণপরিবহনে এবং ৬.৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যানবাহনে আসা যাওয়া করেন। এছাড়াও ২.৭৩ শতাংশ চলাচলের জন্য ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন। গণপরিবহনে চলাচলকারীদের ৮৪.১০ শতাংশ বাসে চলাফেরা করেন, ৪.৫৮ শতাংশ ট্রেন বা রেলে যাতায়াত করেন, রাইড শেয়ারিংয়ে যাতায়াত করেন ১.৫৩ শতাংশ এবং সিএনজি ব্যবহার করেন ৩.২৭ শতাংশ।

    জরিপের উপাত্ত অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গত ছয় মাসে ৬৩.৪ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী গণপরিবহনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬.৫ শতাংশ বলেছেন তাদেরকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ১৫.৩ শতাংশ বুলিং, ১৫.২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪.৯ শতাংশ লিঙ্গ বৈষম্য এবং ৮.২ শতাংশ বডি শেমিং-এর মতো হয়রানির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে গণপরিবহনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ৭৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাদেরকে অন্যযাত্রীদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ২০.৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদেরকে হেলপারদের মাধ্যমে এই ধরণের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এছাড়াও ৩ শতাংশ হকারের মাধ্যমে এবং ১.৬ শতাংশ ড্রাইভারের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। গণপরিবহনকে অনিরাপদ করে তোলার পিছনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।

    বেশি হয়রানি করছেন মধ্যবয়সীরা

    কারা বেশি যৌন হয়রানি করছে এই প্রশ্নের উত্তরে দেখা গেছে ৬১.৭ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন যে, তারা ৪০ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে, ৩৬.৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা কিশোর ও যুবক অর্থাৎ ১৩ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। নিপীড়নের ক্ষেত্রে মধ্যবয়সীরা এগিয়ে থাকলেও কিশোর তরুণদের মাধ্যমে এই হারটা কম নয়।

    গণপরিবহনে কিশোরী ও তরুণীদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০.৯ শতাংশ জানিয়েছেন বাসে ওঠা-নামার সময় অসম্মতি থাকা সত্ত্বেও হেলপাররা স্পর্শ করেছে। ২৪.৬ শতাংশ নারী জনিয়েছেন তাদেরকে গত ছয় মাসে অন্তত তিন বার এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। নারী যাত্রীদের উঠানোর ক্ষেত্রে হেল্পারদের বাস থেকে নেমে যাওয়া আবশ্যক হলেও তাদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়ার প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।

    গণপরিবহনে কোন ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সে বিষয়ে ১১.৯ শতাংশ অংশগ্রহণকার জানিয়েছেন, গণপরিবহনে চলাচলের সময় তাদেরকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করা হয়েছে। ৩০.৮ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন যে গণপরিবহনে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও অন্য যাত্রীরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। ইচ্ছাকৃতভাবে হালকাভাবে স্পর্শ করে গেছেন ১৭.৯ শতাংশকে। এছাড়াও ১৪.২ শতাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কার শিকার হয়েছেন। ১৩.৮ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন যে তারা বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন।

    পরিসংখ্যান মতে, গণপরিবহনে হালকা ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কিশোরী ও তরুণীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন যা ৩২.৮ শতাংশ। অতিরিক্ত ভিড় যৌন হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.২ শতাংশের ক্ষেত্রে। বসে থাকা অবস্থায় যৌন নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন ২২.৯ শতাংশ। গণপরিবহনে ওঠা বা নামার সময় ১১.৩ শতাংশ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। জরিপ অনুযায়ী দেখতে পাওয়া যায় গণপরিবহনে সীটের অতিরিক্ত লোক নেয়ার ফলে যৌন হয়রানি বাড়ছে।

    যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর ভুক্তভোগীদের প্রতিক্রিয়া জানতে গিয়ে দেখা যায়, ৩৪.৮ শতাংশ ভয় পাওয়ার কারণে নিরব থেকেছেন। ২০.৪ শতাংশ পরবর্তীতে উক্ত গণপরিবহন এড়িয়ে চলেছেন। ৪.২ শতাংশ পার্শ্ববর্তী সহযাত্রীদের নিকট সাহায্যের অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে, মাত্র ০.৫ শতাংশ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগ নিয়েছেন। কোনো অন্যায়ের শিকার হওয়ার পরও কিশোরী ও তরুণীদের কোনো ধরনের প্রতিবাদ না করার সংখ্যাটাও কম নয়। নারীদেরকে প্রতিবাদী না হতে শিখালে তাদের হয়রানির শিকার হওয়ার হার বাড়তে থাকতে পারে।

    যৌন হয়রানির পর গণপরিবহনের অন্যান্য যাত্রীর প্রতিক্রিয়া এবং আচরণ সেই পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর ৩৬.৯ শতাংশ বলেছেন অন্যযাত্রীরা যৌন হয়রানির মতো ঘটনাকে উপেক্ষা করে গেছেন। এমনকি ২ শতাংশ তরুণী ও কিশোরী জানিয়েছেন গণপরিবহনের অন্যযাত্রীরা নিপীড়নকারীকে সমর্থনও করেছেন।

    অন্য নারীযাত্রী যখন যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন, তখন তার প্রতি কতটুকু সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব ছিল সেটা জানতে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে অহেতুক ঝামেলা মনে করায় তা এড়াতে পিছিয়ে গেছেন ১৪.২ শতাংশ। কিন্তু কীভাবে তার পাশে দাঁড়ানো যায়, তা না বুঝতে পারায় সহযোগিতা করতে পারেননি ৩৩.৫ শতাংশ। উক্ত গণপরিবহনের অন্য যাত্রীদের সাহায্য করা উচিত বলে মনে করেছেন ১৪.৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান থেকে আরও উঠে এসেছে যে, ৭.৩ শতাংশ যৌন হয়রানি হতে দেখে ভীত হয়ে পড়ার কারণে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণে এগিয়ে আসতে পারেননি।

    সংগ্রহকৃত তথ্য থেকে জানা যায়, ২১.২ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী গণপরিবহন ব্যবহারের সময় যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কারণে পরবর্তীতে ট্রমাটাইজড হয়েছেন। ২৯.৪ শতাংশের মনে গণপরিবহন এক ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৬.৪ শতাংশ হীনমন্যতায় এবং ১৩.৮ শতাংশ বিষণ্ণতায় ভুগেছেন বলে শেয়ার করেছেন।

    গণপরিবহন নিরাপদ করতে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবনা:

    ১. গণপরিবহনে সিট সংখ্যার বেশি যেন যাত্রী না তুলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
    ২. সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বাস স্টাফসহ যাত্রীদের পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।
    ৩. প্রতিটি বাসে সিটের পাশে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক বিভিন্ন লিফলেট লাগাতে হবে।
    ৪. সময় ও চাহিদার প্রেক্ষিতে বাসে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা জরুরিভিত্তিতে বাড়াতে হবে।
    ৫. নারীদের জন্য আলাদা পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এসব বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
    ৬. বাসের হেল্পার, সুপারভাইজার ও চালকদের পরিচয় উল্লেখপূর্বক নেমপ্লেট বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    ৭. বাসে নিপীড়নের ঘটনায় সেই বাসের স্টাফদের দায়ভার নিতে হবে।
    ৮. নিপীড়িত নারীর প্রতিবাদে কেউ আক্রমণাত্মক হলে তাকে শক্তভাবে প্রতিহত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
    ৯. গণপরিবহনে যৌন হয়রানির ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিচার নিশ্চিত করা যায়।
    ১০. বাসের হেলপার সুপারভাইজার ও চালকদের জন্য বিশেষ কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে যৌন নিপীড়ন বিরোধী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়।

    আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ এ প্রেক্ষাপটে বলেন, ‘নারীদের প্রতি হয়রানি, সহিংসতা দিন দিন বাড়ছেই। সেটা বাসায় হোক, রাস্তাঘাটে কিংবা গণপরিবহনে।’

    তানসেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে তরুণীদের কাজের স্পৃহা কমে যায়, তাদের বিষণ্ণতা বেড়ে যায়। এই বিষণ্ণতা তাদেরকে আত্মহত্যার দিকেও ধাবিত করতে পারে।’

    উল্লেখ্য, আঁচল ফাউন্ডেশন এর আগে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার পিছনে দায়ী কারণগুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা করে। এতে দেখা যায়, সারা বাংলাদেশে ৪৫.২৭ শতাংশ নারী গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন।

  • গাঁজা দিয়ে চকলেট-কেক-মিল্কশেক তৈরি, গুলশানে তরুণীসহ আটক ৩

    গাঁজা দিয়ে চকলেট-কেক-মিল্কশেক তৈরি, গুলশানে তরুণীসহ আটক ৩

    গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি হতো কেক, চকলেট, মিল্কশেক ও বিভিন্ন খাবার তৈরির উপকরণ। পরে সেগুলো বিক্রি করা হলো অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে। পৌঁছে দেওয়াও হতো ক্রেতার ঠিকানায়। রাজধানীতে এমনই চক্রের এক তরুণীসহ তিনজনকে বিশেষ অভিযানে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ। আটকদের মধ্যে দুই যুবক রয়েছেন।

    রোববার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে প্রথমে গুলশানের ৬ নম্বর রোড থেকে মোটরসাইকেলযোগে ডেলিভারিম্যান এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা থেকে চক্রের অন্য এক তরুণী ও এক যুবককে আটক করা হয়। আটককালে গাঁজার তৈরি বিভিন্ন খাবারসহ নানা উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।

    আটকরা হলেন- রাজধানীর দক্ষিণখান মিয়া পাড়ার জুবায়ের হোসেন (২৪), উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের অনুভব খান রিবু (২৩) ও উত্তরার সি ব্লকের দুই নম্বরে রোডের বাসিন্দা নাফিজা নাজা (২২)।

    তাদের কাছ থেকে ৯০০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি ছয় কেজি ১০০ গ্রাম বিভিন্ন খাবার (চকলেট, কেক, মিল্কশেক), খাবার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ, একটি প্রো ম্যাক্স-১১ আইফোনসহ দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

    সোমবার (৩০ মে) দুপুরে গুলশান থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো.আসাদুজ্জামান।

    তিনি বলেন, গোপন খবরে গুলশান থানা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক দল ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসা যুবককে (জুবায়ের) আটক করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানান, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মাদক দিয়ে তৈরি এসব খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল।

    পরে তার দেওয়া তথ্যে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের আট নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ গাঁজার নির্যাস দিয়ে বানানো বিভিন্ন খাবার উপকরণ জব্দ এবং চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।

    আটকরা জানিয়েছেন, তারা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কানাডিয়ান ও আফ্রিকান মাদক কারবারিদের তৈরি বিভিন্ন ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট ও মিল্কশেক তৈরি করে আসছিল। এক কেজি গাঁজার চকলেট তৈরিতে পাঁচ কেজি গাঁজার নির্যাস প্রয়োজন হয় বলেও জানান তারা।

    আটকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মামলার পর তাদের আদালতে নিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান।

  • নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: দুই দোকান কর্মচারী গ্রেফতার

    নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: দুই দোকান কর্মচারী গ্রেফতার

    রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন- নিউমার্কেট ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী কাউসার ও বাবু।

    সোমবার (৯ মে) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলনার (১০ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার

    এ বিষয়ে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরেরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

    এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী ছিলেন।

    সংঘর্ষের সূত্রপাত নিউমার্কেটের ভেতরে থাকা ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের দুই দোকান কর্মচারীর দ্বন্দ্ব থেকে। সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ রয়েছে। তবে কোনো দোকানই নিজে চালাতেন না মকবুল। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়েছেন দোকান দুটি। রফিকুল ও শহিদুল পরস্পর আত্মীয়।

    সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়। দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।

    এছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন ও মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা করেন। এই চার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৪০০ জনকে। তবে তিনটি মামলার মধ্যে শুধু পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা মকবুলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

  • ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আরেক নাম হ‌তে পা‌রে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

    ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আরেক নাম হ‌তে পা‌রে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

    কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটু একটু করে দেখা দিচ্ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ। সেইসঙ্গে মহাসড়কে চলছে উন্নয়নকাজ। তাই, আসন্ন ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা করছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।

    তবে, পুলিশ ও গাড়ি মালিক সমিতি বলছে—যানজট নিরসনে রয়েছে যথেষ্ট প্রস্তুতি।

    ঈদ মানেই নাড়ির টা‌নে বাড়ি ফেরা। টানা কয়েক দিনের ছুটি। নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান সবাই। কিন্তু, কতটা সচ্ছন্দে রাজধানী থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঘরে ফিরতে পারবে এবারের ঈদের আগে, সেটি এখন ভাবনার বিষয়। কেননা, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মহাসড়কের যানজট যেন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই চলছে মহাসড়ক উন্নয়নকাজ।

    সাধারণত বছরের এমন সময়ে, ঢাকা থেকে আরিচায় যাত্রী পরিবহণ পৌঁছাতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে এবারের ঈদের ছুটিতে সময় লাগতে পারে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বেশি। তাতে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে পারে যাত্রীরা। এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবহণ চালকেরা।

    প্রতি বছরের মতো এবারও এ মহাসড়কে নামানো হতে পারে ফিটনেসবিহীন যাত্রী পরিবহণ। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুধু মানিকগঞ্জে অবস্থিত কারখানা থেকেই প্রায় দেড়শ পুরোনো বাস নতুন রঙ করে নামানো হতে পারে। তাই, কতটুকু স্বস্তির যাত্রা হবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের, সেটিই দেখার বিষয়।

    এদিকে, গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে পরিবহণের বেশ ক্ষতি যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনি পরিবহণ শ্রমিকদেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে, এবার মহাসড়কে উন্নয়নকাজ চললেও তা তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করছেন মানিকগঞ্জ পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিবারের মতো এবারও তাঁদের পুলিশের সঙ্গে থেকে কাজ করার যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে।

    অপরদিকে, মানিকগঞ্জের বারোবাড়ীয়া থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান। প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য মহাসড়কে মোতায়েন করা হবে বলে জানান তিনি।

    এ ছাড়া যে সব গাড়ির কাগজপত্র নেই, অর্থাৎ ফিটনেসবিহীন গাড়ি, সেগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

    এন-কে

  • নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, ঘটনাস্থলেই মা-ছেলের মৃত্যু

    নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, ঘটনাস্থলেই মা-ছেলের মৃত্যু

    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যাত্রীবাহী মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মা- ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও নয় জন।

    আজ বুধবার, ৬ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

    সদর থানার ওসি হামিদুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন

    নিহতরা হলেন, টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলার চিন্তিতপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান (৩০) ও তার মা হাসনা বেগম (৫৫)। নিহত অপর একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নাগরপুর থকে ‘নিউ ভিলেজ’ লাইন পরিবহনের মিনিবাস ঢাকায় যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয় বাসটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও ছেলে। হাসপাতালে নেওয়ার পর অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়। আহতদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সদর থানার ওসি বলেন, দুর্ঘটনার পর চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    এন-কে