Category: অর্থনীতি

  • বিদেশি ক্রেতাদের আচরণে কারখানা মালিকের চোখে পানি

    বিদেশি ক্রেতাদের আচরণে কারখানা মালিকের চোখে পানি

    করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশি ক্রেতাদের অর্ডার বাতিল, স্থগিত ও পাওনা টাকা আটকে দেওয়ায় বাংলাদেশি এক পোশাক কারখানা মালিকের কান্না আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় ডেনিম এক্সপার্ট কারখানার ওই মালিকের নাম মোস্তাফিজ উদ্দিন। তার পোশাক কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের বেতন-বোনাস দেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন এই কারখানা মালিক বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে পাওনা টাকা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত কেঁদেই ফেলেছেন।

    মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের হাতে বেতন-বোনাস আর ঈদ উপহার তুলে দেওয়ার জন্য টানা ১০ দিনের বেশি বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে আসছিলেন। শেষ দিন সকাল ১০টায় ব্যাংকে বসেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন।

    কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে ব্যাংক থেকে জানানো হয়, ইউরোপ কিংবা আমেরিকা কোনো দেশ থেকেই টাকা আসেনি। তাই আজকে আর কোনো লেনদেনের সুযোগ নেই।

    তিনি বলেন, ‘এ কথা শোনার পর আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। আগের রাতে একটুও ঘুমাতে পারিনি। বুধবার সকালে শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের কী করে খালি হাতে বিদায় করব তা ভাবতেই আমার কান্না চলে আসে। কিছুক্ষণের জন্য নিজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।’

    তার কান্নার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে অ্যাপারেলইনসাইডার ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইট।

    ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে কারখানা বানিয়ে মাত্র কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি অর্জন করেন মোস্তাফিজ উদ্দিন। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি স্থাপন করে ইউরোপ আমেরিকার ক্রেতাদের নজরে আসেন।

    বাংলাদেশি পোশাক শিল্পোদ্যোক্তা ও পশ্চিমা ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে গত পাঁচ বছর ধরে ট্রেড শো এবং ব্যবসায়ী সম্মেলন আয়োজন করে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন ‘ডেনিম মোস্তাফিজ’ নামে।

    ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সংকটের শুরু হয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার পশ্চিমা বিশ্বে পোশাকের চাহিদাও কমে যায়।

    এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্রেতা কোম্পানি আকস্মিকভাবে একের পর এক কার্যাদেশ বাতিল করতে থাকে। অনেকে পণ্য হাতে পেয়েও সেগুলোর দাম আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র হিসাবে, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ১ হাজার ১৫০ কারখানার ৩১৮ কোটি ডলারের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। তাতে প্রায় ২২ লাখ পোশাকশ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    এই সংকটের শিকার মোস্তাফিজ বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিদেশি ক্রেতাদের কাছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে।

    প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘হাতে গোনা দুই-চারটি কারখানা হয়ত এমন ধাক্কা সমলাতে পারবে। কিন্তু আমার মতো ছোট কারখানাগুলো কী করে টিকে থাকবে।’

    যদিও শেষ মুহূর্তে পরিচিত বন্ধু-স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে এবারের ঈদের বোনাস শ্রমিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

    বিদেশি ক্রেতাদের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরে মোস্তাফিজ বলেন, ‘মহামারি শুরু হওয়ার পর ক্রেতারা কোনো আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে অর্ডারগুলো বাতিল করে দিলো, কিছু শিপমেন্ট স্থগিত করে দিল। তারা অর্ডার করল, আমরা পণ্য তৈরি করলাম। এখন তারা টাকা না দিয়ে অর্ডার স্থগিত করল, এটা তো কোনো ব্যবসার পদ্ধতি হতে পারে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমার আমেরিকার ক্রেতারা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমাকে তো শ্রমিকের বেতনসহ অন্যান্য খরচ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। তাদের উত্তর হচ্ছে, তারা সময় হলে টাকা দেবে। কিন্তু তাদের কখন সময় হবে? সে পর্যন্ত আমার শ্রমিকরা কি না খেয়ে থাকবে? তারা যদি অস্থিরতা শুরু করে?’

    বাংলাদেশের অধিকাংশ রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার সঙ্গে ক্রেতারা একই ধরনের আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন মোস্তাফিজ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা নিয়ে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেও বিশ্ব সংস্থাগুলো ‘নীরব ভূমিকা’ পালন করায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

    মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো দুর্বল। কারখানা মালিকরা এক্ষেত্রে ভয় পায়। ফলে ক্রেতারা কারখানাগুলোর সঙ্গে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াতে পারে। তারাই আবার শ্রমিকের অধিকার ইস্যুতে কারখানাগুলোকে চাপ দেয়। তারাই টাকা বকেয়া রেখে শ্রমিকদের বিপদে ফেলে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য প্রটোকলে ২য় সংযোজন স্বাক্ষর

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য প্রটোকলে ২য় সংযোজন স্বাক্ষর

    বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ট্রানজিট এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত একটি দীর্ঘস্থায়ী ও কালোত্তীর্ণ প্রটোকল রয়েছে।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত এই প্রটোকল দু’দেশের মধ্যকার অভিন্ন ইতিহাস, বন্ধুত্ব, আস্থা এবং পারস্পরিক লাভজনক অংশীদারিত্বের প্রতিফলন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পাঁচ বছরের জন্য এই প্রটোকলটি নবায়ন করা হয়েছিল যাতে আরও পাঁচ বছর মেয়াদে এটির স্বয়ংক্রিয় পুনর্নবীকরণের বিধান রাখা হয় বিভিন্ন অংশীদারদের দীর্ঘমেয়াদী আশ্বাস প্রদানের জন্য।

    ২) প্রটোকল সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং নৌসচিব পর্যায়ের আলোচনা হলো প্রটোকলটিকে আরও কার্যকর করার জন্য দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লীতে এবং ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বৈঠকে আলোচনার সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজতর করা, প্রটোকল রুট সম্প্রসারণ, নতুন রুটের অন্তর্ভুক্তি এবং কল অফ পোর্ট ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রটোকলটিতে আজ দ্বিতীয় সংযোজন স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করা হয়েছে। উভয়পক্ষের দ্বারা সম্মত নির্দিষ্ট বিষয়গুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    (ক) রুটসমূহ: ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল (আইবিপি) রুটের সংখ্যা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ করা হচ্ছে এবং বিদ্যমান রুটে নতুন স্থানও যুক্ত করা হয়েছে: –
    ১. গোমতী নদীর সোনামুড়া-দাউদকান্দি (৯৩ কিমি) আইবিপির ৯ম ও ১০ম রুট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ত্রিপুরা এবং সংলগ্ন রাজ্যগুলির সাথে ভারত-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলির যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে এবং উভয় দেশের নদী-দূরবর্তী অঞ্চলেও সহায়তা করবে। এই রুটটি ১ থেকে ৮ পর্যন্ত বিদ্যমান অকল আইবিপি রুটকে সংযুক্ত করবে।

    ২. রাজশাহী-ধুলিয়ান-রাজশাহী রুটগুলো পরিচালনা এবং আরিচা (২৭০ কিমি) পর্যন্ত সম্প্রসারণ বাংলাদেশের অবকাঠামো বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে কারণ এই পথ দিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পাথর পরিবহণসহ সামগ্রিক পরিবহণ ব্যয় হ্রাস পাবে। এছাড়াও, এটি উভয় দেশের স্থল বন্দরগুলোর উপর চাপ কমাবে।
    ৩. ১ ও ২নং [কলকাতা-শিলঘাট-কলকাতা] রুটের পাশাপাশি ৩ ও ৪ নং [কলকাতা-করিমগঞ্জ-কলকাতা] রুটে ভারতের কোলাঘাট যুক্ত করা হয়েছে।

    ৪. ৩ ও ৪ নং [কলকাতা-করিমগঞ্জ-কলকাতা] এবং ৭ ও ৮ নং [করিমগঞ্জ-শিলঘাট-করিমগঞ্জ] রুট ভারতের বদরপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এই রুটে বাংলাদেশের ঘোড়াশালও যুক্ত হয়েছে।

    (খ) পোর্ট অফ কল সমূহঃ বর্তমান প্রটোকলের অধীনে বিদ্যমান ছয়টি পোর্ট অফ কল হলোঃ ভারতের কলকাতা, হলদিয়া, করিমগঞ্জ, পাণ্ডু, শিলঘাট এবং ধুবড়ি এবং বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, মংলা, সিরাজগঞ্জ, আশুগঞ্জ ও পানগাঁও। ভারতের পক্ষ থেকে নতুন যুক্ত হওয়া পাঁচটি বন্দর হলো: ধুলিয়ান, মাইয়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া এবং যোগিগোফা এবং বাংলাদেশের বন্দরগুলো হলো: রাজশাহী, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি এবং বাহাদুরাবাদ। এছাড়াও, এই সংযোজনের মাধ্যমে ভারতের ত্রিবেলি (ব্যান্ডেল) ও বদরপুর এবং বাংলাদেশের ঘোড়াশাল ও মুক্তারপুর এই দু’টি বন্দর সম্প্রসারণের ফলে দুই দেশের পোর্ট অফ কল ও সম্প্রসারিত পোর্ট অফ কলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এগারটি ও দুইটিতে।

    নতুন পোর্ট অফ কল হিসেবে যোগিগোফা (ভারত)এবং বাহাদুরাবাদ (বাংলাদেশ) এর অন্তর্ভুক্তি মেঘালয়, আসাম এবং ভুটানকে সংযুক্ত করবে। যোগিগোফাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ সেখানে একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে। নতুন কল অফ পোর্টগুলি ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে পরিবহণ করা কার্গো লোডিং এবং আনলোডিং করতে সক্ষম হবে যা দুইদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে গতি সঞ্চার করবে।

    (গ) অগভীর নৌযান চলাচল: উভয় পক্ষই চিলমারী (বাংলাদেশ) এবং ধুবরির (ভারত) মধ্যে অগভীর নৌযান ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রবর্তন করতে সম্মত হয়েছে, তবে প্রটোকলের ১.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৌযানগুলি অভ্যন্তরীণ বাংলাদেশের নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ বা ভারতের ইনল্যান্ড ভ্যাসেলস অ্যাক্ট, ১৯১৭ এর অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে এবং সুরক্ষার শর্ত পূরণ করতে হবে। এই উদ্যোগের ফলে পাথর এবং অন্যান্য ভুটানিজ ও উত্তর-পূর্ব কার্গো বাংলাদেশে রপ্তানি হবে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ীদের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের স্থানীয় অর্থনীতি এবং আসামের নিম্নাঞ্চলে উন্নতি ঘটাবে।

    (ঘ) কার্গো চলাচলের নতুন সুযোগসুবিধা: এই প্রটোকলের আওতায় উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ নৌযানগুলি নির্ধারিত প্রটোকল রুটে চলাচল এবং দুই দেশের পোর্ট অফ কল-এ নোঙর করে পণ্য উঠা-নামা করতে পারে। প্রটোকল রুটে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ট্রানজিট কার্গো এবং বাংলাদেশে রপ্তানি কার্গো চলাচলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ভারতীয় ট্রানজিট কার্গোর পণ্যসমূহ হলো মূলত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কয়লা, ফ্লাই-অ্যাশ, পিওএল এবং ওডিসি। চলাচলের অন্যান্য সম্ভাব্য কার্গো পণ্য হলো সার, সিমেন্ট, খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্য, কন্টেইনার কার্গো ইত্যাদি। ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি কার্গো মূলত ফ্লাই-অ্যাশ যা প্রতি বছর ৩০ লক্ষ মে.টন। প্রায় ৬৩৮টি অভ্যন্তরীণ নৌযান (৬০০ বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজসহ) বার্ষিক প্রায় ৪০০০ যাত্রা সম্পন্ন করে।

    আশা করা যায়, প্রটোকলে এই সংযোজনগুলি ব্যবসায়ীদের এবং উভয় দেশের জনগণের জন্য নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি ও এবং ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।

    বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এবং সদ্য সংযুক্ত প্রটোকল রুটের মাধ্যমে যোগাযোগ উভয় দেশের বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক, দ্রুত, নিরাপদ এবং দূষণমুক্ত পরিবহণ ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং এই অঞ্চলের পরিবেশগত সুবিধাও পাওয়া যাবে।

    বুধবার (২০ মে) ঢাকায় ভারতের পক্ষে হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ এবং বাংলাদেশের পক্ষে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রটোকলের ২য় সংযোজনটি স্বাক্ষর করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

    ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

    আসছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি অনুমোদন করেছে সরকার।

    মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে ১ হাজার ৫৮৪টি প্রকল্পের এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

    এ সময় অর্থমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বলেন, গুণগত মান ঠিক রেখে প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    করোনা মহামারিতে স্থবির মানুষের জীবনযাত্রা, ধুঁকছে দেশের অর্থনীতিও।

    এমন পরিস্থিতিতেই শুরু হলো নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

    গণভবন থেকে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এই সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৈঠক থেকে নতুন অর্থবছরের জন্য মোট ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপিতে অনুমোদন দেয়া হয়। মোট ১ হাজার ৫৮৪টি প্রকল্পে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রয়েছে পরিবহন খাতে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া ভৌত অবকাঠামো ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি, বিদ্যুতে ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি, শিক্ষা ও ধর্মে ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন খাত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

    করোনাকালীন ক্ষতিতে এ বছর বাজেট বাস্তবায়নের হার কম হতে পারে এমন শঙ্কা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের সঞ্চালন ক্ষতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে ভাবছে সরকার।
    নতুন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়ন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা আর দাতা সংস্থার কাছে নেয়া ঋণের পরিমাণ ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বলেও জানান মন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম’র মৃত্যু

    করোনায় রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম’র মৃত্যু

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের (ডিজিএম) শহিদুল ইসলাম রিপন (৫০) মারা গেছেন।

    শুক্রবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়। রাজধানীয় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    রূপালী ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রিন্সিপাল অফিসার এহতেশামুজ্জামান জানান, কিছুদিন আগে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন শহিদুল ইসলাম রিপন। পরে অবস্থার অবনতি হলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।

    স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ রাজধানীর বাসাবোতে বসবাস করতেন রিপন। রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। রুপালী ব্যাংকের এই কর্মকর্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

    এর আগে ১২ মে করোনায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু সাঈদ নামে দ্য সিটি ব্যাংকের আরও এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। তিনি ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সেন্ট্রাল ক্লিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    তারও আগে গত ২৬ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিটি ব্যাংকের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মুজতবা শাহরিয়ার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঈদের আগে খুলছে না চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ শপিং সেন্টার

    ঈদের আগে খুলছে না চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ শপিং সেন্টার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈদ উপল‌ক্ষে সরকারি নি‌র্দেশনা মে‌নে রবিবার থেকে প্রশাসন শ‌পিং সেন্টার খোলার অনুম‌তি দি‌লেও প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচতে ঈদের আগে খুলছে না চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ শপিং সেন্টার।

    শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে নগরের বিভিন্ন শপিং সেন্টারের দোকান মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির সম্মিলিত বৈঠকে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে ৯টি শপিং সেন্টার (মার্কেট) এর স্ব স্ব মালিক সমিতি মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

    পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১০ মে থেকে আরো বেশ কয়েকটি শপিং মল, মার্কেট না খোলার ব্যাপারে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন একই বৈঠকে।

    বিভিন্ন মার্কেট সমিতির নেতারা এসময় বলেন, ঈদ বাজারে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা অসম্ভব। নিজেদের ও কর্মীদের জীবন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সবাই একমত পোষণ করেছি।

    সম্মিলিত বৈঠকে ঈদের আগে যে ৯টি শপিং সেন্টার ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারে অবস্থিত আমিন সেন্টার, জিওসি সানমার ওশান সিটি, পাঁচলাইশ এলাকার মিমি সুপার মার্কেট, নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার, প্রবর্তক সংলগ্ন এলাকার আফমি প্লাজা, ষোলশহর ২ নং গেইট এলাকার চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, কল্লোল সুপার মার্কেট, জিওসি সেন্ট্রাল প্লাজা, খুলশী কনকর্ড টাউন সেন্টার।

    করোনার বিস্তার ঠেকাতে নগরীর বেশ কয়েকটি অভিযাত মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান।

    তিনি বলেন, আজ শুক্রবার বিভিন্ন মার্কেটের মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সবাই একমত পোষণ করেছেন।

    বৈঠকে ৯টি মার্কেট সমিতি তাদের মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়ে সরাসরি জানিয়ে দেন। নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিপণি বিতান নিউ মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট ও লাকি প্লাজার বিষয়েও খুব শীঘ্রই জানানো হবে।

    এদিকে নগরীর ব্যস্ততম পাইকারি কাপড়ের বাজার টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার-তামাকুমণ্ডি লেইনসহ আরও কয়েকটি মার্কেটের দোকান মালিকদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান তাদের সঙ্গেও আলাদা বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • বসল ২৯তম স্প্যান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ৪৩৫০ মিটার

    বসল ২৯তম স্প্যান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ৪৩৫০ মিটার

    আজ পদ্মা সেতুতে বসলো ২৯তম স্প্যান, সেতু এখন দৃশ্যমান হলো ৪ হাজার ৩৫০ মিটার।

    সোমবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় স্পানটি বসানো হয়েছে। বাকি থাকল আর মাত্র ১২টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এপ্রিলের শেষ দিকে ২৯তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনার কথা জানান।

    এরআগে শনিবার (১১ এপ্রিল) সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই বসানো হয় পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান।

    বেশিরভাগ অংশই দৃশ্যমান এখন দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর। কাজের বর্তমান অবস্থা আশা জাগানিয়া হলেও কোনোভাবেই সহজ ছিল না শুরুটা। ২০১৫ সালে শুরুর পর কাজের অগ্রগতি হোঁচট খায় নকশা জটিলতায়। ২২টি পিলারের নিচে মাটির গঠনগত জটিলতা দেখা দিলেও আশা ছাড়েননি প্রকৌশলীরা। দেশি বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত দেড়বছর পর নতুন নকশায় শুরু হয় জটিলতায় থাকা পিলারগুলোর কাজ।

    সে কাজও শেষ হলো অবেশেষে। পরিকল্পনা ছিল, এপ্রিল মাসের মধ্যে সব পিলারের কাজ শেষ করা হবে। প্রকৌশলগত পিপিইর পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত পিপিই ব্যবহার করে আগেই নিশ্চিত করা হয় সুরক্ষা। এর আগে গত ১৭ মার্চ শেষ করা হয়েছিল ৪১তম পিলারটির কাজ। এক সাথে সব পিলারের নকশা সমাধান হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটির পর একটির কাজ শেষ করা হয়।

    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সকল ঋণের সুদ দুই মাস স্থগিত

    সকল ঋণের সুদ দুই মাস স্থগিত

    করোনা ভাইরাসের কারণে দুই মাস সব ধরণের ঋণের সুদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আরোপিত সুদ ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে’ স্থানান্তর করতে বাণিজ্যিক ব্যাকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্লক হিসেবে স্থানান্তরিত কোনো সুদ ঋণগ্রহীতাদের থেকে আদায় করা যাবে না।

    আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

    ব্যাংক কম্পানি আইনের ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

    সার্কুলারে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ ও গতিশীল রাখার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন সকল প্রকার ঋণ বা বিনিয়োগের উপর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই দুই মাসের সুদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো সুদ আদায় করা যাবে না। এরূপ সুদ ব্যাংকের আয় খাতেও স্থানান্তর করা যাবে না।
    কোনো ব্যাংক ইতোমধ্যেই কোনো ঋণের সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করে থাকলে তা রিজার্ভ এন্ট্রির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে। ব্লকড হিসেবে রক্ষিত সুদ সমন্বয়ের বিষয়ে পরবর্তীতে অবহিত করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা পরিস্থিতিতে ৫ম দফায় বাড়ল ছুটির মেয়াদ, ৫ মে পর্যন্ত ছুটি!

    করোনা পরিস্থিতিতে ৫ম দফায় বাড়ল ছুটির মেয়াদ, ৫ মে পর্যন্ত ছুটি!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : আবারো বাড়ছে সাধারণ ছুটির মেয়াদ। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আগামী ৫ মে (সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে) পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    এ নিয়ে ৫ম দফায় বাড়ানো হয়েছে সাধারণ ছুটির মেয়াদ। তবে এ সময়ে কিছু মন্ত্রণালয় জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকবে। তাছাড়া এবারের ছুটির সঙ্গে নতুন কিছু নির্দেশনা জারি করছে সরকার।

    বুধবার বিকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ছুটি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে কিছু মন্ত্রণালয় খোলা থাকবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিস্তারিত জানানো হবে।

    করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পঞ্চম দফায় ছুটি বাড়ল।

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এই ১০ জনের মধ্যে ঢাকার ভেতরে ৭ জন এবং বাইরে ৩ জন। এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২০ জনে।

    একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৯০ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৭২ জনে। বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে- সেটি প্রতিরোধে সরকারের নির্বাহী আদেশে চার দফায় আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • সোনালি ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত, বন্ধ মতিঝিল শাখা

    সোনালি ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত, বন্ধ মতিঝিল শাখা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক || প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল পজেটিভ এসেছে সোনালী বাংকের এক কর্মকর্তার।

    তিনি রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের শিল্প ভবন কর্পোরেট শাখায় কর্মরত ছিলেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্যটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটি।

    তাছাড়া ব্যাংকের শিল্প ভবন কর্পোরেট শাখা সোমবার থেকে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে আগামী মঙ্গলবার থেকে উক্ত শাখার গ্রাহকদের পার্শ্ববর্তী দিলকুশা করপোরেট শাখা থেকে লেনদেনসহ জরুরি সেবা গ্রহণের অনুরোধ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

    এর আগে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার এক কর্মকর্তার করোনার সন্দেহে ওই শাখাটি লকডাউন করা হয়। পরে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এলে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    এর বাইরে ব্যাংক এশিয়া ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শাখাও বন্ধ হয়েছে। বেশ কয়েকজ ব্যাংকারের করোনার আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

    আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইনে বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছে মরণঘাতী এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    এতে একশ ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে।

    এছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৯২ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯৪৮ জনে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও চালু সরকারি ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম

    লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও চালু সরকারি ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম

    ২৪ ঘণ্টা জাতীয় ডেস্ক || প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, শহর ও গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    তবে দেশের সাধারণ জনগনের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও সীমিত আকারে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর ব্যাংকিং সেবা চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

    এই নির্দেশনার আলোকে আজ রবিবার থেকে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো লকডাউন এলাকায়ও ব্যাংকিং কার‌্যক্রম চালু রেখেছে।

    ট্রেজারি কার্যক্রম, সরকারি ভাতা ও অনুদান বিতরণ এবং জনসাধারণের অতি জরুরি আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালি, রূপালি, জনতা, অগ্রণী, বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এই নিয়ম মেনে চলেছে।

    গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একই বিভাগ থেকে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় ব্যাংকের শাখাসমূহ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

    জনসাধারণের আর্থিক দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ট্রেজারি কার্যক্রম, সরকারি ভাতা ও অনুদান বিতরণ এবং জনসাধারণের অতি জরুরি আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও সীমিত আকারে ব্যাংকিং চালু রাখতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • সাধারণ ছুটিতে ব্যাংকে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বৃদ্ধি

    সাধারণ ছুটিতে ব্যাংকে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বৃদ্ধি

    সাধারণ ছুটির বর্ধিত দিনগুলোতে ব্যাংক লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এই সময়ে গ্রাহকরা নগদ জমা, উত্তোলন, পে-অর্ডার ইস্যু ও সীমিত আকারে চেকের বিপরীতে লেনদেন করতে পারবেন। ব্যাংকে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আর লেনদেন পরবর্তী কাজ সম্পন্নের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

    এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ৪ এপ্রিল ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির সময় বাড়ানো হয়।

    প্রথম দফা সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত লেনদেন এবং পরবর্তী কাজ সম্পন্নের জন্য দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা ছিল।

  • বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দিবে

    বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দিবে

    কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ ও রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী সংস্থাটি এ অনুদানের টাকা অনুমোদন করে। তিন প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে।

    বুধবার (১ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়। এই অনুদান স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়া, সামাজিক সুরক্ষা, মৌলিক পরিষেবা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে কক্সবাজার জেলায় ব্যবহার করা হবে।

    বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল উদারতা দেখিয়েছে। আশ্রয় পাওয়া এই জনগোষ্ঠী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এটি বিদ্যমান অবকাঠামো এবং সমাজসেবা সরবরাহের ওপর প্রচুর পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করছে। এবং স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।

    তিনি বলেন, এই অনুদান দেশের পরিষেবা সরবরাহের ক্ষমতা আরও জোরদার করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও স্থিতি বাড়িয়ে তুলবে।

    কক্সবাজার জেলার জন্য ১৫ কোটি ডলারের হেলথ এবং জেন্ডার সহায়তা প্রকল্পটি রোহিঙ্গাসহ ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবায় অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করবে এবং প্রতিরোধমূলক ও প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবার মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা করতে সক্ষম করবে।

    প্রকল্পটি উন্নত পাবলিক অবকাঠামোতে স্থানীয় লোকসহ প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মানুষকে উপকৃত করবে। এর মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ জনের জন্য আরও ভালো স্যানিটেশন।

    এ ছাড়া জেলাটির দরিদ্র মোকাবিলায় আরেকটি প্রকল্পের আওতায় খরচ করা হবে ১০ কোটি ডলার। দারিদ্র্য নিরসন কর্মসংস্থান জেনারেশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হোস্ট সম্প্রদায়ের দরিদ্র ও দুর্বল পরিবারগুলোকে জীবিকা এবং আয়ের সহায়তা দেয়া হবে।