Category: অর্থনীতি

  • পুঁজিবাজারে ১৭০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে এডিবি

    পুঁজিবাজারে ১৭০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে এডিবি

    এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির (সিএমডিপি) জন্য দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর আগে এডিবি প্রথম কিস্তিতে ৮০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছে।

    এডিবি ২০১৫ সালের নভেম্বরে এই কর্মসূচির জন্য প্রথম কিস্তির মোট ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। শনিবার এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

    এডিবি ঋণ প্রদানের পাশাপাশি তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির কারিগরি সহায়তা হিসেবে ৪ লাখ ডলারের মঞ্জুরি সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া এই কর্মসূচিতে ৩ লাখ ডলারের কারিগরি মঞ্জুরি সহায়তা প্রদান করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।

    এডিবির ফাইনান্সিয়াল সেক্টর এ্যানালিস্ট তকুয়া হোসিনো বলেন,‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকল্পে সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোসহ অন্যান্য উৎপাদনশীলখাতে বিনিয়োগের অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে সংস্কারের মাধ্যমে আইনী,রেগুলেটরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামো উপযুক্ত পর্যায়ে রুপান্তর করতে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে এডিবি দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রদান করছে।’

    ২০১২ সালে পুঁজিবাজার দ্বিতীয় উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদের পর থেকে এডিবি সরকারের পুঁজিবাজার উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় সহায়তা দিয়ে আসছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো-পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারিদের আস্থা বাড়ানো ও পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন করা।

    এছাড়া তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো-ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই পুঁজিবাজার বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাঁধাসমূহ দূর করা।

  • একনেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্পসহ ৯ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

    আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল আমিন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই ৯টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ৩১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামিমা নার্গিসসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সদস্যরা।

  • ২৪তম স্প্যান স্থাপন, পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান

    ২৪তম স্প্যান স্থাপন, পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান

    পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ‘৫-এফ’ নম্বর স্প্যানটি সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির উপর বসানো হয় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। ২৩তম স্প্যান বসানোর ৯ দিনের মাথায় ২৪ তম স্প্যানটিও বসানো হল। এতে পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

    এর আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের অস্থায়ীভাবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো স্প্যানটি এখানে নিয়ে আসা হয়।

    মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১২ ও ১৩ নম্বর পিলার থেকে স্প্যান নিয়ে রওয়ানা হয় ভাসমান ক্রেন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে নির্ধারিত পিলারের সামনে এসে পৌঁছায়।

    সেতু বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান,৪২টি পিয়ারের (খুঁটি) মধ্যে ৩৭টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫টি পিলারের কাজও চলছে পুরোদমে। পিয়ার-২৬ এর সাতটি পাইলে রিবার ইন্সটল ও কংক্রিটিং করা হবে।পিয়ার-৮, ১০ এবং ১১ এর কাজও শেষ পর্যায়ে।

    তিনি বলেন,আগামী এপ্রিলের মধ্যে সব খুঁটির কাজই সম্পন্ন হয়ে যাবে।ইতোমধ্যেই ২৩টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এটি বসানোর পর পদ্মা সেতুতে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকী থাকছে ১৭টি।

    চীন থেকে এপর্যন্ত ৩৭টি স্প্যান মাওয়ায় এসে পৌঁছেছে।বাকী ৪টি স্প্যান শিগগিরই আসছে।আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অবশিষ্ট স্প্যানগুলো বসানোর কথা রয়েছে।

  • কেএসআরএম ‘র সহযোগিতায় ইস্ট ডেল্টায় চাকরিদাতা ও প্রত্যাশীদের মিলনমেলা

    কেএসআরএম ‘র সহযোগিতায় ইস্ট ডেল্টায় চাকরিদাতা ও প্রত্যাশীদের মিলনমেলা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : ৩ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ ও ৩০টি দেশি-বিদেশি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) আয়োজিত ‘প্লেসমেন্ট ডে ২০২০’।

    এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ শতাধিক আবেদনকারীর সরাসরি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও নেয়া হয়, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ১০ শতাংশ।

    চট্টগ্রামে বসবাসরত তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্যে শেঠ প্রপার্টিজ ও কেএসআরএম এর সহযোগিতায় আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার দিনব্যাপী এ চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইস্ট ডেল্টাই প্রথম এ ধরণের মেলার আয়োজন করেছে।

    এতে মূল বক্তা বাংলাদেশের গুগলের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার কাজী মনিরুল কবির বলেন, জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষ অনেক সময় দিশাহারা হয়ে পড়ে। দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্যও অনেকেই থাকলেও দিন শেষে নিজেকেই নিজের পথ খুঁজে নিতে হয়। ইডিইউ প্লেসমেন্ট ডে আয়োজন করে দিলেও, চাকরির যোগ্য হয়ে নিজের প্লেসমেন্ট নিজেকেই করতে হবে।

    বিশেষ অতিথি জুনকস কনসাল্টিংয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা, রবির কর্পোরেট ও পিপল এফেয়ার এর প্রাক্তন প্রধান মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত হলে শিক্ষার্থী ও এর সাথে সম্পৃক্ত মানুষ উন্নত হয়। মানুষ উন্নত হলে দেশ উন্নত হয়। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি ভূমিকা দেশের ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ রচনা করে।

    অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার সাঈদ আল নোমান বলেন, চট্টগ্রামের মেধাবীদেরকে আঞ্চলিকতার গণ্ডি থেকে বের হয়ে ঢাকাসহ সারা বিশ্বে যাতে ক্যারিয়ার গড়তে পারে, তার লক্ষ্যেই এ আয়োজন। সফট স্কিল, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা এনালিটিক্স নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিতে নেতৃত্ব দিতে পারে এমন শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলছে ইডিইউ।

    এই প্লেসমেন্ট ডে’র মাধ্যমে এ দ্বার চট্টগ্রামের সবার জন্য খুলে দিয়েছি যাতে এ অঞ্চলের জনশক্তি বর্তমান চাকরির বাজারের উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা এটি দায়িত্ব মনে করেছি।কে এস আর এম ২

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। তিনি বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে হবে। যাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেই চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী চিনতে পারে। এ দায়িত্ব মূলত শিক্ষার্থীদের।

    বাংলাদেশে পরিচালিত ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের নিচে এনে চাকরিদাতা ও প্রার্থীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে সহযোগিতা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। এছাড়া ক্যারিয়ার গঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনারেরও আয়োজন ছিলো।

    এতে যোগদানকারী স্বনামধন্য ও উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শেঠ প্রপার্টিজ, কেএসআরএম, টেরাকোটা, বিএসআরএম, এমজিএইচ, গ্রামীণফোন, প্যাসিফিক জিন্স, রবি, কনফিডেন্স সিমেন্ট, এপিক প্রপার্টিজ, এলিট পেইন্ট, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, কেনপার্ক ও রিজেন্সি, ফ্রোবেল একাডেমি, পিটুপি, র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ, মাইডাস সেফটি, সিপিডিএল, ভিভো, আকাশ ডিটিএইচ (বেক্সিমকো গ্রুপ), মমতা, আইডিপি, ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিওয়াইএলসি ও লিডস বাংলাদেশ।

    এ উৎসবের ডিজিটাল পার্টনার ছিলো প্রথমআলো ডটকম ও টেলিভিশন মিডিয়া পার্টনার একাত্তর টিভি, ফুড পার্টনার টেরাকোটা।

    এতে সভাপতিত্ব করেন ইডিইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইডিইউর নেটওয়ার্কিং এন্ড প্লেসমেন্ট সেলের ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী।

    বক্তব্য রাখেন একুশে টিভির ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক রফিকুল বাহার। এছাড়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইবিএম এর প্রাক্তন সিইও নাভিদ মাহবুব, তিনি পরবর্তীতে প্যানেল আলোচনায়ও অংশ নেন।

    প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিতে সিভি গ্রহণ এবং সরাসরি সাক্ষাৎকার ও লিখিত পরীক্ষা নেয়। এছাড়া, দর্শনার্থীরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সুযোগ-সুবিধাসমূহ জানতে পারে। ইন্টার্নশিপের বিষয়েও অংশগ্রহণকারীদের জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

    এসবের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষপর্যায়ে কর্মরত দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ চাকরিপ্রাপ্তিতে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো কি কি দক্ষতা আশা করে সে বিষয়ে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনামূলক প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন।

    এদের মধ্যে ছিলেন- বিএসআরএম এর ট্যালেন্ট একুইজিশনের সিনিয়র ম্যানেজার ফাহমিনা আসাদ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের হেড অব এইচআর মো. আলমগীর, মাইডাস সেফটির এইচআর ম্যানেজার অতনু গুপ্ত, রেকিট বেনকিসার বাংলাদেশের এইচআরবিপি আবেদ উর রশীদ চৌধুরী, রবি আজিয়াটার এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সল্যুশনের ভিপি রেজওয়ান আল ইসলাম, এলিট পেইন্টের এইচআর সিনিয়র জিএম মুরাদ হোসেইন, বিএসআরএম এর এইচআরবিপি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ম্যানেজার মুহাম্মদ ইসমাইল ও ডব্লিউএমজিএস সার্ভিসেসের ফাংশনাল হেড শাহাবুদ্দিন মাহমুদ সগীর।

    দি সিটি ব্যাংক, রবি ও গ্রামীণ ফোন পৃথক ক্যারিয়ার সেশন পরিচালনা করেন। এর পাশাপাশি ব্রাকের এডুকেশন প্রোগ্রামের ডেপুটি ম্যানেজার ও টেন মিনিট স্কুলের চিফ স্ট্রাটেজিস্ট সাকিব বিন রশীদ ‘ক্যারিয়ার টক’ শিরোনামে একটি সেশন পরিচালনা করেন।

  • জনসম্পৃক্ত ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে-এলজিআরডি মন্ত্রী

    জনসম্পৃক্ত ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে-এলজিআরডি মন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন-শিল্প ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উপযুক্ততা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে সকল উপাদানগুলোর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এই গুরুত্ব ও সম্ভাবনা ধরে রাখতে হবে।

    তিনি সময়ের সাথে শহরের জনসংখ্যা ও মাথাপিছু আয় কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে তা প্রাক্কলন করে সমন্বিত মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সুপরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান। মন্ত্রী প্রকল্প গ্রহণে যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তা ও জনসম্পৃক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    শনিবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র আয়োজনে “স্মার্ট সিটি চট্টগ্রাম” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম. এ. লতিফ বক্তব্য রাখেন।

    বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি স্মার্ট সিটি তৈরীতে বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনকেই বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে শহর অঞ্চলের সাংসদ ও অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করা আইনগত কাঠামোর মধ্যে এনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।এলজিআরডি মন্ত্রী

    বিশেষ অতিথি এম. এ. লতিফ এমপি বলেন, নগর পরিচালনা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের সাথে মতবিনিময়ের কোন নজীর নেই উল্লেখ করে আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা পরিহারপূর্বক জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণীর পেশাজীবীদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করে প্রাণপ্রিয় চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর ও স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর এবং নাগরিকদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

    চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন- মাতারবাড়ীতে কোল টার্মিনাল, ডিপ সীপোর্ট, পাওয়ার হাব, এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল, কর্ণফুলী টানেল, লালদিয়া টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, রিং রোড, মেরিন ড্রাইভ, মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জায়গাজুড়ে দেশের বৃহত্তম স্পেশাল ইকনোমিক জোন, আনোয়ারায় চীন ও জাপানের জন্য ৪০০ একর জায়গাজুড়ে দু’টি ইকনোমিক জোনসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

    তিনি চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন লক্ষাধিক কোটি টাকার এসব প্রকল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রাম সিটি কে স্মার্ট সিটিতে পরিণত করার লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান।

    প্যানেল আলোচকগণ নাগরিকদের সমস্ত সেবা নিশ্চিত করা, জনগণের মতামত গ্রহণ, নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব ও টেকসই নগরী নিশ্চিত করা, সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা, সব ধরণের পেশাজীবীদের সম্পৃক্ততা এবং আগামী একশত বছরের কথা মাথায় রেখে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

    মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাউদার্ণ ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভিসি প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম. আলী আশরাফ।

    প্যানেল আলোচক হিসেবে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, চুয়েট’র ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, ভিত্তি স্থপতি ব্রিন্ডো লিঃ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবীব, চেম্বার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, দৈনিক ইনকিলাব’র সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, দৈনিক ভোরের কাগজ’র সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চট্টগ্রাম বার কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি ইফতেখার শিমুল চৌধুরী, দৈনিক সমকাল’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি, জেএফ (বাংলাদেশ)’র সিইও এ.কিউ.আই চৌধুরী, ওবিই, চিটাগাং ক্লাব লিঃ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মিয়া আবদুর রহিম, সিসিসিআই ও এফবিসিসিআই’র প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক ও বিএসআরএম’র লীড সিএসআর রুহী মুর্শিদ আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।

    এ সময় চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), ছৈয়দ ছগীর আহমদ, অঞ্জন শেখর দাশ ও শাহজাদা মোঃ ফৌজুল আলেফ খান উপস্থিত ছিলেন।

  • একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজকের একনেক সভায় ৮টি প্রকল্প তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে ৭টি অনুমোদন দিয়ে একটি প্রকল্প বাদ দেয়া হয়।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘সিংড়া-গুরুদাসপুর-চাটমোহর সড়কের (জেড-৫২০৯) সিংড়া অংশের সড়ক বাঁধ উঁচুকরণসহ পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প; ‘পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক (জেড-৬০০৪) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩ দশমিক ৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্প এবং ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি সেতু এবং আরসিসি সেতু প্রতিস্থাপন (ঢাক জোন)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্প এবং ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • ব্যাংক সুদের হার এপ্রিলে সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে : প্রধানমন্ত্রী

    ব্যাংক সুদের হার এপ্রিলে সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে ব্যাংকগুলো আগামী এপ্রিল থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের হার বাস্তবায়ন করবে।

    বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)’র একটি প্রতিনিধিদল আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

    প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর হাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্টে ২২৫ কোটি টাকা অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

    এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে যা বলেছেন তা আমি পুনরায় বলতে চাই না। আশা করি সিঙ্গেল ডিজিট সুদের হার বাস্তবায়ন করা হবে। তা না হলে দেশে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ হবে না এবং বিনিয়োগের ধারাও সংকটাপন্ন হবে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা এর আগে যেসব দাবি করেছেন আমি তা পূরণ করেছি। কিন্তু আপনার আপনাদের কথা রাখেননি। আশা করি এবার অঙ্গীকারের ব্যতয় ঘটবে না। আপনারা তা বাস্তবায়ন করবেন।’

    এর আগে বিএবি সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন তারা আগামী এপ্রিল থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের হার বাস্তবায়ন করবেন। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    বেসরকারি খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সরকার সকল খাত বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।

    তিনি বলেন, ‘সরকার একা দেশের উন্নয়ন করতে পারে না। এ লক্ষ্যে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।’

    বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দিতে গিয়ে তাঁর সরকারকে বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর তহবিল বন্ধে যাদের ভূমিকা ছিল তাদের পক্ষ থেকে বাধা ছিল। তারা প্রশ্ন করেছিল দেশের অর্থনীতি যেহেতু অত বড় নয় সেক্ষেত্রে এতগুলো ব্যাংকের অনুমোদন দিয়ে কি হবে।’

    তিনি বলেন, ‘কিন্তু সে সময় আমার উত্তর ছিল যে, এখন অর্থনীতি বড় নয়, কিন্তু একদিন এটি অনেক বড় হবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ সুগম করতে তিনি অনেক লোককে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন।

    বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা শুধু বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেন কেন? দেশের মানুষের বিনিয়োগ করার সক্ষমতা রয়েছে। আমরা একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছি। সেখানে মানুষ বিনিয়োগ করতে পারবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চায় যাতে দেশকে পেছনে ফিরে তাকাতে না হয়।

    তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দেশের অদম্য অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক। আমরা বাংলাদেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই, যেখান থেকে এটি আর কখনো মুখ থুবড়ে পড়বে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালিরা বিশ্বের যে কোন জায়গায় গিয়ে গর্ব করে বলতে পারে, আমার দেশ বাংলাদেশ। আমরা বাঙালি, আমাদের মর্যাদা রয়েছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করেছে এবং বিজয় অর্জন করেছে। ‘আমরা একটি বিজয়ী জাতি এবং আমরা সবসময় মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাই।’
    ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কিছুই পাওয়ার নেই এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসাবে তিনি গর্ববোধ করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসাবে বেঁচে থাকতে চাই। তিনি আমার সকল কাজের প্রেরণা।’

    ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারবে না।’

    বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্টের অনুদান দেয়ার জন্য বিএবি’কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে মুজিব বর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন দিনও পার করতে হয়েছে যখন আমরা জাতির পিতার জন্মশত বর্ষ উদযাপনের কথা ভাবতেও পারিনি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবং জনগণের সমর্থনে আমরা এটি উদযাপন করছি। আপনাদের অনুদান এ লক্ষ্যে কাজে লাগানো হবে।’

    বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এবং তাঁর বোন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িসহ সবকিছু দেশের মানুষের জন্য দান করে দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্ট থেকে দুর্গত মানুষ ও মেধাবি শিক্ষার্থী এবং একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গকে অনুদান ও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এ ট্রাস্টের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‘আমরা ইতোমধ্যে এ লাইব্রেরির জন্য বঙ্গবন্ধু ভবনের পাশে একটি বাড়ি কিনেছি। এই লাইব্রেরির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অনেক তথ্য জানতে পারবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজ নামচা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর গোপন গোয়েন্দা নথিপত্র-এর মতো বঙ্গবন্ধুর লিখিত বই পড়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কেউ এসব ঐতিহাসিক বই পড়লে জাতির পিতা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’

    বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের ওপর ওপর শিগগিরই একটি বই প্রকাশিত হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বই লিখতে পারলে বঙ্গবন্ধু একজন ভাল সাহিত্যিক হতে পারতেন।’

    এর আগে শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বিএবি’র প্রধান কার্যালয়ে ‘মুজিব কর্নার’ উদ্বোধন করেন।

    বিএবি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বিএবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি মুজিব কর্নার স্থাপন করবে।

  • ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’র গহণা নকল প্রমাণ করতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’র গহণা নকল প্রমাণ করতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশের জুয়েলারি জগতে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নাম ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। ক্রেতার হাতে আন্তজার্তিক মানসম্পন্ন ও অত্যাধুনিক ডিজাইনের জুয়েলারী পণ্য তুলে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জুয়েলারি শিল্পের সুনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি। এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের গহনা বিক্রির পাশাপাশি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের রয়েছে বিক্রয়ত্তোর সেবা।

    ISO স্বীকৃত সুনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে ২২টি শোরুম রয়েছে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গহনার মান ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বিক্রয় করে থাকে। প্রতি ৩ মাস পর পর বিদেশী টিম দ্বারা গহনার মান নিশ্চিত করা হয় ও GIA ও IGI সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

    ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের রিটার্ন পলিসি বিশ্বস্বীকৃত এবং সারা বছর যেকোনো সময় গ্রাহকদেরকে প্রোডাক্ট রিটার্ন করার সুযোগ প্রদান করে থাকে। সেইসঙ্গে বিক্রিত সব প্রোডাক্টের ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ ব্যাকের সুবিধাও দেয়া হয়।

    ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে বছরে ৪টি ফ্রি এক্সচেঞ্জ অফার দেওয়া হয় যার মাধ্যমে গ্রাহকগণ তাদের পুরাতন ডায়মন্ডের গহনা কোন প্রকার কর্তন ছাড়াই পরিবর্তন করে নতুন গহনা কিনতে পারেন। শতভাগ রি-সেল ভ্যালু নিশ্চিত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।

    ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের প্রতিটি শোরুমে আন্তর্জাতিক মানের ডায়মন্ড টেস্টার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিটি ডায়মন্ড গহণার মান নিশ্চিত করে GIA ও IGI এর আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

    প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, বিগত ১৫ বছর যাবৎ বিশ্বস্ততার সাথে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের ভালোবাসা এবং অনুপ্রেরণায় প্রতিষ্ঠানটি আগামীতে আরো এগিয়ে যেতে চায়।

    কোনো ব্যক্তি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের গহনা, পৃথিবীর যে কোন দেশে টেস্টের মাধ্যমে নকল প্রমাণ করতে পারলে তাকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ্য টাকা পুরস্কার ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

  • বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই : বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মাস আর এ মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী কতৃর্তপক্ষ। এমনটাই জানালেন বিসিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ জামাল নাছের চৌধুরী।

    তিনি জানান আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী, ইতি মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্লট বরাদ্ধের কাজ। খুবশিগ্রই আরম্ভ হবে প্লটের দখল হস্তান্তর। প্লটের দখল হস্তান্তরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্লট গ্রহীতা শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ প্লটে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় তাদের প্লট বরাদ্ধ ও দখল সত্ত বাতিল করা হবে।

    তিনি জানান, গত ১ বছর আগেও এই শিল্প নগরী উদ্বোধনের যাবতিয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিলো কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই এটি বাস্তবায়নে আর তেমন কোন বাধা নেই।

    এই কর্মকর্তা জানান,দ্বিতীয় বারের মতো গত ২২ মে প্লট বরাদ্ধের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ১১৪ টি আবেদন পত্র জমা পড়ে। আবেদন পত্রের গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে সেখান থেকে ৮২টি উদ্যোক্তাকে প্লট বরাদ্ধের জন্য সনাক্ত করা হয়, বাদ পড়ে ৩২টি উদ্যোক্তার আবেদন পত্র। তবে বাচাইকৃত এই ৮২টি আবেদন পত্র থেকেও অনেকেই বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন।

    এই ৮২জনকেই এলটমেন্ট লেটার প্রেরণ করেছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এলটমেন্ট লেটার প্রাপ্ত ৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৮ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে হালকা প্রকৌশল-১৯টি, খাদ্য ও খাদ্যজাত -১৯টি, রেডিমেড গার্মেন্টস-১৬টি, সিরামিকস ও নন মেটালিক-০৩টি, কেমিক্যাল এন্ড এলাইড-১০টি, রাবার, লেদার এন্ড এলাইড-৪টি, প্যাকেজিং-০৮টি, বন ও বনজাত-৩টি।

    তবে ৮২টি বরাদ্দকৃত আবেদনের বিপরীতে ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন মাত্র ৯জন উদ্যোক্তা। চলতি মাসে আরো দুই একজন উদ্যোক্তা থেকে ডাউনপেমেন্ট পাওয়া যেতে পারে বলে আশা ব্যাক্ত করেন তিনি। ডাউনপেমেন্ট পাওয়া গেলে চলতি মাসে নুন্যতম ১০জন উদ্যোক্তাকে তাদের প্লটের দখল সত্ত হস্তান্তর করা যেতে পারে। তবে যে সব উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ডাউন্টপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    এলটমেন্ট লেটার পাওয়ার পরও যে সকল আবেদনকারী একমাসের মধ্যে তাদের ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করে প্লট বুঝে নিবে না হয়তো আমরা তাদের আরো কিছু সময় দিবো এটা হয়তো দুই মাস বা তিন মাস ও হতে পারে। এর মধ্যেও যদি তারা ডাউনপেমেন্ট পরিশোধে ব্যার্থ হয় তাহলে তাদের প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এসব বাতিলকৃত প্লটের জন্য নতুন বরাদ্দ চেয়ে আগামি দুই এক মাসের মধ্যে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে মিরসরাইয়ে বিসিক শিল্পনগরী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব মঘাদিয়ায় তালবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করে ২০১০-২০১১ অর্থবছর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৫ দশমিক ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা করা হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে প্রকল্প কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষ দিকে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর সামগ্রিক প্রস্তুতি শেষ হলেও নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নীতিনির্ধারকদের অবহেলার কারনে মুখ থুবড়ে পড়ে আশা জাগানো এই প্রকল্পটি। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের আশার জোয়ারেও ভাটা পড়ে যায় নিস্তেজ হয়ে পড়া প্রকল্পটির কারনে।

    স্থানীয় শিল্পউদ্যোক্তারা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিভিন্ন আলোচনার টেবিলে। দোষারোপ করেছেন বিশেষ প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে। কৃষিজমিতে শিল্প স্থাপনা করা যাবে না এমন অযুহাত তুলে স্থগিত করা হয় এর বাস্তবায়ন।

    কিন্তু অনেকেই মনে করেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়য়ার কৃতীত্বে ইর্ষান্বীত হয়ে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল একটি স্বার্থন্বেষী মহল। তবে আশার কথা হলো সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী। এটি বাস্তবায়ন হলে মিরসরাইয়ে কম পক্ষে ৫হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন কর্র্তৃপক্ষ।

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত। বিসিক শিল্পনগরী থেকে রেলপথের দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। চট্টগ্রাম বন্দরে যাতায়াতও ভালো। যোগাযোগ সুবিধার কারনে এই প্রকল্পের প্রতি শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ একটু বেশি।

    মিরসরাই পৌর সভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বিসিকের প্লট বরাদ্দের কাজ সম্পন হয়েছে। যারা এখানে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তারা অতিশিগ্রই তাদের কার্যক্রম আরম্ভ করবেন বলে আশা করছি। আমাদের পৌরসভা থেকে যতটুকু সহযোগীতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুত আছি। এটি যতো শিগ্রই বাস্তবায়িত হবে আমাদের পৌরসভায় কর্মসংস্থার সূত্রপাত ঘটবে ততো তারাতারি।

    তিনি জানান, সরকার এখানে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু কয়েকজন কর্মকর্তার অবহেলার কারণে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর অগ্রযাত্রায় ভাটা পড়ে গিয়েছিলো। নতুন করে প্লট ভরাদ্ধ দেয়ার মধ্যদিয়ে সেই ভাটা কেটে উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধা থাকায় এখানে প্লট নিতে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি।

    তিনি আরও বলেন, পূর্বেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। তবে কেন বাতিল করা হয় সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ। পুনরায় প্লট বরাদ্দের কথা শুনে ভালো লাগছে। আমরা চাই অতিশিগ্রই এই শিল্প নগরী বাস্তবায়ন হোক। বিসিক শিল্প নগরী

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে, এই প্রকল্পে এ ক্যাটাগরিতে ২৭, বি ক্যাটাগরিতে ৩৩, এস টাইপ ক্যাটাগরিতে ২৮টিসহ মোট ৮৮ প্লট রয়েছে। এছাড়া এটি আরো সম্প্রসারণের লক্ষে পুনরায় আরো দশ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিরসরাইকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

    তবে যতক্ষণ না এই প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে ততোক্ষণ কাগজে কলমের বাস্থবায়নে বিশ্বাস করতে নারাজ প্রকল্প এলাকার লোকজন।

    স্থানীয় মাহবুবুল আলম নামে এক ব্যাক্তি জানান, সেই চার বছর ধরে শুনে আসতেছি এখানে মেইল ফেক্টরি হবে, অবকাঠামোর সকল কাজ সম্পন্ন। একবার শুনলাম কৃষি জমিতে কারখানা করেতে দিবে নাই তাই কাজ বন্ধ ছিলো অনেক দিন। এবকার শুনলাম প্লট বরাদ্ধ দিবে আবার শুনলাম বাতিল করছে এভাবেই চলতেছে গত চারবছর। তাই যেদিন এখান কারখানার কাজ শুরু হবে সেই দিন ছাড়া নিশ্চিম হওয়া মুশকিল আসলে এখানে কারখানা হবে কি না।

    তবে সরজমিনে দেখা যায় মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শতভাগ শেষ। তবে এখনো উৎপাদনের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দখল স্বত্ত বুঝে পায়নি। তাই কোন কারখার দেখাযায়নি কোন নমুনা ফলক। দাড়ায় নি কোন কারখানার দালান। তাই চার দিকে খোলা সবুজের মাঠ। কচি ঘাসে উর্বর যেন এক গো চারণ ভূমি। গোটা দশেক গো মহিষের দখলে পুরো এই শিল্প নগরী এলাকা।বিসিক শিল্প নগরী

    ফলে উৎপাদনের পরিবর্তে দেশের ৭৫তম এ প্রকল্পটি এখন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাঠের দক্ষিন পাশে যেতেই দেখা মিললো পরিতেক্ত নেশার বোতল। বুঝতে বাকি রইলোনা সারাদিন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহার হলেও সন্ধ্যায় মাদক সেবিদের আস্তানায় পরিণত হয় শুন শান নিস্তব্ধ এই স্থানটি। সঠিক সময়ে উৎপাদনে না যাওয়ায় আগাছায় ভরে গেছে বিভিন্ন প্লট।

    নিন্মমানের কাজের জন্য দেবে গেছে রাস্তার বেশ কিছু অংশ। তবে এই শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন পুনরায় প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার খবরে আবারো আশার আলো দেখছে মিরসরাইয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তরা।

  • একনেকে তিন হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে তিন হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আশ্রয়ন-৩ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পসহ মোট ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, জেটি নির্মাণ, জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ভবন ও কালভার্ট নিমার্ণসহ বেশ কিছু বিষয় নতুন করে যুক্ত হওয়ায় আশ্রয়ন-৩ প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রথম বার সংশোধনী করা এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেছে ৭৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ একনেক সভায় এই অর্থের অনুমোদন দেয়া হয়।

    তিনি জানান, প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এখন মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন,এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে এক লাখ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বনায়ন করা এবং দ্বীপটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা।

    মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিরও ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরবি, ফারসি, জাপানি, স্পানিশসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিষয়ে আরো জোর দেয়ার কথা বলেছেন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেল আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎ বিল যাতে ঠিকমত পরিশোধন হয়, এজন্য ভবনগুলো প্রিপেইড মিটার লাগানোর প্রয়োজন।

    দেশের জনগণ যদি প্রি-পেইড মিটারে বিল দিতে সক্ষম হোন, তাহলে সংসদ ভবন এটা চালু হবে না কেন। সারাদেশে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

    একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-খাদ্যশস্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রিমিক্স কার্নেল মেশিন ও ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, এত খরচ হবে ৬৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচ হবে ২৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দিঘলিয়া-আড়–য়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর উপর ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর-ধুনট-শেরপুর এবং সিরাজগঞ্জ-ধুনট মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৮ কোটি কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

    এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেল আনুষঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাজারে আসছে ২০০ টাকার নোট

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাজারে আসছে ২০০ টাকার নোট

    বাজারে আসছে ২০০ টাকার নতুন নোট। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছরের মার্চ মাসে ২০০ টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, আগামী মার্চে নতুন ২০০ টাকার নোট বাজারে আসবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, প্রথম বছরে স্মারক ও প্রচলিত- দুই ধরনের ২০০ টাকার নোট থাকবে। দ্বিতীয় বছর থেকে বাজারে স্মারক নোট ছাড়া হবে না, নিয়মিত নোট থাকবে।

    বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতে এর আগে ৬ ধরনের স্মারক নোট তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বহরে যুক্ত হচ্ছে ২০০ টাকার নোট।

    এ ছাড়া এই পর্যন্ত স্মারক মুদ্রা তৈরি করেছে ১২ ধরনের। অন্যদিকে লেনদেনের জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মানের ৫২ ধরনের প্রচলিত নোট ও ১১ ধরনের মুদ্রা বাজারে আছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নোট ছাপা হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুন প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১০ টাকার নোট। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে আসে ১, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট। এর প্রায় সবই বাজারে আসে ১৯৭২-৭৬ সালের মধ্যে। পরে ১৯৭৯ সালে ২০ টাকার নোট ও ১৯৮৮ সালে ২ টাকার নোট ছাড়া হয়। ২০০৮ সালে প্রথম বাজারে আসে ১০০০ টাকার নোট। মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতেই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে।

    প্রাথমিকভাবে ২০০ টাকার নোটের উপর ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সালের পর যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা আর লেখা থাকবে না।

    উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।

  • ৫০ টাকার নতুন নোট আসছে

    ৫০ টাকার নতুন নোট আসছে

    ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট দু’টির রঙের মধ্যে ক্ষীণ সংশ্লেষ থাকায় জনসাধারণের সুবিধার্থে লালচে কমলা রঙে ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স মহাব্যবস্থাপক (সহকারী মুখপাত্র) জি. এম. আবুল কালাম আজাদ জানান, ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোট দু’টির রংয়ের মধ্যে ক্ষীণ সংশ্লেষ থাকায় জনসাধারণের সুবিধার্থে লালচে কমলা রংয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও গর্ভনর ফজলে কবিরের স্বাক্ষর সম্বলিত ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংকনোট মুদ্রণ করা হয়েছে।

    নতুন নোট ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।

    তিনি আরও জানা, নতুন প্রচলিত এ নোটটিতে বিদ্যমান ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংকনোটের ডিজাইন অপরিবর্তিত রয়েছে।

    লালচে কমলা রং ছাড়া প্রচলিত ৫০ টাকার নোটের ডিজাইন ও অন্যান্য সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ২টি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা ইত্যাদি) অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন রংয়ে মুদ্রিত বর্ণিত নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ৫০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোটও বৈধ ব্যাংক নোট হিসাবে যুগপৎ চালু থাকবে।