Category: অর্থনীতি

  • চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকে আয়কর মেলা-২০১৯ শুরু

    চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকে আয়কর মেলা-২০১৯ শুরু

    চট্টগ্রামে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা-২০১৯। নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সপ্তাহব্যাপী এ মেলা।

    দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদের সিজিএস বিল্ডিংয়ের সাম্পান সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম কর বিভাগ। এতে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান আয়কর মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ।

    এসময়, অয়কর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও সেবা প্রদানই এ মেলার লক্ষ্যে বলে জানান চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন।

    মেলায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা, ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথ, নারী, সিনিয়র সিটিজেন, প্রতিবন্ধী, সশস্ত্র বাহিনীর করদাতা, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের জন্য কাউন্টার থাকবে। এছাড়া এ বছরের সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতাদের মেলায় সম্মাননা প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে কর কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার মুনতাসির বিল্লাহ ফারুকী, মফিজ উল্লাহ, অতিরিক্ত কর কমিশনার সফিনা জাহান, মাহমুদুর রহমানসহ কর বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : সতর্ক বন্দর, বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সব জাহাজ

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : সতর্ক বন্দর, বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সব জাহাজ

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ ও কক্সবাজার ৪ নম্বর সংকেত এবং ৭ ফুট পর্যন্ত জলচ্ছ্বাসের আশংকা করা হচ্ছে।

    ফলে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং। আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের মূল জেটির জাহাজগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বহির্নোঙরে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাতটার মধ্যে জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে দিয়ে সাগরের গভীর নোঙ্গরে পাঠানো হয়েছে।

    ফাইল ছবি

    তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইয়ার্ড ও জেটিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলোকে রশি দিয়ে বেঁধে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে এলার্ট ফোর জারি করা হওয়ায় বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

    আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও তিনি জানান।

    তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের স্বাভাবিক বার্তা না আসা পর্যন্ত বন্দরে কন্টেইনার উঠানামা, খালাস ও ডেলিভারিসহ সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সমুদ্র শান্ত ও স্বাভাবিক হলে বন্দরের কার্যক্রমও পুনরায় স্বাভাবিকভাবে চালু করা হবে। আরো খবর : মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রামে ৯

    শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সকাল পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আকারে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

    ফাইল ছবি

    আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

    এর প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোর থেকে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এছাড়া এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।

    ঝড়ের সঙ্গে উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রামকে ৯ নম্বও বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আরো খবর : জরুরি প্রয়োজনে সরকারি কন্ট্রোল রুমের ফোন নাম্বার

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সারা দেশে নৌযান ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সেন্টমার্টিনে সহ¯্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। উপকূলে সতর্কতা বাড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক।

    শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

    চট্টগ্রামে দুর্যোগ মোকাবেলায় যেকোন পরিস্থিতিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৭২৬৯১৬ এ যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

  • আপাতত ১০০ টাকার নিচে নামছে না পেঁয়াজের দাম

    আপাতত ১০০ টাকার নিচে নামছে না পেঁয়াজের দাম

    পেঁয়াজের দাম আপাতত ১০০ টাকার নিচে আসার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

    আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে ইটভাটা মালিকদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সেখানে পেঁয়াদের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। তবে পেঁয়াজ ১০০ টাকার নিচে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে। তার আগে হয়তো সম্ভব হবে না।’

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা। সেটা আসলেও দাম একটু কমতে পারে বলে মনে হয়।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সেখানেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। আমাদের দেশে আসার পর তা ১০০ টাকা দর পড়ে যাবে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আপাতত কোনো লাভ নেই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পিঁয়াজের বাজার মনিটারিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

  • অব্যাহত অভিযানেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে : আড়তদারকে জরিমানা

    অব্যাহত অভিযানেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে : আড়তদারকে জরিমানা

    পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে জড়িত আড়তদারদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিক মুনাফায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতিও যেন কোন কাজে আসছে না। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত বুধবারের অভিযানেও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির প্রমান পেয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    বুধবার নগরীর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি আড়তদারকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

    অভিযান শেষে তিনি জানান, পেঁয়াজের দরে উদ্ধগতি থামাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলও যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

    অভিযানে পেঁয়াজের বাজারের কারসাজিতে জড়িত সিন্ডিকেটের একটি তালিকাও করা হয়। জরিমানা আদায়, প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ কারসাজিতে জড়িত কয়েকজন ব্যবসায়িকে দেয়া হয় সাজা। আরো খবর : পেঁয়াজের দরে কারসাজির তালিকায় অভিযান শুরু

    কিন্তু এরপরও চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। অসাধু ব্যবসায়িরা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফ ও কক্সবাজারে পেঁয়াজের বাজারে নিয়মিত মনিটরিংয়ে অসাধু ব্যবসায়িরা এখন কৌশল পরিবর্তণ করে মিশর ও চীনের পেঁয়াজের দামে কারসাজি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মিশর ও চীনের পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা আমদানি মূল্য হলে পাইকারিতে ৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু বুধবার অভিযানের সময় দেখা যায় মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামক এক প্রতিষ্ঠানে এসব পেঁয়াজ অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। আরো খবর : পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট

    এমনকি আমদানি ও বিক্রিত মালামালের সঠিক কোন কাগজ পত্রও তারা দেখাতে পারেনি। ফলে আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।

    পেঁয়াজের বাজারে যতদিন স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

    এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে রেয়াজ উদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের মূল্যে কারসাজি ও মজুদদারির অভিযোগে ঘোষাল কোয়ার্টার এলাকার জে এস ট্রেডার্সের মালিক মিনহাজুদ্দিন বাপ্পি (২৮) এবং এ হোসেন ব্রাদাসের মালিক আবুল হোসেনকে (৫৫) ১৫ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

  • বিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-চেম্বার সভাপতি

    বিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-চেম্বার সভাপতি

    দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বর্তমান বিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানব জাতি নিজেরাই এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

    তিনি বলেন, পৃথিবীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে শিল্পায়নের কারণে এবং মানুষের অসচেতনতার কারণে পরিবেশ দূষণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে এ শতাব্দী শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২.০০ থেকে ৪.৫ ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে সাগরের উচ্চতা ০.১৮ থেকে ০.৫৯ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

    আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকালে সিসিসিআই ও প্রাইভেট ফাইন্যান্স এডভাইজরী নেটওয়ার্ক (পিএফএএন)’র যৌথ আয়োজনে “ফাইন্যান্সিং ক্লাইমেট রেসপন্সিভ বিজনেস” শীর্ষক নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পিটার দো পন্ট (গৎ. চবঃবৎ উঁ চড়হঃ), কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শ্যামল বর্মন ও ক্লীন এনার্জি বিশেষজ্ঞ উৎপল ভট্টাচার্য্য।

    অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, চিটাগাং ক্লাব লিঃ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মিয়া আবদুর রহিম, বিকেএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক শওকত ওসমান, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা ও মমতা’র প্রধান নির্বাহী রফিক আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    জাতিসংঘের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইশেন (ইউএনআইডিও) এবং রিনিউএ্যাবল এনার্জি এন্ড এনার্জি এফিশিয়ান্সি প্রোগ্রাম (আরইইইপি)’র সহায়তায় জলবায়ুর প্রতি সংবেদনশীল ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা করে থাকে পিএফএএন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদেরকে এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্যে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    চেম্বার সভাপতি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে প্রাইভেট ফাইন্যান্স এডভাইজরী নেটওয়ার্ক মূলত পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল যেসব ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে তাঁদেরকে সহযোগিতা করা, পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কূূফল থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মানবজাতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। চেম্বার সভাপতি এই অর্থায়ন পদ্ধতি সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এই কর্মসূচীর সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

    এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পিটার দো পন্ট বলেন-পিএফএএন প্রায় ১.২৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় প্রায় ১০১টি ক্লিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যার মাধ্যমে বছরে ৩.৩ মিলিয়ন টন কার্বনড্রাইঅক্সাইড নিঃসরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করছে।

    বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, পশুপালন, বনায়ন, স্বাস্থ্য, এনার্জি, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন, রিসাইক্লিন ইত্যাদি খাতে যারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম পরিবেশ দূষণ করছেন তাদেরকে অর্থায়ন করা এ সংগঠনের প্রধান কর্মকান্ড।

    অনুষ্ঠানে পিএফএএন’র মাধ্যমে অর্থায়ন সংগ্রহে আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শ্যামল বর্মন এবং কিভাবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধিতে এনার্জি এফিশিয়ান্সি নিশ্চিত করা যায় তা তুলে ধরেন আরইইইপি’র ক্লীন এনার্জি বিশেষজ্ঞ উৎপল ভট্টাচার্য্য।

  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একনেকে ৩,৪৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একনেকে ৩,৪৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ হাজার ৪৪৯.০৫ কোটি টাকার ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্প আজ অনুমোদন করেছে।

    রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, আজ ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এতে অনুমিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭.৭৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪৩৯.৮৬ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং বাকী ৭.৯০ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। অনুমোদিত ৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ১ টি সংশোধিত প্রকল্প।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি এন্ড ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম সেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মি হেডকোয়াটারস, জিএস সেকশন (কোঅর্ডিনেশন) ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
    এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধাপে ধাপে সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেট (ডিবিটি) অথবা ডিবিটি’র বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবেলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের অধীনে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুততার সাথে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাশপাশি প্রধানমন্ত্রী পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) এর সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘যাতে করে বড় ঠিকাদাররা বারবার সরকারি কাজ না পায়, বরং অন্যান্য ঠিকাদাররাও যাতে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিডিংএ অংশ নিতে পারে এবং সুস্থ প্রতিযোগিতা করতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় সেতু নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেন। কারণ, এই সেতুগুলো পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করে।

    প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সতর্কতার সাথে নতুন নতুন সড়কগুলো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ, বর্তমান সরকার সকল আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ককে চার-লেনে উন্নীত করতে আগ্রহী।

    অন্যান্য যে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-৩৬৬ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর (রাজারহাট)-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ৭১ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯১ দশমিক ৩৪ মিটার মুহুরী সেতু ও ৫০ দশমিক ১২ মিটার ফজিলাঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৩৬১ দশমিক ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের একতাবাজার থেকে বিএনএস শেখ হাসিনা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, প্রথম সংশোধিত ৭৯ দশমিক ০১ কোটি টাকা ব্যয়ে আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবন নির্মাণ প্রকল্প এবং ১২০ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলার সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দশগ্রাম, মাহতাবপুর ও রাজাপুর পরগণা বাজার এলাকা সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন হতে রক্ষা প্রকল্প।

  • সীতাকুণ্ডে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ

    সীতাকুণ্ডে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ

    দেশের প্রধান সবজি উৎপাদনের ভান্ডার হচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ডে চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন রকম সবজির চাষ হয়েছে। তবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার প্রায় ১৯ হাজার কৃষক পরিবার।

    এ জেলার হাট-বাজার গুলোতে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রন নেই বললে চলে। ফলে খুচরা দোকানীরা ৪০ টাকার সবজি তার দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন বলে প্রায় সময় ক্রেতা ও হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষকরা ক্ষোভের সাথে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে সিন্ডিকেটের থাবায় কৃষকদের সদ্য চাষকরা শীতকালীন সবজির প্রকৃত মূল্য পাবে কি পাবেনা তাও অনেকটা অনিশ্চিত।

    পৌরসভাস্থ মোহন্তের হাট বাজারে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকার তাদের পছন্দের শীতকালীন সবজি প্রতিটি শীত মৌসুমে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পাহাড়তলী,ওয়ার্লেস ঝাউতলা বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান আগত পাইকার।

    একটু ভাল দামের আশায় উপজেলার কৃষক পরিবার গুলো মৌসুম ছাড়াই আগাম বিভিন্ন রকম সবজির চাষ করে থাকেন। তবে পাইকারী বাজারে সবজির দাম কম থাকলেও খুচরা বাজারে কিন্তু অনেক বেশি। ফলে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছে মত দাম নিয়ে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে বলে ক্ষোভ বাজারে আসা একাধীক সল্প আয়ের ক্রেতাদের।

    এখানকার খুচরা দোকানীরা সবজিতে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০টাকা করে বেশি নিচ্ছেন। যা সাধারণ ক্রেতাদের অনেকটা হতাশ করে তুলছে।

    অভিযোগে জানা যায়, পৌরসদর মহোন্তের হাট, বড়দারোগা হাট, বাড়বকুণ্ড, শুকলালহাট, কুমিরা, ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাটসহ উপজেলার অনেক হাটে কৃষকদের অধিক উৎপাদিত সবজি যখন সাপ্তাহিক হাটে নিয়ে আসেন। তখন এক ধরনের পাইকার তাদের কাছ থেকে খুব কমদামে সবজি ক্রয় করে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে সারা বছর সবজি চাষকরে যে লাভের কথা ভাবে কৃষক, তা আর হয়ে উঠেনা। এতে অধিক লাভবান হচ্ছেন পাইকার ও খুচরা দোকানি। মধ্যখানে শুধু লোকসান গুনতে থাকেন খেটে খাওয়া কৃষি পরিবারগুলো।

    এদিকে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সাগরের বেড়িবাঁধ এলাকার পুরানো এক কৃষক মোঃ আলি ২৪ ঘন্টা যট নিউজকে জানান, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমিতে ফসল উৎপাদন করেন তিনি। এবছর অন্তত ৫ একর জমিতে ছোট শশা ও শীতকালীন শিমের চাষ করেছেন। এতে তার শেষ পর্যন্ত খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। পরিস্থিতি ও বাজার দর ভাল থাকলে তিনি কমপক্ষে ৮ লক্ষ টাকারও বেশি সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

    তিনি আরো বলেন, একটি সিন্ডিকেট ৬০ টাকার সবজি ৪০ টাকা করে বলেন। কাচা মাল পঁচে যাওয়ার ভয়ে আমরা কৃষক কম দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেই। শুধুু তাই নয় ১০০ কেজি সবজি বিক্রি করলে ৮০ কেজির টাকা পাওয়া যায়। আর বাকি ২০ কেজি টাকা বিভিন্ন অযুহাতে বাদ দিয়ে দেন পাইকার সিন্ডিকেট।

    উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারী দামে কৃষক টমেটো বিক্রি করছে কেজি ৭০ টাকা, আর খুচরা বাজারে ১২০ টাকা, বেগুন ৩৫ ও খুচরা বাজারে কেজি ৫০, ঢেঁড়শ ৪০ খুচরা বাজারে ৫০, চিচিংগা কেজি ৩০, খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

    সীতাকুণ্ড উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বর্তমানে সবজি বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছে কৃষক। চলতি বছর সাড়ে ৫হাজার হেক্টর জমিতে ১৯ হাজার কৃষক তাদের নিজ নিজ জমিতে শিমসহ বিভিন্ন রকম শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন। তার মধ্যে তিন হাজার হেক্টর জমিতে শিম ও আড়াই হাজার জমিতে অন্যান্য সবজির চাষ হয়েছে।

    তিনি বলেন চলতি মৌসুমে সবজি শিম প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ মেট্রিকটন। আর অন্যান্য সবজি হেক্টরে ৩৫ মেট্রিকটন।

  • পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা!

    পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা!

    মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের কারসাজিতে যুক্ত রয়েছে ১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটে রয়েছে টেকনাফ বন্দর, টেকনাফ উপজেলা, কক্সবাজার সদর এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক পেঁয়াজ আমদানিকারক, সিএন্ডএফ, আড়তদার ও কতিপয় বিক্রেতা।

    এদের যোগসাজশে মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা দরে আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাইকারী বাজার পর্যায়ে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়িরা।

    আজ সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে আসে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসব সিন্ডিকেটের তথ্য দেন খাতুনগঞ্জস্থ ব্যবসায়ীরা।

    সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অভিযান শুরুর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, উপসচিব কর্তৃক জেলা প্রশাসন, কক্সবাজারের নিকট পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত সিন্ডিকেটের তালিকাটি প্রেরণ করা হয়।

    তালিকায় কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার ৪ আমদানিকারক সজিব, মম (মগ), জহির ও সাদ্দাম। কাদের নামে একজন রয়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরের সিএন্ড এফ অ্যজেন্ট এ। টেকনাফের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফোরকান, দালাল শফি, বিক্রেতা গফুর, মিন্টু, খালেক, টিপু দখলে নিয়েছে পেঁয়াজের রাজত্ব।

    এদের সাথে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমীর ভান্ডার, মেসার্স আল্লার দান স্টোর, নগরীর স্টেশন রোড নুপুর মার্কেটের মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, ঘোষাল কোয়ার্টার খাজা দস্তগীর ম্যানশনের নিচ তলার এ হোসেন ব্রাদার্স ও কক্সবাজারের টেকনাফ কে কে পাড়ার জেসি হাউজের মেসার্স আলীফ এন্টারপ্রাইজের মালিকরা।

    জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ভিত্তিক উপরোক্ত সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আজ সোমবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের আড়তগুলো পরিদর্শন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপ-সচিব সেলিম হোসেন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

    আজকের অভিযানে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাত্রাতিরিক্ত দামে মিয়ানমারের পেয়াজ বিক্রি করার দায়ে খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা এবং রিয়াজুদ্দিন বাজারের রুহুল আমিন সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, অভিযানে বিভিন্ন আড়তের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে পেয়াজের আমদানি মূল্য কেজি প্রতি পড়ছে ৪২ টাকা। ফলে পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, মুনাফা ও বিবিধ খরচসহ মিলিয়ে কেজিপ্রতি পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা দরে এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন।

    অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, র‍্যাব-৭, এপিবিএন, সিএমপি সদস্যগণ এবং বাজার পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

  • ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল মুনাফালোভী, ১১০ থেকে এক লাফে ৭০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি

    ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল মুনাফালোভী, ১১০ থেকে এক লাফে ৭০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি

    পেঁয়াজের বাজারমূল্য মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানের খবর পেয়ে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে মিয়ানমারের পেয়াজ নিয়ে নতুন উপায়ে কারসাজির সাথে জড়িত মুনাফালোভী কমিশন এজেন্টরা গা ঢাকা দিয়ে মার্কেট থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে অভিযান চলাকালীন মাত্র দু ঘন্টার ব্যবধানে মিয়ানমারের পেয়াজ ১১০ টাকা কেজি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৭০-৭৫ টাকা দরে নেমে আসে।

    আজ রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। এসময় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ক্রয় মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে খাতুনগঞ্জের চার আড়তদারকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

    জানা যায়, অভিযানের সময় দোকানে সংরক্ষিত কাগজপত্র পরীক্ষা করে মিয়ানমারের পেয়াজের দামে কারসাজি ও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ায় মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরো খবর : খাতুনগঞ্জে ফের অভিযান : চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

    অন্যদিকে প্রতারণামূলকভাবে মূল্য তালিকা থেকে অধিক দামে পেয়াজ বিক্রি করার অপরাধে মেসার্স হাজী অছি উদ্দিন সওদাগরকে ৪০ হাজার টাকা এবং মিয়ানমারের পেয়াজ আমদানি মূল্যের চাইতে মাত্রাতিরিক্তভাবে ১০০-১০৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করার অপরাধে সৌমিক ট্রেডার্স ও বেঙ্গল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    এছাড়া খাতুনগঞ্জের আরো শতাধিক আড়ত পরিদর্শণ করে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার জন্য মুল্য নির্ধারণ করে দিয়ে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    প্রায় দুঘন্টার অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আরো খবর : দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    তিনি বলেন, অভিযানে খাতুনগঞ্জের শতাধিক আড়ত পরিদর্শন করা হয়। এসব আড়ত পরিদর্শন করে পেয়াজের দামে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট ও আড়তদাররা বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও দামে কারসাজি করছে।

    আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে এবং নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দর পাইকারিতে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১১০ টাকা করে বিক্রি করছে কিছু আড়তদার। অতচ প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে মাত্র ৪২ টাকা।

    তিনি বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে খাতুনগঞ্জের চারটি আড়তকে মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রতিটি আড়তকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

    অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের সময় গা ঢাকা দেওয়া কারসাজির সাথে জড়িত কমিশন এজেন্টদের ব্যাপারে সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অধিক নজরদারির জন্য র‌্যাব ও পুলিশকে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

    এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর। একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার।

    বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

  • ড্রাগন ফলের চাষ করে ভাগ্য বদল সীতাকুণ্ডের যুবক ইমনের

    ড্রাগন ফলের চাষ করে ভাগ্য বদল সীতাকুণ্ডের যুবক ইমনের

    দেশি ফল চাষের পাশাপাশি ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের খাদেমপাড়া গ্রামের সাবের শাহ্‌ ইমন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন বলে জানালেন। বাগানে রয়েছে আরও কমপক্ষে এক থেকে দুই লাখ টাকার ফল।

    জানা যায়, ইমন শিক্ষিত যুবক। চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে হিসাব বিভাগে মাস্টার্স ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন এই যুবক, রুক্ষ পাহাড়ের তলদেশে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তুলেন প্রথমে শখের বশে। অপরূপ সুন্দর লতানো গাছে এখন কাঁচা-পাকা ড্রাগন ফলের সমারোহ। রসে ভরা টসটসে ড্রাগন ফল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক মজাদার।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার কৃষি অফিসারদের সহায়তায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২০ শতক জায়গায় ৬০ টাকা দরে ৫২০টি ড্রাগন গাছের চারা রোপণ করেন ইমন। ড্রাগন ফলের চাষ কিছুটা বৈচিত্রময়। নির্দিষ্ট দূরত্বে একটি করে পাকা সিমেন্টের খুঁটি গেড়ে তার উপর রিকসা ও সাইকেলের পরিত্যক্ত টায়ার ব্যবহার করা হয়।

    খুঁটির চারপাশে ৪টি করে ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতা বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে। সঠিক পরিচর্যা হলে চারা লাগানোর ২ বছর পরই গাছে ফল আসতে শুরু করে। একটি ড্রাগন গাছ অন্তত ২০ বছর ফল দিয়ে থাকে।

    এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাসে ড্রাগন গাছে ৫ থেকে ৬ বার ফলন আসে। চলতি মৌসুমের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন বার ফল বিক্রি করে দুই লাখ টাকার মত আয় করেছেন ব্যবসায়ী সাবের শাহ্‌ ইমন। এখনো আরো ২লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

    নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন তার বাগান দেখতে আসেন। কৃষকরা এসে প্রশিক্ষণও নেন তার কাছে। অনেক সময় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার লোকজনও আসেন তার বাগান কৌশল জানতে।

    তিনি জানান, লোকজনকে বিনামূল্যে দেশি-বিদেশি ফলজ চারা বিতরণের মাধ্যমে চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন তিনি। শুধু সীতাকুণ্ড নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক উৎসাহী লোকজন আসেন তার বাগানে।

  • একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    তিনি বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পে সরকার অর্থায়ন করবে ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ২৬৭ কোটি টাকা, আর ঋণ ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা।

    আজকের একনেক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অন্যতম জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা।

    বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন প্রকল্প (৩য় সংসোধিত)। কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক জেলা মহাসড়কে উন্নীতিকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৯ কোটি টাকা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

    রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে পরমাণু শক্তি কমিশনের রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে। পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় চরআত্রা এলাকা রক্ষা প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৫৫৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা।

  • শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে পৌছাবে পেঁয়াজের বড় চালান। থাকবে না আর সংকট। কমবে দাম, খুচড়া মূল্য হবে ক্রেতাদের নাগালে। আর এটি সম্ভব হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের কল্যাণে।

    সম্প্রতি মিসর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির ঋণপত্র খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও ২০১৬ সালে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সচেষ্ট ছিল এস আলম গ্রুপ।

    এদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গত দেড়মাস ধরে পেঁযাজের বাজার নিয়ে চলমান অস্তিরতার স্থিতিশীল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেঁয়াজের বড় চালানটি শিগগির পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে যোগদান শেষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই সমস্যা সাময়িক। আরও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।

    জানা যায়, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেই জন্য এস আলম শিল্প গ্রুপটি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ তুরস্ক ও চীন থেকে আড়াই হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। এসব পেঁয়াজ দেশে এলে দামের ঊর্ধ্বগতি কমে আসবে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

    এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক মো. আখতার হাসান বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর এ পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেড় মাস ধরে বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ সংকটের শুরুতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালায় এস আলম গ্রুপ। তবে বড় চালান না পেয়ে গ্রুপটি মিসরের দ্বারস্থ হয়।

    তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি জন্য ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হয়। ইতিমধ্যে সব কিছু চূড়ান্তও হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসের (নভেম্বর) প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত জাহাজগুলো।

    ব্যাবসায়িক লাভের উদ্দ্যেশে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না জানিয়ে গ্রুপটির বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে, সে জন্য ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনে আমদানির উপর ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই এসব পেয়াঁজ বিক্রি করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের চালানটি বন্দরে আসার সাথে সাথে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বৃহৎ পাইকারী বাজারগুলোতে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    সামাজিক দায়বদ্দতা থেকে এমন মহৎ উদ্দ্যেগ নেওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপ ছাড়াও দেশের যেকয়টি বড় শিল্প গ্রুপ মিসর,তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে সবাইকে স্বাগত জানিয়েছে চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িরা।

    তারা মনে করেন এস আলম গ্রুপ ছাড়াও শিল্প গ্রুপ টি কে গ্রুপপ, পিএইচপি গ্রুপসহ চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপগুলো এ ধরনের উদ্দ্যেগ নিয়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি থামবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর।

    একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।