Category: নির্বাচন

  • সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে‘র উপনির্বাচনে নির্ব‍াচিত হয়েছেন শাহ কামাল চৌধুরী

    সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে‘র উপনির্বাচনে নির্ব‍াচিত হয়েছেন শাহ কামাল চৌধুরী

    সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯নং শিবপুর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই (বুধবার) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্ব‍াচনে একটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। নির্বাচনে ৫’শ ৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শাহ কামাল চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী জাহেদ চৌধুরী ফারুক পেয়েছেন ৫’শ ২৪ ভোট। বুধবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে।

    অধিকতর ঝুঁকিপুর্ণ বিধায় এ নির্বাচনকে ঘিরে একজন ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ফলে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন জুলফিকার আলি শামীম। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করলে আসনটি শন্য হয়ে যায়।

    নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আশরাফুল আলম বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা ইবিএম এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রয়োগ করেছেন। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান।
    জে-আর

  • কুসিক নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৫ মেয়রপ্রার্থী

    কুসিক নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৫ মেয়রপ্রার্থী

    কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বৈধ ১৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আজ শুক্রবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল পদে ৩৬ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

    প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া পাঁচ মেয়র প্রার্থী হলেন – আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অপর প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাখা। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান পেয়েছেন হরিণ। প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আচরণবিধি মেনে প্রচারে নামছেন অনেক প্রার্থীরা।

    সকাল থেকে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে ভিড় জমায়। প্রতীক পেয়ে নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন অনেকে। এদিকে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানসহ ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, ১৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড থেকে ১০৬ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। আগামী ১৫ জুন ১০৫ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

  • ১৩৮ ইউপিতে ভোট শুরু

    ১৩৮ ইউপিতে ভোট শুরু

    চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সেমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২০ জেলার ২৪ উপজেলার ১৩৮টি ইউপিতে চলবে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ৯টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

    এ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৭১ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ প্রার্থী রয়েছেন।

    এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, এই ধাপে পাঁচ হাজার ৮৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭৬ জন, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী ১ হাজার ২৩৬ জন এবং সাধারণ প্রার্থী ৪ হাজার ৬২ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৩৫০টি। আর ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৮৫টি। সপ্তম ধাপে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ জন ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

    তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ভোটার ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন আর হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৩ জন।

    প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ষ্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে থাকছে একটি মোবাইল ফোর্স। প্রতি ৩টি ইউনিয়নে একটি করে ষ্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় র‌্যাবের মোবাইল টিম দুইটি ও একটি ষ্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতিটি উপজেলায় দুইটি বিজিবির মোবাইল টিম, একটি ষ্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। প্রতিটি উপকূলীয় উপজেলায় কোষ্টগার্ডের দুটি মোবাইল টিম ও একটি ষ্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

    এন-কে

  • ষষ্ঠ ধাপে ২১৮ ইউপিতে ভোট শুরু

    ষষ্ঠ ধাপে ২১৮ ইউপিতে ভোট শুরু

    ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ আজ সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। নির্বাচনি সব এলাকায় ভোটারেরা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন।

    আজ দেশের ২২ জেলার ৪২ উপজেলার ২১৮টি ইউপিতে অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণ হচ্ছে। দুটি বাদে ২১৬টি ইউপিতেই ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে।

    ইসি সূত্র জানায়, ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২১ লাখ ১৪ হাজার ৭২০ জন, নারী ভোটার ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ জন। এ ছাড়া ছয় জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন। দুই হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রের ১৩ হাজার ৩০৫টি কক্ষে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

    নির্বাচনের এই ধাপে সারা দেশে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ হাজার ৬০৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ১৯৯ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই হাজার ৫৫৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে সাত হাজার ৮৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    ইউপি নির্বাচনের এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৪ প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০০ প্রার্থী রয়েছেন।

    নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। গত শনিবার দিনগত রাত ১২টা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ৫৪ ঘণ্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ ছাড়া গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এসব এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণাও বন্ধ রয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি এলাকায় টহল শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

    গত ৫ জানুয়ারি ৭০৮ ইউপিতে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৫টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ভোটগ্রহণ চলে। পরে ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে এবং চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

    আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ১৩৮ ইউপিতে ভোটের মাধ্যমে সপ্তম ও শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    এন-কে

  • নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ১৯২টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ চলবে।

    আজ সকালে ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে দেখা যায়—ভোটার উপস্থিতি খুব কম। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। ভোট দিতে আসা বাবুল ভূইয়া বলেন, ‘কোনো ঝামেলা নাই, ভালোভাবে ভোট হচ্ছে।’

    অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসকও জানিয়েছেন শান্তিপূর্ণ হবে নারায়ণগঞ্জ সিটির ভোট।

    নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সামগ্রী পৌঁছানো শুরু হয়।

    ইসি থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তাঁরা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনা করবেন।

    নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ও আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

    নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন।

    ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

    ইসি এরই মধ্যে জানিয়েছে, নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ জন সদস্য।

    এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নয়টি সংস্থার ৪২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংস্থাগুলো হলো—জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, রিহাফ ফাউন্ডেশন, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন এবং মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস।

    তবে, পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মানার পাশাপাশি এসব সংস্থাকে ভোট শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের শর্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    ১৮৭৬ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভাকে এক করে নারায়ণগঞ্জকে দেশের সপ্তম সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়।

    ওই বছরেই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট। ওই ভোটের শেষ মুহূর্তে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

    ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আইভী এক লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট পেয়ে আবার মেয়র নির্বাচিত হন। সেবার তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।

    এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আর সন্দেহের কথা বলেছেন; বলেছেন আত্মবিশ্বাসের কথাও। তাঁরা দুজনই বলেছেন, তিনিই জিতবেন লাখো ভোটের ব্যবধানে। কিন্তু, তাঁদের সে কথা কি শুধু কথার কথা, না-কি বাস্তবতা, তা আজ নিরূপণ করবে নারায়ণগঞ্জবাসী। আজ রাতেই জানা যাবে নির্বাচনের ফল, জানা যাবে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি।

    এন-কে

  • বগুড়ায় ভোট গণনার সময় সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৪

    বগুড়ায় ভোট গণনার সময় সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৪

    বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট-বিজিবির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। নৌকার সমর্থকরা এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন।

    হামলায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফা গুলিবর্ষণ করেছে।

    নিবাচনী সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে নিহতদের সংখ্যা রাত ৯টা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন।

    নিহতরা হলেন- গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা খোকন মন্ডলের স্ত্রী কুলসুম (৪০)। তিনি ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ছোবেদার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। মধ্যপাড়ার মৃত মবদুলের ছেলে আলগীর (৩৫), পশ্চিমপাড়ার মৃত ইফাতুল্লা প্রামানিকের ছেলে আব্দুল রশীদ (৪৮), উত্তরপাড়ার মৃত ছহির উদ্দিন আকন্দর ছেলে খোরশেদ আকন্দ (৬৫)।

    আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাই হাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
    গাবতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রওনক জাহান বলেন, কালাই হাটা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা গণনায় বাঁধা দেন। অন্য কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে তাঁরা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে বলেন।

    এতে আপত্তি জানালে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউনুছ আলী ফকিরের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে হামলা চালান। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নৌকা মার্কার কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। নৌকা মার্কার কর্মীরা ইউএনওর গাড়ি ছাড়াও পুলিশ, বিজিবির মোট চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আহমেদ ছাড়াও বিজিবি পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে কতজন হতাহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
    বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী শুধু কুলসুম নামে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • বোয়ালখালীতে ৬ নৌকা ও ১ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী

    বোয়ালখালীতে ৬ নৌকা ও ১ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সাত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৬টিতে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টিতে।

    বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রাপ্ত ফলাফলে জানা গেছে, শাকপুরা ইউপিতে আবদুল মান্নান মোনাফ (নৌকা), সারোয়াতলীতে বেলাল হোসেন (নৌকা), পোপাদিয়া ইউপিতে এসএম জসিম উদ্দিন (নৌকা), চরণদ্বীপে মো.শামসুল আলম (নৌকা), শ্রীপুর-খরণদ্বীপে মোহাম্মদ মোকারম (নৌকা), আমুচিয়া ইউপিতে কাজল দে (নৌকা) ও আহলা করলডেঙ্গা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক মান্নান (আনারস) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।

    সাত ইউপিতে ২৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বুধবার দিনভর আহলা করলডেঙ্গা, শাকপুরা এবং চরণদ্বীপ ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতা ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে।

  • পটিয়ায় ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত

    পটিয়ায় ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত

    ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

    চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে ভোটগ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টা পর ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ায় ছনহরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চাটারা কেন্দ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ধাউরডেঙ্গা কেন্দ্র এবং জিরি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।

    ছনহরা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৮৬৫ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় হাজার ৮৮১ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ হাজার ৯৮৪ জন। এ ছাড়া জিরি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৮১৭ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ১৯০ জন এবং নারী ভোটার ১৩ হাজার ৬২৭ জন।

    অন্যদিকে, আশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রটি নৌকা প্রার্থীর লোকজন প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

    পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোটকেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

    এন-কে

  • তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

    তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

    চলমান দশম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৃতীয় ধাপে দেশের এক হাজার ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। তৃতীয় ধাপে এক হাজার সাতটি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও নির্বাচন হচ্ছে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে। বিভিন্ন জটিলতায় সাতটি ইউপি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

    ইসি সূত্র জানায়, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই কোটি এক লাখ ৪৯ হাজার ২৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক কোটি দুই লাখ ১৫ হাজার ৪২৩ জন, নারী ভোটার ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৮ জন এবং হিজড়া ভোটার ১৯ জন। এ ধাপের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০ হাজার ১৫৯টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৬১টি হাজার ৮৩০টি।

    ইসি সূত্র আরও জানিয়েছে, সারা দেশে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে এরই মধ্যে ১০১ জন চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩২ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

    আরিচ আহমেদ শাহ, চট্টগ্রাম : তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ২৬টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে, রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা সিলেকশনের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার পথে। তাই, ভোট হচ্ছে না রাউজান উপজেলায়।

    রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারী উপজেলার ২৬টি ইউপির মধ্যে হাটহাজারীর ১১টি ও রাঙ্গুনিয়ার ১৩টি ইউপির নির্বাচন চলছে। রাঙ্গুনিয়ার ১৩টি ইউপির মধ্যে আটটিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। আর বাকি পাঁচটিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এ ছাড়া হাটহাজারীতে ১৩টি ইউপির মধ্যে ১১টিতে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

    এদিকে, নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ভোরে ব্যালট পেপারসহ সব নির্বাচনি সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। নির্বাচনি সামগ্রীর সঙ্গে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা।

    শ. ম সাজু, রাজশাহী : রাজশাহীর দুটি উপজেলার ১৩টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে পবা উপজেলার সাতটি এবং মোহনপুর উপজেলার ছয়টি ইউপিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারেরা ভোট দিচ্ছেন।

    দুই উপজেলার ১৩ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪৫ জন, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য পদে ১৩৬ জন ও সদস্য পদে ৪২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পবা উপজেলার হরিপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে শুধু সদস্য পদে নির্বাচন হচ্ছে।

    পবা উপজেলার ৬৮টি এবং মোহনপুর উপজেলার ৫৮টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণের আগে সকালে এসব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হয়।

    এদিকে, প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচ জন করে পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের টহল দল রয়েছে নির্বাচনি মাঠে। এই প্রথম রাজশাহী মহানগর পুলিশের আওতায় পবা উপজেলার সাতটি ইউপিতে টহল পুলিশ বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করছে।

    পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, দেশের কোনো নির্বাচনে এই প্রথম বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে নির্বাচনে কোনো সহিংসতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

    মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ : তৃতীয় ধাপে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নয়টি ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এই ২১টি ইউপির সবগুলোতেই ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

    নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন, জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্রসহ মোট ১২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৭৬৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে লড়ছেন ২২৩ জন। দুই উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২২১টি কেন্দ্রের এক হাজার ১২১টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৮৫ হাজার।

    এদিকে, নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে আট প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবের ১০টি টহল দল রয়েছে।

    নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি ইউনিয়নে থাকছেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়াও সাত জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।

    সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর (নৌকা প্রতিক) পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে এবং জাসদ মনোনীত প্রার্থীরা মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সবমিলিয়ে মোট ৯০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ইউপি সদস্য পদে রয়েছেন ৬২৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে রয়েছেন ১৭৪ জন প্রার্থী।

    এ ছাড়া এসব ইউপিতে মোট তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৮৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৭ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৩৭ জন।

    কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সরঞ্জাম গতকাল শনিবার দেওয়া হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নিজ নিজ কেন্দ্রে আজ সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়।

    এদিকে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে বিজিবিও। দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে সর্বমোট ১৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম জানিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামের ২৬ ইউনিয়নে চলছে ভোটগ্রহণ

    চট্টগ্রামের ২৬ ইউনিয়নে চলছে ভোটগ্রহণ

    চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ২৬ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ ২৮ নভেম্বর, রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দুই উপজেলায় নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে হাটহাজারীর ১৩টি এবং রাঙ্গুনিয়ার ১৩টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় আট ইউনিয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলাটির তিন ইউপি মেম্বার এবং এক সংরক্ষিত নারী মেম্বারও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আবার হাটহাজারীতেও দুই ইউনিয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে রাউজানেও আজ ভোট হওয়ার কথা থাকলেও সবকটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং নারী মেম্বার সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলাটিতে কোনো প্রকারের নির্বাচন হচ্ছে না।

    রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। বিশৃংখলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজ তিন রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারী উপজেলার ৪০ ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে রাউজানের ১৪ ইউনিয়নে সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলাটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। এছাড়া হাটহাজারী এবং রাঙ্গুনিয়ার ১০ চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি পদগুলোতে নির্বাচন চলছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    এন-কে

  • চকবাজারে কারাবন্দি টিনু কাউন্সিলর নির্বাচিত

    চকবাজারে কারাবন্দি টিনু কাউন্সিলর নির্বাচিত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনর ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে কারাবন্দী যুবলীগ নেতা নুরু মোস্তফা টিনু।

    দিনভর ভোট গ্রহন শেষে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোটের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার দায়িত্বপালনকারী জাহাঙ্গীর হোসেন।

    ট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনে ৬ হাজার ৯৩২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটগ্রহণ নিয়ে কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের প্রার্থী নুর মোস্তফা টিনু কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট মার্কার প্রার্থী আব্দুর রউফ।’

    ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী নুর মোস্তফা টিনু ৭৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে মাত্র ১৬ ভোট বেশি পেয়েছেন।

    চকবাজার ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে সর্বমোট ৬ হাজার ৯৩২টি ভোট পড়েছে। ভোটের শতকরা হার ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

    চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৮৬টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

    কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন ছিল। কেন্দ্রের বাইরে ছিল র‌্যাব-পুলিশের কঠোর অবস্থান। কেন্দ্রের আশপাশে দিনভর কোনো জটলা করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, ‘একদম ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ ছিল না।’

    নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২১ জন, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৮ জন, বিএনপির একজন এবং বাকি দু’জন স্বতন্ত্র।

    চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিনটু। চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পর্যন্ত- তিনি ছিলেন সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত ওই ওয়ার্ডে সাবেক বামপন্থী রাজনীতিক থেকে পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া মিন্টু কোনোদিন ভোটে হারেননি। গত ১৮ মার্চ তিনি মারা যান।

  • চসিকের চকবাজার ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ চলছে

    চসিকের চকবাজার ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ চলছে

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। ১৫টি কেন্দ্রে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু মৃত্যুবরণ করার পর এই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    নির্বাচনে মোট ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বিএনপি একজন , আওয়ামী লীগের ১৮ জন এবং বাকি দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন- যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনু (মিষ্টি কুমড়া), মো. সামশেদ নেওয়াজ রনী (ঘুড়ি প্রতীক), মো. নাজিম উদ্দীন (কাঁচি), বিএনপির একক প্রার্থী এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাবু (হেডফোন), মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মমতাজ খান (পান পাতা), কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা খানম (ড্রেসিং টেবিল), মো. আলী আকবর হোসেন চৌধুরী (কাঁটা চামচ), মো. সেলিম রহমান (ঠেলাগাড়ি), কায়ছার আহমেদ (প্রদীপ), মো. আবুল কালাম চৌধুরী (সূর্যমুখী ফুল), শওকত ওসমান (এয়ারকন্ডিশনার), মো. নোমান চৌধুরী (ট্রাক্টর), মো. শাহেদুল আজম শাকিল (ক্যাপ), মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন (রেডিও), মো. আজিজুর রহমান (হেলমেট), মো. আব্দুর রউফ (ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট), মো. নুরুল হুদা (ঝুড়ি), কাজী মুহাম্মদ ইমরান (লাটিম), মো. রুবেল ছিদ্দিকী (করাত), মো. আলাউদ্দিন (টিফিন ক্যারিয়ার), মোহাম্মদ জাবেদ (স্ট্রবেরি)।

    চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৮৬টি ভোটকক্ষ। ভোটগ্রহণের জন্য ১৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৬জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১৭২জন পোলিং কর্মকর্তাসহ ২৭৩ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।

    এন-কে