Category: নির্বাচন

  • তাবিথের সঙ্গে বৈঠক করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

    তাবিথের সঙ্গে বৈঠক করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বনানীতে তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী অফিসে এ বৈঠক হয়।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রিটিশ সরকার চায় অবাধ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনটি সম্পন্ন হোক।’

    এই নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছেন বলে জানান তিনি।

    এসময় বৈঠক প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল জানান, ‘হাইকমিশনার এই নির্বাচন নিয়ে তার সরকারের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন।’

    ইভিএম প্রসঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমরা ইসিকে যা বলেছি তা হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।’ এই পদ্ধতি যেন সহজভাবে মানুষ ব্যবহার করতে পারে সে ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি নেতা সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল, আলী নেওয়াজ মোহাম্মদ খৈয়ুম, সেলিম ভূইয়া,জেবা খান, সুলতানা আহম্মেদ প্রমুখ।

    এছাড়া ব্রিটিশদূতাবাসের দুই জন কর্মকর্তাও সেসসম উপস্থিত  ছিলেন।

  • সিটি নির্বাচনের দিন শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ

    সিটি নির্বাচনের দিন শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ

    আসন্ন ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন এলাকার শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ইসির উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিটি শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম কল্যাণ সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। সাধারণ ছুটি উপলক্ষে সরকারি/বেসরকারি সকল অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা বন্ধ থাকবে।

    এতে আরও বলা হয়, ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে নির্বাচনী এলাকার শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

  • দেশে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন

    দেশে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন

    নির্বাচন কমিশন হালনাগাদ ভোটারের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ি দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন।

    এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ২৯২। অপরদিকে নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৫৪২। হিজড়া ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৩৫৩ জন।

    আজ সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটারের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশের কথা ঘোষণা করেন।

    তিনি বলেন,আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি-২০২০ পর্যন্ত খসড়া তালিকা সংশোধনের আবেদন গ্রহণ এবং আগামী ১ মার্চ ২০২০ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল জানান, এবারের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় মৃত ভোটার বাদ পড়েছে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ২৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৪০, নারী ৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৬ জন।

    এছাড়া এবার ২ লাখ ৭ হাজার ৬৩৫ জন দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    খসড়া তালিকায় প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকরা ‘হিজড়া’ পরিচয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যার সংখ্যা ৩৫৩ জন।

  • দুই সিটিতে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি

    দুই সিটিতে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ দুইদিন পেছানো হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় শনিবার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানানো, ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচনের তারিখ দুইদিন পেছানো হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হদা। বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনারদের ফোন করে বৈঠকে আসার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও আসতে বলা হয়।

    ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি ভোটগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করার জন্য আদালতে রিট করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

  • ভোট পেয়েছিলাম ৬০ হাজার ডিজিটাল জালিয়াতির ইভিএমে দেখায় ১৭ হাজার-সুফিয়ান

    ভোট পেয়েছিলাম ৬০ হাজার ডিজিটাল জালিয়াতির ইভিএমে দেখায় ১৭ হাজার-সুফিয়ান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে আবু সুফিয়ান সরকার নির্বাচন কমিশনকে ভোটাধিকার হরণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে মন্তব্য করেন।

    এ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ঘোষণা করলেও বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান দাবি করেছেন, মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন। বাকি ভোট ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে দেখানো হয়েছে।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ‘জালিয়াতির চিত্র’ তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান। উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, বিভিন্ন অনিয়ম এবং ইভিএমে ভোট কারচুপি জাতির সামনে উপস্থাপনের জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    লিখিত বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে তথাকথিত ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করা যায়। এটি মধ্যরাতের নির্বাচনের মতো আরেকটি কৌশল।

    ইভিএম এখন মহাপ্রতারণার নতুন পদ্ধতি। এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই। একজন ভোটার কোথায় ভোট দিলেন তা নিজে জানারও সুযোগ নেই।

    এক প্রশ্নের জবাবে সুফিয়ান বলেন, ‘মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইভিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড নিয়ে প্রতি বুথে ৭০ থেকে ৮০টি জাল ভোট দিয়েছে। এভাবে ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, উপ-নির্বাচন ছাড়াও বিগত এক বছর আগে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলাম। বিশ্বের ইতিহাসে কলঙ্ক জনক এই নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতিকে ভোট পেয়েছিলাম প্রায় ৬০ হাজার। কিন্তু ইভিএম মেশিনে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার।

    একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ’২২ শতাংশ ভোটের মধ্যে আসলে ভোট পড়েছে ৫ শতাংশ। ১০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার নিজে। বাকি ভোট কেন্দ্র দখল করে পাসওয়ার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দিয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র দখল করে ইভিএমের পাসওয়ার্ড নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, নগরীর হামজারবাগ রহমানিয়া স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১২টার সময় ২ নম্বর কক্ষে কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রবেশ করেন।

    তারা নির্বাচন কমিশনের আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রিজাইডিং অফিসার ছোটন চৌধুরীকে নিয়েই সেখানে যান। তার মোবাইল থেকে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে ডিভাইস নম্বর দিয়ে কোড অথবা পাসওয়ার্ড চাইলে +৮৫৮৪৭৭৬৭+ নম্বরটি দেওয়া হয়। তারা এসময় বলতে থাকেন, ১০ শতাংশ ম্যাচিং কোড দিয়ে তাড়াতাড়ি ভোট নিয়ে নেন।

    তখন অন্যজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অবৈধভাবে শুরু করা ভোটার নম্বর- ৪২২, ৫০২, ৪৯৯ ও ৫৮০। মৃত ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের নামেও ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর জানান, ভোটগ্রহণের সময়ই অনিয়মের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানকে অভিযোগ করা হলেও তিনি নীরব থাকেন এবং অস্বীকার করেন। এভাবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা করেছে।

    ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুফিয়ান বলেন, ‘জনগণের করের টাকা খরচ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তামাশা করেছে। তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি।

    পরপর তিনবারের সাংসদ জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারী উপ-নির্বাচন হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মীর্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য বোয়ালখালীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, এস এম মামুন মিয়া, হুমায়ুন কবীর আনসার, এডভোকেট আবু তাহের, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম সম্পাদক আবু মুসা, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম প্রমুখ।

  • মোছলেম উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

    মোছলেম উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

    দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও বড়ধরণের কোন বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।

    এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীকে মোট ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীকে ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন।

    সোমবার রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান নগরের জিমনেশিয়াম মাঠের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও ও বায়েজিদের কিছু অংশ এবং বোয়ালখালী উপজেলার ১৭০টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৯৬টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে টানা ভোটগ্রহণ চলে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন। এরমধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ জন নারী। ২২.৯৪ শতাংশ ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

    এবার এই আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থী ছাড়া আরো ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তার মধ্যে টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ ভোট, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ৯৯২ ভোট, কুঁড়েঘর প্রতীকে ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ৬৫৬ ভোট ও আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট।

  • চট্টগ্রাম ৮ উপ নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী সুফিয়ান

    চট্টগ্রাম ৮ উপ নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী সুফিয়ান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনের (বোয়ালখালী চান্দগাঁও) উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে ১৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে অস্ত্রের মুখে ১২০টি কেন্দ্র দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি দলীয় প্রার্থী আবু সুফিয়ান।

    এছাড়া ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটারদের বের করে দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠ দেখানোর লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা লাইনে দাড়িয়ে বিশৃঙ্খল সৃষ্টিসহ নানান অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত করে পূনরায় নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন তিনি।

    ১৩ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিনে সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন এবং বেলা ১টার দিকে নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একই অভিযোগ তুলে ধরে নির্বাচন স্থগিত করে পূনরায় নতুন তারিখ ঘোষণার জন্য ইসির প্রতি দাবী জানায় প্রার্থী আবু সুফিয়ান।

    তিনি জানান বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের পাঞ্চ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৌকায় ভোট দিচ্ছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ১৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে অস্ত্রের মুখে ১২০টি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। তারা বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে।

    তিনি বলেন-ভোটাররা যেন ভোট দিতে না যায় সেজন্য ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য গতরাতে আমার এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যারা সকালে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলো তাদের অনেককে রাস্তায় মারধর করা হয়েছ। যারা সকল বাঁধা উপেক্ষা কেন্দ্রে গেছে তাদের অনেককে বুথে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আবার যারা বুথে প্রবেশ করেছে তাদেরকেবেরও করে হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সব গুলো কেন্দ্রে সকাল থেকে ছাত্রলীগ যুবলীগ দখল করে নিয়েছে। আমাদের লোকজনকে বের করে দেয়া হয়।

    প্রতিটি কেন্দ্রে ৪/৫শ ছাত্রলীগ যুবলীগ লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকে যাতে দেখানো হয় ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। মোট ১৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২০টি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনারকে লিখিত দিয়েছি।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম মীর হেলালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণের প্রথম দিকে ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ শান্ত থাকলেও পরে বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে নেয় বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন।

  • সরস্বতী পূজার কারণে দুই সিটির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী

    সরস্বতী পূজার কারণে দুই সিটির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ একদিন পিছিয়ে ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    রোববার দুপুর সাড়ে তিনটায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার।

    এর আগে নির্বাচনের তারিখ পেছাতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দাবির পর দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেয় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। এরই প্রেক্ষিতে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করতে কমিশনকে চিঠি দেন দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

  • চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ কাল

    চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ কাল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পূজন সেন, বোয়ালখালী: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন আগামীকাল ১৩ জানুয়ারি সোমবার। এ আসনের ১৭০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।

    এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।

    তিনি জানান, গতকাল শনিবার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে (১৭০টি) মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে মনের ভয় কিংবা সংশয় দূর করার জন্য এই মক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    আজ রবিবার বিকেলের মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পৌঁছুবে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর ২ জন করে সদস্য কারিগরি সহযোগিতার জন্য থাকবে বলে জানান জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।

    ২৩ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে নামেন প্রার্থীরা। তারা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন কাড়তে নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এরই মাঝে ছিলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় বাঁধা, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া, হামলা ও অগ্নিসংযোগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণায় সরগম হয়ে ওঠে কুর্ণফুলীর দুই পাড়ের জনপদ।

    গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলার আমতল এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় বোয়ালখালী বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ আসনের সিটি কর্পোরেশনের ৩-৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর) আসনের উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক।

    একটি অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১১ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। মোতায়েন করা হয়েছে ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৬ প্লাটুন র‌্যাব।

    এছাড়া ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিজিবির সঙ্গে মোবাইল টিমে থাকবেন বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান।

    জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে শতভাগ ইভিএম’এ ভোট গ্রহণের জন্য আড়াই হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্রস্তুত রয়েছে। ১৭০টি কেন্দ্র্রের ১১৯৬টি কক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে ১২শ’ ইভিএম চলে এসেছে।

    এই আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার জন ভোটার।

  • জনগণের আকাঙ্খা, জনগণের আশার বিরুদ্ধে যাবেন না, নিরপেক্ষ থাকুন

    জনগণের আকাঙ্খা, জনগণের আশার বিরুদ্ধে যাবেন না, নিরপেক্ষ থাকুন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। অনেক হামলায় আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু জনগণের ভালোবাসায় আমাদের সমস্ত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।

    তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রশাসনকে বলতে চাই, এই নির্বাচনে আপনারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন, এই প্রত্যাশা আমাদের আছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা, জনগণের আশার বিরুদ্ধে আপনারা যাবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই।

    তিনি ১১ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

    আবু সুফিয়ান বলেন, আমি বিশ্বাস করি ১৩ জানুয়ারী জনগণের ভোটে সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা জনগণের বিজয় নিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরতে পারব। বিগত কয়েকদিন আগে প্রধান নিবাচন কমিশনার আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সেখানে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, সিইসি মহোদয় চট্টগ্রাম ছাড়ার পরে আমাদের নেতাকমীদের নামে হয়ত বিভিন্ন থানায় মামলা হতে পারে।

    অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সেই কথার প্রতিফলন আমরা পেয়েছি। গত পরশুদিন বোয়ালখালীতে নৌকার ক্যাম্পে সাজানো আগুন দিয়ে একটি মোটর সাইকেল তারা নিজেরাই পুড়িয়ে দেয়। বোয়ালখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানসহ আমাদের দলের নির্বাচনের মূল কাজ যারা করবে তাদেরকে আসামি করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ একটি মামলা করেছে।

    আমাদের নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের দিন এলাকায় না থাকার জন্য, ভোটের কাজে অংশগ্রহণ না করার জন্য। এসব ঘটনার প্রকৃত তথ্যটি সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে অবহিত করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদেও তিনি অনুরোধ জানান।

    গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বোয়ালখালীতে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি বলে নৌকার প্রার্থী বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। বিগত ১১ বছর উনারা ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু তারা কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। আওয়ামীলীগ প্রার্থী বলছেন নির্বাচিত হলে তিনি বোয়ালখালীকে সোনা দিয়ে মুড়ে দেবেন অথবা কালুরঘাট সেতু এক বছরের মধ্যে দৃশ্যমান করবেন, অনেক প্রতিশ্রুতি তিনি দিচ্ছেন।

    আমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিশ্রুততি দিতে চাই না। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। একজন রাজপথ থেকে উঠে আসা কর্মী হিসেবে আমার কমিটমেন্ট হচ্ছে জনগণের প্রতি। রাজনীতিতে এসেছি একটা কমিটমেন্ট নিয়ে। সেটা হচ্ছে- দেশের জন্য, জনগণের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা। আমি যদি সংসদ সদস্য নিবার্চিত হতে পারি, আমার ব্যক্তিগত কোনো লাভ, লোভ থাকবে না।
    একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকা এবং দেশের জন্য কাজ করবো নিঃস্বার্থভাবে, সততার সাথে। এই আবু সুফিয়ানকে যেভাবে রাজনীতির শুরু থেকে দেখে এসেছেন সংসদ সদস্য যদি হতে পারি, তারপরও সেই আবু সুফিয়ানকেই আপনারা পাবেন।

    তারপরও সংসদ সদস্যের প্রতি এলাকার মানুষের কিছু প্রত্যাশা থাকে। যদি নিবাচিত হতে পারি, কালুরঘাট ব্রিজ এটা বোয়ালখালীবাসীর জন্য এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য একটা মরণ যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ কালুরঘাট ব্রিজের দুই পাশে অপেক্ষা করে, তাদের শ্রমঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক বিষয়। কালুরঘাট ব্রিজকে নিবাচনী বৈতরণী পার হবার জন্য মূলা না ঝুলিয়ে এই ব্রিজ অবিলম্বে নির্মিত হওয়া প্রয়োজন চট্টগ্রামের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। সন্ত্রাসী কর্মকা-, মাদক-চুরি-ডাকাতি থেকে যাতে এলাকা মুক্ত থাকে সেই চেষ্টা করব। সুন্দর পরিবেশে সবাই যাতে মর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে সকল রাজনৈতিক দল, সকল মত-পথের মানুষ যাতে থাকতে পারে সেই চেষ্টা থাকবে। কোনো ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর প্রতি বিভেদ, সাম্প্রদায়িক বিভেদ না করে যাতে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি, সেটাই আমার প্রত্যাশা।

    তিনি বলেন, মানুষের কাছে গেছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস আছে। তবে আতঙ্কও আছে যে ভোট দিতে পারব কি না। আমরা সেই আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। উনারা আমাকে আশ্বস্থ করেছেন যে, জনগণ ভোট দিতে পারবে। সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে তারা আশ্বস্থ করেছেন। আমরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে চাই।

    মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়েজি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, জেলা বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান. মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী উপস্তিত ছিলেন।

  • ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে- ডা. শাহাদাত হোসেন

    ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে- ডা. শাহাদাত হোসেন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমার আসনসহ বাংলাদেশের মোট ৬টি আসনে ইভিএমে নিবাচন হয়েছে। প্রতিটি আসনে আমিসহ আমাদের সব প্রাথীকে হারানো হয়েছে। সেজন্য এই ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

    তিনি ১১ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

    ডা. কাহাদাত হোসেন বলেন, ইভিএম শঙ্কার কথা আমরা কয়েকদিন আগে প্রধান নিবাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। তিনি জবাবে একটি হাস্যকর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন-আমাদের মেশিন নাকি ইন্ডিয়ার চেয়ে উন্নততর। এই নিবাচন কমিশন কি আদৌ আমাদের কথা বুঝতে পারছে নাকি আমরা উনাদের কথা বুঝতে পারছি না।

    তিনি বলেন, আমরা এমনও শুনেছিলাম যে, প্রিজাইডিং অফিসার নাকি ২৫ শতাংশ ভোট দেওয়ার অধিকার রাখেন। এসব বিষয় আমাদের কাছে পরিস্কার করা হয়নি। এজন্য এই নিবাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে কি না সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আশঙ্কা আছে। জনগণের মধ্যেও ইভিএম নিয়ে আতঙ্ক আছে।

    একই সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের এখনো শঙ্কা আছে। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তারপরও আমরা সাধারণ মানুষের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আগ্রহ দেখছি। আশাকরি মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোটারদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার জন্য কমিশনকে বলেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর তালিকা জমা দিয়েছি। আশাকরবো আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করে ভোটার ও এজেন্টদের নিরাপত্তা বিধান করবেন।

    মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান চাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়েজি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, জেলা বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান. মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী উপস্তিত ছিলেন।

  • বোয়ালখালীতে উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়ছে

    বোয়ালখালীতে উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়ছে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বিগত ১১ বছরে বোয়ালখালীতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয় নাই। উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, বর্তমানে বোয়ালখালীর যোগাযোগ ব্যাবস্থার বেহালদশা। কালুরঘাট ভান্ডালজুড়ি সড়ক বিএনপির আমলেই তৈরী করা হয়েছিল। যোগাযোগের নতুন কোন সড়ক তৈরী করা হয়নি। সরকার সমর্থকরা নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এখন নতুন করে স্বপ্নের কথা বলে জনগণের সাথে প্রতারণার দিন শেষ।

    তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের নামে স্বপ্ন দেখিয়ে লাভ নেই। বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়কটির একপাশ দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি হলেও সরকার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেননি। এই সরকার প্রতিটি সেক্টরেই ব্যর্থ হয়েছে। তাই ১৩ জানুয়ারী আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে চট্টগ্রামের প্রতি অবহেলার জবাব দিন।

    আজ ৮ জানুয়ারী বুধবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে বোয়ালখালীর পোপাদিয়ায় এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    তিনি আকুবদন্ডী, কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে নুরুল হকের দোকান বাঘ্যারটেক, গোরস্থানের টেক, নোয়াহাট, ঈশ্বরভট্টের বাজার, বাদামতল, চানপারা এলাকায় গণসংযোগ করেন।

    বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি জায়গায় আমরা ধানের শীষের আবেদন নিয়ে আমরা যাচ্ছি। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে এবার আরো বেশী সাড়া পাচ্ছি। কারণ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতীর প্রহসনের নির্বাচনে ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি।

    তিনি বলেন, জনগণ এবারও ভোট দিতে পারবে কিনা, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা মানুষকে তাদের শংকা দূর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বোয়ালখালীতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে। তারা ধানের শীষের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে।

    বোয়ালখালীতে ত্রাসের রাজত্ব কাযেম করে আতংকজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ভোটারদেকে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেয়ার সুযোগ দিন। জনগণ যে রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। বিএনপির আস্তা আছে জনগণের রায়ে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ইভিএম একটি প্রযুক্তি। এই ইভিএম দিয়ে বহুমুখী কারচুপি করার সুযোগ আছে। ইভিএম মেশিন নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু যারা এ মেশিন পরিচালনা করবে তাদের যদি ভোট চুরির মানসিকতা থাকে তাহলে চুরি করার অনেক সুযোগ আছে।

    তাই আমাদের বক্তব্য হচ্ছে ইভিএম মেশিনের আগে থেকে যে ভোট দেয়া থাকবে না, ধানের শীষে ভোট দিলে এই ভোট যে অন্য প্রতীকে যাবে না এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। নির্বাচনের আগেই ইভিএম মেশিনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য মফজল আহমদ চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়াউদ্দিন আশফাক, বিএনপি নেতা হাজী মোঃ ইসহাক চৌধুরী, নুরুন নবী চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের সভাপতি সৈয়দ মো. সাইফুদ্দিন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সুজন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মহসিন খোকন, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম মুন্সি, দিদারুল আলম লিটন, ইকবাল হোসেন, আছহাব উদ্দিন দুলাল, মো. বখতেয়ার মেম্বার, তছলিম উদ্দিন, আবদুস সালাম, আবদুর মান্নান, জয়নাল আবেদীন আরজু, মোহাম্মদ আলী, সরওয়ার আলম, সাইদুল হাসান হিমু, ইসকান্দর মির্জা, আবু নাসের মন্নান, মো. সেলিম, মো. আজিম, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মতিউর রহমান রাসেল, এনামুর হক সজীব, সাইদুল হক, মো. লোকমান, শওকত হোসেন জাহেদ, মো. ইসকান্দর, মনিরুল ইসলাম ডালিম, সরওয়ার আলম টুটুল, মো. ফোরকান, মো. জুনাইদ, মো. ওসমান গণি, মো. আলমগীর, আশরাফ মামুন, সিদ্দিক আজাদ রিহাদ, মো. এরফান, জয় দে, মো. জিসান, মো. রাসেল, শিহাব উদ্দিস, মো. সায়েম, মো. এমরান প্রমূখ।