২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনে (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলু।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে জেলা উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সোলায়মান আলম শেঠ, উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সায়েস্তা খান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি (বিব্লক)এর সভাপতি আলহাজ্ব হাসান মাহমুদ চৌধুরী সিআইপি, নগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী ইয়াকুব হোসেন, উত্তর জেলার জেনারেল সেক্রেটারী শফিকুল আলম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা রাসেদুল আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, নগর কমিটির সদস্য মাহমুদুল করীম, রানা মহাজন, আবদুর রউফ।
এসময় জাতীয় পার্টির অসংখ্য নেতা কর্মী এবং চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনের সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু বলেন, অবহেলিত বোয়ালখালীকে আধুনিক উপশহরে পরিণত করার লক্ষে আমার প্রথম কাজ হবে কালুরঘাট সেতু নির্মান করা।
চান্দগাঁও এলাকাকে উন্নত শহরে পরিণত করার জন্য ইতিমধ্যে আমার পরিবারের পক্ষে বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পারিবারিক ফান্ড দিয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাকে উন্নয়নের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি এলাকাকে আধুনিকায়ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অতীতে যেভাবে কাজ করেছি ভবিষ্যতেও কাজ করার মানসিকতা নিয়ে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলুকে ঘোষণা দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, চান্দগাঁও-বোয়ালখালীকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত এলাকায় রূপান্তর করা হবে। এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য যে, তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৯ কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রী ছিলেন। সরকারের নীতি নির্ধারক হিসেবে তিনি অগ্রণি ভুমিকা পালন করেন। তিনি মহাজোটেরও একজন প্রভাবশালী নেতা।