Category: নির্বাচন

  • কক্সবাজারে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, নিহত ২

    কক্সবাজারে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, নিহত ২

    কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।

    সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে ভোট চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই ঘটনার পর ২টি কেন্দ্রে আপাতত ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বেলা ১১টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শেখ কামাল এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা প্রতীক) মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে ভোট জালিয়াতি নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

    এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের পিলটকাটা কেন্দ্রে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কুতুবদিয়ায় থানা পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি তৎপরতা শুরু করেছে।

    এছাড়া টেকনাফ ও চকরিয়াতেও নির্বাচনী সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

    কক্সবাজারে দুটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এগুলোর মধ্যে পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে এবং ইউনিয়নগুলোতে ব্যালেটের মাধ্যমে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে পৌরসভার ২৮টি ও ইউনিয়নের ১৪০টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।

    এন-কে

  • ফটিকছড়ি নির্বাচন অফিসে সেবা প্রার্থীদের ভীড়

    ফটিকছড়ি নির্বাচন অফিসে সেবা প্রার্থীদের ভীড়

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ করোনাকালীন লকডাউন, স্থানীয় লকডাউন, বিধিনিষেধ সব কিছুর মাঝে থেমে নেই ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম। প্রবাসী ভোটার, নতুন ভোটার, ভুল সংশোধন, কোবিড ভ্যাকসিন নিবন্ধনে ম্যাচফান্ড সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ সেবা নিয়েছে বিগত তিন মাসে। নতুন ভোটার হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেমিটেন্স যোদ্ধারা নানান সীমাবদ্ধতার কারণে যথা সময়ে ভোটার হতে না পারার কারণে এবং করোনার লক ডাউনে আটকে যায় প্রচুর প্রবাসী। তারা এই সময়ে ভোটার হতে আগ্রহী। নতুন প্রজম্মও নিবন্ধিত হতে আগ্রহী এরকম তিন মাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে।

    প্রতিদিন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শত শত লোকজন নাম, জম্ম তারিখ সহ নানান প্রকার সেবা নিতে আসে। তাদের সাথে কথা বলে জানাযায় অনেক উপজেলায় নির্বাচন অফিসে আশানুরুপ সেবা পাওয়া যায় না। সেখানে ফটিকছড়ি নির্বাচন অফিস ব্যতিক্রম। ভুল সংশোধন, নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে দ্রততার সাথে।

    পাইন্দং এলাকার বাসিন্ধা প্রবাসী মোহাম্মদ আলী (৪৫) জানান, জীবিকার সন্ধানে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। তাই এনআইডি কার্ড তৈরী সম্ভব হয়নি। লকডাউনের মাঝেও সব কাজ সম্পন্ন করেদিল নির্বাচন অফিসার।

    ধর্মপুর থেকে আসা মাহাবুবুল আলম (৫৫)জানান,
    দেশ বিদেশ ঘুরতে ঘুরতে অনেক দিন গেল। এখন নাকি ছেলে মেয়ের স্কুলের কাজে এনআইডি লাগবে তাই অনলাইনে আবেদন করে ছবি তুলে নিলাম।

    মোস্তফা হোসেন নামক ২২ বছর বয়সী যুবক জানান, বিদেশ যেতে পাসর্পোট তৈরী করতে তাগাদা দিচ্ছে অভিভাবকরা। খবর নিয়ে জানলাম এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট হবেনা। তাই ছবি সব কাজ সম্পন্ন করলাম।

    জাহানারা বেগম (২৮) জানান, বিয়ের হয়েছে ৪ বছর। স্বামীর বাড়িতে ভোটার স্থানান্তর হয়নি। তাই আবেদন নিয়ে আসলাম। লেলাং দমদমা গ্রামের বাসিন্ধা বিপ্লব ভান্ডারী জানান, স্বাক্ষর আর ছবি আপডেট করতে আসলাম।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মসকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে প্রবাসী ভোটার বেশি নিবন্ধিত হয় এবং ভুলত্রুটি সংশোধন করতে হয়। কোভিড ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের সময় অনেক মিসফান্ড এসেছে তাদেরও সেবা দিতে হচ্ছে সীমিত কর্মচারী আর খন্ডকালীন লোকজন নিয়ে করোনা লক ডাউনের মাঝেও নাগরিক সেবা অব্যাহত রেখেছি।

  • আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ সহযোগিতা করবে কানাডা: রোজালী লাপ্লান্তে

    আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ সহযোগিতা করবে কানাডা: রোজালী লাপ্লান্তে

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহনের বিকল্প নেই। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসনীয়। এ সংগঠনের মানবিক কার্যক্রমের ভুয়সী প্রশংসা করে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনের র্চাজ দ্যা’ আ্যফেয়ার্স রোজালী লাপ্লান্তে।

    বুধবার (২৩ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকায় বারিধারা কানাডিয়ান হাই কমিশনে র্চাজ দ্যা’ আ্যফেয়ার্স- রোজালী লাপ্লান্তের সাথে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডশনের মহাসচিব ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবেদ আলীর সৌজন্য সাক্ষাত ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    সাক্ষাতকালে র্চাজ দ্যা’ আ্যফেয়ার্স রোজালী লাপ্লান্তে আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ সহযোগিতা করবে কানাডা। বাংলাদেশের সাথে কানাডার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে সামাজিক, মানবিক ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ও পাশে থাকবে কানাডা সরকার।

    আলোচনায় সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বলেন, দেশের এক শ্রেণীর সুশীল ব্যক্তিবর্গ সরকারকে বিব্রত করতে সামান্য ইস্যুকে বৃহৎ আকারে রূপান্তরিত করে আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত সকল বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ সঠিক তথ্য জেনে মন্তব্য করা উচিত। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সরকারের প্রভাব মুক্ত হয়ে নিরপেক্ষভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে সক্রীয় ভূমিকা রাখে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান দূতাবাসের সিনিয়র রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সায়েদ শাহনেওয়াজ মহসিন।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল

  • বোয়ালখালী পৌর নির্বাচন, ২ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ

    বোয়ালখালী পৌর নির্বাচন, ২ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জেলার বোয়ালখালীতে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

    শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্তমান মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু ও যুবলীগ নেতা মো.ইদ্রিস আলমের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

    এ সময় আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো.জহুরুল ইসলাম জহুরের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়র পদ প্রার্থী হাজী আবুল কালাম আবুর ব্যাংক ঋণ থাকায় ও অপর প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করায় তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।

    তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ প্রত্যাহার ও ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

    বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

    বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : অবশেষে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল বোয়ালখালী পৌরসভায় ভোট।

    গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    পৌর নির্বাচনের মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ রয়েছে ২৪ মার্চ।

    জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে এই পৌরসভা নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। পৌরবাসী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগ্রহ থাকলেও নানা অজুহাতে সেই ভোটদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন হাজার হাজার ভোটার।

    বোয়ালখালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ভোটার বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা ছিল। সেটি এখন কেটে গেছে। কিছু ভোটার নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল।

    চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২১ মে। এ সময় বিএনপির প্রার্থী হাজী আবুল কালাম মেয়র নির্বাচিত হন। একই সালের ১৯ জুন প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় এ পৌরসভায়। সে হিসাবে গত বছর ১৯ জুন এ পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডে মাসুম কাউন্সিলর নির্বাচিত

    চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডে মাসুম কাউন্সিলর নির্বাচিত

    স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুস সালাম মাসুম। আজ রবিবার সকাল থেকে কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে এই ওয়ার্ডের সাতটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণশেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান লাভ লেইনের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যলয় থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন।

    ঘোষিত ফলে আবদুস সালাম লাটিম প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াসির আরাফাত মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে পান ৭৭০ ভোট। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। বিএনপি সমর্থিত দিদারুর রহমান রেডিও প্রতীকে পান ৩৫৮ ভোট। ঠেলা গাড়ি প্রতীকে মো. হানিফ ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৫ ভোট। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৫ হাজার ১৯০ জন। ভোট পড়েছে ৪ হাজার ৫০৩টি, যা মোট ভোটারের ২৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

  • চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে সিইসি-মেয়র এর বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলা

    চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে সিইসি-মেয়র এর বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলা

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মামলা করেছেন নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও নবনির্বাচিত সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

    বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

    বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    মামলায় সিইসি, ইসি সচিব ও চসিক মেয়র ছাড়াও অন্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসার, মেয়র প্রার্থী আবুল মঞ্জুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

    অভিযোগ দায়েরের পর ডা. শাহাদাত উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, চসিক নির্বাচনে ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য কমিশন দিতে পারেনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকার কথা। কিন্তু তারা এটা দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে। ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং বির্তকিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশীল ঘোষণা মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে পুণ:নির্বাচনের দাবীতে ৯ জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।

    গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটগ্রহণের তথ্য চাইতে যান বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি নির্বাচনে জোর করে হারিয়ে দেয়া অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধের মামলা করার ঘোষণা দেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

  • পটিয়ার নতুন মেয়র আ.লীগের আইয়ুব বাবুল

    পটিয়ার নতুন মেয়র আ.লীগের আইয়ুব বাবুল

    চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইয়ুব বাবুল। তিনি মোট ১৪ হাজার ৮শ ৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী নুরুল ইসলাম সওদাগর ধানের শীষে পেয়েছেন এক হাজার ৪৯৪ ভোট।

    মেয়র পদে লাঙ্গল প্রতীকে মো. শামসুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ১১৭ ভোট। মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ আলী হোসাইন পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট। রোববার ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

    এবারের নির্বাচনে পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও তিনটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কারা নির্বাচিত হলেন এক নজরে দেখে নিন :

    উট পাখি প্রতিক নিয়ে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন নাছির উদ্দিন। ২ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর রুপক কুমার সেন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    ডালিম প্রতিক নিয়ে ৩ নং ওয়ার্ডর নতুন কাউন্সিলর হলেন গিয়াস উদ্দিন আজাদ। ৪ নং ওয়ার্ড থেকে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবারো ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন গোফরান রানা। তিনি নির্বাচন করেছেন পাঞ্জাবী প্রতিক নিয়ে।

    পটিয়া পৌরসভায় ৫ নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন। টেবিল ল্যাম্প প্রতিকে নির্বাচন করে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নতুন কাউন্সিলর হলেন শফিউল আলম শফি।

    টেবিল ল্যাম্প প্রতিক নিয়ে ৭ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন কামাল উদ্দিন বেলাল। ৮ নং ওয়ার্ডের সরওয়ার কামাল রাজীব (উটপাখি) প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং একই প্রতিক নিয়ে ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম।

    তাছাড়া পটিয়া পৌরসভার ১ নং ২নং ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বুলবুল আকতার। তিনি চশমা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন।

    ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন ইয়াসমিন আকতার চৌধুরী এবং ৭,৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে চশমা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছেন ফেরদৌস বেগম।

    এর আগে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ৮ নং ওয়ার্ড-এ নির্বাচনী সহিংসতায় কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মান্নানের ভাই আব্দুল্লাহ (৫০) নিহত ও প্রায় ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    পটিয়া পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে ১৮টি কেন্দ্রে ১১৬টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়। ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯২৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৮৬২ জন।

  • মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী

    মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামছুল হক ‘নৌকা’ প্রতীকে ৫,৭২৪ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম ‘মোবাইল’ ৩,৭৮০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপি’র শাহজালাল কাজল ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ৩,৬৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

    মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোটটারদের উপস্থিতি ছিলে ব্যাপক। ভোটারদের মাঝে উৎসব মূখর আনন্দ দেখা গেছে।

    মাটিরাঙ্গা পৌর সভায় গোপন ব্যালট এর মাধমে ভোট প্রদানে ধলিয়া কেন্দ্রে মোশারফ নামে এক যুবক জাল ভোট প্রদান করতে চাইলেও প্রশাসনের হাতে ধরা পরে। পরে তাকে আটক করে নির্বাচনের পর সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    খাগড়াছড়ি নিবার্চন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ জানান, রোববার সকাল থেকে ভোটাররা নিরাপদে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছে। কোন কেন্দ্র অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • পটিয়াতে ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, ডিবি হেফাজতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী, নিহত ১

    পটিয়াতে ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, ডিবি হেফাজতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী, নিহত ১

    চতুর্থ ধাপে আজ পটিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ওয়ার্ডে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানা গেলেও দক্ষিণ গোবিন্দ খিল (৮নং ওয়ার্ড) ভোট কেন্দ্রে দুপর সাড়ে ১২টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এতে আবুল কাসেম (২৫) ও আবদুল (৫০) নামে দুইজন বেশ গুরুত্বর আহত হন।

    পরে খবর পাওয়া যায়, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল (৫০) মারা যান। এছাড়াও আনসার ভিডিপি ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি এরই মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে নিয়েছে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মান্নান ও সরোয়ার কামাল রাজিবকে। অপরদিকে, ১ নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আবদুল খালেক অপহরণ হয়েছে দাবি করছে তার পরিবার।

    বর্তমানে ঐ ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশ ও বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত রয়েছেন।

    পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছে, অপহরণ নাকি আত্মগোপনে জানিনা, আমরা ২টি বিষয়ে মাথা রেখে কাজ করছি। শুনেছি দক্ষিণ গোবিন্দ খিল ৮নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে একজন নিহত হয়েছেন।’

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিকুর রহমান জানিয়েছেন, ইভিমের মাধ্যমে পটিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্তও প্রশাসনের লোকজন ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    পটিয়ায় মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৮৭। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে মহিলা ১৮ হাজার ৮৬২ ও পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯২৫।

    ২৪ ঘণ্টা/জে জাহেদ

  • শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়ন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় সরকারি দল

    শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়ন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় সরকারি দল

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : আগামীকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উন্নয়নই ভোটারদের কাছে প্রধান ইস্যু। কিন্তু আওয়ামীলীগের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী এবং বর্তমান মেয়র মো: শামছুল হক’র সাথে বিদ্রোহ করে অপেক্ষাকৃত তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা এম এম জাহাঙ্গীর আলম ‘মোবাইল’ প্রতীকে নির্বাচনে মাঠে নামায় অশান্তির নানা গুঞ্জনও প্রতিদিন ডালপালা ছড়াচ্ছে। তবে ২৫ বর্গকিলোমিটারের এই পৌরসভার প্রায় উনিশ হাজার ভোটারের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী মো: শাহজালাল কাজল’র ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের জোরালো সমর্থন লক্ষণীয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বি-গ্রেডের এই পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। ২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মূল সড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কগুলোর অবস্থা ভালো নয়। মাটিরাঙ্গা বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সাধারণ ভোটাররা এসব ইস্যু নির্বাচনের প্রধান বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে।

    এছাড়াও মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন দল, মত, সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার ইস্যুটিও সব সময় প্রাধান্য পায়।

    মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নির্বাচনে উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ভোটারদরে মন জয় করতে ব্যস্ত রয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।

    বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখনো কোন অভিযোগ করেননি। অবশ্য আওয়ামীলীগের পথের কাটা ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’র যত অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই।

    স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমরা সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বলছেন নির্বাচনের পরে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হবে। এখনো সময় আছে মোবাইল মার্কার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা করার, কেননা যেই ভোট পায় না কেন ঘোষণা করা হবে নৌকার নাম।

    তিনি আরো বলেন, গত সোমবার ৩১ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় আমি এসব বিষয় মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

    অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে মিথ্যাচার করছে দলের এবং আমার বিরুদ্ধে। তিনি দলের বাইরে এমন কোন কর্মকাণ্ড করেননি যে ভোটাররা তাঁকে ভোট দিবে। বরং তাঁর লোকজনই আমার সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। নির্বাচনের পরাজয়ের আশঙ্কায় তিনি নানা ধরনের দোষ চাপাচ্ছেন।

    বিএনপির প্রার্থী শাহ জালাল বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এখনো পর্যন্ত কোন বাধাবিপত্তি আসেনি। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটাররা তাকে গ্রহন করছে। যদি সুষ্ঠ ভোট হয় তিনিই জয়ী হবেন। তবে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে তিনিও সংশয়ে রয়েছেন।

    জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন প্রার্থী লিখিত ভাবে কোন প্রার্থী অভিযোগ করেননি। আশা করছি সুষ্ঠ ও সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

    উল্লেখ্য, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬ জন, ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরমধ্যে ৩ নং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৮০৬ জন এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ১৫৯ জন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • ৭ এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট

    ৭ এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট

    ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কারণে মার্চ মাসে নির্বাচন হবে না।

    সিইসি বলেন, ৭ এপ্রিল কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও বাদ পড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। রোজার ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট হবে। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধনের সময় ও সুযোগ নেই।

    বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা জানান।

    সিইসি বলেন, মে মাসে বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট করব। তখন বর্ষা থাকবে, কষ্ট হবে তবুও ভোট করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভার পর পুরো বিষয়টি জানাতে পারব।

    ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আইনে কোনো সংশোধন আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। সংশোধন করার দরকারও নেই। আমাদের নির্বাচনে যেসব আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। এ সময় নির্বাচন আইনের সংশোধনের সুযোগ নেই, সময়ও নেই।

    নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সংগ্রহে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি’ এর নতুন কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেল।

    কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, যে আইনে নির্বাচন করি, সেটা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রণীত আইন। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে।

    কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ও সবদলের প্রার্থী রয়েছে। এটা অত্যন্ত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যত ছোট নির্বাচন হয়, তত প্রার্থীদের পারস্পরিক সংঘাতের বিষয় থাকে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বলি। তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।