Category: নির্বাচন

  • রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

    রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

    রাউজান(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীগণ

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীকে সাথে নিয়ে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ। এরপর প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী ও দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন সংরক্ষিত এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

    মনোনয়ন পত্র জমাদানের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপত্র জমাদান কারীরা হলেন ১,২,৩ ওয়ার্ডে নাছিমা আক্তার, ৪,৫,৬ জেবুন্নেসা, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন ১ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আলমগীর আলী, ২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কাজী ইকবাল, ৪নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শওকত হাসান, ৫নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জানে আলম জনি, ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, বিকাশ দাশ গুপ্ত, ৭নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এড. দিলীপ চৌধুরী, ৯নং ওয়ার্ডে রাউজান পৌর আ.লীগের সি.সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন।

    রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ জানান, মেয়র পদে ১জন,কাউন্সিলর পদে ১০জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩জন ছাড়া আর কোনো প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দেননি।

    রিটানিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই ৪ ফেব্রুয়ারী, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারী, এই পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা হবে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা৫০ হাজার ৫ শত ৮৪জন। পুরুষ ভোটার ২৬ হাজার ৪৪৮ জন, নারী ভোটার ২৪ হাজার ১৩৬জন। সর্বশেষ রাউজান পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দফায় দফায় সংঘর্ষ ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত

    রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দফায় দফায় সংঘর্ষ ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পৌরসভার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি জানা গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয় হয়েছে বলে জানা গেছে।

    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষকারী উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জিতু দেয়ান ও পাঞ্জাবী প্রতীকের মামুনুর রশিদ আকন্দ সমর্থক।

    শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় রামগঞ্জ চাটখিল সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে উটপাখি প্রতিকের সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ১৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরে অবরোধ তুলে দেন।

    এসময় আহত হন, এস আই মুকবুল, এ এস আই আহসান উল্যাহ, তায়েফুর রহমান, খায়রুল বাশার, জোবায়ের ও বাহারসহ কমপক্ষে ১৫ জন।

    লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির জানান, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কত রাউন্ড ফাঁকা গুলি হয়েছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি তিনি।
    এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।

  • ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

    ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

    তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে।

    এই ধাপের সব পৌরসভায় কাগজের ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে।

    নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, পৌরসভায় বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য চাওয়া হয়েছে, সেখানে তা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সহিংসতার শঙ্কা নেই এটা আগেই বলা যাবে না। ঘোষণা দিয়ে সহিংসতা হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    ইসি সূত্রে জানা গেছে, ৬২টি পৌরসভায় গত বৃহস্পতিবার থেকে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। সহিংসতার শঙ্কায় নয়টি পৌরসভায় বাড়তি সদস্য দেয়া হয়েছে।

    এ ধাপের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। তাদের বড় অংশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী।

    এ ধাপে মোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন মেয়র, নয়জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর রয়েছেন।

    ইসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন মোট তিন হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩৬০ জন।

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কুমিল্লার লাকসাম ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    এখন পর্যন্ত পাঁচ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কমিশন। প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। আর তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় আজ ৩০ জানুয়ারি ভোট হচ্ছে।

    তৃতীয় ধাপে যেসব পৌরসভায় ভোট হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- দিনাজপুরের হাকিমপুর, নীলফামারীর জলঢাকা, কুড়িগ্রামের উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট, শিবগঞ্জ, গাবতলী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর এবং নওগাঁর ধামইরহাট ও নওগাঁ সদর।

    রাজশাহীর মুন্ডুমালা ও কেশরহাট, নাটোরের সিংড়া, পাবনা সদর, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ও কোটচাঁদপুর, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের সদর ও কালিয়া, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনা সদর ও পাথরঘাট, ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান, বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ এবং ঝালকাঠীর নলছিটি।

    পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী, টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখীপুর ও মধুপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মুন্সীগঞ্জ সদর, রাজবাড়ীর পাংশা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজার সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনীর হাতিয়া, নোয়াখালীর চৌমুহনী ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।

  • চট্টগ্রামের নতুন ‘নগরপিতা’ রেজাউল করিম

    চট্টগ্রামের নতুন ‘নগরপিতা’ রেজাউল করিম

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে এই বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

    ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে ২ টি কেন্দ্রের। ঘোষিত বেসরকারি ফল অনুসারে মোট ভোটের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪০টি। এর মধ্যে রেজাউল করিম পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির (ধানের শীষ প্রতীক) প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

    অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন পেয়েছেন ২ হাজার ১২৬ ভোট, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৮০ ভোট , চেয়ার প্রতীক নিয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে খোকন চৌধুরী পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম হলে ভোট গণনা শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

     

  • চসিকে কাউন্সিলর পদে যারা বিজয়ী হলেন

    চসিকে কাউন্সিলর পদে যারা বিজয়ী হলেন

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ভোটে কাউন্সিলর নতুনের জয়জয়কার হয়েছে। ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ১৯টিতে জয় নতুনদের।

    এদিকে এবারই প্রথম চসিকের কোনো ওয়ার্ডে জয় পাননি বিএনপির কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড এবং ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯ ওয়ার্ডে (১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ড ছাড়া) নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

    ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
    অপরদিকে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাধারণ এবং সংরক্ষিত মিলিয়ে ৫৩ ওয়ার্ডের ফলাফল নগরীর স্টেডিয়ামস্থ জিমনেশিয়াম চত্বর থেকে ঘোষণা করেন ।

    সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচিতদের তালিকা
    ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী: আওয়ামী লীগের গাজী মো. শফিউল আজিম (ঘুড়ি)
    ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড: বিদ্রোহী মো. সাহেদ ইকবাল বাবু (ঝুড়ি)
    ৩নং পাঁচলাইশ: বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম (মিষ্টি কুমড়া)
    ৪নং চান্দগাঁও: বিদ্রোহী প্রার্থী মো. এসরারুল হক (ঘুড়ি)
    ৫নং মোহরা: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন মামুন (ঘুড়ি)
    ৬নং পূর্ব ষোলশহর: আওয়ামী লীগের এম আশরাফুল আলম (ঘুড়ি)
    ৭নং পশ্চিম ষোলশহর: আওয়ামী লীগের মো. মোবারক আলী (টিফিন ক্যারিয়ার)
    ৮নং শুলকবহর: আওয়ামী লীগের মো. মোরশেদ আলম (লাটিম)
    ৯নং পাহাড়তলী: বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল আলম জসিম (মিষ্টি কুমড়া)
    ১০নং উত্তর কাট্টলী: আওয়ামী লীগের নিছার উদ্দিন আহমেদ (মিষ্টি কুমড়া)
    ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী: আওয়ামী লীগের মো. ইসমাইল (টিফিন ক্যারিয়ার)
    ১২নং সরাইপাড়া: আওয়ামী লীগের মো. নুরুল আমিন (রেডিও)
    ১৩নং পাহাড়তলী: আওয়ামী লীগের মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী (লাটিম)
    ১৪নং লালখান বাজার: আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত মো. বেলাল (ঘুড়ি)
    ১৫নং বাগমনিরাম: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (ঘুড়ি)
    ১৬নং চকবাজার: আওয়ামী লীগের সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু(ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট)
    ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া: আওয়ামী লীগের এ মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি)
    ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
    ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া: আওয়ামী লীগের মো. নুরুল আলম (মিষ্টি কুমড়া)
    ২০নং দেওয়ান বাজার: আওয়ামী লীগের চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী (ঠেলাগাড়ি)
    ২১নং জামালখান: আওয়ামী লীগের শৈবাল দাশ সুমন (ঠেলাগাড়ি)
    ২২নং এনায়েত বাজার: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বাচ্চু(ঘুড়ি)
    ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাবেদ (মিষ্টি কুমড়া)
    ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ: আওয়ামী লীগের নাজমুল হক ডিউক (ঠেলাগাড়ি)
    ২৫নং রামপুরা: আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুস সবুর লিটন(টিফিন ক্যারিয়ার)
    ২৬নং উত্তর হালিশহর: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হোসেন (ঠেলাগাড়ি)
    ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ: মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী(লাটিম)
    ২৮নং পাঠানটুলী: আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাহাদুর (রেডিও)
    ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ি: আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের (রেডিও)
    ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ি: আওয়ামী লীগের আতাউল্লাহ চৌধুরী(ঘুড়ি)
    ৩১নং আলকরণ: কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।
    ৩২নং আন্দরকিল্লা: আওয়ামী লীগ সমর্থিত জহর লাল হাজারী (মিষ্টি কুমড়া)
    ৩৩নং ফিরিঙ্গি বাজার: বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব (মিষ্টি কুমড়া)
    ৩৪নং পাথরঘাটা: আওয়ামী লীগের পুলক খাস্তগীর (ঠেলাগাড়ি)
    ৩৫নং বক্সিরহাট: আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল হক (ঘুড়ি)
    ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা: বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোর্শেদ আলী।
    ৩৭নং মুনিররগর: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবদুল মান্নান (ঠেলাগাড়ি)
    ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর: আওয়ামী লীগের গোলাম মো. চৌধুরী (ঠেলাগাড়ি)
    ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর: আওয়ামী লীগের জিয়াউল হক সুমন(লাটিম)
    ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা: আওয়ামী লীগের আবদুল বারেক(ঠেলাগাড়ি)
    ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা: আওয়ামী লীগের ছালেহ আহম্মেদ চৌধুরী (ঘুড়ি)।

    সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা হলেন-
    ১ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী ফেরদৌস বেগম মুন্নী (আনারস)।
    ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের জোবাইরা নার্গিস খান (মোবাইল ফোন)।
    ৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জেসমিন পারভীন জেসী (চশমা)।
    ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তছলিমা বেগম নুরজাহান (বই)।
    ৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনজুমান আরা বেগম (বই)।
    ৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহীন আকতার রোজী (আনারস)।
    ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের রুমকি সেনগুপ্ত (হেলিকপ্টর)।
    ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নীলু নাগ (মোবাইল ফোন)।
    ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জাহেদা বেগম পপি (স্টিল আলমারি)।
    ১০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের হুরে আরা বেগম (মোবাইল ফোন)।
    ১১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফেরদৌসি আকবর (বই)।
    ১২ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আফরোজা জহুর (আফরোজা কালাম) (গ্লাস)।
    ১৩ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী (গ্লাস)।
    ১৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহানুর বেগম (গ্লাস)।

  • বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মনির ভোট বর্জন

    বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মনির ভোট বর্জন

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) নির্বাচনে ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি নিজের ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি। প্রতিবাদে মনোয়ারা বেগম মনি নির্বাচন বর্জন করেছেন।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে লালখানবাজার মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মনোয়ারা বেগম মনি। এসময় তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

    মনোয়ারা বেগম মনি অভিযোগ করেন, আমি নিজের ভোটই দিতে পারিনি। আমার এজেন্টদের মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে।

    মনোয়ারা বেগম মনি তার মতো সব বিএনপির প্রার্থীকেও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, এখনই এ নির্বাচন স্থগিত করতে হবে।

  • বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালী আটক

    বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালী আটক

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের বিএনপি প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বালিকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

    নির্বাচনে সহিংসতা ঘটানোর অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

    এরপর থানার বাইরে ফটকের সামনে বালির সমর্থকরা ৩০ মিনিট ধরে অবস্থান নেন। পুলিশ তাদেরকে ফটক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর থানা ভবনের পাশে অবস্থান নিয়েছেন বালির এজেন্ট ও অনুসারীরা।

    এর আগে ১২টার দিকে পাথরঘাটা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় কেন্দ্রে থাকা ইভিএম মেশিন ভেঙে ফেলা হয়েছে; যার কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

  • চসিক নির্বাচন: সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে নিহত ২

    চসিক নির্বাচন: সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে নিহত ২

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোট শুরুর পর থেকে নগরীর বেশ কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ও খুলশীর দুই কেন্দ্রে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

    জানা গেছে, ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরে নগরীর পাহাড়তলীতে দুপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত নিজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের হোসেনের কর্মী বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ নিজাম উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    অপরদিকে নগরের খুলশী থানাধীন ইউসেপ আমবাগান কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আলাউদ্দিন আলো (২৮) নামের একজন নিহত হন।

    চমেক মেডিকেল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. জহির জানান, নগরীর খুলশী আমবাগান এলাকার ইউসেপ স্কুল কেন্দ্র থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে আলাউদ্দিন আলোর মৃত্যু হয়। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমাবাগন ইউসেপ স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পথচারী আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার বুকের নিচে গুলি লাগে।

    অন্যদিকে, নগরীর লালখান বাজার শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্যদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কাউন্সিলির প্রার্থী শাহ আলম। সেখানে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণে কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার বশির আহমদ। তিনি বলেন, বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রের ভেতরে কোনও বিশৃঙ্খলা নেই।

    ২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন। এবার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

    এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে।

    অন্যদিকে, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৩৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটে একজন মেয়র, ৪১ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। এবার মেয়র পদের জন্য সাতজনসহ মোট প্রার্থী ২৩২ জন। ভোটার সংখ্যা সর্বমোট ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন।

    এই ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    তবে এই ভোটকে কেন্দ্র করে শঙ্কাবোধে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ বলছে, সিটির মোট ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে কেন্দ্রের পরিবেশ ঠিক রাখতে মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এই ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার মধ্যরাত থেকে প্রার্থীরা তাদের টানা দুই সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করেছেন। ৪১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় নয় হাজার পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন র‍্যাব, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আছেন ২০ জন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

    চট্টগ্রাম সিটির এই ভোটে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ৭৩৫টি কেন্দ্রে নির্বাচনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসহ চারটি ভেন্যু থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করে ইসি। এ নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’

    বুধবার সকাল ৯টায় বহদ্দারহাট এখলাসুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বাকলিয়া বিএড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট দেবেন।

    এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বহিরাগতদের শহরে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর। এ ছাড়া ভোটারদের এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    পুলিশ কমিশনার বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি ভোটকেন্দ্রকে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সব কেন্দ্রে সমানভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে। পাশাপাশি ২৪ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন র‍্যাব, আনসারসহ ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    মেয়রপদে যারা অংশ নিয়েছেন

    আওয়ামী লীগ মনোনীত এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মাওলানা এমএ মতিন (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।

    নির্বাচনে ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫৭ জন। সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩৯ ওয়ার্ডে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হবে। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসেন মুরাদ ইন্তেকাল করলে সেখানে আবদুল মান্নানকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ৩৯ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৬৮ প্রার্থী।

    উল্লেখ্য, পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষের আগে গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে দলীয় মনোনয়ন পর্যন্ত সবই সম্পন্ন হয়। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মাত্র কয়েক দিন আগে স্থগিত করা হয় নির্বাচন।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ চার হাজার ৮৮৬টি। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ১৬ হাজার ১৬৩ জন কর্মকর্তা। সবাইকে ইভিএম বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এর মধ্যে রয়েছেন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ৯০২ জন এবং পোলিং কর্মকর্তা ১০ হাজার ২৬৮ জন।

    চসিক নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোটের জন্য প্রস্তুত ১১ হাজার ৫৭২ ইভিএম। চার হাজার ৮৮৯টি বুথের জন্য একটি করে ইভিএম। এ ছাড়া দুটি কক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম অতিরিক্ত আছে। আর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যাকআপও রাখা হয়েছে।

    সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইভিএমের কন্ট্রোল প্যানেলের মাধ্যমে ভোটারকে ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন। ভোটার নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করা হবে। তারপর আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করার পর ভোটারের ছবিসহ পরিচয় পর্দায় ভেসে উঠবে। এরপর গোপন কক্ষে একজন ভোটার মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ তিনটি পদে ভোট প্রদান করতে পারবেন। ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের ডান পাশে সাদা বোতামে চাপ দিয়ে ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পরে সবুজ বোতাম চেপে ভোট নিশ্চিত করবেন।

    ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম থেকে।

  • রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ১০ মাস পর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।

    সে অনুযায়ী আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ডা. ডা. শাহাদাত হোসেন। এরবাইরে অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

    নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই। এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। তাই বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    চট্টগ্রাম সিটিতে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩। নারী ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। এবার ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষে এই ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।

    ভোট গ্রহণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৩৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১৪৭০ জন, পোলিং ও কর্মকর্তা ২৯৪০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৪টায় নির্বাচন শেষ হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করতে পারবেন নগরবাসী।’

  • ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ ২৮ ফেব্রুয়ারি

    ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ ২৮ ফেব্রুয়ারি

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের (আলকরণ) সাধারণ কাউন্সিলর পদে স্থগিত হওয়া ভোটগ্রহণের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ১০ (১) অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি বাতিলকৃত সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং আপিল কর্তৃপক্ষ বহাল থাকবে। এছাড়া ইতোপূর্বে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়ে থাকলে নতুন করে তাকে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে না।

    নতুন তফসিল অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি।

    গত ১৮ জানুয়ারি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সাত মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম।

    তার মৃত্যুর পর ওই ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

  • নির্বাচন কমিশনের নতুন সচিব হুমায়ুন কবীর

    নির্বাচন কমিশনের নতুন সচিব হুমায়ুন কবীর

    রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। একই প্রজ্ঞাপনে হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে অতিরিক্ত সচিবের পদ থেকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যাবেন।

    আরেক প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মো হুমায়ুন কবীরকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।