Category: স্বাস্থ্য

  • লিফটের নিচে মিললো চিকিৎসকের মরদেহ

    লিফটের নিচে মিললো চিকিৎসকের মরদেহ

    বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এ কে আজাদ সজলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে ডা. আজাদ নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে শহরের কালীবাড়ী সড়কে মমতা ক্লিনিকের লিফটের নিচে ফাঁকা জায়গায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। কেন, কীভাবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন সেটা আমরা জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে, তারা বিষয়টা দেখছে।’

    ঘটনাস্থল উপস্থিত বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক ওই মমতা হাসপাতালের সপ্তম তলার একটি ইউনিটে একা থাকতেন। বুধবার ইফতারের পর চিকিৎসকের সঙ্গে স্বজনদের শেষ যোগাযোগ হয়েছে। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিল। পরিবার এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে পুলিশকে জানিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনের লিফটের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। মৃত্যুর কারণ এখন পর্যন্ত পুলিশ উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • দেশে ৬৬০ ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত

    দেশে ৬৬০ ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সংক্রমণের শিকার রোগীদের চিকিৎসায় ও সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তার এবং নার্সরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৬৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

    সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত ২৯৫ ডাক্তার, ১১৬ নার্স ও ২৪৯ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

    কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত একজন ডাক্তারও মারা গেছেন।

    চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক।

    তিনি বলেন, করোনাযুদ্ধের সম্মুখ সারির যোদ্ধারা আশঙ্কাজনকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬০, যা দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় শতকরা ১১ জন। চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবাদানকারী ব্যক্তিরা এই হারে আক্রান্ত হতে থাকলে সামনে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

    চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসা সরঞ্জামে অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিক মানের পিপিই, এন-৯৫ বা এর সমমানের মাস্ক সরবরাহ করার দাবি জানাচ্ছি।

    ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে করোনাভাইরাসে ৫ হাজার ৯১৩ জন আক্রান্তের পাশাপাশি মারা গেছেন ১৫২ জন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজন চিকিৎসকও মারা গেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • র‌্যাব-পুলিশ ও চিকিৎসকসহ চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১১ জন, লক্ষীপুরে ১

    র‌্যাব-পুলিশ ও চিকিৎসকসহ চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১১ জন, লক্ষীপুরে ১

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ১২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে র‌্যাব, চিকিৎসক ও হাসপাতালের মহিলা কর্মীসহ ৬ জন, চট্টগ্রামের চার উপজেলায় ৫ জন এবং ভিন্ন জেলা লক্ষ্মীপুর সদরে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১২ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

    এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৬৪ জন। এছাড়া বাহির থেকে আগত রোগী রয়েছে ২ জন।

    চট্টগ্রাম শহরের করোনা শনাক্ত ৬ জনের মধ্যে পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর উপপরিদর্শক (৪৫), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের একজন মহিলা কর্মী (৬৫), দামপাড়ায় পুলিশ সদস্য (৩৮), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক (৪৪), দক্ষিণ হালিশহরে এক পুরুষ (৪৮) ও পাহাড়তলীতে একজন পুরুষ (৭০) রয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ায় ২ জন। একজনের বয়স ১৯ ও অন্যজনের ৫২ বছর। দুজনের দ্বিতীয় দফার নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা পজিটিভ আসে।তাছাড়া মিরসরাই উপজেলায় ২৩ বছর বয়সী এক যুবক, হাটহাজারী বিএমএ লিংক রোড এলাকার এক পুরুষ (৬৯) ও বোয়ালখালীতে ৪৮ বছর বয়সী ১ পুরুষের শরীরে করোনার অস্থিস্থ মিলেছে।

    চট্টগ্রামে শনাক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা মোকাবেলায় ৮ হাজার ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

    করোনা মোকাবেলায় ৮ হাজার ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

    করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য নতুন করে আরও দুই হাজার ডাক্তার ও ছয় নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই চিকিৎসক ও নার্সদের করোনা চিকিৎসার জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) বগুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে বগুড়ার সঙ্গে কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবার দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। আমরা প্রত্যেক জেলাতেই কিন্তু যেট ভালো হাসপাতাল, সেখানে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করবো। এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সব জেলাতেই এটা করে দেব।

    তিনি বলেন, করোনার চিকিৎসা করতে আমরা প্রায় ২ হাজার ডাক্তার নতুন নিয়োগ দেব। ইতোমধ্যে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে যারা রয়ে গেছেন (উত্তীর্ণ কিন্তু সুপারিশপ্রাপ্ত নয়) তাদের থেকে আমরা নিচ্ছি। ৬ হাজার নার্সও আমরা নিয়োগ দেব। প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমি নিজেই মিটিং করে এটা সব ঠিকঠাক করে দিয়েছি। তাদের করোনার বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিদেশ থেকে লোক এনেও আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাবো। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা চিকিৎসা সেবা দেবে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলাতে এটা করা হবে। যাতে কোনো জায়গায় মানুষের চিকিৎসার অসুবিধা না হয়।

    এ সময় ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটি করতে পুনর্নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কমিটি করে এমন লোকজনের তালিকা করতে হবে যারা কিছুই পাচ্ছে না। সেটি জেলা প্রশাসকের হাতে দিলে তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দামপাড়ায় ১, সাতকানিয়ায় ৬ ও রামগতিতে ৩ জনের করোনা শনাক্ত

    দামপাড়ায় ১, সাতকানিয়ায় ৬ ও রামগতিতে ৩ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ::: বিগত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে ১০১টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে এক পুলিশ সদস্য ও সাতকানিয়ায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    রবিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৫৩ জন।

    দামপাড়ায় শনাক্ত ট্রাফিক সদস্য (৪৯ বছর) আগে শনাক্ত হওয়া ট্রাফিক সদস্যদের সংষ্পর্শে এসেছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    অন্যদিকে সাতকানিয়ায় আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে ৩ জন নারী ও দুই জন কিশোরও রয়েছে। তাদের সকলেই মাদার্শা ইউনিয়নের রূপনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোর, ৭৫ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা, ৫৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং ৪৫ ও ৩২ বছর বয়সী দুই নারী রয়েছেন।

    এ ছাড়া চট্টগ্রামে শনাক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি ঔষধ প্রশাসন : ডা. জাফরুল্লাহ

    গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি ঔষধ প্রশাসন : ডা. জাফরুল্লাহ

    করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কিট উদ্ভাবন করেছে, সেটা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গ্রহণ করেনি উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি-না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।

    রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন।

    এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে একই জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। পরদিনই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি।

    তিনি বলেন,‘কর্তৃপক্ষ জমা নেবেন না। আমরা গিয়েছিলাম, তারা জমা নেননি। বললেন যে সিআরও নিয়ে আসেন। তারপরে বললেন, এটা আপনারা ভেরিফিকেশন করে আনেন সিআরও থেকে। সিআরও হলো চুক্তিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ওখানে পয়সা দিতে হবে। কত খরচ লাগবে, তা উনারা (সিআরও) বাজেট দেবেন।’

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, কিভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়। গত ৪৮ বছরে গণস্বাস্থ্য কাউকে ঘুষ দেয়নি, দেবে না। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট (ব্যবহারযোগ্য হয়ে) আসুক আর না আসুক, কাউকে ঘুষ দেব না। কিন্তু লড়াই করে যাব।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান বলেন, প্রথমে আমাদের বললো- অনুমোদন নেই দেখে আমরা আসতে পারব না। আমরা তো আপনাদের হাতে দিতে চাই, যাতে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আমাদের শনিবার বলা হলো- তারা আসবেন না। ঠিক আছে, আজকে আমরা গেলাম। আজকে গণস্বাস্থ্যের ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন গেলেন। তারপরও দেখেন, কেমন আমলাতান্ত্রিকতা। দুজনকে ঢুকতে দেবে, আরেকজনকে দেবে না। অথচ বাইরের তিনজন লোককে ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। তাদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট লোকদের ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। ফিরোজ, তিনি হেড অব এ ডিপার্টমেন্ট অব নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পদমর্যাদায় ওই ডিজি সাহেবের সমতুল্য তিনি। এ জাতীয় লোককে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শনিবার আমরা এখানে কিট হস্তান্তরের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, এটার অনুমোদনের জন্য। এটা অনুমোদন করার দায়িত্ব হলো ওষুধ প্রশাসনের। দুর্ভাগ্যবশত, ওষুধ প্রশাসন এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তারা না ফার্মাসিস্ট, না ফার্মাকোলজিস্ট। তার ফলে এই জিনিসগুলোর গুরুত্ব সেভাবে তারা উপলব্ধি করতেই সক্ষম হচ্ছেন না। তারা সম্পূর্ণ ব্যবসায়ী স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান এলো বাংলাদেশে

    করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান এলো বাংলাদেশে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের জন্য চিকিৎসা সহায়তার দ্বিতীয় চালান এসে পৌছেছে বাংলাদেশে।

    বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি আজ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন।

    বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় ওষুধগুলো ভারত থেকে আনার পর চিকিৎসা সামগ্রী গুলো বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে প্রেরণ করা হয়।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়। এতে বলা হয় সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর আগে এই সময়োপযোগী সাহায্যের জন্য হাই কমিশন বিমান সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

    এদিকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    এসময় তিনি বলেন, সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই। হাই কমিশনার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়।

    সার্ক অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ২৬ মার্চ ও ৮ এপ্রিল সার্ক দেশসমূহের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য পৃথক ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সার্কভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেরা অনুশীলন গুলি বিনিময়ের জন্য এবং পারস্পরিকভাবে উপকৃত হওয়ার জন্য অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

    এছাড়াও, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ পরিচালনা কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি, সেরা অনুশীলনের বিনিময় এবং এ সম্পর্কিত দিকগুলি নিয়ে সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়েবিনার আকারে ই-আইটিইসি প্রশিক্ষণ মডিউল ডিজাইন করেছেন।

    ১৭-২১ এপ্রিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস, রায়পুর এই অনলাইন কোর্সটি পরিচালনা করে যেখানে বাংলাদেশের ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন। ভারত সরকারের আইটিইসি উদ্যোগের আওতায় ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত ভারতের চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ কর্তৃক দ্বিতীয় অনলাইন কোর্সের আয়োজন করা হচ্ছে।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।

    বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন

    দিন দিন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। নগরবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন ও চিকিৎসকরা। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম নগরীতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এই হাসপাতালে নতুন করে করোনা ইউনিটে আইসোলেশন সহ আরও দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন করা হয়েছে। এখন থেকে করোনা উপসর্গে নিয়ে বা এ সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা পাওয়া যাবে।

    পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, নগরীর কোন মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, এবং করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত সন্দেহভাজক সকলেই যেন ভাইরাস নিশ্চিত হলে জেনারেল হাসপাতালের এই ইউনিট থেকে সর্বাঙ্গীণ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মতো মৌলিক অধিকারটি নিশ্চিত করতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট। আমাদের মনে রাখতে হবে এটি শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমস্যা নয়। এটি একটি সর্বজনীন সমস্যা। এখানে সকল মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। সরকার ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন দল মত নির্বিশেষে সরকারকে সহযোগিতা করা।

    মেয়র বলেন, মানুষই হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষ না থাকলে সকল উপাদানই অর্থহীন। মানবসম্পদ বিহীন কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না। তাই এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোটাই মুখ্য। আসুন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, নিজে বাঁচি, প্রতিবেশিকে বাঁচাই এবং দেশের জনমানবকে বাঁচাই।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার নাথ,বিএমএ চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র মেডিকেল কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রউফ, কনসালটেন্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, ডা. আবুল হোসেন, ডা. সমীর কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • এক দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪১৮,মৃত্যু ৫

    এক দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪১৮,মৃত্যু ৫

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) এক দিনে দেশে আরও ৫ জনের মুত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪৫ জন।

    এছাড়া নতুন করে আরও ৪১৮ জন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৪১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪৭৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৮০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়ছে। নতুন সুস্থ্য হয়েছ ৯, মোট সুস্থ্য ১২২ জন।

    মৃত্যুবরণ করা ৫ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২ লাখ ছাড়িয়েছে করোনায় মৃত্যু

    ২ লাখ ছাড়িয়েছে করোনায় মৃত্যু

    প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। এইরমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২৪ জনে।

    গত ১১ জানুয়ারিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল। এর প্রায় তিন মাস পর গত ১১ এপ্রিল বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। এর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আরও ১ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন।

    অন্যদিকে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৬১ জন।

    মহামারি এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইউরোপ ও আমেরিকার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯ লাখের বেশি। সেখানে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২ হাজার ৯৪৮ জন।

    এরপর করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ইউরোপের। ইতালিতে ২৬ হাজার ৩৮৪, স্পেনে ২২ হাজার ৯০২, ফ্রান্সে ২২ হাজার ২৪৫, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ৩১৯, বেলজিয়ামে ৬ হাজার ৯১৭, জার্মানিতে ৫ হাজার ৮০৫ ও নেদার‍ল্যান্ডসে মারা গেছে ৪ হাজার ৪০৯ জন।

    চীন থেকে এ প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৬৩২। তবে এশিয়ায় ৫ হাজার ৬৫০ মৃত্যু নিয়ে চীনের উপরে রয়েছে ইরান। তুরস্কে মারা গেছে ২ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ।

    এদিকে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন ও ইরানের উপরে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার প্রায়।

    এদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, জাপান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।

    গতবছর ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই বিশ্বের ১৮৫টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহামারি কোভিড-১৯।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগের দুই করোনাভাইরাস সার্স ও মার্সের তুলনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

    ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাসে মারা যান ৭৭৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন।

    অন্যদিকে, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরেক করোনাভাইরাস মার্সে (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৪, মারা গেছেন ৮৫৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এমআর

  • ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪১৪,মৃত্যু ৭

    ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪১৪,মৃত্যু ৭

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জনের মুত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২৭ জন।

    এছাড়া নতুন করে আরও ৪১৪ জন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪১৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪১৬টি । গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯২১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়ছে। নতুন সুস্থ্য হয়েছ ১৬, মোট সুস্থ্য ১০৮ জন।

    মৃত্যুবরণ করা ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা। মৃত্যুবরণ করা সাত জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশের প্রথম ভাসমান কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা চালু

    দেশের প্রথম ভাসমান কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা চালু

    ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের বিলাস বহুল ডাবল ডেকার লঞ্চে করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় দেশের প্রথম ভাসমান কোয়ারেন্টিন ইউনিট চালু করা হয়েছে।

    এ ইউনিট চালু করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে নদী পথে পালিয়ে আসা মানুষদের এই ভাসমান কোয়ারেন্টিন ইউনিটে রাখা হয়েছে।

    বিলাস বহুল ডাবল ডেকার লঞ্চে চারটি ভিআইপি কেবিনসহ রয়েছে একশ ১২টি কেবিন। আরো রয়েছে আলাদা বাথরুম, ডাইনিং ও ক্যান্টিনের সুবিধা।

    গত ২৪শে মার্চ থেকে এরকম সুবিধা সম্পন্ন চারটি লঞ্চ নোঙ্গর করা রয়েছে পটুয়াখালী নদী বন্দরে।

    করোনার ভয়াবহতা মোকাবেলায় ১৪ই এপ্রিল এ আর খান লঞ্চকে দেশের প্রথম ভাসমান কোয়ারেন্টিন ঘোষনা করে প্রশাসন। এখানে সার্বক্ষনিক একজন ম্যাজিষ্ট্রেট, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভস।

    তবে লঞ্চের কর্মচারীদের ভূমিকা কি হবে তা মালিক বা প্রশাসন কোন পক্ষই নিশ্চিত না করায় তারা রয়েছেন শংকার মধ্যে।

    পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান, প্রাথমিক ভাবে একটি লঞ্চকে কোয়ারেন্টিন ঘোষনা করা হলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আরো লঞ্চ কোয়ারেন্টিনের জন্য ব্যবহার করা হবে।

    পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এক সাথে যাতে বেশী লোককে সুবিধা দেয়া যায় সে বিবেচনা থেকেই ভাসমান কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।

    পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, নদী পথে অনেক মানুষ পটুয়াখালীতে আসায় ভাসমান কোয়ারেন্টিনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর