চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার নাথের নিকট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন একটি ডিস ইনফেকশন স্প্রে অটো চেম্বার হস্তান্তর করেছেন।
আজ সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই পড়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় জীবাণুমুক্ত করণের লক্ষ্যে এই চেম্বার হস্তান্তর করা হয়।
চসিকের আর্থিক সহায়তায় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর কারিগরি সহযোগিতায় চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের এর তত্ত্বাবধানে এই অটো স্প্রে চেম্বার তৈরী করা হয়।
এই চেম্বারটি বিদ্যুৎ চালিত। একটি সেন্সরের মাধ্যমে এটি কাজ করবে। চেম্বারে প্রবেশের ৪ সেকেন্ডের মধ্যই ক্লোরিন মিশ্রিত দ্রবণের স্প্রে কাজ সম্পন্ন হবে। স্প্রে কাজ সম্পন্ন করে পিপিই পরিহিত ব্যক্তি জীবানুমুক্ত হয়ে প্রবেশ ও বাহির হবেন।
এই চেম্বার হস্তান্তর কালে মেয়র বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষায় এই ধরনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই মহামারী চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে, বিশেষ করে সংক্রমিত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় এই সেনিটাইজিং পদ্ধত্বি অত্যন্ত কার্য্যকর।
পর্যায়ক্রমে এই স্প্রে অটো চেম্বার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চসিক জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি বা বক্ষ ব্যধি হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল সহ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তাদের চাহিদানুযাযী প্রদান করা হবে।
চেম্বার হস্তান্তরকালে মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, চুয়েটের আবু আদনান, মো. রকিব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
নিজেদের তাগিদে ত্রাণ প্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্তির আহবান সিটি মেয়রের
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারি ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনায় কোন রকম অনিয়ম বা দূর্ণীতি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিÍ অপেক্ষা করছে। এই কাজে নিয়োজিতদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ত্রাণ প্রাপ্তিতে অসন্তোষ নিয়ে কেউ কেউ আমাদের কাছে যোগাযোগ করে বলেছেন তারা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারছেন না। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চূড়ান্ত নির্দেশনা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ত্রাণ উপহার বন্টনের ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এখনও পর্যন্ত যারা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন নি অবশ্যই স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কোন ধরনের ঘাটতি নেই। যারাই ত্রাণ পাওয়ার অগ্রাধিকারে আছেন তারা যদি নিজ দায়িত্বে তালিকাভুক্ত না হোন তাহলে এই দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের উপর বর্তাবে না।
মেয়র বলেন, গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছানো স্থানীয় জনপ্রনিধির দায়িত্ব। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ত্রাণ বিতরণে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন না। তাদের এহেন কর্মের জন্য আামরা প্রশ্নবিদ্ধ হবো। এই ত্রাণ বন্টনের তালিকায় অগ্রাধিকার পাবে দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশা চালক, ভ্যানগাড়ী ওয়ালা, চা দোকানদার, অটো রিকশা চালক, দোকানের কর্মচারী, ভবঘুরে, ভিক্ষুক সহ অসমর্থ ব্যক্তিগণ।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মহা সংকটকাল অতিক্রম করছি আমরা। এই দূর্যোগকালীন সময়ে আমারা কোনভাবেই যেন সংকীর্ণতা পোষণ না করি। মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে ধর্ম-বর্ণ,দল-মত নির্বিশেষে সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রায় ৭০ লক্ষাধিক নগরবাসীর মধ্যে এনজিওদের পরিসংখ্যাণে প্রায় ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ হতদরিদ্রের আওতায় পড়ে, কিন্তু আমাদের পরিসংখ্যানে প্রায় ২০ লাখের মত মানুষ। তবে এতদ পরিসংখ্যানগত অসাম্যঞ্জসতা থাকার পরও ইতোমধ্যে সরকারি, চসিক পরিবার ও ব্যক্তি সহায়তায় প্রায় ৪ লক্ষ পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে যারা বাকি রয়েছেন তারা অবশ্যই ত্রাণ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না,এটা আমাদের অঙ্গীকার। দূর্যোগ কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত এই ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আমি নগরবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলবো- যারা এই পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হননি, অনুগ্রহ করে আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন।
মেয়র বলেন, যদি কোন কাউন্সিলর তালিকাভুক্তিতে অনিহা প্রকাশ করেন তাহলে সরাসরি আমাকে বা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করুন। অন্তর্ভূক্তির পর ত্রাণ সহায়তা পেতে কোন ব্যত্ব্যয় ঘটলে তার দায়িত্ব আমি নিজেই নেব।
মেয়র নগরবাসীকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত নিয়ম মেনে চলার আহবান জানান।
দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকা’র সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুকের ছোট ভাই
সৈয়দ আহসান হাবীবের মৃত্যুতে সিটি মেয়রের শোক
দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার’র সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুকের ছোট ভাই সৈয়দ আহসান হাবীব এর মৃত্যুতে গভির শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। আজ এক শোক বার্তায় সিটি মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।