Category: স্বাস্থ্য

  • দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই, সুস্থ আরও ৪

    দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই, সুস্থ আরও ৪

    বাংলাদেশে নতুন করে নভেল করোনাভাইরাসের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও চারজন।

    শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারও মৃত্যু বা আক্রান্তের তথ্য না আসায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ এবং মৃতের সংখ্যা আগের মতই পাঁচজন আছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।

    ফ্লোরা বলেন, নতুন করে কারো শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়নি। সুতরাং গতকাল পর্যন্ত যে ৪৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা বলা হয়েছিল সংখ্যাটা তাই আছে। এছাড়া আক্রান্তের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথমে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাইরাসটি।

    উহান থেকে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইতোমধ্যে ১৯৮টির মতো দেশ ও অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাইরাসটি। এসব দেশ ও অঞ্চলে ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় ছয় লাখ।

    গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় আইইডিসিআর। এরপর আরও ৪৮ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা যায়।

    গত ২৪ ঘণ্টার দেশে নতুন করে আর কারো শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি বলে তথ্য জানানো হয় আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে।

    সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এখন পর্যন্ত যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন।

    ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রামেও করোনা পরীক্ষা করা যাবে বলে জানান ফ্লোরা।

  • ৭ দিনে নির্মিত হচ্ছে করোনা হাসপাতাল, মিলবে ফ্রি চিকিৎসা

    ৭ দিনে নির্মিত হচ্ছে করোনা হাসপাতাল, মিলবে ফ্রি চিকিৎসা

    প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চীনের উহান শহরে জরুরী ভিত্তিতে নির্মিত লেইশেনশান হাসপাতালের মতো বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। তবে এটি সরকারী নয়, ব্যক্তি উদ্যোগে করা হচ্ছে।

    রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অস্থায়ী এ হাসপাতালটি তৈরি করছে দেশের অন্যতম শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ বশির উদ্দিন। তিনি নিজ উদ্যোগে তেজগাঁওয়ে দুই বিঘা জমিতে উহানের লেইশেনশান হাসপাতালের মতো করে করোনা চিকিৎসার জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করছেন।

    জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটির নির্মাণ শেষ হবে। সেই সঙ্গে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম বসানো হবে। এরপর বিনামূল্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। বশির উদ্দিনকে এ কাজে সহায়তা দিচ্ছেন দুজন স্বনামধন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক।

    শুক্রবার (২৭ মার্চ) এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ বশির উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতাল নির্মাণে কাজ করছি। খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। দেশের এ ক্রান্তিকালে কথা বলার চেয়ে কাজ করা বেশি উত্তম। তাই আগে কাজটা শেষ করতে চাই। সবার সহযোগিতা চাই।’

  • ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত,মোট ৪৮

    ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত,মোট ৪৮

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আক্রান্ত চারজনের মধ্যে দুজন চিকিৎসকও রয়েছেন।

    করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে শুক্রবার (২৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টায় অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। কাজেই তাদের নিয়ে আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে।

    তিনি বলেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণের দ্বিতীয় দিন চলছে। জনগণের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতেই এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আপনারা ঘরের বাইরে যাবেন না, ভেতরেই থাকবেন। আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রোগের বিস্তারকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করে প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

    এই অধ্যাপক বলেন, রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষার বিষয়টি প্রসারিত করার কথা জানিয়েছে। এরমধ্যে সেই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার সেব্রিনা বলেন, এতদিন যারা বিদেশ থেকে এসেছিলেন কিংবা তাদের সংসর্গে থাকা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে রোগীর সংস্পর্শে ছিল, তাদের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে কেবল তাদের নমুনাই পরীক্ষা করছিল আইইডিসিআর। এখন যারা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, তাদের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

    ডা. ফ্লোরা বলেন, নমুনা সংগ্রহের দিক থেকে আপনাদের যে অনুরোধ আছে, তা একটি কিউ তৈরি করেছে। আপনাদের দিক থেকে আগের তুলনায় প্রসারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী আমরা নমুনা সংগ্রহ করছি।

    নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা পদ্ধতিতে বেশ সময় লাগছিল বলে স্বীকার করে নেন আইইডিসিআর পরিচালক।

    তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেছি…. অনেককে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমরা নমুনা সংগ্রহ প্রসারিত করেছি। আমাদের টিম গিয়ে হাসপাতাল থেকে নমুনা নিয়ে আসত। এখন হাসপাতালের নমুনাগুলো হাসপাতালই আমাদের সংগ্রহ করে পাঠাবে।

    তিনি বলেন, আইইডিসিআরে বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেখানে পরীক্ষাগুলো হবে, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি, আপনাদের যত শিগগির সম্ভব সেবাটি পৌঁছে দেওয়া যায়। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এই সেবাটি পৌঁছে দেয়া যায় এবং যত দ্রুত সম্ভব এ পরীক্ষার রিপোর্ট আপনাদের কাছে পাঠানো যায়।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে নানা তথ্য জানাতে প্রত্যেকটি জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হটলাইন সার্ভিস চালু করছে বলেও জানান তিনি।

    একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ও আইইডিসিআরে যে হটলাইন নম্বর ছিল, সেখানেও লাইনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

    জ্বর বা কাশি হলেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত ভেবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, ভেবে বিচলিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। আপনার দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর ছাড়াও স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নাম্বারটি আছে, সে নম্বরে আপনারা যোগাযোগ করুন। সেখানে অন্যান্য পরামর্শের পাশাপাশি এটি কভিড-১৯ কিনা সে বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হবে।

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশে নতুন পাঁচজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা। জানা গেছে, ওই পাঁচজনের একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বিষয়টি এড়িয়ে যান।

    গতকালই প্রথম আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। অর্থাৎ এর আগে শুধু বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা আক্রান্ত হলেও এখন সমাজে ছোট পরিসরে রোগটি ছড়িয়েছে।

    দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪। এর মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর।

  • চীন থেকে আসল ১০ হাজার টেস্ট কিট

    চীন থেকে আসল ১০ হাজার টেস্ট কিট

    চীন থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারন করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও থার্মোমিটার এসেছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই সরঞ্জামাদি এসে পৌঁছায়।

    ঢাকার চীন দূতাবাস এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দূতাবাস জানায়, চীনের কুনমিং শহর থেকে বিশেষ ফ্লাইটে কিট ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম এসেছে।

    চীন বাংলাদেশকে ১০ হাজার লোকের করোনাভাইরাস পরীক্ষা সরঞ্জাম (টেস্ট কিট), ১৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ১০ হাজার ‘মেডিক্যাল প্রসেসিং ক্লোদিং’ এবং এক হাজার ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার’ দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ সেদেশ থেকে দ্বিতীয় ধাপে এসেছে এসব সরঞ্জাম।

    করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ‘টেস্ট কিট’ না থাকায় সম্প্রতি সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ চীনের কাছে টেস্ট কিটসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা চায়।

    চীন এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়। দেশটি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইতালিসহ অন্যান্য দেশকেও সহায়তা করছে।

  • নতুন ৫ জনসহ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

    নতুন ৫ জনসহ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

    দেশে করোনায় নতুন করে আরও পাঁচজন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

    এর আগে বুধবার সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন, সুস্থ হয়েছেন ৭ জন এবং চিকিৎসাধীন ২৭ জন।

    অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে এ ভাইরাস যাদের শরীরে শনাক্ত হয়েছে তাদের ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ভাইরাসটি মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫ জনের শরীরে।

    বর্তমানে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। চিকিৎসাধীন এসব মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ১৪ হাজার ৭৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৭ জন। দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন এবং নতুন মৃতের সংখ্যা ছয়।

    ভাইরাসটিতে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০৩ জন। এদের মধ্যে ৬৮৩ জন মারা গেছেন গেল ২৪ ঘণ্টায়। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।

  • সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, বিকেলে ব্রিফিং করবে আইইডিসিআর

    সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, বিকেলে ব্রিফিং করবে আইইডিসিআর

    আজ স্বাধীনতা দিবসের দিন (২৬ মার্চ) করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করবে না জানানোর এক ঘণ্টা না যেতেই সিদ্ধান্ত পাল্টেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার পর আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানিয়েছিলেন, সংস্থাটি আজ নিয়মিত ব্রিফিং করবে না। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকেই তিনি আবার জানান, আজ ব্রিফিং হচ্ছে এবং তা হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়।

    এর আগে গেল রোববারও (২২ মার্চ) সংস্থাটি জানায়, তারা ওইদিন ব্রিফিং করবে না। তবে ওইদিনও কিছুক্ষণ পরই সিদ্ধান্ত পাল্টায় তারা। পরবর্তীতে ব্রিফিংও করে।

    প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্রিফিং করে আসছে আইইডিসিআর। ব্রিফিংয়ে এ ভাইরাসে বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেয় সরকারি এ সংস্থাটি। এছাড়া এ ভাইরাস নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে কীভাবে মুক্ত থাকা যায় সে বিষয়েও দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছে তারা।

    বুধবার সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন, সুস্থ হয়েছেন ৭ জন এবং চিকিৎসাধীন ২৭ জন।

    অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে এ ভাইরাস যাদের শরীরে শনাক্ত হয়েছে তাদের ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ভাইরাসটি মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫ জনের শরীরে।
    বর্তমানে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। চিকিৎসাধীন এসব মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ১৪ হাজার ৭৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৭ জন। দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন এবং নতুন মৃতের সংখ্যা ছয়।

    ভাইরাসটিতে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০৩ জন। এদের মধ্যে ৬৮৩ জন মারা গেছেন গেল ২৪ ঘণ্টায়। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।

  • আইইডিসিআর আজ ব্রিফিং করবে না

    আইইডিসিআর আজ ব্রিফিং করবে না

    স্বাধীনতা দিবসের দিন (২৬ মার্চ) করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করবে না সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

    করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্রিফিং করে আসছে আইইডিসিআর। ব্রিফিংয়ে এ ভাইরাসে বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেয় সরকারি এ সংস্থাটি। এছাড়া এ ভাইরাস নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে কীভাবে মুক্ত থাকা যায় সে বিষয়েও দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছে তারা।

    তবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন ব্রিফিংয়ে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

    এদিকে বুধবার সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন, সুস্থ হয়েছেন ৭ জন এবং চিকিৎসাধীন ২৭ জন।

    অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে এ ভাইরাস যাদের শরীরে শনাক্ত হয়েছে তাদের ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ভাইরাসটি মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫ জনের শরীরে।

    বর্তমানে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। চিকিৎসাধীন এসব মানুষের মধ্যে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ১৪ হাজার ৭৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৭ জন। দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন এবং নতুন মৃতের সংখ্যা ছয়।

    ভাইরাসটিতে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০৩ জন। এদের মধ্যে ৬৮৩ জন মারা গেছেন গেল ২৪ ঘণ্টায়। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।

  • দেশে করোনায় আরেকজনের মৃত্যু, আক্রান্ত বেড়ে ৩৩

    দেশে করোনায় আরেকজনের মৃত্যু, আক্রান্ত বেড়ে ৩৩

    দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ জনে। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। সব মিলিয়ে পরীক্ষার পর ৩৩ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পেয়েছে আইইডিসিআর।

    সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেলে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৬ জনের। সর্বমোট ৬২০ জনের। করোনা নিশ্চিত এবং সন্দেহজনকভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৫১ জনকে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরো ৪৬ জন।

    এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৪ জনে। মৃত্যু ঘটেছে ১৪ হাজার ৭৭৩ জনের। সেরে উঠে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯৯ হাজার ৬৬ জন।

    এ মুহূর্তে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৫৯৭ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। বাকি ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৮ জনের অবস্থা মাঝারি মাপের।

  • এবার চিকিৎসক করেনায় আক্রান্ত

    এবার চিকিৎসক করেনায় আক্রান্ত

    ডেল্টা মেডিকেল কলেজে এন্ড হসপিটালের একজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    রোববার (২২ মার্চ) তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তিনি মিরপুরের টোলারবাগের এক করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন।

    হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন ৩০ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক।

    বাংলাদেশ ডক্টর’স ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রশাসক ডা. নিরুপম দাস সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আজ (রোববার) তার (ওই চিকিৎসকের) ভাইরাস ইনফেকশনের প্রতিবেদন এসেছে। বর্তমানে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। দ্রুতই তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হবে।

    এর আগে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের ৪ জন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং ৩ জন স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। গত ২০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন তারা।

    বাংলাদেশে গত ১৮ মার্চ করেনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর ২১ মার্চ আরো একজনের মৃত্যু হয়।

    এর আগে বোবরার (২২ মার্চ) দুপুরে ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে নতুন করে ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৭ জনের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এই চিকিৎসককে ধরে সেই সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ জনে। তবে নতুন করে আর কেউ মারা যাননি। তবে আক্রান্তদের মধ্যে আরো ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলেও জানান ফ্লোরা। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরলেন ৫ জন। অর্থাৎ বর্তমানে ২১ জন করোনা রোগী আছে বাংলাদেশে।

  • দেশে নতুন তিন জন করোনায় আক্রান্ত,মোট ২৭

    দেশে নতুন তিন জন করোনায় আক্রান্ত,মোট ২৭

    দেশে আরও তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ জনে।

    রোববার (২২ মার্চ) সাড়ে ৩টায় রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) মিলনায়তনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    এর আগে শনিবার আইইডিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৪ জনের শরীরে।

    এদিকে, রোববার (২২ মার্চ) বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ আট হাজার ৫৯২ জনে। মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৬৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯৫ হাজার ৮২৯ জনের।

    সারাবিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯৪ জন, যাদের মধ্যে ৫ শতাংশ ৯ হাজার ৯৪৩ জন গুরুতর অবস্থায় এবং মৃদু সংক্রমিত অবস্থায় আছেন ৯৫ শতাংশ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫১ জন।

  • দেশের সব হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ

    দেশের সব হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ

    করোনার বিস্তার রোধে দেশের হাসপাতালগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    শনিবার (২১ মার্চ) সকল বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনার একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

    চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষর রয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে দর্শনার্থী ঢুকতে দেওয়া হবে না।