Category: স্বাস্থ্য

  • বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    শিশুদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়।

    ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে একুশটি ধারা সম্বলিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন-২০২০ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে,’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা বলেন।তিনি বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৭ সালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি পরিচালনায় এতদিন কোন আইন ছিল না, বরং পূর্বের একটি অধ্যাদেশ অনুযায়ীই এটি চলছিল।‘কাজেই হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে একটি পুর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ণের জন্যই খসড়াটি অনুমোদন করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

    এই হাসপাতালে দরিদ্র এবং অসচ্ছলদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    মন্ত্রি পরিষদ সচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, এই আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।

    তিনি বলেন, উক্ত আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসন সার্বিকভাবে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ওপর ন্যাস্থ থাকবে। এ লক্ষ্যে সরকার একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করবে।

    সচিব বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত সদস্যগণ তাঁদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। এছাড়া একজন পরিচালক থাকবেন যিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    এই আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়া ও অনুমোদন করেছে।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্ব সংস্কৃতির মেলবন্ধনকে জোরালো করার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে এবং ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন- এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ এবং কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে চারুকলা, শিল্পকলা, শিল্প সংস্কৃতি ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণ এবং সামগ্রিকভাবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    সচিব বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক চুক্তির ধারাবাহিকতায় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে অতি প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।

    এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে কোন ধরনের ভাইরাস স্ক্রিনিংয়ে সক্ষম এক ধরনের বিশেষ প্রযুক্তি শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে প্রদানের প্রস্তাব করেছে কোরিয়া সরকার (দক্ষিণ কোরিয়া)।

    তিনি বলেন, এই নতুন প্রযুক্তি দেশের বিমানবন্দরগুলোতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করার জন্য স্থাপিত প্রযুক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সংযুক্ত হবে। কোরিয়া সরকার লিখিতভাবে এখনও এই প্রস্তাব করেনি।অনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পর বিষয়টি বিশদভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

    এছাড়াও, গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ এবং ‘জায়েদ সাটেইনেবিলিটি এওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং তাঁহার সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

  • বিদেশ ফেরতদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে : আইইডিসিআর

    বিদেশ ফেরতদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে : আইইডিসিআর

    ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করায় মারাত্মক করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এখন থেকে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আগত সকল যাত্রীকে সম্পূর্ণ স্ক্যান করা হবে।

    এখন থেকে, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সকল যাত্রীদের স্ক্যান করব কারণ ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত ২৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা আজ তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন, সুতরাং আরও সতর্কতা হিসাবে, এখন থেকে আমরা বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করব।

    ডা. ফ্লোরা পরিস্থিতি নিয়ে লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য, সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

    আইইডিসিআর, দেশের রাষ্ট্র পরিচালিত রোগ পর্যবেক্ষণ শাখা, ২১ শে জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত চীন থেকে আগত ৮ হাজার ৩ শ’ ৯৬ জনকে স্ক্যান করেছে এবং তারা সকলেই নিরাপদ।

    ভাইরাস সম্পর্কে যে কোনও ধরণের বিভ্রান্তি সমাধান করতে এবং এই রোগের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে রোগ নিরীক্ষণ শাখাটি ইতোমধ্যে চারটি হটলাইন নম্বর চালাচ্ছে -০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯২৭৭১১৭৮৫।

  • চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে বাংলাদেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে এতথ্য জানিয়েছেন তিনি।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘চীন থেকে দেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়।’

    এখন পর্যন্ত চীন থেকে আসা ৮ হাজার ৩৯৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে আগের মতো সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন আইইডিসিআর পরিচালক।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশের সব স্থলবন্দরে স্ক্রিনিং মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে চীন থেকে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

  • নীলফামারী জেলায় রেকর্ড পরিমান ৭৬ জন চিকিৎসকের যোগদান

    নীলফামারী জেলায় রেকর্ড পরিমান ৭৬ জন চিকিৎসকের যোগদান

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ ৩৯ তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের মধ্যে ৭৬ জনকে নীলফামারী জেলায় পদায়ন করা হয়েছে।

    এই বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক নীলফামারী জেলায় যোগদান করেছেন। জেলার নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তাদের পাঠানো হয়েছে।

    নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, এসব চিকিৎসক জেলার ছয় উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান উন্নয়নে কাজ করবেন।

    এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ১৩ জন ও বাকি ৬৩ জন একইভাবে অন্য উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আরো বলেন, এ জেলায় সরকারী হাসপাতালে যে চিকিৎসক সংকট ছিল তা এই ৭৬ জন চিকিৎসকের যোগদানে অনেকটা দূর হবে এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ঘটবে।

  • সৈয়দপুরে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল

    সৈয়দপুরে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি স্থানীয় দখলদাররা কব্জা করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে ফাইলেরিয়া রোগীরা। ফাইলেরিয়া নির্মূলের উদ্দেশ্যে সরকার এবং দাতা সংস্থা এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে।

    বর্তমানে ফাইলেরিয়া রোগের বিশেষজ্ঞ ছাড়াই এই হাসপাতালটি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার এখানে ফাইলেরিয়া রোগের অপারেশন করা হচ্ছে ভাড়াটিয়া ডাক্তার নিয়ে এসে।

    এদিকে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন অবৈধ দখলদারের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয়, ডিজি র‌্যাব, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নীলফামারী জেলা প্রসাশক, সিভিল সার্জন, রংপুরের স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

    অন্যদিকে আইএসিআইবি’র পক্ষ থেকে হাসপাতালটির পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ পল্লী ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ)’র মহাসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    আ্যাম্বুলেন্স, অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি অকেজে হয়ে পড়ে আছে। অনেক দামী-দামী জিনিসপত্র ব্যবহার না হওয়ায় মরিচা ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

    এক সময় হাসপাতালটিতে রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসত। এখন দখলদারদেও কারণে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির বেড থাকলেও তা ফাঁকা পড়ে আছে। এক সময় বিশ্বের একমাত্র ফাইলেরিয়া হাসপাতালে রোগীর পরিপূর্ণ ও গিজগিজ অবস্থা বিরাজ করলেও এখন তা ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

    ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ বাংলাদেশের একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে নারীরা এ রোগের কারণে সমাজে নানাভাবে হচ্ছে উপেক্ষিত। কারো কারো সংসারও ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন ধরনের ফাইলেরিয়াল প্যারাসাইট বা পরজীবী শরীরে প্রবেশ করলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের পরজীবী একজন রোগী হতে আরেকজন সুস্থ লোকের শরীরে কয়েক প্রজাতির মশার কামড়ে সংক্রামিত হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো তীব্র এবং ঘন ঘন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে যা এমনিতেই সেরে যায়। আক্রান্ত লসিকান্ত্রন্থির প্রদাহের কারণে লসিকা গ্রন্থিতে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া এবং লসিকা নালী ফুলে যায়। গোদ হলে সাধারণত শরীরের হাত-পা বা পুরুষের অন্ডকোষ, নারীর স্তন ও যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়।

    এ রোগ নির্মূলে সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধন নিয়ে কাজ শুরু করেন বাংলাদেশের একমাত্র ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড কিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি)।

    ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাপান সরকারের অর্থায়নে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৬৯.৫ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এ হাসপাতালটি। পরবর্তীতে দাতা সংস্থার দেয়া অনুদানের প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ও চার তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক মডেলের দুইটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

    রংপুর মোসলেম পাড়ার ফাইলেরিয়া রোগী রাসুলা বেগম (৫৫) বলেন, ২০ বছর ধরে এই রোগে ভুগছি। ৫ মাসে এই হাসপাতালে ৪ বার এসেছি। প্রতি মাসে ১৮শ’ টাকার ওষুধ খেতে হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। সামান্য একটু ব্যথা কমেছে।

    কর্তব্যরত ডাঃ রায়হান তারেক বলেন, আমার একার পক্ষে এত বড় হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকার যদি ডিপুটেশনে কিছু চিকিৎসক দিত তাহলে এই হাসপাতালটির সেবার মানও বাড়ত। প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে হাইড্রসিল অপারেশন করা হয়ে থাকে।

  • ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে:রাষ্ট্রপতি

    ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে:রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিকিৎসক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ওষুধ যাতে বাজারে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি ওষুধ কেনার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা সেটি দেখে কিনতে ব্যবস্থাপত্রে রোগীদেরকে পরামর্শ দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, আমি জানি, এতে তাদের কিছু সময় নিতে হবে, তবে এতে সকলের জন্য খুবই ভাল হবে।

    রাষ্ট্রপতি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী কার্ডিয়াক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ভেজাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে বাজারে প্রবেশ করতে না পারে, এ জন্য চিকিৎসকদেরকে অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের তাপমাত্রা যথাযথ রাখতে ফার্মেসী মালিকদের নির্দেশ প্রদান করতে সরকার এবং সূশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ৯৫ ভাগ ফার্মেসী ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখে না।

    তিনি বলেন, এ ধরনের সার্কুলার আমাদের সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে ফার্মেসীস্টদের ওপর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চিকিৎসককে রোগীদের জন্য দেয়া ব্যবস্থাপত্রে মানসম্পন্ন ওষুধ লেখার পরামর্শ দেন।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে পল্লী এলাকায় কিছু নামকরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে কোন কোন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরনের অভিযোগ রয়েছে।

    তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, এর দায়ভার সকল চিকিৎসকের কাধেঁই চেপে বসে। এতে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। তিনি এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
    রাষ্ট্রপতি নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরো সর্তক হতে শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত স্বার্থে নিজ পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান।

    রাষ্ট্রপতি হাসপাতালের জন্য আধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা খুবই ব্যায়বহুল। এ জন্য এ রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ ধরনের প্রচারণা অনেক অকাল মৃত্যু থেকে অনেকের জীবন রক্ষা করবে।

    তিনি সম্মেলনে যোগদানকারি সকল অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাকার্ডিও-২০১৯ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে যোগদানকারি দেশী ও বিদেশী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য হৃদরোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার আবদুল মালিক (অব.) বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট একেএম মহিবুল্লাহ এবং মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল শফি মজুমদার, সাইন্সিটিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলআবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনসি নন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

  • শীতে টনসিল থেকে রেহাই পাওয়ার ৫ উপায়

    শীতে টনসিল থেকে রেহাই পাওয়ার ৫ উপায়

    প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। গ্রামবাংলায় এরই মধ্যে মৃদুমন্দ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। আর শীতের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে রোগের প্রকোপ। সর্দি-কাশি তো আছেই, সেইসঙ্গে দেখা দেয় গলাব্যথা। আর টনসিলের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।

    জিহ্বার পেছনে গলার দুই পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যেটি দেখা যায়, সেটিই হলো টনসিল। এটি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ টিস্যু বা কোষ। এই টনসিল গলা, নাক, মুখ কিংবা সাইনাস হয়ে শরীরে প্রবেশ করা জীবাণুকে অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে। সর্দি-কাশির জন্য যে ভাইরাসগুলো দায়ী, তা টনসিলের সংক্রমণের জন্যেও দায়ী।

    চলুন টনসিলের ব্যথা কমানোর কয়েকটি অব্যর্থ ঘরোয়া উপায় জেনে নেওয়া যাক—

    * লবণ-পানি

    শীতে অনেকেরই গলাব্যথা হয়। আর এটি প্রতিরোধে সামান্য গরম পানির সঙ্গে কিছুটা লবণ মিশিয়ে তা দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এটি টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এভাবে কুলকুচি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।

    * সবুজ চা আর মধু

    সবুজ চা ও মধু টনসিলের ব্যথা কমাতে বেশ সহায়ক। এক কাপ গরম পানিতে আধ চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এর পর ধীরে ধীরে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে। দিনে তিন থেকে চার কাপ এই মধু-চা পান করুন, ভালো ফলাফল পাবেন।

    * হলুদ দুধ

    এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর। কারণ, এতে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে সেটিকে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টিইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলাব্যথা দূর করে, টনসিলের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

    * আদা চা

    দেড় কাপ পরিমাণ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি আর অনুমান অনুযায়ী চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত দু-তিনবার এটি পান করুন। আদার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিইনফ্লামেন্টরি উপাদান সংক্রমণে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

    * লেবুর রস

    ২০০ মিলিগ্রাম গরম পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, আধা চা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলাব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি সেবন করুন। টনসিলের সমস্যা দূর করার জন্য এটি খুবই কার্যকর।

  • অবহেলিত ফটিকছড়ির ২০ শয্যা হাসপাতাল, ২ চিকিৎসক দিয়ে চলছে দায়সারা চিকিৎসা!

    অবহেলিত ফটিকছড়ির ২০ শয্যা হাসপাতাল, ২ চিকিৎসক দিয়ে চলছে দায়সারা চিকিৎসা!

    এম জুনায়েদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : অপূর্ণতা ও দুরাবস্থায় চলছে ফটিকছড়ি উপজেলা ২০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান। নানা অবহেলায় মাত্র ২জন চিকিৎসক দিয়ে দায়সারা ভাবে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ অসুখ বিসুখেও সরকারী হাসপাতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

    বাধ্য হয়েই পাশ্ববর্তী প্রাইভেট ক্লিনিক ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয় তাদের। আর এ কারণেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক। জনগনের টাকায় কেনা উন্নতমানের মেশিনসহ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হতে চলেছে ফটিকছড়ির ২০শয্যা এ হাসপাতালের। জনবল ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মেশিনগুলো অকেজো হয়ে পরে রয়েছে।

    উপজেলার পৌরসভাসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় “ফটিকছড়ি সদর ২০ শয্যা এ হাসপাতাল। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক যুগ পরেও সেবাদানে এখনো পূর্ণতা পায়নি হাসপাতালটি। ২০০৬ সালে তত্ববধায়ক সরকারের সময় নির্মিত হাসপাতালটি চিকিৎসকের অভাবে এখন জনগণের কোন কাজে আসছেনা। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

    কাগজে কলমে হাসপাতালটিতে একজন গাইনিসহ মোট ৭ জন ডাক্তারের অনুমোদিত পদ থাকলেও ২ জনের বেশি ডাক্তার নিয়মিত কর্মস্থলে থাকে না। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন আউটডোর চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন মাত্র ২ জন ডাক্তার। অথচ প্রান্থিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হলেও এটি এখন অনেকটা রোগীবিহীন ফাঁকা পড়ে আছে। স্থায়ী ডাক্তার নিয়োগ দিলেও তারা কেউ সেখানে উপস্থিত থাকেন না বলে স্থানীয়রা জানান।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩ তলা ভবনের ২য় ও ৩য় তলায় রোগীদের ওয়ার্ডের বেডে, কবুতরের বিস্টাসহ ধুলা-বালিতে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে চিকিৎসা উপকরণগুলো। তবে ভবনের নিচ তলায় একজন ডাক্তার কিছু রোগীকে আউটডোর চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

    হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতো বছর হয়ে গেল এখানো আমাদের হাসপাতালটি চালু হয়নি। তারা আরও জানান, কোন রকমে চিকিৎসা পেলেও ঔষধ মিলে না।

    ফটিকছড়ি পৌর মেয়র ইসমাইল হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ফটিকছড়ি সদর ২০ শয্যা হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত ডাক্তারসহ চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার সরঞ্জাম বরাদ্ধ না থাকায় এটি জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াছ চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি খুব সহসা এটিকে পূর্ণাঙ্গ সেবাদানের জন্য গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

  • স্বাস্থ্যখাতে ৩০ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্যখাতে ৩০ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্য খাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার জনবল যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    রোববার ‘সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্টস এন্ড হেড-নেক সার্জনস্ অব বাংলাদেশ’র ১৭তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন পদে প্রায় ১০ বছর ধরে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলা এর প্রধান কারণ। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা খাতের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) আসাদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

    সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব আব্দুল আজিজ।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্টস এনইড হেড-নেক সার্জানস অব বাংলাদেশের সভাপতি আবুল হাসনাত জোয়ারদার।

    অন্যান্যের মধ্যে ১৭তম জাতীয় অটোল্যারিংগোলজিস্টস এন্ড হেড-নেক সার্জারি সম্মেলন ২০১৯’র অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম মজুমদার।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোল্যারিংগোলজি এন্ড হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, এ এইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, নাসিমা আখতার, মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • বিদেশি ডাক্তারদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অবৈধ: বিএমডিসি

    বিদেশি ডাক্তারদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অবৈধ: বিএমডিসি

    দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুমতি ছাড়া বিদেশি চিকিৎসকদের এনে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনাকে অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

    এমন কার্যক্রমের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।

    সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি চিকিৎসক এনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে।

    বিএমডিসির অনুমতি ছাড়া এভাবে বিদেশি চিকিৎসক এনে দেশে চিকিৎসা দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। তা না হলে বিএমডিসি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

    প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন ভারতীয় চিকিৎসককে চিকিৎসা প্রদানের অনুমতি দিয়েছিল বিএমডিসি।

    ৩০ নভেম্বর থেকে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের জন্য তাদের সাময়িক রেজিস্ট্রেশনও দেয়া হয়েছিল। পরে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের মুখে ভারতীয় চিকিৎসকদের চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি বাতিল করে বিএমডিসি।

  • সব হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোলিভার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সব হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোলিভার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুব শিগগিরই দেশের প্রতিটি হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোলিভার চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ‘দেশে পেটের পীড়ায় ভোগেনা এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভেজালমিশ্রিত এবং ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে দেশের লক্ষাধিক মানুষ পেটের পীড়ায় (গ্যাস সমস্যা) ভুগছেন। এক্ষেত্রে গরীব মানুষের অবস্থাই বেশি খারাপ।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,পেটে সামান্য গ্যাস হলেই মানুষ যত্রতত্র গ্যাসের ওষুধ কিনে খাচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধান করতেই গতবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। এ হাসপাতালটি গ্যাস্ট্রোলিভার চিকিৎসায় উপমহাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।

    জাহিদ মালিক আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীস্থ শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনিষ্টিটিউট ও হাসপাতালের ইনডোর এবং এন্ডোস্কপি সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

    শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মাহামুদ হাসান, ক্যান্সার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোবারক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন,‘এই হাসপাতালে যে ধরনের চিকিৎসাসেবা রয়েছে তা এ উপমহাদেশের কোন হাসপাতালে নেই। তাই এ প্রতিষ্ঠান দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবায় যথাযথভাবে কাজ করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।’

  • ৩৯তম বিসিএস: ৪৪৪৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ

    ৩৯তম বিসিএস: ৪৪৪৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ

    ২৯তম বিশেষ বিসিএসে চার হাজার ৪৪৩ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশের পর চিকিৎসকদের এ নিয়োগ দেয়া হলো।

    মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ অধিশাখা থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। এই বিশেষ বিসিএসে সহকারী সার্জন পদে ৪ হাজার ২০৩ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৪০ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

    নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় নির্দেশিত বা পদায়িত কার্যালয়ে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী কোনো নির্দেশ না পেলে উল্লিখিত তারিখেই তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগদান করবেন। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে যাবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

    গত বছরের ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। মোট ৩৯ হাজার ৯৫৪ জন প্রার্থী এ বিশেষ বিসিএসে আবেদন করেন।

    পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। এরমধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক ও ৫৩১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে উত্তীর্ণ হন।

    চূড়ান্ত ফলাফলে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এর মধ্যে চার হাজার ৫৪২ জনকে সহকারী সার্জন আর ২৫০ জনকে সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।