Category: আন্তর্জাতিক

  • ওমরাহ মৌসুম শুরুর ঘোষণা সৌদির

    ওমরাহ মৌসুম শুরুর ঘোষণা সৌদির

    সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় পবিত্র ওমরাহ মৌসুম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি ও গালফ কো-অপারেশনভুক্ত (জিসিসি) দেশের নাগরিকদের মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে ওমরাহর অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু করেছে দেশটির মন্ত্রণালয়।

    বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, নুসুক অ্যাপ অথবা তাওয়াক্বালনা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সৌদি নাগরিক, প্রবাসী ও জিসিসি দেশগুলোর পর্যটকরা এ অনুমতিপত্র নিতে পারবেন।

    ওমরাহযাত্রীদের সেবা আরও উন্নত করার অংশ হিসেবে এই অ্যাপগুলোর ব্যবহার শুরু হয়েছে। এছাড়া এটি সৌদি ভিশন ২০২৩ এরও অংশ।

    ওমরাহপ্রত্যাশী ও পর্যটকরা যেন সহজেই নির্দিষ্টকৃত ওমরাহর অনুমতি পেতে পারেন; সে উদ্দেশ্যে নুসুক অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।

    তাওয়াক্বালনা মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে নুসুক অ্যাপ একীভূত করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য— অনুমতিপত্র চাওয়া আবেদনকারীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়টি যাচাই করার বিষয়টিও সহজ করেছে।

    এছাড়া সৌদির হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় সৌদি আরবের বাইরের নাগরিকদেরও ওমরাহর জন্য স্বাগত জানানোর ঘোষণা দিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক ওমরাহযাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশসহ সবকিছু সহজীকরণের জন্য ওমরাহর ই-ভিসা চালু করেছে দেশটির সরকার।

    এদিকে এ বছর গত ২৮ জুন পবিত্র হজ পালিত হয়। হজের আয়োজন নির্বিঘ্নে করতে হজের আগে ও পরে নির্দিষ্ট কিছুদিন ওমরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

  • চীনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

    চীনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

    চীনের গুয়াংডং প্রদেশের একটি স্কুলে ছুরি হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন। আজ সোমবার (১০ জুলাই) স্থানীয় সময় ৭টা ৪০ মিনিটে এ হামলা চালানো হয়।

    সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় উ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নগর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী, দুজন অভিভাবক ও একজন শিক্ষক রয়েছেন।

    চীনে এ ধরনের হামলা খুব একটা দেখা না গেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্কুলসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ-পূর্ব জিয়াংসি প্রদেশের একটি কিন্ডারগার্টেনে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ছয়জন। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে স্বায়ত্তশাসিত গুয়াংজি ঝুয়াং অঞ্চলের বেইলিউ শহরে ছুরিকাঘাতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১৬ জন।

  • যে ৩০ পণ্য নিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন না হাজিরা

    যে ৩০ পণ্য নিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন না হাজিরা

    সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরছেন হাজিরা। এ সময় অধিকাংশ হাজি পরিবার-পরিজনের জন্য সঙ্গে কিছু না কিছু নিয়ে যান। তবে হাজিরা দেশে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে কী নিতে পারবেন আর কী নিতে পারবেন না—এ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

    বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, হাজি বা সাধারণ যাত্রী ‘নির্দিষ্ট ৩০টি পণ্য’ তাদের লাগেজে বহন করতে পারবেন না। কারও লাগেজে সেগুলো পেলে জব্দ করা হবে। এমনকি পরবর্তীতে হাজিরা এসব জিনিসের দাবিও করতে পারবেন না।

    গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, এ নির্দেশনা মূলত হাজিদের জন্যই দেওয়া হয়েছে। তারা যেন নিষিদ্ধ এই ৩০টি পণ্য বিমানে না নিয়ে উঠেন সে বিষয়ে সতর্ক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

    ৩০টি পণ্যের মধ্যে ১৬টি পণ্য লাগেজে করে নিয়ে বিমানের কেবিনে ওঠা যাবে না। এগুলো হলো- ছুরি, সংকুচিত গ্যাস, বিষাক্ত তরল, ব্লেড, বেসবল ব্যাট, বৈদ্যুতিক স্কেটবোর্ড, বিস্ফোরক দ্রব্য, ক্র্যাকার, আগ্নেয়াস্ত্র, চৌম্বকীয় পদার্থ, তেজস্ক্রিয় বা ক্ষয়কারী উপাদান, যে কোনো বিপজ্জনক সরঞ্জাম, নেলকাটার, কাঁচি ও চাপাতি।

    আর বাকি ১৪টি পণ্য কোনোভাবেই কোনো লাগেজে করে বিমানে বহন করা যাবে না। এগুলো হলো- জৈব পারঅক্সাইড, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক ডিভাইস, নিষ্ক্রিয় করার ডিভাইস, তরল অক্সিজেন ডিভাইস, সংক্রামক জৈবিক উপকরণ, ম্যাচ, লাইটার, বিস্ফোরক বা ক্র্যাকার, দাহ্য তরল, সংকুচিত গ্যাস, অস্ত্র সদৃশ বস্তু, চৌম্বকীয় উপকরণ ও দ্রাবক পণ্য।

  • সৈকতে ভেসে আসা তিমির পেটে কোটি টাকার সম্পদ!

    সৈকতে ভেসে আসা তিমির পেটে কোটি টাকার সম্পদ!

    স্পেনের লা পালমার ক্যানারি দ্বীপের একটি সমুদ্র সৈকতে যখন একটি স্পার্ম তিমি মৃত অবস্থায় ভেসে আসে, তখন কেউ কল্পনাও করেনি যে এর অন্ত্রে কত মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে আছে।

    উত্তাল সমুদ্র ও ঢেউয়ের কারণে ময়নাতদন্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল, কিন্তু লাস পালমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা ইনস্টিটিউটের প্রধান আন্তোনিও ফার্নান্দেজ রদ্রিগেজ তিমিটি কেন মারা গিয়েছিল, তা খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন।

    হজমের সমস্যা সন্দেহ করে, তিনি তিমিটির কোলন পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে তিমিটির অন্ত্রের সেই অংশে শক্ত কিছু একটা আটকে আছে। তিনি বলেন, আমি প্রায় ৫০-৬০ সেন্টিমিটার ব্যাসের একটি পাথর বের করেছিলাম যার ওজন সাড়ে ৯ কেজি। সমুদ্রের ঢেউ মৃত তিমিটির ওপরে এসে পড়ছিল। আমি যখন সৈকতে ফিরে আসি তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু তারা জানত না যে আমার হাতে যা ছিল তা অ্যাম্বারগ্রিস।

    অ্যাম্বারগ্রিস একটি বিরল পদার্থ, যা ‘ভাসমান স্বর্ণ’ নামে পরিচিত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার হয় এটি। ফার্নান্দেজের হাতে থাকা পাথরটির মূল্য ছিল প্রায় ৫ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যা ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি।

    ১০০টি স্পার্ম তিমির মধ্যে একটিতে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয়। ১৯ শতকের প্রথম দিকে যখন বড় আকারের তিমি শিকার শুরু হয়েছিল তখন এ বিষয়টি জানা যায়। তিমিরা প্রচুর পরিমাণে স্কুইড এবং কাটলফিশ খায়, যার বেশিরভাগই তারা হজম করতে পারে না এবং বমি হয়ে যায়। কিন্তু কিছু অবশিষ্ট থাকে এবং বছরের পর বছর ধরে তিমির অন্ত্রে আবদ্ধ থেকে ধীরে ধীরে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয়। কখনো কখনো এটি তিমির শরীর থেকে বেরও হয়ে গিয়ে সমুদ্রে ভাসতে তাকে। কিন্তু কখনো কখনো লা পালমার তিমির ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটেছে- এটি খুব বড় হয়ে যায়, অন্ত্র ফেটে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তিমির জীবন যায়।

    আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত তিমি শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসাবে অ্যাম্বারগ্রিসের বেচাবিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।

  • মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭

    মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন নারী। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।

    উত্তর আমেরিকার এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাস রাস্তা থেকে ছিটকে গিরিখাদে পড়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ওক্সাকা প্রদেশে একটি বাস রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে গিরিখাদে পড়ে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওক্সাকা প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেসুস রোমেরো এক সংবাদ সম্মেলনে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী এবং একটি ছেলে শিশু রয়েছে।

    অবশ্য ভয়াবহ এই সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট সামনে এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেসুস রোমেরো ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আরও ২১ জন আহত হয়েছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বার্নার্ডো রদ্রিগেজ আলামিল্লা এএফপিকে বলেছেন, বাস দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১৭ জন।

    আল জাজিরা বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি মেক্সিকো সিটি থেকে ইয়োসোন্ডুয়া যাওয়ার সময় মাগডালেনা পেনাস্কো শহরের কাছে হাইওয়ে থেকে উল্টে যায়। কর্মকর্তাদের মতে, দুর্ঘটনার শিকার বাসটি প্রায় ২৫ মিটার (৮০ ফুট) গভীর গিরিখাদে পড়ে যায়। আর এতেই হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।

    ওক্সাকা স্টেট হাইওয়ে পুলিশ পরিচালক টোরিবিও লোপেজ সানচেজ টুইটারে দেওয়া একটি পোস্টে বলেছেন, ‘সিডিএমএক্স থেকে সান্তিয়াগো ইয়োসোন্ডুয়া মিক্সটেকাগামী একটি বাস মাগডালেনা পেনাস্কো শহরে আজ সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় চলাচলকারী মোটরচালকদের চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’

    বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওক্সাকা প্রদেশের গভর্নর সালোমন জারা ক্রুজ লিখেছেন, ‘মাগডালেনা পেনাস্কোতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। আমাদের সরকারি কর্মীরা ইতোমধ্যেই উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে এবং আহতদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।’

    মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা ও তাতে প্রাণহানির ঘটনা বেশ সাধারণ। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে পশ্চিম মেক্সিকোতে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ার পর ১৮ জন মারা গিয়েছিলেন।

    এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চিয়াপাস প্রদেশে প্রায় ১৬৬ জনকে বহনকারী একটি ট্রাক দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর ৫৪ জন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়।

    এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মধ্য মেক্সিকান প্রদেশ পুয়েবলাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। নিহতদের সবাই ছিলেন অভিবাসী।

  • ওমরাহর ই-ভিসা চালু করল সৌদি

    ওমরাহর ই-ভিসা চালু করল সৌদি

    পবিত্র ওমরাহর ইলেকট্রনিক বা ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। বুধবার (৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট।

    সহজে ও স্বাচ্ছন্দে যেন আরও বেশি মুসল্লি সৌদিতে আসতে পারেন এবং ওমরাহ পালন করতে পারেন— তারই অংশ হিসেবে ওমরাহর ই-ভিসা চালু করা হয়েছে। এছাড়া ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জনে ওমরাহর সেবার মান বাড়ানোর যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটিরও অংশ এই ই-ভিসা।

    মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা ই-ভিসা পেতে আগ্রহী তারা নুসুক প্ল্যাটফর্মে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। যেন তারা ১৯ জুলাই থেকেই সৌদিতে আসতে পারেন।

    নুসুক প্লাটফর্মের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের পর্যটকদের মক্কা ও মদিনা ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া এর মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী বাড়ি বেঁছে নেওয়া, বাসস্থান এবং যোগাযোগ সেবাও দেওয়া হয়। সহজেই যেন বিশ্বের সব মানুষ পছন্দ অনুযায়ী প্যাকেজ বেঁছে নিতে পারেন সেজন্য এতে কয়েকটি দেশের ভাষাও যুক্ত করা হয়েছে।

    এর আগে ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অব আরব স্টেটসভুক্ত দেশের ট্যুরিস্ট ভিসাধারী এবং সেনজেন ভিসাধারীরা নুসুক অ্যাপসের মাধ্যমে ওমরাহর অনুমতি নিতে পারবেন।

    এদিকে পবিত্র হজ উপলক্ষ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ওমরাহ পালন বন্ধ রয়েছে। ওই সময় যাদের কাছে হজের অনুমতি ছিল শুধুমাত্র তারাই মক্কা নগরীতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন।

  • জেনিন ছাড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী

    জেনিন ছাড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী

    দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে টানা দুদিন সামরিক অভিযান চালানোর পর সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) মধ্যরাতে ইসরায়েলি সেনাদের বহনকারী গাড়িগুলো জেনিন ছাড়তে শুরু করেছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযান শেষ করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছুই জানানো হয়নি। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।

    দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি সেনাদের ফিরতি কনভয় দেখেছেন। রাতের অন্ধকারে সেনারা সামরিক বাহিনীর গাড়িতে চড়ে জেনিন থেকে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুদিনের এ সামরিক অভিযানে ১২ ফিলিস্তিনি ও একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। জীবন বাঁচাতে জেনিনের শরণার্থী শিবির ছেড়েছেন তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি সেনারা যদি ফিরে যান, তাহলে রোববার (২ জুলাই) মধ্যরাতে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে শুরু হওয়া এ অভিযান শেষ হতে পারে। এটি ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা ও অনুপ্রবেশ।

    অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযানে যাওয়া সেনাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।

    এদিকে, সেনা প্রত্যাহারের খবরের মধ্যেই গাজা উপত্যাকা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ জুলাই) ভোররাতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে এ রকেট ছোড়া হয়, যা আয়রন ডোমের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানায় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস।

    এক টুইটবার্তায় ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যাকা থেকে একের পর এক রকেট ছোড়া হচ্ছে। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে নিরাপত্তা সতর্কতায় ব্যবহৃত সাইরেন বাজতে শোনা যাচ্ছে। আয়রন ডোম সক্রিয় রয়েছে।’

    গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত
    স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় জেনিনে ফিলিস্তিনের পাল্টা হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এর আগে বিকেলে তেল আবিবের পিনচাস রোজেন স্ট্রিটের একটি শপিং সেন্টারের সামনে হামলায় অন্তত ৮ ইসরায়েলি আহত হয়।

    ইসরায়েলি বাহিনী তাদের একজন সেনা কর্মকর্তা নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস তাদের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে এ তথ্য জানিয়েছে।

    টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেনিনে অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ অভিযানের সময় গোলাগুলিতে আমাদের একজন নন-কমিশনড সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আমরা তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    দুদিনে ১২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি
    অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের নৃশংস সামরিক অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন শতাধিক। জেনিনের ডেপুটি গভর্নর কামাল আবু আল-রউফ জানিয়েছেন, প্রায় তিন হাজার মানুষ শরণার্থী শিবির ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয়ে ছুটছেন।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে জেনিন শহরের দোকানপাট ছিল বন্ধ। খুব কম লোকজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। আগের দিন ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা ও বিদ্যুতের তার রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। আকাশে ড্রোন ওড়ার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল।

    রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে পশ্চিম তীরে জেনিনের শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। এটি গত ২০ বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা ও অনুপ্রবেশের ঘটনা।

    জেনিন শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনির বসবাস। অভিযানের সময় সেখানকার সড়কগুলো খুঁড়ে ফেলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বোমাবিরোধী বুলডোজার। এতে পুরো এলাকায় পরিণত হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞে।

  • অবশেষে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানাল সুইডেন

    অবশেষে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানাল সুইডেন

    সুইডেনে উগ্র কট্টরপন্থি সমর্থকদের ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সুইডিশ সরকার। একইসঙ্গে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী মনোভাব বলেও অভিহিত করেছে তারা।

    গত সপ্তাহে স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআনের একটি কপি পোড়ানোর ওই ঘটনা ঘটে। রোববার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইডেনের সরকার স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা করেছে এবং এটিকে ‘ইসলামোফোবিক’ বা ইসলামবিদ্বেষ মূলক কাজ বলে অভিহিত করেছে। আন্তর্জাতিক ইসলামি সংস্থা মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থের ভবিষ্যত অবমাননা এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানোর পরে সুইডিশ সরকার এই মন্তব্য করল।

    সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সুইডেনের সরকার পুরোপুরি বোঝে যে, সুইডেনে বিক্ষোভের নামে কিছু ব্যক্তির সংঘটিত ইসলামফোবিক কর্মকাণ্ড মুসলমানদের জন্য আক্রমণাত্মক হতে পারে।’

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করি এবং এসব কাজ কোনোভাবেই সুইডিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে না।’

    আল জাজিরা বলছে, ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের অবমাননা এড়াতে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) থেকে সম্মিলিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানের পর সুইডিশ সরকারের পক্ষ থেকে এই নিন্দা করা হয়েছে।

    গত বুধবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে দুই ব্যক্তি আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কুরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদেকে এই ন্যক্কারজনক কাজ করার অনুমতি দেয় একটি সুইডিশ আদালত। কুরআন অবমাননা করার জন্য ওই ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিরা পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটিকে বেছে নেয়।

    ওই ঘটনার জেরে প্রতিক্রিয়া জানাতে ৫৭-সদস্য দেশের সংস্থা ওআইসি জেদ্দা সদর দপ্তরে বৈঠকে বসে এবং ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের অবমাননা এড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। বৈঠকের পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ‘কোরআনের অবমাননা করার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ওআইসি তার সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার’ আহ্বান জানিয়েছে।

    পরে সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কোরআন বা অন্য কোনো পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো খুবই আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ এবং স্পষ্ট উস্কানি। বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া এবং এই ধরনের অসহিষ্ণুতার কোনো স্থান সুইডেন বা ইউরোপে নেই।’

    একই সময়ে সুইডেনে ‘সমাবেশ, মতপ্রকাশ এবং বিক্ষোভ করার স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত’ রয়েছে বলেও সুইডিশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

    আল জাজিরা বলছে, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোসহ বহু দেশ সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে।

    যদিও বাকস্বাধীনতা সুরক্ষার কথা বলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এই ধরনের কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল সুইডিশ পুলিশ।

  • কুমিরকে বিয়ে করলেন মেয়র!

    কুমিরকে বিয়ে করলেন মেয়র!

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর একটি শহরের মেয়র কুমিরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। দেশটির একটি ছোট শহরের মেয়র স্থানীয় লোকদের সৌভাগ্য ফেরাতে এবং আচার পালন করতে একটি মাদি কুমিরকে বিয়ে করেন।

    মেক্সিকোর তেহুয়ানটেপেক ইস্তমাসের আদিবাসী চোন্টাল জনগণের শহর সান পেড্রো হুয়ামেলুলার মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা কুমিরকে বিয়ে করেছেন।

    সোসা বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি কারণ আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রেম ছাড়া বিয়ে করতে পারবেন না। আমি রাজকন্যা মেয়ের (কুমির) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।’

    যেদিন দুটি আদিবাসী গোষ্ঠী শান্তিতে এসেছিল — একটি বিবাহের মাধ্যমে 230 বছর ধরে এখানে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা ক্যাম্যানের মধ্যে বিবাহ হয়েছে।

    স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই বিয়ের মাধ্যমে স্রষ্টা খুশি বৃষ্টি দেন। ফসলের ভালো উৎপাদন হয় এবং মানুষের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়ে।

    বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে কুমিরকে ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় যাতে বাসিন্দারা তাকে তাদের হাতে নিয়ে নাচতে পারে। তাকে বিয়ের পোশাকে সাজিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে কুমিরের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    বিয়ের পর মেয়র কুমির স্ত্রীকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের সুরে নেচেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি কারণ আমরা দুটি সংস্কৃতির মিলন উদযাপন করি। মানুষ সন্তুষ্ট।’ এ সময় কুমিরের মুখে চুমু খান মেয়র স্বামী।

  • ভারতে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৫

    ভারতে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৫

    ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাষ্ট্র মহারাষ্ট্রে বাসে বিস্ফোরণ ও তা থেকে সৃষ্ট আগুনে ৩ জন শিশুসহ মোট ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও আটজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    শুক্রবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলা থেকে পুনে জেলয় যাওয়ার পথে বুলধানা জেলার সিন্দখেদরাজা এলাকার হাইওয়েতে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানিয়েছেন বুলধানা পুলিশের এসপি সুনীল কাড়াসনে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে কাড়াসনে বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা জানতে পেরেছি, চলন্ত বাসটির টায়ার ফেটে যাওয়ায় সেটি প্রথমে রাস্তার পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে, পরে সড়ক ডিভাইডারে আঘাত হানে। এ সময় বাসটি উল্টে যায় এবং তাতে বিস্ফোরণ ঘটে।’

    ‘বাসটিতে মোট ৩৩ জন যাত্রীর সবাই ছিলেন ঘুমন্ত অবস্থায়। বিস্ফোরণের আগুনে ২৫ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বাকি ৮ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    এসপি সুনীল কাড়াসনে জানান, এই দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি মামলা করেছে বুলধানা পুলিশ, তদন্তও শুরু হয়েছে।

    ‘তবে এই মুহূর্তে আমরা মৃতদের তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিচ্ছি,’ হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন তিনি।

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

  • কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল ফ্রান্স: সহিংস বিক্ষোভ-লুটপাট, গ্রেপ্তার চার শতাধিক

    কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল ফ্রান্স: সহিংস বিক্ষোভ-লুটপাট, গ্রেপ্তার চার শতাধিক

    পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল রয়েছে ফ্রান্স। তিন দিন ধরে চলছে সহিংস বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ দেশটির অনেক শহরে বিক্ষোভ হয়। এসময় বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। দাঙ্গা ও লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ এ পর্যন্ত ৪২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা।

    গত মঙ্গলবার প্যারিসের নান্টেরে শহরে গাড়ি চালানো অবস্থায় নাহেল এম নামে নাইজেরিয়ান ও আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে পুলিশ। এতে কিশোরের মৃত্যুর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয়।

    তার হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারারী। সহিংসতার সময় নান্টেরে শহরে একটি বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ভয়াবহ ধরনের আগুন লাগে। এই বিল্ডিংয়ে এক ব্যাংক ছিল। বিক্ষোভের সময় দোকান ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তিন দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ-সহিংসতা।

    অস্থিরতার তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার বিকালে হাজার হাজার মানুষ নাহেলের জন্য একটি শ্রদ্ধা মিছিলে উপস্থিত হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। লিলি এবং মার্সেইতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ বিক্ষোভ-সহিংসতা রাজধানী প্যারিসকে কেন্দ্র করে। ২৪২টি সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

    বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দাঙ্গাকারীরা সেন্ট্রাল প্যারিসের রু ডি রিভোলি বরাবর দোকানে ঢুকে পড়ে। চলে ভাঙচুর-লুটপাট। হাই-অ্যান্ড রাস্তাটি লুভর এবং জার্ডিন দেস টুইলেরির পাশে। এসব ঘটনার অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, দাঙ্গাকারীরা বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারা কাপড়ের দোকানে ঢুকছে এবং পণ্যদ্রব্য নিয়ে দোকান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এই রাতে লুটপাটের আরও কিছু ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। এর একটিতে দেখা যায়, প্যারিসের ওয়েস্টফিল্ড ফোরাম ডেস হ্যালেসের নাইকির শোরুমের বাইরে এক ঝাঁক লোক চেঁচামেচি করছে এবং স্টোরের সামনের জানালা ভাঙছে।

    ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, সারা দেশে অন্তত ৪২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।

    স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জাতীয় পুলিশের কমান্ড সেন্টারে রয়েছেন। রাতভর কেন্দ্রীয় কমান্ডে ছিলেন তিনি।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্স জুড়ে ৪০ হাজার পুলিশ অফিসার মোতায়েন করার আদেশ দেন। মঙ্গলবার এবং বুধবার রাতে বেশ কয়েকটি ফরাসি শহরে দাঙ্গায় গাড়ি এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে, অস্থিরতা মোকাবিলায় ফ্রান্স জুড়ে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বুধবার রাতের সংঘর্ষে ১৭০ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালেও কর্মকর্তারা আহত হয়েছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এবং ছবিগুলিও দেখা যায় সহিংসতার সময় বেশ কয়েকটি জায়গায় আবর্জনার স্তূপ জ্বলছে।

    এ অবস্থায় প্যারিস এবং বিস্তৃত অঞ্চলে বাস এবং ট্রাম পরিষেবাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু শহরতলীতে রাতের সময় কারফিউ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। লিল এবং ট্যুর শহরেও পরিবহন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।

    ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন কিশোরের মৃত্যুর পরে সবার আবেগের বহিঃপ্রকাশকে সম্মান জানিয়েছেন। তবে তিনি দাঙ্গার নিন্দা করেছেন। বলেন, ‘কোনো কিছুই এই সহিংসতাকে সমর্থন করে না।’

    নাহেলের মা বলেছেন, তিনি হত্যার জন্য সাধারণভাবে পুলিশ বা সিস্টেমকে দায়ী করেননি। কেবল সেই অফিসার যিনি প্রাণঘাতী গুলি চালিয়েছিলেন তাকে দায়ী করছেন।

    নাহেলকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত অফিসার বলেছেন, তিনি গুলি চালিয়েছিলেন কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। তার আইনজীবী ফরাসি রেডিও স্টেশন আরটিএলকে জানিয়েছেন, তার মক্কেল তার আগ্নেয়াস্ত্রটি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।

    এদিকে নাহেলের মৃত্যুর জন্য ওই ফরাসি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

  • একদিনেই ৭ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু

    একদিনেই ৭ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু

    সৌদি আরবে তীব্র গরমে পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। এরই মধ্যে তিনদিনে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। এদিকে আজ একদিনেই সাত বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এবার হজে যাওয়া লক্ষাধিক বাংলাদেশির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সৌদি আরবে অবস্থানকালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এই তথ্য জানিয়েছেন।

    হাব সভাপতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জানান, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সৌদি আরবে মোট মৃত হাজির সংখ্যা ৪৩ জন। এর মধ্যে আজ এক দিনেই সাতজন হাজি মারা গেছেন বলে জানান হাব সভাপতি।

    এদিকে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার আমিরাতভিত্তিক দৈনিক গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, হজের মোট তিন দিনে মক্কার প্রচণ্ড তাপ ও গরমে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। এর বাইরে গত ৩৯ দিনে অন্তত এক লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন হজযাত্রী তীব্র গরমজনিত কারণে অসুস্থতার শিকার হয়ে হাসপাতাল এবং অস্থায়ী স্বাস্থ্যশিবিরগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহম্মদ আল আবদুল আলী।

    চলতি জুন মাসের প্রায় প্রতিদিনই সৌদির গড় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন।

    সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। মৃতদেহ তার নিজ দেশে নিতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না।

    মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়। আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববিতে জানাজা হয়। জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় জানাজা হয়। জানাজা শেষে মক্কার শারায়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অথবা জেদ্দায় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    গত ২৭ জুন মঙ্গলবার পালিত হয় পবিত্র হজ। আগামীকাল শেষ হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। ২ জুলাই রোববার থেকে শুরু হচ্ছে হজের ফিরতি ফ্লাইট। চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত যারা প্রথমে মদিনা গিয়েছেন তারা এবার দেশে ফিরবেন। আর যারা মদিনায় যানটি তারা মদিনায় যাবেন। সেখান থেকেই তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

    চলতি বছর ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ হজ করতে গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে।

    হজ ইসলামের পঞ্চম স্থম্ভ বলে স্বীকৃত। এই ধর্মের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক সামর্থ্যবান ও সক্ষম মুসলিম নরনারীর জন্য জীবনে অন্তত অতি আবশ্যিক বা ফরজ।

    আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় হজ, শেষ হয় ১০ তারিখ পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে। চাঁদের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে আরবি বছর গণনা হওয়ার কারণে প্রতি বছরই ১০ দিন করে এগিয়ে আসে হজের সময়সূচি।

    চলতি বছর এমন এক সময়ে পড়েছে হজের মৌসুম, যখন সৌদিতে পুরোপুরি গ্রীষ্মকাল। সৌদি সরকার অবশ্য হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য মক্কা ও মদিনার ৩২টি হাসপাতাল ও ১৪০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩২ হাজার ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েন রেখেছিল।

    এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিশেষ নির্দেশনায় হজযাত্রীদেরকে, সূর্যালোক যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা, প্রচুর পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণ ও ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। সৌদি সরকারের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছর ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ মক্কায় গিয়েছেন হজ করতে।