Category: আন্তর্জাতিক

  • মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত

    মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত

    অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

    ১. এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই যেসব পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

    ২. যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে ও পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো এরই মধ্যে বার্থিং বা পৌঁছে গেছে এবং ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে ও এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর ও বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।

    ৩. যে ক্ষেত্রে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ও তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।

    এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আর এর মধ্যেই এবার আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

  • ইউনেস্কোর ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় মুসলমানদের ইফতার

    ইউনেস্কোর ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় মুসলমানদের ইফতার

    জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো ইফতার। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের ইফতারকে বুধবার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

    সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একসঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এর কাছে আবেদন করেছিল ইরান, তুর্কি, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।

    ইউনেস্কো বলেছে, ‘সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে মুসলমানরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতার পালন করে। পবিত্র মাসে প্রার্থনার জন্য সূর্যাস্তের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পরিবার ও সম্প্রদায়ের সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এর মাধ্য ভালো বন্ধন, দান, সংহতির মতো সামাজিক বিনিময় ঘটে থাকে।

    সোমবার থেকে বতসোয়ানায় মিটিং করছে আন্তঃসরকারি কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। তারাই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম এই রীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

    জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ‘ইফতার সাধারণত পরিবারের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। পরিবারের ছোট বড় সকলে ইফতার বনানোর দায়িত্ব নেয়।’

    এছাড়াও ইউনেস্কোর বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ইতালীয় অপেরা গান।

     

  • মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৩, ভবনের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি

    মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৩, ভবনের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি

    মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিনজনই শ্রমিক। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

    ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

    পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

    ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

    তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

    যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

    এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

    এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

    অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

  • গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

    গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

    অবশেষে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজা উপত্যকায়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে শুরু হয়েছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এসব তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, যেসব জিম্মি একই পরিবারের, তাদের একসঙ্গে রাখা হবে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চার দিনের মধ্যে ৫০ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

    কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যেভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছিল, বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত মিশর ও দোহায় উপস্থিত পক্ষগুলোর সঙ্গে সেভাবেই সমন্বয় করা হয়েছে। সভাগুলো খুব ভালো ও ইতিবাচক পরিবেশে হয়েছিল।

    তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ফলটি ছিল চুক্তি বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অংশ। আমরা সবসময় বলেছি— এমন কিছু হওয়া দরকার, যা কংক্রিট এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে প্রস্তুত।

    মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। বিকাল ৪টায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে প্রথমে ১৩ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

    গাজা থেকে বন্দিদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাজেদের কাছে। কিন্তু ‘নিরাপত্তার কারণে’ তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন কক্ষের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব।

    যারা ইসরাইলি নন, সেসব বন্দিকে মুক্তির বিষয়ে এক উত্তরে তিনি বলেন, জিম্মিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মানদণ্ডটি সম্পূর্ণরূপে মানবিক। আমাদের ফোকাস ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারী ও শিশুদের ক্ষতির পথ থেকে সরিয়ে আনা। আশা ছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা সবাইকে সময়মতো বের করে আনতে পারব। এবং মানবিক বিরতির মাধ্যমে গাজার মানুষের কষ্ট নিরসন হবে।

    আলজাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যে মানবিক সহায়তা এই চুক্তির ‘একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’। আমরা রাফাহ ক্রসিং থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাহায্য পাঠানোর আশা করছি। এটি গাজার প্রয়োজনের একটি ভগ্নাংশ মাত্র, তবে সেখানে প্রচুর সহায়তা দরকার।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই চুক্তিটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ করা।

    শুক্রবার কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে পারি যে চুক্তিটি পারস্পরিক। আমরা ইসরাইলি পক্ষ থেকেও মুক্তির আশা করছি। যখনই দুই পক্ষের তালিকা নিশ্চিত করা হবে, আমরা জিম্মিদের বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি। আমাদের দলগুলো দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

    যুদ্ধবিরতি ভাঙলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আল-আনসারী বলেন, চুক্তিটি চারদিনের মধ্যে শত্রুতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার বিষয়ে। সুতরাং স্পষ্টতই যে কোনো ধরনের শত্রুতা পুনরায় শুরু করার অর্থ চুক্তি লঙ্ঘন করা।

    গত বুধবার হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। চার দিনের এ বিরতিতে গাজায় অত্যাবশ্যকীয় মানবিক সাহায্য মোতায়েনও অন্তর্ভুক্ত। তবে চুক্তি হলেও ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে।

  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধফ্রন্ট খোলার বার্তা ইরানের

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধফ্রন্ট খোলার বার্তা ইরানের

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধফ্রন্ট খোলার বার্তা দিয়েছে ইরান। দেশটির অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইরান’স রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান মোহসিন রেজায়ি রোববার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র মুসলিম গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সমর্থক টেলিভিশন চ্যানেল আল মায়েদিনকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে রেজায়ি বলেন, ‘জায়নবাদবিরোধী নতুন যুদ্ধফ্রন্ট বা পক্ষ গড়ে তোলার ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন আছে। সামনের দিনের যুদ্ধে সেই ফ্রন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সেই যুদ্ধের মধ্যে দিয়েই বিশ্ব থেকে বিদায় নেবে জায়নবাদী শক্তি।’

    সাক্ষাৎকারে মোহসিন রেজায়ি বলেন, তিনি মনে করেন যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ আরও বেশ কিছুদিন চলবে। ইসরায়েল চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। গাজায় তারা যত অগ্রসর হবে— ততই ডুববে। বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী) পতনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই যুদ্ধ।’

    গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

    হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই অভিযান এখনও চলছে।

    হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

  • কাশ্মিরের ডাল লেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশি নিহত

    কাশ্মিরের ডাল লেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশি নিহত

    ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরের ব্যাপক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ডাল লেকে হাউসবোটে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত তিন বাংলাদেশি পর্যটক নিহত হয়েছেন। শনিবার ডাল লেকের কয়েকটি হাউসবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওই বাংলাদেশিরা মারা গেছেন।

    কাশ্মিরের পুলিশ বলছে, শনিবার ভোরের দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ডাল লেকের কয়েকটি হাউসবোট ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে তিন বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া সাফিনা হাউসবোটে ছিলেন ওই তিন বাংলাদেশি। পুলিশ বলছে, ডাল লেকের ৯ নাম্বার ঘাটের কাছের একটি হাউসবোটে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য হাউসবোটও পুড়ে যায়।

    স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় অন্তত পাঁচটি হাউসবোট একেবারে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া আগুনে আরো কয়েকটি হাউসবোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মির পুলিশ।

  • নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ১২৮

    নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ১২৮

    ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এক ভূমিকম্পে নেপালে অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

    ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য, দিল্লির স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৩২ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।

    প্রতিষ্ঠানটি এক্স বার্তায় জানায়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নেপাল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

    মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এই ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল নেপালের জুমলা থেকে ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে।

     

  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৮ হাজার, অর্ধেকই শিশু

    গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৮ হাজার, অর্ধেকই শিশু

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির অর্ধেকই শিশু। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি।

    টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। অবিরাম এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। রোববার (২৯ অক্টোবর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে বলে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও বোমা হামলার ফলে গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার অর্ধেকই শিশু।’

    অন্যদিকে গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে আল হাদাথ টিভি চ্যানেল বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে প্রায় সর্বশেষ আপডেটে ৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল।

    এছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ভূখণ্ডটিতে আহত মানুষের সংখ্যা ১৯ হাজার ছুঁয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরায়েল।

    হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪০০ ইসরায়েলি। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া আরও ২২৯ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

    হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মধ্যে ইসরায়েলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেও গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

    এই ঘটনার জের ধরে গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

    একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।

  • তাইওয়ানে ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

    তাইওয়ানে ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

    তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৬.২ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

    ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী তাইপেইয়ের ভবনগুলো কাঁপলেও এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে ভূপৃষ্ঠের ৫.৭ কিলোমিটার (৩.৫ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে।

    এদিকে ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী তাইপেইয়ের মেট্রো পরিষেবার ট্রেনগুলো ধীর হয়ে যায় তবে পরে সেই পরিষেবা বেশ দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায় বলে শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় তাইওয়ানে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। যে কারণে এই মাত্রার কিছু ভূমিকম্প সেখানে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। যদিও ভূমিকম্পের গভীরতা এবং আঘাত হানার স্থানের ওপর এর ভয়াবহতা নির্ভর করে।

    এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইলান শহরে সাড়ে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৭ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হওয়ায় সেই সময় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

    এছাড়া দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র হুয়ালিয়েনে ২০১৮ সালে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই ভূমিকম্পে অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি এবং আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছিলেন।

    এর আগে ২০১৬ সালে দক্ষিণ তাইওয়ানে আঘাত হানা ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল। এছাড়া ১৯৯৯ সালে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে তাইওয়ানে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

  • হামাস ও পুতিনকে জিততে দেব না : বাইডেন

    হামাস ও পুতিনকে জিততে দেব না : বাইডেন

    ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জিততে দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আরও বেশি শক্তিশালী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

    এছাড়া আমেরিকা এখনও সারা বিশ্বের জন্য একটি বাতিঘর বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ইসরায়েল এবং ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়েও কথা বলেন।

    এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হামাস ও ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও এক কাতারে ফেলেন বাইডেন।

    বিবিসি বলছে, ফিলিস্তিনি হামাস গ্রুপকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুলনা করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘হামাস এবং পুতিন ভিন্ন ভিন্ন হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু তাদের লক্ষ্য একই: তারা উভয়ই প্রতিবেশী গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে চায়।’

    বাইডেন দাবি করেন, ‘ইউক্রেনের প্রকৃত রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার যে অধিকার আছে সেটিই অস্বীকার করেছেন পুতিন।’

    প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরাসরি আমেরিকান জনগণকে সম্বোধন করে বলেন: ‘আমি জানি এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতগুলো আমেরিকানদের জন্য অনেক দূরের ঘটনা বলে মনে করা হয়ে থাকে এবং এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা স্বাভাবিক, কেন এই সংঘাত আমেরিকানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে?’

    তার দাবি, ‘ইসরায়েল এবং ইউক্রেনের সফলতা নিশ্চিত করাটা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ইউক্রেনে দখলদারিত্বের জন্য পুতিনের ক্ষুধা বন্ধ করতে না পারি তবে তিনি নিজেকে আর ইউক্রেনের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখবেন না।’

    মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আগের চেয়ে শক্তিশালী। আমেরিকা বিশ্বের কাছে এখনও একটি আলোকবর্তিকা, এখনও।’

    তিনি হামাস ও পুতিনকে জিততে দেবেন না বলেও জানান বাইডেন। এছাড়া জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য চলতি বছরের শুরুতে পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে গোপন সফরে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

    ইউক্রেন ও গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘ঝুঁকি হচ্ছে চলমান সংঘর্ষ এবং বিশৃঙ্খলা বিশ্বের অন্যান্য অংশে… বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

    তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করছে’। তার দাবি, সেই ভবিষ্যৎ হবে ‘আরও স্থিতিশীল’ এবং ‘প্রতিবেশীদের সাথে আরও বেশি সংযুক্ত’।

    মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলছেন, ইসরায়েল এবং ইউক্রেনকে সাহায্য করতে অস্বীকার করাটা ‘কেবলই মূল্যহীন’। তার দাবি, ‘আমরা ইতিহাসের একটি পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছি। এটি সেই মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি যেখানে আমরা আজ যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তা আগামী কয়েক দশকের ভবিষ্যতের রূপ দিতে চলেছে।’

    প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব ধরনের ইসলামফোবিয়া বা ইসলাম-বিদ্বেষ এবং ইহুদি বিদ্বেষ প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তিনি মুসলিম এবং ইহুদি আমেরিকানদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সবাই আমেরিকান।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলেরই বিতর্ক ও মতবিরোধ করার অধিকার আছে। তবে আমেরিকানদের অবশ্যই হিংসা ও বিদ্বেষ ত্যাগ করতে হবে এবং একে অপরকে সহযোগী আমেরিকান হিসাবে দেখতে হবে। মুসলিম, ইহুদি বা যে কারও বিরুদ্ধেই হোক না কেন আমরা সব ধরনের ঘৃণা প্রত্যাখ্যান করি।’

    বাইডেনের ভাষায়, ‘বিশ্বের মহান জাতিগুলো ঠিক এটাই করে এবং আমরা একটি মহান জাতি।’

  • গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৫০০

    গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৫০০

    ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

    এ হাসপাতালটিতে হাজার হাজার লোক চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারী বোমা হামলা থেকে বাঁচতে।

    প্রাথমিকভাবে যেটা জানা যাচ্ছে তা হচ্ছে গাজা ভূখন্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ব্যাপটিস্ট হসপিটালে এই ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় মানুষের তাজা রক্ত পড়ে আছে।

    গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের উপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

    বিবিসির সংবাদদাতা টম বেটম্যান আল আহলি আরব হাসপাতালে পৌঁছিয়েছেন। তিনি জানান, চার দিকে রক্তাক্ত, নিস্তব্ধ মানুষগুলো পড়ে আছেন। বিদ্যুৎ নেই, তাই অন্ধকারের মধ্যেই তাদের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

    হাসপাতালের বাইরে লাশ পড়ে আছে, বিধ্বস্ত গাড়ি দেখতে পাচ্ছেন বিবিসি সংবাদদাতা।

    কিছু ভিডিও বিবিসির কাছে এসেছে, যেগুলো যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটা বিরাট বিস্ফোরণ হচ্ছে।

    স্থানীয়রা বলেছেন, হাসপাতালের একটা বড় হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক শ’ মানুষ।

    অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক শ’ মানুষ ধ্বংস্তূপে আটকিয়ে পড়েছেন।

    এ ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ-এর (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

    ইরান, তুরস্ক, কাতার, মিশর এবং জর্ডান আল-আহলি আল-আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা করেছে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার নৃশংস কাজ বলে নিন্দা করেছেন।

    এর আগে জানা যায় যে গাজার একটি বিদ্যালয়ের ওপরেও ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়। জাতিসংঘ বলেছে, ওই হামলায় অন্তত ছয়জন মারা গেছেন যারা ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই বিমান হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।

    এ বিষয়ে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’ থেকে তামারা আল-রিফাই বলেছেন, ওই এলাকায় সরাসরি বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। অথচ এটা ছিল একটি শরণার্থী কেন্দ্র। এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অত্যন্ত দুঃখজনক লঙ্ঘন।’

    অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলে ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।

    এদিকে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা বলেছে, গাজায় মৃতদেহ রাখার জন্য পর্যাপ্ত বডি-ব্যাগ নেই।

    এর আগে সোমবার ইসরায়েলি ও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল যে সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি হবে। সেই সময় গাজা থেকে বিদেশিরা মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বের হতে পারবেন এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছতে পারবে। তবে খবর প্রকাশের পর এমন তথ্য অস্বীকার করে ইসরায়েল।

    চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।

    ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের কারণে হাসপাতালগুলোতে ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো জ্বালানি মজুত আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্ব সংস্থাটির মানবিক দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘জেনারটরের ব্যাপকআপ না থাকায় হাজার হাজার রোগীর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।’

    ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ গাজায় সুপেয় পানি ও ত্রাণ সরবরাহ পাঠানোর সুযোগ করে দিতে এর আগে অনুরোধ জানিয়েছিল একাধিক ত্রাণ সংস্থা।

  • ক্ষমা চেয়ে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়তে বলল কলম্বিয়া

    ক্ষমা চেয়ে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়তে বলল কলম্বিয়া

    ক্ষমা চেয়ে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়তে বলল কলম্বিয়া
    কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রা- ফাইল ফটো/রয়টার্স
    ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ক্ষমা চেয়ে দেশ ছাড়তে বলেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। সম্প্রতি গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানোয় ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রা। এরপর দেশটিতে সামরিক সরঞ্জাম রফতানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।

    আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলভারো লেইভা দেশটিতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গালি দাগানকে ক্ষমা চেয়ে দেশ ছাড়তে বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লেইভা দাগানকে ‘অভদ্র’ বলে অভিযুক্ত করেন।

    পোস্টে তিনি বলেন, ‘সর্বজনীন কূটনীতির ইতিহাস একটি মাইলফলক হিসাবে রেকর্ড করবে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভোর প্রতি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের নির্বোধ অভদ্রতা। তার অন্তত ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং চলে যাওয়া উচিত।’

    লেইভার এই বিবৃতিটি কলম্বিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে।

    ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল। প্রেসিডেন্ট পেত্রা গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করায় কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তিরস্কার করে ইসরায়েল।

    এর আগে কলম্বিয়া ইসরায়েলে হামলা চালানোর জন্য হামাসের নিন্দা জানাতে অস্বীকার করে। দাগান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের পর থেকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রার সমালোচনামূলক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন।

    কলম্বিয়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে এবং এর সমর্থন জানাতে অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রা গাজায় মানবিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    কলম্বিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্রসহ যেসব সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে সেগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েল থেকে আমদানি করা। তবে সম্প্রতি গাজায় হামলার কঠোর সমালোচনার পর কলম্বিয়ায় সামরিক সরঞ্জাম রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

    গাজার উপর ইসরায়েলের আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরাগভাজন হয়ে পড়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যদি আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় যাক, আমরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা মেনে নেব না। ইসরায়েলের মিত্র দেশ হিসেবে আমরা সেই অন্যায়ের ভাগীদার হতে চাই না।

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২,৮৩৭ জনে পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে। সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে পড়া গাজায় মৃতদেহ রাখার ব্যাগের সংকট দেখা দিয়েছে।

    ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইসরায়েলি।