Category: আন্তর্জাতিক

  • গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

    গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

    ইসরায়েল গাজা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে উপত্যকার একটি অংশ বড় আবারও দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

    তবে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ইসরায়েল যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলবে।

    এসময় গাজায় খাদ্য-পানিসহ ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এবং বিপদগ্রস্ত বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

    সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, হামাস ‘সব ফিলিস্তিনি জনগণের’ প্রতিনিধিত্ব করে এবং তিনি এই গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল দেখতে চান।

    গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। আহত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

    আর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭০ জনে। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

    গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

  • গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল

    গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল

    ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের ছত্রছায়ায় স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের ‘নির্মূল’ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।

    শুক্রবার ইসরাইলের সেনাদের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাংক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। একে প্রতিশোধ অভিযানের শুরু বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। খবর রয়টার্সের।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারি বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।

    গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাংশের ১১ লাখ বাসিন্দাকে সরে যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় ইসরাইল। সেসঙ্গে সীমান্তে ট্যাংকের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ করা হচ্ছিল।

    ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘উল্লেখযোগ্য’ অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।

    ইসরাইলের এ ঘোষণার পর গাজা শহর ছাড়তে দেখা যায় অনেক বাসিন্দাকে। তবে হামাস তাদের যার যার বাড়িতে থাকার আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথাও তারা বলে। মসজিদের মাইক থেকেও স্থানীয়দের যার যার বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়।

    এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরাইলের ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। না হলে ভয়ঙ্কর মানবিক সঙ্কট তৈরি হবে বলেও সতর্ক করা হয়।

    কিন্তু ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি পরে বলেন, তাদের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের সহায়তা নিয়ে গাজার ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি রকেট হামলাকারীদের ‘নির্মূল’ করার পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে তারা।

  • গাজাবাসীদের অবশ্যই তাদের ভূখণ্ডে থাকতে হবে: মিশরের প্রেসিডেন্ট

    গাজাবাসীদের অবশ্যই তাদের ভূখণ্ডে থাকতে হবে: মিশরের প্রেসিডেন্ট

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের অবশ্যই তাদের ভূখণ্ডে থাকতে হবে হবে মন্তব্য করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) তিনি বলেন, গাজাবাসীদের অবশ্যই ‘অবিচল থাকতে হবে এবং তাদের ভূখণ্ডে থাকতে হবে’।

    বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাচ্ছে এবং হামলার মুখে গাজায় আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বানের মধ্যে সিসি এই মন্তব্য করলেন।

    মিশর এবং অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং হলো উপকূলীয় এই উপত্যকাটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার একমাত্র পথ যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত নয়।

    ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আকাশপথে চালানো এই হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ছাড়িয়েছে দেড় হাজার।

    এছাড়া ব্যাপক হামলায় গাজা ইতোমধ্যেই পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। এমনকি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির লাখ লাখ মানুষের ঘুমানোর কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি)।

    এই পরিস্থিতিতে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দিতে মিশরকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। জবাবে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জানিয়ে দিলেন, গাজাবাসীদের অবশ্যই তাদের ভূখণ্ডে থাকতে হবে।

    ফিলিস্তিনিদের ‘বৈধ অধিকার’ নিশ্চিত করার বিষয়ে কায়রোর ‘দৃঢ় অবস্থান’ নিশ্চিত করে মিশরের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, মিশর এই কঠিন সময়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘চিকিৎসা ও মানবিক উভয় ধরনের সহায়তা প্রদান’ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    বৃহস্পতিবার তিনি এক সামরিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন, তবে গাজাবাসীদের অবশ্যই ‘অবিচল থাকতে হবে এবং তাদের ভূখণ্ডেই থাকতে হবে’।

    ২৪ লাখ লোকের ছোট্ট উপকূলীয় গাজা ভূখণ্ড ২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল অবরুদ্ধ করে রেখেছে। হামাসের হামলার জেরে এখন পানি, খাদ্য এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া টানা ছয় দিনের বিরতিহীন বিমান ও কামানের গোলাবর্ষণে পুরো গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

    ঐতিহাসিকভাবে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মিশর দাতাদেরকে গাজার জন্য এল আরিশ বিমানবন্দরে মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি।

    আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির দাবি, গাজাবাসীদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার অর্থ হবে ‘ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করা’। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, মিশর ইতোমধ্যেই ‘সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৯০ লাখ অতিথিকে (শরণার্থী) আশ্রয় দিয়েছে।’

    তার দাবি, ‘কিন্তু গাজাবাসীদের বিষয়টি ‘অন্যরকম’। কারণ তাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার অর্থ হবে ‘(ফিলিস্তিনিদের) নির্মূল করা।’

  • ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল

    ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল

    ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের ওয়াদি গাজার উত্তরে বসবাসরত ১১ লাখ মানুষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তর করতে বলেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।

    জাতিসংঘ জানায়, ইসরায়েল যতসংখ্যক মানুষকে সরানোর কথা বলেছে, সে সংখ্যাটি গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

    বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় গাজার বাসিন্দাদের সরানোর এ বার্তা দেয় ইসরায়েল।

    এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি ছাড়া এ ধরনের স্থানান্তর অসম্ভব বলে মনে করে জাতিসংঘ।’

    গাজা থেকে ইসরায়েলে ঢুকে ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। দেশটি গাজা সীমান্তের কাছে বিপুলসংখ্যক সেনা, ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও কামান মোতায়েন করেছে।

  • অর্থনীতিতে নোবেলজয় ক্লডিয়া গোল্ডিনের

    অর্থনীতিতে নোবেলজয় ক্লডিয়া গোল্ডিনের

    অর্থনীতিতে নোবেল জয় করলেন অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিন। সোমবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টার দিকে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ২০২৩ সালের অর্থনীতি শাখার নোবেলজয়ী হিসেবে এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপকের নাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।

    অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে ১৯৬৯ সাল থেকে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এই শাখায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মোট ৫৪টি। চলতি বছরের ৫৫তম পুরস্কারটি অর্জন করলেন।

    স্টকহোমে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণার অনুষ্ঠানে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের জুরিরা বলেন, নারী শ্রমিকদের বাজার সম্পর্কে সাধারণ লোকজনের জানাশোনা ও বোঝাপড়ার উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক ও গবেষককে চলতি বছর নোবেলের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করেছে একাডেমি।

    শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানব সভ্যতায় নারীর অর্থনৈতিক অবদান, উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকর্ম রয়েছে অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিনের। বিভিন্ন রেকর্ড ও আর্কাইভ ঘেঁটে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে যেসব তথ্য হাজির করেছেন এই অধ্যাপক, তা রীতিমতো বিস্ময় জাগানিয়া।

    সমাজে নারীর অর্থনৈতিক অবদান বিচার বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নারীর বিবাহ ও সন্তানধারণ। মূলত এ দুই কারণে অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা পুরুষের চেয়ে কম বলে বিবেচনা করেন অনেকেই।

    কিন্তু নারীর বিবাহ ও সন্তানধারণের মাধ্যমেও নারীরা কীভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখছেন হাজার হাজার বছর ধরে— তা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। মূলত এ কারণেই তাকে নোবেলের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

    গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেলজয় করলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। তার আগে এই শাখায় এই পুরস্কার অর্জন করেছেন মাত্র ৩ জন নারী।

     

  • আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২০

    আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২০

    আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২০ জনে। এতে আহত হয়েছে এক হাজারের মতো মানুষ। 

    দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান মুসা আসহারি জানিয়েছেন ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ইরানের সীমান্তের কাছে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন আটকা পড়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কারণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ১২টি গ্রাম।

    প্রাথমিক ভূমিকম্পের পর অন্তত তিনটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। হেরাতের বাসিন্দা বশির আহমেদ (৪৫) বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আমরা আমাদের অফিসে ছিলাম এবং হঠাৎ ভবনটি কাঁপতে শুরু করে। দেয়ালের প্লাস্টার নিচে পড়তে শুরু করে এবং দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। কিছু দেয়াল এবং ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ে।

    তিনি আরও বলেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না, নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আমি খুব চিন্তিত এবং ভীত। এটা সত্যিই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল।

    হেরাত ইরানের সঙ্গে থাকা সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এবং এটা আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের তথ্য অনুসারে, আনুমানিক ১৯ লাখ মানুষ এ হেরাত প্রদেশে বসবাস করছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

    এর আগে গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গত কয়েক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সেটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প ছিল বলে সেই সময় জানায় দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

    এছাড়া চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে অন্তত ১৩ জন নিহত হন।

    মূলত হিন্দুকুশ পর্বতমালা ও ইউরেশীয়-ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থান হওয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান।

  • ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০

    ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০

    শনিবার সকাল থেকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৫২ জন।

    এর মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ২৬৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, আহতদের চাপ বেড়েছে দক্ষিণ ইসরায়েল ও গাজার সবগুলো হাসপাতালে। তাই এসব হাসপাতালে একটি বেডও ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না।

    এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৭ জন।

    উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হাজার হাজার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ব্যাপক নিরাপত্তাবেষ্টিত সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। হামাসের সাথে ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে অন্তত ২৫০ জন এবং গাজা উপত্যকায় ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

  • রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

    রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

    এবছর রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন আলেক্সি ইয়াকিমভ (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন), মুঙ্গি বাওয়েন্ডি (ফ্রান্স) ও লুই ব্রুস (যুক্তরাষ্ট্র)। বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় স্টকহোমে রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।

    কোয়ান্টাম বিন্দুর আবিষ্কার এবং সংশ্লেষণের জন্য তাদের এবছর বিজয়ী করা হয়েছে।

    ২০২২ সালে রসায়নে নোবেল পান তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি, ব্যারি শার্পলেস ও ডেনমার্কের মর্টেন মেলডাল।

    চলতি বছর ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম। গত সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাবিজ্ঞানে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে ও শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।

    ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।

    এ বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

  • সিকিমে হঠাৎ বন্যায় নিখোঁজ ২৩ সৈন্য

    সিকিমে হঠাৎ বন্যায় নিখোঁজ ২৩ সৈন্য

    ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যায় ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক তল্লাশি চলছে। 

    সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড জানিয়েছে, লাচেন উপত্যকার কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চুংথাং বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার ফলে হঠাৎ করে পানির স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচুতে প্লাবিত হয়। এর ফলে সিংটামের কাছে বারদাংয়ে সেনা ছাউনিতে পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ এবং কিছু যানবাহন পানির নিচে ডুবে গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

    সিকিমে মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপক বর্ষণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ উপচে পড়ে। এতে অতিরিক্ত পানি তিস্তা নদীতে চলে আসায় হঠাৎ পানির স্তর বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

    হঠাৎ বন্যার ঘটনায় সিকিম প্রশাসন সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, পানিতে ভেসে গেছে সড়ক। নদীতে জলোচ্ছ্বাসের মতো অবস্থা।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা পরিদর্শনের সময় বলেন, বন্যায় কেউ আহত হয়নি, তবে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ত্রাণ তৎপরতা চলছে।

    ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিকিমের চুংথাং হ্রদ উপচেপড়ায় তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। গাজলডোবা, দোমোহনী, মেখলীগঞ্জ ও ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

    জানাযায়, আকস্মিক বন্যায় হু হু করে পানি ঢুকে পড়েছে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। পানির স্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে গেছে। তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। নিখোঁজ সেনা সদস্যরা ভেসে গেছে নাকি পাহাড়ের খাদে পড়েছে তা জানা যায়নি। এরই মধ্যে আবার ধস নামতে শুরু হয়েছে।

    এদিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দুই কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সমতলে। বিপদ এড়াতে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৫ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে যা এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ।

  • ইতালিতে ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, নিহত ২১

    ইতালিতে ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, নিহত ২১

    ইতালির ভেনিসে ফ্লাইওভার থেকে যাত্রীবাহী বাস নিচে পড়ে ২ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতদের মধ্যে ইতালি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। 

    বিবিসি জানিয়েছে, বাসটি ফ্লাইওভারের বাধা ভেদ করে মেস্ত্রে জেলার রেলপথের কাছে পড়ে যায়, যা একটি সেতুর মাধ্যমে ভেনিসের সঙ্গে সংযুক্ত। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ার পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।

    ভেনিস ও নিকটবর্তী মারঘেরা জেলার একটি ক্যাম্পসাইটের মধ্যে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসটি ভাড়া করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বাসটি পর্যটকদের ক্যাম্প সাইটে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে।

    দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি মিথেন গ্যাস দ্বারা চালিত ছিল এবং বিদ্যুতের লাইনে পড়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

    ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো এ ঘটনাকে ‘বিশাল ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। হতাহতদের উদ্ধারে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    ইতালির আনসা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। ৫ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

    তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি।

    আঞ্চলিক গভর্নর লুকা জাইয়া জানিয়েছেন, হতাহতদের মধ্যে শুধু ইতালীয় নয়, বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।

    স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জানান, নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনীয় পর্যটকও রয়েছেন। অন্যদিকে ইতালীয় বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে জার্মান নাগরিকও ছিল।

  • কানাডাকে ৪১ কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বললো ভারত

    কানাডাকে ৪১ কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বললো ভারত

    ভারতে নিযুক্ত ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে কানাডাকে বলেছে নয়াদিল্লি। মোদি সরকার জানিয়েছে, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এসব কানাডিয়ান কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে হবে।

    কানাডার খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন যে, শিখ নেতা হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত রয়েছে। এর নির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে।

    এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে বলা হলো। নয়াদিল্লির এই নির্দেশে দু’দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হতে চলেছে বলে মনে করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।

    গত জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জার। হরদীপের খুনের নেপথ্যে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে বলে সম্প্রতি সেদেশের পার্লামেন্টে মন্তব্য করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

    কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। আর এই ঘটনা নিয়েই দু’দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক চাপানউতর। ভারতে বসবাসকারী বা ঘুরতে যাওয়া কানাডার নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে দেশটির সরকার। পাল্টা জবাবে কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় শিক্ষার্থী এবং নাগরিকদের সতর্কভাবে থাকতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন টালমাটাল, তখন আবার নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের দিকেই আঙুল তোলেন ট্রুডো। এর জবাবে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় কানাডার বিরুদ্ধে সরব হন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

  • করোনার টিকায় চিকিৎসায় নোবেল

    করোনার টিকায় চিকিৎসায় নোবেল

    অত্যাধুনিক এমআরএনএ করোনা টিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০২৩ সালে চিকিৎসা খাতে বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার নোবেল জয় করলেন ক্যাথিলন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২ অক্টোবর (সোমবার) সুইডেনের নোবেল অ্যাসেম্বলি চিকিৎসায় চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে এই দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে।

    ১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ১৯০১ সাল থেকে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন এই খাতে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল জিতেছেন। এই নোবেলজয়ীদের মধ্যে ১২ জন নারী।

    এই শাখায় নোবেলজয়ীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানীর নাম ফ্রেডরিখ জি. ব্যান্টিং। ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসার জন্য অতি জরুরি উপকরণ ইনসুলিনের আবিষ্কারের সুবাদে ১৯২৩ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে নোবেল জেতেন ব্যান্টিং।

    আর সবচেয়ে বেশি বয়সে এই শাখায় নোবেলজয়ীর নাম পিটন রাউস। দেহে টিউমার সৃষ্টিকারী ভাইরাস শনাক্তের সুবাদে ১৯৬৬ সালে যখন পিটন নোবেল পুরস্কার জয় করেন, সে সময় তার বয়স ৮৭ বছর।