Category: লাইফস্টাইল

  • মশা তাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে

    মশা তাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে

    এখন সারাদেশে বেড়ে গেছে মশার উপদ্রব। ফলে বেড়েছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজেই মশা তাড়ান। যেমন—

    ক) তুলসিগাছ : টবে, জানালার পাশে বা বারান্দায় কয়েকটি তুলসিগাছ লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন মশা পালাবে।

    খ) কর্পূর : কর্পূরের গন্ধ একদমই সহ্য করতে পারে না মশা। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের টুকরো একটি ছোট বাটিতে রেখে পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। দু’দিন পর পানি পরিবর্তন করুন।

    গ) নিম তেল : নিমের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। নিম তেল গায়ে মাখলে মশার কামড় থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শুধু নিমপাতা ঘরের কোণে রেখে দিলেও মশার উপদ্রব কমে যাবে।

    ঘ) রসুন : রসুনকে বলা হয় মশার যম। কয়েকটি রসুনের কোয়া থেঁতলে জলে সিদ্ধ করুন বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। এবার ওই জল সারা ঘরের বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে করুন। দেখবেন মশা উধাও।

    ঙ) লেবু ও লবঙ্গ : একটি বা দুইটি লেবু মাঝামাঝি কাটুন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লবঙ্গের ফুলের অংশটুকু বাইরে থাকবে আর পেছনের অংশ লেবুতে গেঁথে থাকবে। এবার সেই লেবুর টুকরাগুলো প্লেটে করে ঘরের কোণে রেখে দিন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে মশা নেই।

    চ) সুগন্ধি : মশা সুগন্ধি খুব অপছন্দ করে। মশা তাড়াতে দেহে বা জামায় আতর, সুগন্ধি বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগেও শরীরে মাখতে পারেন।

    ২৪ঘণ্টা.জেআর

  • ঘরোয়া উপায়ে সাইনাস থেকে সমাধান

    ঘরোয়া উপায়ে সাইনাস থেকে সমাধান

    প্রচণ্ড মাথাব্যথা সাইনাসের সমস্যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। আমাদের নাক ও মাথার চারদিকে কিছু ফাঁকা জায়গা থাকে। এই জায়গায় বায়ু চলাচল করে। কোনো ইনফেকশন হলে সেখানে জমতে পারে কফ। এর থেকেই সমস্যা হয়| 

    অনেকেই সাইনাসের ব্যথাকে মাইগ্রেন ভেবে ভুল করেন। সাইনাস রোগটি ইনফেকশন, অ্যালার্জি থেকে হয়। অন্যদিকে মাইগ্রেন হলো স্নায়ুর অসুখ।

    কী কী লক্ষণ দেখাদেয় সাইনাসের সময়?
    মাথাব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা, হালকা জ্বও, বমি বমি ভাব, ঠান্ডা লাগা।

    উপরের ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে একদম অবহেলা নয়। বরং চেষ্টা করুন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। তবেই রোগ থেকে মিলতে পারে মুক্তি।

    জেনে নেওয়া যাক সাইনাস থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় :

    ১) আদা চায়ে সমাধান : আদা চা নিয়মিত পানে সাইনাসের সমস্যায় স্বস্তি মিলবে। আদায় অ্যান্টিইফ্লেমেটরি গুণ থাকে। আদা চায়ের সঙ্গে মধু মেশালে আরও উপকৃত হবেন। মধুর ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতা আছে। তাই এই চা পান করলে শরীর সুস্থ থাকবেন ও সাইনাসের যন্ত্রণাও কমবে।

    ২) নাক পরিষ্কার করুন পানিতে : লবণ পানিতে নাক ধুয়ে নিলেই দেখবেন সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। প্রথমে কিছুটা বেকিং সোডা নিন। তার সঙ্গে পানি মিশিয়ে সামান্য লবণ দিন। তারপর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে এই পানি নাকের সামনে ধরে টানুন। প্রথমে কষ্ট হবে। তারপর ঠিক অভ্যাস হয়ে যাবে। এই উপায়ে সহজেই কমবে ব্যথা।

    ৩) গরম পানির ভাপ : প্রথমে ভালো ভাবে ফুটিয়ে নিন পানি। এবার মাথায় একটি কাপড় দিয়ে নাক দিয়ে গরম পানির বাষ্পীভূত ধোয়া টানুন। এভাবে দিনে ৩—৪ বার করুন। আশা করি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

    ২৪ঘণ্টা.জেআর

  • ত্বকের জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ অ্যালোভেরা

    ত্বকের জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ অ্যালোভেরা

    অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ। শীতে রুক্ষ-ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর, মসৃণ ও মোলায়েম করে এমন কিছুর খোঁজ করছেন বেশ তো আস্থা রাখুন প্রকৃতিতেই। শুধুমাত্র একটি উপাদানেই ফিরে পাবেন কাঙ্ক্ষিত ত্বক।

    অ্যালোভেরা ব্যবহার বিধি : ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অ্যালোভেরাতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল উপাদান আছে যার দরুণ অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে সারিয়ে তোলে।

    স্ক্র্যাব : অ্যালোভেরার সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে মিহি স্ক্র্যাব তৈরি করুন। ওটমিল ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে। এটি রোমকূপ ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বককে সতেজভাবে নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করে।

    ত্বক উজ্জ্বল করতে : অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এতে করে ধীরে ধীরে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হতে শুরু করবে। টক দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যার মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে।

    প্রাকৃতিক ক্লিনজার : অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে শশার রস মিশিয়ে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে ত্বক লাবণ্যময়, সতেজ ও সুস্থ হয়ে ওঠে।

    অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়। আবার অ্যালোভেরা কিনে জেল বের করে ব্যবহার করতে পারেন। বা চাইলে ঘরেই একটা টবে কয়েকটা অ্যালোভেরা গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আর বাজার থেকে কিনতে হবে না।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ দাঁত ব্যাথা

    হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ দাঁত ব্যাথা

    বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। কমবয়সীদের মধ্যেও এখন বাড়ছে হার্টের সমস্যা। হার্ট অ্যাটাকের বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অন্যতম। তবে এর সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক এমনকি দাঁতের ব্যথার মতো সাধারণ লক্ষণও হার্ট অ্যাটাকের আগে দেখা দিতে পারে। যা বেশিরভাগ মানুষই অবহেলা করেন।

    হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদরোগেরও অন্যতম এক লক্ষণ হতে পারে এটি। যা অনেক মাস আগে দেখা দেয়। তাই নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে ও কুসুম গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়।

    এ বিষয়ে মেথোডিস্ট রিচার্ডসন মেডিকেল সেন্টারের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, এমডি এনহান নুগুয়েন বলেছেন, হার্ট অ্যাটাকের কম পরিচিত লক্ষণও আছে, যা হার্ট অ্যাটাক কিংবা হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়। তেমনই একটি কম পরিচিত হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হলো দাঁত বা চোয়ালে ব্যথা। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ যেমন- বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাসকষ্ট কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে কমবেশি সবার ধারণা আছে।

    ডা. নগুয়েনের মতে, কিছু মানুষ হার্ট অ্যাটাকের আগে দাঁতে ব্যথা বা চোয়ালে ব্যথা অনুভব করেন। আসলে হার্টের সমস্যার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত স্নায়ুর কারণেই ঘটে।

    নোংরা দাঁত বা মাড়ির ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটানোর মাধ্যমে রক্তের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে হার্টের ভালভেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই দাঁতের সমস্যাকে কখনো অবহেলা করা উচিত নয়।

    এ বিষয়ে ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. ভারলক্ষ্মী জানান, অনেক গবেষণায় ওরাল হেলথ ও হৃদরোগের মধ্যে গভীর সম্পর্ক দেখা গেছে। নোংরা দাঁত ও মাড়ি ফুলে গেলে হার্টের শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • পাকা পেঁপে সারাবে পাইলস

    পাকা পেঁপে সারাবে পাইলস

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পাইলস সারাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে পাকা পেঁপে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। অনেকের আবার হজমের সমস্যা বাড়ে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে পাইলস হয়ে যায়। যা এক মারাত্মক সমস্যা। 

    পাকা পেঁপেতে থাকে এনজাইম প্যাপেইন যা হজমে সাহায্য। যেকোনো জটিল খাবার সহজে পরিপাক করাতে পারে পেঁপে। যে কারণে খাসির মাংস রান্নার সময় তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে মেশানো হয় পেঁপে।

    একই সঙ্গে পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও পানি। এই প্যাপেইন, ফাইবার ও পানিই কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি সারাতে অব্যর্থ। আমরা সবাই জানি পাইলসের প্রধান কারণই হলো কোষ্ঠকাঠিন্য।

    ঠিক তেমনই পেঁপেতে থাকে আরেকটি জরুরি উপাদান, তা হলো কোলিন। যা শরীরে পেশির সংকোচন, প্রসারণে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।

    পাইলস বা অ্যানাল হেমারয়েডসের সমস্যা দূর করতে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা খুবই প্রয়োজনীয়। এর ফলে অ্যানাল মাসলের সংকোচন, প্রসারণ ভালো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • যেভাবে করবেন হাঁসের মাংস ভুনা

    যেভাবে করবেন হাঁসের মাংস ভুনা

    শীতকাল আসলেই সবাই পছন্দ করেন হাঁসের মাংস খেতে। বিশেষ করে হাঁস ভুনা খেতে খুবই সুস্বাদু। তবে অনেকেই হাঁসের মাংস রাঁধতে গিয়ে ঝক্কি পোহান।

    তারা চাইলে রেসিপি অনুসরণ করে সহজেই রান্না করতে পারেন বিশেষ এই পদ। গরম ভাতের সঙ্গে হাঁস ভুনা খাওয়ার মজাই আলাদা। জেনে নিন রেসিপি-

    উপকরণ : হাঁসের মাংস ১টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ কাপ, আদা বাটা ও রসুন বাটা ৫ টেবিল চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ৩ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ৩ চা চামচ, জিরার গুঁড়া দেড় চা চামচ, দারুচিনি,

    এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা পরিমাণমতো, লবণ ৩ টেবিল চা পরিমাণমতো, কাঠবাদাম, পেস্ট আধা কাপ, তেল ও ঘি ২ কাপ, দুধ আধা কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, কিসমিস বাটা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ১০টি ও পেঁয়াজ কুঁচি ৮ কাপ।

    পদ্ধতি : প্রথমেই হাঁসের মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর তেল ও ঘি গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন।

    আধা চা চামচ চিনি মিশিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে একেক করে এবার সব মসলা দিয়ে দিন। ভালো করে কষাতে হবে।

    হাড়িতে তেল ভেসে এলে বাদাম পেস্ট দিয়ে ধুয়ে রাখা প্রায় ২ কেজি মাংস দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। এতেই স্বাদ বেড়ে যাবে তিনগুণ।

    এরপর ঢেকে দিতে হবে। ১০ মিনিট পরপর নেড়ে দিতে হবে। এরপর বেরেস্তা ও কিসমিস পেস্ট দিয়ে নাড়তে হবে। এ পর্যায়ে চুলার আঁচ কম থাকবে।

    এই রান্নায় কোনো পানি ব্যবহার করা লাগবে না। ঢাকনা তুলে তরল দুধ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ১০ মিনিট জ্বাল দিন।

    সবশেষে ঘি গরম করে মাংসের উপর ঢেলে দিন। কাঁচা মরিচ ও বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে রুটি, পোলাও বা সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার মুখে লেগে থাকা হাঁসের মাংস ভুনা।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • এখন শীতের গরম কাপড়ের চলছে জমজমাট ব্যবসা

    এখন শীতের গরম কাপড়ের চলছে জমজমাট ব্যবসা

    চলতি নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই প্রকৃতিতে কিছুটা শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল। বাংলা কার্তিক মাসের শেষে রাতের তাপমাত্রা কমে অগ্রহায়ণের আগমনের সাথে প্রকৃতি জানান দিয়েছে যাচ্ছে শীত এসেছে। ফলে গ্রামাঞ্চলে সকালে ও রাতে ঠাণ্ডা হিমেল হ্ওয়ার অনুভূতি পাকাপোক্ত হয়েছে। তবে শহরাঞ্চলে পুরোপুরি শীতের দেখা এখনও তেমন পাওয়া যায়নি। সারাদেশেই বাজারে কদর বেড়েছে গরম কাপড় সোয়েটার, জ্যাকেট, রেডিমেড ব্লেজার, শাল চাদর, হুডি, মোটা গেঞ্জিসহ অন্যান্য পোশাকের।

    দেশের প্রায় প্রতিটি মার্কেট, বিপনিবিতানসহ ফুটপাতে এখন গরম কাপড়ের ব্যবসা চলছে জমজমাট। ক্রেতারাও দেখে শুনে নিজের এবং পরিবারের জন্য কেনাকাটা করছেন। অপরদিকে ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা সাধ্যানুযায়ী ছুটছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে।

    এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শাহজাদা ও আজাদ নামের শিক্ষার্থী বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখছিলেন শীতের সোয়েটার এবং জ্যাকেট। তারা বললেন, শীতের গরম পোশাক কিনতে আসিনি। এসেছি শুধুমাত্র দেখে পছন্দ করতে। সাধারণত শীতের জ্যাকেট একবার কেনা হলে পরের এক-দুই বছর আর কেনা হয় না।

    সাধারণত বিভিন্ন ছোট মার্কেটে ও ফুটপাতে শীতের গরম কাপড়ের দাম শুরু হচ্ছে ৩’শ টাকা থেকে ৫’শ টাকায়। আর মার্কেটে জ্যাকেট বা সোয়েটারের দাম সর্বনিম্ন ৮’শ থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকার মধ্যে শুরু হচ্ছে। তবে দোকান, ব্র্যান্ড ও কাপড়ের গুণগত মান ভেদে দামের তারতম্য রয়েছে।

    মহল মার্কেটের বিক্রেতা মোস্তাকিম বলেন, এবারের শীতে বিক্রির জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। শীত বেশি পড়বে এ বছরএমন খবরে আগের তুলনায় অনেক বেশি গরম পোশাক তোলা হয়েছে দোকানে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দামও বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ। হাতাওয়ালা টি শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, হুডিসহ বিভিন্ন কালেকশন রয়েছে। দোকানে রেড টেপ, সিকে, কেলভিন, পোলো, ডেনিম, ডমির বিদেশি ব্র্যান্ডের জ্যাকেটগুলো এসেছে।

    সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের জ্যাকেট এখানে রয়েছে। বেশিরভাগ তরুণই আমার দোকানে ক্রেতা। বেচা-বিক্রি যা হচ্ছে তা নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান।

    জারাযায়, ফ্যাশন নামের দোকানের বিক্রেতা মিনহাজ বলেন, আমরা বিদেশি ও দেশিও বিভিন্ন ধরনের কাপড় সংগ্রহে রেখেছি। ক্রেতারা সাধ্যনুযায়ী স্বল্পমূল্যে শীতের কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন আবার বেশি দামের জ্যাকেট সোয়েটারও কিনতে পারবেন।

    বিক্রেতারা আরও জানান, ছেলেদের উপযোগী শীতের পোশাকই নয় বরং মেয়েদের জন্যও রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কালেকশন। সালোয়ার কামিজের সাথে পরার জন্য রয়েছে লং জ্যাকেট, পঞ্চ, মোটা কাপড়ের টপস ও কার্ডিগেন। শাড়ির সাথে পড়ার জন্য রয়েছে পাতলা শালের চাদর, ফুলস্লিভ ব্লাউজসহ বিভিন্ন হাতা কাটা সোয়েটারও।

    মার্কেটে যেসব ক্রেতারা আসছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রামের পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনদের জন্যই কেনাকাটা করছেন। ক্রেতা হাবিব মোহাম্মদ জানান, ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাবেন তাই বাবা-মা ও পরিবার পরিজনদের জন্য শীতের কাপড় কিনেছেন তিনি।

    ক্রেতা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শীতের শুরু হচ্ছে মাত্র তাই সোয়েটার আর জ্যাকেটের চাহিদা বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি দাম চাইছেন তারা। ছোট বাচ্চাদের সোয়েটার যেগুলো গতবছর ৪’শ / ৫’শ টাকায় পাওয়া যেত সেগুলো এখন ৮’শ / ১ হাজার ৫’শ টাকা দাম চাইছেন। আর জ্যাকেটগুলোর দাম তো আরও বেশি। শীত বাড়ার সাথে সাথে হয়তো দাম কিছুটা কমে আসবে।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত খান এই ৫ বাদাম

    যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত খান এই ৫ বাদাম

    একটা বয়সের পর ত্বক তার নমনীয়তা হারায়। কিন্তু অল্প বয়সে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া সত্যিই চিন্তার কারণ। আজকাল বয়স ত্রিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই অনেকের চোখে, মুখে ফুটে ওঠে বার্ধক্যের ছাপ। ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। মুখে বলিরেখাও পড়তে থাকে। ঠিকমতো ত্বকের পরিচর্যা না করার কারণে এই সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া, অগোছালো জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপানের কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

    অনেকেই ভাবেন ঘরোয়া টোটকা আর নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করলেই বুঝি বয়স বাগে আনা সম্ভব! তবে তার পাশাপাশি ডায়েটেও যে নজর রাখতে হবে, সে বিষয়টি ভুলে যাই আমরা। এমন অনেক বাদাম আছে যেগুলো ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া থেকে আটকাতে পারে।

    জেনে নিন, কোন কোন বাদাম ডায়েটে রাখলেই ত্বক টানটান থাকবে আপনার।

    আমন্ড

    ভিটামিন ই-র দারুণ উৎস আমন্ড। ভিটামিন ই আমাদের ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-র এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন আমন্ড খেলে ঋতুবন্ধের পর নারীদের ত্বকে বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

    আখরোট

    আখরোটে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের ঝিল্লিকে শক্তিশালী করে। তাছাড়া, আখরোট পলিফেনলের ভালো উৎস। প্রতিদিন এক মুঠো করে খান এই বাদাম। ত্বক টানটান থাকবে।

    পেস্তা

    পেস্তায় ভরপুর মাত্রায় পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। পেস্তায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষের ক্ষয় রোধ করে।

    কাজুবাদাম

    কাঁচা কাজুবাদামের কার্নেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইটোস্টেরল এবং ফাইবার রয়েছে। কাজুবাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদেরকে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই বাদাম মানসিক স্বাস্থ্য এবং হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে পারে।

    ব্রাজিল নাটস

    ব্রাজিল নাটস-এ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং সেলেনিয়াম ভরপুর, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং ব্রণের প্রদাহও কমায়।

    এন-কে

  • ওজন কমাতে প্রচুর শসা খাচ্ছেন? ডেকে আনছেন বিপদ!

    ওজন কমাতে প্রচুর শসা খাচ্ছেন? ডেকে আনছেন বিপদ!

    স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় শসা একেবারে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। কম ক্যালরি যুক্ত ফল শসা। এতে পানির পরিমাণও অনেক। এছাড়া, শসায় ভিটামিন,মিনারেলস এবং ফাইবার থাকে। শসার এত উপকারিতার কারণে অনেকেই সারাদিন ধরে শসা খেতে থাকেন।

    শসা মানেই সহজে হজম এবং ওজন কমানোর ওষুধ। এটাই চলতি ধারনা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যকর শসা থেকেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ! অত্যধিক শসা খেলে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    চলুন জেনে আসা যাক সেই সমস্যাগুলো…

    > অনেক সময় সদ্য কাটা শসাও তেতো লাগে। আর তেতো শসা মানেই তা টক্সিক। কারণ শসাতে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনিওডের মতো রাসায়নিক থাকে, যা শসাকে তিক্ত করে তোলে। এই বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং এর প্রভাবে মারাত্মক অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই, তেতো শসা খাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক।

    > শসা ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে কিউকারবিটিন রয়েছে। এই কিউকারবিটিন যৌগটিতে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে শসার মধ্যে মূত্রবর্ধক যৌগের পরিমাণ হালকা। তাই বেশি শসা খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।

    > শসা হল পটাসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া হলে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো রোগ দেখা দিতে পারে। বেশি শসা শরীরে পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পেটে ফোলাভাব, ক্র্যাম্প, গ্যাস এবং কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

    > শসাতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। আর শরীরে যত বেশি পানি যাবে রক্তের পরিমাণ তত বেশি হবে। এর ফলে রক্তনালী এবং হৃদপিন্ডের উপর চাপ পড়ে। ফলে হার্ট এবং রক্তনালীর ক্ষতি হয়।

    > যারা সাইনোসাইটিস বা কোনও ক্রনিক রেসপিরেটরি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শসা না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকদের মতে, এই সবজির শীতল প্রভাব রেসপিরেটরি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।

    এন-কে

  • রাতে ঘুমানোর পরও সকালে ক্লান্তিবোধ কাটছে না?

    রাতে ঘুমানোর পরও সকালে ক্লান্তিবোধ কাটছে না?

    ব্যস্ত সময়ে বেশিভাগ মানুষের মধ্যেই এখন যে সমস্যাটি বেশি দেখা যায় সেটি হলো রাতে ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তিবোধ অনুভব করা। কেন এমন হচ্ছে তার কারণ কি জানা আছে আপনার?

    ঘুম ভেঙে গেলেও তন্দ্রাচ্ছন্নতা যেন ঘিরে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম ভেঙে গেলেও তন্দ্রাচ্ছন্নতা যেন ঘিরে রাখে আপনাকে। ঝিমুনি ভাব দূর করতে চা খাচ্ছেন, তবুও কাটছে না খারাপ লাগার ভাব।

    এটি কি শুধু অলসতা? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক অজানা কারণ! আসুন কেন এমন হয় এর কারণগুলো জেনে নিই একে একে।

    ১. এমন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার মূল কারণই হলো দেরিতে করে ঘুমাতে যাওয়া। রাত জেগে গল্পের বই পড়া, সিরিজ দেখার নেশার রয়েছে অনেকেরই। এগুলো করতে গিয়ে কখন যে রাত গড়িয়ে যায়, খেয়াল থাকে না। অনেক রাতে দু’চোখের পাতা এক করার ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠলে এমন ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক।

    ২. দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের ঘাটতির কারণেও এমন সমস্যা হয়। এতে চোখ, ব্রেইন আর শরীরের বিভিন্ন অংশেই ক্লান্তিবোধ তৈরি হয়।

    ৩. অনেকেই সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে চান কিন্তু অলসতার জন্য তা পেরে উঠে না। এর জন্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন প্রয়োজনীয় সময়ের অনেক আগেই। তারপর অ্যালার্ম বেজে ওঠে আর আপনি তা বন্ধ করে আবার ঘুমান। এই অভ্যাসে সঠিক সময়ে হয়তো আপনার গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন কিন্তু এতে বেশ বড়সড় চাপ পড়ছে আপনার মস্তিষ্ক বা ব্রেইনে। তারই বহিঃপ্রকাশে আপনার সারাক্ষণ ক্লান্তিবোধ লাগে।

    ৪. ঘুমের সময় যদি আপনার বোন, ভাই বা সঙ্গীর নাক ডাকার অভ্যাস থাকে তবে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের মাঝে মাঝে জেগে ওঠার কারণেও আপনি ভোরে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্তিবোধ করতে শুরু করেন।

    ৫. চিকিৎসকরা বলছেন, রাতে ঘুমানোর আগে যদি অ্যালকোহল, চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও এমন সমস্যা হতে পারে। কারণ এই অভ্যাসে মস্তিষ্কের উদ্দীপনা বেড়ে সক্রিয় থাকে। যার ফলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। আর তাই ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি কাটতেই চায় না আপনার।

    এন-কে

  • আসছে শীতকাল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী খাবেন?

    আসছে শীতকাল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী খাবেন?

    শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ হয়। তাই আমাদের খাবারের তালিকায় এমন কিছু রাখা প্রয়োজন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    আর কদিন পরই শীতকাল পড়ে যাবে। গরমের পোশাক পরতে হবে। রোদ পোহানোর সময় আসছে। এই সময়ে ঠান্ডা লাগার সমস্যাও দেখা দেয় বহু মানুষের মধ্যে। জ্বর, কাশি, সর্দি, ঠান্ডা লাগার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ হয়। তাই আমাদের খাবারের তালিকায় এমন কিছু রাখা প্রয়োজন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    কোন কোন খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-

    ১. ঘি- বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায়শই খাবারে বা রান্নায় ঘি ব্যবহার করা হয়। অথবা গরম ভাতের সঙ্গে এমনিই ঘি খাওয়া হয়। কিন্তু এই খাবার শুধুই স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নয়। বরং, ঘি-এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। এতে যে উপকারী উপাদান রয়েছে, তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে।

    ২. গুড়- বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গুড়ের উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    ৩. আদা চা- শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল, চায়ে একটু আদা মিশিয়ে খেলে, তার ফ্লেভার আলাদা মাত্রা যোগ করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আদা চা শুধুই খেতে ভালো বলে খাওয়া হয় না। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে শীতকালে এই চা বেশি উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শীতকালের নানা অসুখও প্রতিরোধ করে।

    ৪. আমন্ড বাদাম- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন খেতে হবে এক মুঠো করে আমন্ড বাদাম। এতে থাকা ভিটামিন ই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্ন্যাক্স হিসেবে ভাজাভুজি বা অন্য কোনও খাবার না খেয়ে আমন্ড বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৫. পালং শাক- সবুজ শাক সব্জি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু বিশেষ করে শীতকালে পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে রয়েছএ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বেটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে উপকার পাওয়া যায়।

    এন-কে

  • ডিমের ৭ উপকারিতা

    ডিমের ৭ উপকারিতা

    শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস উদযাপন করা হবে।

    একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে। এ ছাড়াও ডিমে রয়েছে লিউটিন ও জেক্সানথিন। পাশাপাশি ডিমে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

    ডিমের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নিই…

    শক্তি বাড়ে

    দ্রুত শক্তি পেতে ডিম অনেক উপকারি। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, যা শরীরে বাড়তি শক্তি জোগায়। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি করে সেদ্ধ ডিম, একটি ক্লান্তিহীন একটি দিনের সহায়ক।

    দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি

    ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী।

    পেশী মজবুত

    সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় শেষে অনেকেই পেশী ব্যথায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে ডিম উপকারি। কারণ ডিমে প্রচুর ভিটামিন ডি রয়েছে, যা পেশী মজবুত করে।

    নখের যত্নে

    তরুণীদের একটি অংশ নখ নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। নখের যত্নে ডিম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ ডিমে রয়েছে সালফার। তাই নখের যত্নে ও নখ ভেঙ্গে যাওয়া রোধে ডিমের ভূমিকা অন্যতম। এ ছাড়া ডিম নখ সাদা ও সুন্দর রাখতেও উপকারি।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    অনেকেই ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভোগেন। তারা ডিম খেতে পারেন। কারণ ডিমে রয়েছে জিংক, যা দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

    হাড় ও দাঁতে মজবুতে

    ডিমে থাকা ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে ডিম খান।

    প্রোটিনের ঘাটতি

    ডিমে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা প্রোটিনের মূল উৎস। তাই প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিম খান।

    এন-কে