Category: লাইফস্টাইল

  • বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ভালোবাসুন আপনার চোখকে

    বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ভালোবাসুন আপনার চোখকে

    প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সারাবিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। মহামূল্যবান চোখের গুরুত্ব বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতেই আজ সারাবিশ্বে একযোগে পালিত হচ্ছে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস।

    বিশ্বব্যাপী চোখের যত্নের পাশাপাশি চোখের গুরুত্বের ওপর গণসচেতনতা তৈরিই হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া দিবসটি সবার জন্য এমন একটি মঞ্চ তৈরি করে যেখানে সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি একযোগে চক্ষুসেবা গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করে।

    বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘লাভ ইউর আই’ বা ‘ভালোবাসুন আপনার চোখকে’। সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া ছোট্ট এই চোখের প্রতি অবহেলা নয়। বরং ব্যস্তজীবনে একেও একটু সময় দিন, যত্ন নিন।

    চোখের যত্নের প্রয়োজনীয়তা ও অন্যান্য দৃষ্টি সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর ওপর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সর্বপ্রথম ১৯৯৯ সালে এই দিবসটি চালু করা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় এই দিবসটি চালু হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২০০০ সালে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উদ্‌যাপন শুরু হয় ।

    পৃথিবীর সবচেয়ে মহামূল্যবান আর স্পর্শকাতর অঙ্গও কিন্তু আপনার দুটি চোখ। জীবনে চলার পথে প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী আর রঙিন এই পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করার একমাত্র হাতিয়ার চোখের গুরুত্ব তাই ভাষায় প্রকাশ করা সত্যি অসম্ভব।

    এন-কে

  • রুটি নরম আর তুলতুলে করার সবচেয়ে সহজ টিপস!

    রুটি নরম আর তুলতুলে করার সবচেয়ে সহজ টিপস!

    বাঙালিরা ভাতের পরই যে খাবারটির সঙ্গে বেশি পরিচিত এবং খেতে অভ্যস্ত তা হলো আটার রুটি। কিন্তু সঠিক উপায়ে তৈরি না করার কারণে রুটি বানানোর পর তা খেতে লাগে একেবারে বিস্বাদ। এমন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে কী করতে হবে, তা কি জানা আছে আপনার?

    অনেক দক্ষ গৃহিণীর তৈরি রুটিও নরম আর তুলতুলে হয় না। যার কারণে বাড়ির অনেক সদস্যই রুটি খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এমন রুটি ফ্রিজেও বেশিদিন সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়ার উপায় থাকে না।

    তাই আজ আপনাদের জানাব এমন কয়েকটি সহজ টিপস যেগুলো মেনে চললেই রুটি হবে নরম আর বেশ তুলতুলে।

    ১. পারফেক্ট রুটি বানানোর প্রথম শর্ত হলো বাজার থেকে অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের আটাকে কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেবেন।

    ২. এরপর সেই আটাকে অবশ্যই একটি চালনির সাহায্যে চেলে এয়ার টাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন।

    ৩. রুটিকে বেশি সময় যদি নরম আর তুলতুলে রাখতে চান তবে আটার সঙ্গে মিশিয়ে নিন গুঁড়া দুধ। এরপর একটি চামচের সাহায্যে ভালো করে তা মিশিয়ে নিন।

    ৪. দীর্ঘসময় রুটিকে নরম আর তুলতুলে রাখতে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি নয়, গরম পানিতে আটা মথে নিতে হবে।

    ৫. রুটি তৈরির ডো তৈরি হয়ে গেলে তা দিয়ে গোল রুটি তৈরি করুন। অনেকে গোল রুটি তৈরির সময় শুকনো আটা ব্যবহার করেন। তাই ভাজার আগে অবশ্যই রুটির গায়ে লেগে থাকা বাড়তি আটা ঝেড়ে সরিয়ে নেবেন।

    ৬. এবার চুলার মাঝারি আঁচের ফ্লেমে একটি একটি করে ভেজে নিন গোল রুটিগুলো। মাঝারি আঁচে রুটি ভাজার কারণে রুটি কখনোই পুড়ে যাবে না। আবার রুটিগুলো ফুলেও উঠবে। এই টিপসগুলো ফলো করলেই রুটি দীর্ঘসময় ধরে থাকবে নরম আর তুলতুলে।

    এন-কে

  • চুল পড়া কমাতে ভরসা রাখুন মেথি বীজে!

    চুল পড়া কমাতে ভরসা রাখুন মেথি বীজে!

    চুল পড়া, খুশকি, স্প্লিট এন্ডস-এর সমস্যায় কম-বেশি সকলেই ভোগেন। দামী দামী শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার মাস্ক লাগিয়েও চুলের হাল ফেরে না, বরং দিনের পর দিন সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। দূষণ, ধুলো-ময়লা ও রোদের কারণে চুলের বারোটা বাজতেই থাকে। তবে বাড়িতে যদি চুলের সঠিক যত্ন নেন, তাহলে চুলের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।

    মেথি চুলের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। চুল পড়া ও খুশকি সারাতে মেথির হেয়ার মাস্ক খুবই কার্যকর। তাই চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে মেথি ব্যবহার করতেই পারেন।

    জেনে নিন, স্ক্যাল্প ও চুলের যত্ন নিতে মেথি বীজ কীভাবে ব্যবহার করবেন…

    > মেথি বীজ ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন সকালে ভেজানো মেথি এবং কারি পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এই হেয়ার মাস্কটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ হালকা ম্যাসাজ করুন। তারপর এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

    > একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ আমলা পাউডার এবং মেথি পাউডার নিন। সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই হেয়ার মাস্কটি স্ক্যাল্প এবং পুরো চুলে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলেই ফল পাবেন হাতেনাতে!

    > খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এক টেবিল চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন সকালে মেথি বীজগুলো পিষে তাতে আধা কাপ দই মেশান। এই প্যাকটি স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন কিছুক্ষণ। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’বার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।

    > ৩ টেবিল চামচ মেথি বীজ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে বীজগুলো পিষে নিয়ে তার সঙ্গে ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার এই প্যাক ব্যবহার করুন।

    > ৪ টেবিল চামচ মেথি বীজ পাউডার এবং ৫ টেবিল চামচ নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগান। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পর ২ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করুন।

    এন-কে

  • আইসক্রিম কি শরীরের ক্ষতি করে?

    আইসক্রিম কি শরীরের ক্ষতি করে?

    গরমে আরাম পেতে এই সময় সবাই কমবেশি আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। শিশুদের মধ্যে আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। অনেকেই লোভনীয় এই স্বাস্থ্যঝুঁকি খাবারটিকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করেন। এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, জানেন কি?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন ওজন বৃদ্ধি, টনসিলের সমস্যা ইত্যাদি।

    তবে খুব ঠাণ্ডা অবস্থায় আইসক্রিম না খেলেই কিন্তু আপনি এ থেকে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না পেয়ে শুধু উপকারিতাটুকুই পেতে পারেন। তাই আসুন আজকের আয়োজন থেকে জেনে নিই আইসক্রিম খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা।

    আইসক্রিম দুধ থেকে তৈরি করা হয়। তাই আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাসকে স্বাস্থ্যকর বলাই যায়। এতে রয়েছে প্রোটিন , ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই আইসক্রিম খাওয়ার পর আপনি দ্রুত এনার্জি পেয়ে যাবেন শরীরে।

    এসব উপাদান ছাড়াও আইসক্রিম থেকে যেসব উপাদানগুলো পাওয়া যায় তা হলো ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং বি কমপ্লেক্সের মতো খনিজ পদার্থ; যা শরীরকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে কাজ করে।

    আইসক্রিমে এসব উপাদানের উপস্থিতি থাকার কারণে এটি হাড় মজবুত রাখে। পাশাপাশি শরীরে রোগপ্রতিরোধ বাড়িয়ে শ্বাসযন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রোইনস্টেনটিনালের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। আর যদি আইসক্রিমে থাকে বিভিন্ন ধরনের ড্রাইফুড তাহলে তো কথাই নেই।

    এ ছাড়া আইসক্রিমে ট্রিপটোফ্যান নামে একধরনের উপাদানের উপস্থিতি থাকে যার কারণে এটি হ্যাপি হরমোন বা সেরোটোনিন নিঃসরণের গতিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই জীবনে সুখী অনুভব বাড়িয়ে নিতে একটু আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাস করতেই পারেন।

    এন-কে

  • বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়

    বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়

    প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতিই চায় তাদের জীবনে সন্তান আসুক। সাংসারিক দাম্পত্য জীবন পূর্ণতা পায় যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এক নতুন জীবন আসার ইঙ্গিত দেয়। নিজেদের সমস্ত ভালোবাসা এবং সামর্থ্য উজাড় করে সেই সন্তান বড় করে তোলা যে কোন স্বামী-স্ত্রীর প্রধান দায়িত্ব হয়ে পড়ে। নিজেদের সমস্ত চাওয়া পাওয়া, স্বপ্ন সব কিছু তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়।

    কিন্তু এই স্বপ্নের অন্তরায় হতে দাঁড়াতে পারে বন্ধ্যাত্ব। এটা সাংসারিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।

    তাই এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যার মোকাবিলা করার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো…

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের জনন গ্রন্থিগুলোতে আক্রমণকারী পদার্থগুলোকে ধ্বংশ করে এবং তাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। একই সাথে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এর পাশাপাশি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে। যেকোনো ধরনের সবজি, ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এর জন্য ভালো।

    সকালের খাবার

    সকালের খাবার সবসময় চেষ্টা করুন বেশি করে খাওয়ার। সুস্থ্য ডায়েট যদি চান অবশ্যই দিনের প্রথম খাবার ভালো হতে হবে। অনেকে মনে করেন যে সমস্ত মহিলারা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে হেভি ব্রেকফাস্ট অনেকটাই কাজ দেয়।

    ট্রান্স ফ্যাট

    বিয়ের পরপরই চেষ্টা করুন ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার না খেতে। সাধারণত মার্জারিন, প্রসেসড ফুড এবং অন্যান্য খাবার যাতে ফ্যাট বেশি আছে এড়িয়ে যাওয়া দরকার। এর সাথে কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করুন ডায়েটে। এতে শরীরে ইনসুলিনের লেভেল কমবে।

    মাল্টিভিটামিন

    যেসব নারীরা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী মাল্টি ভিটামিন খান, তাদের বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা অনেক কম হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সাথে গ্রীন-টি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাওয়া দরকার।

    মাদকদ্রব্য গ্রহণ বর্জন করুন

    অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়া কমান। মাদকদ্রব্য গ্রহণের অভ্যাস থাকলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর। কারণ এইটি পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমায়। একইসাথে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন বা পরিমিত সেবন করুন।

    শরীরচর্চা

    প্রয়োজনের অতিরিক্ত বসে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। যা ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান প্রচুর পরিমাণে। সাথে খান সেই সব ফল যা প্রাকৃতিকভাবে আয়রনের পর্যাপ্ত যোগান দিতে পারে।

    এন-কে

  • মিল্ক চকলেট নাকি ডার্ক চকলেট, কোনটায় ক্যালোরি বেশি?

    মিল্ক চকলেট নাকি ডার্ক চকলেট, কোনটায় ক্যালোরি বেশি?

    ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি’ সিনেমার কথা মনে পড়ে? উইলি ওয়াঙ্কার চকলেট বানানোর কারখানায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পাঁচ শিশুকে। ছবি নয়, বাস্তবেও এমন ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে আপনি ইচ্ছে করলে ঘুরতে যেতে পারেন। কী ভাবে চকলেট বানানো হয় তা থেকে শুরু করে চকোলেট কীভাবে প্যাকিং করা হয়—সবকিছুই স্বচক্ষে দেখতে পাবেন।

    চকলেট কমবেশি সকলেরই প্রিয়। কিন্তু এক এক জন এক এক ধরনের চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কারও পছন্দ মিষ্টি চকলেট তো কারও তেতো।

    সব চকলেটই তৈরি হয় কোকোয়া বিনস্ থেকে। তা হলে চকলেটের স্বাদ এমন ভিন্ন হয় কেন?

    ২০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মধ্য আমেরিকায় চকলেটের উৎপত্তি হওয়ার পরে তা নিয়ে চলেছে নানা গবেষণা। কোনও উপাদান কম বা বেশি মিশিয়ে স্বাদবদলও হয়েছে চকলেটের।

    স্বাদ ও রং বিশেষে চকলেটের নামও হয়েছে আলাদা। যে চকলেটের স্বাদ তেতো, তা ডার্ক চকলেট।

    ডার্ক চকলেটে কোকোয়া বাটার, কোকোয়া পাউডারের সঙ্গে মেশানো হয় সামান্য পরিমাণ চিনিও।

    চকলেটটি যেন স্বাদে বেশি তেতো না হয়ে যায়, তার জন্য ভ্যানিলা-সহ অন্যান্য ফ্লেভার মেশানো হয়।

    দুধ দিয়ে দু’ধরনের চকলেট বানানো হয়, মিল্ক চকলেট এবং হোয়াইট চকলেট।

    তবে, এই দু’ধরনের চকলেটের স্বাদগত ও বর্ণগত দিক দিয়ে পার্থক্য রয়েছে।

    মিল্ক চকলেটের সঙ্গে কোকোয়া বিনসের রঙের মিল রয়েছে। দুধের সঙ্গে চিনি, কোকোয়া বাটার, কোকোয়া পাউডার মিশিয়ে মিল্ক চকলেট তৈরি করা হয়।

    অন্য দিকে, হোয়াইট চকলেট বানানো হয় দুধ, চিনি এবং কোকোয়া বাটার দিয়ে।

    কোকোয়া পাউডার থাকে না বলেই এই চকলেটের রং সাদা। তাই এর নামও দেওয়া হয়েছে হোয়াইট চকলেট।

    বর্তমানে মিল্ক চকলেট প্রস্তুতির সময় যাতে পানির পরিমাণ কমানো যায়, তাই ঘন দুধের পরিবর্তে মিল্ক পাউডার ব্যবহার করা হয়।

    ডার্ক চকলেটে ৩৫ শতাংশ কোকোয়া থাকে। মিল্ক চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ ১০ শতাংশ। তাই মিল্ক চকলেটের সঙ্গে ডার্ক চকলেটের স্বাদের আকাশ-পাতাল তফাত থাকে।

    তবে উপাদানগত দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়, মিল্ক চকলেটের থেকে ডার্ক চকলেটে ক্যালোরি বেশি। এমনকি, পুষ্টিগত নানা উপাদান বেশি রয়েছে ডার্ক চকলেটের মধ্যে।

    এন-কে

  • ডায়েটে থাকুক এই ৫টি, হাতেনাতে মিলবে ফল

    ডায়েটে থাকুক এই ৫টি, হাতেনাতে মিলবে ফল

    ওজন ঝরানো থেকে, ত্বক উজ্জ্বল রাখা সব কিছুর জন্য একটা ভাল ডায়েট প্ল্যানের খোঁজ সকলেই করেন। আর সেই অভ্যাস সারা বছর চালানো গেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে তা অত্যন্ত উপকারী।

    শরীর ভাল রাখতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেক কথা হয়। কোন ডায়েটে কী উপকার তা নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে সারাবছর চালানো যাবে এমন ডায়েট প্ল্যান যদি হয় তাহলে আলাদা করে কোনও সময় বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন খুব একটা পড়ে না।

    ব্যস্ত সময়ে রান্না করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বাড়িতে বা কাজের জায়গায় সবসময়ে হাতে সময় থাকে না, পরিপাটি করে খাওয়া-দাওয়া করার। সহজে খাওয়া যাবে এবং সময় কম লাগবে এমন কিছু পানীয় রয়েছে। যা পেট তো ভরাবেই, পাশাপাশি শরীরেরও দারুণ উপকার করবে। ব্রেকফাস্ট বা বিকেলের খাবার বানাতেও কাজে লাগবে সেই পানীয়।

    কোকোয়া ড্রিঙ্ক:
    কোকোয়াতে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। তার মধ্যেই একটি ফ্ল্যাভোনয়েড। যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডও কোলেস্টেরল লাগামে রাখতে সাহায্য করে। এই ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে ডার্ক চকোলেটেও। ফলে কোকোয়া গুঁড়ো বা ডার্ক চকোলেট গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খাওয়া যায়। কোনও স্মুদি বা কর্নফ্লেক্স দিয়েও জমে যাবে ব্রেকফাস্ট।

    সয়াবিনের দুধ:
    গরুর দুধ অনেকে সহ্য করতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে সয়াবিন দুধের অপশন। এতে গরুর দুধের চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। উদ্ভিদ-প্রোটিনে ভরপুর। ফলে যারা প্রাণীজ প্রোটিন এড়াতে চান তাদের জন্য় ভাল অপশন। হৃদরোগ সংক্রান্ত অসুখে যারা ভুগছেন তারা সয়াবিনের দুধের উপর ভরসা করতে পারেন।

    ওট মিল্কও একটা ভাল অপশন। একধরনের ফাইবার রয়েছে যার নাম বেটা-গ্লুক্যান। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওট মিল্কে এই উপাদানটি রয়েছে। সাধারণ গরুর দুধের চেয়ে ওট মিল্কে ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে।

    টোম্যাটোর রস:
    স্যালাড থেকে তরকারি, টোম্যাটো নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। এই আনাজটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ত্বকের পরিচার্যর ব্যবহৃত হওয়া টোম্যাটো, শরীরের আরও একাধিক উপকার করে। এই আনাজে থাকা লাইসোপিন নামক উপাদান লিপিডের মাত্রা এবং খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা নিয়াসিন নামক উপাদান এবং ফাইবারও উপকারী। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার টোম্যাটোর রস আলাদা করে খেতে পারেন।

    গ্রিন টি:
    যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে চালাতে ডায়েটে রাখা যায় গ্রিন টি । ওবেসিটি কমাতে, ওজন ঝরাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন-টি কোলেস্টেরল কমানো থেকে প্রস্টেটের সমস্যা ঠেকানো একাধিক ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

    কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

    এন-কে

  • বাড়িতে কীভাবে সহজেই তৈরি করবেন ডিম ছাড়া মেয়োনিজ ?

    বাড়িতে কীভাবে সহজেই তৈরি করবেন ডিম ছাড়া মেয়োনিজ ?

    ডিম ছাড়া মেয়োনিজ তৈরি করার জন্য বাড়িতে রান্নায় ব্যবহার করা যে কোনও তেল ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যমুখীর তেল হোক কিংবা সয়াবিনের তেল, কোনওটিতেই অসুবিধা নেই। অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

    মুখরোচক খাবারের সঙ্গে নানারকমের সসের মতো বহু মানুষ মেয়োনিজ খেতেও খুবই পছন্দ করেন। মেয়োনিজ স্বাদেও দুর্দান্ত। ছোট থেকে বড় সকলেরই অত্যন্ত পছন্দের। কিন্তু এটি তৈরিতে উপকরণ হিসেবে ডিম ব্যবহার হওয়ার কারণে অনেকেই খেতে পারেন না।

    যারা ডিম খান না, ডিমে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই মেয়োনিজ খাওয়া পছন্দের হলেও সম্ভব হয় না। কিন্তু তা বলে কি তারা মেয়োনিজ খাবেন না? ডিম ছাড়াও তৈরি করে ফেলা যায় পছন্দের মেয়োনিজ। বাড়িতে নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন। খুবই সহজ পদ্ধতি। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, বাড়িতে কীভাবে খুব সহজেই তৈরি করে ফেলবেন ডিম ছাড়া মেয়োনিজ।

    বাড়িতে মেয়োনিজ তৈরির সহজ উপায়-

    মেয়োনিজ সাধারণত ডিম, তেল, ভিনিগার দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু যারা ডিম খান না, তারা ডিমের পরিবর্তে মেয়োনিজ তৈরির সময় দুধ ব্যবহার করতে পারেন। বাকি পদ্ধতিটা একই থাকবে। দুধ, তেল এবং ভিনিগান পরিমাণ মতো নিয়ে মিক্সিতে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। মিক্সিতে ফেটিয়ে নেওয়ার সময় মাঝে এক আধবার খুলে দেখে নেবেন, তা সঠিকভাবে মিশছে কিনা। সমস্ত উপকরণ যখন সঠিকভাবে মিশে মেয়োনিজের আকার নেবে, তখন তাতে অল্প লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। ইচ্ছা হলে নাও ব্যবহার করতে পারেন।

    ডিম ছাড়া মেয়োনিজ তৈরি করার জন্য বাড়িতে রান্নায় ব্যবহার করা যে কোনও তেল ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যমুখীর তেল হোক কিংবা সোয়াবিনের তেল, কোনওটিতেই অসুবিধা নেই। অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

    ঘন দুধ ব্যবহার করলে মেয়োনিজের ঘনত্ব ভালো হবে। মেয়োনিজ তৈরির আগে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে রাখতে হবে।

    ভিনিগার বা লেবুর রস, যেকোনও কিছু ব্যবহার করতে পারেন।

    সমস্ত উপকরণের মধ্যে লবণ, চিনি, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং রসুন গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন স্বাদ অনুসারে।

    এন-কে

  • কফিপ্রেমীদের দিন আজ

    কফিপ্রেমীদের দিন আজ

    গরম পানীয় হিসেবে বিশ্বজুড়ে কফির জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কফি ছাড়া দিন চলে না—এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। দিনে দিনে ক্যাফেইনের প্রতি আসক্তি মানুষের বেড়েই চলেছে। কফিপ্রেমীরা শনিবার (১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালন করছেন।

    কফি পানে কখনো-কখনো ঝুঁকি থাকলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। কর্মস্থলের কঠিন সময়ে কফি যেমন শ্রান্তি দূর করে, তেমনই সকাল-দুপুর আড্ডার অপরিহার্য অংশ এই পানীয়। বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা পারিবারিক আড্ডা কফি ছাড়া বেসুরো অনেকের কাছে।

    অতি বেশি ক্যাফেইন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, মাঝারি মাত্রায় কফি পান উপকারী। এতে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। দেহ-মন তাজা রাখতে গরম কফির জুড়ি নেই।

    ভারতীয় পুষ্টিবিদ প্রিয়া পালান বলেন, একটি মুদ্রার দুটো পিঠ থাকে। অতিরিক্ত কফি পানে বেশ কিছু ঝুঁকি থাকে। এতে বিষণ্নতা, অনিদ্রা ও অস্থিরতা চলে আসতে পারে। আবার নিয়মিত কফি পানে স্বাস্থ্যের উপকারিতাও উল্লেখযোগ্য।

    তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, স্মৃতিভ্রংশ, অ্যালঝেইমার ও পারকিনসনস রোগসহ বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যা দূর করতে কফির তুলনা মেলা ভার।

    কফি মানবদেহের হরমোন এপিনেফরাইন বাড়াতে সহায়তা করে। এতে মানুষের শারীরিক কর্মক্ষমতা ও পেশিশক্তি বাড়ে। শরীরের সার্বিক সহ্যক্ষমতা জোরদার করে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের কার্যক্রম ও শক্তির মাত্রাও বাড়ায় ক্যাফেইন।

    প্রিয়া পালান মনে করেন, কফিতে থাকা অতিক্ষুদ্র পুষ্টিগুণ—ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন বি-ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উদ্দীপিত করতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাবকে বিলম্বিত করে ক্যাফেইনের ম্যাগনেসিয়াম। দুধ ও চিনি মেশানো অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কফির তুলনায় ব্ল্যাক কফি অধিক স্বাস্থ্যসম্মত।

    দিনে দুই কাপ কফি পানের পরামর্শ দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, চার কাফের বেশি খাওয়া উচিত হবে না। অবশ্যই মাঝারি মাত্রায় কফি খেতে হবে। নাহলে এর বৈরী প্রভাবও পড়তে পারে শরীরে। তখন মানুষের ঘুম হারাম করে দিতে পারে এই গরম পানীয়।

    তবে ব্যক্তিভেদে কফি খাওয়ার মাত্রা নির্ভর করে বলে মনে করেন প্রিয়া পালান। দুধ ও শর্করা মিশ্রিত কফি অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত করলেও কালো কফিই মানুষের জন্য উত্তম। ব্ল্যাক কফি মানবদেহে কম ক্ষতি বয়ে আনে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।

    এন-কে

  • পাতা নয়, তুলসীর বীজেরও রয়েছে জাদুকরি গুণ

    পাতা নয়, তুলসীর বীজেরও রয়েছে জাদুকরি গুণ

    তুলসী গাছ প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। বাড়ির উঠানে বা টবে শোভা পায় তুলসী গাছ। এই গাছের গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। এর পাতা থেকে শুরু করে বীজ পারে বিভিন্ন রোগের জাদুকরি সমাধান দিতে।

    তুলসী গোটা গাছটার মধ্যেই রয়েছে অনেক গুণ। এ গাছের প্রতিটি অঙ্গে গুণের সমাহার। এবার মাথায় রাখার বিষয় হলো, এই গাছ আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ইমিউনিটি বাড়ায় তুলসীর বীজ। এক্ষেত্রে তুলসী পাতা থেকে শুরু করে তুলসীর বীজ ভালো। তাই আপনি অবশ্যই তুলসী পাতার বীজ প্রতিদিন খান।

    তুলসী পাতার বীজ কিন্তু বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। আর এটা কেবল কথার কথা নয়। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে সেই বিষয়টি।

    তুলসী বীজের উপকারিতা: ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, তুলসীর বীজে রয়েছে অনেকটা প্রোটিন থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ডায়েটরি ফাইবার, মিনারেলস, ফ্ল্যাভানয়েডস ও ফলিফেনলস। এ কারণে বিভিন্ন রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে এই খাবার।

    পেট ভালো রাখে তুলসীর বীজ: দেখা গেছে, গ্যাস থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দিতে পারে তুলসীর বীজ। আসলে তুলসীর বীজে রয়েছে এমন কিছু ডায়েটরি ফাইবার যা পেটের জন্য ভালো।

    ইমিউনিটি বাড়ায় তুলসীর বীজ: তুলসীর বীজ এই গাছের পাতার মতোই উপকারী। এক্ষেত্রে এই বীজে রয়েছে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। তাই প্রতিটি মানুষকে মাথায় রাখতে হবে যে ইমিউনিটি বাড়ায় তুলসীর বীজ। তাই নিয়মিত তুলসীর বীজ খেলে উপকার পাবেন।

    ওজন কমাতে পারে তুলসীর বীজ: ওজন বেশি থাকা একটা মহাসমস্যা। মাথায় রাখতে হবে যে এই খাবারে থাকা ফাইবার পেট ভরাতে পারে। তাই খিদে কম পায়। এমনকী সহজে সমস্যা কমতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।

    তাই খেয়ে নিন কয়েক টুকরো তুলসীর দানা। খুব কম পরিমাণে খান। প্রথমে ধুয়ে তারপর বেটে খেয়ে নিতে পারেন। শুধু পানি নিয়ে এই বীজ খেলে উপকার মেলে।

    প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    এন-কে

  • পূজার ঐতিহ্যবাহী খাবার লুচি আর আলুর দম

    পূজার ঐতিহ্যবাহী খাবার লুচি আর আলুর দম

    দুর্গাপূজার উৎসবে লুচি আর আলুর দম ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। পূজার এই ঐতিহ্যবাহী খাবার দেখতে যতটা আকর্ষণীয় তার চেয়েও খেতে বেশ সুস্বাদু।

    মজাদার এই খাবারকে বাড়িতেও কিন্তু আপনি তৈরি করতে পারেন। এর জন্য অবশ্য কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রয়োজন হবে। আসুন জেনে নিই এই সুস্বাদু খাবারের সহজ রেসিপি।

    লুচি

    রুটি, পরোটা কিংবা পুরির মতো গোল দেখতে হলেও লুচির স্বাদ কিন্তু মোটেও তেমন নয়।

    প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে লুচি তৈরি করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে ময়দা ২ কাপ, চিনি ২ চামচ, ঘি ২ চা চামচ, লবণ ও তরল দুধ পরিমাণমতো (ডো তৈরির জন্য)। তেল ৬ কাপ।

    যেভাবে তৈরি করবেন: ২ কাপ ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ, চিনি, ঘি মিশিয়ে খামির তৈরি করুন। অল্প অল্প করে ময়দার খামিরে তরল দুধ যোগ করুন। সময় নিয়ে মথবেন। ডো তৈরি হলে অল্প অল্প অংশ ছিঁড়ে গোল আকার তৈরি করে লুচি বেলে নিন। ডুবোতেলে তৈরি করা লুচি ভেজে নিন।

    আলুর দম

    লুচির সঙ্গে আলু দমের স্বাদ কিন্তু একেবারে জমে ক্ষীর। তাই বাড়িতে লুচি তৈরি করলে তৈরি করে ফেলতে পারেন আলু দমও।

    প্রয়োজনীয় উপকরন: বড় টুকরা করে কাটা সেদ্ধ আলু ২ কাপ, তেল ১ কাপ, তেজপাতা ২ টি, আস্ত জিরা ১ চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চামচ, ১ চা চামচ আদা বাটা, ১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ১/৪ চামচ, কাঁচা ও লাল মরিচ ৩টি, টমেটোর সস ২ চামচ, লবণ ও পানি পরিমাণমতো।

    যেভাবে তৈরি করবেন: প্রথমে সসপ্যানে তেল গরম করে তেজপাতা, কিছুটা আস্ত জিরা দিয়ে অপেক্ষা করুন এর সুগন্ধ বের হওয়ার জন্য। এবার তাতে সব উপকরণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন।

    মশলা কষানোর পর যদি দেখেন তেল ওপরে উঠে এলে ২ কাপ বড় টুকরা করে কাটা সেদ্ধ আলু দিয়ে দিন। ৫ মিনিট রান্না করার পর এতে কাঁচা ও লাল মরিচ এবং টমেটো সস দিয়ে নেড়েচেড়ে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অপেক্ষা করুন ২ মিনিটের মতো। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য সুস্বাদু আলু দম।

    এন-কে

  • আপনার কি প্রায়ই হাত ঝিনঝিন করে?

    আপনার কি প্রায়ই হাত ঝিনঝিন করে?

    প্রায় সবার কাছেই এই অসুখটি বেশ পরিচিত। তবে এই রোগটিকে মোটেও বিপজ্জনক বলে মনে করেন না অনেকেই। তাই রোগটিকে তেমন গুরুত্বও দেন না। যদি আপনি এমিনটাই ধারণা করে থাকেন তবে এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এই অসুখটি মূলত স্নায়ুর। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই অসুখটিকে বলা হয় কারপাল টানেল সিনড্রোম। নামটি যেমন সহজ নয় তেমনি রোগটিও কিন্তু জটিল।

    হাত ঝিন ঝিন করার সমস্যা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর এমনিতেই রোগটি সেরে ওঠে। তবে সত্যিকার অর্থে কিন্তু রোগটি সেরে যায়নি। ভেতরে একটু একটু ক্ষতি করছে রোগটি প্রতিনিয়ত।

    সাধারণত সব বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুর ক্ষেত্রেই এই রোগটি হতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে হাতের কাজ করলে এমনটা ঘটতে বেশি দেখা যায়।

    এই রোগের চিকিৎসায় ওষুধ এবং কিছু ব্যায়াম দেয়া হলেও সমস্যা বেশি হলে তা অপারেশনের দিকেও মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কেননা এই রোগ শুধু মিডিয়ান নার্ভ নয়, আঙুলের পেশিগুলো বিশেষ করে বুড়ো আঙুল একেবারে অচল হয়ে যেতে পারে।

    অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বা তার পরামর্শ ছাড়াই ঘরে বসে নেটের ব্যায়াম নিয়মিত করেন। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কা থাকে অনেক।

    তাই প্রায়ই যদি আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হন তবে তা কেন হচ্ছে তা জানতে দ্রুতই শরণাপন্ন হন একজন দক্ষ চিকিৎসকের। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ রাখুন নিজের হাত এবং আপনার মস্তিষ্কের।

    এন-কে