Category: লাইফস্টাইল

  • ওষুধ খেতে ভুলে যাচ্ছেন, সমাধান কি?

    ওষুধ খেতে ভুলে যাচ্ছেন, সমাধান কি?

    সব কাজই করেন নিয়ম মেনে, কিন্তু সময় মত ওষুধ খাওয়ার কথা কিছুতেই খেয়াল থাকে না। সকালে ওষুধ খাওয়ার কথা, কিন্তু মনে পড়ে দুপুরে। আবার যে ওষুধ সপ্তাহে এক দিন করে খাওয়ার কথা, তা মনেই থাকে না। কিন্তু এভাবে কত দিন চলবে? স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গেলে ওষুধের সময় তো মনে রাখতেই হবে! কিন্তু মনে রাখবেন কী ভাবে? রইল কয়েকটি পরামর্শ, যাতে দিনের পর দিন ওষুধ খেতে ভুল না হয়।

    ১) কোনও কাজ না বুঝে করলে তার প্রতি মনোযোগ কম থাকে। তখন ভুল যাওয়ার প্রবণতাও দেখা দেয়। কোন ওষুধ কীসের জন্য খাচ্ছেন, তা জেনে নিন। একটি ওষুধ খেতে ভুলে গেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা-ও জানুন। তা হলে ওষুধের সময় মনে রাখার চেষ্টা বাড়বে।

    ২) কোনও একটি জায়গায় সব ওষুধ গুছিয়ে রাখুন। ওষুধ রাখার একটি বাক্স তৈরি করতে পারেন। তাতে একসঙ্গে সব ওষুধ চোখে পড়বে। একটি ওষুধ খেতে গেলে আর একটির কথাও মনে পড়বে। কোনওটিই আর বাদ পড়বে না।

    ৩) মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। বেলা ১১টার সময়ে কোনও ওষুধ খাওয়ার থাকলে তার মিনিট পাঁচেক আগে অ্যালার্ম দিন। তবেই আর কোনও ওষুধ বাদ পড়বে না।

    ৪) দিনের এক-একটি কাজের সময় মিলিয়ে রাখুন ওষুধের সময়ের সঙ্গে। যেমন কোনও ওষুধ ১২টার সময়ে খাওয়ার থাকলে, মধ্যাহ্নভোজের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। রাতের ওষুধের সঙ্গে ঘুমের সময় মিলিয়ে নিন। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগেই যে একটি ওষুধ খেতে হবে, তা মনে থাকার প্রবণতা বাড়বে।

    ৫) এতেও কাজ না হলে পরিবারের অন্য কারও সাহায্য নিতে পারেন। ওষুধের সময় লিখে একটি তালিকা তাঁর কাছে দিয়ে রাখুন। নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে অনুরোধ করতে পারেন।

    এন-কে

  • দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ৫ খাবার

    দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ৫ খাবার

    চোখ আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমানে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া সাধারণ একটি সমস্যা। বয়স বেড়ে যাওয়া, অপুষ্টি, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সচেতন হওয়া জরুরি।

    চোখের যত্নে খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে কিছু খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আসুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই—

    ডিম

    চোখের জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী। ডিমে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন, যা চোখের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন এ, লুটেইন ও জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

    বাদাম

    দৃষ্টিশক্তির মান বাড়াতে বাদাম ও বীজ অত্যন্ত উপকারী। বাদাম ও বীজে ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা চোখের জন্য খুবই ভালো। পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, তিলের বীজ, চিনাবাদাম খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন।

    গাজর

    ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিনের দারুণ উৎস, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে খাদ্যতালিকায় গাজর রাখুন।

    মাছ

    মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকর। এটি রেটিনা ভালো রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া চোখ শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখুন।

    ডাল

    ডাল প্রোটিনের দারুণ উৎস। ডালে থাকা বায়োফ্ল্যাভোনয়েডস ও জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। তাই খাদ্যতালিকায় ডাল রাখুন।

    এন-কে

  • জাম্বুরা কেনো খাবো

    জাম্বুরা কেনো খাবো

    টক-মিষ্টি ফল জাম্বুরা আমাদের সবার কাছে যেমন পরিচিত, তেমনি খুব পছন্দের। টসটসে রসালো স্বাদের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুষ্টি গুণে ঠাসা এই ফলটি আমরা কেনো খাবো, তা জেনে নেয়া যাক এক নজরে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ
    জাম্বুরা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। ফলে, ক্ষুধা কম লাগে। যা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম যা ফ্যাটকে পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে, তাছাড়া অত্যাধিক পানি ও খাদ্য থাকার কারণে জাম্বুরা খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই যারা বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা প্রতিদিন এক কাপ জাম্বুরা অথবা এক গ্লাস জাম্বুরার রস খেয়ে নিতে পারেন। তবে রসের চেয়ে গোটা জাম্বুরাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী, কারণ এতে রয়েছে ফাইবার।

    রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ
    জাম্বুররাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি রক্তনালীর সংকোচন-প্রসারণ বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস, নিদ্রাহীনতা, পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া জাম্বুরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। জাম্বুরাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে সর্দি-কাশিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ
    জাম্বুরাতে পেকটিন নামক এক ধরনের উপাদান আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বের করে দিতে সাহায্য করে, এছাড়াও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নির্ণয়ের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল-এর উৎপাদন ব্যাহত করে। আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জাম্বুরা বা এর রস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে জাম্বুরা কার্যকরী ভূমিকা রাখেঃ
    জাম্বুরাতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে বায়োফ্লাভোনোয়েড, যা কোলন ক্যান্সার এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করেঃ
    এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা রক্ত চলাচলের পথ সুগম করে, ফলে দেহের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছানো সহজ হয়। এতে হৃদপিন্ডের উপর চাপ কমে, স্ট্রোক হার্ট অ্যাটাক ও অ্যাথেরোস্কলেরোসিস আশঙ্কা কমাতেও সাহায্য করে।

    বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করেঃ
    নিয়মিত জাম্বুরা খেলে অকাল বার্ধক্যের চিহ্ন হতে মুক্তি পাওয়া যায়, এছাড়া জাম্বুরায় স্পারমেডিন নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে এটি বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

    হাড় ও পেশি মজবুত রাখেঃ
    পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও সোডিয়াম থাকায় পর্যাপ্ত জাম্বুরা খেলে, হাড়ের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় পেশিতে টান লাগার সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।

    হজমে সাহায্য করেঃ
    এই ফলে প্রচুর ফাইবার থাকায় খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এত গুণে গুণান্বিত এই ফল জাম্বুরা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং পাটাশিয়াম। এছাড়া ফলিক এসিড পাইরিডক্সিন ও থায়ামিন রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। আছে খানিকটা আয়রন ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস এবং অন্যান্য উপাদান লাল রংয়ের জাম্বুরা নানান রকম ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ হোওয়ায় এগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

    তাই সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে চাইলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণে জাম্বুরা বা জাম্বুরার রস রাখতে পারি।

    লেখক- ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট এন্ড ডায়েটিশিয়ান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা।

    এন-কে

  • সুস্বাস্থ্যের জন্য খান এসব ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ খাবার

    সুস্বাস্থ্যের জন্য খান এসব ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ খাবার

    ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড হচ্ছে শরীরের জন্য উপকারী এক ধরনের ফ্যাট। সবচেয়ে পরিচিত ওমেগা ৬-এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— লিনোলিক অ্যাসিড ও গামা লিনোলেনিক অ্যাসিড। আর এগুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে— শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

    বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের জন্য ওমেগা-৬ উপাদানের অনেক উপকার রয়েছে। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। আর এটি ফ্যাট হলেও তা হার্টের জন্য উপকারী ফ্যাট হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

    সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আজ জানুন যেসব খাবারে মিটবে আপনার ওমেগা ৬-এর ঘাটতি—

    ১. আখরোট
    আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ পাওয়া যায়। এর প্রতি ২৮ গ্রামে প্রায় ১১ গ্রাম পর্যন্ত ওমেগা-৬ পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন কিছু পরিমাণে এই বাদাম খাওয়া আপনার খাদ্যের গুণগতমান বাড়াতে, তৃপ্তি দিতে এবং হৃদরোগে উপকার করতে পারে।

    ২. আঙুরের তেল
    আঙুরের তেলের প্রতি এক চামচে প্রায় ৯ গ্রামের বেশি ওমেগা-৬ থাকতে পারে। এ ছাড়া এটি ভিটামিন ইর অনেক ভালো উৎস। আর জার্নাল ফুডসের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঙুরের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিটিউমোরাল ক্রিয়াকলাপে উপকারী।

    ৩. ভুট্টার তেল
    ভুট্টার তেলও আপনার জন্য হতে পারে ওমেগা ৬-এর খুব ভালো উৎস। এর প্রতি চামচে প্রায় ৭ গ্রামের মতো ওমেগা-৬ পাওয়া যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনি মাখনজাতীয় তেলের পরিবর্তে ভুট্টার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

    ৪. সূর্যমুখী বীজ
    প্রতি ২৮ গ্রাম সূর্যমুখী বীজে প্রায় ৬ গ্রামের বেশি ওমেগা-৬ থাকতে পারে। এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে, এতে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, নিয়াসিন, আয়রন, ফাইনোলিক অ্যাসিড, ফ্লেভোনয়েডস এবং টোকোফেরোলসহ প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

    তাই আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য বেছে নিতে পারেন সুস্বাদু এ বীজটি।

    এন-কে

  • ঘরোয়া যেসব উপায়ে ওষুধ না খেয়েই দূর হবে মাথাব্যথা

    ঘরোয়া যেসব উপায়ে ওষুধ না খেয়েই দূর হবে মাথাব্যথা

    আমরা সবাই কমবেশি মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকি। নানা কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে। অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, রক্তচাপে তারতম্য, জীবনযাপনে অসাবধানতা— এসব কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়।

    একটু মাথাব্যথা হলেই আমরা ওষুধের খোঁজ করা শুরু করি। কিন্তু ব্যথানাশক এসব ওষুধের অনেক খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জানেন না অনেকেই।

    ঘরোয়া উপায় অবলম্বনে মাথাব্যথা দূর করা যায়। আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে—

    ১. শরীরকে হাইড্রেট রাখা

    আপনার মাথাব্যথা সমস্যা সমাধানের উপায় হতে পারে এক গ্লাস পানি পানেই। মাথাব্যথা হলে যতটা পারা যায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে; অর্থাৎ শরীরে বেশি পরিমাণে পানি রাখতে হবে। কারণ ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা অনেক সময় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এবং মাথাব্যথা থাকলে সেটি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

    ২. আদা চা
    মাথাব্যথা হলেই অনেকেরই জানা একটি সহজ সমাধান হচ্ছে আদা চা। আদা চা মাথাব্যথা কমায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদা মাইগ্রেনসহ জরুরি চিকিৎসায় থাকা মানুষের ব্যথা কমিয়েছে।

    ৩. ক্যাফেইন
    ক্যাফেইন মাথাব্যথার সমস্যা কমাতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে— অতিরিক্ত ক্যাফেইন কিন্তু মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এটি নিতে হবে পরিমিত। আর ক্যাফেইন নেওয়ার পর যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ ক্যাফেইন একটি ডিহাইড্রেটর।

    ৪. ঘুম
    মাথাব্যাথা হওয়ার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে— ঘুমের ঘাটতি। তাই আপনার মাথাব্যথা হলে কিছু সময় ঘুমিয়ে নিতে পারেন। একটু ঘুম হলে আপনার মাথাব্যথা অনেকটাই কমে যেতে পারে।

    ৫. মানসিক চাপ কমান
    মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তাই মাথাব্যথা হলে যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমান। এটির জন্য আপনি কিছু স্ট্রেস রিলিভিং ব্যায়াম করতে পারেন। আর মাথাব্যথা হলে যতটা সম্ভব ফ্রি থাকুন। এ সময় আপনি চাপা কোনো কাপড় পরে থাকলে, চশমা পরে থাকলে বা মাথায় টুপি পরে থাকলে সেগুলো হালকা করুন।

    ৬. ম্যাসাজ
    মাথাব্যথা কমাতে কিছু ম্যাসাজ অনেক কার্যকরী হয়ে থাকে। এতে আপনার সবচেয়ে বেশি ব্যথা হওয়ার স্থানে ম্যাসাজ করতে পারেন। এ ছাড়া নাকের ওপরে, ভ্রুর গোড়ায়, চোয়ালে, ঘাড়ে এবং কপালে ম্যাসাজ করলেও মাথাব্যথা কমে যেতে পারে অনেকটাই।

    এন-কে

  • পেটের ফোলাভাব কমায় ৮ খাবার

    পেটের ফোলাভাব কমায় ৮ খাবার

    পেটের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগছি। বিশেষ করে খাবার একটু বেশি খেলে পেট ফুলেফেপে ওঠে। আর এটির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বদহজমের কারণেই পেট ফুলে উঠতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের কারণে বা খাবার সঠিকভাবে হজম না হলে এ সমস্যটি হয়ে থাকে।

    পেট ফোলাভাব মূলত খাবারের কারণেই হয়ে থাকে। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে দূর হতে পারে এ সমস্যা। তাই আজ রইল এমন কিছু খাবারের তালিকা, যেগুলো খেলে কমবে পেটের ফোলাভাব—

    ১. অ্যাভোকাডো
    বাইরের দেশে অ্যাভোকাডো অনেক পরিচিত ও জনপ্রিয় ফল। তবে এ ফলটি এখন আমাদের দেশেও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। এই ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এতে ফোলেট, ভিটামিন সি ও কের পাশাপাশি এটি পটাশিয়ামেরও অনেক ভালো উৎস। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর এ কারণে এটি পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে ধীরে ধীরে চলাচল করে এবং পেটের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও প্রতিরোধ করে।

    ২. শসা
    আমরা প্রায়ই খাওয়ার পর শসা খেয়ে থাকি। আর এটিও আপনার পেটের ফোলাভাব কমাতে পারে। শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকার কারণে এটি আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে এবং আমাদের শরীরে তরলের চাহিদা মেটাতেও সাহায্য করে।

    ৩. দই
    দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে। আর প্রোবায়োটিক হচ্ছে— একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু গবেষণার মতে, প্রোবায়োটিক মলের গতিবিধি ঠিক রাখতে এবং নিয়মিতভাবে হতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এই উপাদানটি পেটের জ্বালাপোড়া এবং পেটের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

    ৪. বেরি জাতীয় ফল
    স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা ব্লাকবেরি জাতীয় ফলগুলো বাজারে পাওয়া যায় এখন। এ ফলগুলো আপনার পেটের ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। এ ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

    ৫. গ্রিন টি
    গ্রিন টি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে এপিগালোক্যাটেকিন গ্যালেটের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ও ক্যাফেইন থাকে। আর এ কারণে এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের ফোলাভাব কাপে পারে।

    ৬. আদা
    অনেক আগে থেকেই আদাকে হজম সমস্যার সমাধানে ভেষজ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদা পেট ফাঁপা বা ফোলাভাবের অনুভূতি দূর করতে পারে।আঁদা

    ৭. কলা, পেঁপে, আনারস, আপেল
    এ ফলগুলো পেটের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এ ছাড়া এসব ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ পেটের জন্য উপকারী ও পেটের ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করে এমনটি দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়।কলা, পেঁপে, আনারস, আপেল

    ৮. হলুদ
    আমাদের দেশে রান্নাতে ব্যবহার করা হয় এমন মসলার সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে হলুদ। আর এটির ঔষধি গুণাগুণও অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। এতে কারকিউমিন নামে একটি যৌগ থাকে, যেটি শরীরে প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে। গবেষণার মতে, হলুদে থাকা কারকিউমিন, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের ফোলাভাবের লক্ষণগুলো কমাতে পারে।

    এন-কে

  • কিডনি রোগের যে ৭ লক্ষণ অবহেলা করবেন না

    কিডনি রোগের যে ৭ লক্ষণ অবহেলা করবেন না

    আমাদের সুস্থ রাখতে কিডনি বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে। তাই কিডনি ভালো রাখার ব্যাপারে সতর্ক না হলে তা পরবর্তীতে নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। অবাক করা বিষয় হলো, প্রচুর মানুষ কিডনির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভুগছেন কিন্তু তারা সে সম্পর্কে সচেতন নয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, কিডনি রোগ বাড়তে থাকে।

    দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। অন্যান্য কারণ যা আপনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে তার মধ্যে রয়েছে- বয়স্ক হওয়া, কম ওজন, দীর্ঘ সময় ধরে নির্দিষ্ট ওষুধ ব্যবহার করা, দীর্ঘস্থায়ী মূত্রনালীর সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর এবং স্থূলতা। কিডনি সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় ভুগছেন কি না তা কিভাবে বুঝবেন? জেনে নিন কিডনি রোগের ৭টি সাধারণ লক্ষণ-

    ঘুমের সমস্যা

    অনিয়মিত ঘুম কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি সাধারণ সমস্যা। যখন কিডনি ঠিকমতো ফিল্টার করে না তখন বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে চলে যাওয়ার পরিবর্তে রক্তে থেকে যায়, যা ঘুমকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা ‍তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।

    ত্বকের সমস্যা

    কিডনির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ত্বকের সমস্যাও হতে পারে কিডনি রোগের ইঙ্গিত। শুষ্ক এবং খসখসে ত্বক খনিজ এবং হাড়ের রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা কিডনি রোগের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে। যখন কিডনি রক্তে খনিজ এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না তখন ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকায়।

    ফোলা চোখ

    কিডনির রোগের কারণে পেরিওরবিটাল এডিমা হতে পারে, যে কারণে চোখের চারপাশে ফুলে যেতে পারে। কিডনি থেকে প্রস্রাবে যাওয়ার পরিবর্তে প্রচুর প্রোটিন লিকেজ হয়ে শরীরে ছড়িয়ে পড়লে এমনটা হতে পারে। এটি এক চোখে বা দুই চোখেই দেখা দিতে পারে।

    পেশীর খিঁচুনি

    কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেশীর খিঁচুনি সাধারণ ঘটনা। শরীরে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রায়ই এমনটা হয়। স্নায়ুর ক্ষতি এবং রক্ত ​​প্রবাহের সমস্যার কারণেও হতে পারে হয়। এটি কিডনি ফাংশন নষ্ট হওয়ার কারণে হতে পারে। শরীরে কম ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা এই সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানায়।

    পা ফোলা

    আপনি কি আপনার পা এবং গোড়ালিতে ফোলা লক্ষ্য করছেন? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। ফোলা কমানোর জন্য লবণ এবং পানি কম গ্রহণ করতে হবে। এর বদলে এমন খাবার খেতে হবে যাবে পানি রয়েছে, যেমন স্যুপ এবং দই।
    যখন কিডনি অতিরিক্ত তরল অপসারণ করতে ব্যর্থ হয়, তখন এটি কিছু ক্ষেত্রে পা এবং গোড়ালি ফোলার কারণ হতে পারে।

    প্রস্রাবের পরিবর্তন

    কিডনি মূত্র তৈরি করে, তাই যখন আপনার কিডনি সঠিকভাবে না করে, তখন প্রস্রাব পরিবর্তিত হতে পারে। প্রস্রাবের ঘন ঘন তাগিদ কিডনি রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। আপনি যদি রাতে বেশি প্রস্রাব করেন, এটি কিডনি রোগের লক্ষণও হতে পারে। কিডনির ফিল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি ঘটে, যার ফলে প্রস্রাবের তাগিদ বেড়ে যায়।

    ক্ষুধা কমে যাওয়া

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন অনুসারে, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের রোগীদের মধ্যে খাবারের প্রতি অনীহা দেখা যেতে পারে। ক্ষুধা কম লাগা এবং ওজন কমে যাওয়া কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।

    কিডনি ভালো রাখার সহজ টিপস

    * শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।

    * যোগ এবং ধ্যানের অভ্যাস করুন।

    * আস্ত শস্য, তাজা ফল, শাকসবজি, ডাল এবং শাক-সবজিতে ভরপুর সুষম খাদ্য গ্রহণ করে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।

    কী এড়িয়ে চলবেন?

    * জাঙ্ক, মসলাযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারকে না বলুন।

    * প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করবেন না কারণ এটি কিডনিকে চাপ দিতে পারে।

    * অ্যালকোহল এবং ধূমপানকে না বলুন। ধূমপান রক্তনালীগুলোকে ধ্বংস করতে পারে, যা কিডনিতে রক্ত ​​প্রবাহ হ্রাস করতে পারে।

    * চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ করবেন না কারণ এটি আপনার কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

    এন-কে

  • তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করার ঘরোয়া উপায়

    তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করার ঘরোয়া উপায়

    সবার ত্বকের ধরন একইরকম হয় না। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও ত্বক তৈলাক্ত, কারও আবার মিশ্র। আপনার ত্বকের ধরন যদি তৈলাক্ত হয় তবে ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন। সেজন্য ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আর এ কাজের জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক ফেস ক্লিনজার।

    তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বাজার থেকে কিনে আনা বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত উপাদান উপকারী না-ও হতে পারে। এর বদলে নির্ভর করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে যত্নের ওপর। জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা-

    গোলাপ জলের ক্লিনজার

    তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের জন্য উপযোগী একটি উপাদান হলো গোলাপজল। অনেকের ত্বকে অতিরিক্ত তেলের কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। গোলাপজল ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমবে অনেকটাই। এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। গোলাপজলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ইচ্ছে হলে গোলাপজল মুখে এভাবে রেখে দিতে পারেন বা ধুয়ে ফেলতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন।

    আপেল সাইডার ভিনেগার

    আমাদের ত্বকের পি এইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এতে থাকে প্রচুর ম্যালিক অ্যাসিড। যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে আরও উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন উপকারী এই উপাদান। তবে খেয়াল রাখবেন, কখনোই আপেল সাইডার ভিনিগার মুখে সরাসরি ব্যবহার করবেন না। তিন টেবিল চামচ পানিতে এক টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে এটি পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। তিন মিনিট পর পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

    লেবু ও মধুর ক্লিনজার

    ত্বকের যত্নে লেবু ও মধু বিশেষ কার্যকরী। এই দুই উপাদান মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্লিনজার। এটি ত্বকের তৈলাক্ততার কারণে সৃষ্ট ব্রণের সমস্যা দূর করে। সেইসঙ্গে মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ক্লিনজারটি তৈরির জন্য দুই টেবিল চামচ লেবুর রস ও দুই টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ ত্বকে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। মিনিট দশেক এভাবে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।

    এন-কে

  • ঘুম ঘুম ভাব দূর করার উপায়

    ঘুম ঘুম ভাব দূর করার উপায়

    খাওয়ার পর অনেকের মাঝেই ঘুম ঘুম ভাব লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে দুপুরে হয় বেশি। এর কারণ হচ্ছে দুপুরে খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পাওয়ার কারণেই এ ঘুম ভাব আসে। তবে এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কয়েকটি কাজ করলে খুব সহজেই এই স্বাভাবিক ব্যাপারটি দূর করা যাবে।

    দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম ভাব দূর করার কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হলো-

    পানি পান করুন:
    পানি ঘুম ঘুম ভাব দূর করার সবচেয়ে ভালো ওষুধ। পানি পান করলে আমাদের দেহের কোষগুলো নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এক গ্লাস পানি পান করে নিন। দেখবেন ঝিম ঝিম ঘুম ধরা ভাব কেটে গেছে। একই সঙ্গে পানি পান করলে মস্তিষ্ক নতুন করে কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

    এক কাপ চা-কফি:
    চা বা কফি ঝিম ভাব দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর একটি পানীয়। দুপুরের খাবারের শেষে এক কাপ চা-কফি খেলে এক নিমেষে দূর হবে ঝিম ধরা ভাব। চা-কফির ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বেশ কার্যকর।

    হাঁটাহাঁটি করুন:
    বসে থাকলে কিংবা চেয়ারে একটু গা এলিয়ে পড়ে থাকলে ঘুম ঘুম ভাব আরো জেঁকে বসে। তাই পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটুন। এতে শরীরের আলস্য কেটে যাবে। আর ঘুম ঘুম ভাবও দূর হবে।

    চোখেমুখে পানি দিন:
    চোখে পানির ঝাপটা দিন। চোখে মুখে ঠান্ডা পানির একটু ঝাপটা দিলে মাথা ঝিম ধরা এবং শরীরে অলসভাব একেবারে দূর হয়ে যায়।

    কথা বলা:
    আপনি যদি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে চুপচাপ কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন, তাহলে কখনোই এই ঝিম ধরা ভাবটি যাবে না। কারণ এতে করে আপনার আলস্য কাটানোর কোনো কাজই হচ্ছে না।

    এন-কে

  • ঘুমানোর আগে মেকআপ তুলুন ভালো ভাবে

    ঘুমানোর আগে মেকআপ তুলুন ভালো ভাবে

    প্রতিদিন কাজকর্মের জন্য বাইরে বেরোতে হয়, ফলে অন্তত সামান্য মেকআপ করতে হয়। বিয়ে বাড়ি অথবা পার্টিতে যাওয়ার আগে আবার ভারী মেপআপ করাটা মাস্ট। তবে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ক্লান্ত হয়ে ফেরার পর মেকআপ তোলার কথা হয়ত কারোই মাথায় থাকে না। কিন্তু যতই ক্লান্ত হোন না কেন মুখ থেকে মেকআপ না তুলে কখনওই ঘুমাতে যাবেন না। তাহলেই কিন্তু ত্বকের পুরো বারোটা বেজে যাবে।

    মুখে মেকআপ নিয়ে ঘুমাতে গেলে মুখে খুব তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে যাবে। মেকআপ যত দামিই হোক না কেন ঘুমানোর সময় তা পরিষ্কার করে নিয়ে তবেই ঘুমাতে যান। জেনে নিন ঠিক কী কী করলে আপনার মেকআপ থাকবে নিখুঁত অথচ ত্বকেরও ক্ষতি হবে না।

    সঠিক পদ্ধতিতে মেকআপ তুলুন

    চোখের কোণে অল্প একটু কাজল লেগে থাকলে কী আর হবে, এই যদি ভেবে থাকেন তা হলে বড়ো ভুল করছেন! দীর্ঘদিন এটা যদি চলে, আপনার ত্বক তো খারাপ হয়ে যাবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে শুধু যে মেকআপ তুলে ফেলতে হবে তাই নয়, মেকআপ তুলতে হবে যথাযথ উপায়ে। টু-স্টেপ ক্লিনিংয়ের উপর জোর দিন। চড়া মেকআপ লাগালে টু-স্টেপ ক্লিনিং করতেই হবে। মেকআপ তোলার সময় বেশি ঘষাঘষি করবেন না। চোখের চারপাশের ত্বক খুব পাতলা। তাই চোখের মেকআপ তোলার সময় খুব হালকা হাতে তুলতে হবে। চোখের চারপাশের ত্বকে টান লাগলে অচিরেই বলিরেখা দেখা দিতে পারে। আপনার ত্বক তেলতেলে, না শুষ্ক, নাকি স্পর্শকাতর, সেটাও জেনে নিন, তা হলে সেই মতো ক্লেনজ়ার কিনতে পারবেন।

    ডাবল ক্লেনজ়িংয়ের ওপর জোর দিন

    আজকাল ডাবল ক্লেনজ়িং খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এই পদ্ধতিতে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। প্রথমে অয়েল বেসড ফেস ওয়াশ দিয়ে মেকআপ আর আলগা ধুলোময়লাটা তুলে ফেলা হয়, তারপর জেল বেসড ফেসওয়াশ দিয়ে আর একবার ধুয়ে ফেলা হয় যাতে ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় আর তেলমুক্ত থাকে। ত্বকের ধরন আর কতটা ভারী মেকআপ করেছেন, তার উপর নির্ভর করে দেখে নিন ডাবল ক্লেনজ়িং আপনার দরকার কিনা! কারণ শুষ্ক ত্বকে ডাবল ক্লেনজ়িং করলে ত্বক আরও শুকিয়ে যেতে পারে।

    ঘরোয়া উপায়ে মেকআপ তুলুন

    নারকেল তেল যে চুলের পক্ষে কতটা উপকারী তা আমরা সবাই জানি, এই তেল খুব ভাল মেকআপ রিমুভারের কাজ করে। একটি ছোট বাটিতে সামান্য পানি ও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে তাতে তুলো বা কটন প্যাড চুবিয়ে আপনি ত্বকের উপর থেকে তো বটেই এমনকী, ত্বকের ভিতর থেকেও মেকআপ তুলতে পারেন।

    মেকআপ তোলার জন্য কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। একটি ছোট কাচের বাটিতে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে তুলো বা কটন প্যাড চুবিয়ে মুখে হালকা ঘষে মেকআপ তুলে নিতে পারেন। এরপর নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেসওয়াশ দিয়ে একবার মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

    মেকআপ তোলার জন্য যদি আপনি বেবি অয়েল ব্যবহার করতে চান, তা হলে তুলো বা কটন প্যাডে কয়েক ফোঁটা বেবি অয়েল নিয়ে প্রথমে কাজল, লিপস্টিক ও ত্বকে লেগে থাকা মেকআপ তুলে নিন। এবার আরও একবার অন্য একটি নতুন কটন প্যাডে বেবি অয়েল নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন, গলায়, কানে এবং ঘাড়েও কিন্তু মেকআপ লেগে থাকে সেখান থেকেও তুলতে ভুলবেন না। এর পর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী কোনও মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

    আই ক্রিম বাদ দেবেন না

    ক্লেনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজিংয়ের গুরুত্ব আপনাকে যে কোনও ত্বক বিশেষজ্ঞ বারবার করে বলবেন। কিন্তু আই ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেবেন খুব কমজনেই। ত্বক ভালো রাখতে বাদ দেওয়া যাবে না আই ক্রিম। কারণ চোখের চারপাশের পাতলা ত্বকেই প্রথম বয়সের রেখা দেখা যায়।

    অ্যান্টি অক্সিডান্ট সিরামের স্পর্শ

    ত্বক সুস্থ রাখতে তাকে আর্দ্র রাখারও খুব প্রয়োজন। প্রতিদিনের রূপচর্চায় তাই ব্যবহার করুন অ্যান্টি অক্সিডান্ট সিরাম। এই সিরাম একদিকে যেমন ত্বক আর্দ্র রাখে, তেমনি দূষণ, ধুলোময়লা আর রোদ থেকে ত্বক সুরক্ষিতও রাখে।

    ত্বক ডিটক্স করুন

    কখনও খেয়াল করেছেন, খুব তেলমশলাদার খাবার খাওয়ার পরের দিন ত্বকটা কেমন নিষ্প্রভ দেখায়? অনেকের তো ব্রণও বেরোয়। এসবের হাত থেকে বাঁচতে আপনার দরকার ডিটক্স পানীয়। প্রতিদিন ভোরে উঠে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে এক গ্লাস পানি খান। গ্রিন টি, শসার রসও শরীরকে খুব ভালো ডিটক্স করতে পারে।

    ঘুমানোর সময় কিন্তু আপনার সঙ্গে আপনার ত্বকও নিঃশ্বাস নেয়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি সতেজ এবং উজ্জ্বল মুখের অধিকারী হতে চান তাহলে অবশ্যই মেকআপ তুলে ঘুমাতে যান।

    এন-কে

     

  • লাল চালের ভাত, নাকি সাদা ভাত, কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

    লাল চালের ভাত, নাকি সাদা ভাত, কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

    ভাত ছাড়া বাঙালি অচল, একথা বললে বোধ হয় বাড়িয়ে বলা হবে না। কারণ সারা দিনে এটা-সেটা যাই খান না কেন, ভাত না খেলে যেনো মনে হয়, কিছুই খাওয়া হয়নি। অনেকেই বলেন, ভাত যদি খেতেই হয়, তবে লাল চালের ভাত খাবেন।

    একটা সময় ছিল যখন লাল চাল কেবল নিম্নআয়ের মানুষের খাবারের তালিকায় ছিল। আর এই লাল চাল খেয়েই নিম্ন আয়ের লোকজন সুস্থ-স্বাভাবিক, বলা চলে নীরোগ জীবনযাপন করতেন। সময়ের পালা বদলে এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসাবে অনেকেই খাবার তালিকায় লাল চাল যোগ করছেন। তাহলে লাল চাল কি সাদা চালের চেয়ে ভালো, কেন খাবেন লাল চাল, জেনে নিন

    লাল চালের ভাত ও সাদা চালের ভাতে যত তফাৎ

    লাল চালে থায়ামিন ০.৬ মিলি গ্রাম, সাদা চালে থায়ামিন ০.১ মিলি গ্রাম। লাল চালে রিবোফ্লাভিন ০.১৪ মিলি গ্রাম, সাদা চালে রিবোফ্লাভিন ০.০৬ মিলি গ্রাম।লাল চালে নায়াসিন ৫ মিলি গ্রাম, সাদা চালে ২ মিলি গ্রাম। লাল চালে ভিটামিন বি৫ ১.৩ মিলি গ্রাম আর সাদা চালে ০.৭ মিলি গ্রাম।সাদা চালে আয়রন ২.২ মিলি গ্রাম, লাল চালে আয়রন ৪.৭ মিলি গ্রাম।

    সাদা চালে সোডিয়াম ৬.৫ মিলি গ্রাম, ১৩ মিলি গ্রাম। লাল চালে ম্যাঙ্গানিজ ৩.২ মিলি গ্রাম আর সাদাতে ২.৫ মিলি গ্রাম। লাল চালে ম্যাগনেশিয়াম ১৩৩ মিলি গ্রাম আর সাদাতে ১২ মিলি গ্রাম। পটাশিয়াম ৩২০ মিলি গ্রাম হচ্ছে লালে, সাদাতে ১২০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন-ই ২ মিলি গ্রাম লাল চালের ভাতে, সাদাতে০.৩ মিলি গ্রাম। এবং সাদা চালের ভাতে ৭ মাইক্রো গ্রাম সেলেনিয়াম থাকে। পক্ষান্তরে লাল চালের ভাতে সেলেনিয়াম থাকে ৭৮ মাইক্রো গ্রাম।

    কেন খাবেন লাল চাল

    লাল চালে প্রচুর অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরে প্রদাহ ও অ্যালার্জি কমায়। পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকি এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্যও সাদা চালের চেয়ে লাল চালের ভাতই ভালো।লাল চালে রয়েছে সেলেনিয়াম। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।আর পলিশ করা সাদা চালে খুবই সামান্য পরিমাণে সেলেনিয়াম থাকে।লাল চালে যে পরিমাণ আয়রন রয়েছে তা রক্ত শূন্যতায় ভোগা মানুষের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও খুব উপকারী।হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে সাহায্য করে লাল চাল। এ জন্য আবার তিনবেলা প্লেট ভরে লাল চালের ভাত খেলে কিন্তু হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেটুকু সাদা ভাত খাওয়া প্রয়োজন সেটুকু লাল চালের ভাত খেতে পারেন।

    যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন

    লাল চালে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর ফাইটিক অ্যাসিড আছে। তাই লাল চালের ভাত খাওয়ার সময় বেশি আয়রন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।

    এন-কে

  • হাঁচি শুরু হলে থামতে চায় না?

    হাঁচি শুরু হলে থামতে চায় না?

    আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সর্দি-কাশি-হাঁচি লেগেই থাকে। তবে অনেকেরই আবার ঠান্ডা লাগা বা সর্দি ছাড়াও হাঁচি হয়। আর একবার হাঁচি শুরু হলে সহজে তা থামতে চায় না। ক্রমাগত হতেই থাকে, ফলে অস্বস্তিও লাগে। অ্যালার্জি বা অন্যান্য অনেক সমস্যার কারণে এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। কিন্তু কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি আটকানো যেতে পারে হাঁচি।

    টাং টুইস্টার

    যে ধরনের বাক্য বলতে গেলে জিভ জড়িয়ে যায়, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘টাং টুইস্টার’, যেমন – ‘জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা’, ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়’,ইত্যাদি। এই ধরনের বাক্য একটানা বলে যান। কখন হাঁচি থেমে যাবে বুঝতেই পারবেন না!

    ভিটামিন সি

    কমলালেবু এবং পাতিলেবু জাতীয় সাইট্রাস ফলগুলিতে ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। ফ্ল্যাভোনয়েডস অনাক্রম্যতা তৈরি করতে এবং ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ভিটামিন সি হয়তো আপনাকে তৎক্ষণাৎ স্বস্তি দিতে পারবে না, তবে ধীরে ধীরে হাঁচি কমিয়ে দিতে পারে। আমলিকও খেতে পারেন, এটি ভিটামিন সি ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ।

    মধু

    মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি, তা সকলেরই জানা। এটি সর্দির হাঁচির পাশাপাশি অ্যালার্জির কারণে হওয়া হাঁচিও অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ করতে পারে। হাঁচির সময় এক চামচ মধু খান, স্বস্তি মিলতে পারে।

    বাষ্প নেওয়া

    হাঁচির কারণ যদি সর্দি হয়, তা হলে বাষ্প সেই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। কোভিডের সমস্যা থেকে বাঁচতেও চিকিৎসকরা তা নেওয়ার পরামর্শ দেন। বড় পাত্রে ফুটন্ত পানি নিয়ে উপরে তোয়ালে ঢাকা দিয়ে বাষ্প নেওয়ার পদ্ধতি খুবই কাজের। হালে বিদ্যুৎচালিত বাষ্প নেওয়ার যন্ত্রও পাওয়া যায়। সর্দির হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে এই পদ্ধতি অনেকেরই কাজে লাগে।

    ইউক্যালিপটাস তেল

    কোনও একটা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো বা রুমালে তিন ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিন। হাঁচি শুরু হলে এটি ক্রমাগত শুঁকতে থাকুন। এই তেলের গন্ধেও হাঁচি থেমে যায়!

    নাক টিপে ধরুন

    হাঁচি বন্ধ করার এটি অন্যতম উপায়। হাঁচি পেলে দুটো আঙুল দিয়ে নাক টিপে ধরুন। নাকে কোনও বাজে গন্ধ ঢুকলে যেমনভাবে নাক টিপে ধরেন, ঠিক তেমনভাবে করুন। এতেও হাঁচি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    এন-কে