Category: লাইফস্টাইল

  • টিকা পাচ্ছেন না, ভরসা রাখুন একটি সবজিতে

    টিকা পাচ্ছেন না, ভরসা রাখুন একটি সবজিতে

    পৃথিবীজুড়েই জনসংখ্যার বিপরীতে কোভিড ভ্যাকসিনের স্বল্পতা আছে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। যারা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, তারা ভরসা রাখতে পারেন একটি বিশেষ সবজিতে।

    এটি এমন একটি সবজি, যা প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। আর সেই চিরচেনা সবজিটির নাম হলো রসুন। রসুন খেলে খুব সহজে বাড়াতে পারেন শরীরের ইমিউনিটি। রান্নার স্বাদ ও গন্ধ আনার জন্য দারুণ উপকরণ রসুন। প্রতিদিন খাওয়ার সময় এক থেকে দুই কোয়া রসুন কাঁচা খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

    রসুন মূলত অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকারক ভাইরাসকে আটকাতে এবং নষ্ট করতে সাহায্য করে রসুন। রান্না করা রসুন নয়, কাঁচা রসুন খেলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, গলায় ব্যথা এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে রসুন।

    কাঁচা রসুনের ঝাঁঝ অনেক বেশি থাকে। কাঁচা রসুন খেলে শুধুই ইমিউনিটি বাড়ে এমনটাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনও কমে। রান্না করা রসুনের উপকারিতা অনেকটাই কমে যায়, তাই দুপুর ও রাতের খাওয়ার সময় কাঁচা রসুন রাখুন খাবারের সাথে। চিকিৎসকেরা বারবার বলছেন ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাধ্যমেও শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। যার মধ্যে রসুন অন্যতম।

    যেহেতু কাঁচা রসুন খাচ্ছেন, তাই পানিতে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে বা রসুনের কোয়াগুলো কিছুক্ষণের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তারপর কাঁচা সেগুলো খেয়ে নিতে হবে। তাই করোনাকালে নিজেকে সুস্থ ও শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য রসুন খেতে পারেন আজ থেকেই। তবে খাদ্য বিপাক ও অগ্ন্যাশয়ে কোনো সমস্যা হলে রসুন না খাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    এন-কে

  • গাজরের জুস খেলে যেসব উপকার হয়

    গাজরের জুস খেলে যেসব উপকার হয়

    গাজর খেতে ভালোবাসেন? প্রতিদিনের সালাদে গাজর থাকে; নুডলস, পাস্তা, কারিতেও গাজরের উপস্থিতি। আবার গাজরের পায়েস কিংবা হালুয়া থেকে মুখ ফেরানো দায়। গাজর তো অনেকভাবে খেয়ে থাকেন। এবার থেকে এর সঙ্গে যোগ করুন গাজরের জুসও। কারণ সুন্দর রং ও স্বাদের এই সবজির আছে অনেক গুণ। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস গাজরের রস খেলে মিলবে অনেক উপকার-

    শরীরে ভিটামিন পৌঁছে দেয়

    গাজর ভিটামিন এ এর অন্যতম উৎস। এতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি চোখের অন্যান্য সমস্যাও কমিয়ে আনে। গাজরের জুসের পাশাপাশি কাঁচা গাজরও খেতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে কাঁচা সবজি ঠিকভাবে হজম হয় না। তারা সামান্য ভাপিয়ে নিয়ে খেতে পারেন।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়ক

    ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে গাজরে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এটি রক্ত শুদ্ধিকরণেও সাহায্য করে। অনেকের মুখে নানা ধরনের দাগ-ছোপ পড়ে থাকে। এ ধরনের দাগ-ছোপ দূর করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে গাজরের জুস।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক

    খাবার হজমের পর কিছু উচ্ছিষ্ট থেকে যায় আমাদের শরাীরে। একে বলা হয় ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল। আমাদের শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস। এ ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার। ফলে শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কম হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এসব ভিটামিন এক হয়ে লড়াই করে ফ্রি র‍্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে।

    বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

    প্রতিদিন সকালে একগ্লাস গাজরের জুস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস ও বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি মিলবে গাজরের জুস খেলে। যা হাড় গঠন, স্নায়ুর নানা সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করে থাকে।

    শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

    রক্তে শর্করা ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গাজরের জুস খেলে তা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। পাশাপাশি এই সবজিতে সুগার ও ক্যালরি থাকে খুবই কম। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। সহজে ফ্যাট বার্ন হয় বলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চার পর গাজরের জুস খেলে উপকার পাবেন।

    গাজরের জুস তৈরি করবেন যেভাবে

    প্রথমে গাজর ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এরপর অল্প ভাপিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, পরিমাণমতো লবণ, সামান্য চিনি, একচিা চামচ লেবুর রস, ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। জুস তৈরি করে ফেলে রাখবেন না। আধাঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নিন।

    এন-কে

  • হার্ট অ্যাটাকের আগে জানান দিচ্ছে শরীর, বুঝবেন যেভাবে

    হার্ট অ্যাটাকের আগে জানান দিচ্ছে শরীর, বুঝবেন যেভাবে

    হার্ট অ্যাটাক। ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য এই শব্দ দুটিই যথেষ্ট। কারণ, বিশ্বে প্রতিদিন হার্ট অ্যাটাকে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বুকের বাঁ দিকে হালকা ব্যথা, কাঁধ, ঘাড়, সারা শরীরে ব্যথা এবং অস্বস্তি-এমন উপসর্গ হতে হতেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা মাত্রা বেশি বা যাদের স্থুলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের এমনিতেই হৃদরোগের আশঙ্কা তুলনামূলক বেশি থাকে।

    হার্ট অ্যাটাক যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময় হতে পারে। অনেকে মনে করেন ছেলেদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থাকে। তবে হৃদযন্ত্রে কোনো রকম জটিলতা তৈরি হলে, তা আগাম জানান দেয় শরীর। লক্ষণগুলো কেমন হতে পারে জেনে রাখুন।

    শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট

    শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কষ্ট হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে আসলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। হৃদযন্ত্রের কোনো রকম সমস্যা হলে ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

    কারণ ছাড়াই ঘাম

    যদি কখনো বুঝতে পারেন কোনো কারণ ছাড়াই ঘাম হচ্ছে কিংবা একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন, তা হলেও দুশ্চিন্তা করার মতো অবশ্যই কারণ আছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক করে অক্সিজেন পায় না। তখন অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। এ সময় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

    হঠাৎশরীর দুর্বল

    হঠাৎ করে যখন আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তার কারণ হল ধমনী আরো সংকীর্ণ হওয়ায় রক্তসংবহন সঠিকভাবে অনুমতি দিচ্ছে না। আপনার পেশীর যা প্রয়োজন তা পাচ্ছে না এবং এমনটা হলে আপনার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

    মাঝরাতে অতিরিক্ত ঘাম ও মাথা ঘোরা

    যদি মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন দরদর করে ঘামছেন, তা হলে উপেক্ষা করবেন না। বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। আর মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ সীমাবদ্ধতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।

    মেয়েদের ক্ষেত্রে লক্ষণ

    মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ আলাদা। বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাঁপিয়ে যাওয়া ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তাই আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এসব উপসর্গসমূহের সম্মুখীন হোন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

    এন-কে

  • বন্ধু আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে, ঈর্ষা করে, বুঝুন ৫ লক্ষণে

    বন্ধু আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে, ঈর্ষা করে, বুঝুন ৫ লক্ষণে

    যদি এমন বন্ধু থাকে, যে আপনার পাশে থাকে, আপনাকে বিশ্বাস করে—এমন বন্ধু পাওয়া সত্যিই আশীর্বাদ। কিন্তু বন্ধু যদি মনে মনে আপনাকে ঈর্ষা করে, আপনার সাফল্যে হিংসা করে আর আপনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে, তাহলে? নিশ্চয়ই আপনার ভালো লাগবে না।

    কিন্তু এমনও ঘটে থাকে। বন্ধুই বন্ধুর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে। ঈর্ষাপরায়ণ হয়। তবে অনেকে পড়তেই পারেন না বন্ধুর মনের কথাটি। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এক প্রতিবেদনে এমন কিছু লক্ষণ প্রকাশ করেছে, যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বন্ধু প্রতিযোগিতায় নেমেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে। আসুন, চোখ বুলিয়ে নিই—

    আপনার সাফল্যে ঈর্ষা করে

    বন্ধু আপনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, এটা বোঝার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো সে আপনার সাফল্যে ঈর্ষা করে। সে আপনাকে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়, আপনি কখনও সফল হতে পারবেন না বা ভালো কিছু করতে পারবেন না। শুধু তা-ই নয়, সে আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধাও দেয়।

    আপনার ব্যর্থতায় খুশি হয়

    কোনও কিছুতে আপনি সফল হলেন আর দেখলেন আপনার বন্ধুর মুখে হাসি নেই। তাহলে বুঝবেন, বন্ধু আপনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যেখানে বন্ধুর উচিত আপনাকে সহায়তা করা, পাশে থাকা, সেটি না করে সে এড়িয়ে যায়। আপনার ব্যর্থতায় যদি বন্ধুর হাসিমুখ প্রত্যক্ষ করেন, তবে বুঝে নিন, সে নিশ্চিত প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

    আপনার সাফল্য খুব কম উদযাপন করে

    ধরা যাক, আপনি ক্যারিয়ারের তুঙ্গে রয়েছেন। আপনার বন্ধু কি তা ঠিকঠাক উদযাপন করে? যদি না হয়, তার কারণ, আপনার বন্ধু প্রতিযোগিতার চেষ্টা করছে। খুশি হওয়া বা প্রশংসার পরিবর্তে সে আপনার অনালোকিত দিকগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এমনকি আপনার সাফল্য উদযাপন না করে কিছু অজুহাত দিয়ে আপনাকে এড়িয়ে যায়। এটা কিন্তু স্পষ্ট লক্ষণ।

    বন্ধু আপনাকে অনুকরণ করে

    ধরা যাক, আপনি রান্না বা নতুন কিছু শিখছেন। অথবা নতুন পোশাক কিনেছেন। বন্ধুও একই কাজ করল। আপনি হয়তো ভাবছেন, বন্ধু আপনার দ্বারা অনুপ্রাণিত। কিন্তু না, সে আসলে আপনাকে অনুকরণ করছে, প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মাঝেমধ্যে দেখবেন, আপনার ক্রেডিটটাও ঠিকমতো সে দিচ্ছে না। অতএব, এবার বন্ধুর মন পড়তে শিখুন।

    আপনার নেতিবাচক দিক তুলে ধরে

    সত্যিকারের বন্ধু সব সময় আপনার জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবে। আপনার মেধা ও সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখবে। কিন্তু বন্ধু যদি আপনার নেতিবাচক দিকগুলোর ওপর বেশি জোর দেয়, ব্যর্থতার দিকগুলো তুলে ধরে, তাহলে বুঝবেন সে আপনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আপনি যা-ই করেন, সে ভুল-ত্রুটি ধরার চেষ্টা করে, যা আপনাকে খারাপ অনুভূতি এনে দেয়। এটাও স্পষ্ট লক্ষণ।

    ভালো বন্ধু পাওয়া সৌভাগ্যের। কিন্তু বন্ধু যদি ঈর্ষাপরায়ণ হয়, আপনার ভালোটা সুনজরে না দেখে, তবে সে কেমন বন্ধু? আমরা কয়েকটি লক্ষণ আলোকপাত করলাম মাত্র। জীবন চলার পথে কে সাথি আর কে পরশ্রীকাতর, তা আপনিই টের পাবেন। নানান লক্ষণ তো আপনার নজরেও আসবে। অতএব, বন্ধু তোমার পথের সাথিকে চিনে নিয়ো।

    এন-কে

  • শরীরে পানির ঘাটতি, বুঝুন ৪ লক্ষণে

    শরীরে পানির ঘাটতি, বুঝুন ৪ লক্ষণে

    আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন প্রয়োজন সুষম খাবার, তেমনই জরুরি পানি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যাবে। শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন।

    ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীরে পানির ঘাটতির ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে আর তা নানান সমস্যার কারণ। আজ আমরা চার লক্ষণ জানব, যা দেখে সহজেই আপনি বুঝবেন শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে। আসুন, এক ঝলকে দেখে নিই—

    ক্লান্তিভাব

    মৃদু ডিহাইড্রেশনের ফলে মাথা ধরা ও ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। ঘাম, মলমূত্র ত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে কিছুটা পানি বেরিয়ে যায়। আর আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি না খান, পানির ঘাটতি পূরণ না হয়, তবে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। এতে করে আপনার মনোসংযোগের অভাব ও মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। এ সব লক্ষণে বুঝবেন, শরীরে পানির অভাব রয়েছে।

    মুখে দুর্গন্ধ

    পানির অভাবে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। লালা তৈরি করতে ও মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার শরীরে যদি পানির ঘাটতি থাকে, তাহলে লালা তৈরি কম হবে। বেড়ে যাবে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া। এতে মুখে দুর্গন্ধ হবে। সুতরাং আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য

    পানির অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। কারণ, কোলন পানি শোষণ করে। এখানেই জমে শরীরের বর্জ্য। কিন্তু আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন, তবে শরীর মল থেকে পানি শোষণ করে নেবে। এর দরুণ আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগবেন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি হয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে বুঝবেন, আপনার শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে।

    মূত্রজ্বালা

    মূত্রের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর টক্সিন বা ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায়। আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি না খান, তবে মূত্র কম বের হবে। মূত্রের রং হলুদ ধারণ করবে। প্রস্রাব করতে গেলে জ্বলবে। মূত্রজ্বালায় অনেকে ভুগে থাকেন। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

    এন-কে

  • আপনি যখন সৎমা

    আপনি যখন সৎমা

    আপনি আপনার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। অর্থাৎ নতুন সত্তা। তাই নতুন দায়িত্বের সাথে প্রয়োজন স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানের সঙ্গে পারফেক্ট বন্ডিং গড়ে তোলা।

    আপনি যেমন এসেই নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে বা গুছিয়ে নিতে পারছেন না, একইভাবে ওর পক্ষেও একটু সমস্যা হবে আপনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে। তবে আপনার ব্যবহারের মাধ্যমে এ গ্যাপটা ধীরে ধীরে শূন্য হয়ে যাবে।

    এজন্য প্রয়োজন আপনার আন্তরিক মনোভাব। সে যাতে কখনো আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে না ভোগে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। যদিও এটা খুব সহজ কাজ নয়। আসলে অনেক বাচ্চাই নতুন মায়ের সঙ্গে ইমোশনাল বন্ডিং গড়ে তুলতে পারে না। তবে এ শূন্যস্থান ভরাট করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাকেই পালন করতে হবে। ও যাতে একাকিত্বে না ভোগে সেজন্য ওর সাথে খোলাখুলি মিশুন। স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তান বলে ওকে অবহেলা করবেন না বা আলাদা ভাববেন না।

    ওকে স্কুলে ড্রপ করে দিন, টিফিন বানিয়ে দিন, সম্ভব হলে বিকালে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান। এরকম ছোটখাটো বিষয়গুলোর মাধ্যমে ওর কমফোর্ট লেভেলটা বাড়িয়ে তুলুন। তাহলে ও আপনার সঙ্গে নিজের মনের কথা শেয়ার করতে দ্বিধা করবে না। ওর বন্ধু হয়ে উঠুন। তাহলে ওর মধ্যে চাপা ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি কাজ করবে না।

    আসলে একজন শিশু তার মায়ের কাছ থেকে নির্ভরতার যে আশ্বাস পায়, সেটা সাধারণত অন্য কারও কাছ থেকে পাওয়ার আশা করে না। তাই আপনার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হলো ওকে নিজের মায়ের অভাব বুঝতে না দেওয়া। আর বয়ঃসন্ধির সময়তো এ ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম খুবই জরুরি।

    তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে কখনই তার জন্য ওভার ডমিনেটিং হয়ে ওঠা যাবে না। সৎছেলে বা মেয়ের ওপর যদি অতিরিক্ত নজরদারি করেন, তাহলে পরিণামে আপনারই সমস্যা বেশি হবে।

    এছাড়া ওভার প্রোটেক্টিভও হওয়া যাবে না। তাহলে ও আপনার সাথে খোলাখুশি মিশতে পারবে না। আর বয়সের তফাত কম থাকলে বন্ধু হওয়াটাও অনেক সহজ। এভাবেই সৎসন্তানের সৎমা নয় ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন।

    এন-কে

  • শিশুদের করোনা ঝুঁকি কতটা

    শিশুদের করোনা ঝুঁকি কতটা

    তরঙ্গ বা ঢেউ মহামারির একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রতিটি ঢেউ বিপুলসংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করে। ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামে অভিহিত মহামারিটি ‘এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ ভাইরাসের কারণে একটি অস্বাভাবিক ও মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি ছিল। এমনকি সেই ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ মহামারিতেও তরঙ্গ ছিল।

    ১৯১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওই মহামারির সময় চারটি তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল এবং তা ৫০ কোটি মানুষকে সংক্রমিত করেছিল, অর্থাৎ তৎকালীন বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সংক্রমিত হয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ২০ কোটির বেশি বলে অনুমান করা হয়। যদিও এ ধারণাটি রক্ষণশীল এবং অনেকের ধারণা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এটি ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারিগুলোর একটি। তাই বর্তমানে করোনা মহামারিতেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভাইরাসের এ তরঙ্গ বা ঢেউয়ের কারণগুলোর একটি হলো ভাইরাসজনিত এবং দ্বিতীয়টি হলো মনুষ্য-সম্পর্কিত। ভাইরাসটির নিজস্ব রূপান্তর (মিউটেশন) আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর দ্বিতীয়টি আমরা আমাদের আচরণ ও শিষ্টাচার অনুসরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

    দেশে কোভিড-১৯-এর প্রথম ঢেউয়ের পর আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে ছিলাম। দ্বিতীয় ঢেউ কমতে না কমতেই তৃতীয় তরঙ্গ হানা দিয়েছে। এ কারণে এখন কয়েকটি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে- ১. তীব্রতা ও ভয়াবহতা আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে এবং ২. শিশুরা ব্যাপকহারে সংক্রমিত হতে পারে। ইতোমধ্যেই এর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    কোভিড-১৯-এর প্রথম তরঙ্গে প্রাথমিকভাবে প্রবীণ ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে আক্রান্তের হার ও তীব্রতা বেশি ছিল। কিন্তু শিশুদের মাঝে আক্রান্তের হার ছিল খুবই কম। দ্বিতীয় তরঙ্গে বেশিসংখ্যক অল্প বয়সি ব্যক্তি (৩৫-৪৫ বছর) ও শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা ছাড়াও গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

    তথ্যানুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সি শিশুরা প্রায় ৮.৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ সাধারণত হালকা রোগে ভুগেছে, তবে কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থও হয়েছে। যদিও শিশুদের মৃত্যুর হার অন্যান্য বয়সের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ছিল। অর্থাৎ শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সংক্রমিত হলেও গুরুতর রোগাক্রান্ত হচ্ছে না। সংক্রমিত শিশুদের খুব অল্পসংখ্যকের মাঝারি-গুরুতর রোগ হতে পারে। শিশুদের প্রায় ৯০ শতাংশ সংক্রমণ হালকা ছিল।

    তবে মনে রাখতে হবে, সংক্রমণের সামগ্রিক সংখ্যা যদি ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, তবে মাঝারি-গুরুতর রোগের সংখ্যাও শিশুদের মধ্যে বৃদ্ধি পেতে পারে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ইন্দোনেশিয়ায় অধিকসংখ্যক শিশু করোনাভাইরাসে মারা গেছে, যাদের অনেকেই পাঁচ বছরের কম বয়সি, মৃত্যুর হার অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি।

    কেবল ইন্দোনেশিয়াতেই নয়- থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও বিপজ্জনক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং এসব দেশে টিকা দেওয়ার হার কম হওয়ায় করোনার রেকর্ড প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। একই সঙ্গে আমরা কোভিড প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছি না, তাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তরঙ্গে অবশিষ্ট অপ্রতিরোধক (Unvaccinated) জনগণ সংক্রমিত হতে পারে-যাদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক শিশুও আছে।

    এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটি হলো-কীভাবে তৃতীয় তরঙ্গকে আটকানো যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করোনাভাইরাসের অতিরিক্ত তরঙ্গগুলো রোধ করার মূল চাবিকাঠি হলো ভাইরাসটির জন্য পরীক্ষা বাড়ানো এবং প্রয়োজনবোধে সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন ও অনুসরণ অব্যাহত রাখা। কারা এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে তা নির্ধারণের জন্য বিস্তৃত টেস্টিং ও যোগাযোগের সন্ধান প্রয়োজন এবং সেই ব্যক্তিদের অবশ্যই ১৪ দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে।

    Center for Research, Innovation, Development and Action-এর পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, বিপজ্জনক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে বাংলাদেশে ভয়াবহ তরঙ্গের আশঙ্কা বিদ্যমান। এ উচ্চ সংক্রামক করোনাভাইরাস এখনই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে করোনার তীব্রতা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

    মে মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে সংক্রমণ কিছুটা কম থাকার পর ২৫ মে, ২০২১ থেকে সংক্রমণের উচ্চহার দেখা গেছে (শনাক্তের হার ১০ শতাংশের বেশি)। বাংলাদেশে ৮ মে প্রথম ডেল্টা (ভারত) ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ সংক্রমণশীল, আলফা (যুক্তরাজ্যের) ভ্যারিয়েন্টের থেকে ৪০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এবং তা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের গুরুতর রোগের আশঙ্কা আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের আরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তরঙ্গ ১ ও ২-এ সংগৃহীত তথ্যানুসারে, শিশুদের গুরুতর কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে আইসিইউয়ে ভর্তির প্রয়োজন কম। তবে মিউট্যান্ট স্ট্রেনগুলো কীভাবে আচরণ করবে সে সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

    ডেল্টা ওয়েভ COVID-19 সংক্রমণে বেশির ভাগ শিশুর গুরুতর রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই আমাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইতোমধ্যেই COVID-19-এর গুরুতর অসুস্থতা শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া ও এমআইএস-সি (MIS-C) উল্লেখযোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ লক্ষণ সংক্রান্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণের ২-৬ সপ্তাহ পর ‘মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম (MIS-C), প্রতি লাখে ১২ জনের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার কারণে দেখা যেতে পারে।

    কিছু ক্ষেত্রে এটা গুরুতর হতে পারে। এবং তীব্র অসুস্থতার জন্য ২-৬ সপ্তাহ পর কোভিড-১৯-এর কারণে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সময়মতো চিকিৎসা করা হলে বেশির ভাগের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসায় ভালো ফল মিলতে পারে। এমআইএস-সি আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশু অন্যের মধ্যে সংক্রমণটি সঞ্চার করতে পারে না।

    শিশুদের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি ও সাবধানতা
    গত ১৫ মাস থেকে COVID-19 অসুস্থতার চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকরা অনেক কিছু শিখেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। শিশুদের কোভিড চিকিৎসা বিষয়েও শিশু বিশেষজ্ঞরা অধিক সংবেদনশীল ও প্রশিক্ষিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ‘মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম (MIS-C) আক্রান্তদের কেমন পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও যত্ন প্রয়োজন, সে সম্পর্কে ধারণা হয়েছে।

    অধিকসংখ্যক শিশু রোগীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে অসুস্থতা ও সতর্কতার লক্ষণ সম্পর্কে পিতা-মাতাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সচেতনতা জোরদার করতে হবে। উচ্চ-নির্ভরশীলতা ইউনিট (HDU) এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলোসহ শিশুদের জন্য আরও কোভিড ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিধি শিশুর জন্য একই। পিতা-মাতার মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোওয়ার স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, গণসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য এবং শিশুদেরও এ ব্যাপারে শিক্ষা দিতে হবে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ২ থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের মাস্ক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের কোভিড উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করতেই হবে। মা-বাবার উচিত বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলো লক্ষ করা এবং শিশু নির্যাতন ও সহিংসতা রোধে সজাগ থাকা। এছাড়াও স্ক্রিনের সময় অর্থাৎ মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপের ব্যবহার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা অবশ্য করণীয়।

    স্কুল আবার চালু করার আগে শিশুদের সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইনও তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি পুরোদমে থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। স্কুল খোলার আগে স্কুলসংশ্লিষ্ট সব প্রাপ্তবয়স্ককে (শিক্ষক, পিওন, ড্রাইভার, দারোয়ান পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং সব অভিভাবক) দ্রুততার সঙ্গে টিকা গ্রহণ করতে হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বাচ্চাদের স্কুল খোলার জন্য সর্বাগ্রে নিরাপদ পরিবেশ প্রস্তুত করা প্রয়োজন।

    শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা
    এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের কোভিড-১৯ রোগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা হাজারগুণ বেশি। তাই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বয়স্কদের গ্রুপকে প্রথমে টিকা দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে ১৮ বছরের উপরে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। কিছু দেশ ইতোমধ্যে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

    ইতোমধ্যে ফাইজারের টিকা ৫ বছরের উপরের শিশুদের জন্য পরীক্ষায় নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একইভাবে মডার্না ভ্যাকসিন ১২ থেকে ১৭ বছরের কিশোর-কিশোরীদের দেওয়ার জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

    পরবর্তী যা ঘটতে পরে : ১. আরেকটা নতুন তরঙ্গের আঘাত; ২. ধীরে ধীরে জনসংখ্যার বেশির ভাগ অংশ অসম্পূর্ণ বা লক্ষণবিহীন সংক্রমণ দ্বারা প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা (Herd Immunity) অর্জন। ৩. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগটি অপসৃত হতে পারে বা কম সংক্রমণ হারের সঙ্গে সমাজে বা সম্প্রদায়ে স্থানিক (Endemic) আকার ধারণ করতে পারে। তবে সবার আগে ব্যাপক হারে শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কাটাই বেশি। উপযুক্ত আচরণ অনুসরণের মাধ্যমে এ সংক্রমণ থামানো সম্ভব।

    অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন : শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ; সভাপতি, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি

    এন-কে

  • ত্বকের যত্নে পুদিনাপাতার আশ্চর্য উপকারিতা

    ত্বকের যত্নে পুদিনাপাতার আশ্চর্য উপকারিতা

    আমাদের সুস্বাস্থ্যে পুদিনাপাতা অনেক উপকারী। এটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু আপনি কি জানেন, পুদিনাপাতা ত্বকের জন্যও দুর্দান্ত কার্যকর?

    ভারতের জনপ্রিয় জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুদিনাপাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা ত্বক সুস্থ রাখতে কার্যকর। এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্লিনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

    ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পুদিনাপাতা বা মিন্ট খুবই কার্যকর। আসুন, আমরা আজ এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই—

    ব্রণ কমায়

    পুদিনাপাতায় রয়েছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন এ, যা ত্বকে সিবাম অয়েল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের ব্রণ ফেটে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। পুদিনাপাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ রোধ করে এবং ব্রণ নিরাময় করে।

    ত্বক আর্দ্র রাখে

    পুদিনাপাতা মৃদু অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে, যা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে টোন করতে সাহায্য করে। এটি ছিদ্র থেকে ময়লা অপসারণ করে এবং ত্বককে কোমল ও হাইড্রেট রাখে। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতেও কার্যকর। রিঙ্কেলস ও ফাইন লাইনসও প্রতিরোধ করে।

    চোখের নিচের কালো দাগ কমায়

    পুদিনাপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। চোখের নিচের ডার্ক সার্কেলে পুদিনাপাতার পেস্ট লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে কালো দাগ ধীরে ধীরে হালকা হবে।

    ক্ষত সারিয়ে তোলে

    পুদিনাপাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের কাটা, ক্ষত, মশার কামড় ও চুলকানি নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আপনি চাইলে পুদিনাপাতার রস বের করে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগান। এতে ক্ষত নিরাময় হবে এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া থেকেও মুক্তি মিলবে।

    এ ছাড়া পুদিনাপাতায় বিদ্যমান অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকে দাগ ও ব়্যাশ হতে বাধা দেয়। সূর্যের আলোর ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি হ্রাস করে।

    এন-কে

  • প্রশাসন ও ইসিকে চসিক নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে: প্রচারণার শুরুতে ডাঃ শাহাদাত

    প্রশাসন ও ইসিকে চসিক নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে: প্রচারণার শুরুতে ডাঃ শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিগত নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে মহোৎসব দেখেছে তাতে ভোটারেরা আতংকিত। তাই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় জনগণ ভোট কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে এই নির্বাচন কমিশন কবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষের বিজয় হবে। তিনি প্রশাসন ও ইসিকে চসিক নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভুমিকা রাখার আহবান জানান।

    তিনি আজ শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বাদে জুমা চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে হযরত আমানত শাহ (রাঃ) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্ভোধনকালে একথা বলেন।

    জেল রোড মাজার গেট থেকে প্রচারণা শুরু হয়ে বান্ডেল রোড, বংশাল রোড, ফিরিঙ্গিবাজার মোড়, কোতোয়ালী মোড়, লালদিঘিরপাড়, বক্সিরহাট হয়ে আন্দরকিল্লার মোড়ে পথসভায় মাধ্যমে শেষ হয়।

    এসময় ধানের শীষের প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে বিশ্বের কাছে অন্যতম পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তুলবো। কর্ণফুলী নদীকে পরিবেশ বান্ধব করে চট্টগ্রামকে হেলদি সিটিতে রূপান্তরিত করবো। জনগণের পাশে থাকবো এবং জনগণের পরামর্শ নিয়ে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তুলবো।

    প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিএন‌পির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, চট্টগ্রাম সি‌টি ক‌র্পো‌রেশন নির্বাচ‌নে বিএনপি অংশ নি‌য়ে‌ছে মানুষের ভোটা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠা কর‌তে। ভোট‌াধিকার প্র‌তি‌ষ্ঠিত হ‌লেই আমা‌দের কা‌ঙ্খিত বিজ‌য় আস‌বে। বিএন‌পির নেতাকর্মী‌দের বিরু‌দ্ধে অ‌নেক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হ‌য়ে‌ছে, ‌কোন ষড়যন্ত্র আমাদের বাধা হ‌য়ে দাঁড়া‌তে পারে নাই। আমরা শপথ নি‌য়ে নির্বাচ‌নের ম‌াঠে নে‌মে‌ছি। যত বাধা বিপ‌ত্তি আসুক সকল বাধার প্রা‌চীর ডি‌ঙ্গি‌য়ে বিজয় অর্জন কর‌বো। ডাঃ শাহাদাত‌ হো‌সেন‌কে একজন সৎ, যোগ্য, রাজনী‌তি‌বিধ। সকল ভেদাভেদ ভু‌লে ভয় ভী‌তি উ‌পেক্ষা ক‌রে ঐক্যবন্ধ হ‌য়ে তার জন্য কাজ কর‌তে হ‌বে। কা‌ঙ্খিত বিজয় নি‌শ্চিত কর‌তে হ‌বে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ডাঃ শাহাদাত হোসেন একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। তাই সবাই নিজের আরামকে হারাম করে তাকে জয়ী করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। তিনি ৪১ ওয়ার্ড ও ১৪ টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে বিএনপির একক কাউন্সিলর প্রার্থীদের জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে নেতাকর্মীদেও প্রতি আহবান জানান।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামবাসীর আশা ভরসার প্রতীক। চট্টগ্রামের মাটি বিএনপির ঐক্যবদ্ধ ঘাঁটি। চট্টগ্রামবাসী ভোটের দিনও কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ডা.শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সন্মানিত সদস্য এরশাদ উল্লাহ বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডাঃ শাহাদাত হোসেনের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এড. আব্দুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য শামসুল আলম, হারুন জামান, মোঃ আলী, নিয়াজ মোঃ খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন সহ মহানগর, ১৫ থানা ৪৩ ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

     

  • গহনায় শীতলপাটির ছোঁয়া

    গহনায় শীতলপাটির ছোঁয়া

    নিজেকে সাজাতে-নারীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে গহনা। সোনা, রুপা, হীরার মতো চড়া দামের গহনার পাশাপাশি অন্যান্য উপাদানে তৈরি গহনাও জনপ্রিয় বহু বছর আগে থেকেই।

    আমাদের দেশে দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে সম্পূর্ণ হাতে তৈরি গহনার চাহিদাও। সাধারণত গহনার মূল উদ্দেশ্য নিজের সৌন্দর্যকে আরো একটু বাড়িয়ে নেওয়া। এক্ষেত্রে হাতে তৈরি গহনার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এই ধরনের গহনা কাস্টমাইজেশন হয় অর্থাৎ যেমন চাহিদা তেমন করে দেওয়া সম্ভব হয়। রং,নকশা, আকার, হালকাসহ গহনা বিভিন্ন অংশে পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।

    গত এক বছর যাবদ দেশি গহনাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে শীতলপাটির গহনা নিয়ে কাজ করছে চট্টগ্রামের বিচিত্রা। গায়ে হলুদের কনের জন্য৷ শীতলপাটির গহনা আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য বহন করে ৷

    বিশেষ দিনে নিজেকে দেশি গহনায় সাজাতে চায় তাদের জন্য এটা নতুন মাত্রা যোগ করছে শীতলপাটির গহনা ।

    বিচিত্রার সত্ত্বাধিকারী প্রণামী চৌধুরী ২৪ঘন্টা কে বলেন “বাংলাদেশে এই পর্যন্ত গায়ে হলুদের গয়নায় শীতলপাটির গহনা করা হয়নি। বিচিত্রা এই প্রথম এই কাজটি করেছে। বিগত দিনে আমরা অনেক কিছুর সমুখীন হয়েছি। শীতলপাটির গহনা আমাদের সিগনেচার পন্য। এই পন্য নিয়েই আমরা আগামীতে আরো অনেক কিছু করব। ”

    দিন দিন এই গহনার বাজার উন্নত হচ্ছে,চাহিদা বাড়ছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এখন হাতে তৈরি গহনা। এই পণ্যের প্রচার এবং প্রসার দ্রুত হলে এই পণ্য রপ্তানি করাও সম্ভব। একসময় বিয়ের কনের সাজেও শোভা পাবে হাতে তৈরি গহনা, সেদিন আর বেশি দূরে নয়।

  • কাপড়ের মাস্ক পরলে কী করবেন, কী করবেন না?

    কাপড়ের মাস্ক পরলে কী করবেন, কী করবেন না?

    করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন। এসব আক্রান্তের শরীরে ভাইরাস বাসা বাঁধলেও রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠে না। তারাও কিন্তু অন্যের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। রোগ লক্ষণ থাকে না বলে তাদের চিহ্নিত করাও কঠিন।

    আপনি বুঝতেও পারবেন না, সামনের মানুষটি উপসর্গহীন কি না! এই সমস্যা সমাধানে বাড়ির বাইরে পা দিলেই মাস্ক ব্যবহার করুন।

    এখন বহু মানুষই মেডিকেল মাস্কের পরিবর্তে নন মেডিকেল কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করছেন। এই মাস্ক পরলে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে—

    কী করবেন?
    ১. মাস্ক পরার আগে সাবান পানিতে হাত ধুয়ে নিন।
    ২. দেখে নিন মাস্ক ভালো আছে কি না বা মাস্কে ময়লা লেগে আছে কি না।

    ৩. মাস্কের দড়ি বা ইলাস্টিক ধরে মুখ-নাক ঢেকে মাস্ক পরুন। দেখবেন, মাস্কের ধার যেন গালের সঙ্গে লেগে থাকে।
    ৪. মাস্কে হাত দেবেন না।
    ৫. মাস্ক খোলার আগে হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

    ৬. মাস্কের দড়ি বা ইলাস্টিক ধরেই মাস্ক খুলুন।
    ৭. মাস্কে ময়লা না লেগে থাকলে বা মাস্ক ভালো থাকলে সেটাকে যত্ন করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার মুখ বন্ধ করা যায় এমন প্ল্যাস্টিক বা ব্যাগে রাখুন।
    ৮. প্রতিদিন অন্তত একবার মাস্কটিকে ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করে ধুয়ে নিন।
    ৯. মাস্ক খোলার পর অবশ্যই হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
    কী করবেন না?
    ১. নোংরা, নষ্ট হয়ে যাওয়া বা ভেজা মাস্ক পরবেন না।
    ২. আলগা মাস্ক পরবেন না।
    ৩. নাকের নীচে মাস্ক পরবেন না।
    ৪. এক মিটারের মধ্যে মানুষ থাকলে মাস্ক খুলবেন না।
    ৫. শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এমন মাস্ক পরা যাবে না।
    ৬. নিজের মাস্ক অন্যকে পরতে দেবেন না। অন্যের মাস্ক পরবেন না।

    মনে রাখবেন
    কাপড়ের ফেব্রিক্স মাস্ক পরে রোগ প্রতিরোধ করতে হলে অন্যের থেকে এক মিটার দূরত্বে থাকা, নিয়মিত ভালো করে হাত ধোয়া, মাস্ক এবং মুখে হাত না দেওয়ার নিয়মগুলোও মানতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • “একজন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা সালমার সফলতার গল্প”

    “একজন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা সালমার সফলতার গল্প”

    মিস সালমা আক্তার। পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক। জন্মস্থান চাঁদপুর হলেও জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা সবই চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরে বর্তমানে চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। উচ্চতর ডিগ্রির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.ফিল করছেন।

    শিক্ষকতার পাশাপাশি সালমা আক্তার খুব অল্প সময়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি “নাগরদোলা” নামে হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী। এই প্রতিষ্ঠানের মূল সিগনেচার পণ্য হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি। এছাড়াও হ্যান্ড পেইন্টের কামিজ, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, হিজাব, ইয়োক, গৃহসজ্জার জন্য হ্যান্ড পেইন্ট কুশন কভার, বেডশিট ও ওয়াল পেইন্টিং, সরা পেইন্টিং এবং গহনার মধ্যে সিগনেচার গহনা হ্যান্ডমেইড ক্লে’র তৈরি গহনা, বিভিন্ন মিডিয়ার উপর হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করা গহনা ও মেটালের গহনা নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর উদ্যোক্তা জীবনের শুরুর দিনগুলো এবং সফলতার গল্প শুনতে চাই তাঁরই মুখে।

    ১. আপনার উদ্যোগের যাত্রা শুরু কবে?
    সালমা আক্তারঃ আমার উদ্যোগের নাম নাগরদোলা। এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ সালে। উদ্যোগটি শুরু করার জন্য একটি বিশেষ দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। এই বিশেষ দিনটি হলো হুমায়ূন আহমেদ স্যারের জন্মদিন।

    ২.উদ্যোগের এই নামকরণের কারণ?
    সালমা আক্তারঃ নাগরদোলা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। যা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। যেহেতু আমার কাজ দেশীয় পণ্য এবং সংস্কৃতির উপকরণ নিয়ে। তাই নাগরদোলা নামকরণ করা হয়েছে।

    ৩. কিভাবে এই কাজ করার চিন্তা আসলো?
    সালমা আক্তারঃ ছবি আঁকার প্রতি আমার ভালোলাগা ছোটবেলা থেকেই। ২০০৩ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শেখা শুরু করি। সেই থেকে এখন অব্দি নানা প্রতিকূলতার মাঝেও প্রতিনিয়ত শিখে যাচ্ছি। পরিবার চেয়েছিল আমি বিসিএস ক্যাডার হব আর আমার ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার। এস.এস.সি এবং এইচ.এস. সি তে জিপিএ-৫, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ডিপার্টমেন্টের সর্বোচ্চ রেজাল্ট করে তাই পরবর্তীতে এম.ফিলে ভর্তি হই। কিন্তু এই ইচ্ছার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন আমার সবসময়ই ছিল। সেই লক্ষ্যে ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করি আমার আর্ট স্কুল (রং তুলি আর্ট স্কুল চট্টগ্রাম) দিয়ে। যেটি বর্তমানে একটি স্বনামধন্য স্কুলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বলা যায় সেই থেকে শুরু। কিন্তু এর সাথে আরেকটি উদ্যোগ শুরু করার ইচ্ছে কাজ করতে থাকে সবসময়। আমার শিল্প জ্ঞান এবং দেশীয় পণ্যের সংমিশ্রণে নতুন আরেকটি উদ্যোগের চিন্তা শুরু করলাম। নিজের কাজের দক্ষতা বাড়াতে তাই ভর্তি হই জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামে। তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে সেখান থেকে এরপর নানান বেসরকারি কোর্সে অংশগ্রহণ করি স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য।

    ৪.আপনি মূলত কি ধরনের পন্য নিয়ে কাজ করছেন?
    সালমা আক্তার’ আমরা মূলত হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে কাজ করছি। আমাদের মূল সিগনেচার পণ্য হ্যান্ড পেইন্ট এর শাড়ি। এছাড়াও হ্যান্ড পেইন্টের কামিজ, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, হিজাব, ইয়োকসহ আরো কিছু মাধ্যমে কাজ করা হয়। নাগরদোলায় গৃহসজ্জার মধ্যে হ্যান্ড পেইন্ট কুশন কভার, হ্যান্ড পেইন্ট বেডশিট ও ওয়াল পেইন্টিং, সরা পেইন্টিং রয়েছে। আর গহনার মধ্যে আমাদের সিগনেচার গহনা হ্যান্ডমেইড ক্লে’র তৈরি গহনা, বিভিন্ন মিডিয়ার উপর হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করা গহনা, আছে মেটালের গহনাও।

    ৫. শুরু থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
    সালমা আক্তারঃ হাতের কাজের কদর সবসময়ই থাকে এটা আসলে বলতেই হয়। কিন্তু আমার এই উদ্যোগ শুরু করার আগে আমি আসলে অনেকটা সময় নিয়ে মার্কেট রিসার্চ করি। যার ফলে উদ্যোগের শুরু থেকেই খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। কেননা ভিন্নধর্মী কাজের সংমিশ্রণ ঘটানোর চেষ্টা ছিল আমার।

    ৬. আপনার উদ্যোগের প্রধান ক্লায়েন্ট কারা?
    সালমা আক্তারঃ আমার উদ্যোগের প্রধান ক্লায়েন্ট মূলত নারীরা। বিশেষ করে ২৫-৪৫ বছর বয়সী নারীরাই আমাদের মূল ক্রেতা ।যদিও আমরা চেষ্টা করছি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই হ্যান্ড পেইন্ট এর বিভিন্ন মাধ্যমের উপর কাজের সংমিশ্রণ ঘটাতে।

    ৭. বর্তমানে কেমন ক্লায়েন্ট পাচ্ছেন ও ব্যবসার অবস্থা কী?
    সালমা আক্তারঃ বর্তমানে আমাদের ক্লায়েন্ট এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। শুরুতে যেখানে শুধু পরিচিত বন্ধুবান্ধব ,আত্মীয়স্বজন কিংবা সহকর্মীগণ ক্রেতা হিসেবে থাকলেও বর্তমানে এর বাহিরে ক্রেতার সংখ্যাই আমাদের বেশি। আর ভালো লাগার বিষয় এটি যে ,আমাদের রিপিট ক্লায়েন্টের সংখ্যা অনেক বেশি।

    ৮. ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য আপনার কৌশল কী?
    সালমা আক্তারঃ ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রাখতে আমরা মূলত পণ্যের এবং কাজের মান ধরে রেখেছি ।যেকোনো পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাকে আমরা পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করি। এছাড়া ছবির সাথে যাতে কাজের মিল থাকে সেদিকে আমাদের যথেষ্ট নজর রয়েছে । ক্রেতাগণ ঘরে বসেই যাতে হোম ডেলিভারি মাধ্যমে পণ্য পেয়ে যান তাই হোম ডেলিভারি দেয়া হয় ।এছাড়া অন্য ডেলিভারির পর সেটি ঠিকমত বুঝে পেয়েছেন কিনা এ বিষয়টিও আমরা জানার চেষ্টা করি।

    ৯. আর্থিকভাবে কেমন লাভবান হয়েছেন?
    সালমা আক্তারঃ বর্তমানে অফ-সিজনে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আর অন সিজনে ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো সেল হয়। আমাদের হাতের কাজের দরুন আমরা চাইলেও অতিরিক্ত অর্ডার নিতে পারিনা।তবে বড় পরিসরে আমাদের উদ্যোগ পরিচালনার কাজ চলছে। কেননা এই কাজের চাহিদা দিন দিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ১০.শিক্ষকতার পাশাপাশি এসব করে আপনার কি উপকার হচ্ছে?
    সালমা আক্তারঃ শিক্ষকতার পাশাপাশি কাজটি করে অবশ্যই আমি আর্থিকভাবে অনেক বড় একটি সাপোর্ট পাচ্ছি। দেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের জন্য কিছু করণীয় রয়েছে। তাই দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করে দেশীয় পণ্যের শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারছি বলে আমি মনে করি। এছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি এবং বর্তমানে কিছু সংখ্যক শিল্পী আমাদের সাথে কাজ করছেন।ভবিষ্যতে আরও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব বলে আশা রাখি ।

    ১১. এই কাজে পরিবারের মনোভাব কেমন?
    সালমা আক্তারঃ আমার এই উদ্যোগের পরিবারের মনোভাব খুবই ইতিবাচক । সবার সাহায্য, সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণাই এগিয়ে যেতে পারছি।

    ১২. অনলাইনে প্রতারণা এড়াতে আপনার বিশ্বাসযোগ্য অর্জনে কী ভাবছেন?
    সালমা আক্তারঃ অনলাইনে যেহেতু ক্রেতা পন্য হাতে ধরে দেখার সুযোগ পান না, আবার ছবি দেখেও ম্যাটরিয়াল সম্পর্কে বুঝতে পারেন না। তাই অনেকেই এ সুযোগে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এক্ষেত্রে আমরা ক্রেতাকে পণ্য, পণ্যের কোয়ালিটি ও ম্যাটেরিয়ালসসহ সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে দিয়ে থাকি। ছবি অতিরিক্ত ত্রডিট না করাই ভালো আর। অবশ্যই প্রতারণা এড়াতে পেইজের এক্টিভিটিস পর্যবেক্ষণ করে অর্ডার দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। মূল্যছাড় কিংবা কম মূল্যে পণ্য দিচ্ছে দেখে পণ্য ক্রয় উচিত নয়।

    ১৩. নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
    সালমা আক্তারঃ নতুন উদ্যোক্তা যারা হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বা নতুন শুরু করেছেন তাদের জন্য বলব হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজের কদর বেশি থাকার মূল কারণ এই কাজ অন্য সব কাজ থেকে ভিন্ন। এখানে ক্রেতা তার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক বা গহনা বা গৃহসজ্জার কাজ করিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকায় ক্রেতাগণ এই পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী। আর তাই এই কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ছবি আঁকার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।অনেকেই দেখা যায় ভালো লাগা থেকে এই কাজ শুরু করেন।সেক্ষেত্রে কপি করে আঁকার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে আঁকা সম্পর্কে, রং সম্পর্কে কিংবা কম্পোজিশন সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায় কপিও করতে পারে না। নতুন নতুন ডিজাইন আনতে সক্ষম হন না। এছাড়া ক্রেতার রুচি অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ওনারা প্রথমে কমদামে পণ্য দিয়ে বাজার ধরার চেষ্টা করলেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে একটা পর্যায়ে গিয়ে কাজ করা ছেড়ে দেন। এতে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। আবার দেখা যায় আপনি যখন কোনো জ্ঞান ছাড়া, এই কাজে নিয়ে কোনো প্রকার এক্সপেরিমেন্ট না করে, সময় না দিয়ে হুট করে উদ্যোগ নেন এবং সেক্ষেত্রে যখন কাজের মান ভাল হয় না পরবর্তীতে দেখা যায় প্রথমে আপনার যারা ক্রেতা হবেন তারা মানহীন কাজ হাতে পেয়ে হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করবেন। যা এই কাজটির বাজার নষ্ট করবে। তাই আমি বলবো প্রথমে কাজটি ভালোভাবে শিখুন, সময় দিন, কাজটিকে ভালোবাসুন এরপর শুরু করুন। শুধুমাত্র লাভের উদ্দেশ্যেই নয়। এটিকে একটি শিল্পের রূপান্তর করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করুন।

    ১৪ অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
    সালমা আক্তারঃ অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে আমার প্রতিক্রিয়া অবশ্যই ইতিবাচক। এখানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয় লাভবান হয়। একজন বিক্রেতা/উদ্যোক্তার, যার হয়তো একটি শপ ভাড়া নিয়ে কাজ করার সামর্থ্য নেই বা তিনি হয়তো এই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না সেক্ষেত্রে অনলাইন বিজনেস শুরু করা তার জন্য অনেক সহজ ।এতে তিনি বিজনেসে/উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সফল না হতে পারলেও খুব বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। দোকান ভাড়া ,কর্মচারীর বেতন সহ আনুষঙ্গিক খরচ বহনের বিষয় থাকে না এক্ষেত্রে। আর ক্রেতাগণ ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় বাজেটের মধ্যে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন। যেখানে আগে দেখা যেত একটি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে মার্কেটে মার্কেটে ঘুড়ে বেড়াতে হত।দাম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বেশি দামে পণ্য ক্রয় করতে হতো। যা এখন অনেক কমে এসেছে। অনলাইন বিজনেস এর ফলে নারী-পুরুষ উভয়েই স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে চাকরির বাজারে চাকরি প্রত্যাশীদের চাপ কমছে। কিছুদিন পূর্বেও আমাদের শপিংমল গুলো বিদেশী পণ্যে সয়লাব ছিল। সেখানে এখন দেশীয় পণ্যের বাজার ব্যাপক বিস্তৃত হচ্ছে অনলাইন বিজনেস এর মাধ্যমে। যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

    ১৫. ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে আরো কতদূর নিয়ে যেতে চান ও আপনার স্বপ্ন বা পরিকল্পনা কী?
    সালমা আক্তারঃ আমি মূলত শখের বশে এই উদ্যোগটি শুরু করিনি। দীর্ঘ পরিকল্পনার পর এই উদ্যোগটি শুরু হয়েছে। আমার মূল স্বপ্ন হ্যান্ড পেইন্টের কাজকে একটি শিল্পে রূপান্তরে কাজ করা। হ্যান্ড পেইন্ট এবং হ্যান্ড মেইড ভিন্নধর্মী ও রুচিশীল কাজের বিস্তার ঘটানো। যা আমাদের দেশীয় পণ্যের বাজারকেও সম্প্রসারিত করবে। কেননা আমরা এই কাজে যে ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করি তা মূলত দেশীও কারিগর ,তাঁতি দ্বারা তৈরি। হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজের বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশে ও দেশের বাইরে। আর তাই দেশের বাইরে হ্যান্ড পেইন্ট এর পোশাক মানেই যাতে বাংলাদেশের নিজস্ব একটি শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/রাশেদ পারভেজ