Category: লাইফস্টাইল

  • মশার উপদ্রব কমাতে বাড়ির আঙিনায় রোপন করুন বিশেষ কিছু গাছ

    মশার উপদ্রব কমাতে বাড়ির আঙিনায় রোপন করুন বিশেষ কিছু গাছ

    বর্ষা আসলেই বাড়ে মশার উপদ্রব। দাপট দেখাতে শুরু করে মশাবাহী ভাইরাস ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া। এছাড়াও চুলকানি, ত্বকে লালচে দাগসহ আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া খুবই জরুরি।

    তবে মশা মারতে কামান দাগার প্রয়োজন নেই! মানে কাঁড়িকাঁড়ি পয়সা খরচ করে হরেক রকম মসকিউটো রেপেল্যান্ট ব্যবহার না করে বরং প্রকৃতির সাহায্য নিন। এই যন্ত্রণাকর কীটের কামড় থেকে বাঁচার জন্য রয়েছে বিভিন্ন গাছ। যেগুলোর ঘ্রাণ মানুষের ভালোলাগলেও মশাদের জন্য অতি জঘন্য।

    উদ্ভিদবিজ্ঞানে এই ধরনের গন্ধযুক্ত গাছ ও ফুলের কথা অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত। উদ্ভিদবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মশা-মাছি দূরে রাখার কিছু উদ্ভিদ ও ফুলের কথা এখানে উল্লেখ করছি।

    হলুদ গাঁদা ফুল:

    হলুদ গাঁদা ফুল সবাই চেনেন। গাঁদাফুলের রেণু ও পাপড়ি থেকে নিসৃত বিশেষ গন্ধ মানুষের নাকে সুঘ্রাণ হলেও মশার জন্য অসহনীয়। তাই ঘরের সামনের বাগানে, বারান্দা কিংবা জানালার পাশে টবে এই গাছ থাকলে মশার উপদ্রব কমবে।

    সিট্রোনেলা ঘাস:

    বিশেষ ঘাসজাতীয় এই গাছ পাঁচ থেকে ছয় ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। বাগানের ধারে, কিংবা টবে এই ঘাস রোপণ করে রাখতে রাখতে পারেন। সিট্রোনেলার বিশেষ গন্ধ মশা দূরে রাখে। আবার এই ঘাস থেতলে তেল বের করে পানিতে মিশিয়ে ঘর মুছলে মশা এবং বিভিন্ন পোকামাকড়ের উপদ্রব কমবে। তবে টবে রাখলে তাতে ভালো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

    পুদিনা বা মেন্থল:

    মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে মেন্থল বা পুদিনার বেশ সুপরিচিত। তবে মশা তাড়াতেও পুদিনা গাছের তীব্র ঘন্ধ অত্যন্ত কার্যকর। ছোট পাত্র, টব ইত্যাদিতে ঘরে বা বেলকণিতে পুদিনা গাছ রাখা যায়। এটি সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে। মৃদু ছায়াতেও পুদিনা গাছ সহজেই বেড়ে উঠতে পারে।

    ব্যাজল গাছ:

    ব্যাজল এক ধরনের লতাগুল্ম। পুদিনা বা ধনেপাতার মতোই সুগন্ধিযুক্ত এই লতাগুল্ম খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য সুখ্যাতি আছে। সেই সঙ্গে মশা-মাছি তাড়াতেও এটি বেশ কার্যকর। কারণ ব্যাজল থেকে বের হওয়া গন্ধ মশা ও মাছি দূরে রাখে। এই গাছও টবে ঘরের বিভিন্ন স্থানে রাখতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, ব্যাজল গাছের চাই প্রচুর সূর্যের আলো, পানি এবং এই পানি বের হওয়ার উত্তম রাস্তা।

    তুলসী গাছ:

    তুলসির একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণের কথা আমরা অনেকেই জানি। তুলসি গাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত, বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। তুলসির গন্ধ মশা, মাছি, পোকা-মাকড়কে দূরে রাখে। তাই বাড়িতে টবে হলেও তুলসি গাছ লাগান।

    রসুন:

    রসুন শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না, একই সঙ্গে দ্রুত ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে। কিন্তু আপনি জানেন কি, বাড়ির বাগানে বা বেলকণিতে টবে দু’চারটা রসুন গাছ লাগালে মশার উপদ্রব থেকেও সহজে মুক্তি পাওয়া যায়! বিশ্বাস না হলে বাড়িতে রসুন গাছ লাগান আর ফল পান হাতেনাতে।

    রোজমেরি:

    রোজামেরি ফুলের রঙ নীল। এই ফুলও গাঁদা এবং ল্যাভেন্ডারের মতো নিজস্ব উপায়ে মশা দূর করতে সক্ষম। তাই রোজমেরি ফুল গাছও মশা থেকে মুক্তির জন্য বাড়িতে লাগাতে পারেন।

    তবে মনে রাখতে হবে, পুরোপুরি মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থাও নিতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম- ঘরবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। আর গাছে দেওয়া পানি যেন কোথাও না জমে থাকে। কারণ জমে থাকা পানিই মশার বংশ বিস্তারে সবচেয়ে সহায়ক!

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে কানিজ আলমাস খান

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে কানিজ আলমাস খান

    করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের রূপচর্চা প্রতিষ্ঠান পারসোনা হেয়ার অ্যান্ড বিউটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কানিজ আলমাস খান। অবস্থার অবনতি হলে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকালে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।

    এ খবর নিশ্চিত করেছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

    চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘গত সপ্তাহে কানিজ আলমাস খানের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে আজ সকালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসাপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।’

    চয়নিকা চৌধুরী আরো বলেন, ‘করোনার সব উপসর্গ উনার রয়েছে। অবস্থা ভালো নয় বিধায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন তিনি। কিছুদিন আগে কানিজ আলমাস খানের শাশুড়ি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এখনো তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হন মা-মেয়ে।’

    কানিজ আলমাস খান সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সুপরিচিত। ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং তিনি কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, ব্যাংকক ও চীন থেকে পেশাদারি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন।

    কানিজ আলমাস খান প্রথমে ঢাকার কলাবাগানে ‘গ্ল্যামার’ নামে একটি সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। পরে গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন ‘পারসোনা’। বর্তমানে বাংলাদেশে পারসোনার ১১টি শাখা রয়েছে।

    ২০০৫ সালে কানিজ আলমাস প্রথম বাংলা ফ্যাশন পত্রিকা ‘ক্যানভাস’ প্রকাশ করেছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি পারসোনা মেনজ এবং পারসোনা অ্যাডামস শুরু করেন। বর্তমানে এটি পারসোনার পুরুষ সেবা বিভাগ।

    ২০০৭ সালে কানিজ আলমাস খান পারসোনা হেলথ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অ্যারোবিক্স, পাওয়ার-যোগ, জুম্বা, পাইলটস, স্ক্রিম সেবা প্রদান করে। এ ছাড়া পারসোনার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন পারসোনা জিম ও পারসোনা ইনস্টিটিউট।

    জানা গেছে, কিছুদিন আগে কানিজ আলমাস খানের শাশুড়ি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এখনো তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। গত সপ্তাহে কানিজ আলমাস খানের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনাকালীন দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যা থাকবে

    করোনাকালীন দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যা থাকবে

    করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, তিনি তত বেশি লড়তে পারবেন করোনার বিরুদ্ধে।

    তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সচল করতে নিয়মিত প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি উদ্বেগ কমিয়ে নিয়ম করে অন্তত ৪০ মিনিট পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে এবং ঘুম ঠিক রাখতে হবে। এতে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

    করোনা প্রতিরোধে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা ভাইরাসের কোষগুলোকে ধ্বংস করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে তরান্বিত করবে। খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন উচ্চমানের আমিষজাতীয় খাবার রাখুন।

    যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ। আরও রাখুন রঙিন শাকসবজি। যেমন- পুঁইশাক, লালশাক, গাজর, বীট, টমেটো, ক্যাপসিকাম, সজনে পাতা। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ও সি রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে পটাশিয়াম ও ফলিক এসিড।

    মৌসুমি ফল অবশ্যই খাবেন। যেমন- আম, জাম, পেঁপে, আনারস, আনার, আঙুর। টকজাতীয় ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে তোলে। লেবু, আমড়া, কমলালেবু, জাম্বুরা, চেরি, স্ট্রবেরি, মালটা, আমলকি এ খাবারগুলোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। তাই নিয়ম করে খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

    পালংশাক, মিষ্টি কুমড়া, জাম্বুরা, গাজর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। কাঠবাদাম, চীনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, জলপাই ইত্যাদি বীচিজাতীয় খাবার ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।

    ভিটামিন ই-১২ এ সময় শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এটি মাছ, ডিম, দুধ, কলিজা ও লাল মাংসে পাওয়া যায়। জিংক সমৃদ্ধ খাবার এ সময় শরীরে বিশেষভাবে প্রয়োজন। জিংক আমরা পেতে পারি সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, ছোলা, মটরশুঁটি থেকে।

    দুগ্ধজাত খাবার যেমন- দই, ঘোল, ছানা, মাঠা ইত্যাদি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখুন। রাতে শোবার কিছু আগে টকদই (আধা কাপ) এক চামচ কালিজিরার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পেটের মেদ অনেকাংশে কমে যাবে।

    প্রতিদিন নাশতার পর ও বিকালে নিয়ম করে গ্রিন টি খান। পাশাপাশি চিনি ছাড়া অল্প মধু মিশিয়ে লেবু বা আদা চা দিনে ৩-৪ বার খেতে পারেন। কাঁচা রসুন খুবই উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। খালি খেতে না পারলে গরম পানি রসুন দিয়ে খেতে পারেন। তবে রান্না করা রসুনে কাঁচা রসুনের গুণ মেলে না। দেশি রসুন হার্টের জন্যও খুব উপকারী।

    পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন। পাশাপাশি দিনে ৪-৬ বার নাকে ও মুখে গরম পানির ভাপ নিন। করোনা প্রতিরোধে ভিটামিন ডি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দিনে অন্তত ১৫-২০ মিনিট (সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা) সূর্যের তাপ নিন। ভিটামিন ডি দেহের অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করে।

    এটি আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসকে দ্রবীভূত করে। সামুদ্রিক মাছ, গরুর কলিজা, মাশরুম, ডিমের কুসুম, কমলার রস, গরুর দুধেও ভিটামিন ডি থাকে।

    ডা. মৌসুমী আফরিন ইভা : ডায়াবেটলজিস্ট, ফ্যামিলি ফিজিসিয়ান অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান

  • রসুনের সাথে দুধ খান,সারবে অনেক রোগ/ এক নজর দেখে নিন..কেমন উপকারিতা

    রসুনের সাথে দুধ খান,সারবে অনেক রোগ/ এক নজর দেখে নিন..কেমন উপকারিতা

    ২৪ ঘণ্টা লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাঁচা রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। আর সব বয়সীদের জন্যই দুধ একটি উপকারি পানীয়। এটি আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়।

    তাই দুধে রসুন মিশিয়ে খেলে মানব শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া, দুধের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। শ্বাসতন্ত্রকে ভালো রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে দুধের মধ্যে রসুন দিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

    দুধের মধ্যে রসুন দিয়ে ঘুমানোর খেলে অ্যাজমা, কফ, নিউমোনিয়া, হজমের সমস্যা কমাতে ভালো কাজ করে। দুধে রসুন মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক। কি কি উপকার পাবেন তা এক নজর দেখে নিন।

    অ্যাজমা, কফ, নিউমোনিয়া সমস্যায় : যাদের অ্যাজমা, কফ, নিউমোনিয়ার সমস্যা রয়েছে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধে রসুন মিশিয়ে খেলে সমস্যা দূর হয়।

    কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে : দুধের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতেও সাহায্য করে।

    জন্ডিসের প্রতিকার : রসুন-দুধ জন্ডিসের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে দুধের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার মিলবে।

    বাতের ব্যথা কমা : গাঁটে গাঁটে ব্যথা অনেক কমিয়ে দেয় এই রসুন ও দুধ। এমনিতেই গরম দুধ ব্যথা কমায়, সেই সঙ্গে রসুন প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। সব মিলিয়ে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।

    অনিদ্রার সমস্যা : হাজার চেষ্টা করলেও রাতে ঠিক করে ঘুম হয় না। এক গ্লাস রসুন-দুধ খেয়ে নিন। সমস্যা দূর দয়ে যাবে। ঘুম আসবে সহজেই।

    উপকরণ : ২০০ মিলিলিটার দুধ, চারটি রসুনের কোয়া, সামান্য মধু।

    প্রণালী : একটি পাত্রের দুধ নিয়ে গরম করুন ও তার মধ্যে রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে সামান্য মধু মেশান। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এ পানীয়টি পান করুন।

    তবে শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • জামদানী শাড়ির আদীকথা(৪) দামী জিনিস, টেকে কম/যত্ন নিতে হয় অনেক বেশি,কিন্তু কিভাবে?

    জামদানী শাড়ির আদীকথা(৪) দামী জিনিস, টেকে কম/যত্ন নিতে হয় অনেক বেশি,কিন্তু কিভাবে?

    ২৪ ঘণ্টা সংস্কৃতি। লেখিকা তানজিন তিপিয়া : দামী জিনিসটি টেকে কম ঠিক কিন্তু যত্ন নিতে হবে বহুগুণ আর যত্ন যদি হয় আমার মায়ের মতো তাহলে ১০০ বছরেও কিছুই হবেনা।

    যেমন -১৫দিন পর পর রোঁদে দেবেন। সাথে সাথে ভাজ করা যাবেনা। ভাজের মাঝখানে পত্রিকার পৃষ্ঠা দেবেন। এতে শাড়ির মাঝে ফাঁকা থাকবে।

    ইষ্টিলের আলমারিতে রাখাটাই শ্রেয় তাতে পোকা হতে বাঁচাতে পারবেন। পরার পর সাথে সাথে রাখা যাবে না। ফ্যানের বাতাসে সারারাত ঘাম শুকোতে দিন।

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজে প্রকাশিত জামদানী শাড়ির আদিকথা নিয়ে ৪ পর্বের ধারাবাহিকের বাকি পর্বগুলো পড়েছেন তো? না পড়লে নিচের লিংকগুলো ক্লিক করে ১ম, ২য় ও তয় খণ্ডের চমকপ্রদ ইতিহাসগুলো জেনে নিন।

    ৫বার পরার পর মাড় ভেঙ্গে পাড় ভারী হয়ে পরে ফলে রেশম নরম হয়ে শাড়ি ফেটে যাবার ঝুঁকি বাড়ে। শাড়ি ন্যাপথোলিন দিয়ে রাখতে হবে।

    একহাতেই পড়ুন। কাঁটা ওয়াশ করাবেন না এতেও রেশম নরম হয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অধিকতর। ড্রাই ওয়াশ না করতে দিলেই ভালো কারণ অনেক টানা হেঁচড়া হয়। এতেও সুতো নরম হয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব।

    হাতে বোনা আসল নাকি যন্ত্রে তৈরি নকল? 

    পার্থক্য করা একদম সহজ, শাড়ির পেছনটা উল্টে দেখুন, মোটিফ গুলোর সুতো বদ্ধ থাকে, কাঁটা হয় না। টেনে সুতো বার করা অসম্ভব। আর নকলে কাজের সুতো গুলো কাঁটা থাকে, টেনে বার করা সম্ভব।

    আরো থবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (১) ইতিহাস ও বংশপরম্পরার আভিজাত্যের প্রতীক!

    আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (২) মোঘল আমলে আবিষ্কৃত এক নিখুঁত হস্তের বিদ্যা

    আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (৩) জীবনভরই জামদানী পরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    যাই হোক সকল নারীদের বলছি আমার মতো দেশীয় কাপড় পরিধানে এগিয়ে আসুন। দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরুন। দেখবেন আপনাকেও দেখে অন্য দশজন এগিয়ে আসবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/লেখিকা-তানজিন তিপিয়া/ সম্পাদনা-রাজীব প্রিন্স

  • জামদানী শাড়ির আদীকথা (৩) জীবনভরই জামদানী পরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    জামদানী শাড়ির আদীকথা (৩) জীবনভরই জামদানী পরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ২৪ ঘণ্টা সংস্কৃতি। লেখিকা তানজিন তিপিয়া : জামদানী বালা, কানের দুল, গলার হার, আংটি, ব্যাগ, জুতো, পিন, জামদানী ঘাগড়া, লম্বা গোল কামিজ, ছবির ফ্রেম, ছবির অলেখ্য-কূচিকা, জামদানী পর্দা, কুশন, টেবিল ম্যাট সবকটি শাড়ি কেটে বানিয়েছি নিজের হাতেই।

    মনে হয় পৃথিবীতে আমিই প্রথম কেউ যে কি না জামদানী দিয়ে এতো কিছু বানিয়েছে। আমার বান্ধবীরা প্রায় বলেন- তোমার এই হস্ত শিল্পের বুদ্ধিটা কাজে লাগিয়ে বড় কিছু করার ভাবো।

    আরেকজন যিনি হরদম জামদানী পরেন উনার নাম না নিলে তো এই পুরো লেখাটাই বৃথা হয়ে পরবে। সেই নারীটি হলেন আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি সারা জীবনভরই জামদানী পরেছেন।

    উনি আজ কোন রঙের জামদানী পরেছেন তা প্রতি রোজ অপেক্ষমান হয়ে দেখা আমার দৈনন্দিন কাজের মধ্যে একটি। উনার এই জামদানী পরা আমায় বাধ্য করে উনাকে ভালবাসতে।

    তিনি জামদানীতে এতোই মগ্ন, যে তিনি বিদেশ সফরে গেলেও বিদেশ হতে আগত অতিথিদের জামদানী উপহার করেন। যাতে দেশের তাঁত শিল্পটি সকলের নজরে আসে। আর উনার এই উদ্দেশ্য সফল প্রায়।

    জামদানী শাড়ির বাকি ইতিহাস পড়তে চোখ রাখুন ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজে। ৪ পর্বের আদিকথার চতুর্থ ও শেষ খণ্ডে থাকছে আরো চমকপ্রদ কিছু ইতিহাস।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে নারী নেত্রী হতে আরম্ভ করে অভিনেত্রীদের জামদানী পরিধান করতে ইদানিং খুব দেখা যায়। উনার জন্যই জামদানী আজ বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে বসেছে। যারা হরদম বিদেশী জামা ছাড়া কিছুগাঁয়ে জড়াতেনইনা তারাও দু’একটি জামদানী আলমারিতে রাখতে ব্যাকুল হয়ে পরেছেন।

    আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (১) ইতিহাস ও বংশপরম্পরার আভিজাত্যের প্রতীক!

    আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (২) মোঘল আমলে আবিষ্কৃত এক নিখুঁত হস্তের বিদ্যা

    শুধু তাইই নয় উনাকে দেখে বিদেশী নারীরাও মনস্থির করছেন তার মধ্যে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মারসিয়া বার্ণিকেট, ভারতের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এবং নামি তারকারাও জামদানী পরেন বেশ যতনে।

    আমার ইচ্ছেও আছে বেশ কিন্তু সময় যে তেমন হয়ে ওঠে না।তাই তানজিন ওয়ারড্রব নামে একটি অনলাইন পেজ খুলে সেখানে উদ্যোক্তার কাজ মাত্র হাত দিয়েছি। সবার সহযোগিতায় তা এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

    ২৪ ঘণ্টা/লেখিকা-তানজিন তিপিয়া/ সম্পাদনা-রাজীব প্রিন্স

  • জামদানী শাড়ির আদীকথা (২) মোঘল আমলে আবিষ্কৃত এক নিখুঁত হস্তের বিদ্যা

    জামদানী শাড়ির আদীকথা (২) মোঘল আমলে আবিষ্কৃত এক নিখুঁত হস্তের বিদ্যা

    জামদানী শুধু ৬ গজ বস্ত্র নয়, কাপড় আর নকশার অসাধারণ বন্ধন

    ২৪ ঘণ্টা সংস্কৃতি। লেখিকা তানজিন তিপিয়া : জামদানী মূলত ৩ প্রকার- ১ সুতি জামদানী, ২ হাফসিল্ক জামদানী ও ৩ মসলিন জামদানী।

    মুলত এই মসলিন জামদানী হতেই বাকি গুলোর উৎপত্তি মোঘল আমলে মসলিন খাটি সুতি কাপড়ে নকশা করাতেই জামদানী নামকরণ। আবিষ্কৃত হয় এক নিখুঁত হস্তের বিদ্যা।

    বিস্তৃতি কমে যায় ব্রিটিশ আমলে। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের অধীনে, শিল্পজাত উৎপাদিত বস্ত্রের পক্ষে উপপনিবেশিক আমদানি নীতিগুলির কারণে বাঙালী জামদানী ও মসলিন শিল্পগুলো দ্রুত হ্রাস পেয়েছিল।

    ব্রিটিশরা ধীরে ধীরে যন্ত্র নির্ভরশীলতায় এগোতে থাকাটাও, কম সময়ে অনেক উৎপাদন আর হাতের তৈরি এইকাজে খরচ হতো মাসের পর মাস। তাই তাঁতিরা অর্থনৈতিকভাবে বেশ বড় আঘাত পেয়ে জীবিকার দায়ে কাজ ছেড়ে অন্য পন্থায় লিপ্ত হয়ে বাঁচতে শুরু করেলেও বংশ পরম্পরা ধরে রাখতে তাঁতিরা তখনো হাল ছাড়েননি।

    আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (১) ইতিহাস ও বংশপরম্পরার আভিজাত্যের প্রতীক!

    তাঁদের হাল ধরা সেই সাহসিকতার কারণেই আজো বাংলায় জামদানী শব্দটির অস্তিত্ব বিরাজমান। জামদানী শুধুই ৬ গজ বস্ত্র নয়। কাপড় আর নকশার অসাধারণ বন্ধন যা নিজের মধ্যেই একটি সতন্ত্রতা বহন করে।

    একটি ন্যূনতম কম কাজের জামদানী তৈরিতেও ২ জন কারিগরের লেগে যায় ৩-৭ দিন কাজের ধরণ ভেদে দিন এবং শ্রম বাড়তে থাকে। কোন কোন শাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে লাগে ৬ মাস এমনকি ১ বছরও।

    জামদানী শাড়ির বাকি ইতিহাস পড়তে চোখ রাখুন ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজে। ৪ পর্বের আদিকথার তৃতীয় খণ্ডে থাকছে আরো চমকপ্রদ কিছু ইতিহাস।

    ইদানিং নকশা নকল করে যন্ত্রে তৈরি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে আসল ঢাকাই জামদানী বলে। যা দুঃখজনকভাবেই কড়া সত্য, আমার খেটে খাওয়া তাঁতি ভাই বোনদের উপর বিরাট অন্যায়।

    সাধারণত ৩টি প্রাথমিক নকশায় তৈরি হয় জামদানী। ১ বুটিদার, ২ তেড়ছি, ৩ জাল। তাছাড়া ঝোপা ফুল, মাছি ফোঁড়, এস্কা, জামিতি, চারকোণা, ফুলোয়ার, কলকা পাড়, দুরিয়া, দুবলি জাল, পান্না হাজার, ছিটা তেছড়ি হাঁটু ভাঙ্গা তেছড়ি, জুঁই বুটি, ছিটার জাল, সুঁই জাল, পুঁই লতা, আঙ্গুর লতা এমন হাজারো নকশা যার নামকরণ করে থাকেন তাঁতিরা নিজের মন মতো করে।

    তাই জামদানী এই দেশীয় পোশাক শখ নয় আমার, অভ্যাসকারণ আমার মা, নানী সাহেবা খালা আর মামীদের কাছে এতো শুনেছি, এতোই পরিধান করতে দেখেছি আর যত্ন নিতে শিখেছি যে রক্ত আত্মায় মিশে গেছে এই কাপড়।

    আম্মার ৫টা শাড়ি আছে যেগুলো বেশ পুরোনো। সবচেয়ে পুরোনো শাড়িটির বয়স ৪৩বছর, কালচে নীল শাড়িতে মাছিফোঁড়ের গাড় সোনালী মোটিফের কাজ, যা স্পর্শকরলেই অনুভব করা যায় কতোটা বৃদ্ধ হয়েছে এই শাড়ি আর পুরনো মাড়ের গন্ধ যা বাধ্য করবে চারদশক আগের পরিবেশকে কল্পনা করতে।

    সেই সাথে শুনেছি আমার মায়ের দাদা রেঙ্গুন হতে ফিরে আসার গল্প। জাহাজ থেকে নেমে তিনি প্রথমে শহরের বাজার হতে উনার মা, একমাত্র মেয়ে সুলতান এবং স্ত্রী সাবেরার জন্য জামদানী শাড়ি কিনেই বাড়ির পথে রওনা দিতেন।

    প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেরিয়ে যে সৌভাগ্য আমার হয়ে উঠেছে। আমিও দু’হাত মেলে শ্রদ্ধায় গ্রহণ করে অন্তর কোটরে প্রবেশ করিয়ে ফেলেছি। তাই রোজ জামদানী গাঁয়ে দেয়া আমার নিয়ম হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে যা স্বর্ণের চেয়ো বহুমূল্যবান।

    এতে আছে আমার পূর্বনারীদের দোয়া,বাংলার ঐতিহ্যের প্রমাণ, আমার বাংলার তাঁতি ভাই বোনদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম।যতনে রাঙ্গানো সুতো, নিপুণতায় বোনা এক একটি ফুল। আমার বংশের তেজস্বিনী নারীদের গল্প, আমার বংশের আভিজাত্যের প্রতীক। স্বর্ণের চেয়ে মূল্যবান কেনই বা হবে না বলুন?

    ২৪ ঘণ্টা/লেখিকা-তানজিন তিপিয়া/ সম্পাদনা-রাজীব প্রিন্স

  • বাজার থেকে আনা পণ্য-খাবার ভাইরাসমুক্ত রাখবেন যেভাবে

    বাজার থেকে আনা পণ্য-খাবার ভাইরাসমুক্ত রাখবেন যেভাবে

    করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বাসায় থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনতে হয়। কিন্তু বাজার থেকে আনা পণ্য গুলোতে থাকতে পাররে ভাইরাস । তাই এসব জিনিস কিনে আনার পর জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত কি-না তা নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ।

    লন্ডনের স্কুল ফর হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলেন, ‘ভাইরাস ছড়ানোর একটা ঊর্বর ক্ষেত্র হলো বাজার। বাজারে আপনি যেসব পণ্যে কিনছেন সেগুলো আপনার আগে আরও অনেকে নাড়াচাড়া করেছে। যেখানে টাকা দিচ্ছেন সেখানে আরও লোকের হাত পড়েছে। নগদ অর্থে দাম পণ্য কিনলে যে খুচরা ফেরত দেওয়া হচ্ছে সেগুলোও কিছুক্ষণ আগে অনেক হাত ঘুরে এসেছে। আপনি যদি এটিএম মেশিন থেকে পয়সা তুলে থাকেন, সেখানেও মেশিনের বোতামে আপনার আগে কারও হাত পড়েছে। এরপর রয়েছে বাজারে আপনার ধারেকাছে দাঁড়ানো মানুষরা।’

    তাই এক্ষেত্রে তার পরামর্শ, ‘বাজারে যাওয়ার আগে ও বাজার থেকে ফিরে এসে সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধোবেন বা অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন।

    সুযোগ থাকলে নগদ অর্থ ব্যবহার না করে কার্ড ব্যবহার করবেন। তবে কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুঁকি আছে। তাই কার্ড ব্যবহারের সময় দোকানের কলম ব্যবহার বা পিন নম্বর দেওয়ার জন্য বোতাম চাপতে হলে পাওনা চুকিয়ে দেবার পর হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে।’

    অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড আরও বলেন, ‘রান্না খাবারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রিমণের ঝুঁকি নেই। তবে কাঁচা শাকসবজি, ফলমূলের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে। এগুলো সবকিছু ভালো করে কলের ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর সেগুলো ব্যবহার করবেন।

    আর প্লাস্টিকের প্যাকে, টিনে বা কাঁচের পাত্রে বিক্রি হচ্ছে এমন কিছু কিনলে সেগুলো ৭২ ঘণ্টা না ছুঁয়ে সরিয়ে রেখে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে চাইলে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করার তরল পদার্থ (ব্লিচ জাতীয় ডিসইনফেকেটন্ট) দিয়ে মুছে নিন। তবে কড়া ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। বোতলের গায়ে দেখে নেবেন কতটা পরিমাণ পানি মিশিয়ে তা হালকা করে নিতে হয়।’

    অনলাইন শপগুলোর বাসায় পৌঁছে দেওয়া খাদ্যসামগ্রী এক অর্থে ঝুঁকি কমায়, কারণ এক্ষেত্রে লোকের ভিড়ে যেতে হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রেও ঝুঁকি আছে। অনলাইন শপের ডেলিভারি দেওয়া পণ্য অন্য কেউ হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করেছে কি-না, যে ব্যাগ বা বাক্সে করে বাজার আনা হয়েছে সেগুলো কারা ধরেছে এবং যে ড্রাইভার হাতে করে বাজার পৌঁছে দিচ্ছে তিনি সংক্রমিত বা জীবাণু বহন করছে কি-না এসব ভাবার বিষয়।

    এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ‘যে বাজার নিয়ে এসেছে তাকে নিরাপদ দূরত্ব থেকে বাজারের ব্যাগ নামিয়ে চলে যেতে বলুন। কেনা জিনিসগুলো কাঁচা বাজার হলে কলের ঠাণ্ডা পানিতে সেগুলো ধুয়ে শুকিয়ে তুলে রাখুন। আর বোতল, প্যাকেট বা টিন হলে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘরে ব্যবহারযোগ্য ব্লিচ পাতলা করে গুলে সেগুলো মুছে নিন। খেয়াল রাখবেন ব্লিচ যেন খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ না করে।’

    ইংল্যান্ডের ওয়ারইক মেডিকেল স্কুলের ড. জেমস গিল বলেন, ‘বাসার কাজে ব্যবহার করা যায় এমন ব্লিচ সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করলে এক মিনিটের মধ্যে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।‘

    বাইরে থেকে অর্ডার দিয়ে কেনা খাবারের বিষয়ে অধ্যাপক ব্লুমফিল্ড বলছেন, ‘রান্না করা গরম খাবার, যদি তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করা হয় এটা থেকে কোনো ঝুঁকি থাকে না। তবে এক্ষেত্র গরম খাবার কিনবেন ও বাসি খাবার ভালো করে গরম করে খাবেন, যাতে কোনো জীবাণু থাকলে গরম করার সময় মরে যায়।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বাজার থেকে খাবার যে প্যাকেট বা বাক্সে করে আসবে, সেগুলো ঘরে আনার সঙ্গে সঙ্গে বিনে ফেলে দিন ও খাবার গরম করে খান। খাবার আগে অবশ্যই বিশ সেকেন্ড ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।’

  • যখন তখন প্রস্রাব পেলে মেপে খান এই ৬ ধরনের খাবার

    যখন তখন প্রস্রাব পেলে মেপে খান এই ৬ ধরনের খাবার

    কোথাও বেরনোর আগে একবার বাথরুমে ঢুঁ মেরে যেতে হয়। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বা বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময়ও অন্তত চার-পাঁচ বার রাস্তার ধারে সুলভ শৌচালয় দেখলেই থমকে যেতে হয়। কারণ, মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বেশির ভাগ সময়ই কাজ করে— যদি রাস্তায় প্রস্রাব পেয়ে যায়!

    এমন পরিস্থিতিতে ছেলেরা সামলে নিতে পারলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় মহিলাদের। কোথাও বেরনোর আগেই তাঁদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করতে থাকে। এই বিষয়টিকে অনেকেই নিছক ‘বাতিক’ বলে উড়িয়ে দেন।

    তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা দুর্বল মূত্রস্থলীর (ব্লাডার) লক্ষণ হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কয়েকটি খাবার বা পানীয় কম খাওযাই ভাল। আসুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক…

    কফি: সকালে উঠে কফি থান? যদি আপনার ব্লাডার ইনফেকশনের সমস্যা থাকে তাহলে এই অভ্যাস ছাড়ুন। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ব্লাডারে অস্বস্তি বাড়ায়।

    অ্যালকোহল: মদ্যপান করলে যে বেশি প্রস্রাব পায় তা যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তারা করেন। অ্যালকোহল যে শুধু পেটে অস্বস্তি হয় তা নয়, ব্লাডারেও অস্বস্তি তৈরি করে। তাই সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

    সোডা: ব্লাডার ফুলে যাওয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ বা ওএবি থাকলে সোডা খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কার্বনেটেড বা সাইট্রাস সোডা থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন। তার বদলে যতটা সম্ভব জল খান।

    অ্যাসিডিক ফল: শরীরের পক্ষে ফল খাওয়া ভাল। কিন্তু যদি আপনার ব্লাডারের সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসিডিক ফল মূত্রনালির সংক্রমণ বাড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে কমলালেবু, আঙুর, লেবু, টোম্যাটো, পিচ, আপেল, আনারস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।

    স্পাইসি খাবার: যদি আপনার পিজায় এক্সট্রা চিলি ফ্লেকস বা চিকেন কারিতে অতিরিক্ত ঝাল খেতে ভাল লাগে তবে আপনার মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকলে একটু সাবধান থাকতে হবে। কারণ ঝাল, মশলাদার খাবার ব্লাডারে অস্বস্তি তৈরি করে।

    কৃত্রিম সুইটেনার: ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্য অনেকেই খাবারে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার যোগ করেন। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, যদি মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকে তাহলে কৃত্রিম সুইটেনার থেকে দূরে থাকুন। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে।

  • করোনা থেকে মোবাইলফোন রক্ষার উপায়

    করোনা থেকে মোবাইলফোন রক্ষার উপায়

    বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে রক্ষা পেতে নিত্য ব্যবহার্য মোবাইল ফোনকে প্রতিদিন খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।কারণ সারাদিন খোলা অবস্থায় এটি মানুষ সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করে থাকে।

    অনেকেই ভাবেন ফোন শুধুমাত্র মুছে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল। আবার কোনো ‘ক্লিনিং প্রোডাক্ট’ও ব্যবহার করতে পারবেন না। এতে ফোন খারাপ হয়ে যেতে পারে।

    জেনে নিন করোনা থেকে আপনার ফোন রক্ষা করার উপায়:

    # আপনি যদি জীবাণু সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হন তবে আপনি ‘আইসোপ্রপিল অ্যালকোহল’ ব্যবহার করতে পারেন। পাতিত পানি ও আইসোপ্রপিল অ্যালকোহলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার মাইক্রোফাইবার কাপড়ে স্প্রে করে, সেটি দিয়ে আপনার স্মার্টফোনটি মুছে ফেলুন। মনে রাখবেন, আইসোপ্রপিল অ্যালকোহল উবে যায়, তাই চটজলদি করতে হবে।

    # হালকা জাতীয় ‘ইউভি স্যানিটাইজার’ ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটি পরিষ্কার করার জন্য কোনো ধরনের তরল না চান তবে আপনি আপনার স্মার্টফোনে উপস্থিত সমস্ত জীবাণু মুছে ফেলতে কোনো ‘ইউভি-সি আলোক স্যানিটাইজার’ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি।

    # আপনার ফোনের কভারটি পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছে, ফোনের স্ক্রিনে করোনা ভাইরাস চার দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। একই সাথে প্রচার চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ। সংবাদ সংস্থা এএফপি টুইট করে জানিয়েছে, কোনো মেটাল, রাবার ও প্লাস্টিকের ওপর করোনাভাইরাস ১ থেকে ৯ দিন সক্রিয় থাকে।

  • পিরিয়ডের পরিচ্ছন্নতা

    পিরিয়ডের পরিচ্ছন্নতা

    পিরিয়ড নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পিরিয়ড প্রতিমাসে নারীকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। নারীদের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো আমরা সব সময় লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করি। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ আপনার অজানা থেকে হতে পারে বড় ধরনের বিপত্তি। তাই পিরিয়ড নিয়ে অহেতুক অস্বস্তি না রেখে এই নিয়ে আরও জানার এবং জানানোর চেষ্টা করুন।

    পিরিয়ডের সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরি। কারণ পিরিয়ড চলাকালে শরীর থেকে শুধু দূষিত রক্তই নয়, শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ রক্তের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। ফলে এই সময়ে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। অপরিচ্ছন্নতার কারণে হতে পারে প্রস্রাবে সংক্রমণ। আর বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    পিরিয়ড কী

    প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে। মা‌সি‌ক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এ ছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।

    পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতা খুবেই জরুরি। এর আগে পিরিয়ডে অপরিচ্ছন্নতায় হতে পারে প্রস্রাবে সংক্রমণ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল যুগান্তর অনলাইনে। আজ থাকছে পিরিয়ডে পরিচ্ছন্নতার ৫ উপায়।

    আসুন জেনে নেই পিরিয়ডে পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়।

    স্যানিটারি ন্যাপকিন

    পিরিয়ডের সময় অনেকে কাপড় ব্যবহার করেন কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। এতে প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই উচ্চ শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং আরামদায়ক স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। প্যান্টি বা বেল্ট দুই ধরনের মধ্য থেকে আপনার পছন্দেরটাই ব্যবহার করুন। ছয়ঘণ্টার বেশি কোনোভাবেই ন্যাপকিন ব্যবহার করা যাবে না। চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন হতে পারে।

    ন্যাপকিন বদলানোর সময় অসতর্কতা

    ন্যাপকিন বদলে নতুন একটি ন্যাপকিন পরার আগে ভালোভাবে হাত ও ওই স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ও মুছে নিন। হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ধরার কারণে হাতে লেগে থাকা জীবাণু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।

    বাথরুমে ন্যাপকিন রাখা যাবে না

    টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা যাবে না। কারণ টয়লেটে থাকা নানা ধরনের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। জীবাণুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন আপনি।

    ছয় ঘণ্টার অধিক সময় ন্যাপকিন ব্যবহার নয়

    একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন সাধারণত ছয় ঘণ্টার বেশি পড়ে থাকা উচিত না। এ ছাড়া পিরিয়ডের সব সময় ডিসচার্জ এর ফ্লো এক সমান থাকে না। তাই হতে পারে যে পিরিয়ডের শুরুর দিকে বেশি রক্ত যাওয়ার কারনে বারবার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। তবে শেষের দিকে ফ্লো একদম কমে গেলেও কোনো অবস্থাতেই একটা ন্যাপকিন সারা দিন ব্যবহার করবেন না।

    নিয়মিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

    যোনিপথের বাইরের অংশে এবং চামড়া ভাঁজে রক্ত এবং জীবাণু আটকে যায়। তাই দিনে কয়েকবার গরম পানি দিয়ে এই জায়গাগুলো ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থাকা অবস্থায় গরম পানি পাওয়া যাবে না, তাই সেক্ষেত্রে আগে বেবি ওয়াইপস দিয়ে আগে মুছে নিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন। সাবান ব্যবহার করতে পারবেন তবে তা যেন যোনিপথের ভিতরে না যায়। প্রতিদিন গোসল করে ফেলুন। এতে করে পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন ক্লান্তি এবং পিঠ হাত-পা ব্যথাভাবও অনেকটা কমে যাবে।

    ব্যবহৃত ন্যাপকিন সঠিকভাবে ফেলুন

    ব্যবহৃত ন্যাপকিন ডাস্টবিনে ফেলার আগে অনেকেই বাসার বাথরুমের বিনে রেখে দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে ন্যাপকিন ফেলার আগে তা পলিথিনে মুড়ে তারপর ফেলবেন। কারণ তা না হলে জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে এবং ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন আপনিসহ বাথরুম ব্যবহারকারী যে কেউ।

    একসঙ্গে একটির বেশি ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না

    পিরিয়ডের শুরুর দিকে হেভি ফ্লো থাকায় অনেকে একসঙ্গে দুটি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে চান। দুটি ন্যাপকিন এর মিলিত শোষণক্ষমতার কারণে রক্ত হয়তো দেখাই যায় না তাই দীর্ঘ সময় পরেও আপনি ভাবেন যে ন্যাপকিনগুলো আরও কিছু সময় পরে থাকা যাবে।

    রক্ত হয়তো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু জীবাণু কিন্তু ঠিকই সংক্রমণ ঘটানোর জন্য তৈরি হয়ে যায়। তাই একবারে একটাই ন্যাপকিন নিন, এবং ব্যবহার শেষে (অবশ্যই ছয় ঘন্টার বেশি না) পরিবর্তন করে নিন।

    মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ

    স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল করতে হবে। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণের ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ বিষয়টিতে অতিরিক্ত গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।

  • গোসল না করেও শীতে পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়

    গোসল না করেও শীতে পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়

    শীতকাল এলে গোসলের কথা শুনলেই অনেকে আঁতকে ওঠেন। অনেকে গোসলখানায় ঢুকেও গায়ে পানি না ঢেলেই বেরিয়ে আসেন। তবে নিয়মিত গোসল করতে না পারলে সেই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের মতে, নিয়মিত গোসল না করাই ভালো। একাধিক মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন গোসল করাটা অনেকটাই একটা সামাজিক রীতি বা অভ্যাস।

    এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস আসলে শরীর পরিচ্ছন্ন রাখা। তবে শরীর পরিচ্ছন্নের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে এই শীতে এড়িয়ে যেতে পারেন গোসলকে। গোসল না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে শীতে না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখার আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষ করে ৫টি এমন পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে গোসল না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। আসুন এ বার এই পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।

    পায়ের যত্ন নিন

    শীতকালে নিয়মিত গোসল না করলেও সাবান দিয়ে পা ধুতে ভুলবেন না। কারণ, যে ধরনের জুতোই পরুন না কেন, পায়ে প্রচুর জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া থেকে যায়। তাই পায়ের তলা, আঙ্গুলের খাঁজগুলি ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পাশাপাশি জুতো পরার সময় সম্ভব হলে পায়ে ও জুতার ভেতরে সামান্য পাউডার বা পারফিউম ছিটিয়ে দিন।

    ঘুমানোর আগে পারফিউম দিন

    হয়তো কাজের চাপে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে গেল। রাতে গোসল না করে যে সকালে গোসল করবেন, তারও উপায় নেই! সে ক্ষেত্রে কী করবেন! এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগেই গায়ে বডি স্প্রে বা পারফিউম মেখে নিন আর সকালে ঘুম থেকে উঠে আরেকবার। শরীরে কোনো দুর্গন্ধ হবে না।

    সঠিক পদ্ধতিতে পারফিউম দিন

    পারফিউমের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে সেটা সঠিক উপায়ে মাখুন। পারফিউম দিন শরীরের ‘পালস পয়েন্ট’-এ। যেমন, ঘাড়ে, কবজি বা কনুইয়ের ভেতরের দিকে। পারফিউম স্প্রে করে ঘষবেন না। চেষ্টা করুন শরীরের একটু দূর থকে স্প্রে করে আলতো করে আঙুলের ডগা দিয়ে শরীরে মেখে নিতে।

    ঢিলেঢালা পোশাক পরুন

    শীতকালে কখনওই আঁটসাঁট পোশাক পরা উচিত নয়। আঁটসাঁট পোশাক পরলে শরীরে ঘাম বা দুর্গন্ধ হয় বেশি। তাই শীতকালে ঢিলেঢালা পোশাক।

    চুলের যত্ন নিন

    অনেকেরই চুল দু-একদিন না ধুলেই আঠালো চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে চুলে দুর্গন্ধও হয়। শীতকালে প্রতিদিন চুল না ভেজালেও ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করার পর ভালো করে মাথা আঁচড়ে নিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ বার চুলে ব্রাশ করুন।