Category: লাইফস্টাইল

  • শীতে শরীরের যত্ন ও হালকা সাজ

    শীতে শরীরের যত্ন ও হালকা সাজ

    শীতের কথা মনে পড়লেই অনুভূত হয় বাতাসের হিমশীতলতা, ঘ্রানেন্দ্রিয় পায় পিঠাপুলির ঘ্রাণ। মনে পড়ে লেপ-কম্বল মুরি দিয়ে গুটিসুটি করে ঘুমানো। শীতের এই সময়টাতে ত্বক খুবই রুক্ষ, শুষ্ক ও মলিন হতে দেখা যায়। বাইরের ধুলাবালি, শীতল আবহাওয়া ও আর্দ্র পরিবেশের কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের ত্বকের ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া,ত্বক ও হাত-পা ফেটে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের চেহারায় খসখসে ভাব চলে আসে ও চেহারার লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই শীতের এই সময়টাতে ত্বকের সুস্বাস্হ্য রক্ষায় এবং ত্বককে সজীব ও মসৃণ রাখতে দরকার একটু বাড়তি যত্ন ও সর্তকতা।

    শীতে ত্বক এবং চুলের সমস্যার সমাধানে কী করবেন?

    কী কী সমস্যা হয়?

    ১. ইকথায়োসিস (হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত এমনকি সর্বাঙ্গ শুকিয়ে খোসার মতো আঁশ উঠতে থাকে) সারা বছর থাকলেও এর প্রকোপ বাড়ে শুষ্ক শীতকালেই।
    ২. সেনাইল জেরোটিক প্রুরাইটাস (সারা গা শুকিয়ে চুলকানির তৈরি হয়)। চল্লিশোর্ধ্বদেরই এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।
    ৩. সোরাইসিস বা সোরিওসিস-এর সমস্যা (এই রোগে মাথা, হাঁটু, কনুই-সহ সারা শরীরে মাছের আঁশের মতো খোসা ওঠতে থাকে)।
    ৪. যে সব শিশুদের অ্যাটোপিক ডার্মাটাইসিস (এগজিমা) রয়েছে, তাদের এই রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে শীতে।
    ৫. এ ছাড়াও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, উলের পোশাক অর্থাৎ সোয়েটার, মাফলার, টুপি ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। আসলে সিনথেটিক উল সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এসে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে।
    ৬. খুশকির সমস্যা। শীতকালে নিয়মিত স্নান না করায় মৃত কোষ এবং ধূলিকণা জমে যায় চুলের গোড়ায়। এর থেকে খুশকির সমস্যা বেড়ে গিয়ে অত্যধিক পরিমানে চুল উঠতে থাকে।

    সমাধান:

    ১. শীতকালে যাঁরা বিশেষ সমস্যায় ভোগেন, শীতের গোড়াতেই তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
    ২. প্রথমেই খেয়াল রাখুন যাতে সবসময় আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে। গোসলের আগে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন। তবে সরিষা তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না। কারণ, বিশুদ্ধ না হওয়ার ফলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে।
    ৩. শীতকালে গোসলের সময় সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। এ ক্ষেত্রে সিনথেটিক ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের সাবানে চামড়ার ওপর থেকে তেলের স্তর ওঠে যাওয়ার সম্ভবনা নেই। শীতকালে জীবানুনাশক সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতির পরিমান বেড়ে যায়।

    ৪. গোসলের পরে এবং রাতে ঘুমানোর সময় অন্তত দু’বার ময়েশ্চরাইজার মাখুন।
    ৫. ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভেসলিন ব্যবহার করুন।
    ৬. প্রচুর পরিমানে পানি খাবেন, এর ফলে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকবে।
    ৭. সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন। প্রতিদিন গোসল করুন। এ ক্ষেত্রে মাথায় সরিষার তেল না দেওয়াই ভাল।
    ৮. ছোটদের তেল মালিশ করা যেতেই পারে। তবে সরিষাার তেল মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখার যে রীতি প্রচলিত রয়েছে, তা ত্যাগ করুন আজই।
    ৯. সুতির পোশাক ব্যবহার করুন, উলের পোশাক সরাসরি না ব্যবহার করাই ভাল। হালকা সুতির জামার ওপর উলের পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
    ১০. ফল, ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি খান।

    মডেল:শর্মী ইসলাম

    প্রাকৃতিক উপায়ে শীতকালীন ত্বকের যত্ন:
    তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ মসুরের ডাল বাটা ও এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ বা সর ব্যতীত দুধের সঙ্গে আধা টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ ফলের রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। বেছে নিতে পারেন সাইট্রিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ ফল (টক ফল), যেমন—কাগজিলেবু, বাতাবিলেবু, কমলালেবু ইত্যাদি।

    আবার ব্যবহার করতে পারেন পাকা পেঁপে, যা মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। তৈলাক্ত ত্বকে শশার রস চমৎকার কাজে দিবে। শশার রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে প্রয়োগ করুন। এতে তেলতেলে ভাব কমবে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসবে।

    শুষ্ক ত্বকের জন্য একটু ভিন্ন ফর্মুলা। মসুর ডাল বাটার সঙ্গে মধু নিন এক টেবিল চামচ। আর ফলের রস নিতে হবে আধা টেবিল চামচ। সঙ্গে যোগ করুন একটু দুধের সর আর চারটি আমন্ড বাদাম বাটা। প্যাকটি তুলে ফেলার পর কোল্ড ক্রিম বা বেশি ময়েশ্চারযুক্ত কোনো ক্রিম লাগাবেন। কলা পেস্ট করে লাগালে শুষ্ক ত্বকে প্রাণবন্ত ভাব ফিরে আসবে। মধুও শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী। টমেটোর রসের সঙ্গে একটু মধু পেস্ট করে নিন। অনেক ভালো ফল পাবেন।

    স্বাভাবিক ত্বকের জন্যও এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তবে লেবুর রস বাদ দিতে হবে আর মধুর পরিমাণ হবে এক টেবিল চামচ। স্বাভাবিক ত্বকে নারকেল তেল খুবই কার্যকরি। সুতির রুমাল গরম পানিতে ভিজিয়ে ভালো মতো নিংড়ে নিন। মুখের ওপর দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। মুখটা মুছে নিয়ে এবার গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। যেকোন ত্বকেই এটি ব্যবহার করতে পারেন।

    মডেল:শর্মী ইসলাম

    শীতের পোশাক
    যারা হালকা শীতের ফ্যাশান নিয়ে বেশ কনফিউশড, তাদের জন্য এটা কিন্তু ফ্যাশানের একদম সঠিক সময়। গরমের তীব্রতায় মেকআপ গলে যাবার চান্স নেই। আবার চুলও টেনে ওপরে বাঁধার দরকার নেই। সবচেয়ে ফ্যাশানেবল পোশাক গুলো, যেগুলো গরমে পরতে অস্বস্তি হচ্ছিল, সেগুলো অনায়াসে পরা যায়।
    হালকা শীতে মেয়েদের পোশাক
    অনেকেই নিত্য কাজে টি-শার্ট পর। হালকা শীতের জন্য কিনে নাও ফুলহাতা টিশার্ট আর জিন্স। আর এর ওপরে পড়ে নাও হুডি। হালকা শীতের জন্য একদম পারফেক্ট। এখন নানারকম স্টাইলিশ হুডিও বাজারে এসে গেছে। এছাড়াও হালকা জ্যাকেট বা পাতলা উলের কুর্তিও বেশ স্টাইলিশ। আর শুরুর শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে বাঁচতে কিনে নাও স্কার্ফ। এখন প্রচুর স্টাইলিশ স্কার্ফ পাওয়া যায়। গলায় জড়িয়ে নিলে স্টাইলটাই বদলে যায়। এছাড়াও নানারকম ফ্যাশানেবল টুপিও পাওয়া যায় এই মৌসুমে।

    মডেল:শর্মী ইসলাম

    চুলের সাজ
    পোশাক তো হল। কিন্তু চুল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করব না, তা কি হয়! শীতে মনের মত হেয়ার কাট করে নাও। ব্যাঙ্গস কাটিং করিয়ে নিতে পার সামনেটা। এতে বয়সটাও কম দেখাবে। আর খুব স্টাইলিশ। আর পিছনটা ইচ্ছা মত লেয়ার, ইউ। আবার সামনে ব্যাঙ্গস কাট করলে পেছনটা কিছু না করলেও হয়। এমনিই স্টাইলিশ লাগে। আর বাঁধতে চাইলে করে নাও পনিটেইল বা ফিশটেইল বিনুনি। চুলকে এলোমেলো করে নাও। তারপর এই এলোমেলো চুলের টপনট খোঁপা। দারুন লাগবে কিন্তু।
    মেকআপ
    হালকা শীতে মেকআপ কেমন হবে অনেকেই বুঝতে পারে না। কারণ তখন ইচ্ছামত কমপ্যাক্টটি তো আর বোলানো যাবে না। স্কিন এমনিতেই শুকনো থাকে। তাই আগে একটা ভালো ফেসওয়াশ কিনে নাও। মিল্কি বা জেল বেসড। অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ দরকার নেই। এইসময় লাগবে না। এবার ফাউণ্ডেশন লাগাবার আগে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নাও। এতে মুখ শুকিয়ে যাবে না। এরপর হালকা করে ব্লাশন পাউডার লাগিয়ে নিতেই পার। আর আই মেকআপ তো ইচ্ছা মত করতে পার। গলে যাবার কোন সুযোগ নেই।
    লিপস্টিক
    শীতে ম্যাট খুব একটা ভালো লাগে না। শীতের জন্য গ্লসি বেশ ভালো মানায়। তবে গ্লসি পছন্দ না হলে, হালকা ক্রিমি লিপস্টিক বেঁছে নিতে পার। যে কোনো ডার্ক শেড শীতে অনায়াসে পরা যায়। আর ঠোঁট খুব ফাটলে কাজের ফাঁকে লিপবাম লাগিয়ে নাও। এখন নানারকম কালারের লিপবাম পাওয়া যায়।
    শীতে যদি থাকে ইন্টারভিউ
    শীতে যদি থাকে ইন্টারভিউ তখন কিভাবে সাজবে? শীতে ইন্টারভিউ থাকলে ফরমাল শার্ট প্যান্ট আর ওপরে ব্লেজার পরা যেতে পারে।এক্ষেত্রে হালকা রঙ পছন্দ করা শ্রেয়।ব্লেজার কালো পড়াই যায়। চড়া সাজ যেন না হয়। আর মেকআপ অবশ্যই হবে হালকা। হালকা ক্রিমি লিপস্টিক। সঙ্গে একটা পনিটেইল করা যায়।সঙ্গে মানানসই জুতো। আর হাতে একটা ঘড়ি। ব্যাস রেডি।

  • শীতে ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন পায়ের গোড়ালি ফাটা

    শীতে ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন পায়ের গোড়ালি ফাটা

    শীতে ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন পায়ের গোড়ালি ফাটা। শীতে পায়ের গোড়ালি ফাটে অনেকের। পা ফাটা আপনার পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট করে, সঙ্গে ব্যক্তিত্বও।সাধারণত পায়ের নিচের দিকের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে। কেননা এই অংশে কোনো ওয়েল গ্ল্যানড থাকে না, যে কারণে শীতে সহজেই পা ফেটে যায়।

    আসুন জেনে নিই পা ফাটা রোধে ঘরোয়া উপায়-

    উপাদান

    ১ টেবিল চামচ লবণ, আধা কাপ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ২ চা চামচ, গোলাপজল, পরিমাণমতো গরম পানি, পিউমিস স্টোন।

    যেভাবে ব্যবহার করবেন

    একটি বড় পাত্রে পায়ে সহ্য করার মতো গরম পানি নিয়ে এতে লবণ, ১০ ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১ চা চামচ গোলাপজল নিয়ে মিশিয়ে নিন।

    এর পর এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর পিউমিস স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালি হালকা হাতে রাব করুন কয়েক মিনিট। হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন।

    এর পরে ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১ চা চামচ গোলাপজল ও ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দুই পায়ে লাগিয়ে রাখুন সারারাত।

    মিশ্রণটি একটু আঠালো, তাই চাইলে সুতির মোজা পরে থাকতে পারেন। সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে নিন। যদি আপনার পা অনেক বেশি ফেটে গিয়ে থাকে, তা হলে লেবুর রস এভয়েড করাই ভালো।

    ওপরের প্যাকটি নিজের সুবিধা অনুযায়ী প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

  • ফ্যাটি লিভার সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

    ফ্যাটি লিভার সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

    ফ্যাটি লিভার মানেই চর্বিযুক্ত যকৃৎ। ফ্যাটি লিভার কিন্তু শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর প্রাথমিক লক্ষণ বোঝা খুবই মুশকিল। তবে আলট্রাসনোগ্রাম করাতে গিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিভারের ফ্যাট ধরা পড়ে।

    চিকিৎসকদের মতে, যকৃৎ বা লিভারে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় চর্বি থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেশি হলেই তা ফ্যাটি লিভার বলে বিবেচিত হয়।

    ফ্যাটি লিভার দুই প্রকার। এক. অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। দুই. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

    মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে যকৃৎ বা লিভারে যে ফ্যাট জমা হয় তাকে বলা হয় ‘অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’।

    অন্যদিকে খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের ফলে লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ বলা হয়।

    আসুন জেনে নিই ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়-

    প্রথম উপায়

    সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু আর মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে এক ধরনের এনজাইম তৈরি করে, যা লিভারের চর্বি গলাতে সাহায্য করে। এক মাস খেলে উপকার পাবেন।

    দ্বিতীয় উপায়

    অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ফ্যাটি লিভার ডিজিজে সেরা প্রতিকার। এই অ্যাপল সাইডার ভিনেগার লিভারের পাশে জমে থাকা চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

    কীভাবে খাবেন?

    ১. এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। চাইলে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

    ২. দুবেলা খাওয়ার আগে এই মিশ্রণ এক গ্লাস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে সকালে খালি পেটে খাওয়াটাই বেশি ভালো।

    মাসখানেক নিয়ম মেনে এই মিশ্রণ সেবন করতে পারলেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

  • শীতের প্রস্তুতি

    শীতের প্রস্তুতি

    শরৎ প্রায় শেষ। শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে ভোরের বাতাস। ভোরে ঠান্ডা শীতল বাতাসের সঙ্গে ঘাসের ডগায় জমছে শিশির বিন্দু। পথপ্রান্তর আর রাজপথে উড়ছে ধুলোবালি। ফসলের মাঠে শীতের সবুজ শাক সবজির চারা বেড়ে উঠছে তর তর করে। এসবই প্রকৃতির শীতের আয়োজন। কিন্তু শহর বন্দর নগরবাসীর শীতের আয়োজন বা প্রস্তুতি কতটুকু? এই পরিবর্তিত আবহাওয়া মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত তাই উঠে এসেছে এবারের ফ্যামিলি নিড বিভাগে।

    চাঁদর শাল আর সোয়েটার প্রসঙ্গ

    মহিলাদের শীতের পোশাক তুলনামূলক ভাবে ঢাকায় বেশি পাওয়া যায়। শীতে শাল, সোয়েটার, হুডি, কার্ডিগান ও নরমাল চাদর এ দেশের মহিলারা বেশি ব্যবহার করেন। বাংলাদেশের নারীদের ঐতিহ্য গত একটি শীতের পোশাক চাঁদর। এখনও সেই চাঁদর ঐতিহ্য বহাল রয়েছে। এখন সেই চাদরের সাথে সাথে শাল পরেন অনেকে। আগে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বেশির ভাগ চাদর আসত। এখন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন শাল তৈরি করছে তার মধ্যে রয়েছে আড়ং, দেশি দশ। শীত জেকে বসার আগেই আপনার পছন্দের শালটি কিনে নিতে পারেন।

    যা করা জরুরি

    সেপ্টেম্বর শেষে অক্টোবরের শুরুতে ভোরে উত্তরদিক থেকে বয়ে চলা ঠান্ডা বাতাস শরীরে আছড়ে পড়ার পর যেন অন্যরকম অনুভ‚তি হয়। এই শীতল বাতাস বেশিক্ষণ গায়ে লাগার পর আচমকা সর্দিকাঁশি অথবা জ্বর হতে পারে। বিশেষ করে নবজাতক, শিশু কিশোরদের সমস্যা বেশি হয়। তাই এই সময় পাতলা চাঁদর, পাতলা কাঁথা অথবা কুইল্ট ব্যবহার করতে পারেন সকালবেলা। শীত জেঁকে বসার আগে তুলে রাখা লেপ, কাথা, কম্বল, কুইল্ট, কম্ফোটার, চাদর, জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, ফুলশীভ গেঞ্জি, শাল বের করে অন্তত দুইবার রোদে দিন। বিশেষ করে শিশুদের শীতের কাপড় খুব ভালোভাবে এপাশ ওপাশ উল্টিয়ে রোদে দিয়ে জার্ম ফ্রি করে নিন। শীত শেষে শীতের কাপড় তুলে রাখার পর আলমারি, ওয়্যারড্রপ বাক্সে ছোট ছোট ধুলিকনা থেকে এক ধরনের অতিক্ষুদ্র কিট তৈরি হয়। এই কিটসহ জামা, কাপড়, লেপ, কম্বল, চাঁদর পরলে তা নাকে প্রবেশ করে এলার্জি তৈরি করে শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে হাঁচিকাশি শুরু হয়। অনেকের এই হাঁচিকাশি পুরো শীতকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তা থেকে গলা ব্যথা, বুকে কফ জমে সৃষ্টি হয় শ্বাসকষ্ট। এই শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু হয় অ্যাজমা সমস্যা। তাই এখনই পুরনো কাপড় মচমচে করে রোদে শুকিয়ে অথবা ধুইয়ে সম্ভব হলে ইস্ত্রি করে পড়া উচিত। নতুন কেনা কোনো শীতের কাপড়ের বেলায় একই ধরনের নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। গত শীতের পর আপনি শীতের কাপড় যদি কোনো লন্ড্রি বা ড্রাইওয়াশে দিয়ে থাকেন তবে মনে করে এখনই তা তুলে আনুন।

    লেপ কম্বল কেনার এই তো সময়

    শীত জেকে বসার আগেই খোঁজ করুন ভালো আরামদায়ক কম্বল, কুইল্ট, কম্ফোটার বা লেপের। রাজধানীর বড় বড় সুপার মার্কেট, সুপারসপে ইতিমধ্যে শীতের পণ্য সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। আপনি দেখে শুনে দরদাম করে ভালো মানের পণ্যটি বেছে নিন। শীতের শুরুতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন হালকা কুইল্ট। অনেকটা মোটা চাঁদরের মতো সেলাই করা এই কুইল্ট বেশির ভাগ আমদানী করা। ইদানিং আমাদের দেশেও তৈরি হচ্ছে এই কুইল্ট। আমাদের দেশে শীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় লেপ। শিমুল তুলা বা কৃত্তিম তুলার লেপ রেডিমেট পাওয়া যায়। তবে শৌখিন মানুষেরা শিমুল তুলা দিয়ে লেপ বানিয়ে শীতে ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। ইদানিং শহরে লেপের প্রচলন অনেকটা কমে এসেছে। এখন অনেকের পছন্দ শীতে কম্বল মুরি দিয়ে ঘুমানো। তুলতুলে নানা রঙের কম্বল দেখতেও চমৎকার। কম্বল পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করা। কোনো কম্বল সিঙ্গেল কোনোটা আবার ডাবল। কোয়ালিটি ভেদে এর দাম নির্ধারিত হয়। ভালো সিঙ্গেল একটি কম্বল ২ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ডাবল ভালো মানের একটি কম্বল পাওয়া যায় ৩ তাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। একটি কুইল্ট বা কম্পোটার পাওয়া যায় ২ থেকে ৪ হাজারের মধ্যে। লেপ সাধারণত রেডিমেট কেনার চাইতে তৈরি করে নেয়াই ভালো। শিমুল তুলার একটি ডাবল মাপের ভালো লেপের খরচ পড়বে কাপড় মুজুরীসহ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা।

    শিশুদের শীতের পোশাক

    শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই ঋতু পরিবর্তন হয়ে শীতের আগমনে শিশুদের শীতজনিত নানা রোগ দেখা দেয়। এ থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন সচেতনতা। শীত আসার সাথে সাথে

    পোশাক পরিধানে অভিভাবকদের যত্নবান হওয়া উচিৎ। রাতে পায়জামা ফুলশীভ মোটা কাপড়ে শার্ট পরে ঘুমানো উচিৎ। শিশুদের জন্য আলাদা লেপ, কুইল্ট ও ছোট কম্বল পাওয়া যায় ইচ্ছে করলে ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় শিশুদেরকে গরম কাপড়ে জড়িয়ে রাখা জরুরি। যেমন পা মোজা, মাথায় টুপি বা হ্যাট, গায়ে সোয়েটার এবং ফ্যালালীন বা পশমী কাপড়ের প্যান্ট বা ট্রাউজার পরতে দেয়া উচিৎ। শীতের সময় সকালে শিশু স্কুলে যাওয়ার সময় তার নাকে মেডিকেডেট মাস্ক, স্কুলের সোয়েটারের উপর একটি জ্যাকেট এবং মাথায় টুপি বা হ্যাট পরানো উচিৎ। কারণ শীতের সময় প্রচুর ধুলোবালি বাতাসে উড়ে বেড়ায়। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে শিশুদের প্রচুর শীতের পোশাকের ভালো ভালো আউটলেট রয়েছে। যেমন আর্টিসান, বেবিসপ এবং দেশি দশের আউটলেট। এসব আউটলেটে শিশুদের মানসম্পন্ন সোয়েটার, জ্যাকেট, মোটা পশমী কাপড়ের শার্ট প্যান্ট, ট্রাউজার, মোজা, টুপি, হ্যাট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও আছে ফুলশীভ গেঞ্জি, হাত মোজা এবং হুডি। আছে বিভিন্ন ধরনের হাফ সোয়েটার ও শার্ট। এই পোশাকগুলোর বেশির ভাগ এক্সপোর্ট কোয়ালিটি তাই দাম একটু বেশি।

    জ্যাকেট মাফলার হুডি ও টুপি

    একটা সময় শুধু ছেলেরা শীতে জ্যাকেট পরতো। এখন ছেলে- মেয়ে, শিশু কিশোর কিশোরী সবার জন্যই জ্যাকেট তৈরি হয়। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের জ্যাকেট তৈরি করে থাকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যেমন ক্যাটস আই, ইনফিনিটি, আর্টিসান। শিশুদের জন্য ভালো মানের জ্যাকেট তৈরি করে বেবী সপ। সুতি, আর্টিফিসিয়াল বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট কিনতে পারেন এবারের শীতে। তুলনামূলকভাবে দেশে তৈরি জ্যাকেট দামে সস্তা। জ্যাকেটের সাথে সাথে ছেলেদের হুডি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গত কয়েক বছর ধরে।

    কী খাবেন

    শীতে প্রচুর ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও সবজি খেতে হবে। এতে কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। গরম খাবার হিসেবে হালকা লিকারের লেবু চা কিংবা ঘরে তৈরি ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন। এছাড়াও মৌসুমের শাকসবজি খেতে হবে। গাজর এবং টমেটো ভালো করে ধুয়ে কাঁচা খেতে হবে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার ত্বক ভালো রাখে।

    শীতকালে অনেকেই পানি কম খান। ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পানি খেতে হবে। সঙ্গে খাবার তালিকায় প্রোটিন এবং ফ্যাটও রাখা জরুরি।

    জুতো

    জুতোর দিকে নজর দিন। হাই বুটস না হলেও অ্যাঙ্কেল বুটস পরতে পারেন। না হলে এখন নানা স্টাইলের ফ্যাশনেবল স্নিকার্স পেয়ে যাবেন। কোনোটা আবার বুটসের মতোই দেখতে। এই শীতে পোশাকের সঙ্গে ব্লক হিলসও পরতে পারেন। আবার পা ফাটার সমস্যা যাদের বেশি তারা নানা রকম কিউট মোজা পরতে পারেন।

    ত্বক-চুলের যত্ন

    শীতকালে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। ঘরের ভেতর ও বাইরের তাপমাত্রায় যেহেতু একটা পার্থক্য দেখা যায়, তাই ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই শুকনো হাওয়ায় ত্বক ফাটতে শুরু করে। তাই দিনে তিন-চারবার ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। মুখ ধোয়ার পর মুখে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান। শীতকালে শরীরের অয়েল গ্রান্ড থেকে তেল কম নিঃসৃত হয় বলে হাত-পায়ের ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। গোসলের সময় দীর্ঘক্ষণ ধরে গোসল করবেন না কিংবা গোসলে গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কারণ এগুলো ত্বকের শুষ্কতা আরো বাড়িয়ে তোলে।

    রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমান। মনে রাখতে হবে, ত্বক একেবারে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ময়েশ্চারাইজার মাখলে কাজ হবে না। ত্বকে ভেজা ভাব থাকতেই ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করতে গ্লিসারিন কিংবা অলিভ অয়েল নিয়মিত মাখতে পারেন। গ্লিসারিন হলো সবচেয়ে ভালো ময়েশ্চারাইজার। একভাগ গ্লিসারিনের সাথে দুভাগ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। গ্লিসারিনের আঠা-আঠা ভাবটা দূর করার জন্য গ্লিসারিন মাখার পর একটা ভিজে তোয়ালে বা কাপড় হালকা করে ত্বকে চেপে ধরলে আঠাভাব চলে যাবে। মাঝে মাঝে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করাতে পারেন। শীতে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আগা ফাটা, নির্জীব হয়ে যাওয়া, গ্রোথ কমে যাওয়া, খুশকি ও চুল পড়া শীতকালে বেড়ে যায়। তাই চুলে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু না করাই ভালো। চুলে ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখার জন্য ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

    ঘরের প্রস্তুতি

    শীতে ঘরের মেঝে যেহেতু ঠাণ্ডা থাকে তাই মেঝেতে ব্যবহার করতে পারেন শতরঞ্জি, ফ্লোর ম্যাট কিংবা মাদুর। কার্পেটে ধুলা আটকে যায় তাই কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। যাদের ধুলা-বালিতে অ্যালার্জি আছে তাদের কার্পেটে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও ঘরের জানালায় ভারি পর্দা ব্যবহার করতে পারেন এই সময়টাতে। তবে ঘরের যে জানালা দিয়ে রোদ আসে, ঘরে রোদ ঢোকার জন্য সেই জানালার পর্দা সরিয়ে রাখুন। রুম হিটার, ওয়াটার হিটার, গিজার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। নষ্ট হয়ে থাকলে এখনই সারিয়ে ফেলুন সেগুলো।

    বাগানের যত্ন

    শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শীতে ত্বকের মতোই বারান্দার বা বাগানের গাছগুলোও মলিন হয়ে যায়। তাই এইসময়ে গাছেরও বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। খেয়াল রাখুন যেন প্রতিদিন সকালের হালকা রোদ পায় গাছগুলো। প্রতিদিন টবের মাটির দিকে খেয়াল রাখুন। মাটি শুকিয়ে গেলেই পানি দিন। তবে অতিরিক্ত পানি দেয়া যাবে না। আর খুব বেশি কুয়াশা কিংবা ঠাণ্ডা পরলে গাছগুলোকে রাতের বেলা ঘরে ঢুকিয়ে রাখুন। দিনের বেলা রোদ উঠলে আবার বারান্দায় দিয়ে দিন।

    শীতে প্রচুর ধুলা থাকে বাতাসে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন গাছের পাতা ধুয়ে দিন এবং পাতায় পানি স্প্রে করুন। অনেক গাছেরই পাতা ঝরে যায় এই সময়ে। কিন্তু গাছ কিন্তু বেঁচে থাকে। তাই পানি দেওয়া বন্ধ করা যাবেনা পাতা ঝরে গেলেও।

     

  • পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করার উপায়

    পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করার উপায়

    বাংলাদেশে এখন ২২০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের ঝাঁজে বাজার এখন অস্থির। ইতিমধ্যে সরকার পেঁয়াজের দাম কমার আশ্বাস দিলেও তার সুফল মেলেনি।

    প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার। তাই এখন অনেকেই রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।

    তবে এখন প্রশ্ন হলো- পেঁয়াজ যদি চাল-ডালের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাবার না হয়, তবে পেঁয়াজ বাদ দিয়ে কি প্রতিদিনের রান্না চলে না?

    পেঁয়াজের প্রতি গৃহিণী আর রসনাবিলাসীদের এত পক্ষপাতিত্বের কারণ তার বিশেষ স্বাদ এবং গ্রেভি বা ঝোল তৈরিতে পেঁয়াজের বিশেষত্ব।

    এ ছাড়া কাঁচামাংস কিংবা মাছের মধ্যে পেঁয়াজের রস ঢুকে তার স্বাদকে আরও বাড়িয়ে দেয় বলেই পেঁয়াজের এত কদর।

    তবে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাঙালি রান্নায় সাধারণত যে উচ্চ তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়, তাতে পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

    পেঁয়াজের ঝাঁঝে আমজনতার ‘চোখে জল’। তাহলে উপায়? পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও যে মজা লাগে না! চলুন, আজ আমরা এমন কিছু টিপস পড়ি, কিভাবে নিত্যদিনের সব রান্না অল্প পেঁয়াজ দিয়ে সেরে ফেলা যায়।

    আসুন জেনে নেই রান্নায় পেঁয়াজের বিকল্প কী হতে পারে-

    ১) আমরা অনেকেই সবজি/ভাজি/ডাল ইত্যাদি রান্না করার সময় অনেকটা পেঁয়াজ দিয়ে দিই। মনে করি এতে খাবারের স্বাদ বাড়ছে। ভুল ধারণা! বড় এক বাটি সবজি রান্নার জন্য একটি পেঁয়াজ ব্যবহার করলেই যথেষ্ট, স্বাদের কোন হেরফের হবে না। তেল গরম হলে কাঁচা মরিচের ফালি ও অল্প পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন, নেড়েচেড়ে গন্ধ ছড়ালে সবজি দিয়ে দিন এবং আপনার রেগুলার রেসিপি অনুযায়ী ভাজি করুন। দেখবেন, কত্ত মজা হয়েছে।

    ২) অনেকেই ডাল রান্নার শুরুতে অনেকটা পেঁয়াজ একবারে দিয়ে দেন, আবার পরে পেঁয়াজ দিয়ে বাগার দেন। শুরুতে পেঁয়াজ দিলে তাতে ডালের স্বাদ কিন্তু মোটেও বাড়ে না। বরং এটা ডাল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, ফ্রিজে রাখলেও আগের স্বাদ থাকে না। ডালে পেঁয়াজ খেতে চাইলে কেবল বাগারে পেঁয়াজ দেয়াটাই যথেষ্ট। এমনকি, পেঁয়াজ ছাড়া কেবল রসুন ও মরিচ দিয়ে বাগার দিলেও ডাল সুস্বাদু হবে।

    ৩) কাটা পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করার বদলে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে তরকারি রান্না অভ্যাস করুন। এতে অল্প পেঁয়াজেই সুন্দর তরকারি হবে।

    ৪) ঘন, থকথকে ঝোল খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে পাতলা ঝোলের তরকারি খেতে পারলে সবচাইতে ভালো। সেটা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। আর ঘন ঝোল খেতে চাইলে পেঁয়াজ দিয়েই যে খেতে হবে, সেটা কিন্তু নয়। আপনি আলু সেদ্ধ করে মিহি করে চটকেও ব্যবহার করতে পারেন ঝোল ঘন করতে। এমনকি ভুনা তরকারিতেও দিতে পারেন। কেউ বুঝতেই পারবে না!

    ৫)বিভিন্ন ভর্তায়, ডিম ভাজিতে পেঁয়াজ কুচি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে মোটা মোটা করে না কেটে চিকন করে কুচি করুন। পেঁয়াজ অনেক কম লাগবে।

    ৬) পিঁয়াজু , ডিম ভাজি ইত্যাদি তৈরিতে পেঁয়াজের বদলে ব্যবহার করতে পারেন মুলা বা পেঁপে। হ্যাঁ, চিকণ করে মুলা বা পেঁপে ঝুরি করে, পানিতে ভালো করে ধুয়ে চিপে নিলেই ব্যবহারের জন্য একদম তৈরি। পেঁয়াজ তো কম লাগবেই, সাথে দারুণ সুস্বাদু হবে পেঁয়াজু কিংবা ডিম ভাজি।

    ৭) মুরগীর ঝোল তৈরিতে বেশি পেঁয়াজ পছন্দ করেন? পেঁপে দিয়ে মুরগীর তরকারি রান্না করুন, বেশি পেঁয়াজ ছাড়াই সুন্দর ঝোল হবে।

    ৮) দেশী পেঁয়াজের বদলে লাল স্প্যানিশ অনিয়ন ব্যবহার করুন, এতে খোসা ও অন্যান্য অংশের আবর্জনা কম হবে, দামে সাশ্রয় হবে। দেশী পেঁয়াজের ফেলনা অংশ অনেক বেশি, অন্য দিকে লাল পেঁয়াজের পাতলা খোসা ফেলে দিলে প্রায় পুরোটাই ব্যবহার যোগ্য।

    ৯) পেঁয়াজ ব্যবহার না করে রসুনের ব্যবহারের দিকে একটু জোর দিতে হবে। গরম তেলে রসুন ও শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দারুণ সুবাস তৈরি করে। ডাল কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভাজি এভাবেই তৈরি করা যাবে।

    ১০) পেঁয়াজের বদলে স্প্রিং অনিয়ন কিংবা পেঁয়াজ কলি রান্নায় ব্যবহার করলে তরকারিতে পেঁয়াজের স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যাবে।

    ১১) সয়াবিন তেলে রান্না না করে অলিভ অয়েল ব্যবহারকরতে পারেন। এই তেল খাবারে স্বাদ বাড়াবে।

    ১২) পেঁয়াজের বদলে বেল পেপার কিংবা ক্যাপসিকাম ব্যবহার করতে পারেন। ক্যাপসিকাম খাবারের স্বাদ বাড়াবে। ভাজি, মাছ বা মাংসের ঝোলে ক্যাপসিকামের ঝাঁঝালো স্বাদ ও গন্ধ কিন্তু দারুণ।

    ১৩) মাংস কিংবা মাছের ঝোল ঘন করতে পেঁয়াজের বদলে পরিমাণমতো পেঁপে বাটা ব্যবহার করতে পারেন। এতে মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ দূর হবে ও ঝোলও ঘন হবে।

    ১৪) রান্নায় টমেটো বাটার ব্যবহার খুব সহজেই যেকোন খাবারকে সুস্বাদু করে তুলবে। যেকোন ধরনের খাবার রান্নাতেই টমেটো মানিয়ে যায়।

  • শীতে ডায়াবেটিস রোগীরা যে ৬টি ফল খাবারের তালিকায় রাখবেন

    শীতে ডায়াবেটিস রোগীরা যে ৬টি ফল খাবারের তালিকায় রাখবেন

    অনেকগুলি খাবার রয়েছে যা ডায়াবেটিসের নির্দিষ্ট ডায়েট থেকে সীমাবদ্ধ। ডায়াবেটিস দেহে গ্লুকোজ সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণে অসুবিধা সৃষ্টি করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক স্পাইকের দিকে পরিচালিত করে।

    চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ না করার জন্য পরামর্শ দেন। এই চিনি যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকার জন্য অনেকে ফল খাওয়া থেকেও বিরত থাকেন।

    তবে মজার কথা হচ্ছে কিছু ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দুর্দান্ত বলে বিবেচিত হয় এবং এটিকে পরিমিতরূপে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

    শীতকালে মৌসুমী ফলগুলো বাজারে সয়লাভ হয়ে পড়ে। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আপনার অবশ্যই জানা উচিত যে এই শীতের মৌসুমে কোন ফলটি বাছাই করা উচিত।

    ১.কমলা
    কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মতো বিপাকীয় চিহ্নগুলোকে তাদের সর্বোত্তম স্তরে বাধা দিতে পারে।
    ২.নাশপাতি
    নাশপাতিতে নিম্ন গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। এটি শরীর কতটা দ্রুত খাদ্যকে গ্লুকোজে রূপান্তর করে তার পরিমাপ করে। বলা হয়ে থাকে যে, নাশপাতিগুলোর ত্বক দুর্দান্ত পুষ্টির মূল্য এবং উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা পরিচালনা করতে বিশেষভাবে উপকারী।
    ৩.পেয়ারা
    এই ফলের একটি উল্লেখযোগ্য পুষ্টি প্রোফাইল রয়েছে। এটিতে পটাশিয়াম বেশি এবং সোডিয়াম কম। এটি ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, এবং কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে।
    ৪.কিউই
    এই সবুজ ফলটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির সদৃশতায় ভরা। এটি ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, এটি আপনার ডায়েটের নিখুঁত সংযোজন করে তোলে।
    ৫.আপেল
    এই ফলের মধ্যে অ্যান্টোসায়ানিন নামে একটি বিশেষ ধরণের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দেহের বিপাকীয় ভারসাম্যকে উন্নত করে তার স্তরটি পরীক্ষা করতে সহায়তা করে।
    ৬.আঙ্গুর
    আঙ্গুর একটি শীতকালীন মজাদার ফল যা রক্তে শর্করার পরিচালনায় উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ফলের মধ্যে রেসিভেরট্রোল নামক একটি ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দেহের ইনসুলিন নিঃসরণের ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

  • বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেসব ভুল করা যাবে না

    বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেসব ভুল করা যাবে না

    সিলিন্ডারের মাধ্যমে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সচেতনতার মাধ্যমে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

    দেখে নিন বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেসব ভুল কখনোই করা যাবে না-
    গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে যে রাবার পাইপটি থাকে, সেটিতে ‘বিএসটিআই’ ছাপ থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার সঙ্গে আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখুন। গ্যাসের পাইপটি যেন দৈর্ঘ্যে এক থেকে দেড় ফুটের বেশি লম্বা না হয়। সে ক্ষেত্রে পাইপ পরীক্ষার সময়ে অসুবিধা হবে।

    রেগুলেটরের নজেলটি যাতে পাইপ দিয়ে ভালো করে কভার করা থাকে সেটা লক্ষ্য রাখুন। গরম বার্নারের সঙ্গে যাতে গ্যাসের পাইপ কোনভাবে লেগে না থাকে এদিকেও নজর রাখতে হবে।
    পাইপটি নিয়মিত ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কিন্তু ভুলেও সাবান পানি ব্যবহার করবেন না। ২ বছর পরপর অবশ্যই পাইপটি বদলে ফেলুন।

    পরিষ্কার রাখার জন্য গ্যাসের পাইপটিকে কোন রকমের কাপড় বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস দিয়ে মুড়ে রাখবেন না। যদি পাইপটি মুরে রাখা হয় তাহলে পাইপটি ফেটে গেলে বা লিক হলে ধরা পড়বে না।

    গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে পারলে বাড়ির কোনও ইলেক্ট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স অন করবেন না। ওভেন, রেগুলেটর বন্ধ করে দরজা-জানালা খুলে দিন।
    গ্যাস লিক করার পরে যদি কিছুক্ষণের মধ্যে গন্ধ আসা বন্ধ না হয়, তাহলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস বা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন। সিলিন্ডার থেকে রেগুলেটর আলাদা করে দিয়ে সিলিন্ডারের মুখে সেফটি ক্যাপও পরিয়ে দিতে পারেন।

    খালি সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের রেগুলেটর খোলার সময় আশপাশে কোনও মোমবাতি বা প্রদীপ জাতীয় জিনিস যাতে না জ্বলে, তাও খেয়াল রাখুন।

    একটি ঘরে দুটি সিলিন্ডার রাখার জন্য অন্তত ১০ বর্গফুট জায়গা থাকা জরুরি। এমন জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন না, যেখানে সহজেই তা অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।

    সিলিন্ডারের ওপরে কখনোই কোনও কাপড়, বাসন ইত্যাদি রাখবেন না।

  • জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে আবারও মিলল ক্যানসারের উপাদান

    জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে আবারও মিলল ক্যানসারের উপাদান

    শিশু পণ্যের খ্যাতনামা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে আবারও ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

    এরপর চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে ৩৩ হাজার বোতল বেবি পাউডার তুলে নিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

    অনলাইনে বেবি পাউডারের একটি বোতল কিনে সেটির পরীক্ষা করে মার্কিন হেলথ রেগুলেটরস। সেই পরীক্ষায় বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিয়মিত অ্যাসবেস্টস ব্যবহারের ফলে ক্যানসার হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে এই পরীক্ষার রিপোর্ট তারা মেনে নিতে পারছেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোম্পানির মেডিক্যাল সেফটি বিভাগের প্রধান ড. সুসান নিকোলসন। এক মাস আগেই নিজেদের প্রোডাক্ট পরীক্ষা করে সেখানে কোনও অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

    অন্যদিকে নতুন এই ধাক্কায় জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির শেয়ারদর ৬ শতাংশ কমে গেছে। ১৩০ বছরের পুরনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম ধাক্কা নয়।

    এর আগেও বেবি পাউডার, ওপিওয়েড, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং অ্যান্টিসাইকোটিক রিস্পারডালের মতো ওষুধ নিয়ে বিতর্কে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

    বর্তমানে জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে এই ধরনের ১৫ হাজার মামলা চলছে।

  • ঘরেই তৈরী করুন মজাদার শর্মা

    ঘরেই তৈরী করুন মজাদার শর্মা

    শর্মা বাইরের খাবার খুব পছন্দ, পিজা-বার্গার-পাস্তা-শর্মা কিছু একটা চাই-ই? বেশ তো ঘরেই তৈরি করুন মজাদার শর্মা। কীভাবে তৈরি করবেন আসুন জেনে নিন:

    উপকরণ

    পুরের জন্য: গরু বা মুরগির মাংসের কিমা অথবা ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, দই এক কাপ, ভিনেগার দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ও পেঁয়াজ কুচি দুই টেবিল চামচ করে, রসুন এক চা চামচ, ধনে গুঁড়া দেড় চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৩-৪টা এলাচ-দারচিনি ইচ্ছামতো, লবণ পরিমাণমতো, লেবুর রস এক চা চামচ।

    প্রস্তুত প্রণালী
    সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঢেকে ফ্রিজে একঘণ্টা রাখুন। পাত্রে অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ছাড়ুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে মিশ্রণটি দিয়ে রান্না করে নিন।

    সসের জন্য: রসুন চারটি, লবণ স্বাদমতো, তেল এক কাপ, ডিমের সাদা অংশ দু’টি, লেবুর রস এক চা চামচ।

    যেভাবে করবেন: রসুন, লবণ আর তেল একসঙ্গে ব্লেন্ড করে তারপর ডিমের সাদা অংশটা ঢেলে দিন তেল একটু লেবুর রস ব্লেন্ডার চলতে থাকা অবস্থায় দিন। হয়ে গেল গার্লিক সস।

    রুটির জন্য: ময়দা দুই কাপ, ইস্ট দুই চা চামচ, গরম পানি আধা কাপ। লবণ পরিমাণমতো ও চিনি এক চা চামচ।

    প্রণালী: ইস্ট ১/২ কাপ পানিতে মিশিয়ে চিনি দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। একটি পাত্রে ময়দা ও লবণ নিয়ে এতে ইস্ট ও পানি ভালোভাবে মেখে নিন। এবার খামির একটু গরম জায়গায় আধাঘণ্টা রেখে দিন, ফুলে উঠবে। ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ১০ মিনিট প্রি-হিট দিয়ে মোটা রুটি বানিয়ে ৪ মিনিট বেক করুন। চাইলে চুলায় ফ্রাইপ্যানেও একটু সময় নিয়ে রুটি তৈরি করে নিতে পারেন।

    সবশেষে শসা, টমেটো, পেঁয়াজ ও ধনে পাতা কুচি দিয়ে রুটির ভেতরে কিমা দিন, এরপর গার্লিক সস দিন। এবার রুটি রোল করে পরিবেশন করুন।

  • শরীরে প্লাস্টিকের বিষ ঢুকছে টি-ব্যাগ থেকে

    শরীরে প্লাস্টিকের বিষ ঢুকছে টি-ব্যাগ থেকে

    ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা পান না করলে যেন ঘুমের ঘোরটাই কাটতে চায় না! সকাল-বিকেল কাজের ফাঁকে এক কাপ চায়ে গলা না ভেজালে যেন শরীরটা চাঙ্গা হতে চায়না। অফিস চত্বরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চায়ের তেষ্টা মেটাতে টি-ব্যাগের ওপরেই ভরসা করতে হয় বেশির ভাগ চাকুরিজীবী মানুষকে।

    এ ছাড়াও অনেকেই বাড়িতে চটপট করে চা পান করতে টি-ব্যাগের ওপরেই ভরসা রাখেন। তবে এই টি-ব্যাগগুলো চায়ের কাপে ডোবানোর আগে একটু খেয়াল করে দেখুন, ওইগুলো প্লাস্টিকের তৈরি নয় তো!

    সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নাথালি টুফেঙ্কজি পরীক্ষা করে দেখেন, প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগগুলো গরম পানিতে ডুাবানো হলে, সেগুলো থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা মিশে যায়।

    টুফেঙ্কজি ও তার সহকারী গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, একটি টি-ব্যাগে থেকেই চায়ের সঙ্গে মেশে এক হাজার একশ কোটি (১১ বিলিয়ন) মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং তিনশ কোটি ন্যানোপ্লাস্টিক কণা। চলতি মাসেই ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামের মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে।

    অধ্যাপক টুফেঙ্কজি জানান, বেশ কয়েকটি সংস্থা কাগজের পরিবর্তে প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগ বানাচ্ছে। আর এই সব টি-ব্যাগ থেকেই আমাদের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কার্সিনোজেনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন তারা।

    অধ্যাপক টুফেঙ্কজির মতে, টি-ব্যাগে যে পিনের সাহায্যে সুতো আটকানো থাকে, সেই পিনও আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা এফএসএসআই-ও এ বিষয়ে অধ্যাপক টুফেঙ্কজির সঙ্গে একমত হয়ে টি-ব্যাগের পিনের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে চা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে।

    অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকও টি-ব্যাগ ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা করছেন। নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে একজন ব্যক্তির শরীরে প্রায় পাঁচ গ্রাম প্লাস্টিক প্রবেশ করে টি-ব্যাগের সাহায্যে। তাই টি-ব্যাগে ব্যবহৃত উপদান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

    আরো:: ডিমলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ

  • নতুন জুতায় পায়ে ফোসকা পড়া ঠেকাতে যা করবেন

    নতুন জুতায় পায়ে ফোসকা পড়া ঠেকাতে যা করবেন

    আমরা সবাই আনন্দের সঙ্গেই নতুন জুতা কিনে থাকি। কিন্তু পায়ে দেয়ার সময় ওই আনন্দ চলে যেতে পারে। এর কারণ, পায়ে ফোসকা ।

    অবশ্য কিছু কৌশল জানা থাকলে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারবেন।

    দেখে নিন সেগুলো-
    পরার আগে নতুন জুতার ভেতরে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখুন জুতা নরম হয়ে যাবে, ফোসকা পড়ার আশঙ্কাও কমবে।
    পায়ে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন।
    জুতা পরার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। ফোসকা পড়বে না।
    জুতায় সামান্য সরিষার তেল মাখিয়ে নিন। এটিও ফোসকা থেকে বাঁচাবে।

    আরো:: সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী লৌহজাত ব্যবসায়ির

  • শাড়িতে অপরূপা শরতের নারী

    শাড়িতে অপরূপা শরতের নারী

    বলা হয়ে থাকে, শাড়িতেই অনন্যা বাঙালি নারী। কথাটি নিছক কথার কথা নয়। শাড়িতে বাঙালি নারীর একইসঙ্গে প্রিয়তমা ও মাতৃরূপ যেভাবে ফুটে ‍ওঠে তা আর কোনও পোশাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    ষড়ঋতুর এই দেশে প্রকৃতিতে এখন শরতের মায়াবী স্নিগ্ধ ছোঁয়া লেগেছে। শরতের এই সাদা-নীল আকাশের তলে কাশফুলের আলতো উল্লাসের মতো বাঙালি নারীর শাড়ি যখন মৃদ্যু বাতাসে উঠে তখন প্রেমিক হৃদয়ে রোমান্টিকতার ঢেউ জাগে।

    শরতের বহুরূপী আকাশে কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। স্বচ্ছ নীল আকাশ। খরতাপে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয় হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি। প্রকৃতির এই বিচিত্র রঙের খেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবন আরও ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠে পোশাকের বৈচিত্র্যে। শরতের শাড়ির সাজ নিয়ে এ প্রতিবেদন।

    এই শরতে সুতি, সিনথেটিক, জর্জেট, চিনন শাড়ি পরতে পারেন। রঙের দিকে তো নজর রাখতেই হবে! গাঢ় নয়, হালকা রং বেছে নেবেন। নীল, সবুজ, ফিরোজা, গোলাপি, অফ হোয়াইট রংগুলোতে আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।

    এছাড়াও চাইলে জরিপাড় সমেত ফিকে নীল শাড়ি, ধানি রং, চাঁপাফুল রং, সাদা জমিনে বুটি তোলা জামদানি শাড়ি এবং সঙ্গে ব্লাউজ ম্যাচ করে পরতে পারেন।

    তবে দিনের বেলা গরমে গাঢ় সাজ যেমন মানানসই নয়, তেমনই অন্যদের চোখেও তা দৃষ্টিকটু লাগে। তাই সব মিলিয়ে সাজসজ্জায় স্নিগ্ধভাব থাকা চাই। এজন্য হালকা মেকআপই ভালো। আর সাজের উপকরণের রঙে অবশ্যই উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়া উচিত। এ সময় লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সবুজ রঙে ইচ্ছামতো সেজে উঠতে পারেন।

    শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চোখের কাজল, শ্যাডো, লিপস্টিক ব্যবহার করুন। কপালে লাল, কালো, কিংবা সবুজ টিপে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে। বড়জোর হালকা প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। বেছে নিন হালকা গহনা।

    এক্ষেত্রে সোনা, রূপা, মুক্তা, অক্সিডাইজ, মেটাল, কাঁচ, মাটি, পুঁতি, কাঠ কিংবা যে কোনো রকমেরই গহনা হতে পারে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে হাতে চুড়ি বা প্লেন বালা, গলায় লকেট, কানে দুটো হালকা দুল পরলে খুব মানানসেই হবে।

    শরতে শাড়ির সাজে চুলের খোঁপাতেও স্টাইল নিয়ে আসতে পারেন। পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে খুলে দিন চুলটা। আর দেশীয় পোশাকের সঙ্গে করতে পারেন ইচ্ছামতো খোঁপা বা ঝুঁটি।

    খোঁপায় গোলাপ কিংবা রজনীগন্ধা গুজে নিতে পারেন। কণ্ঠে পরে নিতে পারেন বকুল ফুলের মালিকা।