Category: লাইফস্টাইল

  • হঠাৎ চাকরি গেছে স্বামীর, সংসার সামলাবেন যে পাঁচ উপায়ে

    হঠাৎ চাকরি গেছে স্বামীর, সংসার সামলাবেন যে পাঁচ উপায়ে

    দাম্পত্য জীবনে চলার পথে কখনও কখনও আসতে পারে নানা বিপদ। সব কিছু ঠিকঠাক চলতে চলতেও অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। আমাদের জীবনের গতিতে একটা ধাক্কা লাগতেই পারে। এই যেমন স্বামীর চাকরি চলে যাওয়া। এ পরিস্থিতিতে স্ত্রীর মাথায় রাখতে হবে যে স্বামীর চাকরি চলে গেলে কী করবেন।

    জীবনে খারাপ-ভালো সব পরিস্থিতিই আসবে। মাথায় রাখতে হবে যে তার সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তি আমাদের প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন। আর স্বামীর চাকরি চলে গেলে একটা সংসারে অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে খুব কষ্ট করে একজন স্ত্রীকে বিষয়টা সামলে নিতে হবে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও অনেকেই মনে করেন যে সংসার চালানোর জন্য পুরুষের আয় করা জরুরি। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রী চাকরি বা উপার্জন করার পরও অনেক সময়ই স্বামীর ওপর অতিরিক্ত চাপ থাকে। আবার স্বামীর যখন চাকরি চলে যায়, তখন গোটা ব্যবস্থার ওপর চেপে বসে অত্যধিক চাপ।

    এই সময়ে স্ত্রীকে খুব সচেতন হয়ে যেতে হবে। যেকোনো মানুষের জীবনে আসতে পারে এই অবস্থা। তাই অহেতুক চিন্তা বাড়িয়ে লাভ নেই। বরং আপনি যদি এই সময়টায় কোনো ভুল করে বসেন, তবে গুরুতর অশান্তি আসবে জীবনে।

    শান্ত থাকুন

    এই সময়ে আপনার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এমনকি স্বামীও আপনার ওপর ভরসা করতে চাইবেন। আর আপনি ভেঙে পড়লে তো পুরো বিষয়টাই বদলে যাবে। তাই শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। শান্ত থাকতে পারলেই অনায়াসে সমস্যার হয়ে যেতে পারে সমাধান।

    স্বামীর পাশে থাকুন

    স্বামীর পাশে থাকাটা এই সময় খুবই দরকার। কারণ আপনি যদি তার পাশে এই সময়ে না থাকতে পারেন, তবে কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে মাথায় রাখতে হবে স্বামীকে অবসাদে যেতে দেয়া যাবে না। তাকে ভরসা দিন। তারপরই তো আপনি সমস্যা থেকে সবাইকে বের করে আনতে পারবেন।

    সংসার চালান হিসাব মতো

    একজনের চাকরি নেই। তাই পারিবারিক আয় কমেছে। এই সময় আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সেক্ষেত্রে খুব চেষ্টা করুন যে কম পয়সায় সংসার চালানোর। বরং হিসাব করে চালাতে হবে গোটা সংসার। তারপরই আপনি সমস্যা থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন।

    স্বামীকে নতুন চাকরি খুঁজতে সাহায্য করুন

    অনেক সময় দেখা যায়, একবার চাকরি যাওয়ার পর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। তবে এটা ভুল একটা দর্শন। সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। এবার আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে তাকে সঠিক পথে যেভাবেই হোক আনতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করা হবে সম্ভব। তাই তাকে নতুন চাকরি খুঁজতে বলুন।

    অন্যদের সাহায্য নিন

    এই বিষয়টাকে লুকিয়ে রাখলে আদতে সমস্যা বাড়বে। তাই নিজের কাছের বন্ধুদের সাহায্য তো নিতেই হবে। তারাই আপনার সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিটি কাছের মানুষের মতামত আপনার ক্ষেত্রে অমূল্য রতন হতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।

    এন-কে

  • এই তেল ব্যবহারে বলিরেখা দূর হবে নিমেষেই!

    এই তেল ব্যবহারে বলিরেখা দূর হবে নিমেষেই!

    অনেকেরই অল্প বয়সে ত্বকে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ পড়ে যায়। চোখের পাশে, ঠোঁটের নীচে, কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করে। এগুলো দূর করতে অনেকেই নামী-দামি ব্র্যান্ডের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। তবে মার্কেট থেকে কেনা প্রোডাক্টে নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় বলে ত্বকের পক্ষে সেগুলো ভাল নয়। বরং ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখতে পারলে এই ধরনের সমস্যাকে অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।

    ত্বক রিঙ্কেলস-মুক্ত করতে নারকেল তেল দারুণ কার্যকর। রুপচর্চায় বহু যুগ আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে নারকেল তেল। রিঙ্কেলস ছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যার চটজলদি সমাধান করে দিতে পারে এই তেল।

    জেনে নিন, ত্বকের রিঙ্কেলস বা বলিরেখা দূর করতে কীভাবে ব্যবহার করবেন নারকেল তেল.

    > প্রথমে মুখ ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর নারকেল তেল নিয়ে মুখ ও গলায় মালিশ করুন কিছুক্ষণ। সারা রাত তেল লাগিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে মুখ, গলা ধুয়ে ফেলুন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি করুন। নারকেল তেল বলিরেখা বা রিঙ্কেলস কমায়, ত্বক পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করে।

    > এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সম পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে নারকেল মুখে মালিশ করুন। সারা রাত তেল লাগিয়ে রাখুন। প্রতি রাতে এটি করুন।

    > ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেল একসঙ্গে মিশ্রিত করে আপনার মুখে লাগান। আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। সারা রাত রেখে সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক বলিরেখামুক্ত রাখতে প্রতিদিন এটি করুন।

    > একটি ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুল থেকে তেল বের করে নিন। এর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। প্রতি রাতে এটি করুন।

    > এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। যে সব জায়গায় রিঙ্কেলস পড়েছে, সেই সব জায়গায় এই মিশ্রণটি লাগান ভালো করে। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এটি করুন।

    এন-কে

  • উপকারী হলেও বিপদ বাড়াতে পারে লবঙ্গ

    উপকারী হলেও বিপদ বাড়াতে পারে লবঙ্গ

    লবঙ্গ বেশ উপকারী মসলা। সর্দি-কাশির মতো অনেক সমস্যা নিমেষে সারিয়ে দিতে পারে লবঙ্গ। শরীরের যত্নে পাশাপাশি রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধিতে এ উপকরণের জুড়ি নেই। তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে হাজারও সমস্যা।

    বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ঢুকেছেন। মাথা মুছে সুস্থ হয়ে বসতে না-বসতেই শুরু হয়ে গেল গলা খুসখুস। আপনার কাশির শব্দ শুনেই মা হাজির হলেন লবঙ্গ হাতে। মায়ের দেওয়া লবঙ্গ মুখে দিতেই উধাও খুসখুসে কাশি। সর্দি-কাশির মতো এমন অনেক সমস্যা নিমেষে সারিয়ে দিতে পারে লবঙ্গ।

    তবে রান্নার মশলা হিসাবেই এর ব্যবহার বেশি। গবেষণা বলছে, শরীর সুস্থ রাখতেও লবঙ্গের ভূমিকা অনবদ্য।

    চলুন দেখে নেওয়া যাক লবঙ্গ কী ভাবে শরীরের যত্ন নেয়-
    লবঙ্গের একটি প্রধান উপাদান নাইজেরিসিন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এই উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানটির জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর মতো উপকার হয়। ডায়াবিটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ একটি অন্যতম অস্ত্র হতে পারে।

    সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথায় লবঙ্গ-তেল মালিশের উপকারিতা অনেকেই জানেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য দাঁতের ব্যথায় এটি খুব উপকারী।

    নিয়মিত লবঙ্গ ভেজানো পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

    বিভিন্ন কারণে পাকস্থলীর আলসারের সমস্যা হয়। গবেষণা বলছে, লবঙ্গ পাকস্থলিতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে লবঙ্গ।

    তবে লবঙ্গের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে সমস্যাও।

    চলুন দেখে নেওয়া যাক তা কীভাবে-
    অনেকে অকারণে মুখে লবঙ্গ রাখতে পছন্দ করেন। মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।

    যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।

    লবঙ্গ থেকে হতে পারে অ্যালার্জিও। তাই লবঙ্গ খেয়ে দেখুন কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। র‌্যাশ বা চুলকানি কিছু দেখা দিলে লবঙ্গ খাওয়া বন্ধ করে দিন।

    এন-কে

  • যেসব রোগের মহৌষধ পাকা তাল!

    যেসব রোগের মহৌষধ পাকা তাল!

    বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণে ভরপুর তালকে আপনি সারা বছর পাবেন না। বছরের এই ভাদ্র মাসেই মূলত নতুন পাকা তাল বাজারে পাওয়া যায়। তাই ভাদ্র মাসকে বলা হয় তাল খাওয়ার মৌসুম।

    বাঙালির বাঙালিয়ানা খাবারগুলোর জনপ্রিয়তায় তাল অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। সুস্বাদু এই ফলটি কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে খাওয়া যায়। পাকা তাল থেকে রস বের করার পর দীর্ঘদিনের বিরতিতে বীজ মাটিতে রেখে দিয়ে তা থেকে পাওয়া শাঁসও বাঙালিদের কাছে বেশ প্রিয় একটি খাবার।

    পাকা তালের রস দেখতে বেশ কমলা রঙের হয়ে থাকে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যগুণেও অনন্য। পাকা তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।

    পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম পাকা তালে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলো ক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। তাই অনেক রোগেরই মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে পাকা তাল।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

    যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ কিংবা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা প্রায়ই বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তারা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিন দিন খেতে হবে।

    একই পদ্ধতিতে তাল খাওয়ার অভ্যাসে পুরুষত্বহীনতায় উপকার পাওয়া যায়। বমিভাব দূর করতেও এভাবে পাকা তাল খেতে পারেন। যদি পুরোনো কোনো কাশি কোনোভাবেই আপনার পিছু না ছাড়ে, তবে একই পদ্ধতিতে তাল খেয়ে উপকার পাবেন।

    তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে পাকা তাল।

    এন-কে

  • এই খাবারগুলো হৃদরোগ-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

    এই খাবারগুলো হৃদরোগ-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

    সুস্থ-সবল থাকার জন্য যতই ব্যায়াম করুন না কেন, খাওয়াদাওয়া ঠিক করে করাটাও কিন্তু খুব প্রয়োজন। এমন কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেটায়। এই খাবারগুলো আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

    এই প্রতিবেদনে এমনই ৫টি সুপারফুডের উল্লেখ করা হল, যা আপনার ডায়েটে অবশ্যই যোগ করা দরকার।

    দেখে নিন সেগুলো কী কী…

    ফ্ল্যাক্সসিড

    পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ফ্ল্যাক্সসিড। এতে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় আমাদের শরীরের তেলের প্রাকৃতিক উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে। ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর এই বীজ। এছাড়া, এই বীজে কোলেস্টেরল থাকে না বললেই চলে, যে কারণে হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারি ফ্ল্যাক্সসিড। চুলের নানা সমস্যা দূর করতে ফ্ল্যাক্সসিডের জুড়ি মেলা ভার।

    নারকেল

    নারকেল তেল একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার যা বডি লোশন, ফেস ক্রিমে ব্যবহার করা হয়। এমনকি ত্বকে সরাসরিও প্রয়োগ করা হয়। স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে নারকেল। ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ নারকেল আপনার ডায়েটে রাখলে দারুণ ফল পাবেন।

    পেঁপে

    পেঁপে আরেকটি সুপারফুড। পাপাইন সমৃদ্ধ পেঁপে স্কিন হোয়াইটেনিং মাস্ক, ক্রিম এবং লোশনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পেঁপেতে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। যে কারণে ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে পেঁপে খুব সহায়ক। এছাড়া, যে সব মহিলাদের পিরিয়ড অনিয়মিত হয় তাদের জন্য পেঁপের রস দারুণ কার্যকর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে পেঁপে।

    অ্যালোভেরা

    অ্যালোভেরা ব্রণ, দাগ, রিঙ্কেলস এবং ট্যান-সহ ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়া, নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অম্বল নিরাময়ে সাহায্য করে, হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

    অলিভ অয়েল

    হার্ট অ্যাটাক, আর্থ্রাইটিস, স্তন ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, জরায়ু ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য, গলব্লাডারে সমস্যা, মাইগ্রেন-এর সমস্যা, প্রভৃতি বিভিন্ন ধরণের রোগ নিরাময়ে অলিভ অয়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই রয়েছে। এছাড়া, ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জুড়ি মেলা ভার এই তেলের।

    এন-কে

  • হতাশা ও দুশ্চিন্তা কমানোর ঘরোয়া উপায়

    হতাশা ও দুশ্চিন্তা কমানোর ঘরোয়া উপায়

    জীবনে চিন্তা, দুশ্চিন্তা কিংবা জটিলতা এটা থাকবেই। এর বাইরে মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাস্তবতার সঙ্গে চাওয়া-পাওয়ার অসঙ্গতি থেকেই তৈরি হয় হতাশা। যা ধীরে ধীরে রুপ নেয় দুশ্চিন্তায়। আর এই হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে কিছু সহজ উপায়।

    সমস্যা যখন রয়েছে তার সমাধানও রয়েছে। তবে সবসময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ খাবার প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয়ে ঘরোয়া টোটকা বা প্রাকৃতিক উপায়েও সমস্যার সমাধাণ করা সম্ভব। দুশ্চিন্তা বা হতাশার ক্ষেত্রে এমনই কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    চলুন দেখে নেওয়া যাক টোটকাগুলো কী কী-
    ২০১৬ সালে ফাইটোমেডিসিন নামের একটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়। সেখানে মন শান্ত রাখার জন্য ক্যামোমাইল ফুল খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া ঠিক কি ঠিক নয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে চায়ের মাধ্যমে এই ফুলের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে। তাই ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়েই এটি খেতে হবে।

    ল্যাভেন্ডারের গন্ধ মন শান্ত করে। এমনটাই বলেন অনেকে। ঘুমানোর সময় একটু বালিশে দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডালের এসেন্স লাগিয়ে দিতে পারেন। অথবা স্নানের সময় পানিতে ল্যাভেন্ডারের এসেন্স মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে আরাম মিলবে।

    শরীরচর্চা ও যোগাভ্যাস এই দুই উপায়ে যেমন শরীর ফিট থাকে তেমনই এতে মন ভাল থাকে। পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক হতাশা-দুশ্চিন্তা বিষয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হয়। আবার যোগাভ্যাসের মাধ্যমেও একাগ্রতা বাড়ে। ফলে যেকোন বিষয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

    ঘুম ভাঙানোর জন্য কিংবা কাজের ফাঁকে কফির কাপে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু শরীরে ক্যাফেনের পরিমাণ বেশি হলে ঘুম কমে যায়। এতে মনও অশান্ত হয়ে ওঠে।

    এন-কে

  • সকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি!

    সকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি!

    অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও মানসিক উদ্বেগের কারণে বর্তমানে হৃদ্‌রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। হৃদ্‌রোগ ঠিক কখন জীবনপ্রদীপ নেভাতে হানা দেয় তা বলা কঠিন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের দিকে হৃদ্‌রোগ বিশেষ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হৃদ্‌রোগ। জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে এই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে যে কোনো বয়সের নারী পুরুষই।

    ‘ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি’-র গবেষকরা বলছেন, শরীরের হরমোন নিঃসরণের ওঠানামা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। ভোরের দিকে শরীরে সাইটোকিনিন হরমোনের নিঃসরণ সবচেয়ে বেশি হয়। এ সময় হৃদ্‌যন্ত্র দুর্বল হলে ‘অ্যারিথমিয়া’ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

    দিনে শরীর সবচেয়ে বেশি সচল থাকে। অন্যদিকে সারা দিনের কাজের পর রাতে শরীর সবচেয়ে বেশি নিস্তেজ অনুভব করে। সেই সময় পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

    ঘুমের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিশ্রাম নিতে শুরু করে। এই সময় রক্তচাপ এবং হৃদ্‌স্পন্দনের হার সবচেয়ে বেশি থাকে। হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকলাপও জটিল হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়টাতে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার ফলে করোনারি ধমনিতে চাপ সৃষ্টি হয়। তাই ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।

    এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, সকালে রক্তের ‘পিএআই-১’ কোষ অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। যার কারণে রক্তে জমাট বাঁধার প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

    হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই দৈনিক ৮ ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার, ধূমপান এবং মদপানের মতো বদঅভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই এই রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবেই সকালে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

    এন-কে

  • রাতে চুলে তেল দেয়া কতটা উপকারী?

    রাতে চুলে তেল দেয়া কতটা উপকারী?

    চুলের বাইরের আবরণকে সুস্থ রাখতে অনেকেই তেল মাথার স্ক্যাল্প ও চুলে ব্যবহার করেন। এই অভ্যাস লাভজনক হলেও দীর্ঘ সময় ধরে মাথায় তেল রাখাটাকে মোটেও লাভজনক বলে মনে করছেন না ডার্মাটোলজিস্টরা।

    অনেকেই নারিকেল তেল, বাদাম তেল, সরিষা তেল, অলিভ ওয়েল চুলে ব্যবহার করেন সঠিক পুষ্টির আশায়। নিঃসন্দেহে তা চুলের পুষ্টি জোগায় তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল থেকে চুল ও মাথার ত্বকের পুষ্টি সংগ্রহ করতে সময় প্রয়োজন হয় ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মতো।

    তাই যারা মনে করেন, দীর্ঘ সময় তেল মাথায় থাকলে চুল বেশি পুষ্টি পাবে, বিষয়টি মোটেও সে রকম নয়। বরং সারা দিন বা সারা রাত তেল মাথার স্ক্যাল্প ও চুলে থাকলে তা চুলের গোড়াকে নরম করে ফেলে।

    চুলের গোড়া নরম হলে শুরু হয় চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা। তা ছাড়া মাথার স্ক্যাল্পে দীর্ঘ সময় তেল থাকায় সেখানে ময়লা আটকে থাকার সুযোগ পায়। এই ময়লা মাথার ত্বককে নষ্ট করে ফেলে। এতে দেখা দেয় খুশকির সমস্যাও।

    তবে তার মানে এই নয়, চুলে তেল ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছে, চুলের যত্নে তেল অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে তবে তা চুলে রাখা যাবে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা। চুল ও মাথার ত্বকে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা পরই শ্যাম্পু করুন। এতে তেলের সম্পূর্ণ পুষ্টিই চুল ও মাথার ত্বক পাওয়ার সুযোগ পাবে।

    এন-কে

  • গরম খাবারে লেবুর রস দিচ্ছেন, উপকার হচ্ছে কি?

    গরম খাবারে লেবুর রস দিচ্ছেন, উপকার হচ্ছে কি?

    লেবু এই সমাজে বহুল ব্যবহৃত একটি খাবার। বহুমাত্রিক গুণাবলি যুক্ত এই ফলের চাহিদা রয়েছে সর্বক্ষেত্রে। তবে এবার জানা যাচ্ছে, লেবুর রস কোনও ফুটন্ত জিনিসের সংস্পর্শে এলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কেনো?

    সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানি বা দুপুরে খাওয়ার পাতে গরম ডালে, আবার রাতে গরম স্যুপ— সবেতেই আজকাল চলে লেবুর রস। সারা দিনের খাবারের তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন সি যোগ করা জরুরি। ত্বক, চুল, চোখের যত্নে ভিটামিন সি-র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়াও রক্তে থাকা আয়রন শোষণ করে হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে ভিটামিন সি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমাদের প্রতি দিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা সাধারণ খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত থাকে না।

    এই জন্য বাইরে থেকে কৃত্রিম উপায়ে ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে অনেকেরই পছন্দ লেবু। কারণ ভিটামিন সি-র পাশাপাশি, লেবুতে আছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬। কিন্তু বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে লেবু খেতে গিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা যে ভুল করে থাকি, তাতে আদতে শরীরে ক্ষতিই হয়।

    পুষ্টিবিদদের মতে, লেবুর রস কোনও ফুটন্ত জিনিসের সংরস্পর্শে এলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দিনের পর দিন লেবু খেয়ে গেলেও ভিটামিন সি-র ভাঁড়ার কিন্তু শূন্যই থাকে। বিশেষ করে যখন গরম স্যুপ, গরম চায়ে লেবু ছাড়া খাওয়ার কথা ভাবাই যায় না।

    চলুন দেখে নেওয়া যাক সে ক্ষেত্রে করণীয়-

    লেবুর রসে থাকা পুষ্টিগুণ অটুট রাখতে ফুটন্ত খাবারে লেবুর রস দেবেন না। প্রথমে গ্যাস থেকে নামিয়ে আলাদা একটি পাত্রে রাখুন খাবার। কিছু ক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। তার পর তাতে লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

    এন-কে

  • শশা তো খাওয়াই হয়, এবার চেখে দেখুন ​শশার স্যুপ

    শশা তো খাওয়াই হয়, এবার চেখে দেখুন ​শশার স্যুপ

    সালাদ হোক কিংবা রায়তা, শসা ছাড়া কোনওটাই সম্পূর্ণ নয়। এছাড়া ঝালমুড়ি চটপটিতেও শসার ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে শসা শুধু খেতেও কিন্তু মন্দ লাগে না। শসা হজমে সাহায্য করে, শরীরে পানির অভাব মেটায়, শরীর টক্সিন-মুক্ত করতেও সাহায্য করে। শসাতে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

    চিকিৎসকরা বলেন, শসা মূত্রের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তচাপের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। তবে শসা কেবল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নয়, ত্বকের নানা সমস্যাও এক চুটকিতেই দূর করতে পারে। এর পাশাপাশি চোখের চারপাশের ফোলাভাব, চোখে লালচে ভাব ও চোখের প্রদাহও কমাতে পারে শসা। আজকের আর্টিকেলে এই স্বাস্থ্যকর ফল দিয়ে স্যুপ তৈরির রেসিপি আপনাদের জানাব।

    জেনে নিন রেসিপি শসার স্যুপ তৈরির পদ্ধতি ১) ছোলা ভাল করে ধুয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পানি ঝরিয়ে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। ২) শসাগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিন। ৩) মিক্সিতে শসা, কাঁচা মরিচ, ছোলা, টক দই, গোলমরিচ, লবণ এবং ধনে পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। একেবারে মিহি করে পেস্ট করবেন। ৪) গ্যাসে প্যান বসিয়ে তেল গরম করুন। তাতে রসুনের কোয়াগুলো ভেজে নিয়ে শসার পেস্টটা ঢেলে দিন। ৫) কিছুক্ষণ ফোটানোর পর বাটিতে ঢেলে নিয়ে পরিবেশন করুন শসার স্যুপ!

    এন-কে

  • অত্যধিক মদ্যপান বাড়িয়ে তোলে সাত রকম ক্যানসারের ঝুঁকি

    অত্যধিক মদ্যপান বাড়িয়ে তোলে সাত রকম ক্যানসারের ঝুঁকি

    ক্যানসার একটি ‘মাল্টি ফ্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ’। তবে নতুন একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, অ্যালকোহল থেকেও হতে পারে ক্যানসার। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মোট সাত ধরনের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। অ্যালকোহল শরীরের প্রতিটি কোষে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি করে।

    ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। ক্যানসার একটি ‘মাল্টি ফ্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ’। চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, অত্যধিক হারে ধূমপান, তেল-মশলা জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক— এমন কয়েকটি কারণে ক্যানসার বাসা বাঁধে দেহে।

    ইংল্যান্ডের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা নতুন একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, অ্যালকোহল থেকেও হতে পারে ক্যানসার। এই ধরনের পানীয় যখন সরাসরি কোষের সংস্পর্শে আসে, এটি ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘অ্যাকটালডিহাইড’-এ রূপান্তরিত হয়। এটি ডিএনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। অ্যালকোহল শরীরের প্রতিটি কোষে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি করে।

    ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, নিয়মিত যারা মদ্যপান করেন, তাদের তুলনায় মদ্যপান যারা করেন না, তাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।

    সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর আমেরিকায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গবেষকরা বলছেন, কমবয়সেও অনেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ অ্যালকোহল সেবন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মোট সাত ধরনের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

    ১) গলার ক্যানসার

    ২)খাদ্যনালীর ক্যানসার

    ৩) কণ্ঠনালীর ক্যানসার

    ৪) লিভার ক্যানসার

    ৫) কোলন ক্যানসার

    ৬) মলাশয়ের ক্যানসার

    ৭) স্তন ক্যানসার

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যানসারের মতো মারণরোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে মদ্যপান তো বটেই, ধূমপানের অভ্যাসও ত্যাগ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার উপরেও জোর দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ক্যানসার আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

    এন-কে

  • যে ৩ খাবার ত্বক, শরীরের জন্য বিষ!

    যে ৩ খাবার ত্বক, শরীরের জন্য বিষ!

    ত্বকের যত্ন ও সুরক্ষার জন্য যতই রূপচর্চা করুন না কেনো, ডায়েট লিস্টে যদি ৩ খাবারকে প্রাধান্য দেন তবে তা আপনার ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।

    স্কিন বিশেষজ্ঞ ও ডায়েটেশিয়ানরা বলছেন, নিয়মিত এই ৩ খাবারকে প্রাধান্য দিতে থাকলে আপনার ত্বকে বলিরেখা, ব্রণের মতো সমস্যা তো দেখা দেবেই, সঙ্গে রক্তের বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়ে নানান রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করবেন আপনি।

    শরীরে মেদ জমার পাশাপাশি রক্তে শর্করা আর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এই তিন মারাত্মক খাবার। বিষ হলেও খেতে ভীষণ সুস্বাদু এই খাবারগুলোকে আমরা হরহামেশাই খেয়ে ফেলি। বিষের সমতুল্য এই খাবারগুলো হলো-

    ১. তেল, মশলা ও ঝালযুক্ত খাবার: রান্নায় তেল, মশলা ও ঝালকে প্রাধান্য দিলে ত্বকের পাশাপাশি শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস নানা জটিল রোগে আক্রান্ত করার পাশাপাশি ত্বকে ব্রণ, র‌্যাশের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।

    ২. কোল্ড ড্রিংকস ও অ্যালকোহল: এই দুই ধরনের পানীয়ই শরীরকে মারাত্মকভাবে ড্রিহাইড্রেট করে তোলে। যা ধীরে ধীরে আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কেড়ে নেয়। পাশাপাশি অকালে ডেকে আনে বার্ধক্যও।

    ৩. ফাস্টফুড এবং ভাজাপোড়া: স্বাদে লোভনীয় হলেও অতিরিক্ত ক্যালোরিসম্পন্ন এসব খাবার শরীরে মুটিয়ে যাওয়ার ভাব নিয়ে আসে। আর অতিরিক্ত ওজনের জালে ফেঁসে আপনার জীবনকে আরও নানা রোগে বেঁধে ফেলতে থাকে এসব খাবার। তাই বিষের মতো তাৎক্ষণিক মৃত্যু না হলেও, কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই ৩ খাবারের কারণে ধীরে ধীরে হঠাৎ মৃত্যুর ফাঁদে জীবন হারাবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এন-কে