Category: লাইফস্টাইল

  • আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা জানুন

    আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা জানুন

    ওজন কমানো থেকে সুগার, পেটের জমে থাকা মেদ কমানো, একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার দাওয়াই হিসেবে কাজ করে আপেল সিডার ভিনেগার। কেবল শরীর নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও দারুণ কার্যকর এই উপাদানটি। তবে এই ভিনেগার কখনই শুধু শুধু খাবেন না, তাহলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিই হবে আপনার। অবশ্যই পানির সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে পান করবেন।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার পানে শরীরের কী কী উপকার হয় –

    > অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ আপেল সিডার ভিনেগার শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া এবং প্যাথোজেন মেরে ফেলে। যে কারণে আমাদের শরীর নানা সংক্রমণ ও রোগভোগ থেকে মুক্তি পায়। তাছাড়া, অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দীর্ঘ সময় খাবার সংরক্ষণ করতেও সাহায্য করে। অন্ত্র ভাল রাখে।

    > আপেল সিডার ভিনেগার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শুধু আপেল সিডার ভিনেগার পান করলেই হবে না, এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

    > বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমাতে সাহায্য করে। ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না, খিদে কমায়, হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং ফ্যাট বার্ন করে।

    > ব্রণ, পিম্পল এবং ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে৷

    > দাঁত ভালো রাখতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার। এটি মাউথওয়াশ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

    > আপেল সিডার ভিনেগার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। আর, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আমাদের ত্বককে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। এর ফলে আমাদের কোষ ভালো থাকে এবং অক্সিডেটিভ সেল ড্যামেজ কমাতে সাহায্য করে।

    এন-কে

  • অফিসে ঘুম আসছে, দূর করবেন যেভাবে

    অফিসে ঘুম আসছে, দূর করবেন যেভাবে

    ভোর বা সকালে অফিসে এসে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে অনেকের। কোনোভাবেই চোখ টেনে তুলতে পারছেন না। মাথাটা ঝিম ঝিম করে। বার বার হাই তুলছেন। এমন একটি মুহূর্তে মনের ইচ্ছা, একটু যদি ঘুমাতে পারতাম। এ সময় ঘুম দূর করতে আপনি কী করবেন?

    তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন
    অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। তাহলে সকালেও তাড়াতাড়ি উঠতে পারবেন। সঙ্গে রাতে ঘুমও পর্যাপ্ত হবে। রাতে ভালো ঘুম হলে সারাদিন শরীর ও মন দুটোই প্রফুল্ল থাকবে এবং কাজ করার শক্তি ফিরে পাবেন।

    পানি পান করুন
    অফিসে যদি খুব বেশিই ঘুম পেয়ে থাকে তবে চট করে একগ্লাস পানি পান করুন। চোখে-মুখে পানি দিয়ে একটু ধুয়ে নিন। দেখবেন ঘুম দূর হয়ে গেছে।

    হাঁটাহাটি করুন
    একটানা কাজ না করে বিরতি নিন। এক জায়গায় টানা বসে থাকলে ঘুম আসতে পারে। তাই মাঝেমাঝে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। ঘুম চলে যাবে।

    চা কফি খান
    ঘুম বা ঝিমুনি আসলে ভালো করে মুখ ধুয়ে আসুন। সারাদিন সতেজ ও কর্মক্ষম থাকার জন্য অন্তত এক ঘণ্টা পর পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘুমের ভাব অনেকটা দূর হবে। ত্বকও ভালো থাকবে, আবার সতেজও লাগবে। এরপর কড়া করে এক কাপ চা অথবা কফি খান। তবে দুপুরের খাবারের পরপরই চা বা কফি পান করবেন না। অন্তত আধা ঘণ্টা পর পান করুন।

    অন্ধকারে আলো জ্বালান
    আপনার অফিস রুমটিতে যদি আবছা অন্ধকার থাকে, তবে ঘুম তো আসবেই। আলো জ্বালুন বা আলো আসার ব্যবস্থা করুন। সূর্যের উজ্জ্বল আলো অফিস ঘরে ঢুকলে ঘুম এমনিও আসবে না।

    আড্ডা বা কথা বলুন
    একা একা না থেকে কাজের ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে একটুখানি আড্ডা বা দিন। অফিস সংক্রান্ত নয় এমন বিষয় নিয়ে গল্প করতে পারেন।

    এছাড়াও চিনি অথবা চিনি জাতীয় যে কোনো খাবারের কারণে বেশি ঘুম পায়। তাই অফিসে যাবার পর এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন। খাবার খাওয়ার পর বিরক্তিকর কাজগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ, বিরক্তিকর কাজগুলো মানসিকভাবে কাজের প্রতি অনীহা তৈরি করে, যার ফলে কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে যায় এবং বারবার ঘুম পায়। এছাড়া দুপুরে ভারি খাবার না খেয়ে সামান্য পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ঘুমও আসবে না।

    এন-কে

  • শরীরচর্চায় কেন গুরুত্ব দিতে হবে পায়ের পেশিকেও!

    শরীরচর্চায় কেন গুরুত্ব দিতে হবে পায়ের পেশিকেও!

    সুস্থ থাকার পাশাপাশি নীরোগ থাকার জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই শরীর চর্চায় কাঁধ, বুক আর হাতের পেশিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সে অনুযায়ী পায়ের পেশিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। এই ভুলের কারণে ধীরে ধীরে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন আপনি, তা কি আপনি জানেন?

    শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যেকেনো একটি অঙ্গকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার কারণে অসম দৈহিক গড়ন তৈরি হয়। যা কারোরই কাম্য নয়।

    আমাদের উচ্চতা কিন্তু নির্ভর করে এই পায়ের ওপরই। কোনো কারণে পা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা দুর্ঘটনায় পা হারালে মানুষের উচ্চতা তখন নিমিষেই অনেকটা কমে যায়। হাটা চলার ক্ষমতাও হারাতে হতে পারে পায়ের নানা জটিলতায়।

    তাই শরীরচর্চায় পায়ের ব্যায়ামকে গুরুত্ব দিন। পাশাপাশি কিছু বিশেষ নিয়ম ও ব্যায়াম শরীরচর্চায় যোগ করুন। যেমন-

    ১. প্রথমেই যেটি করবেন সেটি হলো শরীরের দৈর্ঘ্য ওজন ও বিএমআই অনুযায়ী পায়ের মাসল কেমন হওয়া উচিত তা একজন দক্ষ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা।

    ২. আপনার কাজের ধরনকে এখানে প্রাধান্য দিতে হবে। সে অনুযায়ী একজন দক্ষ ডয়েটেশিয়ানের কাছ থেকে একটি সঠিক ডায়েট লিস্টও তৈরি করে নিন।

    ৩. যারা প্রথম শরীরচর্চা করতে শুরু করবেন তারা প্রথমদিকে হালকা ব্যায়ামগুলোকে বেছে নিতে পারেন।

    ৪. হালকা ব্যায়ামে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার পর ভারি ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করতে পারেন।

    প্রয়োজনীয় ব্যায়াম

    লেগ রেজ: মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে দুই হাতের তালু মেঝের ওপর রাখুন। এবার বাঁ-পা ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে পা রাখতে চেষ্টা করতে হবে। এ অবস্থায় পাঁচ সেকেন্ড পা তুলে রাখুন এবং ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন। এই একই পদ্ধতিতে ডান পা অনুশীলন করতে হবে। শুরুর দিকে দুই পায়ে চারবার করে এই লেগ রেজ ব্যায়াম করতে পারেন। এরপর দশবার পর্যন্ত বাড়াতে পারেন লেগ রেজের সেট।

    লায়িং হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ: এই ব্যায়াম অনুশীলনেও প্রথমে মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে বাঁ-পা উপরে তুলুন। তবে প্রথম ব্যায়ামের মতো ৪৫ ডিগ্রি পজিশনে নয়। এ ক্ষেত্রে মাটির সঙ্গে পা ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে। দুই হাত বাঁ-ঊরুর নিচে রেখে ভারসাম্য বজায় রাখুন। এবার বাঁ-হাঁটু আস্তে আস্তে বুকের কাছে আনার চেষ্টা করুন। ৩০ সেকেন্ড অনুশীলন করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। দুই পায়ে অনুশীলনে ৩০-৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন পা।

    হাফ স্কোয়াট: এই ব্যায়াম অনুশীলন করতে আপনাকে মেঝেতে শুয়ে নয়; বরং মেঝের ওপর দাঁড়িয়ে করতে হবে। প্রথমে হাত দুটি সামনের দিকে তুলুন। এবার বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয়। অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন। এভাবে অন্তত দশবার অনুশীলন করতে পারেন।

    লেগ এক্সটেনশন এবং হ্যামস্ট্রিং কার্ল: মেশিনের সাহায্যে এই দু’টি বিপরীতমুখী এক্সারসাইজ় করা হয়ে থাকে। সিটে বসে লোয়ার লেগের উপরে বা নীচে ওয়েটেড প্যাড বসিয়ে তা তুলে বা নামিয়ে এই ব্যায়াম করা হয়। আপার লেগের কোয়াড্রিসেপসের স্ট্রেংথ বাড়াতে এই ব্যায়াম বিশেষভাবে কার্যকর।

    এন-কে

  • মাছের পুডিং খেয়েছেন কি? জেনে নিন তৈরির সহজ পদ্ধতি

    মাছের পুডিং খেয়েছেন কি? জেনে নিন তৈরির সহজ পদ্ধতি

    বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা উৎসব উদযাপন, বাঙালির পাতে মাছ না পড়লে চলে না। কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই ধরনের মাছের পদ সবসময় কারোই ভাল লাগে না। তাই স্বাদ বদল করতে এবার মাছের অন্য রকম একটা পদ ট্রাই করে দেখুন। বাড়িতেই বানান মাছের পুডিং। পুডিং বলতে প্রথমেই দুধ এবং ডিমের তৈরি পুডিংয়ের কথাই মনে আসে, কিন্তু এটা খেয়ে দেখুন, একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। দেখে নিন মাছের পুডিংয়ের সহজ রেসিপি।

    উপকরণ

    ৬-৭ পিস কাতলা মাছ

    ব্রেড ক্রাম্বস

    পেঁয়াজ কুচি

    ২ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস

    এক কাপ দুধ

    মাখন পরিমাণমতো

    ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি

    চিজ

    ৩টে ডিম

    ১ চা চামচ মিক্সড হার্বস

    ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো

    তৈরির পদ্ধতি

    ১) প্রথমে মাছের পিসগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। কড়াইতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাছগুলো সেদ্ধ করে নিন ভাল করে।

    ২) মাছগুলো একেবারে সেদ্ধ হয়ে পানি থেকে তুলে নিন। মাছের চামড়া ও কাঁটা ছাড়িয়ে নেবেন।

    ৩) একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। তাতে দুধ, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, মিক্সড হার্বস ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে।

    ৪) এবার অন্য একটি বাটিতে মাছের টুকরো, লেবুর রস, ব্রেড ক্রাম্বস, গলানো চিজ, লবণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। তাতে ডিমের মিশ্রণটা ঢেলে আরও একবার ভাল করে মাখিয়ে নিন। এতে গলানো মাখনও দেবেন।

    ৫) একটা বেকিং ট্রে-তে মাখন ব্রাশ করে নিন। এতে মাছের মিশ্রণটা পুরোটা ঢেলে ছড়িয়ে দিন। একেবারে সমান করে দেবেন। ওপরে গ্রেট করা চিজ ও ব্রেড ক্রাম্বস ছড়িয়ে দেবেন।

    ৬) মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ১০-১২ মিনিট বেক করে নিন। তারপর ছোটো ছোটো পিস করে কেটে পরিবেশন করুন বেকড ফিস পুডিং।

    এন-কে

  • রেড ওয়াইনে জব্দ হবে ডায়াবেটিস?

    রেড ওয়াইনে জব্দ হবে ডায়াবেটিস?

    অনেকেই মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন। এদের মধ্যে কারও ঝোঁক বেশি, কারও কম। তবে সাধারণত বলা হয় মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, ওয়াইন খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে। রেড ওয়াইনে থাকে ‘পলিফেনল’, যা হৃদ‌যন্ত্র ভাল রাখে।

    শোনা যেত, প্রতিদিন একটা আপেল খেলে অনেক অসুখ আপনার থেকে দূরে থাকবে। এমনটাই প্রচলিত ধারণা। কিন্তু রোজ এক গ্লাস ওয়াইন খেলে? পরিমিত মাত্রায় রেড ওয়াইন খাওয়া কেন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?

    চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর-

    প্রতিদিন সামন্য মাত্রায় রেড ওয়াইন খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রিওজা-স্টাইল রেড ওয়াইন কোলেস্টেরল কমানোর জন্য বেশ জনপ্রিয়।

    হৃদ‌ যন্ত্রের খেয়াল রাখতে চাইলে ওয়াইন খেতেই পারেন। শরীরর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকেলে হৃদ‌ যন্ত্রও ভাল থাকে। শরীরে রক্ত প্রবাহ সচল রাখতে সাহায্য করে রেড ওয়াইন।

    আঙুর থেকে তৈরি হয় রেড ওয়াইন। আঙুরের খোসায় রেসভেরাট্রল নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত তিন মাস ধরে ২৫০ মিলিলিটার রেড ওয়াই খেয়েছেন, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমেছে।

    প্রতিদিন এক গ্লাস করে ওয়াইন পান করলে অন্যের চোখে যে কেউই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওয়াইন খাওয়া ত্বকের জন্যও ভাল।

    ইদানীং বেশির ভাগ মানুষই মানসিক অবসাদে ভোগেন। ওয়াইন খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। বেশ কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ওয়াইন খেলে নাকি দীর্ঘজীবী হওয়া যায়।

    এন-কে

  • বেগুনের ঔষধি গুণ জানলে অবাক হবেন

    বেগুনের ঔষধি গুণ জানলে অবাক হবেন

    বেগুনের ইংরেজি প্রতিশব্দ এগপ্লান্ট। এগ বা ডিমের মতোই নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সবজিটি। নাম বেগুন হলেও গুণের যেন কমতি নেই এই খাবারটির।

    বেগুন ভাজা, যেকোনো তরকারি তৈরি কিংবা মাছ রান্না করতে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে এই প্রয়োজনীয় সবজিটি। এটি রান্না করা তরকারিকে আরও সুস্বাদু করে তোলে।

    যদি অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে, তবে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন এই সবজি। কেননা, আয়ুর্বেদশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কাজ করে বেগুন।

    যেমন, ডায়েটে নিয়মিত বেগুন থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই গাছের শিকড় কাজে লাগে হাঁপানি রোগীদের চিকিৎসায়।

    যাদের ডায়াবেটিস নেই, তারা রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে এই সবজিটিকে প্রতিদিনের খাবারে ঠাঁই দিতে পারেন। বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবার। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি।

    আপনার শরীরের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে কিংবা ওজন কমাতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন বেগুন। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম। তাই এ খাবার হজম হতে দেরি হয়।

    খাবার হজম হতে দেরি হওয়ায় খিদেও অনেকটা কমে আসবে আপনার। শরীরকে ফিট রাখতেও তাই প্রতিদিন খেতে পারেন বেগুন।

    নিয়মিত বেগুন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। চোখ, দাঁত, হাড়ের সুরক্ষায়, ক্ষতস্থান শুকাতে, মুখের ঘা প্রতিরোধ করতে কিংবা রক্তশূন্যতা এবং অনিদ্রা দূর করতে বেগুন একটি আদর্শ খাবার।

    শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে বেগুন কার্যকর। তাই বেগুনের সব পুষ্টি পেতে তরকারি বা ভাজা রান্না না করে ভর্তা হিসেবে খেতে পারেন এই উপকারী সবজিটি।

    এন-কে

  • চিনি যেভাবে ব্রেইনের ক্ষতি করে

    চিনি যেভাবে ব্রেইনের ক্ষতি করে

    অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ধীরে ধীরে একটি এডিকশনে রূপ নিচ্ছে। চা, কফি কিংবা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বা ভাবনাটি তৈরি হয় মস্তিষ্কে। মানুষের ব্রেইনে থাকা অসংখ্য নিউরনের পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়াকে বলে নিউরোপ্লাস্টিসিটি।

    যখন অতিরিক্ত চিনি বা ফ্রুকটোজজাতীয় খাবার খাওয়া হয়, তখন মস্তিষ্কে সেই নিউরনের পুনর্বিন্যাসও ইঙ্গিত দেয় বেশি বেশি মিষ্টি বা চিনি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। ফলে আস্তে আস্তে এটি একটি এডিকশন তৈরি করে।

    যেহেতু চিনি স্বাদ বাড়ানোর কাজটি করে, তাই ব্রেইনে প্রি ফ্রন্টাল কর্টেক্সে ইনহিবিটারী নিউরন সিদ্ধান্ত নেয় ডায়েট বা ব্যায়াম না করে উল্টো বেশি বেশি মিষ্টি খাওয়ার। ফলে দেহে ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক ইউসিএলএ সমীক্ষা অনুসারে চিনি ব্রেইনে ফ্রি রেডিক্যাল গঠন করে। যেটি মনোযোগ ও শেখার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটায়। স্মৃতিশক্তি খারাপ করাসহ মস্তিষ্কের ঘনত্বের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

    মেমরি রিসেপ্টরগুলোও ব্লক করে দেয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, চিনি মস্তিষ্কে আলফা ডেলটা ও থেটা ব্রেইন ওয়েভ বাড়িয়ে দিয়ে স্নায়বিক ভারসাম্য নষ্ট করে, ব্রেইনের মেসোলিম্বিক ডোপামিন সিস্টেমের স্তর উঁচু করে দেহের ভারসাম্য নষ্ট করে।

    চিনি মেজাজেরও পরিবর্তন ঘটায়। ব্রেইন ডেমেজ, মাইগ্রেন, মস্তিষ্কের নিউরন, কোষ এবং উন্নতি বন্ধ করাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতি করছে এই চিনি। তবে আবার একেবারেই চিনি খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়, বরং অল্প পরিমাণেই খাওয়া শ্রেয়।

    এন-কে

  • পিঁয়াজের খোসা ফেলে দেবেন না, বরং কাজে লাগান এভাবে, রইল টিপস

    পিঁয়াজের খোসা ফেলে দেবেন না, বরং কাজে লাগান এভাবে, রইল টিপস

    আসলে কিছুই ফেলা যায় না। ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে, ফেলে দেওয়া জিনিস থেকেও লাভ পাওয়া যায়। যেমন, পিঁয়াজের খোসা!

    ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। পিঁয়াজ কেটে, তার খোসাগুলো টুক করে আমরা ফেলে দিই। কিন্তু জানেন, এই খোসা কত কাজে লাগতে পারে?

    ১) অনেকেই বাজার চলতি প্রসাধনি দিয়ে চুলে কলপ করেন। বাজার থেকে কেনা হেয়ারকালার ব্যবহার না করে পিঁয়াজের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি শুকনো লোহার কড়াইতে পিঁয়াজের খোসাগুলি নিয়ে অল্প আঁচে সেঁকে নিন। একেবারে কালো হওয়া পর্যন্ত গরম করুন। ভাজা হয়ে এলে খোসা একেবারে গুঁড়ো করে নিন। এই গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ নারকেল তেল অথবা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কলপ।

    ২) আজকাল অনেকেই অনিদ্রায় সমস্যায় ভোগেন। ঘুমের ওষুধ না খেয়ে পিঁয়াজের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। পিঁয়াজের খোসায় থাকে এল-ট্রিপটোফ্যান নামক এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি অনিদ্রা কাটাতে সহায়তা করে বলে মনে করেন অনেকে। কয়েকটি পিঁয়াজের খোসা গরম পানিতে ফুটিয়ে তা চায়ের মতো করে পান করে নিন। দেখবেন সমস্যা দূর হবে।

    ৩) যারা বাগান করতে পছন্দ করেন তারা কিন্তু সার তৈরির জন্য অনায়াসে পিঁয়াজের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। সার হিসাবেও দারুণ কার্যকর পেঁয়াজের খোসা। সরাসরি গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিতে পারেন পেঁয়াজের খোসা। তা ছাড়াও অনেক সময়ে ছাদ-বাগানের গাছের মধ্যে পোকা ধরে যায়। এই পোকা দূর করতে দারুণ কাজ করে পিঁয়াজের খোসা।

    এন-কে

  • দীর্ঘক্ষণ সুরভিত থাকতে যে উপায়ে ব্যবহার করবেন সুগন্ধি

    দীর্ঘক্ষণ সুরভিত থাকতে যে উপায়ে ব্যবহার করবেন সুগন্ধি

    সুগন্ধির একটি অদ্ভুত ক্ষমতা আছে, মন ভালো রাখার ক্ষমতা। কাজের চাপের মধ্যেও সারাদিন ফ্রেশ থাকতে, কনফিডেন্ট থাকতে পারফিউম ভীষণই সাহায্য করে। তবে তার জন্য জানতে হবে ব্যবহার পদ্ধতি।

    পারফিউমের সুগন্ধ আমাদের যেমন ফ্রেশ রাখে তেমনই ঘামের দুর্গন্ধ দূরে রেখে কনফিডেন্স জোগায়। ঘামের গন্ধ যেহেতু চাপা পড়ে যায় সুগন্ধির আড়ালে সেহেতু অনেকের মাঝে আমাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয় না। তাই অধিকাংশ মানুষই কাজে বেরোনোর আগে পারফিউম ব্যবহার করে থাকেন।

    কিন্তু এই সুগন্ধ সারাদিন কী করে টিকবে তা অনেকেই জানেন না। কিছু সহজ টিপস ফলো করলেই সারাদিন এই সুগন্ধির সুগন্ধ আপনার সঙ্গে থাকবে এবং কনফিডেন্স জোগাবে। আর এই দুনিয়ায় এমন মানুষ খুব কমই আছে যারা পারফিউম পছন্দ করেন না। এক যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের কথা আলাদা।

    চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন উপায়ে পারফিউম ব্যবহার করলে সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে-

    গোসল করে বেরিয়েই সুগন্ধি ব্যবহার করলে তার গন্ধ অনেকক্ষণ থাকে, কারণ এই সময় আমাদের লোমকূপ খোলা থাকে। ভেজা ত্বক বেশিক্ষণ পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখে। তাই গোসল করে বেরিয়েই সুগন্ধি ছড়ান গায়ে।

    সুগন্ধি সবসময় পালস পয়েন্টে ব্যবহার করুন। কারণ এই জায়গাগুলো সবসময় উষ্ণ থাকে এবং অনেকক্ষণ ধরে এখান থেকে সুগন্ধ বের হয়।

    কব্জিতে পারফিউম দেওয়ার পর কখনই সেটা ঘষবেন না। অনেকেই এটা করে থাকেন, কিন্তু এটা আদতে একটি ভুল অভ্যাস। এভাবে পারফিউম ঘষলে তার গঠন ভেঙে যায়। সঠিক গন্ধ পাওয়া যায় না। এবং সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই পারফিউম লাগানোর পর কখনই সেটা ঘষবেন না।

    চুল অনেকক্ষণ সুগন্ধ ধরে রাখতে পারে। তাই চুলে সামান্য পারফিউম স্প্রে করুন। এতে পারফিউমের সুগন্ধ আপনার গায়ে থাকবে।

    এন-কে

  • আনারস দিয়ে বানিয়ে ফেলুন কেক

    আনারস দিয়ে বানিয়ে ফেলুন কেক

    পাইন্যাপেল ফ্লেভারের কেক তো খেয়েছেন। এবার আসল আনারসের কেক বানিয়ে ফেলুন। তাও বাড়িতে।

    আনারস ফল হিসেবে তো খাওয়াই যায় এমনকি কেক তৈরিও সম্ভব। আজকে আপনাদের জন্য আনারসের কেক নিয়ে আসা হয়েছে। পাইন্যাপেল ফ্লেভারের কেক তো খেয়েছেন। এবার আসল আনারসের কেক বানিয়ে ফেলুন। তাও বাড়িতে।

    আনারসের কেক তৈরি করতে যে যে উপকরণ লাগবে-

    আনারস ২টি (স্লাইস করে কাটা), ময়দা আধ কাপ, মাখন অথবা তেল আধ কাপ, চিনি আধ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ চা-চামচ, ডিম ২টি, বেকিং পাউডার আধ চা-চামচ এবং চিনি আধ কাপ।

    আনারসের কেক তৈরি করার পদ্ধতি-

    আনারস সেদ্ধ করে পানি ছেঁকে নিন। মাখন, চিনি ও ডিমের সঙ্গে ময়দা ও অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে কেক তৈরির ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। এবার চিনি গলিয়ে ক্যারামেল তৈরি করুন। কেক মোল্ডে ক্যারামেল মিশিয়ে তার উপর আনারসের টুকরোগুলো দিতে হবে। ওভেনে ১৭০ থেকে ১৮০ ডিগ্রিতে ৩০-৩৫ মিনিট ধরে বেক করে নিন। হয়ে গেলে আনমোল্ড করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিচের দিকটা উপরে থাকবে। তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে ফ্রিজে রাখতে হবে। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন। বাড়িতে অনেক আনারস জমে গেলে সহজেই কেক বানিয়ে চমকে দিন পরিবারের ছোট থেকে বড় সকলকে।

    এন-কে

  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে `হেয়ার স্ট্রেট` করতে চান? কাজে লাগবে মিল্ক প্যাক

    ঘরোয়া পদ্ধতিতে `হেয়ার স্ট্রেট` করতে চান? কাজে লাগবে মিল্ক প্যাক

    ত্বকের পরিচর্যায় কাঁচা দুধ যে নানা ভাবে কাজে লাগে, সেকথা অনেকেরই জানা। তবে চুলের পরিচর্যাতেও সমানতালে কাজে লাগে দুধ। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থেকে শুরু করে রুক্ষ এবং শুষ্ক ভাব দূর করতেও দুধের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেট অর্থাৎ হেয়ার স্ট্রেটনিংস করতে চাইলে দুধের সাহায্যে তৈরি করে নিতে পারেন হেয়ার প্যাক।

    এর সাহায্যেই হবে বাজিমাত। কীভাবে এই প্যাক তৈরি করবেন, কী কী উপকরণ প্রয়োজন, কীভাবে চুলে লাগাবেন- সবকিছুই জেনে নিন সবিস্তারে।

    হেয়ার প্যাক- কাঁচা দুধের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর সেটা ফ্রিজে রেখে দিন অন্তত এক ঘণ্টা। কাঁচা তরল দুধের পরিবর্তে গুঁড়ো দুধ কিংবা নারকেলের দুধও ব্যবহার করতে পারেন। একই উপকার হবে। একটু বেশি উপকার পেতে হলে একটা কলা পেস্ট করে এই মিশ্রণে মিশিয়ে নিতে পারেন।

    কীভাবে চুলে লাগাবেন- অতি অবশ্যই গোসলের আগে এই হেয়ার প্যাক লাগাতে হবে। স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে এই মিশ্রণ বা প্যাক বেশি লাগাবেন না। মূলত এই প্যাক লাগাতে হবে চুলে লেংথ পোরশন বা লম্বা অংশে। আলতো হাতে একটু সময় নিয়ে লাগাতে হবে হেয়ার প্যাক। তাড়াহুড়ো করে ঘষে ঘষে লাগাতে যাবেন না। তার ফলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে সমস্যা বাড়তে পারে। সারা চুলে এই হোমমেড বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি হেয়ার প্যাক লাগানো হয়ে গেলে তা শুকোতে দিন। অন্তত আধঘণ্টা চুলে এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। এরপর চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়ার পালা।

    চুল কীভাবে ধোবেন- নিয়মিত যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়েই পরিষ্কার করে চুল ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে দু’বার ভাল করে শ্যাম্পু করে নেবেন। চুল ধোয়ার সময় মনে রাখবেন হেয়ার প্যাক যেন একটুও চুলে লেগে না থাকে। তাই খুব সাবধানে সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে চুল পরিষ্কার করা প্রয়োজন। চুল শ্যাম্পু করে ধোয়ার সময় হাল্কা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে তাড়াতাড়ি হেয়ার প্যাক চুল থেকে উঠে যাবে।

    এই পদ্ধতিতে বাড়িতে হেয়ার প্যাক বানিয়ে কয়েক সপ্তাহ টানা ব্যবহার করলেই আগের সঙ্গে চুলের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন এই হেয়া প্যাক চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুল ধুয়ে নেওয়ার পর মোটা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিলে বুঝতে পারবেন চুল কতটা নরম, মোলায়েম এবং সিল্কি হয়ে গিয়েছে।

    এন-কে

  • পর্যাপ্ত ঘুমে কমবে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা

    পর্যাপ্ত ঘুমে কমবে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা

    মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঘুম কম হলে দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক জটিলতা। এর মধ্যে হৃদ্‌রোগ অন্যতম।

    ২০২২ সালের ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিয়োলজি কংগ্রেস’-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে- পর্যাপ্ত ঘুম হলে এড়ানো যায় প্রায় ৭০ শতাংশ হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা।

    যথাযথ ঘুম না হলে স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায় বলেও দাবি করা হয়েছে সেই গবেষণায়।

    জানা গেছে, ‘দ্য ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চ’–এর এক দল বিজ্ঞানীর করা এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৭,২০০ জন। অংশগ্রহণকারীদের ৬২ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। গড় বয়স ছিল ৫৯ বছর। গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে কারও কোনও হৃদ্‌রোগের সমস্যা ছিল না। গবেষকরা ১০ বছর ধরে প্রতি দু’বছর অন্তর পরীক্ষা করেন অংশগ্রহণকারীদের।

    কতটা ঘুম হচ্ছে, তার ভিত্তিতে যারা গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের পাঁচ ভাগে ভাগ করেন গবেষকরা।

    গবেষণার ফল বলছে, ঘুমের নিরিখে যারা সবচেয়ে খারাপ ধাপে ছিলেন তাদের তুলনায় সবচেয়ে ভাল ধাপে থাকা ব্যক্তিদের হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রায় ৭৫ শতাংশ কম।

    সেখান থেকেই উপলব্ধ তথ্য জানাচ্ছে, সকলেই যদি পর্যাপ্ত ঘুমাতো, তবে ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে নতুন করে স্ট্রোক ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা কমত বলেও গবেষকদের মত।

    এন-কে