Category: লাইফস্টাইল

  • সকালে খাবার না খেলে বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

    সকালে খাবার না খেলে বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

    রাতে অনেকে ঘুমান দেরিতে, এ কারণে সকালে দেরিতে উঠেন ঘুম থেকে। ফলে তড়িঘড়ি করে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তারা। এতে সকালের নাশতা করা আর হয় ওঠে না। কিন্তু এর ফলে ডেকে আনছেন বিপদ।

    এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে হাঁটাহাঁটি করলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি, এই অভ্যাস টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়।

    যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, দিনের মধ্যে খাওয়ার সময়টি যারা মাত্র ১০ ঘণ্টা বা তার কম সময়ে বেঁধে ফেলেছেন (সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খাওয়া/সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাওয়া) এবং বাকি সময়ে কোনো খাবার খান না, তাদের রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কাজেই তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রায় ১০ হাজার পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ওপর সমীক্ষাটি করা হয়।

    তাদের গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যারা সকালে সাড়ে ৮টার আগে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করেন, অন্যদের তুলনায় তাদের রক্তে শর্করার মাত্রাও কম থাকে।

    গবেষকরা বলছেন, সকাল সাড়ে ৮টার আগে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করলে মিলবে অনেক উপকার। ইনসুলিনের মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

    কাজেই শরীর সুস্থ রাখতে সকালে কী খাচ্ছেন, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন তাও ভীষণ জরুরি।

    পুষ্টিবিদরা সাধারণত সকালে ভারী নাশতা করার পরমার্শ দেন। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে সুজি, ডালিয়া, ওটস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডিমও রাখতে পারেন সকালের খাদ্য তালিকায়।

    এন-কে

  • সকালের নাস্তায় রোজ রুটি-পাউরুটি? এর ফলে সমস্যা হতে পারে

    সকালের নাস্তায় রোজ রুটি-পাউরুটি? এর ফলে সমস্যা হতে পারে

    পুষ্টিবিদরা সকালের নাস্তায় কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে নিষেধ করছেন। এই নিষেধাজ্ঞার কারণ কী?

    তাড়াহুড়ো থাকলে অনেকেই নাস্তায় আলাদা করে কিছু বানান না। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেয়ে নেন। ছুটির দিনে আবার সকালের নাস্তায় অনেকেরই রুটি থাকে। কর্নফ্লেক্স, রুটি, পাউরুটি এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি।

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত এমন খাবার খালি পেটে না খাওয়াই ভাল। রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলেন। সব ক্ষেত্রে তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ শরীরে কার্বোহাইড্রেটেরও দরকার আছে। তাই বলে দিনের প্রথম খাবারটা কার্বোহাইড্রেটযুক্ত না হওয়াই ভাল। কার্বোহাইড্রেট ডোপামিন, কর্টিসলের মতো ‘ফিল গুড’ হরমোন ক্ষরণেও প্রভাব ফেলে। ফলে সারা দিন মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার চেয়ে সকালের নাস্তায় রাখুন প্রোটিনযুক্ত খাবার। সারা দিন শরীর থাকবে চনমনে ও চাঙ্গা।

    ১) সকালে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে পেটের মেদ বাড়তে পারে।

    ২) প্রোটিনের মতো দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে পারে না কার্বোহাইড্রেট। বার বার খিদে পায়। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

    ৩) সকালের খাবারের উপর নির্ভর করে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। সারা দিন চনমনে থাকতে চাইলে দিনের শুরুটা যেন কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার দিয়ে না হয়।

    ৪) গ্যাসের সমস্যা থাকলে ভুলেও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার সকালে খাবেন না। এতে গ্যাস, বদহজমের মতো অসুস্থতা আরও বেড়ে যেতে পারে।

    সুস্থ-সবল থাকতে সকালের নাস্তা কেমন হওয়া জরুরি?

    ১) সকাল শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে।

    ২) নাস্তায় রাখুন ডিম সেদ্ধ, কাঠবাদাম, মৌসুমি ফলের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার।

    ৩) ভারী কোনও নাস্তা খেতে চাইলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। চিয়া বীজের পুডিং, সব্জি দিয়ে তৈরি ওটস ইত্যাদি।

    এন-কে

  • হাঁটু, কোমর, ঘাড়ব্যথা দূর করতে অব্যর্থ ৭ উপায়

    হাঁটু, কোমর, ঘাড়ব্যথা দূর করতে অব্যর্থ ৭ উপায়

    দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনধারায় এখন শুধু বয়স বাড়লেই নয়, কম বয়সেও হাঁটু, কোমর ও ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই হাত বাড়ান ওষুধের দিকে। তবে ওষুধ না খেয়ে লাইফস্টাইলে একটু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন অনেক সহজভাবেই।

    মনে রাখবেন, শরীরের যেকোনো ব্যথাই এক দিনে তৈরি হয় না। দীর্ঘদিনের কিছু ভুল অভ্যাসের জন্যই এমন সমস্যার সম্মুখীন হন আপনি।

    তাই আসুন জেনে নিই, হাঁটু, কোমর, ঘাড়ব্যথা দূর করার কিছু সহজ উপায়, যা প্রয়োগে মিনিটের মধ্যেই ব্যথার যন্ত্রণা গায়েব হয়ে যাবে।

    ১. প্রথমেই কোন চোট পেয়ে ব্যথা বেড়েছে, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে নাকি আর্থ্রাইটিস তা বোঝার চেষ্টা করুন। ব্যথার সঠিক কারণ খুঁজে পেলে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

    ২. যদি বেকায়দায় লেগে গিয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়, তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো বিশ্রাম। আর শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ব্যথার সমস্যা তৈরি হলে অবশ্যই নিয়মিত আধঘণ্টার ব্যায়াম লাইফস্টাইলে যোগ করুন।

    ৩. হাঁটু, কোমর, ঘাড়ব্যথার একটি বড় কারণ হলো দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা। বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা না রাখার কারণেও এমন ব্যথার সমস্যায় আপনি প্রায়ই পড়বেন। তাই চেষ্টা করুন এই বদভ্যাস এড়িয়ে চলতে।

    ৪. হাঁটু ব্যথার একটি বড় কারণ হলো ওজন। শরীরের ভার যত বাড়বে, দেখা দেবে নানান সমস্যাও। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।

    ৫. জুতার সঙ্গে হাঁটু, কোমর, ঘাড়ের ব্যথার যোগসূত্র রয়েছে। তাই চেষ্টা করুন সঠিক মাপের ভালো মানের জুতা পরার।

    ৬. শরীরে ব্যথার কারণ যাই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম পাবেন। তবে কখনোই সরাসরি বরফ দেয়া ঠিক নয়। হয় কোনো আইসপ্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনো কাপড়ে বরফ বেঁধে নেবেন। গরম সেঁক দিতে চাইলে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তারপর দিন। ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেয়ার পর ব্যথার স্থানে মলম লাগিয়ে রাখুন। আরাম পাবেন।

    ৭. ডায়েটে প্রাধান্য দিন প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। সঙ্গে সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল। এতে আপনার শরীরে ব্যথা হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে। পাশাপাশি চেষ্টা করুন, কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে ইচ্ছেমতো ওষুধ বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট না খেতে।

    এন-কে

  • পিৎজায় মাংসের সঙ্গে আনারস, স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা

    পিৎজায় মাংসের সঙ্গে আনারস, স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা

    বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার পিৎজা। এতে মাংসের সাথে আনারসের মিশ্রণের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। পিৎজার জন্মস্থান ইতালি বলছে, এটি একটি হতাশাজনক প্রক্রিয়া। গবেষকরা জানান, গরম করার কারণে আনারসে থাকা বিভিন্ন উপাদান স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

    এক প্রস্থ মোটা গোলাকৃতির রুটির ওপর পনিরের প্রলেপ। তার সাথে টমেটো এবং কখনো কখনো টমেটোর সস। দেশ, কাল, সংস্কৃতি আর রুচি ভেদে যোগ হয় মাংস বা পেঁয়াজ কুচি। নেপোলিটান রন্ধনপ্রণালীর একটি অংশ হওয়া সত্ত্বেও পিৎজা সারা বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়।

    আঠারো বা উনিশ শতকে ইতালির নেপলসে আধুনিক পিৎজার আবির্ভাব। তখনকার দিনে নাম ছিল নেপোলিটান পাই। রাফায়েল এসপোসিটো নামের এক ব্যক্তি প্রথম এই পিৎজা তৈরি করেন।

    সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে, পিৎজায় আনারসের সঙ্গে মাংসের মিশ্রণের টপিং দেয়ার বিষয়টি। পিৎজার আঁতুড়ঘর ইতালি বলছে, পিৎজাতে আনারস ব্যবহার বেশ হতাশাজনক।

    বলা হচ্ছে, পিৎজাতে আনারস ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধের আইনের সমান।

    যদিও খাদ্যরসিকরা বলছেন, আনারসের মিষ্টতা, পনির এবং টমেটো সসের লবণাক্ততার সঙ্গে মাংস যখন একত্রিত হয়, তখন এটির স্বাদকে আরো উপভোগ্য করে তোলে।

    এদিকে, লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি এগ্রিকালচারাল সেন্টারের খাদ্য বিজ্ঞানী ঝিমিন জু জানিয়েছেন, বিষয়টি মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আনারসকে গরম করা হলে, এতে থাকা শর্করা এবং জৈব এসিড মাংসের সাথে মিশে প্রচণ্ড রাসায়নিক বিক্রিয়া তৈরি করে।

    এন-কে

  • দুঃস্বপ্ন দেখেন! এর কারণ কী?

    দুঃস্বপ্ন দেখেন! এর কারণ কী?

    দুঃস্বপ্ন আমাদের জীবনে প্রায় ঘটে থাকে। যা মাঝে মাঝে ভংয়করও বটে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, আচমকাই দুঃস্বপ্নের দাপটে সাধের ঘুম ভাঙ্গে রাতে। এমন তো অনেকের সঙ্গেই ঘটে। কিন্তু, কেন দুঃস্বপ্ন দেখি আমরা? এ বিষয়ে কৌতূহল দীর্ঘ দিনের। তা নিয়ে অনেকের অনেক ধরণের মত রয়েছে। এবার সে তালিকায় নাম লিখিয়েছে আমেরিকার মনোবিদ এবং লেখিকা কারমেন হেরার।

    দুঃস্বপ্ন দেখার আসল কারণ কী? এ বিষয়ে ‘কমিটেড: ফাইন্ডিং লভ অ্যান্ড লয়ালটি থ্রু দ্য সেভেন আর্কিওটাইপস’-এর লেখিকার দাবি, একটি-দু’টি নয়, এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে ছ’টি কারণ।

    চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী-

    দুঃস্বপ্নের কারণ জানানোর আগে স্বপ্নকে বিশ্লেষণ করেছেন হেরা।

    একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ঘুমের মধ্যেও মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশ সজাগ থাকে। এবং মস্তিষ্কের থ্যালামাস, মেডিয়াল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং পস্টেরিয়র সিঙ্গুলেট কর্টেক্স-সহ একাধিক জেগে থাকা অংশের বুননে গড়ে ওঠে স্বপ্ন।”

    হেরার মতে, “কখনও কখনও মস্তিষ্কের এই অংশগুলো নিজেদের মধ্যে যে সঙ্কেত আদানপ্রদান করে, তা নেতিবাচক এবং বেশ বিচলিত করে দেওয়ার মতো হয়।’’

    এর কারণও খোলসা করেছেন হেরা। হেরা আরও বলেন, “মানসিক আঘাত, মাদকসেবন অথবা অন্য কোনও কারণে দুঃস্বপ্নের জন্ম হয়। বস্তুত, গভীর ভাবে ঘুমিয়ে থাকার সময় চোখের দ্রুত নড়াচড়া (চিকিৎসাজগতে যা র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম নামে পরিচিত)-র পর্যায়ে দুঃস্বপ্নের তাড়না হয়।”

    আমেরিকার মনোবিদের মতে, সম্পর্কের অসম্পূর্ণতাও দুঃস্বপ্নকে ডেকে আনে।

    তিনি বলেন, “স্বপ্নের মধ্যে আমাদের অসম্পূর্ণ আবেগগুলি ধরা দেয়। আপনি যদি কোনও সম্পর্কে নিজেকে অপূর্ণ মনে করেন, তা সে যে কারণেই হোক না কেন, তার থেকে দুঃস্বপ্নের জন্ম হতে পারে।”

    হেরার মতে, সম্পর্কে প্রতারিত হওয়া বা নিজেকে পরিত্যাজ্য মনে হলে অথবা সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির জেরে তৈরি হওয়া আবেগের থেকেও দুঃস্বপ্ন দেখা দিতে পারে। এ ধরনের হতাশাজনক অপূর্ণতা এবং ভয় এমন ভাবে মনে চেপে বসে যে সেগুলিই তখন কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দুঃস্বপ্নে রূপান্তরিত হয়।”

    দুঃস্বপ্নের জেরে সাধের ঘুমটি মাঠে মারা গেলে কারই বা ভাল লাগে? হেরার পরামর্শ, “দুঃস্বপ্ন অতিমাত্রায় বিরক্ত করতে থাকলে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের মুখোমুখি হওয়াই ভালো।”

    শুধু কি আবেগের অপূর্ণতা, সঠিক পদ্ধতিতে না ঘুমালেও দুঃস্বপ্ন হানা দিতে পারে বলে মনে করেন হেরা।

    তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়মিত ঘুমের ধাত থাকলে তা আমাদের বিশ্রামে বেশ ব্যাঘাত করতে পারে। বার বার ঘুমের সময় পাল্টানোর জেরেও আমাদের মন উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে পড়ে। অনেকে আবার অনিদ্রায় ভোগেন। এর জেরে স্বপ্নের চরিত্র বদলে গিয়ে তা দুঃস্বপ্নে বদলে যায়।”

    অনিয়মিত ঘুমের পাশাপাশি আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন হেরা।

    তার মতে, “বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, চিৎ হয়ে ঘুমালে তাতে অনিদ্রার উদ্রেক হতে পারে। এমনকি, এতে নাক ডাকার সমস্যা হয়, কখনও বা শ্বাসপ্রশ্বাস এবং ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। এগুলোর পাশাপাশি তা দুঃস্বপ্নকেও ডেকে আনতে পারে।”

    কে না জানে, পেটভরে খাওয়ার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক বেশ গভীর! তবে এর সঙ্গে দুঃস্বপ্নের সম্পর্কের কথা শুনিয়েছেন হেরা।

    তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই আমাদের খাবারদাবারের সঙ্গে স্বপ্নের সম্পর্ক গড়া হয়েছে।”

    হেরার সতর্কবার্তা, খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে গেলে তাতে হানা দিতে পারে দুঃস্বপ্ন।

    তিনি জানান, অনেকেই এটা মানেন যে, রাতে খাওয়ার ঠিক পরেই ঘুমাতে গেলে দুঃস্বপ্ন দেখা দিতে পারে। এটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবেও সত্য। কারণ, খাওয়ার পর দেহের বিপাকক্রিয়া বেড়ে যায়। তাতে রাতে মস্তিষ্কের কাজকর্মও বৃদ্ধি পায়।

    নিত্য দিনের নানা টানাপড়েনে মানসিক চাপ বাড়লেও তা সহজেই দুঃস্বপ্নকে টেনে আনতে পারে। এমনই মনে করেন হেরা। বিষয়টি সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হেরার কথায়, মানসিক চাপ বাড়লে তা উদ্বেগের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দেয়। তাতে অনেক সময় মনে হয় যেন খাদের কিনারে পৌঁছে গিয়েছেন। এর থেকে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা রাগে ফেটে পড়ার মতো মানসিক অবস্থা অথবা মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটতে পারে।

    মানসিক চাপ থেকে জৈবিক ঘড়ির ছন্দও বিগড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হেরা। তিনি জনান, জৈবিক ঘড়ির ছন্দ বিগড়ে গেলে তাতে ঘুমের বারোটা বাজতে দেরি হয় না। সেই সঙ্গে দুঃস্বপ্নের অবতারণাও ঘটে।’’

    হেরার দাবি, “স্বপ্ন হোক বা দুঃস্বপ্ন— সমস্ত কিছুরই উদ্দেশ্য রয়েছে। দুঃস্বপ্নের উৎস কী এবং তা কোন পদ্ধতিতে কাজ করে, তা বুঝে নিতে পারলে আমরা নিরুপদ্রব ঘুমের সন্ধান পেতে পারি।”

    বিজ্ঞানের পথ ধরে দুঃস্বপ্নের কারণ ব্যাখ্যা করলেও এ নিয়ে যে দৈবিক বা অতিপ্রাকৃতিক শক্তির যোগের ভূরি ভূরি তত্ত্ব ছড়িয়ে রয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিতে চান না হেরা।

    তার কথায়, “আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, এমন তত্ত্বও রয়েছে যে, স্বপ্নের মাধ্যমে এই মহাবিশ্ব আপনার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। এর অর্থ এটা নয় যে দুঃস্বপ্ন দেখামাত্রই আপনার জীবনে ক্ষতিকর কিছু ঘটবে। তবে এমন হতে পারে, যে মানুষটিকে আপনি স্বপ্নে দেখেছেন তিনি কোনও দুঃসহ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। অথবা তাঁর যত্ন নিতে হবে। ফলে আপনার প্রিয় মানুষটির ভাল মতো খেয়াল রাখুন।

    এন-কে

  • এই ছয় নিয়মে ঘুম আসবে সহজে

    এই ছয় নিয়মে ঘুম আসবে সহজে

    রাতের ঘুম ঠিকঠাক না হলে সারা দিনটাই মাটি। কাজ করতে বসে হাইয়ের পর হাই উঠছে। মাথা ঝিমঝিম। কাজে মনও নেই। মাথা ফাঁকা। এ অবস্থা যাদেরই হয় তারা বোঝেন। তবে বাড়ি ফিরেই ঘুমিয়ে নেবেন ভাবলেও আবার দেখা যায় যে কে সেই। কিছুতেই ঘুম আসছে না। ঘুম বিশেষজ্ঞরা জানান, এটা একটা অসুখ, যার নাম ইনসোমনিয়া।

    বর্তমানে তুমুল ব্যস্ততার যুগে বিশ্বের বহু মানুষ এ রোগে ভুগছেন। কিন্তু গা করছেন না কেউই। কিন্তু জানেন কি, এই রোগ পুষে রাখলে ক্রমশই আপনার স্মৃতিলোপ পেতে থাকবে, দেখা দেবে আরও নানা শারীরিক জটিলতা? তাই আজই সতর্ক হোন।

    বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীর সুস্থ সতেজ রাখতে দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। কিন্তু আমাদের অনেকেরই তা হয়ে ওঠে না।
    কারণ একাধিক। হতে পারে কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যধিক মানসিক চাপ, কিংবা শারীরিক অসুস্থতা। হতে পারে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও। কিন্তু আগামী দিনে সুস্থতার কথা ভেবে একটা সঠিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলাই যায়। অবলম্বন করতে পারেন এই সহজ ৬টি নিয়ম।

    ১. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমতে যান

    মনে করে একই সময় ওষুধ খাওয়ার মতো, এই ঘুমের অভ্যাসও ওষুধের মতোই কাজ করতে পারে। প্রতিদিন রাত ১১টার মধ্যে আলো নিভিয়ে ঘুমতে যান। সকাল ৭টায় অ্যালার্ম দিয়ে উঠুন।

    ২. ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন

    বেডরুম যেন আলুথালু না থাকে। পরিষ্কার চাদর, বালিশে ঘুমনোর আয়োজন করুন। ঘর একেবারে অন্ধকার বা হালকা আলো আঁধারি থাকুক। কোনোরকম আওয়াজ বা অস্বস্তি যেন বেডরুমে না ঢোকে।

    ৩. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন

    আমাদের শরীরে অনেক বাড়তি শক্তি জমে থাকে। সারাদিন উপযুক্ত পরিশ্রম না হলে সেই শক্তি ক্ষয় হয় না, শরীর ক্লান্ত হয় না। কিন্তু ঘুমনোর জন্য একটু ক্লান্তি যে জরুরি। দিনে যদি অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটেন এবং আধ ঘণ্টা ব্যায়াম, প্রাণায়াম বা যোগাসন করেন তাহলেই কিন্তু রাতে ভালো ঘুম হবে।

    ৪. রাতে শোওয়ার আগে চা-কফি নয়

    চা, কফি কিংবা এনার্জি ড্রিংক অনেক সময়ই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তবে এ ধরনের পানীয় ভীষণ ভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সন্ধ্যার পর এগুলো না খেয়ে বরং হারবাল টি অথবা এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। যা আপনার শরীর থেকে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তিতে চোখের পাতা এক করতে দেবে।

    ৫. ঘুমনোর আগে গ্যাজেটস দূরে রাখুন

    ফোন, ল্যাপটপ নিয়ে আগের মুহূর্ত অবধি নাড়াচাড়া করে গেলে একেবারেই ঘুম আসবে না। ঘুমনোর তোড়জোড় করার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সব রকম গ্যাজেট দূরে সরিয়ে ফেলুন। এগুলো থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন এবং স্ক্রিনলাইট ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

    ৬. যদি একান্তই ঘুম না আসে ওঠে ভালো কিছু করুন

    এগুলো চেষ্টা করার পরও যদি আপনার ঘুম না আসে তবে জোর করে শুয়ে থেকে এপাশ ওপাশ করার দরকার নেই। উঠে এমন কিছু করুন যা আপনাকে শান্তি দেয়, আনন্দে রাখে। হয়তো দু’পাতা বই পড়লেন, একটু গান শুনলেন। কিন্তু বিছানায় শুয়ে থেকে ঘুম আসছে না কেন সেই ভেবে আবার যেন রাত কাবার করে ফেলবেন না। ঘুম ঠিক আসবে। আসবেই।

    এন-কে

  • শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে যে ৬ খাবার!

    শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে যে ৬ খাবার!

    শৈশবেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেক শিশুকে। এ সমস্যায় ভুগতে শুরু করলে শিশুদের মলত্যাগ ভীষণ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এ সমস্যা দেখা দিতে পারে ভুল কিছু খাবার খাওয়ার কারণে।

    এমন সমস্যায় অভিভাবক হিসেবে আপনার জানা প্রয়োজন কোন খাবারগুলো শিশুর পেটে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে উঠতে পারে। আসুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই আজকের আয়োজনে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব শিশু এখনও তরল খাবার খাচ্ছে, তাদের এ সমস্যা দেখা দেয় না। তবে তরল খাবারের সঙ্গে স্বাভাবিক ও শক্ত খাবার যারা খাচ্ছে কিংবা খাওয়া শুরু করেছে, সেসব শিশুর মধ্যেই এ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে শিমুর ডায়েট লিস্ট থেকে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে সেগুলো হলো:

    ১. শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে এমন খাবারের মধ্যে তালিকায় প্রথমে রয়েছে কাঁচকলার নাম। রান্নায় বা যেকোনোভাবে শিশুকে কাঁচকলা খাওয়ার পরিবর্তে পাকা কলা খাওয়ান। পাকা কলা শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।

    ২. কাঁচকলার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণের মধ্যে রয়েছে গাজরের নামও। তাই শিশুকে এই খাবারটি না খাইয়ে খাওয়াতে পারেন কমলার রস।

    ৩. আপেলকে একজন ডাক্তারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তবে শিশু কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগলে আপেল খাওয়ানোর অভ্যাস আপনার শিশুকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। তাই আপেলের পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন নাশপাতি।

    ৪. পনিরে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকায় শিশুর খাওয়ার জন্য এ খাবারটিও উপযোগী নয়।

    ৫. কম ফাইবার থাকায় সাদা পাউরুটিও শিশুর জন্য নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।

    ৬. দই একটি পুষ্টিকর খাবার। এ খাবারটি যেকোনো খাবারকে দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই দই খাবারের ওপর একটি আঠালো প্রভাব ফেলে, যা শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অভিভাবক হিসেবে এই খাবারগুলো থেকে আপনার আদরের শিশুকে দূরে রাখুন।

    এন-কে

  • ডায়াবেটিসে কতটুকু আনারস খাওয়া নিরাপদ

    ডায়াবেটিসে কতটুকু আনারস খাওয়া নিরাপদ

    দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জীবনযাত্রার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার অভাব এই রোগের মূল কারণ। তাই ডায়াবেটিসে অবশ্যই ওষুধের পাশাপাশি নজর দিতে হবে ডায়েট লিস্টেও।

    ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় অনেক খাবার রাখা যায় না। আবার কিছু খাবার না রাখলেই নয়। তেমনই একটি খাবার হলো আনারস।

    প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, ফাইবার সমৃদ্ধ আনারস হজমশক্তির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে আনারস ফলটিকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে তার মানে এই নয়, ফলটিকে একেবারে বাদ দিতে হবে।

    চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয়ে থাকে, ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআইয়ের পরিমাণ বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এ হিসেবে আনারসে জিআইয়ের পরিমাণ হলো ৫১ থেকে ৭৩ এর মধ্যে। তাই আনারসের পুষ্টিগুণ পেতে ডায়াবেটিস রোগীরা আনারস খেতে পারেন।

    নিয়মিত আনারস খেলে শরীরে কিছু বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ দমন করতে কার্যকরী।

    এছাড়া এই কমলা রঙের ফলটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আনারসে থাকা ফাইবার উপাদানটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    তবে আনারস থেকে শুধু এর উপকারিতা পেতে খেয়াল রাখবেন দৈনিক আনারস খাওয়ার পরিমাণ যেন ১০০ গ্রামের বেশি না হয়। কারণ ১০০ গ্রামের বেশি পরিমাণে আনারস ডায়াবেটিস রোগী খেলে আনারসের উপকারিতা নয়, বরং সে রোগীর ক্ষেত্রে অপকারিতাই বেশি হবে।

    এন-কে

  • যে সমস্যা থাকলে পাউরুটি কম খাবেন

    যে সমস্যা থাকলে পাউরুটি কম খাবেন

    এখন নানা স্বাদের পাউরুটি পাওয়াও যায়। পাউরুটি দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় রকমারি টিফিন। বাড়ির শিশুরাও তাই খুশি থাকে এই খাবার পেয়ে। কিন্তু এই খাবারটিই অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

    সকালের নাস্তায় পাউরুটি খাওয়ার চল রয়েছে বহু বাড়িতেই। রকমারি পাউরুটি কিনে রাখলে আর নাস্তা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয় না। এখন নানা স্বাদের পাউরুটি পাওয়াও যায়। পাউরুটি দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় রকমারি টিফিন। বাড়ির শিশুরাও তাই খুশি থাকে এই খাবার পেয়ে। কিন্তু এই খাবারটিই অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কী ধরনের অসুখ থাকলে পাউরুটি কম খাবেন?

    ১) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই খাবার একটু ভেবে খাওয়াই জরুরি। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে একটি স্লাইস পাউরুটিও রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ এই খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। একটি স্লাইস সাদা পাউরুটিতে থাকে ১৩০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ডায়েটে পাউরুটি না রাখাই ভালো।

    ২) ডায়াবেটিস থাকলেও এই খাবার ডায়েটে রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। অনেক ধরনের পাউরুটিতেই চিনির পরিমাণ খুব বেশি থাকে। সাদা পাউরুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। তাই এটি খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেশ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের পাউরুটি খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভালো।

    ৩) খুব বেশি তেল-মশলা না খেয়েও অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। নেপথ্যে থাকতে পারে পাউরুটি। হজমের সমস্যা থাকলে ভাবতে হবে কতটা পাউরুটি খাবেন। কারণ পাউরুটিতে অনেকেরই অম্বল হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। সাদা পাউরুটি সোডিয়ামে ভরপুর। তাই একসঙ্গে অনেক পাউরুটি খেয়ে নিলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।

    ৪) এ খাবারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা অনেকটাই। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলেও ভাবতে হবে সপ্তাহে কতটা পাউরুটি খাবেন। একটি স্লাইস পাউরুটিও অনেকটা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

    এন-কে

  • ব্যথা, যন্ত্রণা, ক্লান্তি সবই কমবে এক চুটকিতে!

    ব্যথা, যন্ত্রণা, ক্লান্তি সবই কমবে এক চুটকিতে!

    ব্যস্ত জীবনে সময়ের সঙ্গে দ্রুত ছুটে চলতে হয় সবারই। তাই দিনের শেষে শরীরে ব্যথা, যন্ত্রণা যেমন অনুভূত হয়, তেমনি নেমে আসে ক্লান্তিবোধও। তবে এর সমাধানের জন্য কোনো ওষুধ নয়, বেছে নিতে পারেন ঘরের তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানকে।

    প্রতিদিনের এই ব্যথা, যন্ত্রণাকে ঠিকমতো গুরুত্ব না দিলে কিংবা এর প্রতিকারে মনোযোগী না হলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ।

    তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে নিত্যনৈমিত্তিক এই ছোট ছোট অসুস্থতাকে গুরুত্ব দিন। পাশাপাশি এর সমাধান করতে চেষ্টা করুন। এর জন্য প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর হাত বাড়াতে পারেন।

    শরীরের যেকোনো ব্যথা কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হলো হলুদ। রান্নাঘরে হলুদ গুঁড়ো সবারই থাকে। সেই হলুদকেই এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন।

    এর জন্য গরম ভাতের সঙ্গে ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো আর সরিষা তেল মিশিয়ে খেতে পারেন। চেষ্টা করবেন সকালে খেতে। এতে বেশি উপকার মিলবে।

    এ ছাড়া তরল দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও খেতে পারেন। ভাবছেন, হলুদের সঙ্গে ব্যথা, যন্ত্রণা বা ক্লান্তি দূর হওয়ার সম্পর্ক কি? তাই তো।

    আসলে হলুদে রয়েছে অ্যান্টিইফ্লেমেটরি উপাদান। আর এটিই আমাদের শরীরে ব্যথা, যন্ত্রণাকে কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দূর করে ক্লান্তিবোধও।

    অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পেতে হলুদের পাশাপাশি খেতে পারেন আদাও। রান্নায় কিংবা চা তৈরির জন্য আদার ব্যবহার বাড়িয়ে দিন। দেখবেন আপনার এই ছোট্ট প্রয়াসেই পরিবারের সব সদস্যই রয়েছে ব্যথামুক্ত। আর ক্লান্তিবোধও তাদের কাবু করতে পারবে না এতটুকুও।

    ব্যথা, যন্ত্রণা, ক্লান্তিবোধ কমাতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে পানির ঘাটতি হলেই আপনার শরীরে ব্যথা, যন্ত্রণা অনুভূত হয়। আপনাকে ঘিরে ধরে ক্লান্তিবোধও। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন।

    এ ছাড়া শরীরে যেকোনো ব্যথা, যন্ত্রণা কিংবা ক্লান্তিবোধ কমাতে ম্যাসাজের কিন্তু কোনো বিকল্প নেই। ম্যাসাজে শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ফলে শরীরে কোনো অবসাদ বা ব্যথা থাকলে অবশ্যই নিয়মিত শরীরের বিভিন্ন অংশ ম্যাসাজ করুন।

    এন-কে

  • বিচ ফ্যাশনে বেতের ব্যবহার!

    বিচ ফ্যাশনে বেতের ব্যবহার!

    ফ্যাশন কিংবা স্টাইলের সবকিছুই নির্ভর করে আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর। আপনি কোথায় যাচ্ছেন এ ক্ষেত্রে এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দিনের কোন সময় ঘুরতে যাচ্ছেন সেটাও বেশ বিবেচ্য বিষয়।

    যারা ভ্রমণ করতে বেশি ভালোবাসে তারা নিশ্চয়ই সমুদ্র কিংবা পাহাড় ভ্রমণে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন? সমুদ্র এবং পাহাড় এই দুই স্থানে ঘুরতে যেতে চাইলে যে কোনো ফ্যাশন লুকই আপনি নিতে পারবেন না।

    স্থানভেদে পাহাড়, অরণ্য কিংবা সাগরে ভ্রমণে রয়েছে আলাদা আলাদা ফ্যাশন ও স্টাইল। আজ আপনাদের তাই জানাব সমুদ্র বিচে আপনার ফ্যাশন ও স্টাইল কী রকম হবে সে বিষয়ে।

    সমুদ্রসৈকতে কিংবা বিচে ঘুরতে গেলে আপনার ফ্যাশনে অবশ্যই থাকতে হবে সানগ্লাস, বড় টুপি, স্লিপার আর মাঝারি আকারের ব্যাগ।

    এসবই বেছে নিতে পারেন বেতের তৈরি। কেননা হাল ফ্যাশনের হাওয়ায় সমুদ্রসৈকতে কিংবা বিচে বেতের তৈরি টুপি, ব্যাগ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ফ্যাশন বোদ্ধারা বলছেন, সাগরপাড়ে ঘুরতে গেলে পানির পরিবেশে বেত কিংবা পাটের তৈরি টুপি এবং ব্যাগ সবচেয়ে বেশি উপযোগী এবং মানানসই।

    পছন্দের জায়গায় নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পোশাকে আঁটসাঁট না রেখে বেছে নিতে পারেন ঢিলেঢালা ভাব। আর আরাম পেতে জুতার পরিবর্তে স্লিপার বেছে নিলে আপনার শোভা কমবে না বরং বেড়ে যাবে আরও কয়েকগুণ।

    বাড়তি সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিন, ছাতা সঙ্গে রাখতে পারেন। সবকিছু সঙ্গে নিয়ে একবার বিচে যাত্রা শুরু করলে বেশ বোহেমিয়ান একটা লুক আসবে আপনার মধ্যে।

    এন-কে

  • রান্না বা রূপচর্চায় নয়, ময়দা দিয়ে ঝকঝকে হবে ঘরও! কীভাবে?

    রান্না বা রূপচর্চায় নয়, ময়দা দিয়ে ঝকঝকে হবে ঘরও! কীভাবে?

    যেকোনও ভাজার ক্ষেত্রে ব্যাটার হিসেবে দারুণ কাজ করে ময়দা। এ তথ্য সবারই জানা। অন্যদিকে আবার ঝটপট মুখে জেল্লা আনতে, রোদে পোড়া ত্বক দূর করতে দারুণ কাজ করে ময়দার ফেসপ্যাক। কিন্তু এই ময়দা ঘরের অন্যান্য কাজেও আসে। অর্থাৎ ঘরের মেঝে, রান্নাঘরের সিঙ্ক, বেসিন, এমনকী, জানলার কাচ, আয়না পরিষ্কারেও দারুণ কাজ দেয় ময়দা। কীভাবে?

    ১) ওভেন তেলতেলে হয়ে উঠেছে? সাবান বা অন্য কোনও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করার দরকার নেই। বরং অল্প পরিমাণ ময়দা পানিতে মিশিয়ে নিয়ে ওভেনের সারা গায়ে মাখিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর একটি শুকনো কাপড় দিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিলেই দেখবেন তেলতেলেভাব একেবারে দূর হয়ে যাবে।

    ২) তবে শুধুই ওভেনের তেলতেলেভাব নয়। সিঙ্ক নোংরা হয়ে গেলে, কিংবা কালচে দাগ পড়ে গেলে, কিছুটা পরিমাণ ময়দা ঢেলে ছিটিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে শুকনো কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে নিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে আপনার সিঙ্ক।

    ৩) রান্নাঘরে আরশোলার উৎপাত বেড়েছে? ময়দার সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ কপূর মিশিয়ে নিন। রান্নাঘরের নানা কোণায় ছড়িয়ে দিন সেই ময়দা। দেখবেন আরশোলার উৎপাত কমে যাবে।

    ৪) আয়নায় অনেক সময় ছোপ ছোপ দাগ হয়। নানা চেষ্টার পরেও সেই দাগ দূর হয় না। কোনও চিন্তা নেই। অল্প পরিমাণ ময়দার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। আয়নায় ভাল করে মাখিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে শুকনো কাপড় দিয়ে আয়না মুছে নিন। দেখবেন দাগ উঠে গিয়ে আয়না ঝকঝকে হয়ে উঠেছে।

    ৫) অনেক সময়ই সাদা মেঝেতে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। অল্প পরিমাণ ময়দায় পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেই দাগের উপর লাগিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে নিলেই দেখবেন দাগ উঠে গিয়েছে।

    এন-কে