Category: গণমাধ্যম

  • বাসসের নতুন প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ

    বাসসের নতুন প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ

    বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ।

    শনিবার (১৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।

    এর আগে এক প্রজ্ঞাপনে বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে রদবদল আনা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের শীর্ষ পদে পরিবর্তন এলো।

  • সাংবাদিক-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে হামলা

    সাংবাদিক-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে হামলা

    বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের ডাকে বুধবার বিকালে ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সাংবাদিক জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে হামলা হয়েছে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রেস ক্লাবের ভিতর অবস্থান নিয়ে থাকা দূস্কৃতিকারীদের ধাওয়া দেয়। পরে সেনাবিাহিনী এবং শিক্ষার্থীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক কর্ণফুলী ও দৈনিক সংগ্রাম অফিসে ২০১৩ সালে হামলা, ভাংচূর ও লুটপাটের সাথে জড়িত ব্যক্তি ও ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার উস্কানী দাতাদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য।

    বিকাল চারটায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন(সিএমউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপত্বিতে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ সমাজের বিভিন্নন স্তরের মানুষ।

    বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ বিএসপিপি চট্টগ্রামের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক নসরুল কদির, সিএমইজে’র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, এস্যোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাব চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রকৌশলী জানে আলম মোহাম্মদ সেলিম, ডক্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব নেতা ডা. সারওয়ার আলম, সিএমইউজে’র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিএমইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য’র সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম শিল্পী, সিএমইজে’র সদস্য আবু সুফিয়ান, হাটহাজারী মাদ্রসার শিক্ষক হাফজে মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়কারী আলমগীর নূর, আরিয়ান লেনিনসহ আরো অনেকে।

    বক্তারা অবিলম্বে গণহত্যার উস্কানী দাতা সংবাদকর্মী এবং ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানান ।

    বিএসপিপি এর আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি’র বক্তেব্যের পরপরই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিক- জনতার অবস্থান কর্মসূচির উপর হামলা হয়। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্য এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আরিয়ান লেনিন, ইসমাইল ইমন, এস এম আকাশ ও নজরুল ইসলাম আহত হয়।

    এদিকে সাংবাদিক জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় এক তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক নামধারীরা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বসে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাত করার নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ফ্যাসিবাদের দোসর এসব সাংবাদিক নামধারীরা ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাড়িয়ে এখনো উল্লাস করছে। প্রেস ক্লাবকে এরা সন্ত্রাসীদের আখড়া বানিয়েছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে যথাযথ বিচার করতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিক-জনতা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

    এসময় বক্তব্য রাখেন সাইফুল ইসলাম শিল্পী, আলমগীর নুর ও আরিয়ান লেনিন।

  • “প্রেসক্লাব নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য”

    “প্রেসক্লাব নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য”

    চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক নামধারী পলিটিক্যাল একটিভিষ্টদের একটি বক্তব্যের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে বিতাড়িত এই প্রোপাগান্ডা গোষ্ঠি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম, গণহত্যা ও রক্তপাতের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র-জনতার বিজয়কে কালিমা লিপ্ত করার জন্য নানা অপপ্রচার এবং গুজব ছড়াচ্ছে।

    ১। সাধারনত প্রেসক্লাব হচ্ছে সাংবাদিকদের দ্বিতীয় আবাসস্থল এবং দেশবাসীর কাছে ‘মিনি পার্লামেন্ট’ হিসেবে খ্যাত। কিন্তু এই সাংবাদিক নামধারী গোষ্ঠিটি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে দলীয় কাযালয়, ফ্যাসিবাদ চর্চ্চার আখড়া এবং ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলসমূহের কর্মসূচিতে হামলার কেন্দ্রে পরিনত করেছিলো।

    ২। বিতাড়িত ফ্যাসবিাদরে দোসর এই গোষ্ঠটি গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র-জনতার উপর চলিত গণহত্যার উস্কানী দিয়েছে। বিগত সময়ে দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক নয়া দগিন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক কর্ণফুলী অফিস লুটপাট করার পরিকল্পনা এই প্রেসক্লাবেই করা হয়েছিলো। সাংবাদিক নামধারীদের প্ররোচনা ও নেতৃত্বেই উল্লেখিত মিডিয়া হাউসগুলোতে গিয়ে সন্তাসীরা সাংবাদকিদের উপর হামলা চালায় ও লুটপাট করে।

    ৩। প্রেসক্লাব পরিচালনা সংক্রান্ত মহামান্য হাইকোর্টের ৩টি মামলা বিচারাধীন আছে। মামলা সমূহ হচ্ছে, রিট মামলা নং ১০৬৪/২০১৮, ১৬১০৯/২০২২ এবং সিভিল মামলা নং ৫১৬৮/২০২২। মহামান্য হাইকোর্ট এবং জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের আদেশ অমান্য করে বেআইনীভাবে কমিটি গঠন করে কথিত কমিটি প্রেসক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে যা স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবা সংস্থা সমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ এবং তথ্যসংক্রান্ত বিধিমালা ১৯৬২ এর সুস্পষ্ট লংঘন। যেহেতু উক্ত আইন এবং মহামান্য হাইকোর্ট ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় প্রেস ক্লাব পরিচালনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, সেহেতু এগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রেসক্লাব পরিচালনা সম্পূর্ণ বেআইনী ও এখতিয়ার বহির্ভূত।

    চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ৩০/১০/১৯৯০ সালের (স্মারক নং- সসাআদছ/২১৮২) জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের নিবন্ধন গ্রহণ করে যার নিবন্ধন নং- চট্ট ১৫৮৩/১৯৯০

    ৪। প্রেসক্লাবের বর্তমান সদস্য তালকিায় অর্ধেকেরও বেশি ভূয়া সাংবাদকি এবং দলীয় কর্মী। যারা মূলত চাঁদাবাজির মাধ্যমে জীবন- জীবিকা নির্বাহ করে । এদের সার্বক্ষনিক কাজ ছিলো ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা অপকর্মের
    তাবেদারি ও ভিন্নমত দমনের পাঁয়তারা করা।

    ৫। এখানে চট্টগ্রামে কর্মরত দুই- তৃতীয়াংশ সাংবাদিকের প্রবশাধিকার দেয়া হয়না। শুধুমাত্র ফ্যাসিবাদের দোসর এবং তাদের কোটরীবদ্ধ ব্যাক্তিরা এখানে অর্ন্তভূক্ত। অথচ চোরাকারবারী, সমাজ বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের কাছে ‘আজীবন সদস্য’ পদের বিনিময়ে মোটা অর্থ আদায় করতো।

    ৬। এদের মূল কাজই ছিলো চাঁদাবাজি এবং ফ্যাসিবাদী সরকাররে উচ্ছৃষ্ট ভোগ করা। বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অর্থে এরা পিকনিকের নামে ফাইভ স্টার হোটলে গিয়ে আনন্দ-র্ফূতি করতো। প্রেসক্লাবকে তারা মদ-জুয়া এবং অবৈধ হাউজি খেলার আখড়া বানিয়েছে।

    ৭।চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বর্তমান জায়গা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর অবদান। এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদকিদের জন্য মোটা অংকের অর্থ অনুদান দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালদা জিয়ার সরকার দুই দফায় নগরীর শেরশাহ কলোনী এবং কল্পলোক আবাসিক এলাকায় কয়েক’শ সাংবাদিকের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা এই ইতিহাস একেবারেই মুছে দিয়েছে।

    ৮। গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ ফ্যাসিবাদ অভ্যুত্থানের দিন বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রেসক্লাব থেকে বিতাড়িত করে প্রকৃত সাংবাদকিদের জন্য তা উম্মুক্ত করে দিয়েছে। বৈষম্যের শিকার সাংবাদকিরা জনতার রোষানাল থেকে চট্টগ্রাম প্রসেক্লাবকে রক্ষা করেছে।বিতাড়িত ফ্যাসিবাদের দোসররা ছাত্র-জনতার বিজয় এবং বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানা ধরনের গুজব, অপপ্রচার এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে।

    ৯। ৫ আগষ্টের পর জাতীয় প্রেসক্লাবসহ দেশের সবগুলো প্রেসক্লাবকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও অপশক্তি মুক্ত করা হয়ছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তার ধারাবাহিকতা। প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদকিরা তা আনন্দচিত্তে মেনেও নিয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রামের বিতাড়িত গোষ্ঠিটি নানাভাবে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।

    ১০। বিতাড়িত গোষ্ঠিটি ফ্যাসিবাদী সরকারের সহায়তায় লুটপাট করা অর্থ নিয়ে আবার প্রেসক্লাব কূক্ষিগত করতে মাঠে নেমেছে। তারা একদিকে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে পার্টির নাম করে জড়ো হয়ে সদ্যগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকাররে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। লুটপাটের টাকায় তারা ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের জাঁকজমকর্পূণ সংবর্ধনার প্রস্তাব ও করেছিলো। একই সাথে পটপরিবর্তনের পর মাঠে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের কাছে র্ধনা দিয়ে নানা লোভনীয় প্রস্তাব ও করছে।

  • যেসব সাংবাদিকদের বহিষ্কারের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের

    যেসব সাংবাদিকদের বহিষ্কারের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের

    সাংবাদিকতার আড়ালে জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কিছু সাংবাদিককে কর্মস্থল থেকে বহিষ্কার এবং সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনকারীরা।

    শনিবার (১০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসউদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রেসক্লাবই বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন( যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু দালালই নয় পার্লামেন্ট মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল।

    এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু (ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার করেছে), মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হাসান চৌধুরী, ফারজানা রুপা, আরিফ জেপ্তিক, অশোক চৌধুরী, শাহজান সরদার, সুভাষ সিংহ রায়, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম (ডিবিসি), প্রণবসাহা (ডিবিসি), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম (ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা), সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ,ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি), শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ

    এছাড়াও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মামুন আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই), শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাশ ( সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), ফরাজী আজমল (দৈনিক বাংলা), আনিসুর রহমান (বিএসএস), স্বপন বসু (বিএসএস), হাসান জাবেদ (এনটিভি), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিম (৭১ টিভি) এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাঈমুল ইসলাম খান। আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকাণ্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব জাতীয় দুশমনরা প্রেস ক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।

  • টকশো শেষেও উপস্থাপিকার সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক

    টকশো শেষেও উপস্থাপিকার সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক

    সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো’র সুবাদে ভাইরাল হয়েছেন সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরী। তার অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি। এই টকশো’র ক্যামেরার পেছনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, টকশো শেষেও উপস্থাপিকা দীপ্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক।

    অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে রাজাকারের বাচ্চা বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় নিজের মেজার হারান দীপ্তি। তিনি বলেন, ‘আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, আপনি আমাকে কোন সাহসে রাজাকার বলেন।’

    এ সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আপনার ব্যবহারের দেখে আমি এ কথা বলেছি।’ এ কথা শুনে দীপ্তি চৌধুরী আবারও রেগে যান। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি এসে বিচারপতি মানিককে নিয়ে অনুষ্ঠান সেট থেকে চলে যান।

    এদিকে, প্রায় ৪৯ মিনিটের এই শোতে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, উপস্থাপনা, ধৈর্য ও বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন দীপ্তি। কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এই টকশোটি প্রচারিত হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লিপ। যেখানে নেটিজেনদের মুখেও শোনা যাচ্ছে, দীপ্তির ভূয়সী প্রশংসা।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেদিনের টকশো নিয়ে কথা বলেছেন এই উপস্থাপিকা। তিনি জানান, সেদিনের টকশোতে আলাদা কিছু করেননি। মানুষের প্রতি ও পেশার প্রতি দায়বদ্ধতাটুকুই পালন করেছেন তিনি। দীপ্তির কথায়, ‘যখন আমি সঞ্চালকের চেয়ারে বসি, তখন অতিথিকে সম্মান করে জনগণ ও দর্শক যে প্রশ্নটি করতে চায় সেই কাজটিই করার চেষ্টা করি। সেদিনও তাই করেছি। এটাই হয়তো মানুষ ভালোভাবে নিয়েছে। সবাই প্রশংসা করছে। তবে আমি খুব মহান কিছু করিনি।’

    উপস্থাপিকার ধৈর্য নিয়েও হয়েছে তুমুল আলোচনা। সবাই এর প্রশংসা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধৈর্য ধরা কিন্তু আমি বোল্ড নই কিংবা শক্তিশালী নই, তা কিন্তু নয়। বরং আমার মনে হয়েছে, শক্তিশালী কথা চিৎকার করে না বললেও সেটা শক্তিশালী। আর যদি কথাটি দুর্বল হয়, তাহলে চিৎকার করলেও সেটা দুর্বলই থেকে যায়।’

    দীপ্তি চৌধুরী সঞ্চালনায় যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে। অষ্টম শ্রেণি থেকেই তার উপস্থাপনায় হাতেখড়ি। ২০১৬ সালে ‘স্বর্ণ-কিশোরী’ প্রতিযোগিতায় সেরা হন দীপ্তি। তারপর সেই অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সুযোগ পান তিনি।

  • টিসিজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন আরটিভি

    টিসিজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন আরটিভি

    টিসিজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর টিভি একাদশ। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে সময় টিভি একাদশকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। বিজয়ী দল আর টিভি একাদশের দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু ম্যান অব দ্যা ফাইনাল নির্বাচিত হন।

    চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর টিভি একাদশ আকর্ষণীয় ট্রফির সঙ্গে নগদ ১৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি পেয়েছে। রানার্সআপ হয়ে ট্রফির সঙ্গে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি পেয়েছে সময় টিভি একাদশ।

    টুর্নামেন্টে সময় টিভি একাদশের খেলোয়াড় মোহাম্মদ ইকবাল সেরা খেলোয়াড় এবং বাংলা টিভি একাদশের খেলোয়াড় বাবুন পাল সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কৃত অর্জন করেন।

    ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক লায়ন মোঃ হাকিম আলী, কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম, রেস্টুরেন্ট & টুরিজম ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ আক্কাস উদ্দিন।

    টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাশের সঞ্চালনায় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন আর টিভি একাদশকে অভিনন্দন জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এমন অসাধারণ আয়োজনের জন্য টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্টসদের সংগঠন টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ। বেশ ভালো ফুটবল খেলা হয়েছে। এরকম আয়োজনে যুক্ত হয়ে সত্যিই অভিভূত। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের এমন মিলনমেলায় পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সব সময় ভালো কাজের পাশে থাকে। যারা সংবাদ নিয়ে কাজ করে তারাই আজ মাঠে নেমেছে। এরকম আয়োজনকে আমরা সব সময় উৎসাহিত করি। আশা করছি এ মেলবন্ধন আগামী দিনেও অটুট থাকবে।

  • চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা চট্টগ্রামের কাট্টলীস্থ নিরিবিলি পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার ২০২৩ সালের শেষ দিনে ফোরামের ৮২ জন রিপোর্টার এ আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন।

    ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুরের নেতৃত্বে ফোরামের এ আয়োজনটি ছিল একটি ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন। বাঙ্গালী ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মাটির বাসনে খাওয়াসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও ছিল চট্টগ্রামের নানা ঐতিহ্য। দিনভর এ আয়োজনে ‘টিআইবি পুরস্কার’ পাবার জন্য একুশে পত্রিকার সাংবাদিক ফোরাম সদস্য শরীফুল ইসলাম রুকনকে অভিনন্দন ও সম্মামনা প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় ফোরাম সভাপতি ও প্রতিদিনের সংবাদের ডেপুটি এডিটর কাজী আবুল মনসুর, সহ সভাপতি সি-প্লাসের সম্পাদক আলমগীর অপু, সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আমাদের নতুন সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি আলিউর রহমান, সহ-সম্পাদক গোলাম মাওলা মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এটিএন নিউজের মনিরুল পারভেজ, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল্লাহ চৌধুরী, সমাজসেবা সম্পাদক ও বনভোজন কমিটির আহবায়ক বাংলা টিভির ব্যুরো প্রধান লোকমান চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও ফোরামের কোষাধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, ফোরামের নির্বাহী সদস্য মোহনা টিভির ব্যুরো প্রধান আলী আহমেদ শাহিন, সিনিয়র সাংবাদিক জুবায়ের সিদ্দিকী, বনভোজন কমিটির সদস্য সচিব কামাল পারভেজ, রেজিস্ট্রেশন কমিটির আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা, অভ্যর্থনা কমিটির আহবায়ক নুর উদ্দিন সাগর, সদস্য রাজিব চক্রবর্তি, মুকুল মাহি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    সভাপতি কাজী আবুল মনসুর তারঁ বক্তৃতায় বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম এ পর্যায়ে এসেছে। শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের কলেবর বাড়ছে। প্রতি বছর আনন্দ আয়োজনের আয়োজন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সারা বছর ব্যস্ত থাকেন। বছরের একটা দিন ফোরামের সদস্যরা এভাবে আনন্দে মেতে উঠবে।

    তিনি বলেন, রিপোর্টারদের পেশাগত উন্নয়নের লক্ষে ফোরাম সাংবোদিকদের কর্মশালাসহ নানা আয়োজন করে যাবে। একই সাথে চট্টগ্রামের ভাষা ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কাজ করে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিকতা বাড়ছে উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, এখন ডিজিটাল প্লাটফর্মের যুগ। বিশ্বে সাংবাদিকতার উপর বড় বড় অনেক পুরস্কার ফ্রী-ল্যান্স সাংবাদিকরা পান। সাংবাদিকতার গন্ডী এখন অনেক বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে গেছে। এটি এখন আর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তিনি সাংবাদিকদের লেখালেখির উপর আরো জোর দিতে বলেন।

    এ মিলনমেলায় টিআইবি পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম আজ আমাকে যে সম্মান দেখালো তাতে আমার লেখালেখির উৎসাহ আরো বেড়ে যাবে। ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুরের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে সুদুর গ্রাম থেকে এনে হাতে কলমে সাংবাদিকতা করতে সাহস জুগিয়েছেন। আমাকে আলোকিত বাংলাদেশ ও প্রতিদিনের সংবাদে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে আমি এতদুর আসতে পেরেছি। আজকে টিআইবি’ পুরস্কার প্রাপ্তির পেছনে ওনার অবদান আমি কোনদিন ভুলব না।

    ফোরামের সাধারন সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম চট্টগ্রামসহ সারা দেশে জায়গা করে নিচ্ছে। সভাপতি কাজী আবুল মনসুর চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আইকন। তিনি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ওনার হাত ধরে অনেকে সাংবাদিকতা জগতে এসেছে। ফোরাম গঠন করার পর থেকে নানা সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। সব সমস্যাকে দুরে ঠেলে ফোরাম এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাথে ফোরাম য়ৌথভাবে কাজ করবে। সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়নের দিকে ফোরাম নজর দেবে।

    আয়োজন কমিটির আহবায়ক লোকমান চৌধুরী বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ আয়োজনটি করতে হয়েছে। হয়ত নানা ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। তিনি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে সবকিছু দেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।

    ধন্যবাদ বক্তব্যে সাংবাদিক আলমগীর অপু বলেন, যারা এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন তাদের সবাইকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়। ফোরামের জন্য পার্ক কমিটি একদিনের জন্য আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি পার্কের ব্যবস্থাপনা কমিটি, আয়োজক কমিটি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসা শিল্পীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

    মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

  • ২৭ বছর পূর্তিতে বিটিভি চট্টগ্রামের অনুষ্ঠান ও সংবাদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তথ্যমন্ত্রী

    ২৭ বছর পূর্তিতে বিটিভি চট্টগ্রামের অনুষ্ঠান ও সংবাদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, টেরিস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিটিভি চট্টগ্রাম এখন দেশ বিদেশে দেখা যায়। এটি এখন ২৪ ঘণ্টার পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন। এই চ্যানেলের অনুষ্ঠান ও সংবাদের মান আগের থেকে অনেক ভালো বিশেষ করে ইংরেজি বিতর্ক এবং ইংরেজি সংবাদ।

    বাংলাদেশ টেলিভিন চট্টগ্রামের ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা্য় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।

    দর্শক, শিল্পী, কলাকুশলী এবং কেবল অপারেটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার আরো উন্নত করার জন্যও আরো বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় তিনি বিটিভি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দিক তুলে ধরেন। এর আগে তিনি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করেন এবং কেক কাটেন।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, মহাব্যবস্থাপক নূর আনোয়ার হোসেন রনজু সহ কেন্দ্রের কর্মকর্তা, শিল্পী কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের খ্যাতনামা একঝাঁক জনপ্রিয় শিল্পীর পরিবেশনায় কবিতা, আবৃত্তি, নৃত্য-গান ও অভিনয় পরিবেশন করা হয়। চিত্র নায়ক জায়েদ খান, জনপ্রিয় গায়িকা কনা, অভিনয় শিল্পী নাদিয়া আহমেদ, সোশ্যাল মিডিয়া তারকা মেরি, চিত্র নায়িকা আচঁল এতে অংশ নেন। এছাড়াও ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ম্যাগাজিন, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান আধুনিক ও ঐতিহ্যের সমন্বয়ে বৈচিত্র্যময় করে সাজানো হয়। এদিকে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একশ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাৎকার ও শুভেচ্ছা নিয়েও শতাধিক ফিলার প্রচার করা হচ্ছে ।

    অনুষ্ঠানে বিটিভি চট্টগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রনজু বলেন, নির্বাচনী উৎসবকে আরো রঙিন করার প্রত্যয়ে এবার জমকালো অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

  • অনলাইনে সংবাদ প্রচারে সতর্ক হতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    অনলাইনে সংবাদ প্রচারে সতর্ক হতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন মিডিয়াগুলোতে সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করা হয়। অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়। এসব সংবাদ প্রচারের আগে কোনো সম্পাদনা করা হয় না। এটি বড় বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংবাদ নিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। গণমাধ্যমের গাণিতিক বিকাশের কারণে এসব সমস্যা হচ্ছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সতর্ক না হলে নাসিরনগর, রামুর মতো ঘটনা বার বার ঘটবে। এসব আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

    বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নিউজ পোর্টাল এনএএনটিভি বিডির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ বছরে যত হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সবগুলোর পেছনে অনলাইন, ভুয়া নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী।

    বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলেও এ ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে। গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এই কাজ তারা করতে পারবে না, করতে পারে না।

    তথ্যমন্ত্রী আরও বলে, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে বুদ্ধি দেয় তারা এখন কোথায়। কাউকে ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়। বরিশালে একজনকে ঘুষি মেরেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে, গুলশানে একজনকে ধাওয়া করেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে। তারা এখন কোথায়। এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, ওনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন, জনগণ তাদের খুঁজছে। ওনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে? নাকি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন। গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় ওনারা কোনো বিবৃতি দেন নাই। শুধু বাংলাদেশেও নয়, এখন কিছু কিছু আন্তর্জাতিক বিবৃতিজীবীও আছে। এখন ওনারা কোথায়?

    অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের উদ্দেশ্য সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, ওর মায়ের জন্য দরদ নাই ও দেশের প্রতি কী দরদ দেখাবে? ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। আগামী নয়-দশ বছর পর আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখব বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম যারা আছে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ব্রিটেনেরও প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই যোগ্যতা ও দক্ষতা তাদের আছে। এই যোগ্যতা কী তারেক রহমানেরও আছে। ইতিহাসে দুটি জিনিস থাকে, একটা হচ্ছে নায়ক আরেকটা হচ্ছে খলনায়ক। নায়ক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম আর খলনায়ক হচ্ছে তারেক রহমান। সে খলনায়ক হিসেবে ‘পারফেক্ট’ ব্যক্তি।

    এনএএন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিহা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশের ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির ট্রেজারার তানভির হায়দার ভূইয়া প্রমুখ।

  • রাঙ্গুনিয়ার সাংবাদিক এম এ কোরেশী শেলু’র মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়ার সাংবাদিক এম এ কোরেশী শেলু’র মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’ পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি এম এ কোরাশী শেলু (৫৬) আর নেই। বৃহস্পতিবার রাতে নিজগৃহে ঘুমন্ত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

    শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাদে আছর মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা মালেক সওদাগর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়।

    এম এ কোরেশী শেলু এর আগে দীর্ঘদিন দৈনিক ভোরের কাগজ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন। তার ক্ষুরধার লেখনিতে সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরতে কখনো আপোষ করেননি।

    মফস্বলের পেশাদার সাংবাদিক এম এ কোরেশী শেলু’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম-০৭ রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    দীর্ঘদিন ধরে সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা করা এম এ কোরেশী শেলু’র বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন নির্লোভ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন এম এ কোরেশী শেলু। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আপোষহীন কণ্ঠ এই কলম সৈনিক সমাজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে আমৃত্যু অবদান রেখে গেছেন।

    এছাড়া রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সকল নেতৃবৃন্দ তাদের সহকর্মী শেলু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

  • পটিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সেলিম, সম্পাদক কাউছার

    পটিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সেলিম, সম্পাদক কাউছার

    পটিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির (পিআরইউ) আত্মপ্রকাশ হয়েছে। পটিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এ সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে।

    এ উপলক্ষ্যে ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে পটিয়া পৌরসদরস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে এক সভা শেষে সর্ব সম্মতিক্রমে দেশ রুপান্তরের পটিয়া প্রতিনিধি আ ন ম সেলিম উদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি, সকালের সময়ের নয়ন শর্মাকে সহ-সভাপতি, কালের কন্ঠের পটিয়া প্রতিনিধি কাউছার আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

    যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে দেশ বার্তার অরুন নাথকে, ক্লিক নিউজের মো. রিদওয়ানকে অর্থ সম্পাদক, আজকের দর্পনের শাহেদ খান হৃদয়কে প্রচার সম্পাদক, দেশ বর্তমানের আকবর উদ্দিন খানকে দপ্তর সম্পাদক, দৈনিক কাগজের জাফর আলম আশিককে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে।

    এছাড়াও নগর নিউজের আকরাম খান ও রিদুয়ান মো. ইরফানকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে।

    কমিটি গঠন প্রক্রিয়া পূর্ব এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম, সুরঞ্জিত শীল, রাজীব সেন প্রিন্স।

  • কালবেলা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে

    কালবেলা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে

    বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ব্যুরোতে দৈনিক কালবেলার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

    সোমবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলো কেক কাটা, সুধীজনদের আলোচনা সভা। এই সময় আগত অতিথিরা ফুল দিয়ে শুভচ্ছো জানান কালবেলাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক-সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো কালবেলার প্রথম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথির স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান সাইদুল ইসলাম।

    কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, হাজার গণমাধ্যমের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে কালবেলা। কালবেলা অনেক ভালো ভালো সংবাদ প্রচার করেছে অল্প দিনেই। সরকারের উন্নয়ন আরো বেশি স্থান পাবে কালবেলায় এই প্রত্যাশা করি। দৈনিক কালবেলা প্রথম বর্ষপূর্তিতে পুরো টিমকে অভিনন্দন জানান তিনি।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে অনেক কাগজ, প্রতিদিন কাগজের ভিড়ে আমরা হারিয়ে যাই, আমরা বিভ্রান্তিতে থাকি কোনটা পড়ব। কিন্তু কালবেলা মাত্র এক বছর পূর্তিতে মানুষের মনে যে জায়গা করে নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে গর্ব করার মতো। কালবেলার সাথে জড়িত সকলকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    তিনি আরও বলেন, কালবেলা উপন্যাসে মূল্যবোধ নীতি-নৈতিকতার বিষয়টি ছিল কালবেলা যেন সে দিকগুলো তুলে ধরতে পারছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় যে ভূমিকা রেখেছেন তা ইতিবাচক সূচক হিসেবে কাজ করছে। আমরা কালবেলার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

    কালবেলার ব্যতিক্রমী সংবাদের প্রশংসা করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কালবেলা এক বছরে মানুষের মনে অবস্থান তৈরি করেছে। আজকের দিনের শুভক্ষণে কালবেলার সম্পাদক, প্রকাশক, সাংবাদিকদের অভিনন্দন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম নগর থেকে যে জিডিপি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে, সেভাবে পত্র-পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে না। বিশেষ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে চট্টগ্রাম যেভাবে অবদান রাখছে, তা পত্রিকাগুলোতে ওভাবে উঠে আসছে না। আমি আশা করব, পত্র-পত্রিকায় চট্টগ্রামের সকল সংবাদ উঠে আসবে। তবে এসময় ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ নামে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করায় কালবেলার প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক।

    চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, কালবেলা মুক্তিযুদ্ধ- স্বাধীনতা, দেশের পবিত্র সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে আমার প্রত্যাশা।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ বলেন, কালবেলা পরিবারকে সিএমপি পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দেশ ও জাতি গঠনে কালবেলা ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করছি।

    বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, আজকের এ দিনে কালবেলা পরিবারকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ছোটবেলা থেকে আমরা পড়ে আসছি দৈনিক পত্রিকা হলো সমাজের দর্পন। দৈনিক পত্রিকায় যদি সমাজের চিত্র প্রকাশিত না হয়, তাহলে সেটিকে দৈনিক পত্রিকা বলা যায় না। আশা করব, কালবেলা সমাজের আসল চিত্রগুলো মানুষের সামনে উপস্থাপন করবে।

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম বলেন, কালবেলা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে আমরা আশা রাখছি।
    কালবেলাকে নিয়ে সুধীজনদের আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা সবাই মিলে কেক কাটেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক , সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    চট্টগ্রামে কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়েনর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী,বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ , চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়েনর সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সবুর শুভ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, চসিক কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদের, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, নগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুবনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, হাবিবুর রহমান তারেক, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, মোহাম্মদ ইলিয়াস, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইমরান, কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দীন কাদের লাভল, যুবলীগ নেতা শেখ নাসির উদ্দিন, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ তানজির চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

    এছাড়াও ফুল দিয়ে কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ। কালবেলাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার, জিপিএইচ গ্রুপ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মহানগর ছাত্রদল ,চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ, ইউসিটিসি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডেপেন্ডন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, র‌্যাংকস, শেভরনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও টেলিভিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এতে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক ,রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলার কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।