Category: গণমাধ্যম

  • প্রতিটি সংবাদ যেন হয় বস্তুনিষ্ঠ : নূর হাকিম

    প্রতিটি সংবাদ যেন হয় বস্তুনিষ্ঠ : নূর হাকিম

    দৈনিক সকালের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নূর হাকিম বলেছেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। আর সেই দায়িত্ব পালন করতে হলে প্রত্যেক সাংবাদিককেই পাঠকের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। কোনভাবেই ভুল তথ্য প্রকাশ করা যাবেনা। আমরা দ্রুত সংবাদ প্রকাশের পক্ষে নই, আমরা নির্ভুল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে চাই। তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে থাকতে চাই আজীবন। তাদের ভালোবাসাই হোক আমাদের শক্তি। তাই প্রতিটি সংবাদই যেন বস্তুনিষ্ঠ হয় আমি সেটাই প্রত্যাশা করব আমাদের প্রতিটি সাংবাদিকের কাছে।

    গত শনিবার (১৮ মার্চ) নগরীর অভিজাত এশিয়ান এসআর হোটেলের হলরুমে চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এস.এম.পিন্টুর সভাপতিত্বে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজ এমন একটি দিনে আমরা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি যে, গত কাল (১৭ মার্চ) ছিল জাতির পিতার জন্মদিন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। আর এই মাসে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা দেশকে ভালোবেসে অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, আর যারা আমাদের মুক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন সেই অকুতোভয় বীর সৈনিকদের। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে নির্মম হত্যাাণ্ডের শিকার সকল শহীদদের। এই মাসের গুরত্ব তুলে ধরে বলেন জাতির পিতার জন্ম না হলে আমরা আজ পত্রিকার মালিক হতে পারতামনা। আর তারই কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে সঠিক তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা নিঃসংকোচে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারছি।

    নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে সম্পাদক নূর হাকিম বলেন, আমি একসময় একজন উপজেলা প্রতিনিধি ছিলাম, সেখান থেকে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে পাঠকের ভালোবাসায় আমি একটি পত্রিকার সম্পাদক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। পত্রিকাটি বর্তমানে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পাঠকের ভালোবাসায় দেশের প্রথম সারিতেই জায়গা করে নিয়েছে। আমরা আশা করব এই সততা যেন সবসময় ধরে রাখতে পারি। পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠার মাত্র ৭ বছরে আমরা এগিয়েছি অনেকদুর। আমি বিশ্বাস করি এই পত্রিকার মালিক আমি নয়, আপনার সবাই মালিক, এটা আপনাদের পত্রিকা। সুতরাং আমি আশা করব এই পত্রিকার বদনাম হয় এমন কোন কাজ আপনারা করবেন না। আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা খুব শীঘ্রই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করব। আমাদের চলার পথ আরো প্রশস্ত হবে। আপনারা জানেন বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাব কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনীতির উপর একটা প্রভাব পড়েছে কিন্তু আমরা কোন প্রতিনিধিকে তা বুঝতে দেইনি। নিয়মিত পত্রিকা চালিয়ে যাচ্ছি ৮ পৃষ্ঠা থেকে ১২ পৃষ্ঠায় উন্নিত করেছি। আপনাদের মেধা ও শ্রমের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে  আমরা প্রমান করতে চাই যে শুধু চটকদার সংবাদ নয়, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমেও আমারা অনেকটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি।

    আপনারা জানেন আমি বড় কোন শিল্পপতি নই, কোটি কোটি টাকা ভুর্তুকি দিয়ে পত্রিকা চালানোর সামর্থ আমার নেই। তবে এটাও সত্য যে, আপনাদের সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় আমাদের প্রচার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের পরিমানও বাড়বে। সুতরাং অচিরেই দৈনিক সকালের সময় পাঠকের প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠবে এবং ভুর্তুকি কাটিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে। আপনাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি না থাকলে আমরাও আপনাদের সম্মানী বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করব।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক সকালের সময়ের মফস্বল সম্পাদক মো. নুর আলম বলেন, আপনারা প্রত্যেক প্রতিনিধিই ভালো মানের সাংবাদিক। আপনাদের বিচক্ষণতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সকালের সময় আজ পাঠকের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। আমি এই পত্রিকায় আপনাদের সাথে কাজ করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতে হবে। এই পত্রিকাটিকে আরো জনপ্রিয় করতে আমাদের সম্পাদক মহোদয় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা চাই সারাটা জীবন কাধে কাধ মিলিয়ে একটি পরিবার হয়ে পথ চলতে। আমরা সবাই সকালের সময় পরিবারের সদস্য হয়ে কাজ করি। সাফল্য আমাদের কাছে আসবেই।

    সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক সকালের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এস.এম.পিন্টু বলেন, আপনাদের মতো বিচক্ষণ সাংবাদিকদের সাথে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সম্পাদক মহোদয় আমাদের প্রতি যেমন আন্তরিক আপনারাও সেই আন্তরিকতার মুল্যায়ন করে, নিজেদের প্রতিষ্ঠান মনে করে কাজ করবেন। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকালের সময়কে আমরা সময়ের সেরা পত্রিকা হিসেবে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে চাই। আমরা আপনাদের কাছে নির্ভুল ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ চাই। দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবেন। ভালো কাজগুলো বেশি করে প্রচার করবেন, যাতে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসার উৎসাহ পায়। দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণমুলক সংবাদ বেশি করে প্রচার করতে সহায়তা করবেন। সম্পর্ক ভালো বা খারাপ যাই হোক নিউজে যেন তার কোন প্রতিফলন না ঘটে এই বিষয়টি সকলে মাথায় রেখে কাজ করবেন। মনে রাখবেন আপনাদের একটা ভুল নিউজের কারনে অনেকের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। একটা প্রাণীও যেন আপনার ক্ষোভের শিকার না হয়।

    চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি মো. নুরুল আলম চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সেলিম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি শাহেদ ফেরদৌস হিরু, লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহা. আলমগীর, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি সুজন আহমেদ, বি.বাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি প্রবীর চৌধুরী রিপন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মো. সেলিমসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা প্রতিনিধিগণ।

  • বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা নিবেদন

    বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা নিবেদন

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেস ক্লাব চত্বরে বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (সিপিজেএ)। প্রতিবছরের মতো সিপিজেএ এই দিনটি শ্রদ্ধার সাথে পালন করে আসছে।

    এ সময় বক্তরা বলেন, জাতির পিতার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। ১৯৭৫ সালের পনেরোই আগস্ট গুলি করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে রক্ত ঝড়িছে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা জানত না বত্রিশ নম্বরের বাড়ির সেই রক্ত থেকে লাখ লাখ বঙ্গবন্ধুর সৈনিক সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

    সিপিজেএ নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব। বঙ্গবন্ধু দেশের সম্পদ, বাঙালির সম্পদ। বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে এটা বঙ্গবন্ধুর কারণেই সম্ভব হয়েছে। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি এটা বঙ্গবন্ধুর অবদান এটাকে অস্বীকার করা যাবেনা। বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নতির শিখরে পৌঁছবে সেই দিন বেশি দূরে নয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুভাষ কারণ, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবতী, প্রদর্শনী সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক রবি শংকর চক্রবর্তী, সিপিজেএ’র উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রসাদ দাশ দেবু ও মো. ফারুক।

  • হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরাম’র নেতৃত্বে মনসুর-শ্যামল

    হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরাম’র নেতৃত্বে মনসুর-শ্যামল

    চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত হাটহাজারীর সাংবাদিকদের নিয়ে ‘হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরাম’ এর যাত্রা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে হাটহাজারীর অধিবাসী প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

    নতুন এ সংগঠনে সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুর এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

    কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক মইনুদ্দিন কাদেরী শওকত, মাহাবুল আলম, প্রবীণ সাংবাদিক মাখন লাল সরকার, এনটিভির ব্যুরো প্রধান সামশুল হক হায়দরী ও বিএফইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    নির্বাহী কমিটির অন্যান্য পদে যারা রয়েছেন, তাঁরা হলেন সহ-সভাপতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেকসহ-সভাপতি স ম ইব্রাহীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুপম চক্রবর্তী, আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ মহিউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নুপুর কান্তি দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক এনটিভির ক্যামেরা জার্নালিষ্ট সুমন গোস্বামী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাংলা টিভির স্টাফ রিপোর্টার বিপ্লব পার্থ, ক্রীড়া সম্পাদক আর টিভির রিপোর্টার মোঃ নাজিম উদ্দিন, সমাজ কল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রিয় চট্টগ্রামের মীর্জা ইমতিয়াজ শাওন।

    নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, প্রথম আলোর রিপোর্টার গাজী ফিরোজ শিবলী, সি প্লাসের সম্পাদক আলমগীর অপু, চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর উপদেষ্টা সম্পাদক আয়ান শর্মা, এনটিভির রিপোর্টার আরিচ মোহাম্মদ শাহ ও দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।

  • নারী সাংবাদিকদের হেনস্তা : জড়িতদের বিচার দাবি চবির সাবেক সাংবাদিক নেতাদের

    নারী সাংবাদিকদের হেনস্তা : জড়িতদের বিচার দাবি চবির সাবেক সাংবাদিক নেতাদের

    বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তদের হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক নেতারা। সেইসঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

    সোমবার সাবেক নেতাদের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

    বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে একজন নারী সাংবাদিককে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে হেনস্তা করেছে। ব্যাগ নিয়ে টানা-হেঁচড়া করেছে। কটূক্তি ও হুমকি দিয়েছে। যা নজিরবিহীন। এ ঘটনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টার পাশাপাশি আগামী দিনের স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের জন্য হুমকি।
    মারজান শুধু একজন সংবাদ কর্মীই নন, একইসঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একজন নারী শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পাঁচদিন পার হলেও এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থায় নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা দুর্বৃত্তদের প্রতি প্রশাসনের নীরব প্রশ্রয়ের ইঙ্গিত দেয়। যেটি শুধু স্বাধীন সাংবাদিকতায় নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাহীনতাকে তুলে ধরে।

    সংবাদকর্মী মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক নেতারা ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

    বিবৃতিদাতারা হলেন-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হামিদ উল্লাহ, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, খলিলুর রহমান, রুবেল খান, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, এহসান জুয়েল, আল-আমীন দেওয়ান, ইলিয়াছ সরকার, ওমর ফারুক, সুজন ঘোষ, হেদায়েত উল্লাহ খন্দকার পলাশ, হুমায়ুন মাসুদ, ফারুক আবদুল্লাহ, আবু বকর ছিদ্দিক রাহাত, আশহাবুর রহমান শোয়েব, সৈয়দ বাইজিদ ইমন, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, ইমরান হোসাইন ও সাইফুল ইসলাম।

    সাবেক সাধারণ সম্পাদকরা হলেন-মজুমদার নাজিম উদ্দিন, আবদুস সবুর, রিয়াজ রায়হান, মো. এমদাদুল হক, মাহবুব মিলন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশরাফ রেজা, তাসনীম হাসান, মন্ডল মোহাম্মদ আরিফ, মো. মাহমুদুর হাসান, জোবায়ের চৌধুরী, মনোয়ার রিয়াজ মুন্না ও রায়হান উদ্দিন।

     

  • সাংবাদিক আলমগীর সবুজের মায়ের ইন্তেকাল

    সাংবাদিক আলমগীর সবুজের মায়ের ইন্তেকাল

    দেশ টিভির চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান সাংবাদিক সৈয়দ আলমগীর সবুজের মা জান্নাতুল ফেরদৌস ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

    আজ সোমবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম নগরীর আলমগীর সবুজের বাসায় বার্ধ্যক্য জণিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। তিনি চার ছেলে এবং ছয় মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

    আজ সোমবার বাদে মাগরিব রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন মীর বাড়ি গ্রামের জামে মসজিদ মাঠের ঈদগাহে তাঁর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

    তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম শোক প্রকাশ করেছেন। পৃথক বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা মরহুমার বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • সাগর-রুনি হত্যার ১১ বছর আজ

    সাগর-রুনি হত্যার ১১ বছর আজ

    সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পার হচ্ছে আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত সংস্থা ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায় ছিল ১১ বছর।

    অনেক প্রতীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষার রিপোর্টগুলো হাতে পেয়েছে এলিট ফোর্স র‍্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

    রিপোর্ট ও অপরাধচিত্রের প্রতিবেদন (ক্রাইম সিন রিপোর্ট) পর্যালোচনায় দুজনের ডিএনএর পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল পেলেও সন্দেহভাজন খুনি শনাক্ত হয়নি।

    ফলে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের শনাক্ত বা গ্রেফতারের আশা প্রায় ক্ষীণ। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পরও সন্দেহভাজন খুনিদের শনাক্ত করতে না পারায় খোদ হতাশায় রয়েছে র‌্যাব কর্মকর্তারা।

    এদিকে অতীতের মতো আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি র‌্যাব। উল্টো ৯৫ বার পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। ফলে নিহতদের স্বজনদের প্রশ্ন, ৪৮ ঘণ্টা শেষ হবে কবে। আর কবে খুনিরা ধরা পড়বে। কবে রহস্যের জট খুলবে।

    তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যে কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ খোঁজেন। এরপর আসামি শনাক্তকরণের চেষ্টা করেন, কোনো ধরনের ক্লু পেতে জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসব একটি মামলা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যক্রম। ১১ বছর তদন্তের পরও সাগর-রুনি হত্যা মামলা ঠিক এরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।

    এখনো আসামি শনাক্তকরণ, জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও নিহতদের খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছে তদন্ত সংস্থা।

    র‌্যাব মামলার তদন্তে নেমে গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি, নিহত দুজন এবং স্বজনসহ মোট ২৫ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।

    তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষার রিপোর্টগুলো হাতে পেয়েছে র‌্যাব। সে রিপোর্ট ও অপরাধচিত্রের প্রতিবেদন (ক্রাইম সিন রিপোর্ট) পর্যালোচনায় দুজনের ডিএনএর পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল পাওয়া গেছে। তবে এসব পরীক্ষায় সন্দেহভাজন খুনি শনাক্ত হয়নি।

    এ মামলায় গ্রেফতার ৮ জনের মধ্যে পাঁচজন-রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণ মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায়। গ্রেফতার দেখানো হয় পারিবারিক বন্ধু তানভীর এবং বাসার নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও হুমায়ূন কবীরকে। তাদের মধ্যে সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

    র‌্যাবের বক্তব্য
    হত্যা মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ জনের ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেয়েছে র‌্যাব। তবে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার মতো পর্যাপ্ত নয়।

    মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল জানিয়ে তিনি বলেন, এ মামলা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এর জন্য বিদেশে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়েছি। বিদেশে ডিএনএ টেস্টের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একটু সময় লাগছে। তদন্ত কর্মকর্তা তিনি অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    যেভাবে নিহত হন সাগর-রুনি:
    ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

    সেই ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয়নি এখনো:
    চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। অথচ এরই মধ্যে ৯৬ হাজার ৩৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এত সময় পার হলেও এখনো মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি। যদিও এ সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদের সহকর্মীরা।

    বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও চান এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হোক:
    এত বছর পার হলেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু না হওয়ায় দ্রুত বিচারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতারা। স্মারকলিপি গ্রহণের পর সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দ্রুত দিতে র‌্যাবকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিচার তো আমরা করতে পারবো না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবো। চেষ্টা করছি, অনেক বছর তো হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। উদীয়মান দুই সাংবাদিক, যাদের অনেক প্রতিভা ছিল, তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। তারা আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছেন। আমরাও চাই কেন এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটি উদঘাটন করতে।

  • দেশ পাকিস্তান হবে নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সেই সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে: তথ্যমন্ত্রী

    দেশ পাকিস্তান হবে নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সেই সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ পাকিস্তান হবে নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর হবে সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী নির্বাচনে।

    তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে আমরা ২৫ টি দেশকে পেছনে ফেলে এখন ৩৫ তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। এই ৩৫ টি দেশের মধ্যে অর্থনীতির আকারে জিডিপিতে আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলেছি। আর পিপিপিতে আমরা পৃথিবীতে ৩১ তম অর্থনীতির দেশ।

    মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, এখন মানুষের মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলারের কাছাকাছি। ১৪ বছর আগে আমরা সব সূচকে পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে ছিলাম, আজ থেকে ৬ থেকে ৭ বছর আগে সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। করোনা মহামারীর মধ্যে অর্থনৈতিক সূচকে মাথাপিছু আয় এর ক্ষেত্রে ভারতকে অতিক্রম করেছে।

    শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ড. হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটি নির্বাচনের বছর, সাংবাদিকরা জনমত গঠন করে, মানুষের মনন তৈরি করে। আগামী নির্বাচন দেশের জন্য এবং জাতির জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ সেই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি চলমান সেটি অব্যাহত থাকবে কিনা। নাকি দেশ আবার পশ্চাৎপদ হবে।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ উদ্দিন রেজা।

    বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, বিএফইউজে সহ সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক ও মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রুবেল খান, সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মহরম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে উপমহাদেশের কোন দেশে এভাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়না। করোনাকালীন সময়ে বিশেষ তহবিল গঠন করে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়েছে সেটিও উপমহাদেশের কোন দেশে করা হয়নি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা প্রসূত একটি প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ভরসার স্থল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব নেত্রী। তাঁর সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। সে কারণেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব ঐচ্ছিক তহবিল থেকে মাঝেমধ্যে সাংবাদিকদের সহায়তা করে থাকেন।

  • সাধারণ সভায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে স্বাবলম্বী করার অঙ্গীকার

    সাধারণ সভায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে স্বাবলম্বী করার অঙ্গীকার

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা।

    ২০২৩-২০২৪ সেশনের দ্বি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

    সভাপতির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে স্বাবলম্বী করার জন্য ইতোমধ্যে রূপরেখা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনা কমিটি সচেষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে তিনি সকল সদস্যের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    আলোচনায় অংশ নেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান এবং আলহাজ্ব আলী আব্বাস, স্থায়ী সদস্য শহীদ উল আলম, অঞ্জন কুমার সেন, এম নাসিরুল হক, স্বপন কুমার মল্লিক, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, মোস্তাক আহমেদ, দেব প্রসাদ দাশ, আসিফ সিরাজ, একরামুল হক বুলবুল, তপন চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আলী, কাজী আবুল মনসুর, ম. শামসুল ইসলাম, হামিদ উল্লাহ এবং মো. ফরিদ উদ্দিন।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক এম. সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক আহমেদ কুতুব, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ, মোয়াজ্জেমুল হক, মোহাম্মদ আইয়ুব আলী ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

    আলোচনার ভিত্তিতে সংযোজন ও বিয়োজনের মধ্য দিয়ে দ্বি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

  • চট্টগ্রামে ওসি প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

    চট্টগ্রামে ওসি প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

    চট্টগ্রাম মহনগর বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের ভিডিও ধারণকালে এনটিভির ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্চিত ও গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির।

    এসময় ওসি নিজেই এনটিভির ধারণ করা ভিডিও ফুটেজের মেমোরি কার্ড নিয়ে নেয়।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে নগরীর নাসিমন ভবনের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসময় বিএনপির ৪ কর্মীকে আটক করে।

    এনটিভি চট্টগ্রাম অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমদ শাহ বলেন, বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটকের সময় আমি ও আমার ক্যামেরাম্যান সুমন গোস্বামী ভিডিও ধারণকালে ওসি কোতোয়ালী আমাদের বাধা দেন। তিনি ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ফুটেজের মেমোরি কার্ড খুলে নিলে আমি প্রতিবাদ করি। তখর তিনি দুই মিনিটের মধ্যে আমাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

    মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন,বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের পাশে জিয়া রহমানের জন্ম বার্ষিকীর দোয়া মাহফিল আয়োজন করা করেছিল। দোয়া মাহফিল শেষে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই ৮/১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    এদিকে ভিডিও ধারণা করার সময় ক্যামরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পরে কার্ডে থাকা বিভিন্ন ফুটেজ ডিলেট করে দেয়া ও ওসি জাহিদুল কবির সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদে বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোতোয়ালির ওসিকে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। প্রত্যাহার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সাংবাদিক নেতারা জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে পুলিশের কোন কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

  • মিরসরাই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজাম উদ্দিন আর নেই

    মিরসরাই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজাম উদ্দিন আর নেই

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::চট্টগ্রামের মিরসরাই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাসিক মীরসরাই ও সাপ্তাহিক বন্দরনগরীর সম্পাদক ও প্রকাশক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)।

    বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

    তিনি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন মিরসরাই পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড নাজিরপাড়া গ্রামের মরহুম মোজফ্ফর আহম্মদের বড় ছেলে। উনার মৃত্যুতে মিরসরাইয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    মিরসরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নুরুল আলম বলেন, নিজাম ভাই এভাবে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এতো তাড়াতাড়ি না ফেরার দেশে চলে যাবেন ভাবতে পারছিনা। মিরসরাইয়ের সাংবাদিকরা একজন অভিবাবক হারিয়েছে। তিনি আমাদের ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। উনার শুন্যতা পূরণ হওয়ার মতো না। তিনি আরো বলেন, ভারতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) উনার মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হবে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।

    মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন মৃত্যুকালে মা, স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী, আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

  • ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে : তথ্যমন্ত্রী

    ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে শুধু নয়, মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ক আরো গভীরতর করতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

    তিনি বলেন, এখন আর আকাশ থেকে কুড়ে ঘর দেখা যায় না, বাস্তবিক অর্থে কুড়ে ঘর হারিয়ে গেছে, এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমাদের এই বদলে যাওয়ার পেছনে পাশর্^বর্তী দেশ ভারতের সাথে গত ১৪ বছর ধরে আমাদের যে সুসম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সেই গভীর সম্পর্ক আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে।

    রোববার (৮ ডিসেম্বর) অপরাহ্নে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে সফরে আসা ৯ সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

    এর আগে তথ্যমন্ত্রী ভারতীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলীস্থ ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, সাধারণ সম্পাদক কিংসুক প্রামাণিক, আসামের সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দু’দেশের নাগরিক বটে, কিন্তু আমরা একই পাখির কলতান শুনি, একই নদীর অববাহিকায় আমরা বেড়ে উঠি। একই মেঘ আমাদের এখানে বারিষণ করে। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের এই বন্ধনকে বিভক্ত করতে পারেনি। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য কৃষ্টি ভাষা, সবশেষে আমাদের ভালোবাসাকে বিভক্ত করতে পারেনি।

    তিনি বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের এই আত্মিক সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে একাত্ম হয়েছে একাত্তর সালে। যখন আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতের সেনাবাহিনী রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের কষ্টের সাথে ভারতের মানুষও কষ্ট স্বীকার করেছে। এক কোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যতই কাঁটাতারের বেড়া দিক, কিংবা অন্য কোন আইন-কানুন হোক না কেন, রক্তের অক্ষরে লেখা হৃদয়ের এই বন্ধন কখনো বিভক্ত করা যাবে না।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আগমন, বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ স্বচক্ষে দেখা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বদলে গেছে, আজকে যে ছেলেটি ১৪ বছর আগে বিদেশ গেছে সে এসে নিজের শহর চিনতে পাওে না, নিজের গ্রাম চিনতে পারে না। ‘পায়ে চলা মেঠোপথ গেছে বহুদূর, রাখালি বাঁশির সুর সরল মধুর’ সেটি শুধু কবিতায় আছে, এখন সহজে পায়ে চলা মেঠোপথ গ্রামেও খুঁজে পাওয়া যায় না।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষের আত্মিক খোরাক জাগায়, অনুম্মোচিত বিষয়কে উম্মোচিত করে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখে। এখান থেকে গিয়ে যখন আপনারা কলম ধরবেন কিংবা টেলিভিশনে রিপোর্টিং হবে তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে। আমাদের দেশের বদলে যাবার গল্পটা ভারতবাসী জানবে, বিশ^বাসী জানবে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। আমরা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। কিন্তু আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯২তম। ঝড় বন্যা জলোচ্ছ্বাসের দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এখানে নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সবকিছুকে পরাভূত করে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে উন্নয়নের সোপানে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে আমাদের এ প্রিয় মাতৃভূমি।

    তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা করে। কিন্তু আমাদের দেশের বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা দেখেও দেখে না, শোনেও শোনে না। তারা ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলে কোন উন্নয়ন হয়নি। পদ্মাসেতু দিয়ে ওপাড়ে পার হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতায় বলে কিছুই হয় নাই। এটিই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।

    মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।

  • জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

    জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

    জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি আজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নবনির্বাচিত ও বিদায়ী কমিটির যৌথ সভায় এই দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের পুনঃনির্বাচিত সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

    সভার শুরুতে সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং নতুন ও বিদায়ী কমিটির সবাইকে অভিনন্দন জানান।

    বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি আধুনিক ও স্মার্ট প্রেস ক্লাব গঠনে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদ্য প্রয়াত সদস্য মাইন উদ্দিন আহমেদ-এর আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর নবনির্বাচিত ও বিদায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

    সভায় বরেণ্য স্থপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবাশ্বের হোসেনের মৃত্যুতে সভায় আনুষ্ঠানিক শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। শোক প্রস্তাবে বলা হয়, তাঁর মৃত্যুতে শুধু দেশের নয়, জাতীয় প্রেস ক্লাবেরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কারণ তিনি ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সের নকশা প্রণয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সভায় তাঁর বিদেহীর আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।