Category: জাতীয়

  • সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

    সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

    রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে কমিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

    জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি:

    বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী।

    জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

    জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে বলে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

    পুলিশ সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি:

    বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন।

    ১. পুলিশ সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে ১০টি সভা করেছে। পাশাপাশি অংশীদারদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে।

    ২. জনসাধারণের মতামত চেয়ে একটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে; যা ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

    ৩. কিছু আইন ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে যেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়া সহজ করে তোলার জন্য যথাযথ প্রস্তাব করা হচ্ছে।

    ৪. মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করার প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে।

    ৫. ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর কতিপয় ধারা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তা পরিবর্তন করা হবে কি না সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

    নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি:

    বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

    বৈঠকে যা জানানো হয়-

    ১. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

    ২. অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে।

    ৩. জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকার সমন্বয় করা হচ্ছে।

    ৪. নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    ৫. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।

  • হিযবুত তাহরীরের মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দুজন আলাদা

    হিযবুত তাহরীরের মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দুজন আলাদা

    হিযবুত তাহরীর নেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুজন আলাদা ব্যক্তি বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ এ তথ্য জানায়।

    একটি ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করা হয়। পোস্টটিকে অসত্য দাবি করে দেওয়া ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ইংরেজি দৈনিক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড দ্বারা প্রকাশিত একটি নিবন্ধের একটি স্ক্রিনশট রয়েছে, যেখানে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের কথিত সদস্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুজন আলাদা ব্যক্তি।

  • সারদায় পুলিশের আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

    সারদায় পুলিশের আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

    শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ক্যাডেটকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ক্যাডেটকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    সারদা পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা যায়, গত মাসে প্রশিক্ষণরত ৫৯ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) শোকজ করা হয়। প্রশিক্ষণ ক্লাসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে তাদেরকে এই নোটিশ দেওয়া হয়।

    এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি দিয়েছিল সরকার। গত ২১ অক্টোবর একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) তারেক বিন রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

  • প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি-২ ফেব্রুয়ারি

    প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি-২ ফেব্রুয়ারি

    টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    বৈঠকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নিলেও মাওলানা জুবায়েরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হননি।

    ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

    তাবলিগের একাংশের মুরুব্বি ও ভারতের মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই পক্ষ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।

    একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে আছেন আলমী শুরাপন্থি বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।

  • আগে প্রতাপশালী অপরাধী ছাড় পেয়ে যেত, তা আর হবে না

    আগে প্রতাপশালী অপরাধী ছাড় পেয়ে যেত, তা আর হবে না

    অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ক্রিমিনালকে (অপরাধী) কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া যাবে না। সে যত প্রতাপশালী হোক না কেন। আগে অনেক সময় অনেক প্রতাপশালী অপরাধী ছাড়-টার পেয়ে যেত। সেটা আর হতে দেওয়া যাবে না।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট ঘিরে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেও সন্তোষজনক নয় বলে স্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে একটু উন্নতি হয়েছে, কিন্তু আরও উন্নতি হওয়া দরকার। খুব একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে যে চলে গেছে, তা না। এখন যদি বলেন- আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন। জাস্ট সন্তোষজনক কিন্তু এটা আরও ভালো হওয়া দরকার।

    পরিস্থিতির উন্নতিতে সময় চেয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেহেতু আপনারা জানেন ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে। বিজিবিতেও অনেক চেঞ্জ করা হয়েছে। এজন্য একটু সময় লাগছে, তবে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। সামনের দিকে আরও উন্নতি হবে।

    বিজিবিকে এক গুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়ার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সঙ্গে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবির যেহেতু বর্ডার ভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।

    সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য প্রবেশ ঠেকাতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনেক সময় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য চলে আসে। কোনো অবস্থায় যেন আর না আসে। এগুলো আমাদের জাতির অনেক অনেক ক্ষতি করছে।

    রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারাদিনই গুলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা ঢুকতে পারে না। আমাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে, এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। তবুও কিছু ঢুকছে আমিও অস্বীকার করি না।

    বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই হতে হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে। যেহেতু অন্যান্য অনেকগুলো হচ্ছে, এটাও হয়ে যাবে। কি হবে বলতে পারবো না। তবে যে কোনো একটা হইতেই হবে।

    রমনা থানা ৫০ গজের মধ্যে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে এটা আমি জানি না। এ জন্য উত্তরটা আমি দিতে পারবো না। আমি গিয়ে দেখবো।

    এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

  • লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৭০ বাংলাদেশি

    লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৭০ বাংলাদেশি

    চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৭০ বাংলাদেশি। এ পর্যন্ত সাতটি ফ্লাইটে ৩৩৮ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক যারা তাদের ফেরত আনা হয়েছে। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটের মাধ্যমে ৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হলো।

    প্রত্যাবাসন করা অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম।

    আইওএম-এর কর্তৃপক্ষ লেবানন থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

    বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন।

    এদিক, এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

  • কক্সবাজারে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কোম্পানি করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড

    কক্সবাজারে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কোম্পানি করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড

    কক্সবাজারে একটি ফিনিশ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কোম্পানি করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড। এই কোম্পানির মাধ্যমে কক্সবাজারের ব্যবহৃত প্লাস্টিককে প্লাস্টিক শিটে পরিণত করবে এবং তা পুনর্ব্যবহার করা হবে। যা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণবিপ্লব, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার সরকারের পূর্ণ সমর্থন এবং দেশের সংস্কারে অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    রাষ্ট্রদূত লাহদেভির্তা বলেন, ফিনল্যান্ড সরকার বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য এক মিলিয়ন ইউরো এবং আরও এক মিলিয়ন ইউরো সুশীল সমাজের মাধ্যমে দেবে।

    ইউনূস ছাত্র বিপ্লব এবং সংস্কার কমিশনের কাজ এবং তার সরকারের কাছ থেকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলেন।

    তিনি বলেন, স্বৈরশাসক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, তবে দ্রুত এবং কঠোর সংস্কার পদক্ষেপ এরইমধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে।

    রিজার্ভ বাড়ছে এবং সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে খরচ না করেই আন্তর্জাতিক অর্থ দেওয়া শুরু করেছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি উল্লেখ করেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াসে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন।

    রাষ্ট্রদূত জানান, আরো ফিনিশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে আগ্রহী এবং বিডা কর্তৃক এফডিআই দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রদূত তাদের দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং এআই, সাইবার নিরাপত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফিনিশ পক্ষের আগ্রহের কথাও জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে তার দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

  • একীভূত হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

    একীভূত হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

    সমন্বয়ে সুবিধা ও কাজে গতিশীলতা আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করা হচ্ছে।

    রোববার (৩ নভেম্বর) দুই বিভাগকে এক করার অনুশাসন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’ দু’টির কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনয়ন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে একত্রীকরণে প্রধান উপদেষ্টা সদয় অনুশাসন দিয়েছেন।

    এমতাবস্থায় জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ দুটিকে একত্রীকরণের বিষয়ে পরবর্তী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

    এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগকে একীভূত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।

    এর আগে, ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে দু’টি বিভাগ গঠন করে।

  • আদানির বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে : প্রেস সচিব

    আদানির বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে : প্রেস সচিব

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। ফলে এখন সেন্ট্রাল রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া পেমেন্ট দেওয়ার গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।

    রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    প্রেস সচিব বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। পূর্বের যে বিল বাকি আছে সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ফাইল অব বেকলট রেখে গিয়েছিল।

    তিনি বলেন, আদানি গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করেছি। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের তরফ থেকে পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    দেশের রিজার্ভ বাড়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো রিজার্ভে হাত না দিয়েই করতে পারছি। পেমেন্ট ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারব।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা কারো দ্বারা পাওয়ার হোস্টেজ (জ্বালানি নির্ভরতা) হব না। নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বছরে ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকা পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। কত টাকা পাচার হয়েছে, তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

    ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

  • পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

    পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

    দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    রোববার তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমি তরুণদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হলো পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।’

    তরুণদের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি? একবার আপনি কী করতে চান তা বুঝতে পারলে আপনি তা করতে পারবেন। কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে বলে।’

    প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্রবিপ্লবের দিকে তাকান, তবে এটি প্রযুক্তির বিষয়। তারা একে অপরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারত। তাদের কোনো কমান্ড কাঠামো ছিল না।’

    ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের তরুণ যুবকেরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। তরুণরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়।

  • চব্বিশের আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা : সোহেল তাজ

    চব্বিশের আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা : সোহেল তাজ

    ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ।

    তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

    রোববার বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে পদযাত্রা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন,‌ মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় চার নেতার অবদান-আত্মত্যাগ বইপুস্তকে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে ২৪-এর আন্দোলনও তুলে ধরতে হবে।

    আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান সোহেল তাজ বলেন, যেই দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দল ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। একক কারো নেতৃত্বে হয়নি। অথচ দলটি মুক্তিযুদ্ধকে নিজের পক্ষে ইতিহাস বানিয়ে নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি আওয়ামী লীগের আমলে।

    সোহেল তাজ বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।

    তিনি বলেন,‌ দেখতে দেখতে জেল হত্যা দিবসের ৪৯ বছর পার হয়ে গেল। অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    এরপর প্রধান উপদেষ্টার কাছে তিন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন‌ সোহেল তাজ। তিন দফার মধ্যে রয়েছে—

    * ১০ এপ্রিল ১৯৭১ যেহেতু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা।

    * ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

    * জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

  • ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানির

    ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানির

    বকেয়া ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি।

    এর আগে বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় ভারতের আদানি গ্রুপ। গত বৃহস্পতিবার দিনে প্রতিষ্ঠানটির ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বুধবার পর্যন্ত গড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

    বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আদানির পাওনা প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেশের কয়লাভিত্তিক বড় দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র এস আলম ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও উৎপাদন কমেছে।

    সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি আদানি পাওয়ারের (ঝাড়খণ্ড) প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ বকেয়ার বিষয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান করেনি এবং ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের (১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ করেনি। সময়মতো এলসি না দেওয়া এবং বকেয়া পরিশোধ না করায় চুক্তির ব্যত্যয় ঘটেছে, যা আদানি বিদ্যুতের সরবরাহ বজায় রাখতে বাধাগ্রস্ত করছে। বকেয়া পরিশোধ ও এলসির অভাবে কয়লা সরবরাহকারী এবং কেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। চিঠিতে আদানি পিডিবিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায়। না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলেও জানায়।

    এদিকে এস আলম গ্রুপ তাদের এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পিডিবির কাছে দুই হাজার কোটি টাকা পাবে। এসএস পাওয়ার ১-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তান ঝেলিং একটি চিঠিতে পিডিবিকে জানিয়েছে, দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না হলে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা সম্ভব হবে না।

    বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রও কয়লা সংকটের কারণে ইউনিট-২ বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও ইউনিট-১ বর্তমানে গড়ে ৩৫০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করছে। রামপালেরও পিডিবির কাছে বড় অঙ্কের পাওনা জমেছে।

    বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট।