Category: জাতীয়

  • সচিবদের ২৫ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার

    সচিবদের ২৫ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার

    নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এসব‌ নির্দেশনা সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সচিব ও সিনিয়র সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

    প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গত ৪ সেপ্টেম্বর সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিনি সিনিয়র সচিব/সচিবদের উদ্দেশে এ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো চিঠিতে জানানো হয়েছে।

    নির্দেশনাগুলো হলো—

    ১. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ‌‘মার্চিং অর্ডার’ অনুসরণ করতে হবে।

    ২. সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে জরুরি-ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা এবং একই সঙ্গে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

    ৩. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের মতামত নিতে হবে।

    ৪. বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

    ৫. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

    ৬. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।

    ৭. বাজেটের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

    ৮. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

    ৯. বর্তমানে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।

    ১০. নিজ কর্তব্যকর্মে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে হবে।

    ১১. সেবা-প্রার্থীদের কেউ যেন কোনরূপ ভোগান্তি, হয়রানি কিংবা কোনো কারণে দীর্ঘসূত্রিতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ১২. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।

    ১৩. প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম নিতে হবে।

    ১৪. জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করে তা অব্যাহত রাখতে হবে।

    ১৫. কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    ১৬. সরকারকে জনবান্ধব সরকারে পরিণত করতে সমবেতভাবে কাজ করতে হবে।

    ১৭. মানবসম্পদ উন্নয়নে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যাচাই করে প্রয়োজনে সংস্কার করতে হবে।

    ১৮. বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে।

    ১৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

    ২০. গ্যাসের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

    ২১. খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহ সন্তোষজনক রাখতে হবে।

    ২২. আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানির বিকল্প উৎস বের করতে হবে।

    ২৩. ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

    ২৪ . শিল্প উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ২৫. আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।

    চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া এসব নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে সচিবদের একান্ত সহযোগিতা ও উদ্যোগ কামনা করা হয়। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সেই বিষয়ে অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।

  • ৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি

    ৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি

    ৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজকে প্রধান করা হয়েছে।

    সোমবার (৭ অক্টোবর) এ কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।‌ পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

    সংবিধান সংস্কার কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, বার-এট-ল’ ইমরান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া, বার-এট-ল’ এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।

    ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে আছেন যারা
    প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।

    সংবিধান সংস্কার কমিশন ৬ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাজে হস্তান্তর করবে।

    প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কমিশন কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত পদমর্যাদা, বেতন/সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে, তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

  • বাজার তদারকি করতে জেলা পর্যায়ে ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ গঠন

    বাজার তদারকি করতে জেলা পর্যায়ে ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ গঠন

    নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারকি এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মেহেদী হাসান রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

    ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে একটি ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ গঠন করা হলো।

    এই টিমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহ্বায়ক এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, ক্যাবের প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি এবং ২ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন।

    যেসব কাজ করবে টাস্কফোর্স

    প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে—

    ক. টাস্কফোর্স নিয়মিত বিভিন্ন বাজার, বৃহৎ আড়ৎ, গোডাউন, কোল্ড স্টোরেজ ও সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য স্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারকি করবে।

    খ. টাস্কফোর্স উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ের মধ্যে যাতে দামের পার্থক্য ন্যূনতম থাকে তা নিশ্চিত করবে ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা করবে।

    গ. টাস্কফোর্স প্রতিদিনের মনিটরিং শেষে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল (হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর – ০১৯১২৯৩০৫৯২ ও ই-মেইল ate2.pmfc@mincom.gov.bd) এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর ০১৭১১-২৭৩৮০২ ও ই-মেইল: dd-operation@dncrp.gov.bd) পাঠাবে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন সংকলন ও পর্যালোচনা করে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠাবে।

    ঘ. টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

    একইসাথে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এবার সাময়িক বরখাস্ত

    সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এবার সাময়িক বরখাস্ত

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    সোমবার (০৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এর আগে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

    এর আগে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি মোবাইল ফোনে বলেন, আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। পরে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

    তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশকিছু পোস্টও করেছেন।

  • প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

    প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

    লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাকে ওএসডি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাপসী তাবাসসুম।

    রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। তবে এখনও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হাতে পাইনি।’

    এর আগে শনিবার নিজের ফেসবুকে তাপসী তাবাসসুম উর্মি লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাপসী তাবাসসুম উর্মি বলেন, ‘আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বদলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর জন্য যদি আমার চাকরি চলে যায়, সমস্যা নেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কি? তাহলে তো আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আমাদের দেশে সরকার হিসেবে আছে। আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্বশীল জায়গা এটাই। বলা হচ্ছে জুলাই গণহত্যা, এগুলো সবই তদন্ত সাপেক্ষে, মীমাংসিত সত্য না। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি তো।’

    বিষয়টি নজরে এসেছে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা জেনেছি, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

  • দিল্লির সুপারশপে দেখা মিললো সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুলের

    দিল্লির সুপারশপে দেখা মিললো সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুলের

    পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সর্বশেষ তাকে ভারতের নয়াদিল্লির একটি গ্রোসারি সুপারশপে দেখা গেছে।

    রোববার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে প্রবাসী বাংলাদেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, দেশ থেকে পালিয়েছেন পুলিশের সাবেক প্রভাবশালী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।

    ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে মনিরুল ইসলামের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    তবে সম্প্রতি মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি দেশেই ছিলেন, দেশেই আছেন। ভবিষ্যতে দেশেই থাকবেন।

    মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ১২টির বেশি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদ্য সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

    অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ব্যয় করার জন্য গত ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে নিজের কক্ষে রেখেছিলেন মনিরুল। কিন্তু সেই টাকা বিতরণ করার আগেই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়। ওইদিন থেকে আর অফিসে যাননি মনিরুল। কিন্তু তার কক্ষে ২৫ কোটি টাকা থাকার তথ্যটি এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা জানতেন। পরে সেই টাকা এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের কাছে নিয়ে নেন।

    ২৫ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পুলিশ সদরদপ্তর থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) ডিআইজি গোলাম কিবরিয়াকে কমিটির প্রধান করা হয়।

    ২০২১ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান থেকে এসবিপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মনিরুল ইসলামকে।

    মনিরুল ইসলামের জন্ম ১৯৭০ সালের ১৫ জুন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার মাধ্যমে এএসপি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি গোয়েন্দা শাখায় ৯ বছর এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া তিনি সিটিটিসির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কর্মকর্তা।

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মনিরুল বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পান।

    এদিকে, গত ৭ সেপ্টেম্বর মনিরুল ইসলামের স্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। বিসিএস ১৭ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের মহাসচিব।

  • এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার

    এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার

    সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    রোববার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।

    তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সোমবার (৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।

    ২০১৫ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান নজিবুর রহমান৷ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নতুন মুখ্য সচিব করা হয়।

    নজিবুর ১৯৮২ সালে বিসিএস ব্যাচের প্রসাশন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে।

  • সৎ-নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার : প্রধান উপদেষ্টা

    সৎ-নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার : প্রধান উপদেষ্টা

    ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    রোববার (৬ আগস্ট) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ উদ্বোধন করেন।

    প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

    আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    আইএসপিআর জানায়, পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার প্রতি। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সব বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

    প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।

    এছাড়া সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সব অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন।

    তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে তিনি তার মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

    আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।

    নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন

  • ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি র‌্যাব: মুনীম ফেরদৌস

    ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি র‌্যাব: মুনীম ফেরদৌস

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর র‌্যাব কখনোই প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি বলেন, র‌্যাব ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।

    রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র‌্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র‌্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি।

    র‌্যাবে আট বাহিনী থেকে সদস্য আসে। ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। র‌্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র‌্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি।

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে মুনীম ফেরদৌস বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ আগস্টের পরে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

    র‌্যাব নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। র‌্যাবের কাছে কেউ যদি কোনো তথ্য পায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র‌্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

    ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডিবির হারুনের মতো বিতর্কিতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের বিষয় র‌্যাবে কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।

  • বিদ্যুৎ বিভাগ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব

    বিদ্যুৎ বিভাগ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব

    বিদ্যুৎ বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। রোববার (৬ অক্টোবর) এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    বিদ্যুৎ বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারজানা মমতাজ। তাকে সচিব পদে পদোন্নতির পর এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান ৯ অক্টোবর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাচ্ছেন।

    অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। তাকেও সচিব পদে পদোন্নতির পর এ নিয়োগ দিয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    এছাড়া ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আখতার জাহানকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

  • নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সংস্কার নিয়ে সংলাপে নানা মত

    নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সংস্কার নিয়ে সংলাপে নানা মত

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ করেছেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। সংলাপে সংস্কার ও আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের রোডম্যাপের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে জামায়াতসহ কেউ কেউ নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন নানা মত।

    শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় বিএনপি দিয়ে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে সংলাপ। এদিন আটটি দল সংলাপে অংশ নেয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন।

    বিএনপির পর ধাপে ধাপে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ (দুই অংশ) সংলাপে অংশ নেয়।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। আগে আরও দুই বার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে এই সরকার। এবার সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে হাত দিতে যাচ্ছে, এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতেই তৃতীয় দফার এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।

    সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করা হয়েছে।

    ফখরুল জানান, নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের এক নম্বর অগ্রাধিকার, এটি প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন।

    প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন ফিট লিস্ট এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিয়োগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-একজন আছেন যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছে, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।

    ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন কবে নির্বাচন করবে সে ব্যাপারে একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা এনআইডি কার্ড যেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাস্ত করতে আইন করা হয়েছিল সেটাকে অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে বাতিল করতে বলেছি।

    এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াতে ইসলামীও। সংস্কার সফল হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে বলে মনে করে দলটি। এজন্য নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারে গুরুত্বারোপ করেছে জামায়াত।

    সংলাপ শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগামী ৯ অক্টোবর আপনাদের মাধ্যমে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো আমরা জাতির সামনে উন্মুক্ত করব। আমরা আমাদের চিন্তা জাতির সামনে তুলে ধরব কী কী সংস্কার এই মুহূর্তে প্রয়োজন, কী কী সংস্কার পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের লাগবে।’

    জামায়াত সংস্কারকে এক নম্বরে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের টাইমলাইন কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দুইটা বিষয় দেশবাসীর কাছে চেয়েছি এবং সরকারের কাছে জানিয়েছি। একটা রোডম্যাপ হবে সংস্কারের, আরেকটা নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলে নির্বাচন সফল হবে। দুইটা বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

    গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে আমাদের মতামত দিয়েছি। আমরা বলেছি, সংস্কার আমাদের…. আমরা একটা সরকার বদলানোর আন্দোলন করছি না, নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি না, সামগ্রিকভাবে আন্দোলন করছি, যাতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়ায় একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করা যায়। আবার যাতে ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে, সে কারণে সংস্কার আগে প্রয়োজন।

    তবে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেই নির্বাচনের পথে যেতে হবে উল্লেখ করে মান্না বলেন, আমরা বলেছি, যতদূর পর্যন্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সংস্কার করতে পারবো, ততদূর পর্যন্ত আমরা সংস্কার করব। বাকি যেসব সংস্কার দরকার, তা পরের নির্বাচিত সরকার এসে করবে।

    অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা বলেছেন বলে জানান মান্না।

    বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতির ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। পুরনো সিন্ডিকেট আবার যে নতুন চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছি। তারা বলেছেন, চারটা কাজকে অগ্রাধিকার মধ্যে নিয়েছেন। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। আমরা দেখতে চাই, মানুষ যেন এর সুফল পায়। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য যাতে বন্ধ হয়।’

    অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আরও ৯টি সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব পেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

    সংলাপে দলের আমির প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, বর্তমান সরকার জনমতের প্রতিফলনের সরকার। আপনাদের সাথে দেশের জনগণ রয়েছে, আপনারা সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার। কিন্তু খুনি, অর্থ পাচারকারী, দাগি, অপরাধীরা কীভাবে দেশ থেকে পালালো? আপনারা কেন তাদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।

    চরমোনাই পীর বলেন, সংস্কার কাজ শেষ করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বৈরাচারীরা যেন কোনোভাবে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে না পারে তার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করে নির্বাচন দিতে হবে।

    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ৬ দফা পর্যবেক্ষণ ও ১১ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে এবি পার্টি। এ সময় দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান করে দলটি।

    এ সময় এবি পার্টির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার নিকট ৬ দফা পর্যবেক্ষণ ও ১১ দফা দাবি, পরামর্শ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

    সংলাপ শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যেন কোনোভাবেই রাষ্ট্রীয় সংস্কার কমিটিতে যুক্ত হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    আলোচিত এই হেফাজত নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আমরা জানতে পেরেছি সংস্কারের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার ভিত্তিতে তারা সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। তারপর প্রস্তাবনাগুলো চূড়ান্ত সংস্কার করা হবে।

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা ১২টি প্রস্তাব দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রকাশ করা; যেহেতু সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কার অভ্যুত্থানের একটি মৌলিক ধারণা ও এই সময়ের অপরিহার্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই গণহত্যায় জড়িত পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

    এছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের পরিসর বাড়ানো, দলবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

  • ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন : প্রেস সচিব

    ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন : প্রেস সচিব

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো দেবে। সেগুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।

    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফার সংলাপ শেষে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোড ম্যাপের ব্যাপারে যে আলাপটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ছয়টা কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বাকিটা দু’একদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে।

    রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ছয়টি কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলবে, তাদের তিন মাসের টাইমলাইনের মধ্যে। এরপর তিন মাসের মধ্যে একটা রিপোর্ট দেবেন। প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আবার উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।

    তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনী কাজগুলো এগিয়ে যাবে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। কারণ ঐকমত্যটা রিফর্মের ব্যাপারে রিচ হলে যাতে খুব দ্রুত নির্বাচনটা দিয়ে দেওয়া যায়।

    শফিকুল আলম বলেন, এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না। প্রসিডিওরটা কীভাবে হবে তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।