Category: জাতীয়

  • ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ

    ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চলাকালীন ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা-২০১৯ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

    ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এ বছর মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী এই দুই পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছর এ সংখা ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন। এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন ও জেডিসিতে ৪ লাখ ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।

    সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি জানান, এবার সারাদেশে মোট ২৯ হাজার ২৬২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ২৯ হাজার ৬৭৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার সারাদেশে মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে। ২০১৯ সালের জেএসডি পরীক্ষীয় অনিয়মিত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন ও জেডিসি পরীক্ষীয় ৩০ হাজার ২৯১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

    পরীক্ষায় ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি কেউ এ সময়ের পরে আসে তবে তার কারণ ও যাবতীয় তথ্য লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সেই তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাতে হবে।

  • শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে পৌছাবে পেঁয়াজের বড় চালান। থাকবে না আর সংকট। কমবে দাম, খুচড়া মূল্য হবে ক্রেতাদের নাগালে। আর এটি সম্ভব হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের কল্যাণে।

    সম্প্রতি মিসর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির ঋণপত্র খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও ২০১৬ সালে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সচেষ্ট ছিল এস আলম গ্রুপ।

    এদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গত দেড়মাস ধরে পেঁযাজের বাজার নিয়ে চলমান অস্তিরতার স্থিতিশীল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেঁয়াজের বড় চালানটি শিগগির পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে যোগদান শেষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই সমস্যা সাময়িক। আরও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।

    জানা যায়, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেই জন্য এস আলম শিল্প গ্রুপটি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ তুরস্ক ও চীন থেকে আড়াই হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। এসব পেঁয়াজ দেশে এলে দামের ঊর্ধ্বগতি কমে আসবে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

    এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক মো. আখতার হাসান বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর এ পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেড় মাস ধরে বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ সংকটের শুরুতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালায় এস আলম গ্রুপ। তবে বড় চালান না পেয়ে গ্রুপটি মিসরের দ্বারস্থ হয়।

    তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি জন্য ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হয়। ইতিমধ্যে সব কিছু চূড়ান্তও হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসের (নভেম্বর) প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত জাহাজগুলো।

    ব্যাবসায়িক লাভের উদ্দ্যেশে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না জানিয়ে গ্রুপটির বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে, সে জন্য ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনে আমদানির উপর ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই এসব পেয়াঁজ বিক্রি করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের চালানটি বন্দরে আসার সাথে সাথে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বৃহৎ পাইকারী বাজারগুলোতে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    সামাজিক দায়বদ্দতা থেকে এমন মহৎ উদ্দ্যেগ নেওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপ ছাড়াও দেশের যেকয়টি বড় শিল্প গ্রুপ মিসর,তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে সবাইকে স্বাগত জানিয়েছে চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িরা।

    তারা মনে করেন এস আলম গ্রুপ ছাড়াও শিল্প গ্রুপ টি কে গ্রুপপ, পিএইচপি গ্রুপসহ চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপগুলো এ ধরনের উদ্দ্যেগ নিয়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি থামবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর।

    একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।

  • চট্টগ্রামের মিনা ও শ্যামলসহ অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৮ পুলিশ কর্মকর্তা

    চট্টগ্রামের মিনা ও শ্যামলসহ অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৮ পুলিশ কর্মকর্তা

    বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৮ পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

    আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়।

    এর মধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে দুজন। এরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ।

    এছাড়াও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পাওয়া অন্য জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, যশোর জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক পিপিএম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার টি,এম, মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান পিপিএম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন খান বিপিএম (বার) ও পিপিএম এবং ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কমর্র্কতাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ বরাবর যোগদানপত্র দিতে অনুরোধ করা হয়।

  • জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা

    জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা

    আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমা তাবলিগ জামাতের বিবদমান দু’পক্ষ আলাদাভাবে আয়োজনে সম্মত হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ এবং ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি দু’পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে।

    ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাদ অনুসারীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দেন।

    বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ার হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    জানা গেছে, দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলাদাভাবে ইজতেমার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আগামী ১০,১১ ও ১২ জানুয়ারি সা’দ বিরোধী অংশ টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা আয়োজন করবে। পরের সপ্তাহেঅর্থাৎ ১৭,১৮ ও ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দের অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

    বৈঠকে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা সাদ কান্ধলবি অংশ না নেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    এ ছাড়া দু’পক্ষই আলাদাভাবে ইজতেমার আগে ৫ দিনের জোড় করবে। তবে তা টঙ্গী ময়দানে করা যাবে না।

    কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে গতবছর তা বিলম্বিত হয়।

    পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।

  • একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

    একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি আজ সোমবার কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘৭ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত সকল অধিনায়কের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

    সেনাপ্রধান আধুনিক ও যুগোপযোগি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। আজ আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের ‘ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার এন্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং’ সেনাবাহিনীর প্রধান’কে আজ সোমবার কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘৭ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত করেন।

    এরআগে জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

    পরে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের জ্যেষ্ঠ অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারুক এবং জ্যেষ্ঠ সুবেদার মেজর ‘অনারারি ক্যাপ্টেন’ রশিদ সেনাবাহিনী প্রধান’কে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’র র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।

    এরপর তিনি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যদের দরবার গ্রহণ করেন এবং দরবার শেষে কর্নেল কমান্ড্যান্ট কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন।

    এছাড়াও জেনারেল আজিজ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

    আইএসপিআর জানায়,সেনাবাহিনীর প্রচলিত রীতি অনুযায়ি একজন সিনিয়র অফিসারের প্রতি গভীর ও আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করে পিতৃসুলভ অভিভাবকের আসনে ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ উপাধি দিয়ে অভিষিক্ত করা হয়ে থাকে।

    উক্ত অনুষ্ঠানে উর্দ্ধতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসামরিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ইঞ্জিনিয়ার কোরের সামরিক ও অসামরিক সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • ১৯৭২ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর

    ১৯৭২ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর

    ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের ৩ কপি কার্যবিবরণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে ’৭২ সালের বৈঠকসমূহের মূল ইংরেজি থেকে স্ক্যান করা ১ কপি, এর নতুন ইংরেজি কপি এবং বাংলা অনুবাদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সব কর্মকান্ডের চেক-লিস্টের একটি কপি প্রধানমন্ত্রীকে দেন।

    আইসিটি বিভাগ প্রণীত কৌশলপত্রের একটি কপিও প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও এ বিভাগের সিনিয়র সচিব প্রণীত কপিটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    সকল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে গৃহীত কর্মপরিকল্পনার আলোকে এই কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়।

    ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসরণে এই কর্মপরিকল্পনা ও পরবর্তী কৌশল প্রণীত হয়।

    প্রতিমন্ত্রী ও সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ- অগ্রগতির ১০ বছর’ শীর্ষক একটি প্রকাশনাও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

  • খালেদা জিয়া ভালো আছেন : বিএসএমএমইউ পরিচালক

    খালেদা জিয়া ভালো আছেন : বিএসএমএমইউ পরিচালক

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক।

    সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক।

    দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে দেড় বছর ধরে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    গত শুক্রবার খালেদাকে দেখে আসেন কয়েকজন স্বজন। সেখান থেকে ফিরে তার বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, খালেদার শারীরিক অবস্থা ‘খুবই খারাপ’। তিনি পঙ্গু হওয়ার উপক্রম। জামিন হলে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার আগ্রহের কথাও বলেছিলেন সেলিমা।

    এছাড়া খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ বলে বিএনপির অনেক নেতা বিভিন্ন সময় বক্তব্য দেন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিএনপি প্রধানের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএসএমএমইউ পরিচালক।

    ডা. মাহবুবুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, কোনোভাবেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়নি।

    বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, গত সাত মাস আগে খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বাতজ্বরজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময়ের চিকিৎসায় বেশিরভাগ অসুখের উন্নতি হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

    মাহবুবুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার বাতজ্বরের আধুনিক চিকিৎসার শুরু করার জন্য এক ধরনের ভ্যাকসিন নেয়া প্রয়োজন কিন্তু তিনি ভ্যাকসিন নিতে রাজি হচ্ছেন না। চিকিৎসকরা কাউন্সেলিং করে যাচ্ছেন।

    এ সময় খালেদার চিকিৎসার্থে গঠিত মেডিকেল টিমের প্রধান ও বিএসএমএমইউ মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • মন্ত্রিসভায় ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

    মন্ত্রিসভায় ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

    ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সে অনুযায়ী, আগামী বছরে সাধারণ ও নির্বাহী আদেশে মোট ছুটি থাকবে ২২ দিন।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘২০২০ খ্রিস্টাব্দের ছুটির তালিকা’ অনুমোদন দেয়া হয়। ২২ দিনের মধ্যে ৮ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।

    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

    সচিব বলেন, ২২ দিনের ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৩ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে।

    এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ৮ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

  • প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

    প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানে চার দিনের সরকারি সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

    আজারবাইজানের শিক্ষামন্ত্রী জাইহুন আজিজ ওগলু বেরামভ এবং আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দিকী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

    ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটি ২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে সমাপ্ত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।

    শুক্রবার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি বাকু কংগ্রেস সেন্টারে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে ‘বান্দুং নীতিমালা’ সমুন্নত রাখার বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় বক্তৃতা করেন।

    বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। এ কারণে আমাদের দেশ এবং এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে তাদের নিজভূমিতে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্র সমাধান।’

    শনিবার অন্যান্য ন্যাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারের প্ল্যানারী হলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এরপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চন ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
    পরে সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডিন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন।

    এছাড়া তিনি হিলটন বাকুতে একই সঙ্গে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নেন।

    ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ আল মালকিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন।

    গতকাল দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

    পরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল হিলটন বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

  • ঢাকার পর চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে-ওবায়দুল কাদের

    ঢাকার পর চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে-ওবায়দুল কাদের

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি একটি সুখবর। রাজধানী ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম মহানগরীতে তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শিগগরই শুরু হবে।

    আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সড়ক ভবনে হাটহাজারী থেকে রাউজান সড়কের চারলেন প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সড়ক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ৫ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত করা হবে। মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য চট্টগ্রামে ইআরডিকে চিঠি দিয়েছি। তাদের দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি হবে। শিগরই এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    এসময় ওবায়দুল কাদের নির্মাণাধীন কর্ণফুলি ট্যানেলের ৪৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান। বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ট্যানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে গেছেন। তার সঙ্গে আমিও ছিলাম। এই টানেলের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম।

    তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন- চট্টগ্রামের মেট্রোরেল বা এমআরটি লাইনের ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু করার জন্য। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মেট্রোরেলের সাথে যারা জড়িত, তাদের বলেছি অবিলম্বে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু করতে হবে।

    উল্লেখ্য-প্রস্তাবিত মেট্রোরেল প্রকল্পে তিনটি এমআরটি লাইন করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ২৬ কিলোমিটার (২০টি স্টেশন), সিটি গেট থেকে নিমতলা হয়ে শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বর পর্যন্ত লাইন-২ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার (১২টি স্টেশন) এবং অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার ও পাঁচলাইশ থেকে একেখান পর্যন্ত লাইন-৩ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার (স্টেশন ১৫টি)। প্রায় ১ হাজার ৫শ ৪৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রস্তাবে।

    ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্ত্রী যে নতুন ৭টি প্রকল্প কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন সে প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৬) হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত ৪ লেনের প্রকল্প কাজ।

    ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ফটিকছড়ি সড়ক উপ-বিভাগ অফিস কাম পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, শাহ আমানত সেতুর ইলেকট্রনিক্স টোল সিস্টেম ও ওজন স্কেলের কার্যক্রম।

    ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৪তম কিলোমিটারে ৩১ দশমিক ৮২ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু প্রকল্প, সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট ওজন স্কেলের নবনির্মিত ৫ম লেনের কার্যক্রম।

    প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মইজ্জারটেক-বিএফডিসি-মৎসবন্দর ফেরিঘাট সড়কে ২টি পিসি গার্ডার সেতুর পুনঃনির্মাণসহ এক কিলোমিটার থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সেতু মজবুতকরণ, সম্প্রসারণ ও নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ প্রকল্প এবং প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিমপুর-রেলওয়ে স্টেশন-বাগিচারহাট সড়কের চেইনেজ: ০+০০০ থেকে ১০+০০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট ও রিজিড পেভমেন্ট দ্বারা মান উন্নতীকরণ প্রকল্প।

  • ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    বাংলাদেশ এবং আজারবাইজানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে আজ দু’দেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভের মধ্যে এখানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।

    বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং আজারবাইজানের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী ড. আবুলফাস গারায়েভ স্ব স্ব দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভ চুক্তি স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন।

  • রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বিচার দাবি করেছেন মহাথীর মোহাম্মদ

    রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বিচার দাবি করেছেন মহাথীর মোহাম্মদ

    মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বিচার দাবি করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মহাথীর মোহাম্মদ বলেছেন, এ সমস্যা সমাধানে যা প্রয়োজন মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলো তার সবকিছুই করবে।

    তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে এবং এর বিচার হতে হবে।’

    ১৮ তম ন্যাম সম্মেলনের সাইড লাইনে আজ বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মহাথীর মোহাম্মদের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মাহাথীর এই দাবি করেন।

    বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে যা প্রয়োজন তার সবকিছুই মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলো করবে।’

    ড. মহাথীর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন,মালয়েশিয়া কক্সবাজারে তার হাসপাতালের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং ভাসানচরের যে দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হবে, সে সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।

    শেখ হাসিনা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে দ্বীপটির নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাসহ বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বীপটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেন।

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার আরো বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগে কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়েও কথা বলেন।

    বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার সম্পর্ককে অত্যন্ত গভীর আখ্যায়িত করে ড. মহাথীর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মালয়েশীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও আশ্বাস প্রদান করেন।