Category: জাতীয়

  • গোলাগুলির বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    গোলাগুলির বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। কিন্তু, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। এতে আমরা মর্মাহত।

    শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সবাই জানেন। বিজিবি পদ্মা নদীতে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে জানা গেল, তারা ভারতীয় জেলে। জেলেরা গিয়ে বিএসএফকে ঘটনা জানালে তারা আসে। পরে, ভুল বোঝাবুঝিতে বিএসএফ গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। প্রয়োজনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে।

    তিনি বলেন, বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফ প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। উভয়পক্ষ বসে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুমিল্লা সীমান্তে র‌্যাব টহল দিতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে যায়। ফলে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক। আমরা বসেই সন্তোষজনক সমাধান করব।

  • সীমান্তে অনুপ্রবেশ : বিজিবির গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত

    সীমান্তে অনুপ্রবেশ : বিজিবির গুলিতে বিএসএফ জওয়ান নিহত

    রাজশাহীর পদ্মা নদীর বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে এসে ইলিশ ধরার সময় ভারতীয় জেলেকে আটক করাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে গোলাগুলিতে এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বড়াল নদীর পদ্মার মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।

    এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজশাহী ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত চারঘাট বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে পদ্মা নদীর পাড়ে আনুমানিক ৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী তিনজন জেলেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।

    এ সময় বিজিবির চারঘাট বিওপির টহল দল মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান তদারকির জন্য উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু রায়হান এবং আরও দুই জন সহকারীসহ ঘটনাস্থলে যান। তারা সেখানে একজন জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জালসহ আটক করতে সক্ষম হলেও বাকি দুজন জেলে ভারতের দিকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যান।

    পরে বিএসএফের ১১৭ ব্যাটালিয়নের কাগমারী বিওপি থেকে স্পিডবোটে করে চারজন বিএসএফ সদস্য রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকার শাহারিয়াঘাটের বড়াল নদীর মুখে আনুমানিক ৬৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় চারঘাট বিওপির টহল দল তাদেরকে বাধা দেন।

    এখানে উল্লেখ্য যে, ওই চার জনের মধ্যে একজন বিএসএফ সদস্য ইউনিফর্ম পরিহিত থাকলেও বাকিরা হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত ছিলেন। তাদের কাছে অস্ত্রও ছিল। পরবর্তীতে ওই বিএসএফ সদস্যরা আটক জেলেকে জোর করে ফিরিয়ে নিতে চাইলে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিয়ম মাফিকভাবে ফেরত দেওয়া হবে বলে বিজিবি টহল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

    এ ছাড়া বিজিবি টহল দল বিএসএফ সদস্যদেরকে আরও জানায় যে, আপনারাও অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন, তাই আপনাদেরকেও নিয়ম অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন বিএসএফ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে জোর করে আটক জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে থেকে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন।

    এ সময় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে গুলি করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যেতে থাকেন। তখন বিজিবি টহল দলও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে।

    এ বিষয়ে অধিনায়ক রাজশাহী ব্যাটালিয়ন এবং কমান্ড্যান্ট ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে জানা যায় যে, উক্ত ঘটনায় বিএসএফের একজন সদস্য নিহত এবং একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, এ বৈঠকে উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য আবারও পতাকা বৈঠক করার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়েছেন। আলোচ্য পতাকা বৈঠক শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

    এদিকে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজশাহীর চারঘাটে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য নিহতের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘বিএসএফ’র ফায়ারের পরিবর্তে বিজিবি কাউন্টার ফায়ার ওপেন করতে গিয়ে একজন ভারতীয় বিএসএফ সৈনিক প্রাণ হারিয়েছে এবং একজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।’

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঘটনার পরবর্তী তাৎক্ষণিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভারতের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের (পতাকা বৈঠক) মাধ্যমে ঘটনাটি সুরাহা করে থাকে। কিন্তু এই ঘটনায় এটা হয়নি। বিজিবি’র সঙ্গে ভারতের বিএসএফ’র সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা নিরসনে কাজ চলছে।’

    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নদীতে জেলেদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বিজিবি হঠান করে দেখতে পায়। নদীতে মাছ ধরছে কয়েকজন জেলে। বিজিবি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে, তারা জানতে পারে জেলেগুলো ভারতের নাগরিক। তারা বাংলাদেশ সীমানায় ৫০০/৬০০ গজ ভেতরে চলে এসেছিল। এর মধ্যে একজন বিএসএফ’র সদস্য রয়েছে। তখন বিজিবি বলেছে, যেহেতু আপনি ভেতরে ঢুকে গিয়েছেন, তাই ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে আপনাকে হস্তান্তর করব। এই অবস্থায় তারা দ্রুত সরে পড়ার জন্য তাদের স্পিড চালিয়ে পালাচ্ছিল। পালানোর সময় বিএসএফ ফায়ার ওপেন করেছে, তখন বিজিবিও কাউন্টার ফায়ার ওপেন করে। তখনই ঘটনাটি ঘটে।’

  • সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে বিদেশি সিরিয়াল চালাতে হবে

    সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে বিদেশি সিরিয়াল চালাতে হবে

    বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ভবিষ্যতে বিদেশি সিরিয়াল চালাতে হলে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার ব্যাপারে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, ‘দেশের কিছু চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং করে প্রচার করা হচ্ছে। একটি চলচ্চিত্র বানানোর পর যেহেতু সেন্সর বোর্ড হয়ে সম্প্রচারে আসতে হয়, সেখানে বিদেশি সিরিয়াল সেন্সর ছাড়া প্রচার হওয়া সমিচীন নয়। যারা প্রদর্শন করছেন, তারা অনুমোদনের আবেদন করেছেন। যেহেতু এসব সিরিয়ালের কিছু দর্শক রয়েছে, তাই সেগুলো চালানোর অনুমোদন দিচ্ছি। তবে ভবিষ্যতে যেন এসব সিরিয়াল সেন্সর বোর্ড হয়ে আসে, সে জন্য কমিটি করা হচ্ছে।’

    বিদেশি ডিটিএইচের বিরুদ্ধে ১৫ ডিসেম্বরের পর অভিযান হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের দু’টি কোম্পানিকে ডিটিএইচের (ডিরেক্ট টু হোম) লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশি ডিটিএইচ প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো অনুমোদন সরকার দেয়নি। কিন্তু অনেক জায়গায়ই দেখা যাচ্ছে, বিদেশি ডিটিএইচ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব অবৈধ সংযোগ সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা ব্যবস্থা নেব। অভিযানে যাদের কাছে ডিটিএইচ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড, অনধিক এক লাখ ও অন্যূন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। আর দ্বিতীয়বার এ অপরাধ করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ও অন্যূন এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে।’

    ‘আগে চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল মানা হচ্ছিল না। পরে আমরা বাংলা চ্যানেলগুলো শুরুর দিকে রাখতে ক্যাবল অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছি। এজন্য মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হয়। এখন ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে সিরিয়াল মানা হচ্ছে। কোথাও না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

    আবরার হত্যা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সভা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে প্রচণ্ড অনৈক্য। তারা আবরার হত্যা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। অবরার হত্যার পর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে। ঐক্যফ্রন্ট এটা নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, এটি আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নয়, বরং নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে এ চেষ্টা করছে। মূলত ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ধরে রাখতেই তারা এ সভা আহ্বান করেছে।’

  • ২০২১ সালের জুনে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে

    ২০২১ সালের জুনে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে

    পদ্মা সেতুর কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ। সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।’

    বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের দোগাছিতে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি৷

    মন্ত্রী বলেন- মূল সেতুর ৪২ পিয়ারের মধ্যে ৩২টি সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি ১০টির কাজ চলমান রয়েছে। ৪১টি ট্রাসের মধ্যে ৩১টি চীন থেকে মাওয়ায় পৌঁছেছে। ২৮৯১টি রেলওয়ে স্ল্যাব তৈরি হয়েছে, ৩৬১টি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টের পাইলিং, পিয়ার ও পিয়ার ক্যাপে কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে গ্রার্ডার এবং রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।

    নদী শাসনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নদী শাসনের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৫০.৪০ শতাংশ। ১৪ কিলোমিটার নদী শাসনের মধ্যে ৬.৬০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্যের ৮৭০৭.৮১ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪,৩৮৮.৪৬ কোটি টাকা।

    এছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পের ২১শ ৫৯ একর অব্যবহৃত জমি পতিত রাখা হবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সে জমিতে খামার তৈরির মাধ্যমে দুধ ও মাংস উৎপাদন করা হবে। এ বিষয় একটি চুক্তি সই হয়েছে। গবাদি পশুর প্রজনন ও জাতের উন্নয়ন কাজে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। জাতীয় অর্থনীতি জিডিপিতেও এটি অবদান রাখবে।

    দ্রুত পদ্মা নেতুর কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী বলেন,‘২০২১ সালের জুনের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে চাই। তবে পদ্মা নদী খুবই আনপ্রেডিক্টেবল (অননুমেয়)। একইসঙ্গে নদীতে তীব্র স্রোত থাকে এবং প্রচুর পলি বহন করে। এতে করে পিয়ারে স্প্যান বসানো সম্ভব হয় না। সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

    মন্ত্রী বলেন, আমিতো মরেই গেছিলাম, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে ফিরেছি।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ার ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতুর পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম (বার)।

  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকিতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকিতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর তদারকিতে কঠোরভাবে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘আইনের বাইরে যাবেন না এবং দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি করার ক্ষেত্রে নিয়মগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করুন।’

    ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে গেলে শেখ হাসিনা তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিয়মের বাইরে যাবেন না। যথাযথভাবে নিয়ম মেনে চলবেন।’

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আইন কার্যকরের মাধ্যমে ইউজিসিকে শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অধিভুক্ত কলেজগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য ইউজিসিকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    এর আগে দেশের উচ্চ শিক্ষা বিশেষ করে সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীকে ইউজিসির কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

    অধ্যাপক শহীদুল বলেন, দেশে বর্তমানে ১৫৫টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
    তিনি বলেন, তারা এরমধ্যে অন্তত ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন।

    এত বিপুল সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যবেক্ষণে ইউজিসির জনবল আগের মতোই রয়েছে। ব্যাপক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে দেখভালের জন্য জনবল বাড়ানোর প্রয়োজনের কথাও জানান তিনি।

    ড. শহীদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে আরও অবহিত করেন যে, ইউজিসি ইতিমধ্যে গবেষণা নীতিমালা প্রস্তুত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মতো (বিপিএটিসি) শিক্ষকদের জন্যও একটি প্রশিক্ষণ একাডেমির তাগিদের কথাও জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।

    প্রেস সচিব জানান, সাক্ষাতে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ঠিকমতো আইন-কানুন অনুসরণ করছে কিনা, সেটা নজরদারি করতে ইউজিসি ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিহ্নিত করেছে।’

    ইউজিসি কঠোরভাবে বিদ্যমান আইন-কানুন অনুসরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কাউকেই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।’

    এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

  • রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও পরবর্তীতে ভারত সফর নিয়ে আলোচনা করেন।’

    তিনি বলেন, সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এ সংক্রান্ত দু’টি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী গত ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে ৪ দিনব্যাপী ভারত সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

    এর আগে ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে ৮দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

    প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি হামিদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফরকালে তিনটি মর্যাদাবান পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

    যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফল টিকাদান কর্মসূচি ও যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।

    গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এন্ড ইমিউনাইজেশন প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ পুরস্কারও প্রদান করা হয়।

    পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লীতে আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার-২০১৮’ লাভ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা নয়াদিল্লীর তাজমহল হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করে।

    প্রেস সচিব বলেন, বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পরস্পরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

    প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম এক তোড়া ফুল দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপতিকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দেন।

  • এদেশে কোন বিশৃঙ্খলাকারী, সন্ত্রাসী-জঙ্গীর ঠাই হবে না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    এদেশে কোন বিশৃঙ্খলাকারী, সন্ত্রাসী-জঙ্গীর ঠাই হবে না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের কোন ছাড় নেই মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সু-শৃঙ্খল সোনার বাংলাদেশ। এদেশে কোন বিশৃঙ্খলাকারী,সন্ত্রাসী-জঙ্গীর ঠাই হবে না। অপরাধী সে যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    বুধবার দুপুরে রামগড় নবনির্মিত থানা ও ৪তলা বিশিষ্ট ব্যারাক ভবন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও পরবর্তী জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গাইড লাইন তৈরীর কাজ চলছে। পার্বত্য জেলায় শান্তি বজায় রাখাসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সে সাথে জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যকে পুলিশ ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধির কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

    সে সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরো জানান, পাহাড়েও দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সমতলের মতো অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকার পাহাড় ও সমতলে সমান্তরাল ভাবে উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহা আহমার উজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, রামগড় পৌর মেয়র কাজী রিপন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার,পাজেপ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল,জুয়েল চাকমা,শতরূপা চাকমাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয়।

  • যুবলীগের কমিটিতে বাদ পড়ছেন চেয়ারম্যান ফারুক ও সম্পাদক হারুণ!

    যুবলীগের কমিটিতে বাদ পড়ছেন চেয়ারম্যান ফারুক ও সম্পাদক হারুণ!

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত নতুন কমিটিতে আর ঠাঁই পাচ্ছেন না বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।

    অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের দলের কোনো পর্যায়েই রাখা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন সংগঠনটির সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, যাদের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বিবেচনায় রাখার সুযোগ নেই। সূত্র : সময়টিভি

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। অভিযানে ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ দুই নেতা সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। আর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব জব্দের পাশাপাশি দেশত্যাগে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

    চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের চারটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ। এ অনুযায়ী আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। সম্মেলনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গত ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠক। তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

    সম্মেলন নিয়ে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নানক বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়েই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

    নানক বলেন, যুবলীগকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে যারা নেতৃত্বে আসবেন, সংগঠনে থাকবেন বা জেলা পর্যায়ে যারা সংগঠনে রয়েছেন এদের মধ্যে নতুন যে দায়িত্ব আসছেন তাদের উপর অনেক বড় দায়িত্ব থাকবে। যে মানুষগুলো জেলা পর্যায়ে বা উপজেলা পর্যায় থেকে এসেছেন, যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাদেরকে যুবলীগ থেকে ছেটিয়ে বিদায় করা হবে। নানক বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ এসব লোক নতুন কমিটিতে থাকার কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করিনা।

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ জানান, যেসব যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের সহযোগী কোনো সংগঠনেই মূল্যায়ন করা হবে না। তিনি বলেন, মানুষ যা একটা নেতার কাছে আশা করে, সে গুন যাদের আছে তাদেরকেই সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়া হবে।

    আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেন, আগামী দিনের যুবলীগের কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হবে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি চাইলে বয়সসীমা সুনির্দিষ্ট করে দিতে পারেন বলে মনে করেন পদপ্রত্যাশীরা।

    প্রসঙ্গ : ২০১২ সালের ১৪ জুলাই সবশেষ সম্মেলন হয় যুবলীগের।

  • ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন

    ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন

    কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এর ফলে যাতায়াতে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলছে উত্তরের এই জেলার বাসিন্দাদের।

    বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সবুজ পতাকা নেড়ে ও বাঁশিতে হুইসেল দিয়ে নতুন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

    ট্রেনটি উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রামকে আমি মজা করে বলতাম কুইড়্যা গ্রাম। এখন আর কুইড়্যা গ্রাম নেই। অনেক উন্নত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিটাও প্রয়োজন। আর যেন উত্তরবঙ্গবাসীকে মঙ্গা শব্দটা শুনতে না হয় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষ করে কুড়িগ্রোমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ও কি গাড়ি ভাই’ ভাওয়াইয়া গান পরিবেশ করা হয়। গান শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেলের উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে এলাকারও উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রামের আগামী অনেক উন্নয়ন হবে। ও কি গাড়িয়াল ভাই গানের রেশ ধরেই আমি বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে।’

    ট্রেনটি আজ উদ্বোধন করা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের। কুড়িগ্রামবাসী প্রথমবারের মতো নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেন পাওয়ায় জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

    জানা গেছে, ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামায় বিরতি থাকবে।

    রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা-কুড়িগ্রামের ২৮৬.৮ মাইল পথ পাড়ি দেবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।

  • স্কুলে শিশুদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    স্কুলে শিশুদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    চালক থেকে শুরু করে পথচারী সকলকেই সড়কে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আরো সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেই দেশে উন্নয়ন হয়। তাই বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে যেন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসময় সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরো সচেতন হবার আহ্বান জানান তিনি। ড়ধরণের ট্রাক কোন কোন সড়কে চলতে পারবে না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    এছাড়া, স্কুল থেকেই শিশুদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার উপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

    সরকার প্রধান বলেন, ট্রাফিক আইনসহ রাস্তায় চলাচল ও পারাপার সম্পর্কে সকলকে আরো সতর্ক থাকতে হবে।

  • নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    মেট্রোরেল দুটির বেশিরভাগ অংশই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩০ হাজার ৪৬৬ কোটি, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫১৫ কোটি ৮৪ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৬৯ হাজার ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোট টাকার মধ্যে দুই মেট্রোরেল প্রকল্পেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    মেট্রোরেলের এই দুই প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পেল। প্রথমে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লাইন- ৬)’ প্রকল্প। আজ অনুমোদন পাওয়া নতুন দুই প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ এবং ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট’ প্রকল্প।

    এছাড়াও অনুমোদন পাওয়া ৮ প্রকল্প হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার(বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।

    নতুন মেট্রারেল প্রকল্প:
    লাইন-১ এর আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল হবে।

    লাইন-৫ এর আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল হবে।

    আর এমআরটি লাইন-৬ রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। লাইন-৬ প্রকল্পে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ এবং জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    প্রথম বা লাইন-৬ প্রকল্পের চেয়ে আজকের একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্প বড় ও খরচও অনেক বেশি। তবে লাইন-৬-এ নির্মাণের জন্য ১২ বছর সময় ধরা হলেও এই নতুন দুই প্রকল্পে কম সময় ধরা হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নের জন্য সময় ধরা হয়েছে ৭ বছরের কিছু বেশি, অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্য সময় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯ বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার বৈদেশিক ঋণ।

    সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রকল্প দুটিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ প্রদান করছে। প্রথমটিতেও জাইকা ঋণ প্রদান করেছে।

    ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট রেট ধরে প্রকল্পটি দুটির আর্থিক ও অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুটি প্রকল্পই আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

    এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় না নিয়ে অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে প্রকল্প দুটির ক্ষেত্রে। আর্থিক ক্ষতি একটি থাকবে দুই হাজার ৪২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং অন্যটিতে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর অর্থনিতিক দিক থেকে একটি প্রকল্পে ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ এবং অন্যটিতে ৫ হাজার ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা লাভ হবে।

  • আবরারের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    আবরারের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    দ্রুত সময়ের মধ্যে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, দোষী যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আলোচিত এই হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    সোমবার বিকালে আবরারের বাবা-মা ও ভাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের এই আশ্বাস দেন সরকারপ্রধান।

    গণভবন সূত্র জানায়, বিকাল পাঁচটায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া বেগম এবং ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ গণভবনে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এসময় প্রধানমন্ত্রী আবরারের মা রোকেয়া খাতুনকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন।

    এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।

    জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। আপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় কিছু শিক্ষার্থী ভিডিও ফুটেজ আটকানোর চেষ্টা করেছে। সেটা তারা কেন করেছে তা এখনো আমার বোধগম্য নয়। তা না হলে হয়তো সব অপরাধী আরও আগেই গ্রেপ্তার হতো।

    তিনি আবরারের মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব আমাকে দেখেন। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।

    এই সময় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকতউল্লাহ প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

    অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। এছাড়া ১৯ আসামিকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।