Category: জাতীয়

  • তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন একটি কোম্পানি গঠনের বিধান রেখে ‘তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক জাতীয় নীতি, ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কীভাবে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে সেটা নিয়ে নীতিমালায় অনেকগুলো কথা আছে। বর্জ্য উৎপাদনকারী কারা কারা আছেন, তাদের উৎপাদিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি অর্থাৎ যে দূষণ করবে সে টাকা দেবে। এটা আন্তর্জাতিক নীতি। যে দূষণ করবে তাকে টাকা দিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এটা হল মূলনীতি।’

    তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানির পরিমাণ যুক্তিসঙ্গতভাবে সীমিত রাখতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ জ্বালানি অ্যাসেমব্লি সিল করা বাক্সে সংরক্ষণসহ পরমাণু চুল্লির রিঅ্যাকটর কোরের পরিচালন সময়কালে যে কোনো সময় আনলোড করতে হবে এমন সম্ভাবনা বিবেচনা রেখে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে কমপক্ষে ১০ বছর ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়। এটা যারা করবে তাদের জন্য বাইন্ডিং।’

    ‘এজন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটা এজেন্সি নিয়োগ করবে। এটার নাম হলো তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। অর্থাৎ আরডব্লিউএমসি নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করবে। এদের এক্সপার্টিজ থাকবে, এরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করবে। সারা বাংলাদেশে যত এটমিক এনার্জির বর্জ্য পাওয়া যাবে সেগুলো ব্যবস্থাপনা তারা করবে।’

    শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা যে আস্ট্রাসনোগ্রাফি করি, এগুলোর মধ্যেও সীমিত পরিসরে এটমিক এনার্জি ব্যবহার করা হয়। এগুলোর জন্য অত বড় কিছু করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু একসময় প্রয়োজন হবে। এজন্য আগে থেকে নীতিমালাটি করা হয়েছে। এই নীতিমালা সব সেক্টর কাভার করবে। এক্ষেত্রে লিড মিনিস্ট্রি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে পাবনার রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) আওতায়। আইএইএ’র গাইডলাইন অনুযায়ী এগুলো পরিচালিত হবে। এটমিক এনার্জি যেহেতু একটি স্পর্শকাতর ও বিপজ্জনক এনার্জি। এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা গাইডলাইন দরকার।’

    তিনি বলেন, ‘আইএইএ’র যে গাইডলাইন আছে সেটার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে অনুযায়ী এই নীতিমালাটা তৈরি করা হয়েছে। এটা দিয়ে যেন কোনো রকম দুর্ঘটনা বা বিপদের মধ্যে না পড়তে হয়, সেটার জন্য। বর্জ্যটা ব্যবস্থাপনার জন্য বিশাল গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।’

    রূপপুরে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটার যে বর্জ্য তা চুক্তি অনুযায়ী সরাসরি রাশিয়া, এটা আমরা ডিসপোজ (ধ্বংস) করব না। ওনাদের সাথে চুক্তি হয়েছে যেহেতু তাদের বিশাল দেশ, ডিসপোজালের অনেক জায়গা আছে, আমাদের ওরকম জায়গা নেই, আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা। চুক্তিতেই বলা হয়েছে, (পারমাণবিক বর্জ্য) তারা সিল করে নিয়ে যাবে এবং ওখানে নিয়ে ডিসপোজাল করবে।’

    শফিউল আলম বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী, গবেষণা চুল্লি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট অপারেশন, চিকিৎসা শিল্প, খনিজ সম্পদ আহরণ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা, প্রশিক্ষণ বা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উৎপাদন ও ব্যবহার হয়। এসব ক্ষেত্রে এটমিক এনার্জি ব্যবহার করা হয়, আমরা হয়তো খবর রাখি না।’

    নীতিমালায় পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা বা আইএইএ’র ইন্সট্রাকশন তো আমাদের আছে।’

  • শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হচ্ছেন

    শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হচ্ছেন

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয়ে বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত​প্রজ্ঞাপনের উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ২৯ অক্টোবর থেকে বাতিলপূর্বক আগামী ১ নভেম্বর ২০১৯ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে তাঁকে বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এর পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

    এদিকে একই দিন আরেক প্রজ্ঞাপনেমন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    মোহাম্মদ শফিউল আলম ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮১ সালে ইংরেজিতে এমএ এবং ১৯৯০ সালে এলএলবি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের একজন সদস্য।

    গত ৩৫ বছর ধরে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন শফিউল আলম।

    তিনি মাগুরা ও ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এবং বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

  • খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

    সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চুক্তিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শফিউল আলমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

    মোহাম্মদ শফিউল আলম ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হন। এরপর ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সচিব পদে এবং ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই জ্যেষ্ঠ সচিব পদে পদোন্নতি পান। তার স্ত্রী কামরুন নাহার বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব। এর আগে তিনি সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন।

  • আবরার হত্যায় বিবৃতি দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব

    আবরার হত্যায় বিবৃতি দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর জাতিসংঘের দেয়া বিবৃতির জন্য বাংলাদেশে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    রবিবার সকালে মিয়া সেপ্পো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এমনকি জাতিসংঘও এ ব্যাপারে বিবৃতি দেয়।

    গত বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানায়।

    বুধবার জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে আবরার হত্যার নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং হত্যার সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।

    বিবৃতিতে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে দুটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একটি হলো, মুক্তভাবে মতপ্রকাশের সাথে আবরারকে হত্যার যোগসাজশের বিষয়টি উল্লেখ করা। অন্যটি হলো একজন ছাত্রের মৃত্যুর সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টিকে সম্পৃক্ত করা।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা-মন্তব্য করেছেন। সরকার কাউকে তার মত প্রকাশে বাধা দেয়নি। এমনকি আবরার খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফেসবুকে কী লিখেছে, তা সরকারের ধারণায় ছিল না।

    উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন তা নিয়ে জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয় কেন এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতে চায়।

  • বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ দেশ এখন যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলার সমর্থ রাখে।

    আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থানা আইন-২০১২ প্রণয়ন করেছি। দিন দিন দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা আমরা করেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধীদের চিন্তা করেও আমরা কাজ করছি। আমরা ডেল্টা প্লান ২১০০ হাতে নিয়েছি। যাতে আজকের শিশুর কথাও বিবেচনা করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ একটি ব-দ্বীপ। এ কারণে আমরা সুদূরপ্রসারি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কৃষক লীগের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করেছি। এতে বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে।

    নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে নদীভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’
    তিনি বলেন, নদীগুলোয় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেগুলো ড্রজিং করছি। তাছাড়া ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।

    তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইডও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় হয়, তখন আমি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। ওই সময় এক অধিবেশনে সরকার দলীয় নেতা বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কত মানুষ মরার কথা ছিল, আর কত মানুষ মরেছে? যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
    সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এই বিমান বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।

    বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আশির দশকে কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে পহেলা আষাঢ় থেকে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়। প্রত্যেকে যেন একটি করে গাছ লাগান সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বনভূমি বৃদ্ধিতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। চট্টগ্রামের ঝাউবন তৈরির ফলে বিশাল এলাকা জলচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পায়। এ ছাড়া বনভূমি সৃষ্টিতে হেলিকপ্টারে করে আমরা পাহাড় অঞ্চলে বীজ ছিটিয়ে দিয়েছিলাম।’

    তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যে কোনো মনুষ্য সৃষ্টি দুর্যোগ ও প্রাকৃতিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪ জেলায় ১০০টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় ঘরের উদ্বোধন করেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সব দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সব দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?

    সব দাবি মেনে নেয়া নেয়ার পরও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোইতো মেনে নিয়েছেন ভিসি। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে?

    আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন দল কর্মীরা অন্যায় করছে আমরা তা দেখিনি। আমরা খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি। বুয়েটে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যাকাণ্ডের পর কারো আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করি নাই, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।

    এদেরকে গ্রেফতার করা এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়লো বিপদে। এ ভিডিও ফুটেজ যখন সংগ্রহ করছে তখন তারা বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।’

    তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসলো কী করবো? আমি বললাম তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারবো, ধরতে পারবো। কে গেছে না গেছে দেখতে পারবো, ধরতে পারবো।

    বুয়েটের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়েছে। তারপরও না কী তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন কার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে।’

    ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় তিন চার ঘণ্টা সময় নষ্ট না করলে অপরাধীরা আরও আগে ধরা পরত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কী না, এটার জবাব ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এই ধরণের অন্যায় করলে কখনো এটা মেনে নেওয়া যায় না।

  • আবরার হত্যা : আদালতে সকাল ও জিয়নের পর এবার অনিকের জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আদালতে সকাল ও জিয়নের পর এবার অনিকের জবানবন্দি

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তিন নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (২২)।

    এ মামলায় সকাল ও জিয়নের পর শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অনিক।

    আদালত সূত্র জানায়, পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে শনিবার বিকালে অনিক সরকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এজন্য তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

    এসময় আসামির স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সম্মত মর্মে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম অনিকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

    সুত্র জানিয়েছে, আবরার হত্যার পরের দিন ৭ অক্টোবর অনিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৮ অক্টোবর তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড চলাকালীন স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় অনিককে আদালতে নেয়া হয়। শনিবার জবানবন্দিতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন অনিক সরকার। তবে বর্ণনার বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হয়নি সূত্রটি।

    মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহিদা বেগমের ছেলে। বুয়েটের শেরেবাংলা হলে থাকতেন অনিক।

    গত বৃহস্পতিবার আবরার হত্যায় আদালতে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিমান্ডে থাকা মামলার ৫ নম্বর আসামি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। পরদিন শুক্রবার মামলার ৭ নম্বর আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন আদালতে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    ওইদিন রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • বঙ্গবন্ধু টানেল :  উন্নয়নের মহাসড়কে জোড়কদমে এগিয়ে যাবে দেশ

    বঙ্গবন্ধু টানেল : উন্নয়নের মহাসড়কে জোড়কদমে এগিয়ে যাবে দেশ

    বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ সম্পন্ন হলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে জোড়কদমে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপি।

    তিনি বলেন, ওয়ান সিটি এন্ড টু টাউন মডেলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে সেটওয়ার্কে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ চারলেন বিশিষ্ঠ সড়ক বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

    টাঙ্গাইল ৭ আসনের সংসদ সদস্য মো.একাব্বর হোসেন এমপি আজ ১২ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীতে বাস্তবায়নাধীন সরকারের মেঘা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।

    এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি, মো.ছলিম উদ্দিন তরফদার, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো.হারুন অর রশিদ,উপ প্রকল্প পরিচালক ড.অনুপম সাহা, উপ পরিচালক মো. লুতফর রহমান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোসা. সুরাইয়া আক্তার সুইটি ও সহকারী পরিচালক মোসা. সালমা ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো.হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীন সরকারের সাথে বঙ্গবন্ধু টানেলর প্রকল্পের চুক্তি হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুতগতিতে কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩৮.৭২ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৪৮ শতাংশ বাস্তব ভৌত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

    সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম নদীর তলদেশে যান চলাচলের ব্যবস্থা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হলে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। নদীর দুইপাড়ে গড়ে উঠবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মানুষের কর্ম বৃদ্ধি পাবে ও জীবনযাত্রার মান বাড়বে।

  • আবরার হত্যা : এজাহারভুক্ত আসামি মোয়াজ গ্রেফতার

    আবরার হত্যা : এজাহারভুক্ত আসামি মোয়াজ গ্রেফতার

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরেক আসামি বুয়েটছাত্র মোয়াজ আবু হুরায়রাকে (২১) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।

    শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    মোয়াজ বুয়েটের ইইই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের ওসমানপুরের পিরপুর গ্রামে। মোয়াজের বাবার নাম মাশরুর-উজ-জামান। এ নিয়ে আবরার হত্যায় গ্রেফতারের সংখ্যা ১৯।

    প্রসঙ্গত ভারতকে গ্যাস, পানি ও সমুদ্রবন্দর দেয়ার বিরোধিতা করে ৫ অক্টোর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

    এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

  • নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী

    নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী জাগরণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কারণ তিনি বুঝেছিলেন নারী কর্মক্ষম না হলে সমাজ ও পরিবারে তার মর্যাদা বাড়ে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সেসব নারীদের উদ্ধার করে তাদের পূর্ণবাসন করেছেন বঙ্গবন্ধু। সে সময় অনেক নির্যাতিত নারীকে তাদের পিতারা মেনে নিতে চায়নি। বঙ্গবন্ধু সে সময় সেসব নারীদের জন্য নিজে পাত্র দেখে বিয়ে দিয়েছিলেন। পিতার পরিচয় না থাকলে তিনি পিতার জায়গায় তার নাম লিখে এবং তার ধানমণ্ডির ৩২ এর বাসার ঠিকানা দিয়েছিলেন।

    আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১৫ বছর পর মহিলা শ্রমিক লীগের এ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে বিচার বিভাগে নারীরা অংশ নিতে পারবে না এমন আইন তিনি বাতিল করে নারীদের সে সুযোগ দিয়েছিলেন। এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু ৭২’র সমাজে কিন্তু এ অবস্থা ছিল না। সে সময় নারীদের নিয়ে সমাজের চিন্তা ভাবনা পশ্চাৎপদ ছিল বলে নারীদের এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল।

    কোন নারীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তাকে সমাজই পরিত্যক্ত করে দিত। বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদের দিয়েছেন তাতে সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা শিক্ষিত জাতি পারে একটা দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে। দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়তে হলে নারীকেও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে। আমরা এ সুযোগ করে দিয়েছি।’

    নারীকে তার মর্যাদা নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। আমরা মেয়েদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য কাজ করেছি। ৯৬’এ ক্ষমতায় এসে প্রাথমিক শিক্ষায় নারী শিক্ষকদের জন্য ৬০ ভাগ কোটা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট ফান্ড থেকে যারা বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে বিদেশে যান তাদের মধ্যে ৭৫ ভাগই নারী। আমি নারীদের সব সময়ে অগ্রাধিকার দিয়েছি।

    আশ্রয়ণ প্রকল্প করে ভূমিহীন, নিঃস্ব পরিবারের জন্য ঘর দেওয়া হয়েছে। এর দলিল স্বামী ও স্ত্রী দু জনের নামেই করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা হলে নারী অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। আমরা গ্রামের নারীদের সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এ ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা ধারণা করেছিল যে, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে নৌকা বেশি ভোট পাবে। কিন্তু ক্লিনিক বন্ধ করেও আওয়ামী লীগের ভোট তারা বন্ধ করতে পারে নাই।’

    শিক্ষায় মেয়েরা পিছিয়ে ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ব্যাপক হারে বৃত্তি দিয়েছি। পরীক্ষার রেজাল্টেও তারা ভালো করছে। বেদে থেকে শুরু করে চা শ্রমিক পর্যন্ত সকলকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃদ্ধ, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা চালু করেছি। প্রায় ৮৪ লক্ষ মানুষ এ ভাতা পাচ্ছে। প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীকে বেশি করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’

    নারীরা যেন আর কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন নারীরা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, সেনা, বিমান, নৌ বাহিনী থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত হচ্ছে। তার তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর স্ব স্ব ক্ষেত্রে রেখে যাচ্ছেন। নারী ক্ষমতায়নে আমরা সমতা এনেছি।’

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দল করে আমি তা দেখিনি। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনতে হবে। ভিসি সকল দাবি মেনে নিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এটা তো হওয়ার কথা না। আমি আন্দোলন দেখে নির্দেশ দেইনি। আমার কথা হলো এমন ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।’

  • আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বুয়েটের মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘শিগগিরই নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে চার্জশিট দেয়া হবে।’

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত ও মর্মাহত। কেন এ হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে তার তদন্ত চলছে। যারা এটি ঘটিয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা শনাক্ত করছি।’

    ঘটনার পর পুলিশ সাথে সাথে (অপরাধীদের) গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও জড়িত থাকলে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ’

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল(বুধবার) শক্ত ভাষায় বলেছেন যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে যে রাজনীতিই করুক, যেই হোক তাদের ছাড় দেয়া হবে না। এখানে রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক নেই।’

    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ভিসিদের সাথে কথা বলে খুব শিগগিরই ভার্সিটি ও কলেজগুলোর ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে। ছাত্রাবাস নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।’

    ‘বুয়েটের যে কক্ষে আবরারকে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটি ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহার’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি সে ঘটনার সাথে ছিল, পূজায় বাড়ি ছিল। তবে অমিত সাহা কোন ফ্যাক্ট না। যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। আবরারের বাবা যে মামলা করেছে, সে মামলায় তার (অমিত সাহা) নাম নেই। তারপরও পুলিশ তাকে আটক করেছে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ‘টর্চার সেল’ রয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কতখানি টর্চার সেল আছে আমরা দেখবো। আসলেই আছে কি না সেটা দেখার বিষয়।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিং সংস্কৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, র‌্যাগিং সংস্কৃতি পুরানো, বুয়েটে বেশি হয় এটা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন তথ্য আসেনি। যারা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেন তাদের দায়িত্ব এসব দেখা।

    শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন। উনি তিনবারের মতো ক্ষমতায় আছেন। উনি (প্রধানমন্ত্রী) চাচ্ছেন রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আমাদের চ্যালেঞ্জ এখন রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দেশের সুসাশন প্রতিষ্ঠায় যা যা করার দরকার তা করবো। সেটি হোক টেন্ডারবাজি বা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ।

    তিনি আরও বলেন, ‘যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, এটি আগে থেকেই ছিল। তবে এখন মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে সেটি আরও কঠোরভাবে অভিযান চলছে।’

  • নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

    নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জেলা ও উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জেলা ও উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের কাছে নিরাপদ খাবার পানি পৌঁছে দেয়া।

    তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে কেবল ঢাকা নয়, বিভাগীয় শহরগুলোতেও নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করছি।

    প্রধানমন্ত্রী আজ মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের জশলদিয়ায় পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ফেজ-১) ঢাকার সাভারের তেতুলঝরায় ওয়েল ফিল্ড কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট (ফেজ-১) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গান্ধাপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রথম ২টি প্রকল্পের যথাক্রমে ৪৫ কোটি ও ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ এবং শেষের প্রকল্পটির ৫০ কোটি লিটার পানি শোধনের সক্ষমতা রয়েছে।

    এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরবরাহ বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি-জিমিং, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    এতে রাজধানীর ক্রম বর্ধমান পানি চাহিদা মেটাতে এই ৩ প্রকল্প এবং বিগত ১০ বছরে ঢাকা ওয়াসার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে দেখানো হয়।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’ সরকারের এই শ্লোগানকে ধারণ করে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর বস্তিগুলোতে আইনসম্মত ও নিরাপদ পানি সংযোগের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে। পর্যায়ক্রমে সব বস্তি পানি সরবরাহের আওতায় আনা হবে।

    তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
    প্রধানমন্ত্রী ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা না কমালে আমাদেরকে গুরুতর পরিণতির মোকাবেলা করতে হবে।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থার জন্য শিল্পাঞ্চল ও আবাসিক এলাকায় জলাধার নির্মাণ এবং বর্জ্য ও দূষিত পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী সেচ কাজে বৃষ্টি ও ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৪ হাজার ৭শ’ জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব নদীর নাব্যতা বজায় রাখা ও তা জলাধার হিসেবে ব্যবহার করতে নদী খননের কাজ চলছে।

    তিনি বলেন, পরিষোধনের মাধ্যমে ৭ হাজার পুকুর লবণাক্ততামুক্ত হয়েছে। এছাড়া লবণাক্ত অঞ্চলে ৩২ হাজার ৬শ’ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, মানুষের নগরমুখী প্রবণতা বন্ধ করতে গ্রামের জনগণের কাছে নাগরিক সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার কাজ করছে।

    সবার জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি সরবরাহ, স্যুয়ারেজ এবং ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে আমাদের সরকার তিনটি মাস্টার প্লান তৈরি করেছে পাশাপাশি ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যুয়ারেজ এ্যাক্ট, ন্যাশনাল ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন এ্যাক্ট ২০১৪ পাস এবং ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতি এবং ন্যাশনাল পলিসি ফর আর্সেনিক মিটিগেশন এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন প্লান গ্রহণ করা হয়।

    এমডিজি’র সফল বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ঘোষিত এসডিজি-২০৩০ এর ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৬ নম্বর হচ্ছে ‘সবার জন্য স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করা। আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি সমন্বিত করেছি এবং এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

    নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে কিছুই না করার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, আমরা ঢাকা মহানগরীকে ‘পানি সংকটের’ মধ্যে পাই এবং এই সংকট কাটাতে আমরা সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট নির্মাণ করি। পুনরায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে একই পরিস্থিতি পাই এবং আমরা তখন সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ২ ও ৩ নির্মাণ করি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।