Category: জাতীয়

  • বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ হবে: কাদের

    বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ হবে: কাদের

    ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন দাবি করে তাদের সেই দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতাদের অবৈধ সম্পদের হিসাব নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    রবিবার সকালে রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিমানবন্দর সড়কের শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদেরও সম্পদের হিসাব বের করা হবে। শুধু মন্ত্রী-এমপি কেন, প্রত্যেকেরই দুর্নীতি তথা ক্ষমতায় থাকাকালে দলটির নেতারা কে কত টাকার মালিক প্রত্যেকের ব্যাপারে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।’

    সম্প্রতি সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি পুরোই গুজব। আইন সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিছুই জানে না। অথচ দেখলাম এ বিষয় নিয়ে টিআইবি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান করে গঠিত টাস্কফোর্সের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে বলার অথরিটি তার। তিনি যা বলেছেন সেটা বিশ্বাস করে থাকুন। প্লিজ ওয়েট অ্যান্ড সি। শিগগিরই জানতে পারবেন।’

    শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু কষ্টদায়ক মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ করছে। কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। বর্তমানে কাজের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এটি চালু হলে জনগণ উপকৃত হবে।

  • সম্রাট গ্রেফতার কিনা দ্রুত জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সম্রাট গ্রেফতার কিনা দ্রুত জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    জাতীয় : যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে গত দুদিন ধরে আটক করা নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

    গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সম্রাট গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা তা দ্রুতই জানা যাবে।’

    শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে। এ অভিযানে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

    একটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।

    ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছেও তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরে কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে টানা ছয় দিন অবস্থান করেন। আর পাহারায় বসান শতাধিক যুবককে। সেখান থেকে গত রোববার তিনি বনানীর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।

    এরআগে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাজারখানেক নেতাকর্মী নিয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান করেন দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..

  • রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে: শেখ হাসিনা

    রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে: শেখ হাসিনা

    রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আর বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটি মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    জাতিসংঘের ৭৪ তম সাধারণ পরিষদের ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সমস্যা এখন আর বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। বাংলাদেশের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিষয়টি এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু ক্রমবর্ধমান স্থান সংকট এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে এই এলাকার পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।’

    বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টা ২৮ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা প্রলম্বিত হয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতা এবং সামগ্রিকভাবে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফিরে যায়নি। আমি অনুরোধ করব এই সমস্যার, অনিশ্চয়তার বিষয়টি যেন সকলে অনুধাবন করেন।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমস্যার বোঝা বহন করে চলেছি যা মিয়ানমারের তৈরি। এটি সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমার এবং তার নিজস্ব নাগরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যকার একটি সমস্যা। তাদের নিজেদেরই এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রাখাইনে নিজ গৃহে যাওয়ার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করতে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’

    রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ‘আমি এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২ তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ সমূহের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রাখাইন প্রদেশে বেসামরিক তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। আজ আমি কিছু প্রস্তাব আবার পেশ করছি।’

    এক. রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও আত্মীকরণে মিয়ানমারকে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে।

    দুই. বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলুপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।

    তিন. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হতে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

    চার. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ সমূহ বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক বিশেষত জাতিসংঘ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোকে সাধুবাদ জানাই। আশা করছি নতুন প্রজন্মের জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এবং নতুনরূপে সজ্জিত জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতিসংঘ স্বাগতিক রাষ্ট্রের জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশ্লিষ্ট দেশের উন্নয়ন ও শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।

    এর আগে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়ায় শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি বাস্তবিক পক্ষেই দুঃখজনক যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় আজ এই মহান সভায় এই বিষয়টি আমাকে পুনরায় উত্থাপন করতে হচ্ছে। ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের আশ্রয়ে রয়েছে। হত্যা-নির্যাতনের মুখে তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।’

  • আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

    আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ। মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান তিনি।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নব পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার তিনি। বাঙালির আশা-আকাঙ্খার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথী। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনগ্রসর জাতি-দেশ-জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র, বিশ্বনন্দিত নেতা।

    বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’, মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি। আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ-সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র সমান অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রাজ্ঞতা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ সফলতার সাথে টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে দেশবাসী আজ সুফল পাচ্ছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সকল প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

    তাঁর শাসনামলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত, প্রবৃদ্ধি ৮.১ শতাংশ, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেটাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়া, ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনা, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, স্বাক্ষরতার হার ৭৩.৯ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালউত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

    একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে।

    নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

    তার জন্মদিন পালনে বেশ কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করেছে তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার (মেরুল বাড্ডা) ও সকাল ৯টায় খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) মিরপুর ব্যাপ্টিস চার্চ এবং সকাল ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। একইদিন ঢাকাসহ সারাদেশে সকল সহযোগী সংগঠন র‌্যালি, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। বিকেল সাড়ে তিনটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

  • ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত

    ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত

    ক্যাসিনোসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর যুবলীগের দুই নেতা- খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীম, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ ও বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

    এসব অভিযানে নগদ ১৭ কোটি টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এবং ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ২০১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে।

    রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং একাধিক সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এছাড়া ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত বলে জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন খালেদ ও শামীম।

    এমন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে বিব্রতবোধ করছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

    সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের ওসিদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন কমিশনার। শিগগিরই ওসিদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

    একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলমান অভিযান নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণু)’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করেছেন, এখানে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

    এ বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব অত্যন্ত কঠোর।

    এমন পরিস্থিতিতে ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রোববার বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    ভোলার এমপি এবং যুবলীগের উপদেষ্টা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার দুই যুবলীগ নেতা খালেদ এবং জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

    ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত নেপালিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

    এদিকে গণপূর্ত অধিদফতরে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। গণপূর্ত বিভাগের প্রভাবশালী ঠিকাদার শামীমকে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গ্রেফতারের পর তিনি র‌্যাব-পুলিশকে অনেক তথ্য দিয়েছেন।

    গত ১০ বছর ধরে তিনি কীভাবে গণপূর্তে এত দাপটের সঙ্গে সব টেন্ডার বাগিয়ে নিতেন, এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, জি কে শামীম নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি তিনি গণপূর্তের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ বাগিয়ে নিতেন।

    সাবেক দুই প্রকৌশলীকে তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষও দিয়েছেন। তারা হলেন গণপূর্ত বিভাগের সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এবং ঢাকা জোনের সাবেক অতিরিক্ত প্রকৌশলী আবদুল হাই।

    গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় শামীম ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে, সেটি নিয়মের অধীনে ছিল নাকি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা হয়েছিল- সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

    এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে ক্যাসিনো চলার সঙ্গে প্রশাসনের কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। এজন্য প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না।

  • ইউনিসেফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী

    ইউনিসেফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সন্মাননায় ভূষিত করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল- ইউনিসেফ।

    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ইউনিসেফ ভবনে ‘অ্যান ইভনিং টু অনার হার এক্সিলেন্সি প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ সন্মাননা তুলে দেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

    এ সময় ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি টোয়েন্টির অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।

    ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সন্মান আমার একার নয়, বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে দেশের ও বিশ্বের সব শিশুদের। এ সম্মাননা তাদের উৎসর্গ করলাম।

    দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষা ছাড়া কোনও জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছে।

    তিনি উল্লেখ করেন, লাখ লাখ তরুণ তাদের দক্ষতার সঙ্গে আমাদের জীবন ও জীবিকা নির্বিঘ্ন করে চলেছে। একটি দায়িত্বশীল ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠন করতে আমাদের অবিচল পদক্ষেপেরও প্রকাশ করে এই স্বীকৃতি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যুবকদের সম্ভাবনা কাজে লাগানো ব্যতীত দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। আমরা জ্ঞানসম্পন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করতে পারবে।

    তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দক্ষতা উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করেছে এবং যুবকদের যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতায় গড়ে তোলার করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। যুবসমাজকে নিজ নিজ কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের নিজ নিজ কর্মসংস্থানের জন্যও উৎসাহ দিচ্ছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য ইউনিসেফকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত এবং দেশের ক্রিকেট আইকন সাকিব আল হাসান বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই শিশুদেরকে নীতিমালার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে বাংলাদেশ। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, শিক্ষায় শিশুদের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্কুলে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই প্রচেষ্টায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    এই ক্রিকেট সুপারস্টার আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন, সরকারের নীতি ও কর্মসূচি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সাম্য এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্জনে আরও ভূমিকা রাখবে।

    তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাস্তবায়ন’, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

  • সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন হবে: কাদের

    সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন হবে: কাদের

    সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে বলে জানিয়েছন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেছেন, ‘মূল চার লেন সড়কের পাশে ছোট যানবাহনের জন্য হবে আরও দুটি সার্ভিস লেন। ফান্ডিংয়ের অভাবে আগে থেকে কাজ শুরু করা যায়নি। এবার ছয় লেন করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ফান্ড দেবে। কাজের অগ্রগতি খুব দ্রুত হবে।’

    শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সিলেটে সড়ক জোন অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে করিমন, নসিমনসহ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধে কাজ চলছে। এ যানের আমদানির বিষয়টা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। আমদানি বন্ধ করতে একাধিক চিঠি দিয়েছি। এছাড়া নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে আগে থেকেই প্রশাসনকে বলে রাখা আছে।’

    ক্যাসিনোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোর টাকার ভাগ যারা পেয়েছে, তারা আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য দলের অথবা পুলিশ প্রশাসনের হলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

  • রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে-প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে-প্রধানমন্ত্রী

    জাতীয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশন আয়োজিত ‘এ কনভারসেশন উইথ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ইন্টারঅ্যাকটিভ ডায়ালগে তিনি এ আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত নৃশংসতার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার উত্তর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের নিধন করেছে। তারা (রোহিঙ্গা) নৃশংসতা ও সন্ত্রাস থেকে পালিয়েছিল। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমান্ত খুলে দেই।

    এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাঙালির দুঃসহ স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা থেকে এই মানবিক (রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া) সিদ্ধান্ত আসে।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ নিজের উদ্বাস্তু জীবনের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ছোট বোন এবং আমি দেশের বাইরে থাকায় সে সময় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। মিলিটারি স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের সময় ছয় বছর দেশে ফিরতে পারেনি এবং ভারতে উদ্বাস্তু জীবন যাপন করতে হয়েছে।

    রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ তার সাধ্যমত মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ এবং দ্রুত সমাধান চাই। মিয়ানমারে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং মিয়ানমারেই এ সংকটের সমাধান রয়েছে।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে খুবই সহায়তা করছে।

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাইকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা যখন ক্যাম্পে যাবেন এবং মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নির‌্যাতনের ভয়ানক ঘটনা শুনবেন, তখন আপনাদের হৃদয় কেঁপে উঠবে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা আপনাদের হৃদয় নাড়িয়ে দেবে এবং আপনারা চাইবেন খুব দ্রুতই যেন তাদের (রোহিঙ্গা) এই কষ্টকর জীবনের সমাপ্তি হয়।

    সন্ত্রাস ও সামজিক ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই।কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংপ্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও চরমপন্থাবিরোধী লড়াইয়ে এবং সংঘাত বন্ধে চারটি পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলো হলো- প্রথমত, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের যোগান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে; দ্বিতীয়ত, তাদের অর্থের যোগান বন্ধ করতে হবে; তৃতীয়ত, সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে এবং চতুর্থত, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

    বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা নির্মূলে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সফলতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

    পরে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সংকট, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টর, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছিল এবং সে আলোচনা এখনো চলমান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এ আলোচনাকে সমর্থন করেছে। এক পর্যায়ে মিয়ানমার তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে সম্মতও হয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন সমস্যা হলো, নিরাপত্তাহীনতার কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায় না। তাছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু লোক তাদের ফিরে যেতে নিরুৎসাহিতও করছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮২ সালে মিয়ানমার তাদের সংবিধান পরিবর্তন করে। সেখানে রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি এবং তাদের (রোহিঙ্গাদের) বহিরাগত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংগঠন রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করে আসছে। রোহিঙ্গারা যেন তাদের নিজেদের ভূমিতে ফিরে যেতে পারে এবং থাকতে পারে সেজন্য মিয়ানমারের উচিত সে পরিবেশ তৈরি করা।

    জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    মুসলিম উম্মাহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মক্কায় ওআইসি সম্মেলনে বলেছিলাম- যদি মুসলমান দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়, তবে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। কিন্তু যে করেই হোক এটা হচ্ছে না এবং আপনারা জানেন সমস্যা কোথায়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সম্পদশালী মুসলিম দেশ আছে যারা তাদের সম্পদ ব্যবহার করতে পারছে না। নিজেদের স্বার্থে সেখানে একটা মহল ভিন্ন খেলা খেলছে। তারা সেখানে বিভক্তি এবং শাসন, এই পলিসিতে খেলছে। মুসলিম উম্মাহর উচিত তাদের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিটাকে বোঝার এবং থেকে বেরিয়ে আসার। এক্ষেত্রে ওআইসির উচিত পদক্ষেপ নেওয়া।

    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রমুখ। (বাংলানিউজ)

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..

     

  • তারেকের বন্ধু মামুন মুক্তি পেল চার ঘন্টার জন্য

    তারেকের বন্ধু মামুন মুক্তি পেল চার ঘন্টার জন্য

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য কারাগার থেকে চার ঘণ্টার জন্য প্যারলে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যবসায়িক সহযোগী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।

    বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। মামুনের পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ১২ বছর ধরে কারাগারে থাকা মামুন প্যারলে মুক্ত হয়ে রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে শুক্রাবাদের বাসায় যাবেন। শুক্রাবাদ জামে মসজিদে তার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

    গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন মামুনের মা মোসাম্মত হালিমা খাতুন। মামুনের ভাই বিএনপির সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম বিষয়টি জানিয়েছিলেন।

    এর আগে গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর গিয়াস আল মামুনের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদনটি করেন মামুনের বড় ভাই মো. জালাল উদ্দিন রুমি।

    কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুব আলম গতকাল জানিয়েছেন, ‘গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। প্যারোলের শর্ত হিসেবে তিনি নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না, সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারায় থাকবেন এবং সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারাগারে এসে পৌঁছাবেন।

    বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

    লন্ডনে অর্থ পাচার মামলায় গত ২৪ এপ্রিল মামুনের সাত বছর কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। একইসঙ্গে তার ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়।

    এটি ছাড়াও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় আগে মামুনের ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও একটি অর্থপাচার মামলায় মামুনের কারাদণ্ড হয়েছে সাত বছর। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছর কারাদণ্ড হয় তারেক রহমানের বন্ধু মামুনের।

    তবে আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে সকল মামলায় মামুন জামিনে থাকলেও তার বিরুদ্ধে পিডব্লিউ ইস্যু থাকায় তার জামিন কার্যকর হয়নি।

    তাই মাকে শেষ বারের মতো দেখতে এবং তার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..

  • এসডিজি নিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    এসডিজি নিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি বিশ্বনেতারা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে অটল থাকতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে অর্থবহ অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘লিডারস ডায়ালগ অন লোকালাইজিং এসডিজিস’ শীর্ষক সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কো-মডারেটরের দায়িত্ব পালনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে কার্যকর অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা স্থানীয় এবং বৈশ্বিক উভয় পর্যায়ে সমভাবেই প্রয়োজনীয়। কাজেই আমি সকল বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটুট থাকার অনুরোধ জানাব, যা আমরা এই গ্রহ এবং মানুষের জন্য করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমরা একত্রে এসডিজির সুবিধাগুলোকে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারবো, যাদের অবস্থান প্রায়শই সমাজের একেবারে তলানিতে থাকে।’
    শেখ হাসিনা বলেন, ২০০০ সালে সহস্রাব্দের ঘোষণাপত্র এবং ২০১৫ সালে এসডিজি গ্রহণের অনুষ্ঠানের সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন। এসডিজি হল মানুষের প্রয়োজন, আকাঙ্খা এবং অধিকারের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ‘এসডিজি স্থানীয়করণ হল স্থানীয় স্তরে কৌশলগুলো বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো প্রতিফলিত করে। স্থানীয়করণ লক্ষ্যকে স্থানীয় বাস্তবতা ও আকাঙ্খায় রূপান্তরিত করে। এটি ব্যক্তি হিসেবে উদ্বুদ্ধকরণ এবং বাস্তবায়নের জন্য একটি সংহত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পদ্ধতির প্রচার করে।’

    বৈশ্বিক এজেন্ডার সুবিধা গ্রহণের চ্যালেঞ্জ হল স্থানীয় পর্যায়ে শেষ ব্যক্তির কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং স্থানীয়করণের বিষয়টি। এসডিজি’র জন্য স্থানীয়করণ কৌশলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজির লক্ষ্যসমূহকে সম্পৃক্ত করেছি এবং আবার আমাদের ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেও জুড়ে দিয়েছি।’

    এসডিজি বাস্তবায়নে সমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান বিষয়ে উদ্ভাবনী পর্যবেক্ষণ কাঠামো এবং অনলাইন এসডিজি ট্র্যাকার চালু করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। নির্ভুল ডেটা সংগ্রহ প্রক্রিয়া এবং তা ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ডেটা সমন্বয় কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেসরকারি খাত ও দায়িত্বশীল সিভিল সোসাইটিকে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা সম্পদ প্রবাহ এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের চেষ্টা করছি।’

    পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন।’ কার্যকরভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়করণে বাংলাদেশ সরকার ৪০টি সূচক নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।

    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক প্রমুখ।

  • চুনোপুঁটি-রাঘববোয়াল কেউ রেহাই পাবে না : ওবায়দুল কাদের

    চুনোপুঁটি-রাঘববোয়াল কেউ রেহাই পাবে না : ওবায়দুল কাদের

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানে চুনোপুঁটি থেকে রাঘববোয়াল কেউই রেহাই পাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার সেনানিবাস শুটিং ক্লাব পয়েন্টে নবনির্মিত আন্ডারপাসের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে। কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেয়া হবে না।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনই ক্যাসিনোর জন্মস্থান, এটা অনেকেই জানেন। কাজেই এ প্রশ্নের জবাব প্রথমে ফখরুল সাহেবকেই দিতে হবে। মদ ও জুয়া বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু পরে সেই মদ জুয়ার প্রবর্তন করেছে বিএনপি সরকার। কাজেই একথা বলে লাভ নেই। এর বিরুদ্ধে বিএনপি ব্যবস্থা নিতে পারেনি, আমরা নিচ্ছি। খালেদা জিয়া যা পারেন নাই, শেখ হাসিনা তা পেরেছেন।

    তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। যতদিন না এসব অপকর্ম আমরা নির্মূল করতে পারবো, ততদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন সামনে রেখে লোক দেখানো অভিযান নয়, এটা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান। এসব অপকর্ম মানুষের সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছে। কিছু কিছু অপকর্মের কারণে সরকারের তথা শেখ হাসিনার বিশাল বিশাল উন্নয়ন ম্লান হয়ে গেছে। কাজেই গুটি কয়েকের অপকর্মের জন্য আমাদের এতসব উন্নয়নকে ম্লান হতে দিতে পারি না।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আকবর হোসেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মেজর জেনারেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান, ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল এস এম আনোয়ার হোসেন, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. ইমাম হোসেন প্রমুখ।

    ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ আন্ডারপাসটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড নির্মাণ করেছে।

  • রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘে ৪ দফা প্রস্তাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘে ৪ দফা প্রস্তাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে ৪ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।

    ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে তিনি প্রস্তাবগুলো তুলে ধরবেন বিশ্বনেতাদের সামনে।
    ৪ দফা প্রস্তাব—
    ১. রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছে সুস্পষ্ট করতে হবে। এজন্য রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কী করছে সেটাও সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে।
    ২. বৈষম্যমূলক আইন ও চর্চা পরিত্যাগ করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন রাজ্যে ‘যাও এবং দেখ’ এই নীতিতে পরিদর্শনের অনুমতি দিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে।
    ৩. রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই রোহিঙ্গাসহ সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
    ৪. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্য নিশ্চিত করতে হবে, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা দূর করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা প্রদান করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং ওআইসি সেক্রেটারিয়েটের উদ্যোগে যৌথভাবে জাতিসংঘ সদর দফতরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনেও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসরনে ৫ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, সেই প্রস্তাবে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ সমূহের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সহ রাখাইন রাজ্যে একটি বেসামরিক নিরাপদ পর্যবেক্ষণ এলাকা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও ছিল।

    প্রধানমন্ত্রী পুনর্বক্ত করেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এর মূল মিয়ানমারে গভীর প্রথিত। সুতরাং এ সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারের ভেতরেই খুঁজে পেতে হবে।

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড.মাহাথির মোহাম্মদ, ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমেদ আল-ওথাইমেন এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইব্রাহিম বিন আবদুল আজিজ আল আসাফ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, সার্বিয়া, ফিলিপাইন এবং গাম্বিয়ার মন্ত্রী এবং প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক সহায়তা এবং অন্যান্য সহযোগিতা রোহিঙ্গাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনগুলো সমাধান করে। তবে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে এর স্থায়ী সমাধান বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ‘রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে হবে, যেখানে তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী বসবাস করেছিল, ’বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনরকম সমাধান ছাড়াই আমরা আরও একটি বছর পার করে দিয়েছি। মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী রোহিঙ্গারা নৃশংস অপরাধের শিকার হচ্ছে।

    তিনি বলেন, টেকসই, নিরাপদ এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চলমান কার্যক্রম অনুসরণ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ওআইসি তার জবাবদিহি সম্পর্কিত অ্যাডহক মন্ত্রিপরিষদ কমিটির মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা পূরণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

    বাংলাদেশ এ বছরের ৩১ মে (শুক্রবার) মক্কা আল মুকাররমায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি সম্মেলনের যৌথ ঘোষণার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ‘গাম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন অ্যাডহক মন্ত্রিপরিষদ কমিটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওআইসির পক্ষে মামলা করার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে।’
    আমরা বিশ্বাস করি ওআইসির যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের এটাই সময়, ’বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক নির্বাসিত ১১ লাখ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা আমাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম, যা ইসলামের নৈতিক শিক্ষা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে এবং তাদের দেশে ফেরত না যাওয়া অবদি সম্ভব সকল ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ৬ হাজার ৮ ’শ একরের বেশি বনভূমিতে আশ্রয় নিয়েছে, যাতে বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্য সেবা, পানি, স্যানিটেশনসহ রোহিঙ্গাদের সবধরনের মানবিক সহায়তা দিচ্ছি।
    তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় সাধনে বিপুল সংখ্যক বেসরকারি খাতের জনবলকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক-বিদ্যুৎ সরবরাহসহ নতুন ও অতিরিক্ত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ২১৯টি মেডিকেল সুবিধা স্থাপন করা রয়েছে। যার মধ্যে ৫০টি সরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
    শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ সহায়তার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, অন্যান্য ব্যবস্থার মধ্যে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত সরকারি তালিকাভুক্ত ৩৯ হাজার ৮৪১ জন রোহিঙ্গা এতিম শিশুর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। এছাড়া তিনি তার বিশেষ ত্রাণ তহবিল থেকে রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবির স্থাপন করা কক্সবাজারের স্থানীয় জনসাধারণের জন্য আড়াই মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য প্রদান করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অধিক ঘনবসতির সমস্যা সমাধান এবং মানবিক সেবার সুবিধার্থে সুরক্ষার সমস্ত বিধান রেখে রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ভাসানচরের উন্নয়ন করেছি।
    তিনি বলেন, মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে উন্নত আবাসন এবং জীবিকার সুযোগও থাকবে।

    উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে ওআইসির মহাসচিবসহ ইসলামী বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইডেন, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধীরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।