Category: জাতীয়

  • পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

    পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

    থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কলসেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।

    এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।

    ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ও পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।

    এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    এছাড়া, এসব দেশগুলোতে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

    বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদেরকে টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।

    এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

  • ঢাকায় পৌঁছেছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল

    ঢাকায় পৌঁছেছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল

    বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছে বাইডেন প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল।

    শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ এবং বিস্তারিত নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এদিন দুপুরে বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

    প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

    সফরকালে প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, পোশাক শিল্পের মালিকপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নের অংশীজনের সঙ্গে দেখা করবে। তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করবে তারা।

    এই সফরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান; সেই সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রগতির প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

  • রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি

    রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি

    জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিন।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে দেওয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন নতুন সিইসি।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচনটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। অতীতেও ছিল, বর্তমানেও রয়েছে। গত তিনটা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের প্রহসন আমরা দেখেছি। এই সময়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি আরও অন্যরকম। বিশাল একটা গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে কত লোক প্রাণ দিলো, কত লোক আহত হলো, কত লোক নিহত হলো, কত লোক গুম হলো। কত মানুষের সম্পদ হারালো, স্বামী স্ত্রী হারাল, স্ত্রী স্বামী হারাল এবং ছেলে বাপকে হারাল, বাবা ছেলেকে হারাল।’

    তিনি বলেন, ‘শুধু জুলাই আগস্টে দেড় হাজার লোক শহীদ হলো। ২৫ থেকে ২৬ হাজার লোক আহত হলো। এদের রক্তের সঙ্গে ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না। কোনভাবেই করা যাবে না। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য।’

    নতুন সিইসি বলেন, ‘যার ভোট সে দেবে, এটা সম্ভব অবশ্যই হবে। আমি তথ্য, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম। এই তিন চ্যালেঞ্জিং মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছি, ইনশাল্লাহ এই চ্যালেঞ্জও আমি সামলে নেব। যত চ্যালেঞ্জই আসুক সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আমি জীবনে কোনোদিন ফেল করি নাই। আশা করি ইনশাল্লাহ ফেল করবো না। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে।’

  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা

    সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    ড. ইউনূস বলেন, আজ আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে আমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন। ১২ বছর তিনি আসার সুযোগ পাননি। তাকে এই সুযোগ দিতে পেরে আমরা গর্বিত। দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি এবং এ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি।

    শেখ হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে
    এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

    সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সঙ্গে আছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা পৌনে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছোন খালেদা জিয়া।

    বিএনপির চেয়ারপাসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

    দিদার জানান, খালেদা জিয়া ছাড়াও সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দাকার মোশাররফ, আব্দুল মঈন খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষতের ফজলে এলাহী আকবর, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এ কে এম শাসমুল ইসলাম প্রমুখ।

    এরআগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসভবন ফিরোজা থেকে নিজের সাদা রঙের প্রাডো গাড়ি করে সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওয়না হন তিনি। সেখানে গিয়ে হুইল চেয়ারে করে অনুষ্ঠানে যোগ দিন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

    সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফর করেন খালেদা জিয়া। আর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান। তারপর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও কোনো জনসম্মুখে অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।

    ফলে, প্রায় ৬ বছর পর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।

    ২০১০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এর পর থেকে তিনি আর সেনানিবাসে যাননি।

  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

    শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

    সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধান উপদেষ্টা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    রাষ্ট্রপতি দিবসটি উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতি, সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার। তিনি শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধায় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় স্যালুট দেয়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

    এর আগে, রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেখানে তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

    এরপর প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে, এরপর বিউগলে বাজানো হয় করুন সুর।

  • দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান

    দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বন্যা, খরা, ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়সহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান।

    ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং পরে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা দেওয়াসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

    সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে প্রধান উপদেষ্টা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বীর শহিদদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

    প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে।

  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

    জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ববোধ, ধৈর্য ও দেশপ্রেম সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।

    ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ও ৩০ লাখ শহীদের, যারা মাতৃভূমির জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। আমি সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

    মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন।

    একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাহিনীগুলোতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখবেন-এ প্রত্যাশা করি।

    রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীগুলোর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

  • আইজিপি হলেন বাহারুল, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত

    আইজিপি হলেন বাহারুল, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত

    বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাহারুল আলম। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার পদে শেখ মো. সাজ্জাত আলী নিয়োগ পেয়েছেন।

    বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বাহারুল আলম (বিপি-৬০৮৬০০০৭৮৬)-কে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা- সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

    আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) শেখ মো. সাজ্জাত আলী (বিপি-৬১৮৬০০০৭৮৪)-কে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা- সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর পুলিশ কমিশনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

    গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল হয়। ৬ আগস্ট পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পান ময়নুল ইসলাম। তবে তার নিয়োগের সাড়ে তিন মাসের মাথায় তাকে আইজিপি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাহারুল আলমকে।

    পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানসহ সদরদপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন বাহারুল আলম। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন।

    এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন বাহারুল আলম। দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান।

    অন্যদিকে ৭ আগস্ট ডিএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. মাইনুল হাসানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাকেও এ পদ থেকে সরিয়ে নতুন ডিএমপি কমিশনার হিসেবে শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

    সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

    যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্‌যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

    প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বাহিনী প্রধানেরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

    ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ সময় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।

    দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

    এ ছাড়া, ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ বেলা দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাটসমূহে অবস্থান/নোঙরকৃত অবস্থায় রাখা হবে।

  • সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

    সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

    রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে, যা এখনও থেমে থেমে চলছে। সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। এসময় একপক্ষ অপরপক্ষকে ধাওয়া করে এবং ইট-পাটকেল ছুড়ে, এতে কয়েকজন আহত হন।

    বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সায়েন্সল্যাব মোড় ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    জানা গেছে, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার সিটি কলেজে ক্লাস শুরু হয়। অন্যদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের সহযোগী’ শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।

    এদিকে, দুপুরের দিকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার পর বাগবিতণ্ডা শুরু হলে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

    খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়, তবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে। পুরো এলাকায় শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ বেগ পোহাতে হয়।

    এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন— মো. শাহরিয়ার (২২), মোহাম্মদ নূর হোসেন (২৪), মোহাম্মদ তুষার (১৮) ও অনিম (২১)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল

    রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল

    মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে- এমন বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

    বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

    বৈঠকে উপস্থিত একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশ এনেছে।

    মঙ্গলবার খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আদালত যদি মনে করেন তাহলে অপরাধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। আদালত যদি মনে করেন তারা সেটা করতে পারবেন। তবে শাস্তি দেবেনই, এমন নয়। এমন প্রস্তাবনা অধ্যাদেশে রয়েছে।

    উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে বৃহস্পতিবারের (২১ নভেম্বর) মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা।

    বুধবার বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক বসে সচিবালয়ে। এতে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রধান উপদেষ্টার প্রথম সচিবালয়ে অফিস।

    উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং প্রধান উপদেষ্টা আসায় সচিবালয়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।