Category: রাজশাহী

  • রাজশাহীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

    রাজশাহীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    নিহতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছোটন (৫০), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কামারপাড়ার মৃত আলিম উদ্দীনের ছেলে মেহের আলী (৬৫) ও তার ভাই নাইমুল (৬৮)।

    এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ইউনুস (২২), মো. সোলেমান (৫০), রজব (৩১), আমু (২২), রায়হান (৩৫) ও মনিরুল (৪৫)।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

    গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।

  • লিটন ফের বিপুল ভোটে রাজশাহীর নগরপিতা

    লিটন ফের বিপুল ভোটে রাজশাহীর নগরপিতা

    রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবারও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট।

    বুধবার (২১ জুন) রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

    তিনি বলেন, লিটনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট এবং জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট।

    জানা গেছে, ১৯৮৭ সালের ১ অগাস্ট রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এর আগে তিনবার নির্বাচন করে বিএনপির প্রার্থীকে দুইবার হারিয়ে মেয়র হয়েছেন; একবার হেরেছেন। এবার বিএনপি ভোটে নেই। তবে জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পান ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। ভোট পড়ার হার ছিল ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ।

    ২০১৩ সালে ভোটার ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে তৎকালীন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান তৎকালীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। সেই বার ভোট পড়ে ৭৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।

    ২০১৮ সালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। লিটন ২০১৮ সালে যখন দ্বিতীয়বার মেয়র হন, তখন রাজশাহী সিটিতে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

    প্রসঙ্গত, এবারের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের মাঠে ছিলেন। আর সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজশাহী সিটিতে এবার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। এই তালিকায় ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও রয়েছেন। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়।

  • গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়ি থেকে আ.লীগ নেতা আটক

    গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়ি থেকে আ.লীগ নেতা আটক

    গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়ি থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমনকে আটক করেছে পুলিশ। এত রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে লিমনের প্রবেশের খবরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ লিমনকে আটক করে।

    রোববার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে লিমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের ভাগ্নে বলে জানা গেছে।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন তার মামা কাউন্সিলর প্রার্থীর আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে অবস্থান নিতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়িতে যান। লিমন টাকার ব্যাগ নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে ঢুকেছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন ওই নেতাকে বাড়িতে আটকে রাখেন।

    পরে খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এরপর সেখানে যান পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনও। খবর পেয়ে লিমনের বাবা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবালসহ পরিবারের সদস্য ও তার সমর্থকরা সেখানে এলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন ও অপরিচিত আরেকজন একটি ব্যাগ নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এলাকাবাসী বুঝতে পেরে বাড়িটি ঘেরাও করলে অপরিচিত ওই ব্যক্তিটি ব্যাগ নিয়ে কৌশলে চলে যান। এরপর লিমন আটকা পড়ে যান।

    তবে টাকার লেনদেনর কথা অস্বীকার করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন। তিনি দাবি করেন, লিমন নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এসেছিল। তবে তার সঙ্গে কোনো টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।

    বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

  • স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: আহত অর্ধশতাধিক

    স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: আহত অর্ধশতাধিক

    বাসের ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)-সংলগ্ন বিনোদপুরে স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয়দের হামলায় ও ককটেল বিস্ফোরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দুটি মোটরসাইকেলসহ পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে বহিরাগতরা।

    শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছে।

    শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তার সাথে ঝামেলা হয় একজনের। পরে বাস বিনোদপুর বাজারে এলে বাস আটকে ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে এক দোকানি এসে শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে আচরণ করে। পরে ওই ব্যক্তির সাথে হাতাহাতি হয়।

    জানা গেছে, পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় দোকান ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। বাঁশ-লাঠি নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এরপর শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আবার বিনোদপুর গেটের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করে।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থল আসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার কয়েকজন অনুসারী। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে বাইক রেখে চলে যান তারা। এসময় চারটি বাইক ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। পরে দুটি বাইকে আগুন দেয় তারা।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক সুলতানা ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি আমরা শিক্ষার্থী নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

  • আবার সুযোগ পেলে বিএনপি দশ ‘বাংলা ভাই’ বানাবে : তথ্যমন্ত্রী

    আবার সুযোগ পেলে বিএনপি দশ ‘বাংলা ভাই’ বানাবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আবার সুযোগ পেলে দশ ‘বাংলা ভাই’ বানাবে।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি আবার সুযোগ পায়, তারা একটা নয়, দশটা ‘বাংলা ভাই’ সৃষ্টি করবে। এই রাজশাহী অঞ্চলকে তারা জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করবে। কিন্তু মানুষ তা হতে দেবে না।’

    আজ দুপুরে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার আগে দলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এখানে রাজশাহীতে ‘বাংলা ভাই’ সৃষ্টি হয়েছিল, বিএনপির নেতারা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় গত ১৪ বছরের উন্নয়নে রাজশাহী জেলা বদলে গেছে, রাজশাহী বিভাগ বদলে গেছে, পুরো দেশ বদলে গেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যেমন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, রাজশাহীতেও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জননেত্রীর নেতৃত্বে, রাজশাহী মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহী আজ দেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আমাদের বলে ‘পালাবার পথ পাবেন না’। অথচ তাদের বড় নেতা তারেক রহমানই পালিয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ‘হাওয়া ভবন’ তৈরি করে তারা সারাদেশের মানুষের ওপর টোল বসিয়েছিল, চাঁদা বসিয়েছিল, আমোদ ফুর্তি করার জন্য ‘খোয়াব ভবন’ বানিয়েছিল।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি মানুষকে জিজ্ঞেস করা হয় হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোরের নাম কি, তারা বলবে- তারেক রহমান। আর মির্জা ফখরুল বলেন, তারা যদি ক্ষমতায় যান, তাহলে না কি সেই তারেক রহমান আসবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। সে কারণেই মানুষ তাদেরকে আর সেই সুযোগ দেবেন না।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার জন্য রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দান থেকে জনতার ঢেউয়ে পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী থেকে শুরু করে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রেখেছেন। তাই এই মাঠেই আমরা সমাবেশ করছি।’

    ‘মানুষও আমাদের আর বিএনপির সমাবেশের পার্থক্য বুঝতে পারবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে দেখেছি তারা কাঁথা, কম্বল, বালিশ, মশার কয়েল এনেছিল, খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছিল। সেটা কোনো জনসভা ছিল না, ছিল পিকনিক। বিএনপি সারাদেশে জনসভার নামে পিকনিক করেছে। আর আজকে এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মাদ্রাসা মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।’

    আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার সঞ্চালনায় দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতি মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনসভায় বক্তব্য দেন।

  • বাংলার মানুষের কথা ভেবেই দেশে এসেছি, পালাতে নয়: প্রধানমন্ত্রী

    বাংলার মানুষের কথা ভেবেই দেশে এসেছি, পালাতে নয়: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাংলার মানুষের কথা ভেবেই দেশে এসেছি, পালাতে নয়।

    রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় আমরা দুই বোন বেঁচে যাই। আমি জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্র রুখে শুধু দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে আসি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা দেয়নি। আওয়ামী লীগ আজ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। বিএনপি বলে ক্ষমতা গেলে পালানোর সুযোগ পাবেন না। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পালায় আপনাদের নেতারাই। যেই নেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত নেতা আজ বড় বড় কথা বলে। বিএনপি-জামায়াতের পাচার হওয়া ৪০ কোটি টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

    সরকারপ্রধান বলেন, রাজশাহী সারাজীবন অবহেলার ছিল। আপনারা এখানে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আমরা উন্নয়ন করেছি। রাজশাহীতে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। রাজশাহীতে ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। আজ যে কাজগুলো উদ্বোধন করা হলো এগুলো রাজশাহীবাসীকে আমার উপহার।

  • রাজশাহী কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর

    রাজশাহী কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর

    রাজশাহী কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

    বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১০টা ১ মিনিটে রকিবর রহমান ওরফে ওকিবর নামে ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
    রকিবরের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

    ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলায় রকিবর রহমানের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এরপর তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে নাকচ হলে বুধবার রাতে ফাঁসি কার্যকর করে রাজশাহী কারাগার কর্তৃপক্ষ।

    কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফাঁসি কার্যকরের পর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    কারাগার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারি খোরশেদা খাতুন নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় খোরশেদার বাবা আব্দুল জব্বার সাতজনকে আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।

    এ মামলায় শুনানি শেষে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট চার আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। তারা হলেন, হেলাল উদ্দিন, রকিবর রহমান, লাল মোহাম্মদ ও বাছির উদ্দিন। তাদের মধ্যে বুধবার রাতে রকিবুরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।

  • রাজশাহীতে ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ

    রাজশাহীতে ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেলের মজুত পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার বানেশ্বর বাজারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও পুঠিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রায় ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতেখায়ের আলম। তিনিও অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

    পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের দিক-নির্দেশনায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস) সনাতন চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অলক বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

    জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, বিকেল থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদাম থেকে প্রায় ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এ তেল মজুতের কাগজপত্র আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব্দ হওয়া তেলের পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

    এর আগে গতকাল সোমবার (৯ মে) দিবাগত রাতে জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার বাজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। সেখানকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম স্বপন ও তার ভাই রফিকুল ইসলামের গুদামে সব মিলিয়ে ২৬ হাজার ৭২৪ লিটার ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ২২৪ লিটার সয়াবিন তেল। বাকি ৭ হাজার ৫০০ লিটার সরিষার তেল। বাড়তি মুনাফার আশায় রোজার শুরু থেকেই তেলের মজুত গড়েছিলেন দুই ভাই।

    এ ঘটনায় স্বপন ধরা পড়লেও তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম পলাতক। তাদের নামে রাতেই বাগমারা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

  • রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ছয়জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ছয়জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অপর পাঁচজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

    রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পরিচালক জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন ও বগুড়ার একজন রয়েছেন।

    এদিকে, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের করোনা বিশেষায়িত ২৪০টি শয্যার বিপরীতে ১১১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে

  • রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চার জন করোনার উপসর্গ নিয়ে এবং এক জন করোনা পরবর্তী অসুস্থতায় মারা গেছেন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    হাসপাতাল পরিচালক জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর দুজন, নওগাঁর এক জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক জন ও পাবনার এক জন রয়েছেন।

    এদিকে, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের করোনা বিশেষায়িত ২৪০টি শয্যার বিপরীতে ১১৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে

  • রাজশাহীতে করোনায় মৃত্যু ৮

    রাজশাহীতে করোনায় মৃত্যু ৮

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন করোনা পজেটিভ ও সাতজন উপসর্গে মারা যান।

    আজ সকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, নওগাঁর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন ও কুষ্টিয়ার একজন।

    পরিচালক আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। এ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ২৪০টি বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ১২৩ জন।

    এন-কে

  • রাজশাহী করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ৭ মৃত্যু

    রাজশাহী করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ৭ মৃত্যু

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং পাঁচ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    হাসপাতাল পরিচালক জানান, মৃত সাত জনের মধ্যে রাজশাহীর তিন জন, নওগাঁর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক জন ও নাটোরের এক জন রয়েছেন।

    এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে করোনা বিশেষায়িত ২৪০ শয্যার বিপরীতে ১২৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

    এন-কে